(১) – ফলেন পরিচিয়তে...
নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল তার ফল সিজনের রঙবাহারের জন্য সুপরিচিত বইকি। যাঁরা আমেরিকায় থেকেও এখনও সেইটা দেখে উঠতে পারেন নি, তাঁদের কর্তব্য হবে চট করে সময়সুযোগমত এসে দেখে যাওয়া। অক্টোবরের দিকে চলে আসেন। একটু দূরে যাবার ইচ্ছা হলে মেইন বা নিউ হ্যাম্পশায়ারের পাহাড়শ্রেণী রয়েছে, আকাডিয়া ন্যাশনাল পার্ক রয়েছে। আর কাছেপিঠে যাবার ইচ্ছা হলে, কয়েক ঘন্টার জন্য নিয়ে যেতে পারি কনকর্ডে। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসেও এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মিনিটম্যান হিস্টোরিকাল পার্কে স্মৃতিসৌধ আছে, বিখ্যাত কবি এমারসনের বাড়ি আরেকটা টুরিস্টস্পট, কিন্তু আমরা তো সেসব দেখতে আসি নি, তাই চলুন মিনিটম্যান পার্ক আর খাল পেরিয়ে যাই ওয়ালডেন পন্ড-এ, যেটা ট্রেনে আসবার পথেই দেখতে পেয়েছেন ছোট্ট করে। এই হ্রদ আর লাগোয়া পার্কের সৌন্দর্য্য চমৎকার, আর পার্কের মধ্যেই থোরু’র বাসার ভগ্নাবশেষও রয়েছে, যেটা দেখতে পায় নি বলে সিরাতদা কত কান্নাকাটি করেছে।
যদি বস্টন ছেড়ে বেরোতে না চান, তাহলে শহরের মধ্যেই ফল কালারস দেখারও ব্যবস্থা আছে। শহরের প্ল্যানার’রা একটা দারুণ কাজ করতে পারত, চার্লস নদীর দুধারে সারি করে ম্যাপল লাগিয়ে, তাহলে ফল’এ চমৎকার লাগত, কিন্তু তার বদলে ম্যাড়ম্যাড়ে কিছু ওকজাতীয় গাছ বুনেছে শুধু। যাহোক, রাস্তাঘাটের এদিক-সেদিকেই কত রঙিন ম্যাপল গাছ দেখতে পাবেন। হার্ভার্ড ইয়ার্ড’এও কিছু চমৎকার গাছ আছে। কিন্তু যদি আমার বুদ্ধি নেন, যেতে বলব আমাদের আর্বোরেটাম-এ। শহরের দক্ষিণের এই বোটানিকাল গার্ডেনে একাধিক টিলার ঢাল জুড়ে রোডোডেনড্রন, ম্যাপল, পাইন আরো দেশবিদেশের গাছপালার মেলা। হাঁপিয়েঝাঁপিয়ে টিলাগুলোর মাথায় উঠে দিগন্তবিস্তৃত ভিউ যেমন পাবেন, দেখবেন রঙিন পাহাড়ের সারি ঢেউ খেয়ে খেয়ে চলে গেছে সুদূরে, তেমনই দূর থেকে বস্টন ডাউনটাউনেরও চমৎকার ভিউ পাবেন। তবে এখন এসে আর লাভ নেই, গাছপালা সব ন্যাড়া, ‘শীতের হাওয়ায় লাগল কাঁপন’ শুরু হয়ে গেছে।
(২) এ যে দৃশ্য দেখি অন্য...
