ফেরা অথবা না ফেরা

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি
লিখেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী (তারিখ: শনি, ২২/০৯/২০১২ - ৭:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনটা বইতে ইচ্ছে করে না আর হাসানের। মনে হয় বিনা কারণেই বেঁচে আছে। আয়ু আরো হাজার বছর বেশি হলেও মনে হয় এ জীবন নিজের কোনো কাজে আসবে না। যে কবি বলেছিলেন, পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলই দাও, বাস্তবে তিনিই ছিলেন স্বার্থপর। অক্ষম আর ব্যর্থ একজন মানুষ। দারিদ্র্যের কারণে বিপর্যস্ত আর সমস্যা-সঙ্কুল জীবনে হয়তো কামনা করতেন, কেউ এসে তাকে সংকট থেকে উদ্ধার করুক। আর সেই অসাধু উদ্দেশ্য থেকেই হয়তো কোনো এক বিষণ্ণ বিকেলে লিখেছিলেন কবিতাটি। নির্বোধ শিক্ষকের বেকুব ছাত্রটি ক্লাসে পড়ে আর শুনে বিশ্বাস করে বসেছিল কথাগুলো। আহা, কী সুন্দর আর মানবতাবাদী বাক্য, পরের জন্য স্বার্থ সব জলাঞ্জলি দাও, নিজের পেটের ক্ষুধা রেখেও সে খাবার দিয়ে দাও আরেক ক্ষুধার্তকে। কী উত্তম ভাবনা চিন্তা!

মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় দুচোখ যেদিকে যায় সেদিকে চলে যায় অথবা সর্বোচ্চ গতিতে ছুটিয়ে দিয়ে গাড়িটা নিয়ে এগিয়ে যায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শতবর্ষী বুড়ো বটগাছটার দিকে। তাহলেই হয়তো নতুন আরেক যন্ত্রণার উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে অবসান ঘটবে পুরোনো আর একঘেয়ে যন্ত্রণাগুলোর। সেই সঙ্গে মিটে যাবে জীবনের জৌলুস আর চাকচক্যময় মিথ্যার ঘেরাটোপ। এ সবের কী মানে হয়? কেন এত মিথ্যা সৃষ্টির প্রয়োজন পড়লো? মানুষের কী প্রয়োজন ছিলো এতটা আধুনিক হওয়ার? আধুনিকতা মানুষকে শিখিয়েছে কীভাবে, কতটা নিপুণ ভাবে সত্যকে আড়াল করতে হয়। নয়তো মানুষ ভালোই থাকতো। ভালো থাকতো হয়তো হাসানও।

সকাল থেকেই আজ মনটা বেশ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে তার। রায়নার কথা শুনে একবার মনে হয়েছিলো ঘটনাটা আজই ঘটিয়ে ফেলবে। কিন্তু তাতে হয়তো সে নিজে সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারলো, তার অন্তর্ধান বা ফুরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশ কটি জীবনেই তৈরি হবে নতুন নতুন সমস্যা। এমন করে ভাবতে গেলে যে কটি বছর সে বেঁচে থাকবে তত বছর আর নিস্তার নেই তার। সবাইকে সমস্যা মুক্ত করে দিতে বা কোনো ধরনের সমস্যা যাতে তাদের না ছুঁতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে গেলে জীবনটাকে নিজের মতো করে যাপনের অধিকার ফিরে পাবে না ইহ জীবনে। অবশ্য এর জন্য সে নিজেই হয়তো দায়ী। হয়তো সেই দায় পুরোপুরিই তারও নয়। যেই দায় বা দায়িত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরো অনেকেই। আছে সংস্কার, পরিবার, সমাজ, দেশাচার। অথচ যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে একা তাকেই। কেন? আরো বেশ কয়েক বছর আগে বা তারও আগে তো এমন ছিলো না রায়না। ছিলো না এমন সন্দেহ প্রবণ। ছিলো না খুঁতখুঁতে স্বভাব। এমন কি ছিলো না অতটা রুক্ষ কণ্ঠস্বর। কেন এমন হলো? নাকি সব বিবাহিত পুরুষ বা রমণীই কোনো এক কালে এমন হয়ে যায় অথবা সব বিবাহিত মানুষকেই দাম্পত্য জীবনে এমন একটি বিশ্রী সময়ের মুখোমুখি হতে হয়?

