রবিউলের ইচ্ছে ছিলো খাওয়ার পর গয়নার ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করবে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখায় না জয়নাব। বলে, 'সমস্যা হাতেম ভাই আর তার বউয়ের! আমরা পেরেশান হওনের কামডা কি?'
'পেরেশানের কাম নাই?'
রবিউল কিছুটা মনক্ষুন্ন হলেও তা প্রকাশ করে না।
'না, নাই!' জয়নাব বললো।
জয়নাবের এমনতর রূঢ়তর জবাবে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে রবিউল।
তা দেখেই হয়তো জয়নাব বলে, 'কথায় কয়, গরিব হইয়া তো দ্যাখো নাই যে, শুটকির ভর্তা ক্যামন ঝাল!'
জীবনের প্রথম একটা নতুন কথা শুনে রবিউল সত্যিই বিস্ময়াভিভূত। মনেমনে কথাগুলোকে কয়েকবার আওড়ায়। কিন্তু মর্মোদ্ধার করতে পারে না।
জয়নাব ভাবলো রবিউলের মন খারাপ হয়ে গেছে। তাই সে বলে, 'মনে কষ্ট পাওনের মতন কিছু কই নাই!'
তারপর রবিউলের পাশে আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে হাতের আঙ্গুল ফোটাতে ফোটাতে জয়নাব আবার বলে, 'গয়না মাইয়া মানুষ হইলেও একজন মা! তার মনে ক্যামন কষ্ট থাকলে পোলাপান ফালাইয়া এতদিন থাকতে পারে, তা কি ভাইব্যা দ্যাখছো?'
'দেখছি।'
'বুঝবা না! হেই মন এখনো তোমার হয় নাই। বাপ যদি হইতে পারতা তাও কিছুডা বুঝতা!'
সুযোগ বুঝে জয়নাব রবিউলের কলজে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় যেন। বিয়ের চারবছর পার হয়ে গেলেও এখনো জয়নাবের কোল খালিই রয়ে গেছে। তার ধারণা, এ অক্ষমতা রবিউলের। কিন্তু রবিউল জানে তার সামর্থ্য। শুধু জানে না জয়নাবের অবস্থা কি। এ পর্যন্ত সে ডাক্তারের কাছে যেতে রাজি হয়নি। রাজি হয়নি নিজকে পরীক্ষা করাতে।
'নসিবে থাকলে আসবে!'
জয়নাবের নিজের মুখের কথা। তবুও মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করেই যেন বল্লমের ঘাই মারে রবিউলকে। তার মন খারাপ হয়ে যায়।
স্বামীর মনের অবস্থা সম্পর্কে জয়নাব ভালো মতই জানে। তাই মলম লাগানোর মতই যেন বলে, 'যিনি ইচ্ছা করলেই সব পারেন তানির কাছে কও!'
তারপর 'আমি নূরীবুর কাছে গেলাম!' বলে, সে মাথায় ঘোমটা টেনে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে এসে দরজায় মুখ বাড়িয়ে আবার বলে,'কোনোখানে যাইয়ো না জানি! হাতেম ভাই আবার আইবো কইয়া গেছে!'
জয়নাবের কাজে-কর্মে তেমন একটা বাঁধা দেয় না রবিউল। কারণ, সে যাই করুক না কেন, তার সবই সংসারের জন্য। প্রথম প্রথম বাধা-নিষেধ দিয়ে পরে নিজকেই পস্তাতে হয়েছে। মাঝে মাঝে সে অবাক হয়ে ভাবে, সংসারে কার প্রতাপ বেশি? তার নিজের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, জয়নাবই তাকে শাসন করে বেশির ভাগ। অবশ্য তাতে ভালোই হয়, খারাপ তেমন একটা হয় না বলতে গেলে।
যে রাস্তায় লোকজনের যাতায়াত কম, সেই রাস্তায় এবং এর ওর বাড়ির রান্নাঘরের পেছনের পথ ধরে জয়নাব খুব স্বল্প সময়ের ভেতরই পৌঁছে যায় খালেক মামুর বাড়ি।
খালেক মামু দূর-সম্পর্কে জয়নাবের মা ফজিলা বেগমের ভাই আবার শাশুড়ি আসমা বেগমেরও ভাই। সেই সূত্রে রবিউল আর জয়নাব দু’জনে খালাতো ভাই বোন। যে কারণে খালেক মামুর বাড়িতে দুজনেরই অধিকার সমান। আর এই অধিকারের বলেই জয়নাব নূরীর সাথে কথা বলতে এসেছে। এর মূল কারণ অবশ্য হচ্ছে যে, এবার সে ঠিক করেছে, যে করে হোক আজকালের মধ্যে তাকে বাপের বাড়ি বালুকান্দি পৌঁছুতেই হবে। মিজান কবিরাজের অষুধ খেয়ে অনেক বন্ধ্যা মেয়ে নাকি ভালো ফল পেয়েছে।
