বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, ইংরেজি মাধ্যম থেকে পাস করা ছেলেমেয়েরা অবৈধ ভাবে ডিগ্রি নিয়েছে। কারণ তাদের স্কুল সার্টিফিকেটগুলো অবৈধ। আসলে তাদের স্কুলগুলোই ছিল অবৈধ। ছিল না, এখনো আছে। সরকারের ক্রমাগত অনুরোধ আর তেল মালিশের প্রেক্ষিতে মাত্র ১০৮টি স্কুল বৈধ রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে, বাকি প্রায় ৪০ হাজার স্কুল অবৈধ।
আমরা যারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করেছি, যারা এবিসিডি লেবেল পাস করিনি, চাকরি-বাকরিতে আমরা কিন্তু ঐ অবৈধদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ি। কারণ অধিকাংশ নিয়োগকর্তা অবৈধ পছন্দ করেন। বাস্তবে কিন্তু ঘোড়ার আন্ডা। আমার অবৈধ কলিগরা কেউই কাজে আমার থেকে দক্ষ নয়। জীবনে হতে পারবেও না। কারণ, অবৈধগুলোর মতো আমি তুলোতুলো হয়ে এবং ফার্মের মুরগি হয়ে বড়ো হইনি। ফিগারের মাপ ছাড়া এই অবৈধগুলো আর কোনো কিছুতেই তেমন একটা সচেতন না।
যাই হোক, কথা সেটা না। কথা হলো, এদের প্রাইমারি সার্টিফিকেট অবৈধ, সুতরাং হাইস্কুলে পড়ার কোনো অধিকার এদের নাই। সুতরাং এদের হাইস্কুলের সার্টিফিকেটো অবৈধ। সুতরাং এদের বাকি সব ডিগ্রিই অবৈধ।
আর ও লেবেল, এ লেবেল? বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এই সব ডিগ্রি অর্জনের জন্য যেসব জায়গায় এরা পড়াশোনা করেছে সেগুলো-ও অবৈধ।
অবিলম্বে এই অবৈধ ডিগ্রিগুলো সব বাতিল করা হোক।
*এই লেখাটা আমার অন্য ব্লগ গুলোতেও দিবো। সচলায়তনের আপত্তি থাকলে মুছে দিন।
মন্তব্য
সব্বোনাশ ! একবারে ভীমরুলের চাকে ঢিল মারলেন যে !
---------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আবার এরাই নাকি ইংরেজী একটা দৈনিকের মতে 'নেশন বিল্ডার্স অফ টুমরো'।
বড়ই চমতকার তো হিসাব! কাজে ফাকি দিলো, ঘুষ খাইলো মিনিস্ট্রির লোক, ঘুষ দিলো, নিয়ম ভাংলো এইসব স্কুলের হুজুররা - আর তার মাশুল এখন দিতে হবে ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রদের??? এত দারুন বিচার আপনের! এত বিদ্বেষ কেন? কোন ক্ষতি করছিল নাকি আপনের?
ও-লেভেল এ-লেভেল সারটিফিকেট চেহারা দেইখা দেয় না। পরীক্ষা দিয়া পাইতে হয়। অবৈধ কিনা জানি না তবে অযোগ্য না, এতটুকু জাইনেন। ১ দিলাম, নেহায়েত শূন্য দেওয়ার অপশন নাই বইলা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
খুবই illogical এবং সংকীণ`মনা মনতব্য। বেশ দুঃখ পেলাম।
যূথচারী মনে হয় বেশী চেইতা গেছেনগা।
মাথা ঠান্ডা কইরা একটা জিনিস খেয়াল করেন। আমরা যারা ১৯৮০র দশকে স্কুলে পড়ছি তারা এই ঘটনার সাক্ষি। কিভাবে বাংলা মিডিয়ামগুলার শিক্ষার মান ধারাবাহিকভাবে নামাইয়া আনা হইছে আর কখন থিকা কিভাবে আঙ-মিডিয়াম পঙ্গপালের মতো বাড়তে শুরু করছে। একই ইতিহাস একই সময়ে আপনার চোখের সামনে দিয়া গেছে। ঐ সময়ে বড় শহরগুলার টপ কিছু স্কুল বাদ দিলে বাকিগুলার অবস্থা কি ছিল? যারা ঐ অবস্থা থিকা বাইর হইয়া আসতে পারছে তারা আমাগো দেশের মেধাবী পোলাপানগো মেইন স্ট্রীম। ঠিকাছে। কিন্তু বাকি বিপুল অধিকাংশ? এদের সামগ্রীক অবস্থা ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিটা প্রতিদিন নীচে যাইতেছে, যার ব্যাস্তানুপাতে ইংলিশ মিডিয়াম আর মাদ্রাসাগুলা রাইজ করতাছে। এইটারে আস্তে আস্তে একটা এক্সপ্লোর মোমেন্টে নেওয়া হইবো যাতে গুয়ামুটা শ্রেণীর বাইরে আর কেউ উচ্চশিক্ষায় না থাকতে পারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে যেই গ্যাঞ্জামগুলা লাইগা থাকে সেগুলা আসলে সাবোট্যাজ। উদ্দেশ্য মধ্যবিত্তরে আস্তে আস্তে সরাইয়া নেওয়া।
এই পুরা প্রক্রিয়াটা আপনে জানেন। এই জন্য গাইর দিলে যাগো পকেটে এর প্রফিট ঢুকে তাগো গালি দেন। যেই ভুদাই পোলাপানগুলি এইসব প্রতিষ্ঠানে পড়তাছে তাগো গালি দিলে হুদাই কিছু লোকরে চ্যাতানো হইবো।
যারা এ-লেভেল ঠিকঠাক মতো পাশ করতে পারেন, তারা কদাচিৎ দেশে থাকেন। সুতরাং টাংফাং স্কুলের যারা দেশে থাইকা যান তারা বেশীর ভাগই কোন রকমে পার হওয়া পোলাপান। এগো জেনারেল স্ট্যান্ডার্ড আমাগো ইন্টারমেডিয়েট ভালো কইরা পার হওয়াদের থিকা খারাপ। পার্থক্য কি নাই? আছে। সেইটা হইলো ফাংশনাল ইংলিশের শিক্ষার বিষয়টা ১৯৪৭ থিকা ধারাবাহিকভাবে নামতে নামতে এখনকার পরিস্থিতিতে পৌছাইছে। বাংলা মিডিয়ামের মানে অনভিজাত বাংলা মিডিয়ামের যারা শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করতে পারে তারা সামগ্রীকভাবে কোনরকমে এ-লেভেল পার হওয়া রমানাথের এড়েগো থিকা অবশ্যই যোগ্যতর। তবে তাগো দুইটা অযোগ্যতা
