সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ছবি দিয়ে হাতী পোস্ট। মোট ৩১ টা ছবি।
গতমাসের শেষদিকে খোমাখাতায় একটা বন্ধুত্ব চেয়ে নোটিশ পাই। প্রেরকের বক্তৃতা দাওয়ার ছবি এবং নাম দেখে আমি ধরেই নেই যে ইনি নির্ঘাত কোনও রাজনৈতিক দলের পাণ্ডা। কাজেই পত্র পাঠ তাকে 'নট নাউ' বলে দেই। কিছুক্ষণ পরেই দেখি ইনবক্সে একটা মেসেজ। রাতঃস্মরণীয়দা দাবী করেছেন যে ওই আসাদুজ্জামান আসাদ ব্রাকেটে তাজ আসলে উনিই। আর ওই বক্তৃতা দাওয়ার ছবিটাও উনার। তো আর কী করা! এইবারতো এ্যডাইতেই হয় বন্ধু হিসেবে। তারপর বেশ কিছুদিন চলে গেল। হটাৎ করেই এই মাসের (সেপ্টেম্বর ২০১২) ৪ তারিখে উনাকে একটা মেসেজ পাঠাই। বলি যে 'আমাদের না কী সব ল্যাটিচিউড / লংগিচিউড মারকিং করতে যাওয়ার কথা। কবে যাব?' সচলেই তানভীর ভাইয়ের দাওয়া পোস্টে এটা নিয়ে কথা হয়েছিল।
উনি অল্পক্ষণের ভিতরেই জানালেন যে এর ভিতরেই দুইটা পয়েন্টের কাছাকাছি যাওয়া হলেও ওই আয়োজন করে আর যেতে পারেননি সময়ের অভাবে। এবং প্রস্তাব করলেন যে শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) উনার সাথে খুলনা যেতে পারি ইচ্ছে করলে। একেবারে সুন্দরবনের কিনারা পর্যন্ত যাবেন উনি অফিসের কাজে। সেদিনই সম্মতি দিয়ে দিলেও জানালাম পরের দিন নিশ্চিত করব। কারন হাতে যে কাজ আছে সেটার দায়িত্ব কাউকে দিয়ে যেতে হবে। সেরকম একজনকে খুঁজে বের করে জানিয়ে দিলাম রাতঃদা ওরফে আসাদ ভাই ওরফে তাজ ভাইকে, যে আমি যাচ্ছি।
তারপর যাত্রার দিন পরিচয় হলো উনার এবং উনার আরো দুই কলিগের সাথে। রাতঃদার সম্বন্ধে আমি বেশি কিছু বলব না; শুধু এইটুকুই বলি যে পরিচিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। খুব দ্রুত অন্যকে আপন করে নিতে পারেন। প্রাণ খুলে হাসতে পারেন। যে কোনও আসর জমিয়ে রাখতে উনি একাই যথেষ্ট। আমার মতো একজন সাবেক পাঁঠাকে বন্ধু হিসেবে নাওয়ার জন্য আমি উনার কাছে কৃতজ্ঞ। যেহেতু অফিসিয়াল ভ্রমণ ছিল সেহেতু সেটা নিয়ে কিছু লেখাটা ঠিক হবে না। আমি বরঞ্চ আমার অংশটুকু নিয়ে বলি।
আমাদের চারদিনের ভ্রমণটা ছিল এমন – ঢাকা থেকে ৮ তারিখ দুপুরে রওনা দিয়ে রাতে খুলনা, পরের দিন (৯ তারিখ) তাজ ভাইরা খুলনায় কাজ করলেন। আমি সকালে খুলনায় এট্টু চক্কর মারলাম। প্রায় ৮/৯ বছর পরে গেলাম। অনেক কিছুই অচেনা লাগল। দুপুরের পরে গেলাম করমজল। রাতে তাজভাইদের বাসায় একটা হেভিওয়েট খানাপিনা হলো। ১০ তারিখেও উনারা খুলনাতেই কাজ করলেন। আমি গেলাম বাগেরহাট এবং তাজভাইয়ের কথা মতো সেখান থেকে যাত্রাপুরের অযোধ্যা গ্রামে একটা মঠ দেখতে। ১১ তারিখ সকালে রওনা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে চলে গেলাম মুন্সিগঞ্জে। পরেরদিন মুন্সিগঞ্জ, নীলডুমুর মিলে উনারা কাজ করলেন; আমি ক্লিকাইলাম। দুপুরের পর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এই চারদিনে প্রকৃতি আমার সাথে বড়ই খ্রাপ ব্যবহার করছে। আমি যতবার ক্যাম্রা বের করছি ততবারই ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ভিতর ঝুমায়া