একহাঁটু বরফে শহরনগর পথঘাট ডুবে থাকার দৃশ্য দেশে থাকতে কখনও দেখিনি। এখানে এসে দেখলাম বটে, এমনি দেখতে খারাপও লাগে না, কিন্তু রাস্তায় নামতে হলেই কেচ্ছা। যে চার্লস নদীর কথা বললাম, পুরো জমে যায় তখন, রাস্তা আর নদী আলাদা করা যায় না, হেঁটেই পেরোনো যায়; নদীর উপরেই আইস স্কেটিং করে লোকজন।
রাস্তায় ফুটপাথে চলাফেরা করাই তখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, গলা জল আবার জমে ‘ব্ল্যাক আইস’-এর পিছল স্তর পাতলা হয়ে জমে থাকে, আছাড় খেতেই পারেন। নেহাত যদি খেয়েই যান, মন ভোলাতে আপনাকে নিয়ে যেতে পারি নর্থ এন্ড’এ। শহরের অন্যতম ‘লাইভলি, হ্যাপেনিং’ জায়গা এটা, ইতালীয়, আইরিশ ইত্যাদি ইমিগ্র্যান্টদের বাসা (আমাদের ইউনির ইতালীয় বালিকা প্রথমদিকে এখানে অন্যান্য ইতালীয় যুবতীদের সঙ্গে বাসা করে ছিল), তাদের আকর্ষণীয় সংস্কৃতি, হইহট্টগোলে বেশ জমাটি লাগবে। আমি আবার এট্টু খেতে আর খাওয়াতে ভালোবাসি, আপনাকে নিয়ে যাব এমন একটা রেস্তোঁরায়, যেটা দেখতে-শুনতে অভিজাত না হলেও প্রবল জনপ্রিয় এবং খ্যাতিতে কুলীন – দি ডেইলি ক্যাচ। ডিনারের সময় গেলে ঘণ্টাখানেক লাইনও দিতে হয়ে থাকে। ভেতরটা একটাই মাত্র ছোট ঘর, তার মধ্যেই রান্নাঘর – কলকাতাভিজ্ঞরা অনাদির সুপ্রসিদ্ধ মোগলাই কেবিনের আমেজ পাবেন, সেইরকমই আধনোংরা পরিবেশ, প্রায় টেবিল-ধরে-খাড়া-থাকা কাস্টমারদের লাইন। এদের সবসেরা খাবারটাই খাওয়াব – স্কুইড ইংক দিয়ে তৈরী ব্ল্যাক পাস্তা, সঙ্গে স্কুইড-কুচি-ভাজা। স্বর্গীয়।
আর আপনারা যদি আমার মত মিষ্টান্নমিতরেজনা হয়ে থাকেন, তাহলে বেরিয়েই নিয়ে যাব উল্টো দিকের ‘মাইকস পেস্ট্রি’তে। সন্ধ্যার দিকে এর বাইরের লাইন কলকাতার পুজো প্যান্ডেলের লাইনের সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারে। সেখানে খাবেন টাটকা ক্যানোলি, রিকোটা চীজের পুর দেওয়া... উল্স্!
(৩) আহা আজি এ বসন্তে...
এপ্রিল পড়লেই আসতে শুরু করে নিউ ইংল্যান্ডের সবচেয়ে মনোরম এবং সুদৃশ্য ঋতু, বসন্ত, যাকে এখানে কয় স্প্রিং। এরা যত্ন করে সব জায়গায় ফুলটুল লাগায়, আর শুধু লাগিয়েই দায় খালাস না, যত্নআত্তিও করে, তাই এ সময়ে পথঘাট পার্ক-বাগান বড়ই সুন্দর লাগে দেখতে। বিশেষ করে, শহরের প্রাণকেন্দ্রের দুটো লাগোয়া পার্ক বস্টন কমন আর বস্টন পাবলিক গার্ডেন – দ্বিতীয়টা টিউলিপ আর অন্যান্য মরসুমী ফুল দিয়ে সাজিয়ে একেবারে স্বর্গরাজ্য করে রাখে। তাই এ সময়ে চলে আসাটাও বেশ বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এই সময় ডিসিতে চেরীফুল ফেস্টিভালের খুব রমরমা, তবে চেরী-আপেল-পীচ-এপ্রিকট ফুলের শোভা বস্টনেও কম না। চার্লসের ধারে অনেক এমন গাছ আছে। আর আছে নার্সিসাস অর্থাৎ কিনা নার্গিস ফুলের সারি। এক সুন্দর বিকেলে নদীর ধার বরাবর হাঁটতে যা লাগে না! ওদিকে আর্বোরেটামে গেলে দেখতে পাবেন লাইল্যাক-রোডোডেনড্রন-ম্যাগনোলিয়ার ছড়াছড়ি। আর একটা মজা নদীকে ঘিরে গড়ে তোলা পার্কের সারি, যাকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘এমারেল্ড নেকলেস’, সেখানের বিশাল গোলাপবাগানও চমৎকার।
পাবলিক গার্ডেনের কাছেই হল কপলি স্কোয়ার, আরেকটা ‘হ্যাপেনিং’ জায়গা। খুব পুরোনো কিছু চার্চ আছে, বস্টন পাবলিক লাইব্রেরীর সুন্দর স্থাপত্য, নীল কাচের হ্যানকক টাওয়ার দেখবেন। কাছেই প্রুডেনশিয়াল টাওয়ারে নিয়ে যাব, উপর থেকে বস্টনের শোভা দেখতে। নিচের প্রুডেনশিয়াল সেন্টারে খাওয়াদাওয়া, কেনাকাটি সারতে পারবেন। না হলে লাগোয়াই নিউবেরী স্ট্রিট, বস্টনের ফ্যাশন-সরণী। প্রুডেনশিয়ালের গায়েই ‘চার্চ অফ ক্রাইস্ট, সায়েন্টিস্ট’-এর সুদৃশ্য হেড’আপিস, আর ততোধিক বিখ্যাত রিফ্লেক্টিং পুল। আবহাওয়া ভাল থাকলে টিকিট কেটে ডাক ট্যুরেও উঠে পড়তে পারেন। উভচর যান, খানিকক্ষণ শহরের দর্শনীয় জিনিসগুলো দেখিয়ে চার্লসের জলে নেমে পড়বে, সেখান থেকে শহরটা আবার দেখবেন।
আর বস্টন কমন’এর অন্যপাশে হল পার্ক স্ট্রীট। কলকাতার পার্ক স্ট্রীটের মতই শহরের প্রাণকেন্দ্র। সেখান থেকে শুরু করতে পারেন ‘ফ্রীডম ট্রেইল’ পরিক্রমা। ফ্রীডম ট্রেইল হল শহর জুড়ে রাস্তার উপর আঁকা লাল রঙের পট্টি, যা আপনাকে বস্টনে স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি দেখিয়ে আনবে। চক্রাকার, তাই যেখান থেকে খুশি শুরু করতে পারেন। পার্ক স্ট্রীটে দেখবেন স্টেট হাউসের বিখ্যাত সোনালী রঙের গম্বুজ, আর প্রাচীন গোরস্থান, যেখানে শুয়ে আছেন পল রিভিয়ার, স্যামুয়েল অ্যাডামসের মত নামী ব্যক্তিরা। আর একটা পুরোনো কিন্তু এখনও সক্ষম ব্রিজ পেরিয়ে পথ গিয়ে শেষ হয় নদীর ওপারের উপনগরী চার্লসটাউনে। সেখানেও এক বিখ্যাত যুদ্ধ হয়েছিল, যার স্মৃতি হিসাবে আছে বাঙ্কার হিল মনুমেন্ট, যার নকশাই ডিসির বিখ্যাত নীডল’এর পূর্বসুরী। টাওয়ারটার মাথায় উঠে চার্লসটাউন বসতি অঞ্চল, নদীর খাঁড়ি আর বন্দর এলাকা, আর দূরে বস্টন শহর, সবই দেখতে ভাল লাগে।
(৪) – কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা...
গ্রীষ্মকালে এখানে চড়া গরম খুব একটা পড়ে না, বেড়াবার পক্ষে আদর্শ। আমি নিজে মাঝে মাঝেই সকালে উঠে বেরিয়ে যাই ছবি তুলতে। এ সময় চারদিক ঘন সবুজের প্রাচুর্যে ভরা থাকে, নয়নসুখকর। তবে আপনি যখন এসেছেন এদিকে, একবার আমাদের ক্যাম্পাসটা দেখবেন না? আর সেখানে গেলে নানারকম সব বাড়িঘরের সাথে যেটা দেখতেই হবে, সেটা হল আমাদের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের মধ্যে ‘গ্লাস ফ্লাওয়ারস কালেকশন’। একশ বছরের পুরোনো এই সংগ্রহে আছে হাজার হাজার গাছপালা ফুলফলের মডেল, সমস্ত কাচ দিয়ে তৈরী। জার্মান শিল্পী লীওপোল্ড ব্লাশ্কাকে বিশেষ অর্ডার দিয়ে তৈরী করানো এই সংগ্রহ দুনিয়ার আর কোথাও পাবেন না। কারণ এই বিদ্যাটি তিনি আর তাঁর ছেলে মৃত্যুর সময় সাথে করে নিয়ে গেছেন। এটা দেখে ফেরার সময়, যদি চালু থাকে, আমাদের মেমোরিয়াল হলে আপনাকে একটা কনসার্টও দেখিয়ে দিতে পারি।
তারপর ধরুন আপনাকে খাওয়াতে নিয়ে গেলাম চায়নাটাউন। ভাগ্য ভাল থাকলে, ড্রাগনের পোশাকে লোকজন এসে টেবিলের আশপাশে নেচে যাবে। ঠেলাগাড়িতে করে ঘুরে ঘুরে যাওয়া ডিম সাম’এর নানা পদও একটা অভিজ্ঞতা বইকি। সেখান থেকে যেতে পারি গরমিন্ট, থুড়ি, গভর্নমেন্ট সেন্টার, আরেকটা জমজমাট বাজার এলাকা। ফ্যানুইল হল, কুইন্সি মার্কেট ইত্যাদি বস্টনের প্রাচীনতম বাজারগুলোর মধ্যে। ভেতরে চমৎকার কিছু দোকান রয়েছে। এখান থেকে আমরা খাই গ্রীক দোকানের রোল ‘জাইরো’ আর শরবতের দোকান থেকে পিনা কোলাডা। অবশ্য আপনার তো ডিম সাম খেয়ে পেট ভরা।
এর লাগোয়াই হল বস্টনের বন্দর এলাকা। অতলান্তিকে এসে পড়া চার্লস নদীর মোহনা। যেহেতু গরমকাল, দিনটাও ভাল, চলুন একটা ফেরী ধরি কাছের দ্বীপগুলোয় যাওয়ার জন্য। আধ ঘণ্টা সমুদ্রের উপর দিয়ে ভেজা হাওয়া খেতে খেতে দুলতে দুলতে যেতে চমৎকার লাগবে। ছোট ছোট দ্বীপগুলো ঘুরে বেড়াতে বেশ। দূর থেকে ডাউনটাউন বস্টন দেখা যায়। ছোটখাট একটা বীচও আছে, সেখানে বিশ্রাম নিতে পারেন। আর প্রকৃত বড় বীচ চাইলে চলুন যাই বস্টনের সবচেয়ে জনপ্রিয় রিভিয়ার বীচে। বছরে একবার এখানে এখানে ‘স্যান্ড স্কাল্পচার ফেস্টিভাল’ হয়, কিন্তু সেটা যদি নাও পান, ‘দেখা’র মত অন্য কিছুও পেতে পারেন। আমার আবার জলে লাফঝাঁপ করতে বড়ই আমোদ হয়।
(৫)
তাও তো অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেল। দেখলেন না মিউজিয়াম অফ ফাইন আর্ট, গেলেন না এম.আই.টি’র ক্যাম্পাসে। ঠিক আছে, পরের বার হবে ‘খন। অবশ্য এই অফার কিন্তু বেশি দিনের জন্য নয় – আমি পাশ করে চলে গেলে আর পাবেন কই?
[কনকর্ডের আরো কিছু ছবি এখানে, বসন্তের কিছু ছবি এখানে আর এখানে। বসন্তের সেটটার থেকে কিছু ছবি অন্যত্র প্রকাশিত হয়েছিল, নীতিমালার জটিলতা এড়াতে বলে দিলাম।]
মন্তব্য
সময় কম তাই আংগুল দেখাচ্ছি (ভালো আংগুলটাই দেখাচ্ছি)
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যাক, বাঁচলাম!
খুব সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো......
-
বঙ্গসন্তান
থেঙ্কু! ছবি আরো অনেক আছে, সব তো আর পোস্টে দেওয়ার জায়গা মেলে না... শেষের লিঙ্কে গিয়ে কিছু দেখতে পারেন।
ছবি দেইখা ৫ তারা দাগাইলাম, লেখা পইড়া খ্রাপ লাগলে কমায় দিমু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কাম সারসে! আপাতত পাঁচতারার জন্য ধনেপাতা দিয়া রাখলাম, পরে যদি শুনি কমায়ে দিয়েছেন তাহলে বিছুটিপাতা করে দিমু
বাহ! তোফা ছবি আর জম্পেশ লেখা।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আহ, শুনেও শান্তি!
মাথা নষ্ট ছবি সব ! আরো বেশি কইরা ফটান।
হে হে হে...এতদিন খুঁজেছি যারে..♪♫♪♫♪......রেডী থাইক্যেন।
বেশ তো, চইল্যা আসেন, আপনারে লিয়েই ফটামু। আর হ্যাঁ, যদি আপনার কোনো (হবু হলেও চলবে) শালী থাকে, তাহলে নিয়ে আসতে যেন ভুলেন না... আরো ভালো কইর্যা খাওয়ামুদাওয়ামু... (আচ্ছা, উনি আবার ফিগার-কনশাস নাকি? )
ওফঃ অপূর্ব !!
আঃ, অনেক ধন্যবাদ!
