* বর্তমান বা অতীত, বাস্তব বা কল্পনা কোনো কিছুর সঙ্গেই এ গল্পের কোনো দুশ্চরিত্রের বা দুর্ঘটনাবলীর মিল নাই। *
সিন্ধু নদের তীরে সন্ধ্যা নেমেছে। শীতকাল আসছে, একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে আজকাল। চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিলেন আলেকজান্ডার। মনটন খারাপ কদিন থেকে। প্রিয় সাথী হেফাস্টিওন কদিন থেকে রোজ রাত্রেই ‘মাথা ধরে আছে’ বলছে। যুদ্ধবিগ্রহের সময়েও যদি রাত্রে একটু কামকাজ না হয় তবে চলে কি করে? অবশ্য তিনি লোক ভাল, সেনাবাহিনীর ছেলেছোকরাদের উপরে জোর করতে রাজি নন; সেই জন্যেই না সেনারা এত শ্রদ্ধাভক্তি করে তাদের নেতাকে। আশপাশের গ্রামেরই কিছু ছেলেপিলেকে নিয়ে আসতে লোক পাঠাতে হবে মনে হচ্ছে।
বাইরে গণ্ডগোলের আওয়াজে ভুরু কুঁচকে তাকান তিনি। পাশে ফিরে নীলচোখো তাতারী দেহরক্ষিণীকে বললেন, “মোনা ডার্লিং, দেখো তো, বাইরে কে শোরগোল করছে?” কিন্তু তার আগেই বাইরে সেনাপতি অ্যান্টিগোনাসের গলা শোনা যায়, “হুজুর, একটু বিরক্ত করতে পারি?”
“ভড়ং রাখো! হইহট্টগোল ছেড়ে ভিতরে এসে বল, এত হাল্লা কিসের?”
পর্দা সরিয়ে ভিতরে ঢোকে অ্যান্টিগোনাস, সঙ্গে দুজন রক্ষী একজন বন্দীকে নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা মনে হয়। ‘নিশ্চয়ই সেই... কী যেন নাম... চন্দ্রগুপ্ত ব্যাটার মত শিবিরের আশপাশে ঝাড়ি মারছিল’, ভাবেন তিনি।
“কী, ব্যাপার কী?”
“আজ্ঞে, আজকে কুচকাওয়াজের পর বিকেলবেলা জনকয়েক সৈন্য মিলে পাশের গ্রামে একটু ইভনিং-ওয়াকে গিয়েছিল স্যার। জোয়ান ছেলেপিলে, বুঝতেই পারছেন, ওদেরও তো একটু সাধআহ্লাদ আছে...”
“হুঁ হুঁ, সাধআহ্লাদ! খুব বুঝেছি, তারপর বলো...”
মেজাজটা আরো চটে যায় তাঁর। ব্যাটারা গ্রামে গিয়েছিল, তাঁকে না জানিয়েই? গেছে সে যাক, কিন্তু যদি জানিয়ে যেত তাহলে তাঁর জন্যও একটু ব্যবস্থা দেখতে বলে দেওয়া যেত। তা না, আক্কেলজ্ঞানহীন ছোঁড়ারা!
“আজ্ঞে সেই গ্রামের চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে এই হতভাগা চশমা বিক্রি করছিল স্যার!”
“চশমা বিক্রি করছিল তো ধরে আনার কি আছে? ট্যাক্স দেয়নি বুঝি পাজিটা?”
“না না স্যার, ব্যাটা কি চশমা বেচছিল শুনুন একবার। ওই ছোঁড়া, বল না কি বেচছিলি!”
সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে বক্তৃতা দিতে শুরু করে বন্দী। “বন্ধুগণ, আসুন, আমার এই গে-ব্যান চশমা পরে ইহকাল ও পরকালের জন্য অশেষ নেকী হাসিল করুন। এই দুনিয়ায় কলঙ্ক হল সমকামীরা, তাদের দেখলেই কোতল করাই ফরজ; কিন্তু তাদের দেখলেও গুনাহ হয়, তাই আসুন, পবিত্র পানিতে ধোয়া আমার এই গে-ব্যান চশমা পরুন, এর মধ্যে দিয়ে তাদের দেখলে আর পাপ হবে না। দলে দলে আসুন, ছেলে বুড়ো আসুন, আমীর গরীব আ...”
রাগে কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ান আলেকজান্ডার, তাঁর মূর্তি দেখে চুপ করে যায় সে।
“হতভাগা নচ্ছার, তোর সাহস তো কম না, তুই গ্রীসাধিপতির সামনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলার সাহস পাস?”
“ও, তোরা কাফের! তাই ভাবি, ব্যাটাদের দাড়ি নেই কেন? এই মেয়েগুলোই বা এমন বেহায়ার মত পোষাক পরে আছে কেন? অ্যাই মেয়েরা, বোরখা কোথায় তোদের? লজ্জাশরম নেইকো?” শ্বেতাঙ্গিনী তাতারীদের দিকে তাকিয়ে একফোঁটা লুল গড়িয়ে পড়ে তার ঠোঁটের পাশ দিয়ে।
“কী, জবাব দিস না যে? খোদ আলেকজান্ডারের সামনে দাঁড়িয়েই এসব কথা বলিস, জানিস না উনি নিজেও সমকামী?” হুঙ্কার দেয় অ্যান্টিগোনাসও, হুজুরকে খুশী রাখতে হবে তো।
“জানি না আবার? এই দুনিয়ার এবং স্বর্গ-নরকের সব খবরই আমি রাখি। এই আলেকজান্ডারেরও ঠিকুজি-কুলুজি সবই জানি, শুধু ব্যাটাকেই চিনতাম না। জানি জানি, এ মেগাস্থিনিস নামের দেশের রাজা, এর বাপের নাম বুকেফালা, গুরুর নাম হৃষ্টপটোল, শ্বাশুড়ির নাম...”
“চুপ কর পাঁঠা! মেগাস্থিনিস আমার রেকর্ড-কীপার, আমাদের রাজ্যের নাম ম্যাসিডোনিয়া! বুকেফালা আমার ঘোড়ার নাম, কোন সাহসে তাকে আমার বাপের নাম বলিস! আর গুরুর নাম হৃষ্টপটোল বলিস? অ্যারিস্টটল’কে নিয়ে তামাশা? দাঁড়া, তোর হচ্ছে! এই, কে আছিস? বেঁধে নিয়ে যা ওকে, বন্দী করে রাখ, রাত্রে আমার ডিনারের পর তাঁবুতে নিয়ে আসিস... আর দেখ, আমার শরবতে একটু গণ্ডারের শিং বাটা মিশিয়ে দিস, অনেকদিন পর আজ...”
“সাবধান, শয়তান! তুই আমার দেহ পাবি, মন পাবি না! বেহেস্ত তো পাবিই না!”
“মু হা হা হা... তোর মনের ক্যাঁথায় আগুন। আর বাহাত্তরটা হুর দিয়ে আমি করবই বা কি? ওরে, নিয়ে যা না একে এখন...”
...
পরিশ্রান্ত আলেকজান্ডার পাশ ফিরে শুয়ে হাঁক দেন, “ওই, কে আছিস বাইরে?”
নীলচোখো দেহরক্ষিণীর শিফট শেষ হয়েছে, কটাচোখো তাতারী রক্ষিণী ভেতরে এসে বলে “জি হুজুর?”
“একে নিয়ে যা এবার; মেগাস্থিনিসকে বল, এর নামধাম লিখে এবারের মত ছেড়ে দিতে, ফের কোনোরকম গণ্ডগোল করে ধরা পড়লে একেবারে মুন্ডু ঘ্যাচাং করে দিতে বলিস!”