বৃষ্টি নামছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে আমি সব মিলিয়ে ৯বার ভিজছি পুরাপুরি। তবে এই বৃষ্টির কারনেই আবার দুই একটা মন ভাল করা (অবশ্যই আমার) ছবি যেমন পেয়েছি; তেমন পেয়েছি দুর্দান্ত এক অভিজ্ঞতাও। মংলা থেকে বোট রিজার্ভ করে করমজল যাওয়া এবং আসা দুই সময়েই নৌকার ছাঁদে বসে ধুম বৃষ্টিতে ভেজার যে কী আনন্দ তা প্রকাশ করা আমার ভাষায় সম্ভব নয়। তবে বৃষ্টির জন্যই আবার পাখি (ি নাকি ী?) এবং বানর ছিল না একেবারেই। একই কারনে বাগেরহাটের মাজারের কুমীরও দেখতে পাইনি। অনেক প্যাঁচাল পারলাম। এইবার কিছু ছবি দেখেন-
প্রথমেই আমাদের এক ও অদ্বিতীয় রাতঃস্মরণীয় দা -
#১
#২
খুলনা এবং করমজল -
#৩ - খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টোদিকে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ
#৪ - খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য অদম্য বাংলার পাদানীতে করা টেরাকোটার কাজ।
#৫
#৬ - করমজলে বনের ভিতরে ঢোকার জন্য কাঠের ব্রিজ।
#৭
#৮ - চিত্রা হরিণ
#৯ - আই লাবু কুমীর ভাই।
পরেরদিন বাগেরহাট এবং অযোধ্যা গ্রাম। যথারীতি ষাটগম্বুজ সংলগ্ন যাদুঘর বন্ধ ছিল। জিজ্ঞেস করায় জানাল ২টার পর খুলবে। এই এক অদ্ভুত নিয়ম এই দেশের। দর্শনীয় যায়গা গুলি সব ছুটির দিন থাকে বন্ধ। খুললেও এমন একটা অসময়ে খোলে যে আর দেখা হয়না। এই চক্করে পড়ে ঢাকার আহসান মঞ্জিল আমি দেখতে পেরেছিলাম ৫ বার ট্রাই নেয়ার পর এবং ঢাকায় আসার ২ বছর পর। মহাস্থানগড়ে এই পর্যন্ত যাওয়া হয়েছে ৯ বার। কিন্তু যাদুঘরে ঢুকতে পেরেছি ২ বার। মনে হয় আমাদের দেশটা চলে হবুচন্দ্র এবং গবুচন্দ্রের নির্দেশে।
#১০ ষাটগম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট
#১১
#১২
#১৩
#১৪ - সিঙ্গাইর (এক গম্বুজ) মসজিদ।
#১৫ - দিনের মধ্যে এই প্রথম উজ্জ্বল আকাশ চোখে পড়ল। তবে সেটার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১৫ / ২০ মিনিট।
#১৬ - খান জাহান আলীর বিখ্যাত কুমীর দীঘি। ষাটগম্বুজ থেকে এখানে আসতে আসতেই আবারো মেঘের ঘনঘটা।
#১৭ - অযোধ্যার মঠ। বাগেরহাট থেকে যাত্রাপুর হয়ে যেতে হয় এখানে। আমাকে রাস্তা বাতলে দিয়েছিলেন রাতঃদা; যদিও তিনি নিজে কখনও যাননি। ঠিক একই ধরনের আরেকটা স্থাপনা আমি দেখেছিলাম পাবনায়।
#১৮ - বাগেরহাট থেকে যাত্রাপুর যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম ডাব / নারকেলের খোসার পাহাড়।
#১৯ - প্রশ্ন করে জানতে পারলাম এগুলোকে এভাবে সাইজ করা হয় তোষক / জাজিম তৈরি এবং এধরনের অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য।
#২০ - বেশ কিছু তিনতলা স্টাইলের খড়ের গাঁদাও চোখে পড়ল চলতি পথে।
পরেরদিন মুন্সীগঞ্জে।
#২১ - এই অতিথিশালার নাম ব্যাঘ্রতট। সুশীলনের। আমরা এখানেই ছিলাম একরাত। দেখ দেখ দেখরে রঙেরই বাহার।
১২ তারিখ সকালে বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে প্রকৃতি এবং আমার ক্যামেরা -
#২২
#২৩
#২৪
#২৫
#২৬
#২৭
#২৮
#২৯
#৩০
#৩১
