মেঘলা সন্ধ্যা, ধুসর গোধূলি

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৬/২০১০ - ৬:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অবতরণিকা:
গত মাসটা বড়ই দৌড়ের উপর গেল। বিশেষত গত দু-তিন সপ্তাহে মূলভূমি ইউরোপের আটটি ছোট-বড় শহরে ঢুঁ মারতে হয়েছে। [সব সময় বেড়ানোর সুযোগ পাইনি, তবে সামগ্রিকভাবে যে মন্দ লেগেছে তা নয়। বেড়ানোর লেখা বা নিদেনপক্ষে ছবি দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আগেভাগে কিছু বলে ফেলে পোস্টখেলাপী হতে চাই না।] সদ্য ফিরলাম কলকাতায়। সেখানে আবার বিশেষরূপ আপ্যায়নের ফলে পরিপাকযন্ত্র বিদ্রোহ করেছেন। সব মিলিয়ে পুরোই উড়াধুড়া অবস্থা। এর মধ্যেই রোজ একবার করে সচলে ঢুকতাম, নইলে পেটের সসেজ হজম হতই না, কিন্তু কিছু লেখার সময় পেতাম না কিছুতেই। যা হোক, পুরনো প্রতিশ্রুতি মিলিয়ে এই পোস্টটা সেরেই ফেললাম।

---------

মে’র শেষ সপ্তাহে আমাকে প্রফেসর পাঠালেন বন’বাসে। তিনিও আপাতত সেখানেই নতুন আশ্রম খুলে ডেরাডান্ডা গেড়েছেন, ‘হালায় তুই কোনো কাম করিস না, হেইখানে আয়, তোরে সর্বদা চোখে চোখে রাখুম’ এইরকম ভাব নিয়ে। সচলেরই কোথাও [ঠিক কোথায় সেটা ইয়াদ করতে পার্লুম না] পড়েছিলাম যে সেই বনেই খাজা বাবা মাননীয় ধুগো’র দরগা। তাই আমার নির্বাসন স্থির হওয়া মাত্রই ধুগো ইন্টারন্যাশনালে ইপত্রাঘাত কর্লাম, যে বাবার দরগায় শির্নি চড়াতে চাই, ক্যাম্নেকী। উত্তর পেলাম, বাবা এখন দৌড়াতেছেন। স্থির হয়ে বসলে তাঁর শিষ্যগণ এত্তেলা পাঠাইবেন।

আশায় আশায় হপ্তাখানেক কেটে গেল। মনে মনে বাপ-মা’রে ধিক্কার দিতেছিলাম, যে সময় থাকতে আমার একটা বিয়া দিতে পারলা না? আজ যদি আমার ইপত্রের শেষে ‘পি.এস. – আমার খানকয় যুবতি শালি আছে’ লিখে দিতাম, তাহলে কি বাবা আমায় ফেলে অ্যাম্নে দৌড়াইতে পার্তেন?

তারপর একদিন ইপত্র পাইলাম, আপ্নে আজ সন্ধ্যায় কি কর্তেছেন? ফিরি থাকলে আপ্নার নম্বর দ্যান, ফোন্দিমু। আনন্দে ব্যায়াকুল হইয়া লাফাইতে লাগ্লাম; বাড়িটি আসলে হাসপাতাল, তার মধ্যেই জিন-গরুখোঁজাকেন্দ্র, এক গাট্টাগোট্টা লালগাল গোলগাল জর্মনবালা আসি ঝাড়ি দিয়া গেল।

সেদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, সুয্যিমামার দেখা নাই। এর মধ্যেই ধুগোদার ফোন পেয়ে আমার বিকশিত দন্তালোকে দুনিয়া যেন কিঞ্চিৎ উজ্জ্বল হল, বলতে নেই একটু আলো দেখা গেল বিকেলের দিকে। বাসস্ট্যান্ডে গিয়া খাড়ায়ে আছি, শহরের দিক থেকে একখান বাস এল, আসতে আসতেই দেখি ভিত্রে থেকে কে হাত নাড়ে আমার দিকে। দেখি এক রোগাসোগা কোঁকড়াচুল উজ্বলচোখ ধারালোমুখ যুবক উদার হাসি লয়ে আস্তাছেন আমার দিকে। জিগাইলেন, কৌস্তুভ তো? স্বীকার করলাম। বললাম, যে সচলের পাতায় হাঁড়িভরা শালী নিয়ে ধুতিপরা যে লোকের ছবি দেখি, তার সঙ্গে আপ্নের কোনো মিল নাই তো। ব্রহ্মই সত্য, জগৎ মিথ্যা, এমন একখান হাসি দিলেন।

