জাদু চামচ

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/১০/২০১০ - ১০:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

 

মনে করুন আপনি একটা টিপটপ রেস্টুরেন্টে গেছেন ব্রেকফাস্টের জন্য। ঝকঝকে ভোরবেলা, টেবিলের উপর গ্লাসে রাখা টাটকা সাদা গোলাপটার উপর রোদ এসে পড়ছে। খুশি খুশি মনে পাশের টেবিলের মহিলাটির দিতে তাকালেন এক বার। ফিটফাট পোষাকে ওয়েটার এসে মেনু আর এক গ্লাস ঠান্ডা জল দিয়ে গেল টেবিলে। মেনু দেখে আপনি ভাবলেন, আজ কন্টিনেন্টাল ট্রাই করা যাক। ওয়েটারকে বললেন, অমলেট দিয়ে টোস্ট, অরেঞ্জ জুস, আর দুধ ছাড়া চা; বেশি কিছু না আজকে। জলদিই খাবারপত্র দিয়ে গেল ওয়েটার। সুন্দরভাবে ভাঁজ করা আকাশী ন্যাপকিনটা কোলে পেতে নিয়ে গরম টোস্টে এক কামড় দিলেন আপনি। উমম। বেশ করেছে জিনিসটা। এবার একটু চা খাওয়া যাক। আপনি আবার স্বাস্থ্যসচেতন। চিনি না নিয়ে পাশের সেট থেকে জিরো-ক্যালরি সুইটনারটাই নিলেন আপনি। কাপে ঢেলে চামচ দিয়ে অল্প করে মিশিয়ে নিলেন।

কিন্তু চা থেকে চামচটা তুলে আপনি হাঁ। ডাঁটিটুকু হাতে রয়ে গেছে শুধু, চামচের বাকিটা কই? চায়ে মিশে গেল নাকি?

কোনো ভদ্রসভ্য রেস্টুরেন্টে এমন হলে অবাক হবার কথা বইকি। কিন্তু ব্যাপারটা কি? রেস্টুরেন্টের লোকেরা একটু মজা করেছে আপনার সঙ্গে। রোজকার স্টিলের চামচ না দিয়ে একটা গ্যালিয়ামের চামচ গছিয়ে দিয়েছে আজকে। ওই দেখুন পাশ ফিরে, কিচেনের আড়াল থেকে সুন্দরী ওয়েট্রেস মুখে রুমাল চাপা দিয়ে খিলখিল করে হাসছে। আপনার রাগও ওই চামচের মতনই গলে জল হয়ে যাবে।

৩১ আণবিক-সংখ্যা বিশিষ্ট গ্যালিয়াম একটি ধাতু, পর্যায়-সারণীতে অ্যালুমিনিয়ামের ঠিক নিচেই, স্বভাবচরিত্রও তারই মত, দেখতেও সেরকমই। শুধু, মাত্র ৩০ ডিগ্রী তাপমাত্রাতেই গলে যায় পাজিটা। সেই জন্যেই গরম চায়ে ডোবানো মাত্র গলে গিয়ে আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে। তবে চিন্তা নেই, চা-টা এখনও খাওয়া যাবে – তরল ধাতু ভারী বলে তলায় গিয়ে থিতিয়ে গিয়েছে, আর গ্যালিয়াম বিষাক্ত নয়।

 

পর্যায় সারণীর প্রতিটি মৌলের স্বভাবচরিত্র নিয়েই এমন কত গল্প বলা যায়। এমনকি সেই সব মৌল, যাদের প্রাকৃতিকভাবে এই পৃথিবীতে পাওয়া যায় না, তাদের আবিষ্কার নিয়েই তো এক একটা রোমহর্ষক কাহিনী লিখে ফেলা যায়। আর তাদের কীর্তিকলাপ? এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি থেকে আমাদের শরীর, সর্বত্রই তাদের কাজকর্ম, একচুল এদিকওদিক হলেই গেল... কি ভাগ্যি তারা সবাই পদার্থবিদ্যার নিয়ম মেনেই চলাফেরা করে, বদমাইশির সুযোগ নেই।

জানেন কি, পদার্থবিজ্ঞানী মারী কুরী’র স্বভাব ছিল পুরুষ সহকর্মীদের বাড়ি গেলে তাদের নিয়ে অন্ধকার আলমারীর মধ্যে লুকিয়ে পড়া? কেন? কি করতেন তিনি ওভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে? উঁহু, দুষ্ট পাঠক, আপনার মনই ময়লা। মানলাম, মারী দিদিমনির এক্সট্রাম্যারিটাল অ্যাফেয়ার ছিল, কিন্তু ওভাবে কেবল ডেমনস্ট্রেশনের জন্যই লুকোতেন তেনারা। অমন কি গবেষণা করতেন? জানতে হলে পড়তে হবে, ‘দা ডিস্যাপিয়ারিং স্পুন’, যার নামের উৎস থেকেই শুরুর ঘটনাটি বানানো।

