এক মহান চরিত্রের স্মৃতিতে

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/১১/২০১০ - ৮:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই দৃঢ়চেতা মহাপুরুষ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সচলবাসীদের কাছ থেকে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা পেয়ে উঠতে পারেন নি এখনও। আজ তাই আমার জীবনে এনার একটি মহান অবদানের কথা আপনাদের শোনাব, যাতে আপনাদের এই ধ্যানধারণা কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হতে পারে।

*********

চেক-ইন করে সিকিউরিটি পেরিয়ে শিকাগো এয়ারপোর্টে ডেল্টা’র লাউঞ্জে বসে আছি। আধঘণ্টা বাদে প্লেন দেবে হয়ত। মিনিয়াপোলিস ফিরব। এখানের ইউনিভার্সিটিতে একটা কনফারেন্সে এসেছিলাম, সে পালা মিটেছে।

বাসা থেকে রুমমেট ফোন করল, কখন পৌঁছব জানতে। কথা বলা শেষ হলে দেখি, পাশে এক ভদ্রলোক হাসি হাসি মুখ করে চেয়ে আছেন। আমাকে বললেন, ‘বাঃ, তুমি বাঙালী?’

স্বীকার করলাম। একজন বাঙালীর সঙ্গ পেয়ে উনি বেশ খুশি হয়েছেন মনে হল। কথা বলার লোক পাচ্ছিলেন না মনে হয়, আমাকে পেয়ে অনর্গল কথা বলে গেলেন। চটপটে হাবভাব, তার উপর বলিয়েকইয়ে, আমার মনে হল ইনি নিশ্চয়ই ব্যবসা-ট্যবসার লাইনে আছেন। তবে গায়ে পড়ে জিজ্ঞেস করতে গেলাম না। উনি নিজেই অনেক কিছু বলতে লাগলেন।

মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক, শুনলাম ভাগ্নীর বিয়ে উপলক্ষে দেশ থেকে এসেছেন, মিনিয়াপোলিস যাচ্ছেন, শিকাগো থেকে তাই কানেকশন নিতে হচ্ছে। পরিবারের সবাই নাকি আগেই পৌঁছে গেছেন, উনি কাজের জন্য দুদিন পিছিয়ে পড়েছেন। ওনার আদরিণী বড়ভাগ্নী আমেরিকারই কোনো সচ্চরিত্র দেশীয় পাত্রের স্কন্ধে আরোহণ করছেন, শুনে বড়ই আনন্দিত হতে হল। আজকালকার দিনে নাকি প্রবাসী সচ্চরিত্র পাত্র পাওয়া নিতান্তই দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তা হবে হয়ত।

এবার আমাকে নিয়ে পড়লেন। কি করি, কোথায় করি, ইত্যাদি বৃত্তান্ত। বললাম, ‘এই ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটাতেই পিএইচডি করি’।
‘কি নিয়ে?’
‘এই, কম্পারেটিভ লিটারেচার, অমিতাভ ঘোষ আর ...’
‘ও, ইংরিজি? এই তো তোমাদের দোষ, নিজের ঘরে এমন সুন্দর ভাষা থাকতে কেন পরের ভাষা নিয়ে পড়া? কেন, সাহিত্যটাহিত্য যা পড়ার তা বাংলায় পড়লেই পারো?’

তখন আর কি করা, সম্মানরক্ষার্থে বলতেই হল, যে বাংলা বইও মোটামুটি পড়ি, আর মাঝে মাঝে মনের খেয়ালে একটুআধটু লেখালিখিও করে ফেলি ইন্টারনেটে... ভদ্রলোক টেনে টেনে সচলের খবরটাও বার করে ফেললেন। স্বখাতসলিলে নিমজ্জিত হচ্ছি যে তখন উপলব্ধি করতে পারি নি...

সচলের নাম জানবেন অতটা আশা করি নি, তবে শুনলাম যে জানেন, মাঝে মাঝে পড়েনটড়েনও, ওনার চেনাজানা অনেকেই নাকি পড়েটড়ে। তা বেশ, জেনে বাধিত হলাম।

তখন আবার নিজের গল্পের ঝুলি ফেঁদে বসলেন। ওনার ভগ্নীপতি নাকি বেশিরভাগ সময়টাই বাইরে বাইরে কাটিয়েছেন, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এসব জায়গায় চাকরি করে করে, বড় মেয়ে ছোটবেলার কয়েক বছর দেশে কাটিয়েছে বলে অল্পস্বল্প বাংলা পারে তাও কিন্তু ছোট মেয়ে বাংলায় বড়ই কাঁচা। তারও জন্য দেশী পাত্র দেখা চলছে, কিন্তু কথাবার্তা বলে আর পাত্রের সাবেকপন্থী বাপ-মা প্রসন্ন হচ্ছেন না।