এ প্রসঙ্গে একখান ডিস্ক্লেইমার দিয়ে রাখি। যে লোকের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে, যাঁরে নিয়ে আমি লিখতাছি, তিনি যে আসল ধুগো, সেই বিষয়ে আমার তরফ থেকে কোনো গ্যারান্টি নাই। কারণ আমি তাঁরে আগে কখুনো দেখি নাই, তাঁর কন্ঠ শুনি নাই; কোনো চ্যালাচামুন্ডোরে প্রক্সি দিতে পাঠাইয়া দিলে আমি মুমিন মানুষ ধইর্তে পারুম না। তাই জিগাইলাম, আপ্নে যে আসল ধুগো সেই বিষয়ে নিশ্চিত হই কিকরে? বললেন, কোনো প্রমাণ দিতে পার্তেছি না, আর দিতে ভারী বয়েই গেছে। নিজ দায়িত্ত্বে আসুন।

তবুও তাঁর পিছুপিছু গিয়া শহরের দিকের যন্ত্রশকটে উঠলাম, তাঁরই বাসকুপনে। দেখলাম তিনি এই গরীব ছাত্রের অর্থব্যয় সম্পর্কে বড়ই যত্নশীল। কইলাম, মিঁয়া, এখনো আমার বিয়াই হয় নাই, তাই আশু ফল লাভের আশা নেই, তবে বিয়া করলে এক সুন্দরী সুশীলা স্বাস্থ্যবতী শালী দেইখ্যাই করুম, আর আপ্নেরে আগেভাগে খবর দিমু; তাই এখন কিছু আদরযত্ন ইনভেস্ট কর্লে পরে ফল পাইতে পারেন।

রাইনের পাড়ে যাইলাম দুজনে। ঘন মেঘলা দিন, ছাতা না আনার জন্য ঝাড়ি খেলাম। তার উপর নদীর ধার, শীতল বায়ু দিতেছিল। আমার গায়ে কেবল একখান স্যান্ডো আর ফতুয়া, তাই ধুগোদা ভাবলেন আমার শীত কর্তাসে, নিজের জ্যাকেটখানা আমারে দিবার প্রস্তাব করলেন। বল্লাম, দাদা, এসব দয়া যুবতীগণের প্রতি দেখালে আসলেই কাজ হবে, আমার মতন বস্টনের -২৩’এ ভুগে আসা পাব্লিকে অপাত্রে দান করেন না।

সেখানে বসে নানাবিধ গলসল্প হল। তার মধ্যে যেমন একটা বড় অংশ সচলায়তন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, বা এমনই আমাদের রোজকার দিনকাটানো। বেশীরভাগ সময়টাই ধুগোদাকেই বকিয়ে গেলাম, কারণ অভিজ্ঞতা তেনার অনেক বেশি। আর যুদ্ধাপরাধের সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা থাকলেও, তাঁর কাছে অনেক বিস্তারিত তথ্য পেলাম। সেই প্রসঙ্গেই উঠে এল ক্ষোভ, এবং তার ফলস্বরূপ গালি নিয়ে সাম্প্রতিক বিবাদের কথা। এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে সচলে, আর কথা বাড়াবার ইচ্ছা রাখি না, শুধু এটুকুই বলি, তিনি নিজের অবস্থান থেকে যা যুক্তি দেখালেন তাতে আপত্তির কোনো অবকাশ ছিল না। হিমুদা’র কথায় উঠে এল জার্মানীর সচল সম্মেলনের কথা। শুনলাম, আমি নাকি এক বিরল সন্মানের অধিকারী (হতেই হবে, উপরওয়ালার কেয়ামতে পদবী অধিকারী যখন) – জার্মানীর সচলগোষ্ঠীর চেনাপরিচিতির বাইরে আমিই নাকি প্রথম সচল – তখন হাচলও নই, অতিথি লেখক মাত্র – যে তাঁর সাক্ষাতের সৌভাগ্যপ্রাপ্ত হল।

শুনলাম গত সপ্তাহান্তেই কাসেলগড়ের রাজারাজড়ারা বনভোজনে আসছিলেন, কিন্তু কোনো কারণে পিছিয়ে গেছে। সেটাই বোধহয় সদ্য ম্যুনিখপুর অভিযানে রূপ পেয়েছে। আমার বদনসিব, আমি আর কারোর দর্শন পেলাম্না। তা আর কি করা, ধুগোদাই বাকি সচল যাঁরা পরিচিত তাদের সম্বন্ধে কিছু কিছু করে শোনালেন। বললেন, অনেকদিন দেশে ফেরা হয় নাই, ঢাকার সচলদের তেমন কারুর সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হয় নি এখনও পর্যন্ত। আমারও সেই হাল, কবে থেকেই বাংলাদেশ যাওয়া হবে হবে চলছে কিন্তু গুছিয়ে ব্যবস্থা করা হয়ে উঠছে না। তিনি শুনলাম নাকি এই সামারেই চেষ্টা নিচ্ছেন। আমার যে কবে হবে...

সচলালাপের সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম, যার তারিফ করতেই হয়। দেখলাম, আমার মত বহিরাগতের সঙ্গে কথা বলার সময় খুব রেখেঢেকে কথা বলছেন। এমনিতেই নাকি ধুগোদা খুব প্রাইভেট জীবন পছন্দ করেন, খোমাখাতা ইত্যাদিতে নামধামছবি ইত্যাদি বিশেষ টাঙান না, বা কেউ আপ্লোডাক তা চাননা (তা ভাল, আমি ক্যামেরা নিয়ে যাইওনি)। সচল সম্পর্কেও দেখলাম তথ্যাদি বেশিরভাগই জানিনা বলে ঢাকাচাপা দিয়ে গেলেন। তন্মুহূর্তে দুঃখিত হলেও মানতেই হল, একজন দায়িত্বশীল সচল হিসাবে এটাই উচিত ছিল। কয়েক বছর ধরে একটা বাংলা ফোরামের মেম্বর ছিলাম, যার প্রতিষ্ঠাতাদের দাবি সেটাই পশ্চিমবাংলার লোকেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রথম ফোরাম। তার মডু-অ্যাডমিনদের সঙ্গে যখন বন্ধুত্ব হয় তখন অনেক কিছু শিখেছিলাম, তার মধ্যে একটা গুরূত্বপূর্ণ কথা ছিল, সব কিছু পাঁচকান না করা। সচলের ক্ষেত্রে আমার মত অতিথির ব্যাপারে সেটা তো প্রযোজ্য বটেই। কেবল কিছু নিরামিষ কথা হল, যেমন আমি বললাম, তাসনীম ভাই অনেকদিন থেকে হাচল হয়ে আছেন আর দারুণ দারুণ সব লেখা দিচ্ছেন, উনি সচল হচ্ছেন না কেন কেজানে। ধুগোদা বললেন, হ্যাঁ উনি, সঈদ ভাই, এনারা তো সব আছেনই ক্যান্ডিডেট, হয়ত পরবর্তী মডুমিটিংয়েই এনারা সচলে উন্নীত হয়ে যাবেন। আর তার হপ্তাখানেকের মধ্যেই দেখলাম সুখবরগুলো। আমি তুল্লাম মামুদা’র কাছে শোনা সচল ক্রয়প্রস্তাবের কথা, তেনায় দেখলাম এ ঘটনাতে বেশ অবাক। আমি বললাম, আমি হইনি, কারণ ওই ফোরামেও শুনেছিলাম, সেটা জনপ্রিয় হবার পরেই একাধিকজন টাকা ইনভেস্ট করে পার্টনারশিপ বা মালিকানা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অতএব দুর্দান্ত জনপ্রিয় সচলেও বরং এমন কথা না উঠলেই আশ্চর্য হতাম।

আমার মত কচিলেখককে নানা দরকারী পরামর্শও দিসেন। সেগুলো বেশি ফলাও করে বলতে পার্ছিনা, কারণ সেগুলোর কপিরাইট তেনার, আমার তো শুধু ব্যবহার করার লাইসেন্স। বললেন, বাছা, আগে ভাল লিখেটিখে নাম কামাও, সচল হও, তখন একটা নিয়মিত পাঠকশ্রেণী পাবে যাঁরা তুমি লিখলে পড়তে আসবে; তখন আবজাব লেখার সুযোগ পাবে, এখন নয়; এই যেমন আমি এটাসেটা ব্লগরব্লগর করলেও লোকে এসে দেখে, দেখি ধুগো কি লিখল। সেই সুযোগে আমি একটু দুঃখু করলাম, পুরনো সচলরা এখন তো প্রায় কেউই নিয়মিত লেখেন না, কত নাম করব; ধুগোদা বললেন, হ্যাঁ, ওই এক হিমু বেচারাই নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে ওদিকটা। শুধালেম, হিমুদা আর আপনি কি এক কলেজের ছাত্র, তাই এত বন্ধুত্ব? শোনাইলেন, না, মজার ব্যাপার, এক ব্যাচের ছাত্র হলেও আগে আলাপ ছিল না, পরে সামুতে পরিচয় হলে ব্যাপারটা বেরোয়, তখন থেকে দোস্তি; তা কি বলব দুঃখের কথা, হিমু ব্যাটার থেকে থেকে আমি মাসকয়েকের বড়, একটু যে গুরুজন বলে মান্যিগণ্যি করবি, তা না, কেবল তুইতোকারি করে...