বিজ্ঞান নিয়ে নন-ফিকশন পড়তে আমি বেশ পছন্দ করি। সদ্য শেষ করলাম, স্যাম কীন’এর ওই ‘দা ডিস্যাপিয়ারিং স্পুন’ বইটি। বেশ মুখরোচক লেখা। ভদ্রলোক গবেষক নন, একজন আমেরিকান লেখক ও জার্নালিস্ট। অনলাইন ম্যাগাজিনগুলোতেও লেখেন-টেখেন, লেখার হাত ভাল। এই ২০১০ সালেই বেরিয়েছে বইটা, সাড়ে তিনশ পাতার বই হলেও বড় বড় হরফ, চটপটই শেষ হয়ে যায়।

এই বইটা মূলত পর্যায়-সারণী ধরে প্রতিটি মৌলের চরিত্র-কথন। কিন্তু একেকটা মৌল ধরে খানিকটা করে বিবরণ, এমন নয়, তাহলে হয়ত বোরিং হতে পারত। কয়েকটা মৌল, যেগুলোর ব্যবহার বা গুরুত্ব কাছাকাছি রকম, সেগুলো নিয়ে একেকটা অধ্যায় বানান উনি। যেমন ‘পলিটিকাল এলিমেন্টস’ বলে একটা অধ্যায় করেছেন, যে সব মৌলের উৎস বা ব্যবহারের মধ্যে রাজনীতির গল্প মিশে রয়েছে। যেমন – আবার মাদাম কুরী।

পোল্যান্ডে মারী স্লোদোস্কা নামে জন্মেছিলেন যখন, তখন পোল্যান্ড রাষ্ট্রটার অস্তিত্বই নেই, রাশিয়া দখল করে রেখেছে। মেয়েদের পড়াশোনারও বিশেষ সুযোগ নেই। চলে যান ফ্রান্সে, সেখানে পিয়ের কুরীকে বিয়ে; দুজনে মিলে গবেষণা করতেন। কিন্তু পরাধীন দেশের প্রতি টানটা ছিলই। তেজষ্ক্রিয়তা সম্বন্ধে গবেষণা করতে করতে আবিষ্কার করেন দুটি নতুন তেজষ্ক্রিয় মৌল, আর দেশের প্রতি সম্মান দেখাতে তার একটার নাম দেন পোলোনিয়াম। আশা ছিল, এতে হয়ত সারা দুনিয়ার বিজ্ঞানীদের কিছুটা সহানুভূতি আসবে পোল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি।

কিন্তু সুবিধা হল না। বিজ্ঞানীরাও মানুষ; তাঁরাও তখন মাদাম কুরীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দুষ্টুমিষ্টি গল্পেই আকৃষ্ট। আর সেসব ছড়ানোর উপাদান যে ছিলই, সে তো দেখলেনই। আসলে সে সময় অনেক বিজ্ঞানীই তেজষ্ক্রিয়তা বিশ্বাস করতেন না, তাঁদের মতে পরমাণু অবিভাজ্য। এবং সে সময় প্রায় সব বিজ্ঞানীই পুরুষ। তাঁদের বিশ্বাস করানোর জন্যই অন্ধকার আলমারীতে ঢুকে তেজষ্ক্রিয় বিচ্ছুরণের আলো দেখাতেন তেজষ্ক্রিয় ধাতুর থেকে। আর সেসব বিজ্ঞানীদের বৌ রা... যাহোক, ওই দেশাত্মবোধক উদ্দেশ্যে মাদাম কুরী ঠকেই গেলেন, কারণ পরিচিত হবার মত কোনো রাসায়নিক গুণই পোলোনিয়াম’এর ছিল না। বরং অন্য আবিষ্কৃত ধাতুটি, রেডিয়াম, যার তেজষ্ক্রিয় জ্যোতি দেখাতেন তিনি আলমারিতে লুকিয়ে, সেটাই তার ধর্মের কারণে প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠল। লোকে রেডিয়াম-গোলা জলও বিক্রি করতে শুরু করল, খেয়ে যাতে শরীরে অমন ‘তেজ’ হয়।

পোলোনিয়াম সংবাদের হেডলাইনে এসেছিল অবশ্য কিছুদিন আগেই। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি’র প্রাক্তন গুপ্তচর লিটভিনেঙ্কো ওই সংস্থারই কিছু বেচাল ফাঁস করে দিতে পারেন এমন কথা ওঠার অল্পদিন পরেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দ্রুত মারা যান। জানা যায়, ওরাই ‘আপদের শেষ রাখতে নেই’ পন্থায় লন্ডনের রেস্তোরাঁয় তাঁকে পোলোনিয়াম-দেওয়া সুশি খাইয়েছিল, যাতে শরীরে তেজষ্ক্রিয়তার প্রভাবে তিনি দুনিয়া থেকে গুডবাই হন। দেখেন, রেস্তোরাঁয় কতরকম কেচাল হতে পারে!