ছবিগুলো দারুণ তবে যদি কখনো যাই, আপনার দ্বারস্থ হবো ওইসব দৃশ্য 'চোখে' দেখার জন্য নয়, আরো যেসব ব্যাপারস্যাপারের কথা বলেছেন সেগুলো 'চেখে' দেখার জন্য। বুঝতেই পারছেন, খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমি আবার একটু... খাওয়ার অভিজ্ঞতার লিস্টে কেঁচো সেদ্ধ পর্যন্ত আছে (চায়নীজদের সাথে খেতে গেছিলাম, ওদেরই দেশীয় রান্নাঘরে)
বেশ, বেশ, চোখে চেখে দুটোই দেখবেন, জিনিসপত্র আপনার অপছন্দনীয় হবে না আশা করি। কেঁচো সেদ্ধ খেতে কেমন? তাইওয়ানিজ বন্ধুদের সাথে খেতে গিয়ে শুওরের বৃহদন্ত্র সেদ্ধ খেয়েছিলাম, খুব একটা স্বাদু লাগে নি। আর আরশোলা শ্রেণীর পোকার দিকে হাত (বা চপস্টিক) বাড়াবার প্রবৃত্তি বা সুযোগ কোনোটাই এখনও হয় নি।
কেঁচোসেদ্ধটা খারাপ লাগেনি, নুডলস ভেবে নিয়েছিলাম, মুখে দিয়ে বুঝলাম ঘটনা আলাদা। তবে ভাগ্য ভালো ওটা কেঁচোই ছিল, কেঁচোর মত দেখতে অন্য কিছু না।
আরশোলা তো বেশ মচমচে মুড়মুড়ে জিনিস - একবার খেতে ভালই লাগে। এখানে সবই যোগাড় করা যায় কিন্তু নিজে রান্না করে পরীক্ষা করতে পারছি না হাউজমেটদের জ্বালায়। ওই জাতীয় কিছু রান্না করতে দেখলে সর্বধর্মের দেবতা অসুর সবগুলোর দিব্যি কেটে পালাবে।
পালালে তো ল্যাঠা চুকেই যায়, তাই না?
তা চোকে ... কিন্তু বাড়িভাড়ার শেয়ার যে ১০০% হয়ে যাবে...আমি দুঃস্থ গ্র্যাড স্টুডেন্ট...কাজেই বাধ্য হয়ে...
বস্টনদর্শন ভালোই হলো। তবে ফলের মধ্যে জল ঢুকিয়ে দেয়াতে প্রথমে একটু ঠান্ডা লেগেছিল।
এ আর কি, চলে আসেন, ফলার জলখাবার সব গরম গরম হবে'খন।
সবগুলো ফটুকই তো মারাত্মক। তবে উপর থেকে একুশ নাম্বার ফটুকটা, যাকে বলে একেবারে- "আরেকটু খোলাসা (নগদে বিশদ)" হলে ঈদের আনন্দ হতো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইয়ে, সেসব ছবি তো অনেকই আছে, কিন্তু এভাবে ফোরামে কি টাঙানো যায় দাদা? তবে ইস্পেনের ভূমধ্যসাগরকূলে গিয়ে যা দেখেছি, তার তুলনায় বস্টনের বীচবিহারিণীরা একেবারেই তুশ্চু! আর ইউরোপে থাকেন, আপনিও কি আর একটু এদিকসেদিক যান নি?
আমার নিজের বেশ পছন্দের ছবি ডান চোখে বরফের ফেট্টি মেরে বেশ একটা একচক্ষু পাইরেট ভাব নিয়ে বসে থাকা হার্ভার্ড সায়েবকে। ওনাকে কি জমাপানির জলদস্যু বলা চলে?
বেশ ভালো একটা ট্যুর হয়ে গেলো আপনার লেখাটা পড়ে। আর ছবিগুলো দারুন।
তবে খাওয়াদাওয়ার কথা বলে যে আমার জিবে জল নিয়ে আসলেন তার কী করবো এখন?