১. তারা বাংলাদেশের প্রকৃত আবহে বাইড়া উঠছে
২. তাগো খুব বড় একটা অংশ ফরফর কইরা ইংলিশ কইতে পারে না।
২ নম্বরটার কারণ হইলো বাংলা মিডিয়ামে ফাংশনাল ইংলিশের শিক্ষার মান নাইমা আসা। সেই জায়গা দিয়া চাকরির বাজারে পার্থক্যগুলা তৈরী হয় প্রথমত। এর পরে সমস্যা হইতে থাকে ঐসব চাকরিতে টিকা থাকতে গেলে ইন্টেলেকচুয়ালী আপরুটেড হইতে হয় বা হওয়ার অভিনয় করতে হয়। এই বিষয়টা ইংলিশ মাদামের পুলাপানরে অতিক্রম করা অসম্ভব।
ঘটনা হইলো এর লগে ফাইট করতে গেলে এইরকম রাগঝাইড়া খুব একটা লাভ নাই। যেইটা প্রয়োজন সেইটা হইলো আরো অনেক বেশী কইরা ভালো বাংলা মিডিয়াম স্কুল তৈরী করা। বিশেষ কইরা প্রত্যন্ত এলাকায়। রাষ্ট্রর এই বিষয়ে কোন আগ্রহ না থাকারই কথা। রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত না নিলে এই পরিস্থিতির বাস্তব পরিবর্তন কতটা সম্ভব সেইটাও একটা প্রশ্ন। সেইখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গুলি অন্তত হেজিমনিতে একটা বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
এই বিষয়ে সাধক ভাইয়ের সাথে একমত। পঞ্চাশের দশকে বিক্রমপুরের গ্রামের স্কুলে পড়াশুনা কইরা আমার আব্বার যেই ইংরেজীর দখল, সেইটা এখনকার ঢাবি'র ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের নোট-মুখস্থ ছাত্রের থেকা অনেক ভালো। কিন্তু তাই বইলা তিনি কখনো আপরুটেড হন নাই, ইন্টলেকচুয়ালি কিম্বা কালচারালি। আব্বার সমসাময়িকরাও একই রকম। দোষটা দিবেন উপরতালার সেই লোকগুলারে - যারা 'সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের' ভং ধইরা পোলাপানের বাশ মারছে, তাদের।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
মুস্তোফি,
আপনার চিন্তা ভাবনা ভালো। কিন্তু অনেকদিন থিকা খেয়াল করতাছি বিভিন্নভাবে ডাকাইতরে বাচানোর একটা প্রবণতা আপনার মধ্যে কাজ করতাছে। দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় কার্যত কারা থাকে? কারা সিদ্ধান্ত নেয়? সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের কথা যারা কইছিল ইংরেজী শিক্ষার অবনতিতে তাদের ভূমিকা কতটুক? শিক্ষার মান নামাইছে কারা? যারা নামাইছে আঙমাদামে তাগো পুলাপাইনেই পড়ছে। এখন যেই গ্রুপটা বুম করছে তাগো অনেকের বাপমা নাম সাইন করতে পারে না। এরা হইলো গত ৪০ বছরে রাইজ করা লুম্পেনগো পোলাপান।
আপনার আব্বা যখন পড়াশুনা করছেন আমার বাবাও তখনকার। তাদের সময় এই সমস্যা ছিল না। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হইছে ধারাবাহিকভাবে। এর দায় মুখ্যত যারা বেনিফিসিয়ারী তাগো। তাগোরে কোন অবস্থাতেই বাচানো যাইবো না।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
ডাকাইতরে বাচাই নাই, বরং ডাকাইতের কথাই কইছি। যদ্দুর মনে পড়ে এরশাদ চাচার আমলে 'সর্বস্তরে বাংলা' ক্যাম্পেইনটা রমরমা হইছে। ডিগ্রি থেকা ইংরেজী গেলোগা। এমন বক্তৃতাও তখন দিতে শুনছি, যে জাপানীরা যদি উন্নতি করতে পারে জাপানী দিয়া, তাইলে আমরা কেন পারুমনা, ইত্যাদি। পাশাপাশি অল্টারনেটিভ পড়াশুনার ব্যবস্থা তারাই দাঁড়া করায় ফালাইছে। আসাদুজ্জামান নূর কন, কবি আসাদ চৌধুরী কন, বা আলী যাকের কন, সব্বাইর পোলাপানই ইংরেজী মিডিয়াম পড়ছে। এরাই আবার সংস্কৃতির ধারক বাহক।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সেইটা তো আমার মন্তব্যর পয়েন্ট ছিল। কিন্তু সমস্যা হইলো এইখানে আসলে আসাদুজ্জামান নুর আর আলী জাকেরের নাম কইয়া আসল কালপ্রিটগো নাম আড়াল করা যাইবো না। আসল কালপ্রিট হইলো গুলশান-বনানী-উত্তরার চোরাবারিরা । আপনে যদি এদের সহ নুর-জাকেরগো গাইল দেন তাইলে কিছু কওয়ার নাই। তবে গালির প্রথম লাইনে গুলশান-বনানী-উত্তরা-ধানমন্ডি থাকতো হইবো। কারন নুর বা আলী জাকের আসলে একটা দুইটা লোক। ফ্লো টা আইতাছে সোনার বিস্কুটের ব্যবসায়ীগো পরিবার থিকা।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
এইটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই রকম স্কুলের প্রতিষ্ঠাতারাও ঐ শ্রেণী থেকাই আসছে। ধানমন্ডি-গুলশান-বনানীর পয়সাওয়ালার বউ - হাজারীর 'কতিপয় আমলার স্ত্রী' টাইপের মহিলা। স্কলাস্টিকা, সাউথ ব্রিজ, মেপেল লীফ, এদের সব প্রতিষ্ঠাতাই ঐ ব্যাকগ্রাউন্ডের। এবং এখনকার প্রিন্সিপালরাও সে রকমই হওয়ার কথা। এখন ইং মিডিয়ামে মধ্যবিত্তের অনেক পোলাপান পড়লেও তখন মন্ত্রী-এমপির পোলা বা বণীকের পোলা, এরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
হ বুঝলাম।
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
মাধ্যম খুবই তুচ্ছ একটা ব্যাপার। কী শেখানো হয়েছে বা শেখা হয়েছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের যদি পরিকল্পিতভাবে নানা বিষয়ে (দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি) এলিয়েনেট করা হয়ে থাকে, তাহলে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাক্রম ও শিক্ষাসূচী সংশোধন করা হোক।
যূথচারীর দাবি যদি বাস্তবায়িতও হয়, তিনি বা তাঁর বন্ধুরা লাভবান হবেন না। তখন দেখা যাবে বিদেশ থেকে লোকজনকে এনে চাকরি দেয়া হচ্ছে। নিয়োগকর্তারা কী চান সেটাই আসল। তিনি যদি পয়সা দিয়ে ভালো ফিগারের তুলতুলে মুরগি পালতে চান পালতে পারেন, তাতে কারো কিছু বলার থাকে না। মুরগি সাদা না কালো তা বড় কথা না, রান কামড়াতে কেমন সেটাই আসল (দেং শিয়াও পেং বলেন নাই এ কথা)।
যারা বেশ জবরদস্তির সাথেই নিজের ছেলেমেয়েকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াচ্ছে, তাদের হয়তো যথেষ্ঠ টাকা আছে ছেলেমেয়েকে পচাগান্ধা বাংলাদেশের এক কদম বাইরেই দারুণ সুন্দর দুনিয়ায় বড় করার, অথবা এরকম লোকজনের সাথে তারা ওঠবোস করেন এবং পাল্লা দিতে চান। কোন কারণে তারা নিশ্চিত যে বাংলা মাধ্যমটা একেবারেই উচ্ছন্নে গেছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
৫
গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা
মাধ্যম খুব তুচ্ছ ব্যাপার বলে আমার মনে হয় না। কি শেখানো হয়েছে বা শেখা হয়েছে তার চেয়ে কোন্ মাধ্যমে সেটা শেখা হয়েছে সেটি দিয়েই শিক্ষার্থীর বাজারমূল্য বরং নির্ধারিত হয় আমাদের দেশে। পাঠ্যক্রম যতই সংশোধন করা হোক, যতদিন না গোটা জাতির জন্য অভিন্ন মাধ্যম ও পাঠ্যক্রম প্রণীত হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত শিক্ষা জাতিকে বিভক্ত করতেই থাকবে। যুথচারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী নিয়েও যদি এমন ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে পড়েন, তাহলে ভেবে দেখুন যারা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে তাদের ক্ষোভের পরিধি!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
বাজারমূল্য নির্ধারণব্যবস্থায় ত্রুটি আছে তাহলে। যদি আমরা ধরে নিই, শিক্ষার একমাত্র লক্ষ বাজারে ভালো মূল্য চড়ানো, তাহলে মাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর। যদি মনে করি, শিক্ষার অনেকগুলি সুবিধার একটি হচ্ছে বাজারে ভালো মূল্য চড়ানো, তাহলে কী শিখলাম, কিভাবে প্রয়োগ করলাম সেটি সামনের সারিতে চলে আসবে।
আর আমাদের মাধ্যমগুলি সম্ভবত একটি আরেকটিকে অস্বীকারের রাস্তা বেছে নিয়েছে। বাংলা মাধ্যমে ইংরেজি ভাষাটাকে এতো কদর্যভাবে শেখানো হয় যে এর প্রয়োগ ব্যাপারটাই দুর্বিষহ হয়ে যায় বেশিরভাগের কাছে। ভাষা তখন শিক্ষার বাহন হিসেবে না থেকে শিক্ষার মাহুত হয়ে বসে, যত্রতত্র অঙ্কুশ দিয়ে প্যাঁদানো শুরু করে। ইংরেজি মাধ্যমের এক ছাত্র একদিন আমাকে খুব গর্বভরে ড এ শূন্য ড় দিয়ে বলেছিলেন, "আমি তো বাংলা পড়তে পাড়ি না।" বাংলা মাধ্যমের অনেকেও ইংরেজির সাথে দূরত্ব নিয়ে পরিচিত হন, যেভাবে আমাদের পূর্বপুরুষেরা ইংরেজের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন। শিক্ষার সার যদি ঠিক থাকে, বাংলা মাধ্যমের কোন ছাত্রের তো ইংরেজিতে দুর্বল হবার কথা নয়, কিংবা ইংরেজি মাধ্যমের কোন ছাত্রের বাংলায়।
এখন যদি আমরা ধরে নিই, ইংরেজি মাধ্যমের ছেলেরা শুধু ইংরেজি শিখবে আর বাংলা মাধ্যমের ছেলেরা শুধু বাংলা, আর চাকরির বাজারে ইংরেজির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত থাকবে, তাহলে কিছু বলার থাকে না। তাহলে মাধ্যমই সই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
"মাধ্যম খুবই তুচ্ছ একটা ব্যাপার। কী শেখানো হয়েছে বা শেখা হয়েছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের যদি পরিকল্পিতভাবে নানা বিষয়ে (দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি) এলিয়েনেট করা হয়ে থাকে, তাহলে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাক্রম ও শিক্ষাসূচী সংশোধন করা হোক।" হিমু ভাইয়ের এ কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ইংলিশ মিডিয়াম বাংলা মিডিয়াম না আরবী মিডিয়াম সেটার চেয়ে শিক্ষার্থীর জানার পরিধির ব্যাপকতা অনুধাবনটা বোধ করি জরুরী। দেশের বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাংলা মিডিয়ামের মানুষ, কতিপয় ধনীক-নব্য ধনীক-উঠতি ধনীক কিংবা স্ট্যাটাস সিম্বল প্রত্যাশীদের সন্তানরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে, অথবা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর একাংশ মাদ্রাসায় পড়ে (ইদানিং ইরেজী মাধ্যমের মাদ্রাসাও দেখা যায় বৈকী) - - - > এরকম একটি বিভাজন কিংবা বিন্যাস করা খুব স্বাভাবিক প্রবণতা। অথচ শিক্ষার্থীর আচরণ কেবল তার স্কুলের ওপর নির্ভর করে না, তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোও প্রভাবিত করে। এ জায়গাটিতেই 'কী শিখছে' প্রসংগ জরুরী হয়ে পড়ে। উচ্ছন্নে যাবার জন্য 'মিডিয়াম'এর প্রভাব আছে, কিন্তু কতটুকু সেটাও ভেবে দেখতে হবে। 'মিলস এন্ড বুনস' পড়ায় সমস্যার কিছু নেই, 'হ্যারি পটার'ও পড়ুক - বাংলা না ইংরেজী মিডিয়াম সে প্রশ্নের উর্ধ্বে থেকেই পড়ুক। দেখুক সত্যজিৎ রায় এবং জেমস বন্ড। বিদেশী সংস্কৃতি কিংবা সাহিত্যকে এড়িয়ে কেবল হুমায়ূন-মিলনে মাথা গোঁজার কিছু নেই। আবার ইংরেজী মিডিয়ামের লোক বলে বাংলাকে অবজ্ঞা করার মতো শেঁকড়হীন মানসিকতাও অগ্রহণীয়। এখানে দ্বন্দ্ব তৈরিরও কিছু নেই। বরং সব কিছুর ছোঁয়া দরকার। ঠাকুরমা'র ঝুলি, রাশান রূপকথা, রাওলিং সব পড়ুক, জানুক। এই মনন বিকাশ যেন 'মিডিয়াম' সীমায় বাঁধা না পড়ে। দূরত্বগুলো 'শিক্ষাক্রম/সূচী সংশোধনের' মাধ্যমে কমানো দরকার ।
এক সুশীল প্রতিনিধির কথা মনে পড়ে গেলো। ১৯৯৯এ ২১শে ফেব্রুয়ারীকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' ঘোষণার পর সরকারী আয়োজনে এক অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেটা বিটিভিতে লাইভ চলছিল। ঐ সুশীল খুব আক্ষেপ করে বললেন, দেশে বাংলা চর্চা হচ্ছে না - এমন কী দোকানগুলোর নামও ইংরেজীতে হচ্ছে। এসব কিছু বাংলা করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে মাইকের সামনে কাঁপছিলেন তিনি। ---এক সুত্রে তাঁর বড় মেয়েকে জানার সুযোগ হয়েছিল। ছোট বেলা থেকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া মেয়ে, সে সময় এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার থিংকট্যান্ক। বেশ কিছু সফল বিজ্ঞাপনের পেছনের কারিগর।
তাই যুথচারী যেমন বলেছেন, ওরকম কিছু শুনলে খটকা লাগে। কারা যেনো মাথার উপর ছড়ি ঘোরায়।
ট্রলার ভাই, হিমু ভাইয়ের যে কথাটি আপনে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেছেন, দুর্ভাগ্যবশত আমার কাছে সেরূপ প্রতীত হয় নাই। আমি সেইটাই বলার চেষ্টা করতেছিলাম, কিন্তু আপনে যেহেতু আবারো হিমুতে জোরারোপ করলেন, আমারো আবার পূর্বসূত্রে জোরারোপ করা লাগে। ভাষামাধ্যম খুবই তুচ্ছ ব্যাপার নয়, বরং সবচেয়ে প্রধান বিষয় এইখানে। কেন, সেইটার তত্ত্বীয় দিকটা দয়া কৈরা ফুকো সাহেবের বহিতে খুঁইজা লন। এক্ষুনি বাইর হৈতে হৈবে, তাই ব্যবহারিক দিকটা সংক্ষেপে কই: ইংরেজি মাধ্যমের সিলেবাস মডারেট করা বা এর জন্য দরকারি বইপত্রের জোগান দেয়া আমাদের সরকারি পাঠ্যপুস্তক কর্তৃপক্ষের সামর্থ এবং এখতিয়ারের বাইরে। ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলোর অধিকাংশই ফরেন সিলেবাস ফলো করে, যাতে ছাত্ররা গ্লোবাল রেসে সহজেই সামিল হৈতে পারে। সেইখানে দেশীয় মডারেশন তাদের সম্ভাবনার পথে বাধা হৈয়া দাঁড়াইতে পারে।........ এরপর আসে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের বিষয়টি, ইংরেজি ভাষায় আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যপুস্তক রচনা করা এত সহজ কাজ নয়। একই জিনিস ঘটে আরবির ক্ষেত্রে। তার ওপর আরো বিষয় আছে, আপনি আরবি ভাষায় শিক্ষা এবং ডিগ্রিকে সরকারিভাবে রিকগনাইজ করবেন না, আবার সিলেবাস মডারেট করবেন এইটা কেমনে হয়? বেলা শেষে, এই তিন মাধ্যম থেকে তিনরকম শাবক বের হয়। এবং হৈতেই থাকিবে। আরবি মাধ্যমে যিনি তুখোড় মেধাবি, জীবিকা অর্জনের প্রতিযোগিতায় তিনি বাংলা মাধ্যমের প্রতিযোগী থেকে পিছায়াই থাকবেন, বাংলায় যিনি দড়, তিনিও মাধ্যমসূত্রে ইংরেজি মাধ্যমের ব্যাকবেঞ্চারটির চেয়ে অকুলীন হৈয়াই কবরে যাইবেন। মূলত ভাষাই এখানে নানারকম অ্যাকসেস তৈরি করতেছে। কনটেন্ট নয়।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
পাঠ্যসূচী পরিবর্তনের বিষয়টা আসছিল - কনটেন্ট গ্যাপ কমানোর প্রেক্ষিতে। আপনি যদি মনে করেন,কনটেন্ট কোন ইস্যু না,তাইলে পড়ার সিলেবাস পাল্টানোরও দরকার কি?ত্রি-শ্রেণীর শাবক বাইর হোক না, ক্ষতি কি?পার্থক্যটা থাকে কেবল ইংরেজী জানা না জানায়। ইংরেজি জানার কারণে যদি লোকজন আগায়া থাকে,আর কনটেন্টের কোন ভূমিকাও না থাকে তাইলে তো সকাল বিকাল এফএম মেথডে ক্লাস করা দরকার।ভাষা বৈষম্য কমানোর এই একটা উপায় হৈতে পারে।আপনার ফুকো সাহেব এই ব্যাপারে কি কয়?
আমি এমন একটা জায়গাতে পড়ি, যেখানে বাংলা মাধ্যমের ছাত্র তখন পর্যন্ত খুব অল্পই ছিলো, বেশিরভাগই ছিল ইংরেজি মাধ্যম থেকে আসা। শুরুতে ভিতরে ভিতরে খুব ভয় পেতাম, মনে হতো ওরা আমাদের চাইতে বেশি ভালো, বেশি স্মার্ট। ভয় কাটাতে অনেক সময় লেগেছিলো আমার। পরে যেটা বুঝতে পেরেছি, ওরা যেকোনোভাবে হোক, আমার মতো সাধারণমানের বাংলা মাধ্যমের স্টুডেন্টদের চেয়ে বেশি কনফিডেন্ট হয়। তার মানে এই না যে বাংলা মাধ্যমের স্টুডেন্টরা কোনো কিছুতে কম। আমার জানা অনেক বাংলা মাধ্যমের ছেলে পেলে অনেক অনেক ভালো জায়গাতে আছে।
তবে একটা জিনিস আমি অনুভব করি। আমি জানিনা ওদের শিক্ষা ব্যবস্থা কীরকম, কিন্তু সাধারণতঃ they can analyze information more efficiently. আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যারা প্রণয়ন করেন, তাদের এইদিকে মনোযোগী হওয়া দরকার।
সুমন ভাইএর মন্তব্যটা এইমাত্র পড়লাম, উনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্ররা অনেক বিষয়ে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ওয়েল ইনফর্মড। বাংলা মিডিয়ামের যারা নিজের আগ্রহে পড়ে বা বাসায় সেইরকম পরিবেশ আছে তাদের কথা আলাদা, নাহলে এই ব্যাপারটা অনেক বড়ো barrier তৈরি করে দেয়।
পোস্ট প্রসঙ্গে, ডিগ্রী বাতিল করা সম্ভবত কোন সমাধান না।
মিডিয়াম ক্যাচালে ভাসাভাসা কিছু যোগ করি। উদাহরণ দিয়েই শুরু হোক: আমার কলেজে দুই সিনিয়র ভাই ছিলেন, মাদ্রাসা বোর্ড থেকে আসা। উনারা বাংলা মিডিয়ামে এসেও ঢাকা বোর্ডের মেধাতালিকায় ছিলেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন সাফল্যের সাথেই।
বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য কাজ করে, তার মূলে মিডিয়ামের প্রভাব খুব সামান্য বলেই আমার ধারণা। মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস সম্পর্কে ভালো আইডিয়া নেই, তবে বাংলা মিডিয়াম ও ইংলিশ মিডিয়ামের সিলেবাসের পার্থক্য আকাশ-পাতাল মনে হয় নি। সুমন ভাই যে ফরেন সিলেবাস ফলো করার কথা বলেছেন, সেটার অন্তর্নিহিত কথা যদি 'ফরেন সিলেবাস মানেই উন্নততর' হয়, তাহলেও আমার আপত্তি আছে। আমার বিবেচনায় বাংলা মিডিয়ামের সিলেবাসে পড়াশুনা করাটা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডে পিছিয়ে পড়ার কারণ নয়। মিডিয়াম কাউকে স্মার্ট বা আত্মবিশ্বাসী করে দেয় না। এর পিছনে অনেক আর্থ-সামাজিক ফ্যাক্টর কাজ করে। টাকা থাকলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্যও খুব বেশি কিছু লাগে না।
বৈষম্যটা সৃষ্টি হয় সিলেবাস বা পাঠদানের মাধ্যম থেকে নয়, অন্য অনেকভাবে। ইংলিশ মিডিয়ামে, অন্তত কয়েক বছর আগপর্যন্ত, সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীর মানুষদের ছেলেমেয়েরাই পড়াশুনা করে। আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারটা মূলত এদের সামাজিক অবস্থানের ফসল, গড়গড় করে ইংরেজি বলতে পারা থেকে নয়। ওয়েল-ইনফর্মডনেস, চাকুরীর বাজারে প্রিফারেন্স এসব সুবিধার পিছনেও মূলত ওই সামাজিক ব্যাকিং কাজ করে।
দেশের অধিকাংশ মানুষই আর্থ-সামাজিক অবস্থানে খারাপ অবস্থায় থাকার ফলে বাংলা মিডিয়ামে পাস করে বেকারের সংখ্যাটা বেশি করে চোখে পড়ে। কিন্তু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, বাংলায় পাস করা কেউও ব্যাকিং থাকলে অনেক ভালো পজিশনে চলে যায় এবং পারফর্ম্যান্স বিচারে ইংরেজি বলাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই।
বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার পরিবেশ (শিক্ষার উপকরণ, শিক্ষক ইত্যাদি) সৃষ্টি করতে ব্যর্থতার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীদেরকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। ব্যাপারটা অর্থনীতির, মিডিয়ামের ফসল নয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
I'm purely from Bangla medium.. Unfortunately i cant type in Bangla that's why I'm writing in English..
It's really funny to hear this kind of debate and funny to hear when people do say we should establish more Bangla medium school!! And from my personal experience have seen children of this kind of people (apparently who are big Bnaglalovers) are studying in English medium and even can’t speak properly in Bangla
Mr. Juthuchary is saying that at work place he is far better than any of his colleague who studied in English.. but I have also seen lots of my colleagues who are completely from bangle medium and very very mediocre in their work and also have seen very smart colleagues who came from English medium schools.
And for your kind information now a days lots of students studying in English medium schools are from middle class families and values..
So it’s a shame to put this kind of general statement and our employers are not that stupid that they will keep employees who are not that of use…
Basically how good you are at you work or how knowledgeable you are totally depend on you and partially on your family friends etc
Thinking about the current scenario of our country we can’t ignore English. And establishing Bangla medium school with really good teachers (alas! we have very few) is not something we can do over night.. lots variables are involve in it..
People who are working in different multinationals/adfirms/ banks etc know how importance to know English properly. In my last job I had few colleagues who came from Kolkata .. Honestly speaking they were brilliant and they were very good both at Bangla (far better than us) and English. They have studied in English medium but have learnt Bangla as well. I think this could be an ideas situation for us as well
We could have said ignore English medium schools.. go for more Bangla medium schools etc if we were like Japan..
বিষয়টা নিয়ে খুব লম্বা ক্যাঁচালে যাওয়ার সুযোগ নাই। প্রথমে এইটা বলে নেয়া ভাল যে আমি কোনো মিডিয়ামেরই মুখপাত্র হিসেবে কথা বলি নি। নিজে বাংলা মিডিয়াম পড়েছি, কিন্তু তাতে আমি যূথচারীর মত ক্ষুব্ধ না। তবে ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থাকে মিডিয়ামে-বিভক্ত দেখতে চাই না। তাতে সবার জন্য লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা সম্ভব। কোনো পশ্চিমা দেশে তিনরকম শিক্ষাব্যবস্থা আছে এমনটা আমার জানা নেই। কারো জানা থাকলে জানান। ইন অ্যা নুটশেল কিছু মন্তব্যের জবাব দেই:
অন্য ট্রলার:
ত্রি শ্রেণীর শাবক বাইর করা কলোনিয়াল এডুকেশন পলিসি-র লিগ্যাসী। সমাজকে যে এলিট শ্রেণী নিয়ন্ত্রণ করে তারা নিজেদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য এই ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখে। এই শিক্ষাব্যবস্থা গোড়াতেই সমাজে তিনটা শ্রেণী তৈরি করে। এইটাকে যদি ক্ষতি মনে না করেন, তাইলে অবশ্য আমার বলার কিছু নাই। এফএম মেথড আর ইংলিশ মিডিয়াম এক জিনিস না সেটা বোধকরি আমার না বললেও চলবে। এইটা সারকাসটিক কমেন্ট, ফলে ফুকো সাহেবের বক্তব্য আপনাকে জানানো থেকে বিরত থাকলাম।
অচ্ছুত্ বলাই:
যাক, যাচাইহীন আইডির ভিড়ে আপনি এক পরম স্বস্তি! বাংলা ও ইংরেজি মিডিয়ামের সিলেবাসে আকাশ পাতাল পার্থক্য আছে কি নেই সেটা আসলে ডিটারমিনিং ফ্যাক্টর না। ফ্যাক্টর হৈল ভাষা নিজেই। ভাষা হৈল ক্ষমতাসম্পর্কের দর্পণ। ইংরেজি ভাষা যেখানে দুনিয়াকে শাসন করতেছে, সেখানে আপনি ইংরেজি ভাষাভাষী হৈলে সেই চালক শ্রেণীর কাতারে নাম লিখাইবেন। সমাজের সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা এই জায়গায় বাইডিফল্ট থাকে, যেহেতু পয়সা দিয়ে শিক্ষা কিনতে পাওয়া যায়, আর সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের জন্য কোনোই অ্যাকসেস রুট নাই। আপনি মাদ্রাসা ছাত্রের যে দৃষ্টান্ত দিলেন, তার প্রেক্ষিতে বলি, ব্যতিক্রমকে নিয়ম ভাবা ঠিক নয়। আপনি আপনার বক্তব্যের প্রায় সর্বক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমকে নিয়ম ঠাউরে নিয়েছেন। আসল কথা হল: কে কোন্ মাধ্যম থেকে কিসের জোরে ভাল করছে সেটা বিবেচনা করার আগে অন্তত এটা বলুন যে একটা দেশে কোন্ বিবেচনায় তিন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে? আমি সিঙ্গাপুরে আছি, সেখানেও তিনটি এথনিক জাতিগোষ্ঠী, তিনটা মাতৃভাষা ওদের: চাইনিজ, মালে আর তামিল। কিন্তু শিক্ষার মাধ্যম একমাত্র ইংরেজি। আর আমরা এক ভাষাভাষী হয়ে তিন ভাষায় জাতিকে শিক্ষিত করতে চাইছি কেন?
নীরা (নামের বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন):
এটাকে "ফানি" তর্ক কেন মনে হল বুঝলাম না। ভিন্ন ভিন্ন ভাষামাধ্যম যে শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য তৈরি করছে সেটা দিবালোকের মত সত্যি এবং এটাকে কিভাবে ইউনিফর্ম শিক্ষাব্যবস্থায় পরিণত করা যায় সেটা বরং এখন পলিসি লেভেলে ভাবনার বিষয়। ক্ষমা করবেন, আপনি "পিউর বাংলা মিডিয়ামে" না পড়ে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়লে হয়ত আরো সুন্দর ইংরেজি লিখতে পারতেন। আমরা যারা বাংলা মিডিয়াম থেকে পাশ করেছি তাদের ক্ষেত্রে এটা বিরল ঘটনা নয়। এবং এটিই আমাদের গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড থেকে পিছিয়ে দেয়।
হিমু:
এখন যদি আমরা ধরে নিই, ইংরেজি মাধ্যমের ছেলেরা শুধু ইংরেজি শিখবে আর বাংলা মাধ্যমের ছেলেরা শুধু বাংলা, আর চাকরির বাজারে ইংরেজির চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত থাকবে, তাহলে কিছু বলার থাকে না। তাহলে মাধ্যমই সই।
ঠিক এইটাই আমার বক্তব্য আছিল। বাংলা মাধ্যমের ছেলেকে ইংরেজি আর ইংরেজি মাধ্যমের ছেলেকে বাংলা না-শিখিয়ে সবার জন্য একটা ইউনিফর্ম ব্যবস্থা কায়েমের পক্ষপাতী আমি। এইটা কোনো ইউটোপিয়ান ব্যবস্থা না, বরং এইটাই সবচে ফিজিবল ব্যবস্থা। শিক্ষার আদর্শ, কনটেন্ট সেগুলো আরেকটু পরের আলোচনা। শুধু রিচ কনটেন্ট দিয়ে হারা-গেম জেতা যায় না।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
জ্ঞান-অর্জন বাদে যা যা উল্লেখ করছেন বর্তমানে তার সবগুলাই বোধ হয় খাটে। ভবিষ্যতে শিক্ষার উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিৎ (ক্লাস ১-১২ লেভেলে), এইটা নির্ধারণ করতে পারলে সামনে আগানোর কথা পরিষ্কার ভাবা যায়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বস, এইটা বুঝলাম না। ব্যতিক্রমকে নিয়ম বানাইলাম কিভাবে?
আর আপনি এমনভাবে বলছেন যেন, পড়াশুনার মান যা-ই হোক, ইংরেজিতে পড়াশুনা করলেই এগিয়ে গেল! ইংরেজিকে ভাষা হিসেবে শিখতে কেউ মানা করে নি। বাংলা মিডিয়ামে পড়া অনেক ছেলেই ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াদের চেয়ে ইংরেজি ভালো জানে এবং দরকার পড়লে পিছিয়ে পড়ে না। মিডিয়ামের ভূমিকা একেবারেই গৌণ।
সিঙ্গাপুরের উদাহরণ বাংলাদেশের জন্য খাটে না, যেমন খাটে না চীন, জাপান বা জার্মানিতে তাদের নিজেদের ভাষায় শিক্ষাদানের উদাহরণ। বাংলাদেশের অধিকাংশ কাজে যতটুকু ইংরেজি দরকার হয়, তা বাংলা মিডিয়ামের সিলেবাস ঠিকঠাক পালন করলে প্রয়োজনের চেয়েও অনেক বেশি। এজন্য ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ার দরকার নেই একেবারেই। উচ্চশিক্ষার জন্যও কেউ ইংরেজি মিডিয়ামে না পড়ায় পিছিয়ে পড়েছে, এমন নজীর একেবারেই বিরল।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বাংলা মিডিয়ামে পড়া অনেক ছেলেই ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াদের চেয়ে ইংরেজি ভালো জানে এবং দরকার পড়লে পিছিয়ে পড়ে না।
এটাও কিন্তু ব্যতিক্রমকেই ইঙ্গিত করে।
সিঙ্গাপুর, জার্মানী কিংবা জাপান সবার দৃষ্টান্তই শিক্ষণীয় হতে পারে, অনুকরণীয় কিনা সেটা পরের প্রশ্ন। জার্মানরা নিজের ভাষায় শিখে, কিন্তু ইংরেজিটা প্রায় মুড়িমুড়কির মতই বলতে পারে। জাপানিজরা সেটা পারে না, বা করে না, কারণ তারা তাদের স্বাবলম্বিতা দিয়ে সেই অভাব পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করে। সিঙ্গাপুরের প্রসঙ্গ এসেছিল এজন্য যে, একই দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন ভাষামাধ্যম থাকবে এটা স্বাভাবিক নয়। কেউ বাংলা মিডিয়াম পড়ে ইংরেজি মিডিয়াম-পড়া ছাত্রের চেয়ে ভাল ইংরেজি জানবে, এই তুলনামূলক বিচারের চেয়ে এটা স্বাস্থ্যকর নয় কি যে সবাই একই উপায়ে শিক্ষালাভ করবে? ব্যক্তিগত মেধা দিয়ে আমি কেন এই হার্ডল টপকাতে যাব, যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেটা সম্ভব, উচিত এবং শোভন? আমার প্রশ্ন হল, কেন আমরা একই দেশে তিনটি ভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখছি? তাতে লাভ কি হচ্ছে? পরবর্তীতে যারা এই তর্কে প্রবৃত্ত হবেন তাদের সবার কাছে বিনীতভাবে এই প্রশ্নটির জবাব প্রত্যাশা করি।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
এটা ব্যতিক্রম হবে কেন? 'ভাষা শেখা' আর 'ভাষায় শেখা' দুটো আলাদা জিনিস। দরকার হলে সবাই ভাষা শিখবে, সেজন্য বাংলা মিডিয়ামের সিলেবাসই যথেষ্ট; কিন্তু ভাষা শিখতে গেলে 'ভাষায় শিখতে' হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা তো নেই।
সবাই একই উপায়ে শিক্ষালাভ করার আসলে অনেক অস্বাস্থ্যকর দিকও আছে। বিষয়টা অনেকটাই উদ্দেশ্য বিধেয়ের। মনে করেন, আমি যদি ছোটবেলা থেকেই নিশ্চিত থাকি যে, আমি স্কুল পাস করেই আমেরিকায় যাবো উচ্চশিক্ষার জন্য এবং এজন্য আমার প্রিফারেন্স ইংরেজি মিডিয়াম, সেক্ষেত্রে আমাকে জোর করে বাংলা মিডিয়ামে পড়তে বাধ্য করাটা ঠিক কৌশলী বিষয় না। আসল দরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানের সুযোগ-সুবিধার সমতাসাধন, প্রয়োজনকে সামনে রেখে সে অনুযায়ী সিলেবাস, বিভাগ ইত্যাদি তৈরি করা, ভাষা-মিডিয়াম একেবারেই গৌণ বিষয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
Mr. Sumon I said funny because these kinds of discussion always end up without any solution. If the word funny hurts you then I’m sorry….
You and Juthochary are same person? My comments were for Mr. Juthochary b’coz as far as I can understand he is the writer of this blog!!
Yes you are right there were some mistakes in my initial comments - first of all , I’m writing from my office and didn’t have time to check before posting the comments (trying to wrap my clangers or lack of English knowledge!! as you have said)
And 2nd - that you have already cited that this is typical for the Banlg medium students – yes you are right and that’s why we need to learn English correctly to bring ourselves in world class standard.. you never know when, where you can be….
And please ignore the mistakes i have made in my current comments as u can understand i'm purely from Balgla medium and that's why mistakes are obvious you know!!
আমার স্বল্প-জ্ঞান দিয়ে এ বিষয়ে আমার ধারণা বলার চেষ্টা করি।
প্রথমত, এই তিনটা গ্রুপের শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যের রাস্তা সম্ভবত তিনভাগে বিভক্ত। ইসলাম ধর্মীয় বিষয়গুলো পড়তে গেলে আরবি জানার দরকার আছে। প্রচলিত বাংলা মিডিয়ামের সিলেবাসে ইংরেজি নিয়ে সমস্যা না থাকলেও আরবি শেখার স্কোপ খুবই অপ্রতুল। আমার মনে হয়, এজন্যই তারা মূলত বাংলার পাশাপাশি আরবির ওপরেও জোর দেয়। মাদ্রাসার অঙ্ক-বিজ্ঞান-সমাজের বই বাংলায়। পাশাপাশি আরবির ওপর আলাদা কোর্স থাকে। যে কোর্সগুলো বাংলা মিডিয়ামে পড়াদের জন্য ভবিষ্যতে কোনো কাজে আসবে না। অতএব, বিভাজনটা এক্ষেত্রে জরুরী।
আমাদের ইংরেজি মিডিয়ামের কিছুটা প্রয়োজন, কিছুটা ফ্যাশন। ইংরেজি মিডিয়ামকে বাংলার বর্তমান সিলিবাসের সাথে মার্জ করলে বড় ধরনের কোনো অসুবিধা হবে না। (আপনার সাথে 'প্রায়' একমত) কিন্তু কারো যদি স্পেসিফিক চাহিদা থাকে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়তেই হবে, তাহলে তাকে বাংলায় পড়তে বাধ্য করাটা অকৌশলী পদক্ষেপ হবে।
আমাদের সমস্যা হলো, এক এক মিডিয়ামের ওপর এক এক রকম প্রাধান্য দেয়া। এটায় সমতা থাকলে মিডিয়াম কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইসলাম ধর্মীয় বিষয়গুলো পড়তে গেলে আরবি জানার দরকার আছে।
ইসলাম ধর্মীয় বিষয়গুলো পৈড়া যে ডিগ্রিখান আমি নিবো সেইটা কি কাজে লাগবে? আপনেরা পড়বেন স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে, রঙবেরঙের চাকরি করবেন, আর আমারে বানাইবেন বোমার কারিগর! এইটা কেমন বিচার!!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
হা হা হা! আসলে বোমার কারিগর না হওয়ার জন্যই ধর্মীয় বিষয়গুলো ঠিকঠাক পড়া দরকার। বোমা মারা ধর্মের কাজ নয়; বরং তার উলটোটাই....
কি কাজে লাগবে, এটা মনে হয় ডিমান্ড-সাপলাইয়ের ইকুয়েশন। ধর্মীয় শিক্ষার কোনো জব না থাকলে কে পড়তে যাবে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিশাল আলোচনা-গুরুত্বপুর্ন সব মন্তব্য ।
আমি গরীবের এক পয়সা যোগ করি ।
ইংলিশ শিখাটা আমার কাছে এমন হাতীঘোড়া কিছু মনে হয় না যে এর জন্য এতো আটগাঁট বেঁধে-ধরোরে মারো বলে নার্সারী থেকে শুরু করতে হবে । দুনিয়ার শেখার আছে অনেক কিছু আর শেখাটা মাতৃভাষাতেই সবথেকে সহজ বলে আমার ধারনা ।
ইংরেজী শেখাটা জরুরী হলে যে কোন এক পর্যায়েই পদ্ধতিগতভাবে ব্যাবহারিক ইংলিশ ছেলেমেয়েদের শিখিয়ে দেয়া যায় ।
নিজের কথা বলিঃ আগাগোড়া বাংলা মিডিয়াম । মধ্যবিত্ত সংস্কৃতিতে পালিত হয়েছি যেখানে ফড়ফড় ইংরেজী শুনিনি কোনদিন ।
ইংরেজের দেশে এসে পড়ালেখা,কাজকর্ম করে খাচ্ছি তো । কই তেমন বড় কোনো কিছুতে কোন দিন আটকে গেলাম নাতো?
বরং এখানকার ইংরেজদের ইংরেজী শুনে দেশের ইংলিশ মিডিয়ামের পড়া পোলাপাইনের ইংরেজী শুনলে এখন হাসি পায় । মনে হয়,ভালোই হইছে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ি নাই!
-----------------------------------------
ভালো নেই,ভালো থাকার কিছু নেই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দেশের ইংরেজী বলিয়েরা আমেরিকান টিভি শোর উচ্চারণ দ্বারা প্রভাবিত। কেব্ল টিভির কল্যাণে দুনিয়া জুড়ে একই অবস্থা। যারা শুধু ইয়েস নো ভেরি গুড জানে, তারাও ঐ ফ্রেন্ডস-এর নকল করতে চায়। বৃটেনের মত কাটা-কাটা দুরূহ উচ্চারণ আর কোথাওই পাওয়া যায় না।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বাজে একটা লেখা নিয়ে এতো সিরিয়াস এবং এতো ভাল ভাল লেখা সচলায়তনেই সম্ভব। ব্লগটা আসলেই ভালোতর হয়ে উঠছে।
প্রায় প্রত্যেক লেখকের দু'একটা বিষয়ে আমি ভিন্নমত পোষণ করি, সেগুলো পরে লিখবো। আপাতত একটা বিশেষ ব্যাপার উল্লেখ করতে চাই। সেটা হলো এই লেখাটি বিষয়ে আমার মূল প্রেষণা।
আমার মূল লক্ষ্য ছিল- কিন্ডারগার্টেন আর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর অবৈধ ব্যবসাকে চিহ্নিত করা। এই স্কুলগুলো এক ধরনের কোম্পানী, কিন্তু কোনো ট্রেড লাইসেন্স নাই। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে যে কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, সেগুলোও এই স্কুলগুলোর নাই। স্কুল মাঠ তো দূরের কথা, বেঞ্চিসমূহের মধ্যকার পারস্পরিক দূরত্বও অনেক ক্ষেত্রে আপনার মন খারাপ করে দেবে। এইসব স্কুলগুলোর শিক্ষার মান সাধারণ স্কুলগুলোর তুলনায় খুবই খারাপ, যদিও সাধারণ্যে ধারণা রয়েছে, এরা বেশি দক্ষ। (ব্যবসার জন্য পণ্যের মিথ্যা গুণকীর্তন ও বিজ্ঞাপন খুবই জরুরি)।
কিন্তু ব্যবসাটা ভালো। এইসব স্কুলগুলো খুব ভালো লাভ দেয়।
প্রথমত, আইনীভাবে অবৈধ এবং দ্বিতীয়ত, শিক্ষা-উপকরণ ও মানের দিক দিয়ে পশ্চাৎপদ এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমাগত ব্যবসা করে যাবে, এটা আমি সমর্থন করতে পারছি না। আমি চাই এই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাক, প্রতিষ্ঠা হোক শিক্ষার জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান।
আর সেই সাথে সেই পুরোনো কথাই আরেকবার- ইংরেজি মাধ্যম ও কিন্ডারগার্টেন থেকে পাস করা সব ছেলেমেয়ের সব সার্টিফিকেট যত দ্রুত সম্ভব বাতিল করা হোক।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
নতুন মন্তব্য করুন