ক্রিকেটার আলু হকের পুরষ্কার-বিতরণী অনুষ্ঠানগুলিতে বক্তৃতার মত বলতে ইচ্ছা করে, “আল্লা আমার পরে বড়ই মেহেরবান। তিনি আমার গুরুজিরে বড়ই দরাজদিল করে গড়েছেন, ইনশাল্লা তাঁর দয়ায় এই দিনদুনিয়ার নানা কোণা ঘুরে ফেললাম এই বয়সেই। মাশাল্লা, সেসব জায়গার সচল বন্ধুরা আমাকে মেহেরবানি করে অনেকটা সময়ও দিয়েছেন। খোদাতালার দয়া থাকলে ভবিষ্যতে আরো সচলদের সঙ্গে দেখা হবে, উমিদ রাখি। আলহামদুলিল্লাহ।”
কদিন আগে ছিলাম জর্ম্মনদেশে, সেখানে ধুগোদা কৃপা করে অডিয়েন্স দিলেন। সেখান থেকে কলকেতা ঘুরে যখন বস্টন ফিরলাম তখন ভ্যাঙ্কুভারের কনফারেন্সের আর এক সপ্তাহ বাকি। ভিসা পাব কি না অত অল্প সময়ের মধ্যে, চিন্তা হচ্ছিল। তড়িঘড়ি ছুটলাম নিউইয়র্কের কানাডা কনসুলেটে, সেখানে তিন ঘন্টা লাইন দিয়ে হাতে হাতে ভিসা করিয়ে নিয়ে এলাম।
পেয়েই প্রথম যে কাজটা করলাম সেটা হল সুজন্দাকে ইমেল। মিয়া, আপনার শহরে যাচ্ছি, দেখা না করলে দিলে বড় চোট পাব। উনি বললেন, খাড়ান খাড়ান, কানাডার ভ্যাঙ্কুভার আসতেছেন না আম্রিকার? কদিন আগে মূলোদা কিন্তু ওই ভ্যাঙ্কুভার ঘুরে গেছেন। আমি বললাম, না না, আপনার সচল প্রোফাইল দেখে নিশ্চিত হয়ে নি’ছি।
গিয়ে দু-তিনদিন ঘুরলাম শহরটা আমরা বন্ধুরা মিলে। বড়ই সুন্দর শহর, ডেলিগেটরা সবাই বলতাছে, এমন সুন্দর জায়গা ছেড়ে লেকচারে গিয়ে ভ্যাজরভ্যাজর শুনুম ক্যান? যেখানে পঞ্চাশ-একশজন হেসেখেলে বসতে পারে সেখানে আমার প্রেসেন্টেশনে ছিল মাত্র ছয় জন। তাও সে এক কেচ্ছাকাহিনী। প্রত্যেক কনফারেন্সের মতই এবারও আমার দেওয়ার কথা ছিল পোস্টার, যেটাকে টাঙিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেই হয়ে যায়, লোকজনে পড়ে চলে যায়, খুব পাষন্ডেরা দুচারটে প্রশ্ন করে (আমার দোস্তের ছিল পোস্টার, সেখানে স্রেফ তিন জন এসেছিল, কেউ কোন প্রশ্নই করেনি)। অনলাইন জমা দেওয়ার সময় ডিফল্ট অপশনটা ছিল টক দেওয়ার সেটা আমি বদলাতে গেছি ভুলে। হঠাৎ একদিন ওদের থেকে ইমেল এল দেখি তোমার টকের সেশন নাম্বার এত ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি তো ইয়া গজব বলে খানিকক্ষণ কান্নাকাটি করলাম, তারপর গুরুজিরে দিলাম ফোন। গুরুজি বললেন, খোকা, আর কতদিন পোস্টার সেঁটে চালাবে? এরপর চাকরির ইন্টারভিউ দেবে, পেঁপেচোর হবে, ক্লাস নেবে, সব জায়গাতেই তো বক্তিমে দিতে হবে। এটাই ভাল হয়েছে, ডরপোক সাঁতার-শিক্ষার্থীকে ঠেলে জলে ফেলে দেওয়ার মত, টক যখন পেয়েছ তখন দিয়েই এস। তা আমার বেলায় যে ছজন ছিল তাদের জন্নতবাস মঞ্জুর হোক, কোনো নাপাক প্রশ্ন করেনি তারা।
