আমরা কেবলই ঘুরে ফিরে আসি এই একই বধ্যভূমিতে
যেখানে একদা আমাদের অগ্রজেরা করে গিয়েছেন প্রাণপাত;
যে মাটির ঘাসেরা আজো ভুলে আছে সবুজের ঘ্রাণ।
ঘুরে ফিরে প্রতিবার এখানে এসেই ভুলে যাই কেন
আমাদের বাকি আছে আরো কাজ। তবুও আমরা
ধানের জমিতে আগাছা তোলার বদলে রুয়ে আসি বল্লমের ফলা।
সেঁচের বদলে দেখি সদ্য বিধবার আহাজারি, পিতৃহীনের অশ্রুপাত।
তবু ঘুরে ফিরে কেন এখানে কেবল? লোকালয়ে বাড়ছে হিংস্রদের আনাগোনা;
যেন পুরো লোকালয় আজ বধ্যভূমি, হায়েনাদের নিরাপদ আবাস।
আমাদের ঘরে বুঝি নেই সোমত্ত বোন, যখন শঙ্কিত যুবতী কিংবা
বালিকার লজ্জা দেখে পুলকিত হই, তার কান্না দেখে অনুপ্রাণ জাগে
ফের কারো কন্যা অথবা বোনের অশান্তিতে বিপুল আনন্দ পেতে;
আর তাই দিনরাত ফেরিঅলার মতন নিজেদের দুশ্চরিত্র বিকোই পথে-প্রান্তরে।
তাহলে কি ওরা কোনো ভুল করেনি সেদিন?
ওদের লালসা, যৌনকাতর কুকুরের উম্মত্ততা, সবই ছিলো বৈধ
পরাধীন দেশে? তাহলে এখন কেন নয় নিরাপদ তোমার বোন
আমার আদরে বিগলিত প্রতিদিন চঞ্চলা কিশোরী কন্যাটি?
তাহলে কিসের এ স্বাধীনতা? কেন এ স্বাধীনতা?
যদি বা ঘরের চার দেওয়ালে, পথে, আজও থাকি অনিরাপদ, বেজন্মা
বেনিয়ার দুর্বিনীত নষ্ট আত্মা যদি এখনো জন্মায় পড়শীর ঘরে
তাহলে ফিরিয়ে নাও ফের, স্বাধীনতার নামে নতুন এ অনাচার।
২২.১০.২০১০
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন