সচলায়তন সংকলন : কয়েকটি কথা

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: বুধ, ২৭/০২/২০০৮ - ৩:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনে প্রকাশিত কিছু লেখার সঙ্কলন "সচলায়তন সংকলন" প্রকাশিত হলো। অধিকাংশ লেখাই প্রকাশিত হওয়ার মতোই, ব্লগে প্রকাশিত হওয়ার পর সেগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-ও হয়েছে। অধিকাংশ লেখাই ভালো। সেসব নিয়ে 'বেহুদা প্যাচাল'পেড়ে কোনো লাভ নেই। সঙ্কলনটির ছাপাই বাধাই নিয়েই বরং দুএকটি কথা বলি।

নামের বানান ভুল, সঙ্কলন বানান আজকাল অনেকেই সংকলন লিখছেন, আমি এই পক্ষের লোক না। রিঙ্কি ফন্ট হিসেবে ভালো, তবে সেক্ষেত্রে স্পেস বাড়িয়ে দিতে হয়। সম্পাদনা আদৌ হয়েছে কিনা সন্দেহ। লেখার শিরোনাম এক পাতায়, লেখা পরের পাতায়, এই সন্দেহ ঘনীভুত করে। দাম তিনশো চল্লিশ টাকা ঠিকই আছে, কিন্তু ছাপার মান দেখে মনে হলো, নীলক্ষেত থেকে কম খরচে ফটোকপি করা হয়েছে। সূচিপাতা নেই, যা থেকে মনে হয়, কোন কোন লেখা যাচ্ছে, সেই বিষয়ে স্থিরতা ও পৃষ্ঠাসংখ্যা নিয়ে সংশয় ছিল।

কিন্তু- কিন্তু এতো কিছুর পরেও এটাকে একটা অসাধারণ সঙ্কলন বলতে হচ্ছে, ব্লগিং ধরনের সহাবস্থানকে বিন্যস্ত ও আরো সংবদ্ধ করতে এটা কয়েকদিন প্রেরণা হয়ে থাকবে। এই ধরনের "মহতী" উদ্যোগগুলোর পরিণতি সাধারণত ভাঙ্গনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সচলায়তনে সেটা না হোক, এটাই প্রত্যাশা।

আরো কয়েকটা পৃষ্ঠা কি স্ক্যান করে আপলোড করবো?
কিভাবে একাধিক ছবি আপলোড করা যায়, কেউ কি জানাবেন?


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একই প্রশ্ন আমি আগে একবার করায় বিপ্লব রহমান আমাকে নিচের পদ্ধতিটি মেইল করে পাঠিয়েছিলেন। আমার ছবি যোগ করার সব বিদ্যা এই মেইল থেকেই । মেইলটা আপনার কাজে লাগতে পারে

ছবিযোগ
১। যেখানে আমরা ব্লগ লিখি, 'রচনা' নামের বাক্সের ভিতরে, তার ঠিক নিচেই একটা +চিহ্নসহ ছোট্ট ছবির আইকন আছে।
এই ছোট্ট ছবিটা ক্লিক করলে ইমেজ এ্যাসিসটেন্ট নামের নতুন জানালা খুলবে। সেটা ব্যবহার করেই আপনি আপনার কম্পিউটারে সঞ্চিত ছবি ব্রাউজ করে ব্লগে আপলোড করতে পারবেন।

২। ছবি আপলোড করার পর পোস্টে ইনসার্ট করতে হবে। ইনসার্ট করার সময় ছবির সাইজের দুইটা অপশন আছে, থাম্বনেল আর প্রিভিউ। প্রিভিউ দিলে ছবি বড় আসে।

৩। রচনার যেখানে চান সেখানে কার্সারটা রেখে ইনসার্ট বোতাম টিপলে ছবিটা ঐ জায়গায় বসে যাবে।

৪। ইন্টারেনেটের ছবি আগে ডাউনলোড করে আপনর কম্পিউটারে রেখে তারপর ব্লগে আপলোড করতে পারেন। (সরাসরি যে পদ্ধতি আছে, সেটা অন্যরকম)।

৫। কয়েকবার এ নিয়ে খেলুন, সহজ হয়ে যাবে।...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনিই প্রথম প্রচ্ছদ দিলেন। অশেষ ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

"মহতী" উদ্যোগগুলোর পরিনতি মহোওর হোক
---------
রাতুল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তোমার শেষ আশঙ্কাটা গিলা ফালাও। বাকিটা ঠিকাছে।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হাসিব এর ছবি

যূথচারি অনেকদিন লেখাপড়া দেন না আমাদের ।

মুজিব মেহদী এর ছবি

লেখার শিরোনাম এক পাতায়, লেখা পরের পাতায়

আমার ক্ষেত্রে অবস্থা হয়েছে আরো বিদঘুটে। আমার নামটা ছাপা হয়েছে ৮০ পৃষ্ঠার বটম মার্জিনে আর কবিতা তিনটা পরের দুই পৃষ্ঠায় (৮১, ৮২)। অনেক পাঠকই হয়ত লেখক নামটা দেখতেই পাবেন না।
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার লেখাটা আছে তো? নাকি কোন ভাবে ড্রপ হয়ে গেছে? কেউ কনফার্ম করলে এখনই একটা ভার্চুয়াল পার্টি দিয়ে দিতাম। শত হলেও জীবনের প্রথম প্রকাশিত(?) লেখা তাও আবার ২১শে বইমেলায়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।