ঘর হচ্ছে একটি নিরাপদ জায়গা। সারাদিনের শ্রম শেষে অবসাদ আর ক্লান্তিগুলোকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে একটি প্রশান্ত মুহূর্তের কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়া। আর সেই ঘরই যদি হয়ে থাকবে একটি কাঁটা বৃক্ষের গহীন অরণ্য, তাহলে দিন শেষে সেখানে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে হলেও হয়তো পরবর্তী নানা সংকটের অজুহাতে মন উলটো পথে হেঁটে যেতে চাইবে। কীসের আশায় মানুষ দিন শেষে ফিরে যাবে তার ঘরে? যদি সেখানে কেউ না থাকে তার প্রতীক্ষায়, না থাকে নির্ভর করার মতো দুটো মমতার হাত; যাবতীয় ক্লান্তি নিয়ে এলিয়ে পড়ার মতো নির্ভরযোগ্য একটি অসংকোচ বুক। মানুষ তো একারণেই ঘর বাঁধে। নাকি ঘর কেবল অন্যে দেখার জন্যে, ঝড়-বৃষ্টি, রোদ-তাপ, ধুলাবালি-শিশির থেকে নিজেকে আড়াল রাখতে অথবা রাতভর নাক ডাকিয়ে ঘুমানোর জন্যে? ঘর মানে তো শুধু বাসস্থান নয়। একে কেন্দ্র করে জড়িয়ে থাকে জীবনের অনেক কিছুই। একটি ফসলী জমির মতোই ঘর থেকেই বিস্তার শুরু হয় অনেক সাফল্য আর ব্যর্থতার। যার মাঝে বীজ, সার-জলের মতোই জরুরি পারস্পরিক নির্ভরতা আর বিশ্বাস।

গতকাল রাতটাকে তার কাছে মনে হয়েছিলো জেলে বন্দী কয়েদীর অবস্থার মতো। মুক্তির আকুতিতে কেবল ছটফট করেছে বিছানায়। ইচ্ছে হচ্ছিলো ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে কোনো ফুটপাতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়তে। ফুটপাতে হয়তো আছে পথচারীর পায়ের শব্দ, আছে টুকরো কাগজ বা শুকনো পাতাদের গড়িয়ে যাওয়ার বিচিত্র ধ্বনি কিংবা আছে নানা যানবাহনের যান্ত্রিক শব্দও। কিন্তু সেখানে হয়তো নেই অবিশ্বাস আর ঘৃণা মিশ্রিত শ্বাস-প্রশ্বাসের বিষাক্ত স্ফুলিঙ্গ, নিরন্তর দগ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা; পোড়া ক্ষতের অসহ্য দুর্বাস।

হাসান ঘাটের কাছে এসে রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা নেমে গিয়ে গাড়ি থামায়। পায়ের নিচে ঝুরঝুর করে বালি সরে। পদক্ষেপ এলোমেলো হয়ে যায়। নদীর ঢাল বেয়ে সে নেমে যায় আরো নিচের দিকে। জলের কাছাকাছি ভেজা মাটিতে এসে দাঁড়ায়। গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাত্রা ছোট লঞ্চ বা ট্রলার থেকে ডেকে তাকে জিজ্ঞেস করে লোকজন, যাইবেন নি?