রক্ষিণী তাকে নিয়ে মেগাস্থিনিসের কাছে পৌঁছে দেয়। মেগাস্থিনিস বলে “উঃ, দূরে যা ব্যাটা, বনমানুষ কোথাকার! তোর দাড়িতে ভারি গন্ধ! চান-টান করিস না নাকি?”
“মূর্খ কাফের, তুই কি বুঝবি? এই হিন্দু-অধ্যুষিত হিন্দুস্থানের অপবিত্র জলে চান করব আমি? আরবদেশের পবিত্র পানি ছাড়া আমি চান করি না রে!”
“হুঃ! তা যাক, তোর ডেটা এনট্রি করে রাখি... বল রে নালায়েক, তোর ফার্স্টনেম কী?”
“জোকার...”
মন্তব্য
হে হে হে ... কি আর কইতাম, সেরাম হইছে।
আর দেখ, আমার শরবতে একটু গণ্ডারের শিং বাটা মিশিয়ে দিস, অনেকদিন পর আজ... - তখনও কি শিলাজিৎ, গন্ধগোকূল তৈল বা জোঁকের তেল আবিষ্কার হয় নাই????
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধইন্যবাদ অনুপম ভাই।
আমি কি জানি? রাজবৈদ্যরে জিগান। আর তা ছাড়া রাজার পার্সোনাল প্রেফারেন্সও তো থাকতে পারে...
"বুকোফেলা তো আমার ঘোড়ার নাম" ..................
হাসতে হাসতে খাডের থন পড়ি গেলাম বাহে ।
সাত্যকি
জোকার মার্তে শেষ পর্যন্ত আলেকজান্ডার দাগাইলেন!!
-----------------------------------------------------------------------------
চতুর্বর্গ
সইত্য, অন্যেয় হয়ে গেসে বটেক!
ধইন্যবাদ মানিক ভাই
রাতের গ্রীক নামের হিন্দুকরন তক বেশ সরেস হচ্ছিল। খামাখা জোকারের নাম এসে কাঁচিয়ে দিলে।
সহমত। মিলখানা ঠিক খাপ খেলো না...
তবে বাকিটুকু কিন্তু চমৎকার লাগলো।
_________________________________________
সেরিওজা
দুর্দান্তদা, সুহান ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যদি চরিত্রটির কথাবার্তায় কোনো আভাস না পেয়ে থাকেন, যদি নামটা প্রকাশ হবার আগে অবধি চরিত্রের যে বিল্ড-আপ সেটাতে কোনো ইঙ্গিত না পেয়ে থাকেন, তবে সেটা আমারই ব্যর্থতা, সে জন্য লজ্জিত। নাকি নামটা আসাই বিরক্তির কারণ? না বুঝতে ভুল করছি?
উম্, এতোটা কঠিন করে দেখবেন না কৌস্তুভদা। ... নামটা আসা বিরক্তির কারণ নয় কোনোভাবেই। বরং এভাবে বলি, ঘটনাপ্রবাহে এক চমৎকার পরিণতির আভাস পাচ্ছিলাম আর কী। সে কল্পনার সাথে এই বাস্তব জোকারের খাপটা ঠিক খেলো না বোধহয়...
আমি আসলে ভাবছিলাম আপনি হিমু ভাইয়ের এই লেখাটার মতন কিছু লিখেছেন।
_________________________________________
সেরিওজা
ও, বুঝলাম। ওই লেখাটা অবশ্যই পড়া ছিল। তবে কি, আলেকজান্ডার কেন ভারত জয় না করে ফিরে গেলেন, সেটা নিয়ে গল্পে-নাটকে অনেকই মজার অল্টারনেটিভ হিস্ট্রি বানিয়েছে লোকজন। তাই ওপথে যাওয়া আমার প্ল্যান ছিল না।
আলেকজান্ডার বিন ফিলিপের ঘোড়ার বুক কি আসলেই ফোলা ছিল?