শেষে কইলেন, নাঃ, এতক্ষণ ধরে আপ্নার উপর বকবক বর্ষণ করে গেলাম, আপ্নার খিদা পায় নাই? ইমানে কয়েন। বল্লাম, হ্যাঁ, তা কিছু পেয়েছে বটে। জিগাইলেন, কি খায়েন? সব খায়েন? আমি বল্লেম, তা আজ্ঞে দীনদুনিয়ার সবই চলে। তখন বল্লেন, চলেন তাহলে আপ্নারে এক ভাল দোকানে নিয়া যাই। পাকড়াইয়া লয়ে গেলেন এক সিরিয়ান খানাগারে। সেখানে দেখি সারি সারি তাকিয়া পাতা, লাল বাতি জ্বলে আধো অন্ধকারে, ধাড়ি ধাড়ি সুসজ্জিত গড়গড়ায় টান মারে হেলান দিয়ে আয়েশে এলান কয়েকজন। মনে আশা জাগল, হয়ত জায়গাটা একটু ইয়ে... এখুনি ঝলমলে খাটোপোশাকে সজ্জিত খুপসুরৎ বাঁদীরা বাজনা হাতে এসে পাৎলি কমরিয়া দুলিয়ে নাচাগানা শুরু করবে। তবে সে কথা গুরুজনকে শুধাতে পার্লাম না। দেখি, হায় কিস্মৎ, সেসব না এসে এল এক তালঢ্যাঙা হাবসি, এসে গুপ্তভাষায় কিসব কথাচালাচালি করল তেনার সঙ্গে, তার্পর কেটে পড়ল। ভাবলাম হয়ত কাস্টমমেড হুরের অর্ডার দিচ্ছেন। কিন্তু সব আশায় পচাপানি ঢেলে তারপরেই মেনুবুক হাতে এল এক ফর্সা ছোঁড়া। নির্বাণপ্রায় আশাপ্রদীপ শেষবারের মত উসকে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এগুলি কিসের জন্য? উত্তর এল, নৈশাহার, আবার্কি। ধুক করে নিভে গেল বুকভরা আশা, অনুরোধিলাম, জর্মনভাষাবৈতরণী আপ্নেই পার কইরা দেন। তা বেছেবুছে দুইখান কাবাব অর্ডার কর্লেন, বড়ই তরিবৎ করে খেলাম। মাশাল্লা দামও দিতে দিলেন না। শুধালেম, নাচীজের উপর কেন এত দয়া? আবার সেই ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা মার্কা হাসিখানা দিলেন।

বিদায়ের আগে বল্লেন, সহজ উপদেশ দিচ্ছি, যদি চটজলদি পপুলার হইতে চান তাইলে পপুলার কোনো সচলরে পচাইয়া একখান লেখা ছাড়েন। তখন সদ্য অমন একখান লেখা লইয়াই ঘোর গোলমাল, কসম খাইলাম, আপাতত অমন কিস্যু করুম্না। সইত্য কই, এই লেখাটাও কারুরে পচাবার লগে নয়। কেবল একজন প্রিয় লেখকের সঙ্গে সাক্ষাতে যে আনন্দ, তার থেকেই লেখা। অমন একজন সচল আমাকে যে এতটা পাত্তা দিলেন, সময় দিলেন, তার কৃতজ্ঞতা স্বীকারটুকু না করলে বেইমানি হত। তাই।

---------

শেষপাত:
বিয়ারল্যান্ডের বাকি সচলদের দর্শনী দেওয়া (ইঞ্জিরিতে যারে কয়, পে এ ভিজিট) হল না এযাত্রা, তবে এখন হপ্তাকয়েক কলকেতায় আছি, হেথায় কেউ সচলাড্ডায় আগ্রহী হলে খবর দেন।
আর আগস্টের শেষে যেতে হবে ভ্যাঙ্কুভারে, ইনশাল্লা সুজন্দারে হাতদুখানা তো দেখতেই হচ্ছে। ধুগোদা পরামর্শ দিছেন, নিজের একখান খোমা আঁকাইয়া লয়েন এ মোকায়। আমি অবশ্য অতটা অত্যাচার করতে রাজি নই, আর তাছাড়া গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল করে লাভ কি?