মাথা নেড়ে অসম্মতি জানায় হাসান। তার পাশ ঘেঁষে লুঙ্গী উঁচিয়ে কোমরে বাঁধতে বাঁধতে হাঁটু জলে নেমে যায় এক মাঝ বয়সী লোক। মোটা সুতো অথবা সরু রশিতে বেঁধে জিইয়ে রাখা রুই মাছ তুলে দেখায় লোকটি। পান-খাওয়া লাল দাঁত দেখিয়ে বলে, তাজা মাছ লাগবোনি সার? কোনো কেমিক্যাল দেওয়া নাই।

অন্য সময় হলে হয়তো মাছটি সে নিয়ে নিতো। বাজারের চোরা পথে আমদানি করা মাছ অথবা ফরমালিন দেওয়া মাছের চাইতে এমন তরতাজা মাছের স্বাদ আলাদা। কিন্তু রায়নার হাতের রান্না সবই প্রায় একই রকম। মাছ-মাংস-ডাল একই স্বাদ।

মমতাজ বলে একটি মেয়ে কিছুদিন কাজ করতে এসেছিলো। তার হাতের রান্না খুব ভালো ছিলো। কৈশোরে মায়ের হাতের রান্নার মতোই। অবশ্য মেয়েটি তাদের গ্রামের বলেই হয়তো রান্নাটা প্রায় মায়ের মতই ছিলো। মেয়েটা হয়তো খুব পছন্দ করতো তাকে। খুঁজে খুঁজে একদিন পরা প্যান্ট-সার্ট-মোজা-অন্তর্বাস নিয়ে ধুয়ে দিতো। খাওয়ার সময় পাশে দাঁড়িয়ে প্লেটে খাবার তুলে দিতে পছন্দ করতো। যা হয়তো ভালো লাগেনি রায়নার। একমাস পরই তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলেছিলো রায়না। দেখতে শুনতে তেমন ভালো না হলেও মনটাতে কোনো কুটোকাটা ছিলো না। হাসতে পারতো প্রাণ খুলে। এতেও রায়না আবিষ্কার করেছিলো ভিন্ন কিছু। মেয়েটা তোমাকে দেখলেই এমন করে। সারা দিন যতক্ষণ ঘরে থাকি, তাকে হাসতে তো দেখি না একবারও। ছোট ঘরের মেয়েরা পুরুষকে ভোলাতে অনেক ট্রিক্স জানে। আর প্রতিদিন তোমার কাপড় ধুতে নিয়ে যায় কেন তা কি বুঝি না?

সেই কথার ভেতর দিয়েই রায়নার ভেতরের মানুষটাকে দেখতে পেয়েছিলো হাসান। দেখতে পেয়েছিলো, নিজের চারদিকে কী নিদারুণ অবিশ্বাসের প্রাচীর তুলে রেখেছে সে। এমন হলে কি সংসার করা যাবে, নাকি নিজের অবস্থান কারো মনে বেশিদিন ধরে রাখা যাবে? সংসার টিকে থাকে বিশ্বাসে। দুটো মানুষ পরস্পরের জন্যে বেঁচে থাকতে, কাছাকাছি থাকতে, এমনকি দুটো একটি শব্দ বিনিময় করার জন্যেই বেঁচে থাকতে চায় অনন্ত কাল; যদি সেখানে থাকে বিশ্বাস আর নির্ভরতার মতো শক্ত কিছু। কিন্তু এভাবে স্বামীকে সন্দেহের আঁশ দিয়ে কতক্ষণ বেঁধে রাখবে রায়না? তা ছাড়া বাঁধা প্রাণীর প্রতি মানুষের যে ভালোবাসার প্রকাশ তাকে কি ভালোবাসা বলা যাবে? যারা খাঁচায় পুরে পাখি পোষে, আদৌ কি পাখিটিকে তারা ভালোবাসতে পারে? এমন একটি দুর্বিষহ অবস্থাকে জীবন-যাপন বলা যায় না।

মমতাজকে যখন সে লঞ্চে তুলে দেওয়ার জন্যে ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিলো পাশাপাশি, তখন মমতাজ হঠাৎ বলে উঠেছিলো, ভাইজান, ভাবি কিন্তু মানুষটা খুব ভালা। আপনেরে খুব মায়া করে। আর তার লাইগ্যাই আমারে দিনরাইত সন্দ করতো। আমারে ছাড়ায় দিসে এর লাইগ্যাই!