বইটাতে এমন বহু গল্প রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটাই খুব ইন্টারেস্টিং। ওই দেখুন, একটা মৌলের মধ্যেই কেমন তার আবিষ্কারকের সম্বন্ধে গল্প, আবিষ্কারের ঘটনা, নামকরণের জটিলতা, তার অদ্ভুত সব প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক ধর্ম, তার ব্যবহার, আমাদের জীবনে তার কি কাজ, এসবের কত কেচ্ছাকাহিনী ঢুকে পড়েছে। তাও সহজে পাওয়া যায় না, সাধারণভাবে কোনো কাজে লাগে না, এমন একটা মৌল সম্বন্ধেই।

আর এইসব গল্পের সঙ্গেই মিশে আছে পদার্থবিদ্যা আর রসায়নের সব গল্প। যেমন নানা উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কারের মাধ্যমে এইসব মৌল আবিষ্কারের উপায় হয়েছে, তেমনই এদের আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই নতুন প্রযুক্তি পাবার পথ হয়েছে।  আর সেসব প্রযুক্তি আজকাল আমাদের শোনাতে পারছে সেই বিগ ব্যাং এর গল্পও। আবার ভবিষ্যতে প্রযুক্তি কোনদিকে এগোবে, সুপারকণ্ডাক্টার আর কোয়ান্টাম কম্পিউটিংএর পথে কি না, তা নিয়েও গবেষণার খোরাক দিচ্ছে।

শুধু পদার্থবিদ্যা আর রসায়ন কেন? মৌলরা দিকনির্দেশ করে দিচ্ছে সব ধরনের বিজ্ঞানেরই। কার্বন ডেটিং করে বলতে পারছি ফসিলের বয়স। সীসা-ইউরেনিয়ামের অনুপাত মেপে ভূ-তত্ত্বের লোকেরা বলছে পাথরের বয়স। শরীরের মধ্যে একটুখানি বেরিয়াম ঢুকিয়ে এমআরআই করে টিউমারের হালচাল জানা হচ্ছে। অতিবেগুনি রশ্মিতে ফ্লুরোসেন্ট হয় এমন ইউরোপিয়াম-এর যৌগ দিয়ে এঁকে নোট জাল করা ঠেকানোর উপায় করা যাচ্ছে।  সর্বত্রই মৌলদের কীর্তিকলাপ।

লেখকের গল্পগুলো বলার স্টাইলও বেশ মজার। বিশেষ করে তাদের আবিষ্কারক বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে। যেভাবে বাবা-মা ছেলেমেয়ের দুষ্টুমির কান্ড বলে মজা পায়, সেভাবে তাঁদের পাওয়া এবং তার পেছনের অনেকটা না-পাওয়ার গল্প শুনিয়েছেন, পাগলা বৈজ্ঞানিকদের থেকে নোবেলজয়ীদের পর্যন্ত। ছোটবেলায় যদি থার্মোমিটার ভাঙলে ভেতরের চকচকে তরলটা নিয়ে খেলে মজা পেয়ে থাকেন, তাহলে এই বইটাও আপনার মজাই লাগবে। পড়ে দেখেন।

××××××××××××××××××

পুনশ্চ: বইটার দু জায়গায় আমার খটকা আছে। এক, এনরিকো ফার্মির সম্বন্ধে বলেছেন, যে বেরিলিয়াম পাউডার নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করতে করতে ফুসফুসে তার গুঁড়ো জমে, যেমন অনেক মিস্ত্রীর ফাইবার গ্লাসের জানলা কি চালা কাটার সময় গুঁড়ো ঢুকে হয়, নিউমোনাইটিসে আক্রান্ত হন, তাতেই নাকি তার মৃত্যু হয়। কিন্তু নেটে সব জায়গাতেই দেখলাম, ফার্মির মৃত্যু নাকি পেটের ক্যান্সারে। সচলের পাঠকেরা কেউ বলতে পারেন, আসলটা কি?

দুই, একধরনের বেরী’র ফল থেকে মিরাকিউলিন নামের একটা প্রোটিন পাওয়া যায়, যেটা খেলে টককেও মিষ্টি লাগে, লেবুর রসকে মিছরি গোলা মনে হয়। মনে করা হচ্ছে, জিভের স্বাদনির্ণায়ক কোষগুলিতেই এ কিছু কারিকুরি করে, যা অনেকক্ষণ থাকে। আর এর উলটো কাজ করে জিমনেমিক অ্যাসিড নামের এক জৈব অ্যাসিড, যেটা একরকমের গাছের পাতায় পাওয়া যায়। এটা খেলে চিনিকে বালির মত বিস্বাদ লাগে। বইয়ের বক্তব্য, এটা পটাশিয়াম জিমনেমেট, ওই অ্যাসিডের সঙ্গে পটাশিয়ামের যৌগ, খেলে হয়, এবং পটাশিয়ামই আসলে এই কাজটা করে, ওই অ্যাসিডটা নয়। কিন্তু উইকি বলছে শুধু অ্যাসিডটা খেলেও ওটা হয় - তাহলে পটাশিয়ামের দোষ থাকে না। এ ক্ষেত্রেই বা সত্যিটা কি?

 

ও হ্যাঁ, শুরুর ছবিটা বিসমাথ কেলাসের। মায়া সভ্যতার ডিজাইনের মত লাগছে না?


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন কিছু তথ্য জানলাম। আমি সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের না হওয়ায় বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো বুঝতে একটু অসুবিধা হয়। তবে আপনার লেখা সহজেই পড়লাম এবং বুঝলাম।

রাতঃস্মরণীয়

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয় ভাই। লেখা সহজপাচ্য হয়েছে জেনে খুশি হলাম।

এপসাইলন এর ছবি

এত ঝামেলা না করে ভদ্রমহিলা ঘর অন্ধকার করে ডেমো দিলেই পারতেন। মরতে কে আলমারিতে ঢোকে, ক্লসট্রোফোবিয়ার ভয় নাই? হাসি
আর বেচারা কেজিবিওয়ালা, ওকে অত কায়দা না করে সোজাসুজি গুলি করলেই হতো। বলতো আহারে লোকটা হারিয়ে গেছে, আর পাওয়া যায় না।

কৌস্তুভ এর ছবি

তাও বোধহয় দিয়েছেন, সবার আলমারিতে তো আর অত জায়গা নাই! হাসি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ওই সময় আমাদের র‌্যাবের ক্রস-ফায়ারের ব্যাপারটা জানা থাকলে মনে হয় কেজিবিওয়ালারা অত ঝামেলায় যেত না।

অনন্ত আত্মা

তুলিরেখা এর ছবি

প্রফেসর শঙ্কুর মিরাকিউরল মনে পড়ে গেল আপনার মিরাকিউলিন শুনে।
হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

আমারো সেটাই মনে হয়েছিল। তারপর দেখলাম, নাঃ, এর কাজকম্ম অত বড়সড় কিছু না! হাসি

স্পর্শ এর ছবি

ওয়াও বিসমাত কেলাস!! মাইক্রোচিপ মনে করেছিলাম।

গ্যালিয়াম p-টাইপ সিলিকন সেমিকন্ডাক্টরে ডোপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। চিন্তিত
চমতকার পোস্টটার জন্য ধনব্যাদ। ফিজিক্সের তুলোনায় কেমিস্ট্রি আমার একটু বোরিংই লাগতো। কিন্তু আপনি দারুণ করে লিখেছেন। বইটা সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হলো।
এমন আরো আসুক। চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ উৎসাহের জন্য। চেষ্টা করব নিশ্চয়ই।

হ্যাঁ গ্যালিয়াম আরো নানা কাজে লাগে নিশ্চয়ই। সব মৌলই কমবেশি লাগে, বা চেষ্টাচরিত্তির করলে লাগানো যাবে হাসি

বিসমাথ কেলাসের ছবিটা নেহাতই অলঙ্কার হিসাবে দেওয়া। কিন্তু পোস্টের প্রথমে দেওয়া সত্ত্বেও নীড়পাতার প্রিভিউতে আসছে না। মন খারাপ

স্পর্শ(অফলাইন) এর ছবি

আপনি এইচটি এম এল এম্বেড কোড না দিয়ে যদি [img ] [ / img] এই ট্যাগের মধ্যে দেন (স্পেস গুলো বাদ দিয়ে)তাহলে ছবি প্রথম পাতায় আসবে। হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

তা হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ। রিচ টেক্সট এডিটরে যে html কোড দেওয়া যায় জানতাম না।

বইখাতা এর ছবি

দারুণ বইতো!