--------------------------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ ভাই। আর হাচলত্বের জন্য অভিনন্দন।
ট্যুরের কথা যদি বলেন, তাহলে হয়ত খেয়াল করবেন, যে ডাউনটাউনের খাওনদাওনের গল্প থাকলেও, ছবির বেলায় কিন্তু ডাউনটাউনের ভাগে কমই পড়েছে। দুটো কারণ। এক, নিউইয়র্ক বা শিকাগোর ডাউনটাউনের তুলনায় বস্টনের গ্ল্যামার অনেক কম। আর তাছাড়া, ভালো ভালো মনকাড়া জায়গা কিন্তু এদিক-ওদিক একোন-ওকোনেই থাকে বেশি।
ধন্যবাদ।
গ্ল্যামারের চেয়ে আমি অবশ্য খাওয়ার মানের দিকেই নজর দেই বেশি।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
জসীমউদ্দিনের নিমন্ত্রণ কবিতাখানি মনে করিয়ে দিলেন। ছবিও তোফা।
-কুটুমবাড়ি
পোস্টের জবাবে এমন একখানা কবিতা টাঙিয়ে দিলেন, সম্মানিত বোধ করছি! কৃতজ্ঞতা জানবেন। (আচ্ছা, এবার তেমন কোনো বানান ভুল চোখে পড়ল না?)
পাহাড়ের কোলে আমেরিকার গ্রাম যেমন দেখেছি, তেমনই দেখেছি পরিত্যক্ত কোলটাউন। সে এক অভিজ্ঞতা! আর এ তো পুরোদস্তুর শহর। তাও বস্টনের মধ্যে একটা ঘরোয়া ভাব আছে, নিউইয়র্ক ইত্যাদিতে যেটা একদমই নেই।
আমাদের বাসায় অধুনা বাসিন্দা এক যুবতী নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রাম থেকে আগতা। তার মা বেড়াতে এসেছিলেন, তেনার বক্তব্য, দূর, দূর, তোমাদের (!) বস্টনের মানুষজন ভদ্রতাই জানে না - রাস্তায় দেখা হলে আমাদের গ্রামের চেনা অচেনা প্রত্যেকেই হাসে, এখানে কই? আমি বললাম, তাও তো নিউইয়র্কের চেয়ে ভাল। বললেন, বাব্বা, আমরা তো ওদিকে যাবার চেষ্টাই করি না। তাই বলি, গ্রাম আর শহরের মানুষের ফারাক সব জায়গাতেই একই রকম, দেখে ভারি মজা লাগে।
ঠিকই।
-----------------------------------------------------------------------------
আপনার বানান-সচেতনতা সত্যিই প্রশংসনীয়, তাই ছোটখাটো কিছু সমস্যা পেলে ওভারলুক করার চেষ্টা করি। আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে দু-একটা বানানের কথা মনে পড়ল, সেগুলো এ রকম...
হাঁপিয়েঝাঁপিয়ে=হাঁপিয়ে-ঝাপিয়ে (হাইফেন দিতে না চাইলে স্পেস দিন)
শহরনগর=শহর-নগর
চেনা অচেনা=চেনা-অচেনা
রেস্তোঁরা=রেস্তোরাঁ (restaurant)
ভ্রমনকাহিনী=ভ্রমণকাহিনি
এ ছাড়া দীর্ঘ-কারের প্রাদুর্ভাবটা একটু বেশি মনে হয়েছে (বিশেষ করে বিদেশি শব্দে)। বিশেষ আর কী, এই তো!
-কুটুমবাড়ি
আঃ, এই তো। কেন জানি না, সচলের অন্যান্য বানানাভিজ্ঞরা যেমন মূলোদা বুনোদি এঁরা আমার পোস্ট মাঝেসাঝে পড়লেও কখনও বানান-পরামর্শ দেন না। আপনিই একমাত্র।
আমার বানান-সচেতনতা যুতসই না হলে তো আপনারই চিন্তা হবার কথা, বানানায়তন কোচিং ক্লাসে নিয়মিত প্রেজেন্ট থাকা ছেলে যখন। মনে আছে, একবার পুরোনো পড়া মনে না রাখায় আপনি কি হতাশই না হয়েছিলেন!