মমতাজের সেদিনের কথাগুলোর ভেতর আপাত দৃষ্টিতে কোনো অভিযোগ বা কষ্টের উপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে ফুটে না উঠলেও কথাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কোথাও যেন খানিকটা কষ্টও লুকিয়ে আছে টের পাওয়া যায়। হাসান ইচ্ছে করলে সেদিনই রায়নার সঙ্গে এ ব্যাপারটা নিয়ে ঝামেলা পাকাতে পারতো। আলাদা হয়ে যাওয়ার অজুহাত খুঁজলে অনেক পাওয়া যায়। কিন্তু বিচ্ছিন্নতা তো কোনো সমাধান নয়। মানুষটাকে যদি বুঝিয়ে শুনিয়ে আয়ত্তে না আনা যায় বা সংসারের অশান্তি দূর করা যায়, সেই চেষ্টা যখন ব্যর্থ হবে তখন না হয় তেমন কিছুর কথা ভাবা যাবে। কিন্তু আরেক মন বলে যে, চেষ্টা যথেষ্ট হয়েছে। আর চেষ্টার কিছু নেই।

সার, মাছটা ভালা আছে। সকালেই ধরছি।

হাসানের খুব রাগ হয়। মানুষগুলো কেউই আসলে বুঝতে চায় না কিছু। নিজের ব্যাপারগুলো যতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, অন্যের বেলা এই মানসিকতাটা কেন ধরে রাখতে পারে না মানুষ? লোকটি ফের মাছটি তুলে ধরে। হাসান কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে বলে, কত চান?

-ছয় হাজার দিয়েন সার! বলে, লোকটি তার লাল দাঁত বের করে হাসে।

-ছয় হাজার, বলো কী?

-বেশি তো চাই নাই।

-কিলো কত?

-সার, ওইডি তো মরা মাছ। আশি থাইক্যা একশ বিশ ট্যাকা কইরা।

-আপনার জ্যান্ত মাছ দু’শ করে কিলো ধরেন, পঁচিশ কিলো হবে?

-অ্যাত হইতো না। লোকটির মুখে অপ্রস্তুত হাসি দেখা যায়।

-তাহলে এত দাম চাইলেন কেন? মাছটা কতো কিলো হবে?

-এই ধরেন গিয়া ছয় সাড়ে ছয় কিলো!

-আট’শ টাকা পাবেন।

-এইডা একটা কতা কইলেন সার!

মাছটা পানিতে ছেড়ে দিয়ে লোকটা উঠে যায়।

ইচ্ছে হয় না ফিরতে। তবু ফিরে আসে হাসান। সন্ধ্যা হতে খুব বেশি বাকি নেই। সূর্যটা তার গায়ের রঙ বদলে কমলা করে নিয়েছে। গাড়ি ঘুরিয়ে পাকা রাস্তায় উঠে আসার মুখেই ফোনটা বেজে ওঠে। গাড়ি থামিয়ে হাসান দেখলো রায়নার কল। ফোন তুলে সবুজ বোতামে চাপ দিয়ে কানে ধরতে শোনা যায়, কোথায় তুমি?

-মেঘনা ঘাটে।

-ওখানে কী করতে গেছ? জিজ্ঞেস করলে তো স্বীকার করবে না যে, মমতাজকে দেখতে গিয়েছিলে।

প্রচণ্ড রাগে হাসানের ইচ্ছে হয় ফোনটাকে বাইরে অথবা পানিতে ছুঁড়ে দেয়।

তখনই মাছওয়ালাকে জানালার কাছে দেখা যায়। লোকটি জানায়, বার’শ দিয়েন সার!