ঢাকায় ফেরা সবসময়ই ক্লান্তিময়। বিশেষ করে এরকম একটা ভ্রমণের পরে। আবার কবে বের হবো সেই প্রতিক্ষায়। রাতঃদা ১৪ তারিখে ইউকে গিয়েছেন (অণুদাও এখন সেখানেই; উনাদের দেখা হয়েছে কিনা জানিনা)। ফিরবেন সামনের মাসে। আবারো ধন্যবাদ রাতঃদাকে এমন সুন্দর একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য।
অঃটঃ - মাঝে বেশ অনেকদিন সময় স্বল্পতার কারনে শুধু লেখাই নয়; মন্তব্যও করা হয়ে উঠেনি। দুইচারদিন পরপর ঢুকে হয়তো বেশ কিছু লেখা পড়েছি কিন্তু কোথাও কিছু বলা হয়ে উঠেনি। এই জন্য আমি সবার কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে মিথস্ক্রিয়ায় যথাসম্ভব বেশি অংশ গ্রহনের আশা প্রকাশ করছি।
মন্তব্য
ছবিগুলো খুব সুন্দর, কিন্তু ছবির সাইজগুলো ঝামেলা করছে। কোনভাবে কি একটু রিসাইজ করে দেওয়া যায়??
দেবা ভাই
-----------------------------------------
'দেবা ভাই' এর ব্লগ
ধন্যবাদ। এখন পর্যন্ত আর কেউতো ভাই ঝামেলার কথা বলে নাই; বুঝতে পারতাছি না আপ্নে সাইজ বাড়াইতে কইলেন না কমাইতে। আর সেইটাও বোধহয় অতিথি লেখকদের জন্য সম্ভব নয়। খুব বেশি ঝামেলা হলে ছবিতে ক্লিক করে ফ্লিকারে চলে যান ভাই। আপনার সমস্যার সমাধান না দিতে পারায় দুঃখিত।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
রাতঃস্মরণীয় দা'র ঘড়িটা সুন্দর, ছবিতেও টাইম ক্লিয়ার।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপ্নে পারেনও ভাই। আপনার চোখ জগৎ খ্যাত। অন্তত রাতঃদার কল্যাণে হলেও আমার পোস্টে আপনার পদধূলি পড়েছে আমি তাতেই খুশী। উনি অবশ্য বলেছিলেন যে উনার সিগারেট খাওয়া ছবির ব্যপারে আপনার আপত্তির কথা। কিন্তু কী করুম কন, এইলোক এত বেশী সিগ্রেট খায় যে আগে থেকে না বলে ছবি তুল্লে তাঁর সিগ্রেট ছাড়া ছবি তোলা প্রায় অসম্ভব একটা ঘটনা।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
আমি বেঢক পাবলিক হইলেও ঘড়ি আমার ঢকের আছে মুস্তাফিজ ভাই, এক্কেবারে অরিজিনাল এভিয়েটর।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কইলামনা পছন্দ হইছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অসাধারণ সব ছবি।
আপনারা তো দারুন সময় কাটালেন।
অট: আপনি জুন্নু ভাই না? মানে অ্যাভাটার দেখে সেটাই মনে হল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হ ভাই।। আমি সেই অধম। এমন এক কামে আটকায় গেছি যে এখনো সময় করে উঠতে পারতেছি না আপনার ওইখানে হানা দেয়ার। তবে ইচ্ছে আছে আগামী মাসেই দেখা করব আপনার সাথে।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সীগঞ্জ, সিঙ্গাইর, অযোধ্যা - বাংলাদেশে জায়গার নামের অভাব পড়েছে নাকি! কারো আগে থেকে জানা না থাকলে সে ভেবেই কুল পাবে না এই জায়গাগুলো একসাথ হলো কী করে।
ফড়িং-এর ছবিগুলোর জন্য আপনাকে কষে মাইনাস। হলুদ-সবুজ-সাদা-কালোয় চিত্রিত ফড়িংটাকে আমরা বলতাম 'গঙ্গাফড়িং' - কেন, কে জানে! লাল ফড়িংটা শরৎকালে কলমীলতার, হেলেঞ্চা, মালঞ্চ আর কাশের ঝোপে দেখা যেতো।
মুন্সীগঞ্জের অতিথিশালাটায় থাকার উপায় কী?