সে যা হোক, আমার কাজকম্ম হয়ে যাওয়ার পরে সুজন্দা মেল করলেন, যে মঙ্গলবার বিকালে আপনারে আমার বাসায় লইয়া আসুম। আমরা সকালে বেড়াতে গেছিলাম ক্যাপিলানো সাসপেনশন ব্রিজ, তড়িঘড়ি ফিরে এসে ফিটবাবুটি সেজে হোটেলের নিচে এসে সময়মত দাঁড়ালাম। আমার ডিফল্ট বেশ, একখান (জংলা প্রিন্ট, লাল নয়) পাঞ্জাবীই পরেছিলাম, যাতে সুজন্দা দূর থেকেও এই গাঁইয়ারে চিনতে ভুল না করেন। হলও তাই, দূর থেকেই দেখি কালামিঁয়া আমার দিকে হাত নাড়তেছেন। কাছে যেতেই হাত মিলালেন, সেই হাত, যা দিয়ে শুধু কিনা জাদুদন্ডের বদলে পেন ধরে অমন মায়াবী সব ছবি সৃষ্টি করে থাকেন। তাও নিশ্চিত করে নিতে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি ন্যাটা নন তো?
স্কাইট্রেন ধরে বার্নাবী যেতে যেতে নানারকম কথাবার্তা হল। ওনার কালা ক্যারেক্টারটা নিয়ে কথা হল, আইডিয়াটা পেলেন কিভাবে, কেন ওইটা নিলেন, আরেকজন কালার সঙ্গে আলাপ হল কিভাবে ইত্যাদি। কিন্তু সেসব আপনাদের কমু না, পেরাইভেট টক! তবে কানে কানে বলতে পারি – বললেন, অনেক দিন আগে কালা জাহাঙ্গীরের একটা কার্টুন করেছিলেন, যাতে একটা লোক নর্দমায় পড়ে কালা হইয়া গেছে, কালা জাহাঙ্গীর তাকে দেখে হাসতেছে, আর সে বলছে, ওই মিয়া, আমি তোমার মত কালা না, স্রেফ ড্রেইনে পড়ে কালা হইয়া গেছি। সেই কার্টুনটা পরে একদিন খেয়াল হল, তখন ভাবলেন, ওই ব্যাটা যেমন কালা নাম নিয়ে খারাপ কাম করত, তেমন আমি তো কালা নাম নিয়ে ভাল কাম করতে পারি, ব্যাটা জামাতিদের খোঁচা দিতে পারি। সেই থেকে ওই মূর্তি।
সুজন্দা কারোরে স্নেহ করলে বদ বলেন। জার্মানীতে ধুগোদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল বলতেই কইলেন, ধুগো? ওই ব্যাটা বদ আছে। আবার বললেন, আমার ছোটভাই, জার্মানীতে থাকে, যাকে ওরা বদ্দা বদ্দা বলে, সে ব্যাটা মহা বদ, অসুখ করলে খবর দেয় না; আমি আগে ব্লগ-টগে যেতাম না, কিন্তু একবার হপ্তাখানেক খবর না পেয়ে সামুব্লগে ঢুকে দেখি, একজন লিখেছে, বদ্দার শরীর খারাপ, হাসপাতালে আছে অনেকদিন; আমি প্রথমে বিশ্বাস করি নি, তারপরে খবর পেয়ে ওকে ফোন দিলাম, দেখি সত্যিই – সেই যে ব্লগে ঢুকলাম আর বেরোনো হয় নি। ওর বন্ধু হিসাবেই আপনাদের হিমুর সঙ্গে আলাপ। তারপর তো সবাই মিলে সচলায়তনে যাওয়া হল। শুনলাম ওকে নাকি সব বন্ধুরা কাইল্যা বলে ডাকত। তা ওর নানারকম বদ কান্ডকারখানা আছে, তা সে আপনাকে বলা যাবে না।