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হে হে হে
আপনারে ধুগো ইন্টারন্যাশনালের বস্টন শাখার ইঞ্চার্জ করার দাবী জানাবো নেক্সট মিটিং-এ। আসল কাহিনিতে কিঞ্চিৎ তৈল আর জৈল মিশায়ে মুখরোচক খিচুড়ি রন্ধনটা একমাত্র ধুগো ইন্টারন্যাশনালের ক্রেডিট। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কৌস্তুভ এর ছবি

হে হে। বেশ বেশ, কাগজপত্রের ব্যাপার কি আছে বলেন। অতলান্তিকের এ পাড়ের ভগ্নীপতিদের দায়িত্ব আমিই নিয়ে ফেলি তাহলে।

তাসনীম এর ছবি

আমারো তাই ধারণা, ধূগো কোন মানুষ নয়, একটি প্রতিষ্ঠানের নাম।

ছোট্ট উপদেশ, ওদের সাথে ঘুরলেও লিফটে উঠবেন না...

কেবল কিছু নিরামিষ কথা হল, যেমন আমি বললাম, তাসনীম ভাই অনেকদিন থেকে হাচল হয়ে আছেন আর দারুণ দারুণ সব লেখা দিচ্ছেন, উনি সচল হচ্ছেন না কেন কেজানে। ধুগোদা বললেন, হ্যাঁ উনি, সঈদ ভাই, এনারা তো সব আছেনই ক্যান্ডিডেট, হয়ত পরবর্তী মডুমিটিংয়েই এনারা সচলে উন্নীত হয়ে যাবেন।

ভবিষ্যতবাণী ১০০ ভাগ সফল, ধূগো কি ছদ্মবেশী "ধূসর মডু"? সেক্ষেত্রে মনে হয় আমার সুন্দরী অবিবাহিতা শ্যালিকা থাকাটাও সচল হওয়াতে সাহায্য করেছে।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

সদুপদেশের জন্য ধন্যবাদ; সত্যিই বিয়ারল্যান্ডের সচলদের সঙ্গে আর লিফটে নয়... খাইছে

হুমম... সচলে উন্নীত হওয়া আর শ্যালিকা থাকার কোরিলেশন কষার জন্য কমিটি নিয়োগ করতে হয় তো তাহলে...

দময়ন্তী এর ছবি

আপনি বাংলালাইভে ছিলেন?? লিখতেন??
আমি ২০০৫ এর মার্চ/এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে প্রচুর তর্ক করেছি৷ আপনাকে তখন দেখি নি৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কৌস্তুভ এর ছবি

না দমুদি, আমি বাংলালাইভের কথা বলছিলাম না। আমি যে অর্থে ফোরামের কথা বলছি, তার উদাহরণ হল অভ্র'র সাপোর্ট ফোরাম, যেটা আমার বাংলালাইভকে মনে হয় নি। অবশ্য সবচেয়ে বড় কথা, 'সবচেয়ে পুরোনো ফোরাম' এটা ওই প্রতিষ্ঠাতাদের দাবি মাত্র, আমি সত্যিমিথ্যা জানি না। সেইভাবেই কোট করেছি।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হিমু ভাইরে দেক্সি- দ্রুহী মিম্বররেও দেক্সি...

সচলের দুইটা লোকের সহিত দেখা করবার এখন আমার শখ। একজন খাজাবাবা ধুগো, আরেকজন দলছুট ভাই। এরা দুইজনেই মানুষ না, প্রতিষ্ঠান ...

লেখা দারুণ।

_________________________________________

সেরিওজা

কৌস্তুভ এর ছবি

ওহোহো, দলছুট ভায়ের কথা আবার মনে পড়ায়ে দিলেন! উনি সত্যিই একটা প্রতিষ্ঠান, কত বহুরূপে যে সচলদের সম্মুখে এসেছেন!

মুস্তাফিজ এর ছবি

বিদায়ের আগে বল্লেন, সহজ উপদেশ দিচ্ছি, যদি চটজলদি পপুলার হইতে চান তাইলে পপুলার কোনো সচলরে পচাইয়া একখান লেখা ছাড়েন।

এইটা হইলো ধু্লিস্টিক হাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

কৌস্তুভ এর ছবি

হ... আমারে গণপিটুনি খাওয়ানের লগে...

শ্যাজা এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

না, আমি বিএল এর মেম্বর ছিলাম না কখনও।
পড়ার জন্য ধনেপাতা...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

্সাধু, সাধু...

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ দিতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু ভাবলাম, আগে জেনে নিই, সাধুবাদটা ঠিক কেন - ধুগোদা আমারে কাবাব খাওয়াইলেন বলে? খাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।