কপিরাইটের সিম্বল ব্রাকেটের ভেতর 'সি' নয়, বৃত্তের ভেতরে 'সি'।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মন্তব্যের জন্য আপ্নারে পেলাস। সুশীলনের অতিথিশালা ওইটা। ওদের সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন। আর রাতঃদাতো আছেনই। অফ সিজনে গেলে এমনিতেই খালি পাবেন বোধহয় থাকার যায়গা। তবে ব্যবস্থা হিসেবে খরচটা বোধহয় একটু বেশীই নেয়। কপিরাইটের ব্যপারটা জানি; ওইটাও ইচ্ছা কইরাই ইট্টু আরটিস্টিক করতে গিয়া বোধহয় ধরা খাইসি। আচ্ছা এরপর থেইকা গোল্লার মধ্যেই সি দিমুনে।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
তুমি যদি যেতে মনস্থ করো আর সময় ঠিক করতে পারো, তবে একটু আগেভাগে আমাকে জানিও। তাছাড়া সুন্দরবন ঘুরতে আরও কিছু নছল্লা আছে। তাছাড়া জুন যেটা বলেছে, সিজনাল একটা ব্যাপার যেমন আছে, তেমনই এই জায়গাটা ইদানিং মিটিং, সেমিনার, রিট্রিট, ইত্যাদির জন্যে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে দিনকে দিন। তবে যেতে চাইলে ব্যাপার না, আগে জানিও।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
২৫ আর ২৮ নম্বর ছবিটা জসিলা হইছে। আচ্ছা সচলায়তন থিকা একটা ঘুরা-ঘুরির ব্যবস্থা করা যায়না। অনু'দা দেশে আইসা একটা উদ্যোগ নেন।
আপ্নারে । অণুদা আইলে যে কত কিছু করুম হেই লিস্ট এখনো শেষ হয়নাই। উনিতো বলে ফেব্রুয়ারীর প্রতিদিন বইমেলায় যাবেন। তারমানে ঢাকার বাইরে ওইমাসে হবে না। খাইদাই হতে পারে। সচলাড্ডা হতে পারে। আর ঘুরাঘুরিটার প্ল্যান উনি কয়দিনের জন্য আসছেন এবং শিডিউল, পুরাটা পেলে করা যাবে হয়তো।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,মুন্সীগঞ্জ,সিঙ্গাইর,অযোধ্যা – প্রথমে নিজেই কনফিউজড হয়ে গেছি।
আহ্। সুশীলনের গেস্ট হাউজ দেখে চমৎকৃত। দশ বছর আগে তাদের কালীগঞ্জের গেস্ট হাউজে একরাত থেকে মুন্সীগঞ্জের একটা গেস্ট হাউজে ছিলাম, সেটাই এখন এই অবস্থা নাকি? এলাহী ব্যবস্থা দেখি। ...ঠিক আছে তো? কালীগঞ্জে তাদের মূল অফিস থেকে আরও দক্ষিণে গেলে সুন্দরবনের কাছাকাছি মুন্সীগঞ্জ। সুন্দরবনে রাত কাটানোর একটা চেষ্টা করেছিলাম (সম্ভব হয়নি), কিন্তু কর্তৃপক্ষ বাধ্য করেছিল ৮০০ টাকার বিনিমনে দুজন পুলিশ নিয়ে যেতে। আমার প্রবল বাধার মুখে সুশীলন কর্তৃপক্ষ প্রবোধ দিয়েছিল – ‘চিন্তা কৈরেন না, এগুলান পাইন্যা পুলিশ’।
জ্বী। এইটা সেই মুন্সীগঞ্জের গেস্ট হাউজটাই। আমরা এবার বনের ভিতর যাওয়ার সময় পাইনাই। তাই আপনার পাইন্যা পুলিশদের সাথেও দেখা হয় নাই। দেখা হলে অতি অবশ্যই তাঁদের ছবিও থাকত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
এটা সেই গেষ্টহাউস নয়। আপনার মনে আছে যেখান থেকে মোড় ঘুরে ব্যাঘ্রতটে আসতে হয় সেখানে ঢাউস এক তিনতলা দালান? ওই ভাড়া করা দালানে সুশীলনের গেষ্টহাউস ছিলো বহু বছর, এমনকি গত বছরদুয়েক আগে পর্যন্ত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তথ্য ঠিক করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আপনি তো কিছু বললেন না ভাই লেখা থুক্কু ছবি নিয়ে।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ছবি ম্রাত্মক হইসে। রাত’দার ছবি পুরাই ড্যাশিং। আমি একবার খুলনা গেছি, উনি এসে আমার সাথে দেখা করলেন, বাসায় নিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মানুষটা খুব সরাসরি কথা বলেন, ঝামেলা নাই। এখন পর্যন্ত যতজন সচলের সাথে দেখা হয়েছে তা হাফ-সোল হোক আর ফুল-প্রুফ হোক সবাই চমৎকার মানুষ।
ইয়ে মানে, রাতঃদা আপ্নেরে চুকনগরের খাসি’র গোস্তের কথা বলে নাই? সেইটা কিন্তু খুলনা শহরেও প্রচুর পাওয়া যায়, তার মধ্যে একটা হোটেলে চুকনগরের থেকেও ভালো, ভাইরে, মাসে একবারের বেশি খাওয়া উচিত না কিন্তু এইটা একটা জবরদস্ত জিনিস। আপনারা পেইন দিয়া দিলাম নাকি?