গাছ-গাছড়ার অষুধ তেমন খারাপ কিছু না। শহরের হাসপাতালের ডাক্তার সে পুরুষই হোক আর নারীই হোক তাদের কাছে পরীক্ষা করানোর মাঝে আনেক খারাপ ব্যাপার বা কোনো কোনো সময় ঠকে যাওয়ার মতও ব্যাপার থাকে। যা সরল মনের রবিউলকে বোঝানো জয়নাবের সাধ্যের বাইরে।
তা ছাড়া, যে মেয়ে ডাক্তারের কাছে যেতেই রাজি হয়নি, সে যাচ্ছে কবিরাজের কাছে। এমন কথা রবিউল শুনতে পেলে অবশ্যই হাসবে। সুযোগ মত তিতা কথা বলতেও ছাড়বে না। হয়তো বলা যায় না রেগেও যেতে পারে। যাতে দু'কূলই রক্ষা পায় সেই ব্যবস্থাই সে করতে চাচ্ছে। রবিউলকে কিছুদিন একা থাকতে হবে। কবিরাজের অষুধ খাওয়ার পর পরবর্তী চক্র শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বামী-সঙ্গ নিষিদ্ধ। সেই কারণে রবিউল পাশে থাকলে তার অষুধ খাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।
এরই মাঝে হাতেম আলি রবিউলের সঙ্গে দেখা করতে আসার পথে জয়নাবকে দেখলো প্রায় লুকিয়ে লুকিয়ে সে কোথাও যেন যাচ্ছে। কিন্তু কেন সে অমন ভাবে যাচ্ছে সেই রহস্য ধরতে পারে না।
'রবিউল আইছস!'
দরজায় দাঁড়িয়ে হাতেম আলি হাঁক দিলে ঘর থেকে রবিউল বললো, 'খালি ঘর, সিধা ঢুইক্যা পড়!'
মাঝারি আকৃতির একটি কাঠের ঢেলানীতে পা গুটিয়ে বসেছিলো রবিউল। হাতেম আলি পাশে বসে বললো, 'তুই একবার গেলে দেখতি আমার পোলাপানের কী দূর্গতি!'
কোনো ভণিতা না করে সরাসরি কাজের কথায় চলে আসে রবিউল, 'দুর্গতি তো তুমিই ঘটাইলা!'
'আমি ঘটাইলাম?'
হাতেম আলি কেমন আহত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকে রবিউলের দিকে।
তারপর আবার বলে, 'তর মনগড়া মতন একটা কথা কইলেই হইবো?'
'মনগড়া হইবো ক্যান? ভাবিরে যদি তুমি এমন অত্যাচারডা না করতা, তাইলে না হয় এমন কিছু একটা কইতে পারতা!'
হাতেম আলি নড়েচড়ে বসে বলে, 'তুই যে কেবল একটা কথাই সব সময় কস, তার মুখ দিয়া যেইসব অবাচ্য বাইর হয় তা কি তুই নিজের কানে হুনস নাই?'
'তাইলে মূর্খ কইছে কারে?'
'হ্যায় না কেলাস সিক্স তক পড়ছে, মূর্খ হইলো ক্যামনে?'
হাতেম আলির কথা শুনে না হেসে পারে না রবিউল। বলে, 'তোমার শ্বশুরের কোনো পোলাপানই ইস্কুলের সীমা পার হইতে পারে নাই। তা ছাড়া হেই বাড়ির কারো মইধ্যে শিক্ষা-দীক্ষার বীজ আছে বইল্যা মনে হয় না। তাও আবার তোমারে বলি, এই বয়সে এত মাথা গরম করা ঠিক হয় নাই!'
'তুই কি কইতে চাস আমি মুখ বন্ধ কইরা রাখমু? হ্যায় আমার মরা বাপ-মায়ের নাম তুইল্যা খারাপ কথা কইলেও কস হ্যারে কোলে নিয়া বইস্যা থাকমু?'
'অখন তোমার যে বয়স, এই বয়সে মানুষ ভারী হইতে হয়! মন-মেজাজ ঠান্ডা রাখতে হয়! এই যে, ভাবি কইলো তোমার মতন ডাকাইতের ঘরে আর আইবো না! আর তা যদি সত্যি সত্যিই হয়, তোমার পোলাপানের কী উপায় হইবো একবার ভাইব্যা দেখছো?'
হাতেম আলি প্রায় ভেঙে পড়ার মত বললো, 'গয়না এই কথা কইলো?'
'কইলে কি খুব বেশি অন্যায্য কিছু কইছে?'
'তর মতে গয়না সব ন্যায্য কথাই কয়!'