‘বুঝতেই পারছ, ওর বাবা এই সবে এক বছর হল আমেরিকায় পোস্টিং পেয়েছে, তার আগে তো যেখানে যেখানে ছিল সেগুলো ঠিক ইংরেজিভাষী দেশ না, তবুও ইংরাজিটা মোটামুটি ভালই পারে, এই তোমার মত হয়ত নয়, হেঁ হেঁ, তবে কথাবার্তা ঠিকই বলতে পারে, মুশকিলটা ওই বাংলাটা নিয়েই। ওর বাবা সেদিন ফোনে বলছিল, যে ফুটনি’র বিয়েটা তো ভালয় ভালয় পার হয়ে যাচ্ছে, এখন ডাঁবি’র একটা ব্যবস্থা করতে পারলেই হয়...’

কন্যাদ্বয়ের নাম শুনে চমৎকৃত হলাম। অমন নামধারিণী যুবতীদ্বয়কে দেখার খানিক কৌতূহলই জাগল বলা চলে। কিন্তু ইতিমধ্যেই আবার ওনার কাহিনীর স্রোতে ফিরে এলাম।

‘আসল ব্যাপার কি জান? আসল ব্যাপার ওসব না, আসলে ছোট মেয়ের রঙটা একটু চাপা কিনা, তাই ব্যাটারা খুঁতখুঁত করছে, আর সাথে হাজার ফ্যাকড়া তুলছে। বললে তো হবে না, এত বছর ধরে মানুষ চরিয়েই চালাচ্ছি, কার মুখে কি আছে আর মনে কি আছে শুনলেই বুঝতে পারি।

আমার অনুমান নিঃসন্দেহ হল, ভদ্রলোক সেল্‌স্‌’এর লাইনেই আছেন নির্ঘাৎ। তারপর বললেন, ‘তা যাক, আমার কথা তো অনেক হল, তোমার কথা শুনি...’

এরপর যা হয় আর কি, প্রবাসীজীবনের দুঃখকষ্ট নিজে হাতে রান্না করা ইত্যাদি নিয়ে নিজেই বেশিরভাগ সময় বলে গেলেন। সেখান থেকে আবার কথা গেল পড়াশোনায়,  আমরা দেশেরমুখোজ্জ্বলকারী ছেলেপুলে যেন পড়াশোনায় ফাঁকি না দিই হ্যান ত্যান... কথায় কথায় এক সময় বললেন, আচ্ছা, আমরা ওখানে থাকতে থাকতে কোনো এক দিন সময় করে চলে এস, খুব ভাল লাগবে... এমন ভদ্রতাবশতঃ অনেকেই বলে থাকেন, তবে গরীব দেশীয়খাদ্যবুভুক্ষু গ্র্যাড স্টুডেন্ট হলে এমন খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরতে চেষ্টা করে আর কি; স্বখাতসলিলে যে এবার কুম্ভীরানয়ন শুরু করেছি তা কি ছাই বুঝেছিলাম।

বললাম, হ্যাঁ, এই তো সামনেই শীতের ছুটি আসছে, একদিন চলে যাব’খন। বললেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, মাসখানেক ছুটি পাবে নিশ্চয়ই, এই বিদঘুটে বরফের দেশে? তা এক কাজ কর না, ওই সময়টায় যখন আসবেটাসবে তখন ডাঁবিকে, মানে আমার ছোটভাগ্নীকে, একটু বাংলা পড়িয়ে দিও না? ইংরিজি নিয়েই আছ, তোমারও একটু বাংলা চর্চা হয়ে যাবে আর কি, হেঁ হেঁ...’

এই অভূতপূর্ব প্রস্তাবটি আবিষ্কার করে যেন কোটি টাকার কোনো কঠিন কনসাইনমেন্ট বাগানোর সাফল্যের জ্যোতি খেলে গেল তাঁর মুখে। ডাঁবির সঙ্গে আলাপপরিচয়ের প্রস্তাবটা নেহাত মন্দ ছিল না, কিন্তু বাংলা শেখানোর মত রিস্কি বিজনেসে হাত দেওয়াটা সমীচীন বোধ হল না। বাং মাছের মত মোচড় দিয়ে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করতে লাগলাম, কিন্তু আমি বাং তো ইনি বোয়াল, চাপাচাপি করেই যেতে লাগলেন। ‘কেন, বললে তো, বাংলা লেখটেখ, ওই একটু দেখিয়ে দেবে’, ... ‘বুঝতেই তো পারো, ওই কঠিন কঠিন শব্দগুলো উচ্চারণ যদি বা করা যায় বানানের প্রসঙ্গ এলেই মুশকিল’...