চুকনগর? খাসীর গোস্ত? কই? কোথায়? কবে? কই ফোনেতো কইলেন না?? ও রাতঃদা, আপনি কই গেলেন?!?
অঃটঃ ছবি ভালা লাগছে জাইনা ভালা লাগ্ল। আন্নেরে এক কেজি ।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
চুকনগর হচ্ছে আমরা খুলনা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে গরুর দুধের চা খেতে যেখানে ব্যার্থ প্রয়াস চালিয়েছিলাম, সেই জায়গা। ডিসি সাহেবের সাথে অনির্ধারিত মিটিংটা না পড়লে প্লান ছিলো পথে আব্বাজের গোস্ত খাওয়ার।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লিস্টি কইরা রাখলাম। এইটা আপ্নেরে আমি খাওয়ামুনে। দেইখেন, একদিন আমরাও
জিরো পয়েন্টের কামরুলের গোস্ত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তো? আমারে কইলেই পারতেন। যাউকগা। পরেরবার নাহয় এইটার জন্যই যাওয়া যাইব।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
জিরো পয়েন্টে কামরুলের গরুটা জোস। তবে জাতিসংঘ পার্কের কাছে যে ‘চুকনগর হোটেল’টা আছে সেটা খুব ভালো, শুধু দুপুর বেলাতেই করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা শুধু আব্বাজের বাবুর্চি না, সার্ভিস স্টাফদের দুইজনকেও ধরে নিয়ে আসছে। আপনার ভালো লাগবে।
সর্বনাশ! আমি এদ্দিন ভাবতাম রাতঃস্মরণীয় দাদুভাই ধরনের মুরব্বী কেউ। ছবি দেখে তাই ব্যাপক টাশকিত হইলাম
ফড়িং এর ছবি দেখে তো মাথা নষ্ট হয়ে যাবার যোগাড়। ২৪ নম্বরের ফড়িংটা আমার খুবই পরিচিত বাল্যদোস্ত। তার লেজ ধরার কাজেই ব্যস্ত থাকতাম গ্রামে গেলে। বড়ই নস্টালজিক হয়ে পড়লাম ফড়িং এর ছবিগুলো দেখে। তাই বাকীগুলার কথা মুলতবী রাখলাম।
সুন্দরবন যাবার লোভটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো আবার।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কবে যাইবেন আওয়াজ দিয়েন।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
খাইছে আমারে ..............................
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
প্রোফাইল পিক দেখে মনে হইতো পাকাচুলের বুড়ো একটা লোক গালে হাত দিয়ে দুনিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতেছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দারুন
-অয়ন
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
মামা ৬, ১৬, ২৪, ২৫, ২৭ - আমারে দিয়ে দেন
(মামার বাড়ির আবদার করার জন্যই মামা ডেকে নিয়েছি)
রাতঃস্মরণীয়দা রক্স!