কৌস্তুভ এর ছবি

হুঁ, খাসা বই। পড়ে ফেলেন পারলে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দারুণ লেখা...

এই ইয়ে, বইটা কি পিডিএফ টাইপ কিছু নাকি ?? লিঙ্ক দিলে একটু একনজর দেক্তাম আরকি...

_________________________________________

সেরিওজা

কৌস্তুভ এর ছবি

নাহ এটার পিডিএফ বেরোয় নি এখনও বোধহয়, নতুন বই তো। লাইব্রেরি থেকে এনে পড়া। তবে সার্চ-টার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখা স্টাইল এবং বিষয় দুটোই চমৎকার লেগেছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- মুর্শেদ ভাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লেখা। চলুক

তবে বানানের দিকে আরেকটু নজর দেবেন আশা করি। যেমন :

কম্পিউটিংএর> কম্পিউটিং-এর/কম্পিউটিংয়ের
এদিকওদিক> এদিক-ওদিক

বিশেষ করে ণ-ত্ব বিধি এবং চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহারের দিকে আরেকটু লক্ষ রাখা বাঞ্ছনীয় মনে করছি।

কুটুমবাড়ি

কৌস্তুভ এর ছবি

এই প্রথম আমার লেখায় কারো বানান-সংক্রান্ত মন্তব্য পেলাম। অনেক ধন্যবাদ কুটুমবাড়ি ভাই। বারকয়েক ফিরে পড়ার পরেও কিছু ভুল রয়ে গেছে দেখছি। ণত্ববিধানে তিনটে ভুল চোখে পড়ল।
চন্দ্রবিন্দুতে অবশ্য কোনো গণ্ডগোল আমার চোখে পড়ল না, দেখিয়ে দেবেন একটু?

অতিথি লেখক এর ছবি

আবার পড়তে গিয়ে শুধু এই লাইনটাই এখন চোখে পড়ল। ইয়ে, মানে...

জানেন কি, পদার্থবিজ্ঞানী মারী কুরী’র স্বভাব ছিল পুরুষ সহকর্মীদের বাড়ি গেলে তাদের নিয়ে অন্ধকার আলমারীর মধ্যে লুকিয়ে পড়া? কেন? কি করতেন তিনি ওভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে?

এখানে তাদের > তাঁদের হতো মনে হয়। তবে আপনি পুরো লেখায় জড় পদার্থের সর্বনাম হিসেবেতার এবং বিজ্ঞানীদের সর্বনাম হিসেবেতাঁদের ঠিকঠাকমতো লিখেছেন দেখে ভালো লাগল।

কি/কী-র চক্করটা কী? এটা কি অনিচ্ছাকৃত, নাকি কী-র ব্যবহার ঝামেলা মনে হয় আপনার কাছে? দেঁতো হাসি

কুটুমবাড়ি

কৌস্তুভ এর ছবি

ভয়ে বলব, না নির্ভয়ে বলব?

"জানেন কি, পদার্থবিজ্ঞানী মারী কুরী’র স্বভাব ছিল পুরুষ সহকর্মীদের বাড়ি গেলে তাদের নিয়ে অন্ধকার আলমারীর মধ্যে লুকিয়ে পড়া?"
এই লাইনটায় আমি সচেতনভাবেই সম্ভ্রমসূচক 'উনি' বা 'ওনারা' এড়াতে চেয়েছি, দুষ্টু কাজকর্মের ইঙ্গিত আছে বলে। নয়ত এমনিতে বিজ্ঞানীদের জন্য 'তাঁরা'। তবে আপনার আপত্তির প্রতিবাদ করার মতনও কিছু নেই।

আমি যখন লিখি তখন কী আর কি এর পার্থক্য করি না। এটা ইচ্ছাকৃত নয়, ওভাবেই সারা জীবন লিখে এসেছি বলে। এটা নিয়ে সচেতন হবার পর থেকে এখন চেষ্টা করি 'কী' লিখবার। আমার জানার ইচ্ছা আছে, সংস্কৃত কিম্‌ থেকে এই কি এবং কী দুটো আলাদা হয়ে কিভাবে উদ্ভূত হল, এবং এই তফাতটা কোন সময়ে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাকাডেমি (পশ্চিমবঙ্গ বাঙলা অ্যাকাডেমি - ওরা আবার কায়দা করে অকাদেমী না আকাদেমি কি একটা লেখে) কি বলে এবং কতটা কড়াকড়ি করার পক্ষে, সেটাও জানার ইচ্ছা আছে। কিন্তু হায়, দেশে নেই যে।
যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি 'কী' লেখার পক্ষপাতি নই, কিন্তু যদি নিয়ম থাকে তবে সেটা ভাঙার ইচ্ছাও আমার নেই, যেমন ণ-ই লিখি এখনও।

পরবর্তী লেখাগুলোতেও আপনার মন্তব্যের আশায় থাকব, এবং সেই সঙ্গে বানান ভুলগুলোও ধরিয়ে দিলে ভাল হয়। আবার ধন্যবাদ।

সিরাত এর ছবি

Ki miya, amare mana koira nijei dekhi ekhon book review likho! খাইছে But yeah, onek individual chhap ancho bote.