হাতেম আলি মুখ বিকৃত করে ফেলে।
'বিয়ার সময় তোমার বউ বাপের বাড়ি থাইক্যা যেই গয়না-গাটি সোনার জিনিস পিন্দা আইছিলো, তারপরে তোমারে ব্যবসার পুঞ্জি হিসাবে নগদ আইন্যা দিছে সত্তুর হাজার, তার হিসাব কি দিতে পারবা?'
'এত বছর পরে এই হিসাব ক্যামনে দিমু!' হাতেম আলির কন্ঠে হতাশা ঝরে পড়ে।
'তাইলে এখন যদি তোমাগো দুইজনের মইধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়, তাইলে ভাবির কাবিনের আশি হাজার, পরের বারের সত্তুর হাজার আর পাঁচ ভরি সোনার জিনিস কি ফেরত দিতে পারবা? বিচার শালিসে কি এর অর্ধেকও তুমি দিতে বাধ্য না?'
হাতেম আলি শুকনো মুখে বলে, 'বিচার-শালিসের রায় মানতে ত হইবোই!'
'কিন্তু দিবা ক্যামনে?'
রবিউলের উত্তর প্রত্যাশী দৃষ্টির সামনে হাতেম আলি আরো চুপসে গিয়ে বলে, 'হেই চিন্তাই তো করতাছি!'
'চিন্তা-ভাবনায় সময় নষ্ট কইরা লাভ নাই! এখনকার মানুষ খুবই খারাপ! দেশের আইনও দিনদিন কঠিন হইতাছে। কেউ যদি ভাবিরে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়া কোর্টে নাইলে থানায় গিয়া দরখাস্ত দেওয়ায়, তাইলে তোমার বয়স এক রাইতেই আশি হইবো!'
হাতেম আলি কিছুক্ষণ রবিউলের দিকে তাকিয়ে থাকে।
তারপর ঢোক গিলে বলে, 'অহন আমারে একটা বুদ্ধি দে!'
রবিউল এক পা নামিয়ে বলে, 'য্যামনে পারো ভাবিরে ঘরে ফিরাইয়া আনো!'
হাতেম আলি ইতস্তত করে বলে, 'ফিরাইয়া আনতে তো যামু, হ্যাগো মতিগতি ক্যামন দেখলি? আমারে না আবার মাইর-ধইর করে!'
রবিউল বিস্মিত হয়ে বলে, 'এমন কাজ ক্যান করবো?'
'তর ভাবি যখন আমার উপরে হাত তুলতে পারছে, তাইলে মানুষ দিয়া আমারে মাইরও খাওয়াইতে পারে!'
হাতেম আলির ভীতি দেখে আর কথা-বার্তা শুনে ফের হেসে ওঠে রবিউল। বলে, 'দুর্বল মানুষও মাইর খাইতে খাইতে একদিন ফিরা ধরে! লেখা-পড়া তো করলা না, দুনিয়ার ঘটনার থাইক্যাও কিছু শিখতে চেষ্টা করলা না!'
কিছুক্ষণ ঝিম মেরে থেকে হাতেম আলি বলে, 'আমি যে কী করমু চোখে-মুখে পথ দেখতাছি না!'
'অখন একটা পথই আছে আর তা হইলো ভাবি ফিরা আওনের পর মাইর-ধইর বকা-বাদ্য করতে পারবা না। পোলাপান বড় হইতাছে। তাগো সামনে যদি তোমরা এমন কর, তাইলে তারা শিখবো কি? তা ছাড়া কোনো কাজে-কামে না গিয়া ঘরে শুইয়া বইসা থাকলে সংসারের ঝগড়া মিটবো না কোনোদিন!'
হাতেম আলি মাথা দুলিয়ে বলে, 'তর সব কথাই ঠিক আছে। তাইলে তুইও আমার লগে চল!'
রবিউল আৎকে উঠে বলে, 'আমি আর সাহস পাইতাছি না, তুমি অন্য কাউরে নিয়া যাও!'
'ভাই, তুই আমার বয়সে ছোডো, তাও তর দুইডা হাত ধইরা কইতাছি!'
হাতেম আলি সত্যি সত্যিই রবিউলের দু'হাত মুঠো বন্দি করে ফেলে। 'তরে ছাড়া গেলে, গয়নারে আনতে পারমু না!'
রবিউল কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে, 'তুমি বুঝতাছ না ক্যান? ঘর-বাড়ি ফালাইয়া আমি ক্যামনে যামু? জনুরে কাইল বালুকান্দি নিয়া যাইতে হইবো!'
হাতেম আলি অস্থির হয়ে বলে, 'দরকার হইলে এক দুইদিন নাইম্যা যাই, তাও তুই না করিস না!'
রবিউল হাতেম আলিকে আগেই কথা দেয় না। বলে, 'জনু আইসা কি কয় দেখি।'
জয়নাবের প্রসঙ্গ উঠতেই হাতেম আলি বললো, 'তর বউরে দেখলাম হোসেন আলির পাক ঘরের পিছন দিয়া বার হইতে!'