ছোটবেলায় শেখা অনেক বানান যে এখন অচল হয়ে গেছে, যেমন পোষাক, সে তথ্যগুলো আর জানা হয়ে ওঠে নি। তার উপর ধরুন, বাংলাদেশের ভাষা পরিষদ আর পশ্চিমবঙ্গের ভাষা পরিষদের কিছু নিয়মকানুন আলাদা থাকারই সম্ভাবনা। তা ছাড়া, পরিষদের কিছু বিটকেল নিয়ম আমি এখনই গ্রহণ করতে রাজি নই।
এই গ্রীষ্মে দেশে ফিরে দেখলাম, জীববিজ্ঞান বইয়ে নিয়ম হয়েছে, কোষ বানান বদলে কোশ করতে হবে। নিয়মটা কার বানানো জানি না, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নাকি ভাষা পরিষদের, কিন্তু আমার একেবারেই পছন্দ হয় নি। (শ বনাম ষ-এ ডেভিলস অ্যাডভোকেট হয়েছিলাম বলে যে আমি সর্বত্র শ চালাতে চাই এমন মোটেই না)
তেমনই সমস্ত বিদেশী শব্দেই ই লাগানোও আমার পছন্দ নয়। যেখানে উচ্চারণবশত ঈ আসে, যেমন পীচ ফল, ফ্রীডম, সেখানে প্রাপ্য ঈ দেবারই আমার বাসনা। তবে কিছু আমি ঘেঁটেছি লেখায়, সে কথা সত্য।
কাহিনি আর কাহিনী বানান দুটোই তো চলে দেখছি, এদুটোর গল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে হবে।
শহরনগর হাঁপিয়েঝাঁপিয়ে সম্বন্ধে আপনার বক্তব্য সত্য। ওইটা কথ্য আদল আনতে আমি লিখে থাকি, যেমন গেলুম চ্রম আকামকুকামকর্তে ইত্যাদি। ভদ্র করে লিখতে গেলে হাইফেন দেব বইকি। অতএব ওইটা স্বেচ্ছাকৃত ধরে নিয়ে উপেক্ষা করতে পারেন।
সাহায্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ। আজকাল একটু কী-এর দিকে মনোযোগী হয়েছি মনে হয়...
কোষ { সংস্কৃত \/কুষ্ + অ (ঘঞ্ )} বানানটা তো ঠিকই ছিল। তবে বাংলা একাডেমীর অভিধানেও কোশ ভুক্তিটি পাওয়া গেল, তার মানে এটি একেবারে অপ্রচলিত নয়! তবু বলতেই হয় কোষ বানানটিকে কোশ করার সুপারিশ আমারও পছন্দ হয়নি, শব্দটি সংস্কৃতমূল হওয়ায় এই পরিবর্তনের প্রয়োজনও ছিল না। বিপরীতে, পোশাক শব্দটি ফার্সি হওয়ায় কোনো ক্রমেই এখানে ষ ব্যবহার করা চলে না। অনেকে হয়তো তৎসম শব্দ মনে করে পোষাক বানান লিখেন, যা একটি ভুল প্রয়োগ। যথারীতি অভিধানেও পোষাক ভুক্তিটি দেখতে পেলাম না।
বাংলায় দীর্ঘ স্বর নেই। কাজেই উচ্চারণবশত ঈ ব্যবহার করতে চাইলে তা একান্তই আপনার বিবেচনা, তবে বিষয়টি কিন্তু বাংলা ভাষার সাথে একেবারেই যায় না। বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়েও এ কাণ্ডটি করে রাখা হয়েছিল, এখন অব্দি ছাত্র-ছাত্রীরা এটাই শিখছে। অবশ্য সরকারি ঘোষণা মোতাবেক অবশেষে ২০১২ সাল থেকে এ নিয়মের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। বাংলা ভাষায় দীর্ঘ-কার এখনও টিকে আছে (হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে) শুধুমাত্র তৎসম শব্দে, ব্যাকরণগত বাধ্যবাধকতার কারণে।
কাহিনি {সংস্কৃত কথনিকা> প্রাকৃত কহাণিআ> বাংলা কহানি> (স্বরসাম্যে) কাহিনি} তৎসম শব্দ নয়। তবে কাহিনী বানানটি যে সমান্তরালে এখন পর্যন্ত চলছে এ কথা সত্যিই।
-কুটুমবাড়ি
আমাদেরতো ষড়ঋতু। ওখানে কয়টা?
দারুন সব ছবি
চাইরডা গো ভাইডি।
দেশে তো আজকাল দেখা যায় কেবল গ্রীষ্ম আর বর্ষা। শীত একটু পড়ল কি পড়ল না, আর বসন্ত-শরৎ-হেমন্ত তো পুরোই ফক্কিকারি!
বাহ, খাসা জায়গা! ঘুরে যাওয়ার প্রস্তাব শুনে বেশ লোভ হচ্ছে, ঐদিকটায় ঘোরা হয় নি। প্রাকৃতিক আর মননের সৌন্দর্য্য, ২টোই পাশাপাশি
অবশ্য ফল কালারটা বেশ ভাল করে দেখেছি, নর্থ ক্যারোলিনার ব্লু-রিজ পার্কওয়ে আর পর্বতমালাটা ফল সিজনে দূর্দান্ত রকমের সুন্দর হয়ে যায়। হলুদ-সবুজ-লাল মিলে পর্বতগুলোয় যেন আগুন ধরে!
তাইলে সেসব জায়গার ছবি দেখাচ্ছেন না ক্যান?
চলে আসেন, চলে আসেন। তবে আপনার কথা আলাদা। আপনি এলে চায়নাটাউন নিয়ে যাবার বদলে আপনারে দিয়ে বিরিয়ানি রাঁধামু!
সুন্দর ছবি দেখলেই আমার ইচ্ছে হয় খেয়ে ফেলি!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খান না। ডিজিটাল ছবি রক্তবীজের মত, কপির অন্ত নেই। তবে ছবি খেয়ে কি হবে, চলে আসেন, আসল খাদ্যরই ব্যবস্থা হবে।
মারাত্মক।
বলছেন?
ছবি দেখে হিংসায়িত। এই জন্য আর লেখা পড়ি নাই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কি আছে দুনিয়ায়, দেশ দেখতে বেরিয়েই পড়েন!
সুন্দর
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যযোগ...
ভালো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আম্রিকার গাছপালা একবার ন্যাড়া হইলে ন্যাড়াই থাকে ছয়মাস। বড়ই আজিব জিনিস। তবে ফলের দিকে পাতা ঝরার আগে গাছগুলো যে অনিন্দ্য সুন্দর রূপ নিয়ে আসে তা এক কথায় অনন্য। যাইহোক ভাইডি, একখান ফাউ টিকেট পাইছিলাম। তাও যামুনা ভাবছিলাম (গো-বেশ্নার ঠেলায়)। কিন্তু আপ্নিতো চিন্তায় ফেলে দিলেন। আইয়া পরুম কইলাম কিন্তু। খালি একটাই সমস্যা এই সময়ে বিচে কিছু দেখার নাই।
অনন্ত
বেশ তো, চইলা আসেন। তবে ডিসক্লেমার এই, যে আমি যদি তখন কনফারেন্স-টনফারেন্সে বাইরে থাকি, তাহলে কিন্তু ফক্কিকারি! আর হ্যাঁ, বীচের মরসুম মে থেকে শুরু হয়। তার আগে কিছু পেতে হলে ফ্লোরিডা যান!
প্রথম ছবিটা দেখে আমার দেশের শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া আর মাদারের কথা মনে পড়লো আর মনে পড়লো অমিয় চক্রবর্ত্তীর কবিতায় সেইসব লাল ফুলের বর্ণনা!
আপনার লেখার আবেশে বোষ্টন ঘুরে আসতে ইচ্চহে করছে!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ; ওই ইচ্ছাটুকু জাগাতে পারলেই তো আমার লেখা সার্থক!
চোখ ঝলসায়া যাওয়ার উপক্রম! এইসব ছবি সানগ্লাস না, গাঢ় কালো গগলস পরে দেখতে হবে। B)
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দুর্ধর্ষ সব ছবি!
একটু ফরম্যাটিং করে ছবিদের ডানপন্থী হওয়াটা ঠেকানো যায়?
রাজর্ষিদা। দেরি করে উত্তর দিলাম, কদিন আসা হয়নি বলে, মাপ করবেন।
কিন্তু ডানপন্থী? আমি তো সবগুলো বামপন্থী দেখছি... আপনার কি ছবির পাশে পাশে লেখা চলে আসছে?
কি ব্যাপার আপনি এখনো সচল হননি? কেন? আপনাকে সচল করা হোক এই দাবি রেখে গেলাম। আপনার লেখা ভালো, খুবই ভালো। এবারেও যথারীতি ছবি ও লেখা দুটোই ভালো লাগলো।
--------------------------------------------------------------------------------
ভাবী, আপনার মন্তব্যটা পড়তে অনেক দেরি হল, কিন্তু অবশেষে পড়লাম। আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক, সচলাশীর্বাদ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
খুব ভাল্লাগছে, বিশেষত বরফে সাইকেলের ছবিটা। পাঁচ।
তয় ছবিগুলি এরকম তেড়েবেঁকে গেল কেন?
কি জানি, রাজর্ষিদাও বলছি ছবি বেঁকে যাওয়ার কথা, কিন্তু আমি তো ঠিকই দেখছি... একটা স্ক্রিনশট ইমেল করতে পারো?
নতুন মন্তব্য করুন