আপ্নে আমাদের ব্যানারজী মশায় না? আপ্নারে খালি ৬, ১৬, ২৪, ২৫, ২৭ কেন। আমার যে কোন ছবি যে কোনও ভাবে ব্যবহার করার কপিরাইট দিয়া দিলাম। খালি একটা আব্দার, আমার ছবি (যদি কোনটা যোগ্য মনে করেন) দিয়া দুই একটা ব্যানার বানাইয়েন।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
মামামামামামামামা-------- খুশি
একটা দোয়েল এর ছবি নিশ্চয়ই আছে আপনার বা অণুদার কাছে - চলেন তারপর তিনজন মিলে যে জীবন ফড়িং এর দোয়েলের ব্যানার করে ফেলি
দোয়েল এখনও ভাল তুলতে পারিনাইরে ভাই। বড়ই বদ পাখি। খালি তিড়িং বিড়িং কইরা লাফায়। তয় চড়ুই আছে আমার কাছে। আপনার কোনটা কোনটা লাগবে জানালে এডিট ছাড়াটাই পাঠায় দেব।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
আমি আজই বিলেত ফেরত হলাম তবে পরশু সকাল থেকে আবার প্রায় ১০ দিনের জন্যে ঢাকা ছাড়ছি। আসলে আপনাকে সাথে নিয়ে যাওয়াই হয়েছে কেবল, একবিন্দু সময় আপনাকে দিতে পারিনি। একটুখানি ফ্রি থাকতে পারলে আপনার সঙ্গ আরও উপভোগ করতে পারতাম। তবে যেটুকু আপনার সান্নিধ্য উপভোগ করতে পেরেছি, তাতে আমি মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন।
অণু, কৌস্তুভ, আর আমি, তিনজনে তিনদিকে ব্যাস্ত থাকায় শেষপর্যন্ত দেখাটা আর হয়ে উঠলো না। তবে কৌস্তুভের সাথে প্লেনে ওঠার ঠিক আগেও কথা হলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আরে ভাই, অফিসের কাজের ভিতর যে আমাকে সহ্য করছেন এইতো বেশী। আবার আলাদা করে সময়। সেইটা নাহয় যখন শুধু বেড়াতে যাব আমরা তখন দিয়েন। এবার যাচ্ছেন কই? আহা আপনার মতো একটা কাজ পাওয়ার যোগ্যতা যদি আমার থাকত। অণুদাতো দেখে নিজের গাটের পয়সা ঢেলে। আমি কী সুন্দর অফিসের পয়সাতেই সেই কাম করে নিতে পারতাম।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
আহা, জীবনের প্রথম ভ্রমণের কথা মনে পড়ে গেল বাগেরহাটের ছবিগুলো দেখে, ভাল লাগল।
রাতদার সাথে দেখ হয় নি, কি কারণে মনে হল উনি ডুব মেরেছিলেন!
facebook
ডুব আসলে মারিনি, আমি কৌস্তুভকে কল করেছিলাম কিন্তু কৌ কল মিস করে গেছিলো। পরে যখন ফেবুতে কথা হচ্ছিলো, ততক্ষণ আপনার কাছ থেকে চলে এসেছে। তাছাড়া, বৃষ্টি আমার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিলো। লন্ডন, সেইন্ট প্যাঙ্ক্রাস, মর্ডেন, যেখানে গেছি বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। দেখা হলে ভালো লাগত। আমি গতবারের মতো সপ্তাহখানেকের ছুটি নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেশে জরুরী একটা প্রোগ্রাম পড়ে যাওয়ায় তা বাতিল করতে হয়েছে। নাহলে আড্ডা তো হতোই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাল্লাগছে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ভাল্লাগছে...
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ছবিগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে।
সাইফ শহীদ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে সময় দেয়ার জন্য।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
দারুণ সব ছবি! আমিও সেই কবে থেকে খুলনা নিয়ে একটা পোস্ট দেবো দেবো করছি...