কাকস্য পরিবেদনা
তাহলে তো আরো প্রশ্ন করতে হয়, ঘোড়াটি ঘোটক ছিল কি ঘোটকী?
পড়ার জন্য ধইন্যবাদ মিম্বর।
আপনি তো লোক ভাল না মশাই! পড়লে মানুষ সহানুভূতি জানায় আর আপনি জানাচ্ছেন ধন্যবাদ!
কাকস্য পরিবেদনা
বালাই যাট, আপনি ওই পড়া পড়বেন কেন, আপনি কি বুকেফালার পিঠে চাপতে গেছিলেন?
কিন্তু দোহাই, শাস্তি হিসাবে আমাকে আলেক্স সায়েবের কাছে পাঠায়েন্না পিলিজ...
জোকারের বুকেফোলা = ইংরেজী বুসিফেলাস = গ্রীক বুকেফালস = বুস+কেফালে = ষাঁড়+মাথা =~ বৃষাণন অশ্ব = মানে ষান্ডা মার্কা ঘোড়া। একটি নয় দু'দুটো বেশ শক্তপোক্ত পুংলিঙ্গ নির্দেশক। এই না হলে আলেক্সান্দরের ঘোড়ার নাম?
হা হা হা হা হা!
বুক ফোলা = অণ্ডকোষ ঝোলা।
কাকস্য পরিবেদনা
দ্রুহী ভাইয়ের প্রশ্ন শুনে আমি ঠিক এইটাই ভাবছিলাম, যে ওই ঘোড়ার নামের মানে হয়ত 'প্রবল পুরুষ' টাইপের কিছু। দেখেন আপনি সেরকমই ডিডাকশন করলেন।
হা হা হা ---চমৎকার লাগল কৌস্তভ'দা--আপনার আলেকজান্ডার দ্য গে এর কাহিনী। লুকটার ভাষন শুনে আমার অবশ্য মনে হচ্ছিল এই লুকটারে চিনি---পরে দেখা গেল আমাদেরই জোকার (জো-মন-চাহে- ওহ- কার) নালায়েক--হে হে হে ---আরো আসুক
ধইন্যাপাতা অনিকেত ভাই। যদি ভাষণ শুনে চেনা চেনা লেগে থাকে, তাহলেই লেখার সার্থকতা।
গল্প রসাল হয়েছে, যদিও শেষের দিকে এসে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেললুম।
কুটুমবাড়ি
---------------------------------------------
ফুটনোট : ১. সাধআহ্লাদ> সাধ-আহ্লাদ
২. পোষাক> পোশাক (ফার্সি শব্দ, তাই ষ-ত্ব বিধান কার্যকর হবে না এখানে)
এ হে, খেই হারিয়ে গেলে তো আমার পক্ষে লজ্জার ব্যাপার।
বানান-সংশোধনের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
পোষাক বানানটা কি এখন বাতিল হয়ে গেছে?