এই শেষ কথাটা শুনে মনে একটা ক্ষীণ আশার আলোকরেখা দেখতে পেলাম মনে হল। তা দেশের ব্যবসায়ী, ঘুষের মহিমা জানেন বৈ কি, কোন গহীন থেকে একজোড়া নারকেলনাড়ু বার করে হাতে গুঁজে দিয়ে বললেন, ‘এই নাও, খাও’; আমার সৌজন্যমূলক আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে বললেন, ‘আরে না না, এই তো, দেশ থেকে ওদের জন্য বাক্স ভরে নিয়ে যাচ্ছি, তুমি দেশেরই লোক, দুটো খেলে কিচ্ছু হবে না।’

আরো কিছু ভুজুংভাজুং দিয়ে তারপর বললেন, ‘আচ্ছা, তোমার নাম-ফোননাম্বারটা দাও এখানকার, আমি সময়সুবিধামত ফোন করে তোমায় একদিন ডেকে নেব।’ মাথার মধ্যে চকিতে একটা বুদ্ধি খেলে গেল। প্যাডটা নিয়ে সুবোধ বালকের মত একটা নাম-ফোননাম্বার লিখে দিলাম। সেটা হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে বললেন, ‘হ্যাঁ, নামটা চেনা চেনা  লাগছে বটে... সচলে তুমি কি এই নামেই লেখ?’

বললাম, ‘হ্যাঁ, মাঝেসাঝে এই নামেও লিখি বটে, তবে আমার আসল আইডি হচ্ছে দলছুট।’

সজোরে বিষম খেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে বললেন, ‘ইয়ে, আমি একটু বাথরুম থেকে আসছি...’

মনে মনে বিকট হাস্য করে বললাম, হ্যাঁ, তা আসুন বইকি। মিনিয়াপোলিস এখনও দু ঘণ্টার পথ, এর মোদ্দে আপ্নার বাঘ্নিকে ভালো কোরে বাঙ্গলা ষেখাবার আমার সুতিবরো লালাসা সুযত্নে বুঝীয়ে দেবো...


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা। দেঁতো হাসি

'ডরাইলেই ডর।' তারপরের লাইনটি বলুন তো।

joy

কৌস্তুভ এর ছবি

কমু না। খাইছে

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

পোস্টটা ভালো লাগেনি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কৌস্তুভ এর ছবি

মন খারাপ

তাহলে দুঃখিত...

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

শেষের লাইন দুইটা মারাত্মক। চোখ টিপি

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ মানিক ভাই।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বাংলা ও বানান বিষয়ক যেহেতু, বুঝেছিলাম কেউ আসবে। তবে সরাসরি 'উনি'!

কৌস্তুভ (বানান ঠিকাছে আশা করি), আপনার লেখা বেশ আনন্দদায়ক। সহ-সচল/হাচল বা অতিথি কারো লেখাকে আমরা কষে সমালোচনা করে থাকি যদি আমার/আমাদের কাছে দৃষ্টিকটু লাগে। কিন্তু সেই ব্যক্তি কে নিয়ে যদি এভাবে আমরা পোস্ট লিখি, তবে আমাদের কম্যুনিটির স্পিরিট ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি।

একতারাটা আমার দেয়া।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

কৌস্তুভ এর ছবি

বুঝলাম, সিমন ভাই। এধরনের সমালোচনা লেখকের পক্ষেই উপকারী। একতারা ধন্যবাদের সঙ্গে গৃহীত হল।

আমার পক্ষ থেকে ব্যাপারটা এইভাবে ভাবা হয়েছিল - ইনি একজন সাধারণ অতিথি লেখক নন, এক বিশেষ ব্যক্তি। ফেসবুকেও এনার ফ্যান ক্লাব আছে। এমতাবস্থায় ওনার স্মৃতিতে আমার বিদুরের খুদকুঁড়ো। তবে আপনার পরিপ্রেক্ষিত স্বীকার করলাম।