আমি জার্মানী গিয়েও কাসেল যেতে পারিনি বলে অনেক বকাবকি করলেন। তখন হিম্ভাইয়ের সঙ্গেই চ্যাট করতেছিলেন, বললাম, আপনার গুরুগম্ভীর কালাতো ভাইরে ভয় লাগে, দিন না আলাপ করায়ে। কিন্তু ওদিকের লোক সটান কাটায়ে দিলেন, সুজন্দা ফিরে বললেন, ইয়ে, হয়েছে কি, ও বলল এখন ব্যস্ত আছে, কি একটা সিরিয়াস লেখা লিখতেছে, পরে বরং আপনি আলাপ করে নেবেন খন।
সুজন্দা স্ট্যাটিস্টিশিয়ানদের বড় প্রিয়পাত্র হবেন। র্যান্ডম ভাবে কখনও আমাকে আপনি কখনও তুমি বলে চলেছেন। দোলন বৌদি বড় ভাল, শুরু থেকেই আমাকে তুমি করে ডাকতেছিলেন। আর পিচ্চি দুইটা বড় মিষ্টি। বড় জন, দেশিক সাহেব, যিনি তিন তিনটা বছর পার করে ফেলেছেন, গেস্ট বলে আমার সঙ্গে কেবল ইঞ্জিরিতেই কথা কয়ে গেলেন। আর সেবন্তী ম্যাডাম, যিনি সবসময় বাবার কোলে থাকতেই পছন্দ করেন, তিনিও আমাকে যথাবিধ অভ্যর্থনা জানালেন বই কি।
সুজনদা বললেন, পিচ্চিদের ক্যারিকেচার আঁকা বড় সমস্যা, এমনিতেই তাদের উল্লেখযোগ্য ফিচার বেশি না, তারপর একটু বেশি ক্যারিকেচার-সুলভ জিনিসপত্র করতে গেলেই মুশকিল, তাদের বাবা-মা চটে যেতে পারে। এদিকে পার্টিতে অনেকেই বলে তাদের বাচ্চার ছবি এঁকে দিতে, আবার পিচ্চিবাবুরা সব ব্যস্ত মানুষ, তাঁরা স্থির হয়ে সিটিং দিতেও চান না, মহা ফ্যাসাদ!
ও, বলে রাখি চুপিচুপি, দোলন ভাবী যা রান্না করেন না! (নিশ্চয়ই সব রান্নায় আলু দেন – যা কিছু ভালু তার সাথে আলু...) ভাবীও কিন্তু আর্টেরই লাইনের, কলাকেন্দ্রেই সুজন্দার সঙ্গে পরিচয়, হেঁ হেঁ... অতএব যদি সুজন্দার করা আপনার ক্যারিকেচার আপনার পছন্দ না হয়ে থাকে এবং সেই কারণে ওনার উপর রেগে থাকেন, তাও মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে একটা দাওয়াত জোগাড় করে নেন। ভাবীর রান্না না খেলে পস্তাইবেন। অবশ্য তাও আমাকে কিঞ্চিত পস্তাইতে হয়েছিল, কারণটা এইরকম – সুজন্দা আমারে ফোন দিয়েছিলেন, যে আপনি সব খান তো? কিন্তু তাও বাঁকাচাঁদবাবু-বর্ণিত দুরাচার নেড়েদের মত গোস্ত খাইয়ে এই সদ্ব্রাহ্মণের ধর্মনাশ করতে চান নি বলে ওইটা বাদ রেখেছিলেন। খাইতে বসে কেবল কান্দি, আর বলি, ও সুজন্দা, দুর্জনের মত এইটা কি করলেন? দোলন ভাবীর হাতের গোস্ত, না জানি কেমন অমৃত হইত, আমি সব খাই বলা সত্ত্বেও আমারে খাইতে দিলেন্না? সুজন্দা সান্ত্বনা দিলেন, কোন ব্যাপার না, আবার আসেন তখন খাওয়ানো যাবেখন।
গল্পসল্প করতে করতে সুজনদাদের কালাইডোস্কোপ দেখলাম, ওনার অ্যানিমেশনের জাদু দেখলাম, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না বলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওনার কার্টুনের ভিতরের মজাটা বুজতে পারতাম না, সেগুলো জিজ্ঞেস করে নিলাম, যেমন পৌনেপাৎলুন ঢ়ৈষু... কার্টুন, ক্যারিকেচার, সিনেমা ইত্যাদি