। দিয়ে দেন। পপ্পন নিয়া অপেক্ষায় থাকলাম।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
প্রায় সব ছবিই দারুণ হয়েছে। করমজলের কাঠের ব্রিজ, চিত্রা হরিণ আগে দেখা হয়েছে। ষাটগম্বুজ মসজিদে গিয়েছি তা প্রায় ৪৮ বছর আগে। তখন আমরা খুলনা থাকতাম। শেষবার খুলনা গিয়েছিলাম তা প্রায় ২০ বছর আগে।
রাতঃস্মরণীয়কে ধন্যবাদ। তার অছিলায় এমন স্মৃতিমাখা একটা পোস্ট পেলাম। আর ধন্যবাদ, আপনাকে।
ধন্যবাদ প্রৌঢ়দা। আপনার যে বের হওয়ার কথা ছিল নিরুদ্দেশে; হয়েছিলেন? হয়ে থাকলে সেটা নিয়ে লিখুন না।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ওরে বাপরে, খুলনার স্মৃতিসৌধ দেখি একবারে স্পুত্নিক।
যখন ওই এলাকায় গিয়েছিলাম তখন ধুমায় বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই ভাল কোনও ছবি নেই। এইটা শহরে ঢোকার সময় গাড়ির ভেতর থেকে তোলা। পড়ে রাতঃদার কাছে শুনলাম স্মৃতিসৌধ। জানিনা আমার স্মৃতি আবার বিট্রে করল কিনা।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
শেষ ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর; অনেক্ষন তাকিয়ে ছিলাম। রাতঃদার কে ভেবেছিলাম বয়স্ক হবে, এখন দেখি কিশোর
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনাকে ধন্যবাদ। রাতঃদা মনের দিক থেকে আসলেই চিরকিশোর। অতি চমৎকার একজন মানুষ।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
প্রথম ছবিটা তো রীতমত "ড্যাশিং" ! এখন শুধু দরকার একটা মোটরবাইক, নয়তো একটা স্পোর্টসকারে করে আরেকটা ছবি।
****************************************
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
সবগুলো ছবিই দুর্দান্ত !
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
কুমিরের ছবিটা কেম্নে তুললেন? দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সে এক বিরাট ইতিহাস। বলি শুনেন। করমজল। একটা বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র আছে জানেনই তো। সেইখানে এই ধরেন আড়াই ফুট উঁচা একটা দেয়াল দিয়ে ঘেরা। সেই দেয়ালের বাইরে আমি আর ভিত্রে কুমীর। খেয়াল করেন ছবিটা, কুমীরের চোখের ঠিক পিছেই একটু গর্ত আর উঁচা মত একটা জায়গা আছে। আমি ভাবছি ওইটাই চোখ। বন্ধ কইরা ঘুমাইতাছে। আসল চোখটা খেয়ালই করি নাই। করছি কী, ক্যাম্রা ট্রাইপড সহ নামায় দিছি ভিত্রে। ভাবছি ঘুমায়েই তো আছে। তাকায় দেইখা তারপর আমার দিক লাফ দিলেও ম্যালা টাইম পাব সইরা যাওয়ার। আমি ওয়ালের উপ্রে দিয়া অর্ধেক ঝুইকা ছবি নিছি। তারপর দেখতে গেছি ছবিটা জুম কইরা। যে কেমন আইছে। ওরে বাপ্স। দেখি ওইব্যাটা তাকায়া আছে। আসলে আরেকজন ক্যাম্রা নিয়ে থাকা লাগত ওই সময়। আমার ট্রাইপড, ক্যাম্রা সহ এই শরীরটা নিয়া পিছনদিকে যেই লাফটা দিছি সেইটার ছবি তোলার জন্য। নির্ঘাত ছবিতে নুবেল টুবেল পায়া যাইত।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
এইরকম ঘটনাগুলো আর জানতে পারলে ভাল লাগতো
পরেরবার থেকে চেষ্টা করব; যদি পাই এমন কিছু।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
আপনার ছবির হাত অসাধারণ। একদিন নেমনতন্ন নিন না আমার চারপাশটার। আপনার কল্যানে বিড়িখোরটাতো রীতিমত স্টার বনে গেল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
লজ্জা দিলেন ভাই। এই সচলে এমন এমন তালেবড় ছবিয়াল আছেন যাদের আমি সচলে আসারও অনেক আগে থেকেই গুরু বলে মানি। তাঁরা ছাড়াও এখানে আরো অনেকেই আছেন যারা পুরো ছবিয়াল না হলেও কারও চেয়ে কম যান না ক্লিকিং-এ। আমি এখানে নেহায়েতই নাবালক মাত্র।
নেমন্তন্ন পেলে আমাকে ঠেকায় সাধ্যি কার। ফেবুতে জানিয়েন কবে কোথায় আপনার সুবিধা হয়। আপনাকে নিয়েও অনেক গল্প শুনেছি রাতঃদার কাছে।
মন্তব্যের জন্য এক ক্ষেত কচি সবুজ
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ছবিগুলা অইত্যাধিক
আর কুমীরের কাহিনী শুনে পিলে চমকায় গেল
নতুন মন্তব্য করুন