PDF mail korte parba ki?

সিরাত এর ছবি

Ki miya, amare mana koira nijei dekhi ekhon book review likho! খাইছে But yeah, onek individual chhap ancho bote.

PDF mail korte parba ki?

কৌস্তুভ এর ছবি

হা হা, ধরে ফেললে? দেঁতো হাসি

বুক রিভিউ খারাপ কিসে? ভাল বই যদি হয়, তা দেখলে আনন্দ হয়, নাম করলে আনন্দ হয়, ভাবতে গেলে আনন্দ হয়। খাইছে (অবাক জলপান) তবে যদি তাই বল, আমার শেষ কমেন্টটা দেখো, কনটেন্ট না, স্টাইল নিয়েই আমার বক্তব্য ছিল। এবার এটার স্টাইল ভালোমন্দ সে তোমরাই বলবে।

পিডিএফ পাইনিকো। লাইব্রেরি থেকে এনে পড়া। নতুন বই তো, বেরোতে সময় লাগবে হয়ত...

সিরাত এর ছবি

স্ক্যান কইরা ফালাও মিয়া! জাকারবার্গ উইংকলভসগো থিকা মারতে পারে, তুমি এই লোকের থিকা মারতে পারবা না? চোখ টিপি যদিও ছোট চোরের সমস্যা বেশি!

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

পরিকাঠামো নেই চিন্তিত

জাকারবার্গের উপর সিনেমাটা সদ্যই দেখলাম। লেখা আসতেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার সামনে একটা প্রেজেন্টেশন আছে যেখানে অ্যাটম থেকে শুরু করে প্রোটিনের স্ট্রাকচার পর্যন্ত যেতে হবে। এইসব মশলা মিশিয়ে দেব কিনা ভাবছি চিন্তিত । বইটাকে দারুণ মনে হচ্ছে, আপনার দারুণ লেখার কারণে। একদিন পড়ে ফেলতে হবে।

সজল

কৌস্তুভ এর ছবি

এই ধরনের 'বিজ্ঞানের অতীত থেকে বর্তমান' নিয়ে কিছু তৈরী করা আসলেই খুব কঠিন। কী দেব আর কী না দেব... আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। আর লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।

বাউলিয়ানা এর ছবি

দারুন! বিষয় বৈচিত্র আর লেখা দুটোতেই চলুক

ভাল কথা, ভিডুতে দেখানো এরকম একটা চামচ বানাতে খরচ কেমন পড়বে চিন্তিত

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বিশ্বাস করুন, এই প্রশ্নটা আমার মনেও ভীষণ ভাবেই জাগ্রত! কিন্তু কেউ তো বলে দেয় না! মন খারাপ

দুর্দান্ত এর ছবি

মজা পেলাম। লেখার বিষয়বস্তু আর পরিবেশনা ভাল লেগেছে।

দুই একটা কথা।

মেনু দেখে আপনি ভাবলেন, আজ কন্টিনেন্টাল ট্রাই করা যাক। ওয়েটারকে বললেন, অমলেট দিয়ে টোস্ট, অরেঞ্জ জুস, আর দুধ ছাড়া চা; বেশি কিছু না আজকে।

কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্টে অমলেট দিয়ে টোস্ট? ওয়েটার অবাক হবে।

মারী স্লোদোস্কা
মারিয়া শেষনামের 'এস' ও 'কে' এর পরের অক্ষরটি পেটকাটা এল মত দেখালও এর উচ্চারন মোটেও ইংরেজী এল এর মত নয়। তার উচ্চারন হবে বাংলা 'উ' এর মত। যেমন Łódź কে পোলিশরা বলে উচ্‌। সে হিসাবে অবিবাহিত মারি'র শেষনাম বাংলায় লিখলে স্ক'উয়োদভস্কা হবার কথা।

"পোল্যান্ডে ~ রাশিয়া দখল করে রেখেছে। মেয়েদের পড়াশোনারও বিশেষ সুযোগ নেই।"