রায়না হয়তো শুনতে পায় এ কথা। বলে, কী দামাদামি করছো?

রায়নার জিজ্ঞাসা শুনেই যাবতীয় ভাবনাগুলো হঠাৎ বদলে যায় হাসানের। সে উত্তরে জানায়, একটা ছয় কেজি ওজনের মাছের দরদাম করছি।

তারপর কানের কাছ থেকে ফোন না সরিয়েই লোকটিকে বলে, আট’শ টাকার বেশি পাবে না।

-সার এক হাজার দেন! মাছটা জ্যাতা।

-বলেছি আট’শ টাকা দেবো। দিলে দাও, না দিলে আমার সময় নষ্ট কোরো না।

লোকটি বললো, মাছটা নিয়া আইতাসি।

ফোনের ও প্রান্ত থেকে রায়না বলে ওঠে, এই অসময়ে মাছ কিনলে কেন? আমি কিন্তু কাটাকুটির ঝামেলা করতে পারবো না। যা করার তোমাকেই করতে হবে!

দীর্ঘদিন পর হঠাৎ হেসে ওঠে হাসান। হাহা করে প্রাণ খুলে হেসে ওঠে। রায়নাকে জানায়, তোমার ভয়ের কিছু নেই, মাছ নিয়ে মমতাজের ওখানে যাচ্ছি। আজ ফিরবো না। আমার পাশেই আছে ও। কথা বলবে?

ফোনের লাইন কাটার শব্দ টের পায় হাসান। লোকটিকে মাছ নিয়ে ফিরতে দেখে, গাড়ি থেকে নেমে পেছনের ঢাকনা খুলে দেয়। একটি চটের বস্তায় দেখতে পেয়ে লোকটি বললো, মাছটারে এই বস্তার ভিতরে দিয়া দেই। বেশি লাফালাফি করতে পারবো না।

হৃষ্টচিত্তে একটি হাজার টাকার লালচে নোট বাড়িয়ে ধরে লোকটিকে বলে হাসান, হাজার টাকাই দিলাম।

লোকটিকে খানিকটা বিভ্রান্ত দেখালেও তার লাল দাঁতের বিস্তার বাড়ে।

ফের গাড়ি চালিয়ে কালো রাস্তায় উঠতে উঠতে হাসান ভাবে, মায়ের সঙ্গে দেখা হয় না অনেকদিন। মা নিশ্চয় ছেলেকে বাড়ি ফিরতে দেখে অনেক খুশি হবেন!

------


মন্তব্য

টোকাই এর ছবি

বেশ লাগলো, বস।

কিছু মানুষ নিজেই নিজের বাঁচাটাকে দুর্বিসহ করে তোলে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

তা ঠিক, মানুষ চেষ্টা করলে বাঁচাটাকে কিঞ্চিৎ সহজ করতে পারে।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ধন্যবাদ পাহাড়ের রাজাধিরাজ।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লাগলো জুলিয়ান ভাই।

(রিপন ঘোষ)

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

স্বাগতম, সচলে। বেশি বেশি ভালো লেখা পোস্ট করেন।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

হাসি

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অনেক দিন পর আপনার লেখা পাওয়া গেলো। আপনার নেটবিচ্ছিন্নতা কি এখনো কাটেনি? আপনার পরবর্তী উপন্যাসের অপেক্ষায় আছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কেমন আছেন ভাইজান? আগের মতন এতটা সময় পাই না আজকাল। আর সচলের সঙ্গে আমার রাগ- ব্যাটায় তো পুরানা লেখা আ্যলাউ করে না। একটা খুব ধিরে চলতেসে। দিবোনে সেইটা সচলেই। ভালো থাইকেন।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কল্যাণ এর ছবি

গল্পটা ভাল্লাগছে। চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ অনেক।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।