দুর্দান্ত এর ছবি

ভাল লাগে নাই। মডারেটরদের ইমেইল করলাম।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাল লাগাতে না পেরে দুঃখিত হলাম।

সংসপ্তক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
টুইস্টটা দারুন! খুবই মজা পেলাম।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

কৌস্তুভ এর ছবি

ধন্যবাদ সংসপ্তক, আপনার মজা লেগেছে জেনে ভালো লাগল।

অতিথি লেখক এর ছবি

"দলছুট" এর ভূত কি সচল থেকে যাবে না? মন খারাপ
শুধু শুধু আরেকজনকে টেনে নিয়ে এসে অপমান করার কোন যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।

পাগল মন

কৌস্তুভ এর ছবি

পাগল মন, পড়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে এটা কাউকে অপমান করার জন্য লেখা এরকম ভুল ধারণা রাখবেন না দয়া করে। নির্দোষ মজা হিসাবে নেওয়ার জন্যই লেখা।

আশরাফ [অতিথি] এর ছবি

মুখফোড় রে ভালই পঁচাইলেন। আমার কিন্তু খুব ভালো লাগসে লেখাটা।

কৌস্তুভ এর ছবি

আশরাফ ভাই, গল্প ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম, কিন্তু এই গল্পেতে মুখফোড় কোথা থেকে এলেন?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখা ভালো খারাপ কোনটাই হয়তো নয়, তবে ওনার নামটা মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এসেছে। আমি ঠিক মেলাতে পারলাম না। তবে শিরোনাম পড়লে আবার অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়না। এটা কি সত্যি ঘটনা?

আপনার লেখায় অনেক টুকিটাকি বর্ণনা থাকে, আমি পড়ে অবাক হই আপনারা কিভাবে এত কিছু নিয়ে লেখেন। ভালো লেখাই দেন; এসব দিয়েন না।

কৌস্তুভ এর ছবি

পিপিদা, অনেকদিন আপনাকে তেমন পাই না সচলে, তাই মন্তব্য করতে দেখে খুব খুশী হলাম।

এটা সত্যি ঘটনা নয়, গল্পই। শেষটুকুর উপর ভিত্তি করেই গল্পটা, তাই সেটাই যদি অপ্রাসঙ্গিক মনে হয় তাহলে নিতান্তই আমার দুর্বলতা, আর শেষটা বাদ দিলে বাকি জিনিসটা আর আলাদা করে ভালো লাগার মত কিই বা আছে।

ভালো লেখাই তো সব সময় দেওয়ার চেষ্টা করি, তবে সব পাঠকের কাছে সেটা ভালো লাগে না হয়ত। তাই দোষত্রুটি ধরিয়ে দিলে সংশোধন করার চেষ্টা করব বই কি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্যস্ত সময় কাটছে, অবস্থা খুবই খারাপ।

আমার কিন্তু শেষেরটুকু বাদ দিয়ে শুধু বর্ণনাটুকুই ভালো লেগেছে। সেটাই বলার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলাম। দোষত্রুটি ধরা কঠিন কাজ রে ভাই। সেই যোগ্যতায়ও ঘাটতি আছে।

আমার বিবেচনা অন্যরকম। সবার সাথে মিলবে না। শেষটুকুর উপর ভিত্তি করে গল্প হলে সেটা এই গল্পের একটা মৌলিক সমস্যা (মানে গোড়ায় গলদ)। তবে শেষের অংশটুকু বাদ দিলে লেখনী আমার ভালো লেগেছে।

ভালো-খারাপ লেখা বলতে পাঠকের দৃষ্টিতে কেমন সেটাই বলতে চেয়েছি।

কৌস্তুভ এর ছবি

হুঁ, বুঝতেই পারছি। তাও সময় করে একটু গুঁতা দিয়ে যায়েন। হিম্ভাইয়ের পোস্টে একটা গাছপালা সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছি, দেখেন না উত্তর দিতে পারেন কি না।

ওহ, আচ্ছা! হাসি তাহলে আমার বোঝারই ভুল। আর গোড়ায় গলদের কথাও স্বীকার করছি। তবে প্লটের মূল অংশ তো ওটা, তাই ওই অংশকে ভিত্তি করে ছাড়া গল্পটা বানাব কি করে...

পাঠকের ভালো লাগার কথাই যে বলেছেন সেটা বুঝতে পেরেছিলাম, আমার বক্তব্য ছিল এই যে পাঠকের পছন্দ যাতে হয় এমনই লেখার চেষ্টা করলেও সব সময় সফল হই না আর কি...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।