নিয়ে অনেক গল্প হল, ছোট থেকে এসব বিষয়ে খুব আকর্ষণ ছিল তাই সুজনদার সঙ্গে আলাপ করে খুব ভাল লাগল। দুদেশের কার্টুনিস্টদের নিয়ে কথা হল, উনি আমাকে শিশিরবাবুর কথা বললেন, আঁকা দেখালেন; আমি বললাম যে কদিন আগে আনন্দবাজার গ্রুপের কার্টুনিস্ট দেবাশিস দেবের একটা সাক্ষাৎকার নিয়েছি, সেটা শুনে খুব খুশি হলেন, বললেন আমরা তো ভেবেছিলাম উনি মারাই গেছেন বোধহয়, অনেকদিন ওনার করা ছবি দেখি না...। সুজনদা আমার কয়েকটা ছবি তুলে রাখলেন, বললেন যে আমারও একটা খোমা এঁকে দেবেন; এই পরামর্শই ধুগোদা কয়েকদিন আগে দিয়েছিলেন যে ওদিকে গেলে একটা খোমা আঁকায়ে লইতে ভুলবেন না।
সব মিলিয়ে খুব ভাল কাটল সন্ধ্যেটা। যাঁর হাতের জাদু দেখে মুগ্ধ হই বারেবারে তাঁর সঙ্গে আলাপের আনন্দস্মৃতি নিয়ে হোটেল ফিরলাম। আশা করছি, সুজন্দা কখনও আমারেও বদ সম্বোধন করবেন...
মন্তব্য
কালা জাদুকরকে ভালা পাই। আমি তার বি - শা - ল ফ্যান।
কৌস্তুভ ভাই, আপ্নের ছবি তোলার হাত দুর্দান্ত।
ফাহিম হাসান
ধন্যবাদ ফাহিম। আম্মো তাঁর বিশাল ফ্যান।
ছবি আর আমি কি তুলি। ফটুকের বাঘ বাঘেল্লারা সব সচলায়তনে ঘুরে বেড়ান।
সুজন্দারে দেখিনা অনেক দিন। গেল কৈ
কৌস্তুভরে জিগান!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আপনার তো ভাই রাজকপাল! প্রথমে ধূগো, এরপর সুচৌ...
ছবিতে উত্তম!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হেঁ হেঁ... তালিকাটা আরো বাড়ানো যায় কি করে বলুন তো?
বেটা বদ! বলবো না বলবো না করে সবই বলে ফেল্লো!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
কই আর সব বল্লাম? এই যে আপনি খেতে বসার সময় আমি চামচ দিয়ে খাইতে চাই কিনা সেটা জিগায়ে আমার বাঙালিত্বের হেন ঘোর অপমান করলেন, সেটা কি কয়েছি? ... এই যাঃ, এখন কয়ে ফেললাম যে!
হ ক্যায়দা বটে ১খান! খাড়ান!
মিয়া হার্বাডে পড়েন! আমি ভাবলাম কাঠি না চামচ কোন্টা দিয়া খায় কে জানে!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
- সুজন্দার হাসিটা সেইরম।
ভাবতেছি এই হাসিটারও একটা স্কেচ করে সুজন্দাকে পাঠামু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
'হ দ্যান!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আম্রাও দেখতে চাই!
আমি যেহেতু ঠিক করছি বড় হইয়া সুজন্দা হমু। তাই পিড়াকটিশ হিসাবে সুজন্দা অনুমতি দিলে আমি ওনার একটা স্কেচ করতে চাই।
কি মাঝি, ডরাইলা?
আমিও এই কথাই কয়েছিলুম, যে সবাই বড় হয়ে সুজন্দা হইতে চায়। কইলেন, হ, ছাড়েন ওইসব, দুষ্ট পোলাপানরা মস্করা কইরা ব্লগে ওইসব কথা কয়...
দ্যাখো কী কাণ্ড! সবাইরে কয় বদ আর আমার নিয়ত ভালা তাই আমারে কয় দুষ্ট!!!!!!!!! যামু কৈ?
কি মাঝি, ডরাইলা?
আমার সাথেও সেদিন সুজন্দার দেখা হয়েছিল। একই শহরে থাকি সেটা জানতামই না। সচলের পাতা থেকে সামনাসামনি দেখতে পাবো, তাও এত তাড়াতাড়ি সেটা আশা করিনি।
কালা জাদুকর জিন্দাবাদ...
পাগল মন
হ, কইছিলেন, ইউবিসির কার বিয়াতে গিয়া অনেক পোলাপানদের সঙ্গে দেখা হইসে, যার মধ্যে আমি জিগাইছিলাম আপ্নেও ছিলেন কি না...
কালা জাদুকর জুনিয়র দুইটা সুইট আছে।
কৌস্তুভ, আপনার নেক্সট প্ল্যান কী? টারগেট কোন সচল?
ভাল প্রশ্ন... কাকে করা যায় বলুন তো?
পরের হপ্তায় সিরাত ভাই আসছেন এদিকে... আর তো কাউকে দেখছি না!
কালারা ভালা
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
একদম ঠিক। আর আমি একেবারে ঘুটঘুটে, তাহলেই বুঝে নিন...
সুজন চৌধুরী লোক ভাল না। বহুদিন ধরে একটি ছবির কথা বলছি। গান ঘুষ দিলাম। কিন্তু তার একই গান--ভাই বিজি।
এই নোট পড়ে তো তা মনে হয় না।
সুজন চৌধুরী লোক মন্দ।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
হুম। আমিও ছবির অপেক্ষায় আছি, বা বলা ভাল ছবিরাও আমার অপেক্ষায় আছে, এখন মাঝে সুজঞ্চৌ সেতু হয়ে কবে দেখা দেবেন অপেক্ষা করি...
সুজন চৌধুরীর ক্যারিক্যাচার/কার্টুনের একজন মুগ্ধ ভক্ত আমি। যেরকম চিন্তা করেছিলাম, তার সাথে মিল পেলাম না। কৌস্তুভকে ধন্যবাদ লেখা আর ছবির জন্য।
ক্যান, সুজন্দার প্রোফাইলেই তো খোমাচিত্র আছে। আপ্নে কেমন চিন্তা করেছিলেন?
সুজন্দার ফটোর চেহারা পরিচিত লাগে। রায়েরবাজার নাইলে চারুকলা - কোথায় দেখসি?
- আমার মনেহয় কাসেল-এ দেখছেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কৌস্তুভ, আপনি কী করলেন রে ভাই? সুজন চৌ এর ছবি পোস্ট করে আমার মনের মধ্যে আঁকা সুজনদার ছবিটাকে ভজঘট করে দিলেন একেবারে।
তবে আপনার লেখা খাসা। এত কম লেখেন কেন?
এই তো মুশকিল, এবার কি তিনমাস জেল আর সাতদিনের ফাঁসির হুকুম দিবেন?
আর লইজ্জা দেন কেনে পিপিদা। গত তিনমাসে বাড়িতে থাকলাম কট্টুকু? আর থাকলে কি এত দেখাসাক্ষাত হত?
লেখা ও ছবি ভালো লেগেছে। আপনার খোমার কার্টুন পান নাই এখনো?
আমি সিয়াটল গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে, আরেকটু গেলেই মনে হয় যোগ দিতে পারতাম আপনাদের সাথে আর খোমার একটা ছবিও দিয়ে আসতে পারতাম সুজনদার জিম্মায়।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাঃ, পেলাম কই এখুনো...
সিয়াটল অবধি যে এসেছিলেন সেটা যদি কাউকে না বলেন, তাহলে আর কি করে হবে?
ছিলাম মাত্র কয়েক ঘন্টা
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুমম... যান, মাফ করলাম...
নতুন মন্তব্য করুন