কি/কী এর উপর একটা পোস্ট দিন না।
উহু! এটা বোধ হয় পাঠক হিসেবে আমারই ব্যর্থতা।
পোষাক বানানটা এখন বাতিল হয়ে গেছে (সূত্র : বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান)। আর কেনই বা বাতিল হবে না? যেখানে বাংলা ভাষা থেকেই ষ-কে ঝেটিয়ে বিদায় করতে চান অনেকে সেখানে অ-তৎসম বানানে ষ ব্যবহারের পক্ষে কেউ রাজি হবেন বলে মনে হয় না।
বানানায়তনের প্রথম পর্বেই কিন্তু ই-কার বনাম ঈ-কার নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। সেখানে কি/কী-এর ওপরেও কিছু কথা ছিল। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, ওই পোস্টে আপনারও মন্তব্য রয়েছে দেখতে পাচ্ছি। তাহলে বোঝা গেল লেখাটি কারও কোনো কাজে আসেনি। সম্ভবত সেটা লেখক হিসেবে আমারই ব্যর্থতা।
কুটুমবাড়ি
এটা শোচনীয় ব্যাপার যে আপনার কি/কী এর উপর পোস্টটা আমার একেবারেই মনে নেই। কয়েকজন কিছু লেখায় মন্তব্যাকারে আলোচনা করেছিলেন, যেমন মূলোদা, সেগুলো মনে আছে, কিন্তু আপনি যে এর মধ্যে একটা আস্ত পোস্টই করেছিলেন সেটা পুরোই ভুলে গেছি।
উত্তর দিতে দেরি হবার জন্য দুঃখিত। দুদিন দেখা হয়নি এ পোস্টটা।
মজাই পেলাম! তবে, গে-ব্যান চশমার কাহিনি কী প্রাসঙ্গিক ছিলো? নাকি, ওটা প্রাথমিক ডিস্ট্র্যাক্টর?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ধন্যবাদ মহাস্থবির দা। গে-ব্যান চশমা ডিস্ট্রাকটর কেন হবে, ওটার মাধ্যমেই তো আমাদের মহাপুরুষ গল্পে তথা আলেক্সবাবুর কাছে ইন্ট্রোডিউসড হলেন।
পুরাই হাহাপগে, দারুণ হয়েছে, মিয়া লিখেন কেমনে এইসব! জোকার নালায়েক রে ইরাম উটের ডিম দেওনের লাইগা ৫ তারা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ ভাই।
আস্ত এক কেজি গুড় দেয়া গেল!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। শীতকাল আসছে, টাটকা নলেন গুড়ই দিলেন আশা করি।
হোহোহো
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই নেন (গুড়)
থেন্কু
আলেক কাগুর জন্য সহানুভূতি রৈল
আপনার কমেন্টটা মিস করেছিলাম হিম্ভাই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি এই জনরার একজন শক্তিশালী লেখক, আপনার কাছ থেকে মন্তব্য পেলে ভাল লাগে বৈ কি। সাথে সমালোচনাটাও পেলে সেটা বড়ই উপকারী হত এই নবীন লেখকের পক্ষে।
হাহাহাহাহা!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বহুবছর আগে পড়া কিছু একটার সাথে আপনার এই কাহিনীর কিছু যোগসূত্র পাই। আলেগ্জাঁদরের এই গেইয়া ওরিয়েন্টেশান সম্ভবতঃ তার স্ত্রীকে পরগামি হতে বাধ্য করেছিলো। আলেগ্জাঁদর যখন বিশ্বজয় করে রেড়াচ্ছে আর গেইয়ামি করে বেড়াচ্ছে তখন তার স্ত্রী হিপ্পোলাইট নামের এক তরুন সৈনিকের সাথে ষ্ট্রেইট অনুশীলনে ব্যাস্ত।
সাঈদীর একটা গল্প জানি তবে লিখে প্রকাশ করা যায় না, অঙ্গভঙ্গি ছাড়া বলা যায় না।
রাতঃস্মরণীয়
তাই? আমি আলেক-এর সমকামিতা নিয়ে তেমন কিছু মজার লেখা পড়ি নাই। এদিক-ওদিক কিছু রসিকতা ঘোরে ফেরে, আর আমাদের কলেজে একাধিক মজার নাটকে আলেক সায়েব এসেছিলেন। হিম্ভাইয়ের লেখাটা থেকে সচেতন ভাবেই আলাদা থাকার চেষ্টা করেছি। অতএব কিছু থেকে প্রভাবিত নই তেমন ভাবে।
সাঈদীর গল্প? ও জিনিস চেপে রাখেন না, ভিডিও করে পাঠায়ে ফেলেন। ইউটিউবে সুপারহিট হইয়া যাইব।
বিশদ মন্তব্যের লগে
নতুন মন্তব্য করুন