মারি'র প্যারিসগমনের ঠিক আগের ক'বছর (১৮৮৩-১৮৯১) তার কর্মকান্ড আরেকটু খতিয়ে দেখলে আর মনে হবেনা যে পোল্যান্ড এর শিক্ষাব্যাবস্থায় মেয়েদের সুযোগের অভাব মারিকে প্যারিসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

পোল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনের

এই বিষয়টাকে আরেকটু বিষদ জানতে ইচ্ছা করে। নেহায়েত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধটা হয়েছিল। নাহলে পোল্যান্ড বলে আলাদা কোন দেশ থাকতো বলে তো মনে হয়না আর পোল্যান্ড এর স্বাধীনতা আন্দোলনের যেসব খবর এখন পাওয়া যায়, সেগুলোর কথাও কেউ জানতো না। পোলিশরা যেটাকে 'প্রাখা অরগানিশনা' বা 'জৈবিক-ক্রিয়া' (আসলে মানুষের মত বেঁচে থাকার) আন্দোলন বলে সেখানে কোন স্বাধীকার এজেন্ডা ছিল কি?

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার এই দুর্দান্ত মন্তব্যটা পেয়ে আমি অভিভূত। এমন আলোচনা লেখার পক্ষে খুব মূল্যবান। অনেক ধন্যবাদ। ক্লাসে ছুটছি, ফিরে এসে উত্তর দেব।

সংযোগ:
এই সামারে হুদো হুদো কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্ট খেয়ে খেয়ে বিরক্ত হয়ে গেছি, তবে সেইটা কারণ না। সৃষ্টিশীল লেখক হিসাবে যে কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্টেও সৃষ্টিশীলতা আনতে হবে, সেইটাও কারণ না। কারণ এই, যে টোস্ট-অমলেটটাই আমাদের বাঙালিদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত, তাই বাঙালির কন্টিনেন্টালে ওইটায় সবচেয়ে চেনা হবে বলে মনে হয়েছে। হাসি

নাম বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত। পূর্ব ইউরোপের কথা আসায় সন্ন্যাসীদার কথা মনে পড়ে গেল। কোথায় যে গেলেন...

বইয়ের বক্তব্য, মেয়ে হিসাবে পড়াশোনার সুবিধার অভাবই মূলত ওয়ারশ থেকে ক্রাকাও এবং পরে প্যারিস যাবার কারণ, তবে ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়াটাও যে একটা কারণ জায়গা বদলাবার সেটা বলা হয়েছে। তবে প্যারিস থেকে দিদির ডাক, এবং প্রেমের ব্যর্থতা যে আরো দুটো কারণ সেগুলো উল্লেখ করা হয় নি।

হ্যাঁ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ না হলে পোল্যান্ড হয়ত জার্মানীর অংশ হিসাবেই থেকে যেত। বইটায় বলছে "... starting from a country that was as much of a pawn for colonial powers as Gandhi's India. Like a cheap theater set, Poland has been called a 'country on wheels' for all its exits and entrances on the world stage. The empires surrounding Poland - Russia, Austria, Hungary, Prussia, Germany - have long held war scrimmages on this flat, undefended turf and have taken turns carving up 'God's playground' politically. If you randomly select a map from any year in the past five centuries, the odds are good that Polska will be missing.'

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, বিসমাথ কেলাসের ছবিটা সুন্দর; ও হ্যাঁ আপনার লেখাও ভাল হয়েছে।

অনন্ত আত্মা

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আমার কুলখানিতে চা খাওয়ামুনি, তখন আপনে এই চামুচটার ব্যাবস্থা দেইখেন। সবাই চিন্তা লইবো যে, হালায় লুকটার ভুত আইসা হাফ চামুচ হাপিশ কইরা গেছে ... মু হা হা হা ...

লেখায় গুড় ।

===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

কৌস্তুভ এর ছবি

হে হে... এই চামচ থেকে ভাল ভূতের গল্প হতে পারে। লিখে ফেলেন।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লেখার হাত ভাল মনে হচ্ছে, বিষয়ও অনেক সুন্দর। আরও পড়ব আশা করি।

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ আরেফীন ভাই। আরো লিখব সে তো আমিও আশা রাখি।

অতিথি লেখক এর ছবি

রসায়ন আমার কাছে বিরক্তিকর হলেও মৌলগুলোর ক্রিয়াবিক্রিয়া মজা লাগে। এজন্য আপনার ভিডিওটায় মজা পেয়েছি। আর বইয়ের রিভিউটা দারুন হয়েছে। বইটা পড়তে হবে।

অনন্ত

কৌস্তুভ এর ছবি

কেমিস্ট্রিতে অনেক মিস্ট্রি আছে, পড়তে মজাই লাগবে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে [অতিথি] এর ছবি

পড়ে মজা পেলাম,
আরো লেখা চাই এমন।

ভাল থাকুন।।

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ভাল থাকুন আপনিও।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিজ্ঞান নিয়ে এরকম রসাল লেখা অনেকদিন পরে পড়লাম। আমার কাছে রসায়নের মৌলগুলোর আবিষ্কারের কেচ্ছাকাহিনী নিয়ে একটা বই আছে, কিন্তু কখনো পড়া হয়নি। এই বইটাও ওই টাইপেরই মনে হচ্ছে। সুযোগ পেলে অবশ্যই পড়ব। হাসি

ফারাবী

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার কাছে কোন বইটা আছে বলুন না, কেচ্ছাকাহিনী পড়তে মজাই লাগে হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দারুণ লেখা, মজা পেলাম, দেখি পিডিএফ খুজে দেঝব, পেলে পড়ব, এখানেও ঝুলিয়ে দিয়ে যাবো!

আর আরেকটা জিনিস ঠিক করে দিয়ে যাই।

শরীরের মধ্যে একটুখানি বেরিয়াম ঢুকিয়ে এমআরআই করে টিউমারের হালচাল জানা হচ্ছে।

আসলে বেরিয়াম আমাদের অন্ত্র থেকে শোষন হয়না আবার এক্সরে করলে এটা চেনা যায় অর্থাৎ রেডিও-ওপেক। তাই এক্সরে ব্যবহার করে করা টেস্টগুলো যেমন পেটের সিটি স্ক্যান, তাছাড়া অন্ত্রের কন্টিনিউইটি দেখার জন্যে আরো কিছু টেস্ট করা হয়। যেমন বেরিয়াম সোয়ালো, অথবা বেরিয়াম এনেমা। প্রথমটা খাদ্যনালীর জন্যে, পরেরটা কোলন-রেকটামের জন্যে। অন্ত্র ভেতরের দেওয়াল সাদা রঙে রাঙিয়ে দেবার জন্যে বেরিয়াম দিলাম, কিন্তু রক্তনালী রঙানোও তো দরকার, নাহলে আলাদা করব কিভাবে? তাই দেওয়া হয় ইন্ট্রাভেনাস ডাই, সাধারণত আয়োডিন বেসড কন্ট্রাস্ট, তবে যারা আয়োডিনে এলার্জিক, তাদের জন্যে আছে বিকল্প ব্যবস্থা। বেরিয়াম খেতে চকের মত, আর পরিমাণে বেশ অনেকখানি গিলতে হয় বলে এর বিকল্পও আছে, তার একটা গ্যাস্ট্রোগ্রাফিন, দেখতে একদম পানির মত, কিন্তু চরম তিতকুটে আর ছবি বেশি ভালো আসে না দেখে বেরিয়াম ব্যবহার করা হয় ঠেকায় না পড়লে।

কিন্তু এমআরআই এ কোন এক্সরে নেই, ব্যবহার করা হয় চুম্বক, তাই এখানে বেরিয়াম ব্যবহার করা নিশ্প্রয়োজন। এমআরআইতে দেখার জন্যে ব্যবহার করা হয় গ্যাডোলিনিয়াম নামে আরেক জিনিস।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কৌস্তুভ এর ছবি

হুম, এত কিছু আগে জানতাম না। থেঙ্কু থেঙ্কু।

স্পর্শ এর ছবি

সাইফভাইর মন্তব্যে! উত্তম জাঝা!
ডিটেইল লেখেন না একখান। খুবই কৌতুহল হচ্ছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রাবিম্ব এর ছবি

আপনারা যারা এর ebook এর খোজ করছেন তা এখানে পেয়ে যাবেন. আমি লিঙ্ক দিলাম. কিন্তু তা যদিও সমর্থনযোগ্য না হয় দয়া করে এটা মুছে দেবেন.

http://uploading.com/files/e9b99bda/0316051640Spoon.rar/

মূলত পাঠক এর ছবি

এই লেখাটা আগে চোখ এড়িয়ে গেছিলো, অনেক দেরিতে পড়লাম। চমৎকার লাগলো, বালকবয়েসে পড়া পপুলার সায়েন্সের লেখার স্টাইল মনে পড়লো।

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ রাজর্ষিদা। আমার নেওয়া দুটো সাম্প্রতিক ইন্টারভিউতেই অধুনা পপুলার সাইন্স লেখকের অভাব নিয়ে আক্ষেপ ছিল, আপনার কথায় সেইটা মনে পড়ে গেল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।