'যাইতাছে নূরীবুর কাছে। তারে ঘরে দিয়া হ্যায় বাপের বাড়ি যাইবো!'
হাতেম আলি আশ্চর্য হয়ে বলে, 'নূরীর না মাথা খারাপ!'
'হেই কথাডাই তো জনুরে বুঝাইতে পারলাম না!'
হাতেম আলি চিন্তিত ভাবে বললো, 'দেখিস, পরে না আবার কোনো কেলেঙ্কারী হয়!'
রবিউল হেসে বললো, 'কেলেঙ্কারী হইলে তার দায় জনুর। নয়তো নূরীবু আর খালেক মামুর!'
দায় এড়িয়ে যাওয়ার কথা রবিউল বললেও হাতেম আলি তা মেনে নিতে পারে না। বলে, 'তাও তো, তুই, নূরী গ্যারামের দশজনের বাইরের কেউ না। ইচ্ছা করলেই যা খুশি করন যায় না!'
'নূরীবু আমার ঘরে আইসা থাকলে কথা কি গোপন থাকবো? জনু ফিরা আওনের সময় কি আরো দুই-চাইর-পাঁচজনরে কইতে কইতে আইবো না? এর থাইক্যাই সমাজ খবর পাইয়া যাইবো আর তারা যদি খারাপ মনে করে, তাইলে রাইত হওনের আগেই আমারে নয়তো খালেক মামুরে নিষেধ করবো!'
হাতেম আলি রবিউলের যুক্তি উপেক্ষা করে না। পরে বলে, 'তাইলে আমার বিষয়ডা কি ঠিক হইলো?'
'জনু আইলেই ঠিক করমু!'
হাতেম আলি উঠে দাঁড়িয়ে বললো, 'তাইলে কি ঠিক করলি পরে আমারে জানাইস!'
হাতেম আলি নিশ্চিত হয়ে ফিরে গেলেও রবিউল চিন্তামুক্ত থাকতে পারে না। কারণ সাত-আট বছর আগে এমনি একটা ঘটনা ঘটলে রবিউলকে গয়না বলেছিলো যে, সে ফিরে এলে লাভ বা সুবিধা হবে ময়নার বাবার। কিন্তু রবিউলের কি লাভ?
এমন কথার কোনো জবাব না থাকলেও রবিউল চুপ থাকেনি সেদিন। বলেছিলো, 'মানুষ কেবল লাভের আশায়ই সব কাজ করে না! কোনো কোনো কাজ বিনা স্বার্থে বা বিনা লাভেও তারে করতে হয়। আর মানুষ বইলাই সে এমন ধরনের কাজ করতে পারে। লাভের মইধ্যে এইই যে, একটা সংসার ভাঙনের হাত থাইক্যা রক্ষা পাইলো!'
গয়না বলেছিলো, 'আমি এত বড় মনের মানুষ হইতে পারি নাই! আমার লাভ-লোকসানের হিসাবের দরকার আছে। বিনা লাভে একটা জেলখানার মতন সংসারে গিয়া ঢুকমু ক্যান? যেইখানে দিনরাইত বলদের মতন ঘানি টাইন্যা যাওন! কী পামু আমি? ওই বুইড়ার কাছে না পাইলাম আদর-সোহাগ, না পাইলাম মানুষের ইজ্জত!’
তারপরই অকস্মাৎ রবিউলকে আরো বিস্ময়ের পাথারে ঠেলে দিয়ে অন্দরের দিকে যেতে যেতে গয়না বলে উঠেছিলো, ’আপনে মানুষটা ইট্টু খারাপ হইলে কবেই আমার সব হাউশ মিটাইয়া লইতাম!'
রবিউল গয়নার কথা বুঝবে না, এমন শক্ত আর কঠিন কথা বলেনি সেদিন। তবুও রবিউল গয়নার ইঙ্গিতে সাড়া দিতে পারেনি। আর কেন পারেনি তা আজও রহস্য হয়ে আছে। আবার হাতেম আলিকে সঙ্গে নিয়ে গেলে গয়না হয়তো সেই একই কথা বলে খোঁটা দেবে, তিরস্কার করবে তার সাহস নিয়ে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই আছে, যা নষ্ট করতে বা দুমড়াতে-মোচড়াতে কখনোই ইচ্ছে হয় না। আবার কিছু কিছু জিনিস আছে যা দেখলেই দুমড়ানো-মোচড়ানো থেকে শুরু করে ভেঙে-চুড়ে, ছিঁড়ে-ফেঁড়ে ফাতাফাতা করতে ইচ্ছে হয়। গয়না রবিউলের কাছে তেমন কোনো জিনিসের মত নয়।
(চলবে...)
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন