সদ্য সেমিস্টার শেষ হল; কাজের চাপে হপ্তাখানেক সচলে ঢুকতেই পারি নি। শুধু নিজের কাজই তো নয়, ক্লাস পড়ানো + খাতা দেখার কাজও আছে – চৈনিক প্রসাধনপটিয়সী, পূর্ব ইউরোপীয় বালিকা, মার্কিনী ব্লন্ডিনী সবার দায়িত্বই যখন আমার হাতে টিচিং অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে, তখন কর্তব্য বেড়ে যায় বই কি। ছাত্র(নাই বা হল)-ছাত্রীদের সন্তুষ্টও তো রাখতে হবে?
তা ‘বিদ্যাস্থানে ভয়েবচ’ কেন বললাম, সেইটা বলি। দেশে ‘সরসতি পুজো’য় যেসব চালকলাভোজী পুরুতমশায়েরা মন্তরতন্তর পড়েন, তাঁরা সবাই ‘বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ’-কে ‘বিদ্যাস্থানে... ভয়েএএএ-বচ’ করেই পড়েন। আর সেটা ছাত্রছাত্রীদের মনে ইস্কুলের যে প্রতিমূর্তি তার সঙ্গে খাপে খাপেই মিলে যায়। তাই কখনও কোনো কূলত্যাগী পুরুতঠাকুর ঠিকভাবে পড়ে ফেললেও সেটা সমবেত ছাত্রজনতার ভয়েবচ’তে ডুবে যায়। তা এখানে এসে দেখলাম, এখানকার ছাত্রছাত্রীরাও সেই ভয়েবচ সিনড্রোমে ঠিকই ভোগে, যেন তারা কত নির্যাতিত নিপীড়িত জনতা। মনে মনে বলি, হুঁহ, আছিস তো দিব্যি নবাবপুত্তুরের হালে, দেশে গিয়ে দেখতি, খাতা দেওয়াটা স্যারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ব্যাপার, কাটা নম্বরে জবাবদিহির কোনো দায় নেই... সেসব তো আগের এক পোস্টে বলেওছি।
তা ভাগ্যক্রমে এখানে খুশি রাখতে পেরেছি ছাত্র (করলে ওরাই ঝামেলা করে বেশি)+ছাত্রী (গ্ল্যামার-চার্ম ইত্যাদির কোনো ব্যপার তো আমার নেই, অতএব খুশি করলে পড়ানো দিয়েই করতে হবে) দুই দলকেই। আর প্রফেসররাও আমার ছাত্রছাত্রী-সামলানোয় বেশ সন্তুষ্ট। সেই ব্যালেন্স রাখাটাই আসল কাজ – বেশি বেশি নম্বর দিয়ে দিলে প্রফেসররা চটবেন, আর না দিলে যুবসমাজ। তাই ভাবছিলাম, এই গুহ্য ভারসাম্যতত্ত্ব নিয়ে একটু বাতচিত হোক, অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা পরামর্শ দিতে পারবেন, আর নতুন লিপ্ত যুবকেরা কিছু শিখতে।
আমাকে যেহেতু পড়াতে হয় স্ট্যাটিস্টিক্স, অঙ্ক আর বাস্তবের মধ্যে একটা সংযোগ রাখতে হয় সবসময়। কেবলই অঙ্ক করতে গিয়ে বাস্তব সমস্যার অংশটাই ভুলে গেলে ব্যাপারটা অনেকের কাছেই নীরস হয়ে দাঁড়ায়, আবার সমস্যাটা নিয়ে কেবল কথাই বলে গেলে তাদের মনে হয়, হ্যাঁ সে তো হল, কিন্তু অঙ্কটা কষব কী ভাবে?
যারা ক্লাসে এসে শুধু অঙ্ক করিয়েই চলে যায়, তাদের আমিও পছন্দ করি না, ছাত্ররাও না, যদিও তাদের সংখ্যাই বেশি। আমি তাই চেষ্টা করি অঙ্কের ফাঁকে ফাঁকে গল্প ঢোকানোর, যেমন যে সমস্যা থেকে এই অঙ্কটা এসেছে সেইটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যে স্ট্যাটিস্টিশিয়ান সেইটা প্রথমে করেছিলেন তাঁর সম্বন্ধে দুএকটা গল্প, এই অঙ্কটা ঠিক কোথায় কাজে লাগানো যায় তার গল্প। বা বাস্তব সমস্যাটা বোঝাতে বোঝাতে সেখানে ঠিক কোন অঙ্কের প্যাঁচটা ছাড়া উত্তর মিলবে না, সেইটা মনে করিয়ে দেওয়া। আমাদের আবার যেহেতু বায়ো-স্ট্যাটিস্টিক্স, বায়োর নানা মজার মজার তত্ত্ব দিয়েও ভরানো যায় অনেকটা, সেগুলোর মধ্যেও আবার সুন্দর সুন্দর অঙ্ক লুকিয়ে থাকে। ছেলেছোকরাদের আগ্রহী রাখা, আর কি।
তেমনই, কেউ যখন কিছু প্রশ্ন করে, সঙ্গে সঙ্গে উত্তরটা তাকে বলে দিই না। প্রথমত, অনেক সময়ই প্রশ্নের ভাষাটা ঠিকমত হয় না, হয়ত কিছু অষ্পষ্টতা আছে, বা হয়ত গোড়ার জিনিসটাই সে ভাল মত বোঝে নি, তখন তাকেই ফিরে প্রশ্ন করি, তুমি কি আসলেই এইটা বলতে চাইছ? উঁহু, এইটা তো হয় না, ভেবে দেখ তো। ঠিক ঠিক প্রশ্নটায় পৌঁছতে গিয়েই অনেক সময় উত্তরের খানিকটাও সামনে এসে যায়। তারপর সেই প্রশ্নটা করি ক্লাসের বাকিদের, তাদেরও ভাবনাচিন্তা দিয়েই অনেক সময় উত্তর মিলে যায়, আমি একটু গুছিয়ে বলে দিই শুধু। বা, তাদের বলা কথাগুলোর থেকে কিছু ভালো আলোচনাও এগিয়ে আসে।
অঙ্ক করার সময় এলেও আমি করে দিই না, তাদেরকেই করতে বলি, মিনিটকয়েক সময় দিয়ে। প্রশ্নটাকে ধাপে ধাপে ভেঙে দিয়ে, ধাপগুলোর জন্য কিছুটা যুক্তি আর কিছুটা ‘ইন্টুইশন’ দিয়ে তাদের ভাবতে সাহায্য করলে প্রায় সবক্ষেত্রেই একাধিক জন অঙ্কটা করে ফেলতে পারে। তারপর তাদেরই কাউকে বোর্ডে ডাকি। একটা বোর্ড তাকে দিয়ে পাশেরটা আমি নিই, কিছু খুচরো ধাপ পরিষ্কার করে দিতে, বা আটকে গেলে একটু ধরিয়ে দিতে। নিজে হাতে করলেই তারা শেখে সবচেয়ে ভাল। উদাহরণ হিসাবে করে দেওয়া এই অঙ্কগুলো তাদের বাড়ির কাজ করতেও সুবিধা করে দেয়।
পরে শুনলাম, গণিতবিদ পলিয়া নাকি তাঁর বইতে এইভাবে অঙ্ক করানোর কথাই বলে গিয়েছেন। তা আশা করি, খুড়োর কপিরাইট এতদিনে তামাদি হয়ে গেছে, মামলা খাওয়ার ভয় নেই।
সবাইকেই প্রশ্ন করি, যাতে সবাইকেই সজাগ থাকতে হয়। কিছু ছেলেপিলে অবশ্য আছে, দিনগত পাপক্ষয় করতেই ক্লাসে আসে, তাদেরকে তেমন পাত্তা দিই না; শুরুতে অবশ্য তাদেরকেও প্রশ্ন করে বাকিদের দেখিয়ে দিই, যে দেখ, এরা পড়াশোনা করতেই চায় না বলে এদের আর ঘাঁটিয়ে সময় নষ্ট করতে চাই না, কিন্তু তোমাদের যত্ন করব।
নবীন মাস্টারদের জন্য এখানে যে টিউটোরিয়াল হয়েছিল, তাতে বলেছিল, মাস্টারকে সবসময় উদার আর আগ্রহী ভাব দেখাতে হবে। এই যেমন, বক্ষ বাহুবদ্ধ করে থাকলে একটা একরোখা আর নিজের মতেই চেপে থাকার প্রবণতা বোঝানো হয়, ছাত্রদের মতকে পাত্তা না দেওয়ার ভাব দেখায়; তাই খোলামেলা আর হাসিখুশি থাকতে হবে, কোণে দাঁড়িয়ে থাকলে চলবে না। তাই বলে বালিকার সামনে খাড়িয়ে মিচকি মিচকি হাসি দিলে চলবে না কিন্তু!
এদেশে দেখি সর্বত্র পাওয়ারপয়েন্টের চল খুব বেশি। ক্লাসে, বক্তৃতায়, প্রেজেন্টেশনে, সব জায়গাতেই, দেশের বোর্ডের বদলে স্লাইড। ছাত্ররাও বোর্ডের পরিবর্তে স্লাইড থেকেই টোকে, অনেকে আবার নোটও নেয় না, স্লাইড তো ক্লাসের সাইটে পেয়েই যাবে। ব্যাপারটা আমার তেমন পছন্দ হয় না। পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহারকারীদের সাধারণ কিছু দোষ নিয়ে একটা মজার ভিডিও দেখতে পারেন এইখানে। আমি বোর্ড+মুখ এটাই পছন্দ করি, তাতে ছাত্রদের বুঝে টুকতে হয়, ওই ব্যসদেবের গণেশকে দেওয়া শর্তের মত।
নেহাত যখন আমাকেও কম্পিউটারে প্রেজেন্টেশন বানাতেই হয়, আমি অন্য একটা সফটওয়্যার ব্যবহার করি – প্রেজি। এইটা স্লাইডের মত কাঠ-কাঠ বা রঙ-অ্যানিমেশনের বাড়াবাড়ি কোনোটাই না, একটা সহজ আর স্মুথ জিনিস। একটাই মাত্র ক্যানভাসে পুরোটা সাজানো থাকে, বলতে বলতে ইচ্ছামত খুব ছোট একটা ডিটেলে জুম করে দেখানো যায়, আবার বেরিয়ে এসে পুরো ব্যাপারটা চোখের সামনে তুলে ধরাও খুব সহজ। আমি এখনও অবধি প্রেজি দিয়ে যে কটা প্রেজেন্টেশন দিয়েছি, সব কটাতেই আমার কাজের বদলে কী সফটওয়্যার ব্যবহার করেছি তাই নিয়েই বেশি প্রশ্ন এসেছে। আর সেটা আমার পক্ষে খুবই আরামদায়ক, কারণ আসল কাজে তো কেবলই ঘাপলা!
আমার ভাবনাচিন্তাগুলো তো বললাম। একজন নামী প্রফেসর তাঁর পড়ানো-বিষয়ক ভাবনাচিন্তাগুলো বলেছেন তাঁর ব্লগে। অন্যরা কি বলেন? আপনারা পড়া-মর্শ জানালে কাজে লাগবে বই কি। নতুন প্রবাসী যারা, তাঁরাও কোনো সমস্যার মুখে পড়লে সেটা বলুন না। আমাকে যেমন একজন বলেছিল, চীনাদের নামের উচ্চারণ নিয়ে খুব সাবধান থাকতে – Qi কে যে চি বলতে হবে, আর Xi কে শি, আবার Cai কে কাই, নইলে ছাত্রছাত্রীরা ‘অভিমানাহত’ হতে পারে, সেসব নিয়ে সতর্ক হয়েছি তখন থেকেই।
ও হ্যাঁ, শুরুর ছবিটা নালন্দার। ভাবলাম, সচলে তক্ষশীলা যখন এল, নালন্দাই বা বাদ যায় কেন? প্রাচীনযুগে ভয়েবচ’র তো সেটাও বড় একটা কেন্দ্র ছিল!
-------------------------------------------
অফটপিকঃ নিউ ইয়ারের আগে দেশে ফিরছি, আর জানুয়ারীর শুরুর দিকে বাড়ি থেকে হপ্তাখানেকের জন্য বাংলাদেশ যাবার একটা কথা উঠছে। নাঃ, পাত্রীর সন্ধানে নয় – সে বিলাই পালনের উপযুক্ত এই দীন এখনও হয়ে ওঠেনি বলেই অভিমত; পূর্বপুরুষের – চাষীই ছিলেন, জমিন্দার নয় – ভিটা দেখতে বশ্যাল যাওয়ার জন্য। পিরোজপুর – রায়েরকাঠি। সেই বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরপরই, যখন কাগজপত্রের তত কড়াকড়ি ছিল না, বাবা কিশোরবয়সে দাদুর সাথে সে ভিটায় গেছিলেন, তার একটা সিক্যুয়েল আরকি। এখন অবশ্য আমি আর কিশোর নেই, ধাড়ি হয়ে পড়েছি, তবে বেথা-করার মতন অতও নয়... তা বলছিলাম, সহৃদয় সচলরা যদি একটু পরামর্শ দিতেন, যাতায়াত ইত্যাদি ব্যবস্থাটবস্থা নিয়ে, যেমন ধরুন বাসে যাওয়া সুবিধা নাকি জলযানে, এরকম...
বাবা আবার এক ঘিঞ্জি শহর কলকাতা ছেড়ে আরেক ঘিঞ্জি শহর ঢাকার প্রতি তেমন পর্যটনাগ্রহী হচ্ছেন না। তা ভাবছিলাম, আশপাশে আর কি দেখাটেখা যায়... সচলের পোস্ট পড়ে পড়ে তো সিলেট-রাঙামাটি-লাউয়াছড়া-বান্দরবন সবই দেখতে ইচ্ছা করে, কেবল ওই বলিয়াদী বাদ্দিয়ে। আমাদের প্ল্যানট্যান কিছুই ঠিক হয় নাই, আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বরিশাল যাওয়া সুবিধা, নাকি উল্টোটা, আর কোথায় যাওয়া হতে পারে... আপনারা কিছু বুদ্ধি দিলে ভেবেচিন্তে দেখা যায়।
মন্তব্য
এক দমে পড়ে ফেললাম। আমি রেলিভেন্ট ডিসিপ্লিনের বা ব্যাকগ্রাউন্ডের না হলেও লেখা ভালো লাগলো। জীবনে মাত্র দুজনকে পড়িয়েছি, তা'ও ফ্রি সাথে চা-নাস্তা খাইয়ে, আমার বাড়িতেই। ইন্টার পড়া এক ছেলেকে ষ্ট্যাটিসটিক্স পড়াতাম, পাড়াতো বড়ভাইয়ের শ্যালক। কয়দিন পরে বান্দরটা আমাদের এক ভাড়াটের বাসার গৃহকর্মী মেয়েটাকে নিয়ে ভাগলপার। কয়েকদিন পরে ধরে আনা হলো, বিচ্ছেদ ঘটানো হলো, আর আমার ছাত্রকে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। গতবছর এক ইউএনওর অফিসে মিটিঙে যেয়ে দেখি আমার গুণধর ছাত্র সোবাহান ওই উপজেলার বিপুল ভোটে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। যখন ছুটে এসে সালাম করলো, প্রথমে আমি প্রথমে চিনতে পারিনি। জিজ্ঞেস করেছিলাম তুমি কি সোবাহানের বড় ভাই? সে বিনীত ভঙ্গিতে দাঁত কেলিয়ে দিয়ে বললো যে সে ই সোবাহান। আর পড়াতাম এক সহপাঠি বান্ধবীকে, একই সাবজেক্ট। অবশ্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের ফাইনাল ইয়ারের কিছু পোলাপানের রিসার্চগুলো একটু দেখে-টেখে দেই মাঝেমধ্যে সময় পেলে।
লিখতে ভুলে গেছিলাম, তক্ষশীলায় অনেক বড় এবং সমৃদ্ধ একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি আছে।
সবশেষে বলি, আপনার আর আমার দাদার বাড়ি একই জায়গায়, পিরোজপুরে। ঢাকা হয়ে আসার কোনও যুক্তি নেই ঢাকায় কোনও কাজ না থাকলে। বেনাপোল বর্ডার পার হয়ে খুলনা হয়ে পিরোজপুর যাবেন। বেনাপোল থেকে সর্বসাকুল্যে ঘন্টা চারেক লাগবে যদি গাড়িতে দেরী না হয়। আসার তারিখ ফাইনাল হলে জানিয়েন, রুট ম্যাপ বাৎলে দেবো।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নাঃ, আমার কোনো ছাত্র বা ছাত্রী এত গুণধর হয় নি এখনও পর্যন্ত। তা ভালো তো, ভাইস চেয়ারম্যান আপনার ছাত্র হওয়া তো খুবই সুবিধার, আলিসাহেবের কাবুল-উপাখ্যান মনে আছে তো?
বাঃ, আপনি রুট ম্যাপ বাৎলে দিলে তো নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। বেনাপোল-পিরোজপুর আর ঢাকা-পিরোজপুর দুটোই বলে ফেলুন না এখনই - শুভস্য শীঘ্রম বলে কথা।
লেখা ভালো লাগলো। কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম যে হাইব্রীড গোছের কিছু সাব্জেক্ট (যেমন আপনার বায়োস্ট্যাট বা বায়োমেড) নিয়ে একটা লেখা দিব, আলসেমির জন্য হচ্ছেনা। এই সাব্জেক্টগুলো পশ্চিমা দেশে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এই পরিবর্তন গুলো যে পরিমানে আসা উচিত ছিল, সেই পরিমানে আসেনি। আশা করছি অচিরেই আসবে।
-রু
দিয়ে দেন, দিয়ে দেন। তবেই না পরিবর্তন আসার পথে একটু হলেও এগোনো হবে। আর মন্তব্যের ধন্য ধন্যবাদ।
আহ, আরেকজন 'বেচারা' টিচিং অ্যাসিসট্যান্ট
গতকাল এই টার্মের সব খাতা দেখা শেষ করলাম...উভয় পক্ষ থেকে যথাবিহিত খোঁচা এবং চোখরাঙানি সহযোগে . গুরু সবচেয়ে ভয়ানক - বেশী নম্বর দিলে বলে "বেশী দিয়েছো কেন - নম্বর কি ঢেলে দেয়ার জিনিস?" আর সেখান থেকে এক নম্বর কাটলে বলে "আবার কাটলে কেন? - আন্ডারগ্র্যাডের বাচ্চাকাচ্চা হয়েছে বলে কি ওদের নম্বর লাগে না?"
এমনিতেই পড়ানো জিনিসটা দুই চোখের বিষ, সেই কর্মই করতে হচ্ছে এখানে কত কি যে আরো করতে হবে জীবনটা শেষ হওয়া পর্যন্ত
Qi মনে হয় চি না - ছি। Qing রাজবংশটা বোধহয় ছিং রাজবংশ। চাকরী করতে গিয়ে বুঝতে হতো "হোয়েনোঅ ক্যানঅ ইয়উঅ ফিনিশঅ" (শেষ বর্ণটায় এক্সট্রা স্ট্রেস) মানে কি...আর এখানে বুঝতে হয় "দুঅ ইয়উঅ মিনঅ..."... একেক অঞ্চলেরটার উচ্চারণ আবার একেক রকম
ব্যাপারটা কী - পড়ানো আপনার অপছন্দনীয় কাজ, আর আপনি একজন অপছন্দনীয় টি.এ.?
এখানে আমি যত শুনেছি সবার কাছেই Qi উচ্চারণ হল চি। আপনি হয়ত অন্য ডায়ালেক্টের কিছু শুনেছেন, অথবা কোনো চীনা রমণী হয়ত আপনাকে লজ্জায় ছি বলেছে।
হুঁ, অ্যাকসেন্টের ব্যাপারটা তো আছেই। যে ব্লগের লিঙ্ক দিয়েছি, সেখানে আবার বলা হয়েছে, যে অল্প একটু অ্যাকসেন্ট থাকলে নাকি ভালই, সেইটা ডিকোড করতে যে বাড়তি পরিশ্রমটুকু লাগে সেটা নাকি বেশি মনোযোগী করে তোলে।
কৌস্তুভ ভাই,
লেখাটা দ্রুত ফুরিয়ে গেল যে! যাই হোক, ছাত্র সামলাতে আপনার বাৎলে দেওয়া উপায়টা ভাল। আমি তো প্রায়ই বিপদে পড়ি আমার দুইখান আন্ডারগ্র্যাড ক্লাস নিয়ে। টি.এ. হিসেবে যত ঝক্কি পোহাতে হয় মিডটার্মের সময়। এমনিতে অফিসের নির্দিষ্ট সময়ে কারও দেখা নেই। ঠিক আস্যাইনমেন্ট জমা দেওয়ার আগের দিন ভিড়! অথবা মিডটার্মের আগের দুইদিন ই-মেইল করে সয়লাব করে ফেলবে। তবে আমিও ছাত্র কিনা, পরি-কাষ্ঠ-ন্যাতা (procrastinate) করতে কম যাইনা
ঢাকায় এসে ক্যামেরা কান্ধে চলে যান পুরানো ঢাকায়।গলিতে গলিতে ফেলে আসা দিনের স্মৃতি। শাখারীবাজার, নবাবপুর ঘুরে, লালবাগ, ্তারা মসজিদ, আহসান মঞ্জিলসহ খান কতক আদিবাড়ির ফটো খিঁচে, বুড়িগঙ্গার পানি দেখে নাক সিঁটকে চলে যান হোটেল নীরবে (বাঙালিখানাঃ ভর্তা-ভাত)। মোঘলাই চাখতে উঁকি মারুন ঠাটারিবাজারের স্টারে বা নান্না মিয়ায়। শুধু রান্নায় নয়, রাস্তাতেও হরেক রকম মানুষের স্বাদ পাবেন।
বিকেলে চক্কর দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। রিকশা করে ঘুরবেন। চারুকলা, ছবির হাট, কার্জন হল, হাইকোর্টে ঢুঁ মারবেন আর রাস্তার যত অস্বাস্থ্যকর খাওয়া চেখে দেখবেন। বাংলা বইয়ের খোঁজে আজিজ মার্কেটে গুঁতো দিতে পারেন। আড্ডা মারতে ঠাঁই নিন আঁলিয়াস ফ্রাসেজের কাফেতে।
ফাহিম হাসান
প্রসঙ্গত, প্রেজি কি ফ্রি সফটওয়ার?
ফাহিম ভাই, ছাত্র হিসাবে আণ্ডারগ্র্যাডরাই সবচেয়ে দুর্দম বটে, আমার আগের লেখাটায় এই নিয়ে অনেক দুঃখালোচনা হয়েছিল। তাদেরকে নরমেগরমেই রাখবেন, শত হোক আপনিই তো টি.এ., ক্ষমতার মালিক।
আর পরিকাষ্ঠনেশন জিন্দাবাদ!
হ্যাঁ, প্রেজি স্টুডেন্ট আর পার্সোনাল দুটো ফ্রি লাইসেন্স রেখেছে। স্টুডেন্টটায় সুবিধা বেশি, করে নিন।
আপনার দর্শনীয় স্থানগুলোর পরামর্শ নোট করে রাখব। ধন্যবাদ!
বরিশাল গেলে ভোলাও ঘুরে আসবেন। জার্নিটা খুব উপভোগ্য। বান্দরবান আর বরিশাল সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।
পরিসংখ্যান নিয়ে কিছু হাফমাস্টারি পোস্ট দিন না, মানে পরিসংখ্যানের ইন্টারেস্টিং ব্যাপারস্যাপার নিয়ে।
ভোলা? জায়গাটার সম্বন্ধে তাহলে একটু বিশদে জানতে চাই, লিঙ্কটিঙ্ক হবে কোথাও?
হ, আমাগো বরিশালকে বলা হত নাকি প্রাচ্যের ভেনিস। ছোটবেলায় নৌকা চেজের কত রোমহর্ষক গল্প শুনেছি, কোথায় লাগে বন্ড চাচু? সেইটা সম্প্রতি আবার জাফর ইকবালের রবিনের গল্পে পড়ে চমৎকার লাগল।
হ্যাঁ, আপনার স্ট্যাটাস দেখলাম। কিন্তু এইটা প্রথম পাতা থেকে সরা অবধি অপেক্ষা করতে হবে তো! আচ্ছা, এইটাকে একটা শিক্ষাবিজ্ঞান-সংক্রান্ত পোস্ট বলে ধরা যায় না?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
লিঙ্ক তো সেরকম নেই। ভোলা একটা দ্বীপ। বরিশাল থেকে প্রথমে কীর্তনখোলা পেরোতে হয়, তারপর ফেরিতে বা নৌকায় চ্যানেল পেরিয়ে যেতে হয় ভোলায়। সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসা যাবে।
দ্রষ্টব্য তেমন বিশেষ কিছু নেই, কিন্তু ভোলা অসম্ভব সবুজ একটা জায়গা। একটু পর পর বৃষ্টি হতে থাকে, বাতাস চালায়, রাস্তার দুইপাশে পুরনো সব গাছ, জঙ্গুলে ভাব চারিদিকে, আর অতি অতি সস্তায় ইলিশ মাছ পাবেন ঘাটের পাশের পাইস হোটেলে। একটা এক চোখ অন্ধ কুকুর একটা ডালপুরির আশায় এসে পায়ের কাছে বসে থাকতে পারে সেখানে, যদি বেঁচে থাকে এখনও।
নৌকা ভ্রমণটাই দারুণ। ভোলা না গেলে সন্ধ্যা নদী ধরে ঘুরে আসুন কিছুদূর। নদীর দুই পাশে ঘন জঙ্গল। এমন সুন্দর জায়গা আর একটা জায়গায় আছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে, মুড়াপাড়ায়, সেখানে শীতলক্ষ্যা নদী অগভীর আর চওড়া হয়ে গেছে। ঐ নদীতে দেখবেন দু'টো পাঁচ বছরের বাচ্চা একটা পলকা নৌকা বাইতে বাইতে আপনমনে কোথায় চলে যাচ্ছে, কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সন্ধ্যা নদীর ওপাশে গ্রাম, ওখানে বাড়িগুলোর পাশে খাল আছে, খালের পাশে উঠানের কিনারে নৌকা উপুড় করে রাখা, খালের দুই পাশে অপূর্ব সব গাছগাছালি। শীতগ্রীষ্ম সবসময়ই বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব থাকে, একটু পর পর সূর্য ওঠে আবার, খুবই চমৎকার জায়গা।
মুড়াপাড়া, হুমম! মুড়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বল্পকালীন ছাত্র হিসেবে কাটিয়েছি। আমার লাল রঙের এ্যাভন সাইকেলটা চালিয়ে প্রায় বিকেলেই লুকিয়ে চলে যেতাম মুড়াপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে, যেখানে শীতলক্ষার সেই প্রশস্ত জায়গাটা আছে। তখন বালু তুলতো নদী থেকে। সেই বালু একটা চিঙড়ি মাছের মাথা মার্কা ট্রাকে করে কৈ জানি নিয়ে যেতো। এই ট্রাক চালক ছিলো আবার আমার বন্ধু। কখনো কখনো স্কুল থেকে ফেরার পথে আমাকে বাড়ির কাছে লিফট দিতো দুই মিনিটের পথে।
আমরা যেখানে থাকতাম, তার পাশের কাঁচা রাস্তা ধরে সামনে এগিয়ে গেলেই চমৎকার সবুজ চোখে পড়তো অ-নে-ক দূর পর্যন্ত। মাটির রাস্তার দুই ধারে সবুজ পরিচ্ছন্ন জঙলা, এগুলোকে কি 'বাতান' বলতো লোকে! সাইকেল চালিয়ে যতোদূর যাওয়ার অনুমতি ছিলো, তার চেয়ে বেশিদূর গিয়েও এর শেষ দেখতে পাই নি।
মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের সামনের আম বাগানের কথা মনে পড়ে। ভয়ে ঢুকতাম না কখনো, আজও ঢুকা হয় নি কলেজের চত্বরে। কেবল গল্পই শুনেছি, কলেজের, বিরাট জমিদার বাড়ির নানা চিপাচুপার!
লিটন ভাই ছিলেন, কলেজে পড়তেন তখন। ছাত্রলীগ করতেন (ভাইয়ার কাছে শুনেছি, এইটা কী জিনিস, তখনও পুরোপুরি বুঝতাম না মনে হয়)। একদিন দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখি তাঁর দুলাভাইয়ের মোটরবাইক এক্সিডেন্ট করে লাইট-ফাইট সব ভেঙে ফেলেছেন। আর দুলাভাই এর সেকি হম্বিতম্বি! মুড়াপাড়া ছেড়ে আসার পর একদিন আব্বা বললেন, লিটন মারা গেছে। প্রতিপক্ষের গুলিতে। তখন হয়তো সবে প্রাইমারীর গণ্ডী পেরিয়েছি। লিটন ভাইয়ের হাসি হাসি মুখটা চোখে লেগে আছে এখনও। খুব আদর করতেন আমাদের।
মুড়াপাড়ার আমার সব বন্ধুদের সাথে আর দেখা হয় নি ঊনোনব্বই এর পর। কাকন, টিপু, ইতি, পিলু- এরা এখনও আমার কাছে হাফপ্যান্ট পরা একেকজনই রয়ে গেছে। সময় চলে গেলেও, আমি সেই সময়কে অনেক আগেই পেছনে ফেলে চলে এলেও এরা এখনও সময়ের উপত্যকাতেই রয়ে গেছে। রয়ে গেছে সেই সময়ের প্রশস্ত শীতলক্ষা আর তার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া একেকটা লঞ্চ, ট্রলার বা নৌকা। হেমন্তের কোনো এক বিকেলে এখনও চিঙড়ি মাছের ট্রাকে করে বালু নিয়ে শীতলক্ষার পাড় থেকে নানা জায়গায় চলে যায় আমার সেই বন্ধু ট্রাক ড্রাইভারটি। আর এখনও একটা লাল রঙা এ্যাভন সাইকেল সাঁই করে ইটের রাস্তা ধরে ছুটে যায় শীতলক্ষার পাড়ের দিকে, ছোট্ট, গাটুস-গুটুস আমাকে নিয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চলেন আবার যাই! আপনার তো দেশে ফেরার কথাই ছিল না?
হিমু আর রঙীন ভাই, আপনাদেরকে প্রাণঢালা হিংসা।
একেকটা সাধারণ মন্তব্যেও সামান্য কিছু লাইনে, এমন অসাধারণ করে বাংলাদেশে প্রকৃতির সাথে মিশে যাবার বৃত্তান্ত তুলে ধরতে পারাটা অমানবিক। (দীর্ঘশ্বাসের একটা ইমো দরকার)!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অসম্ভব সবুজ একটা জায়গা? তাহলে গিয়ে কি লাভ, গাছপালার জন্য তো কিছু দেখাই যাবে না...
বলিয়াদির জমিন্দার বাড়ি না দেখলে আপনার বাংলাদেশ ভ্রমণের কোন মানে হয় না।
কাকস্য পরিবেদনা
হাহাহা...
দ্রোহীর সাথে পুরাই সহমত।
আর কৌস্তুভদাঃ স্ট্যাট পড়ান। বড় ঝামেলায় আছি। সামনেই পরীক্ষা। নালহাইপোথিসিস আর ওয়ান্সাইডেডটেস্ট বড় পেইন্দেয়।
আপনি পড়ালে ভালুগ্রেড নিশ্চিত
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান ভাই, চিন্তার কি আছে, ওইগুলো তো সোজা সোজা জিনিস, এক কাম করেন, কয়েকজন ছাত্রী জোগাড় করে টিউটোরিয়াল খুলে ফেলেন আমি পড়াতে চলে আসব।
কিন্তুক নালহাইপোথিসিস আর ওয়ান্সাইডেডটেস্ট কি সত্যিই পেইন্দেয়?
তা পোস্ট পড়ার জন্য , মন্তব্যের জন্য , আর কোথাও ছাপিয়ে না দেওয়ার জন্য আরো বেশি
গরীবের পেটে বলিয়াদী সইবেনা গো দাঠাউর...
@ দ্রোহী - Funning always not good. Don’t funning with respected…
কৌস্তুভ ভাই,
আপনার 'প্রেজি' তো আমাকে ক্রেজি করে তুলছে! অনেক ধন্যবাদ ভাই। চমতকার একটি লেখা পড়লাম, সেইসাথে পসন্দের পোষ্টেও রাখলাম।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, সহৃদয় মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রেজি সত্যিই ভাল জিনিস।
পড়ানোর যে এস্টাইলের কথা বললেন তাতে আপনার কামিয়াবী নিশ্চিত। যারা নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করাতে পারে তারা খুব ভালো ম্যানেজার হতে পারে।
বাংলাদেশে আসার সময় আমাকে বা ঢাকাস্থ যে কোন সচলকে একটু টোকা দেবেন। দেখবেন আপনার গোটা ভ্রমণটাই রঙিন হয়ে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হেঁ হেঁ...
রঙিনটঙিন হওয়া তো খুবই আনন্দের ব্যাপার, কিন্তুক টোকাটা দিই ক্যাম্নে?
খোমাখাতায় আমি এই নামেই আছি, অ্যাডাতে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
স্ট্যাটিস্টিক্স ক্লাশের কথা মনে হলেই ছাত্রাবস্থার একটা ঘটনার কথা মনে হয়...। স্ট্যাটিস্টিক্সের থেকে পৃথিবী্র অনেক ইন্টারেস্টিং জিনিসের কিছু একটার জন্য দুই দিন ক্লাশ মিস দিয়ে তৃতীয় দিন ক্লাশ অর্ধেক হবার পর চুপিচুপি ক্লাশে ঢুকেছি (দিনগত পাপক্ষয় টাইপ আরকি)। ধরতে পারছিনা কোন চ্যাপ্টার পড়ানো হচ্ছে। পাশের জনের কাছে ফিসফিস করে জানতে চাইলাম, ‘কোন চ্যাপ্টার’? কিছুক্ষণ শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে সে উত্তর দিল, ‘মনে হয় এটা স্ট্যাটিস্টিক্সের ক্লাশ’।
লেখাটা ভাল লেগেছে। স্টাইলটা ভাল লাগল। এখানেও শিক্ষাদানের পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে...।
আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল শিক্ষকতার...। হল কই? কত এসসচন্দনবিল্লপত্রপুস্পাঞ্জলী করলাম...।
নামের বিড়ম্বনায় আরেকটা ঘটনা মনে হল, মাত্র ছাত্রজীবন শেষ হয়েছে – ৮ জনের একটা ওয়ার্কশপে ঝকঝকে পূর্বইয়োরোপের তরূণীর সামনে নেমট্যাগ - Jelena Milosevic । টি-ব্রেকে বত্রিশ দাত বের করে গিয়ে বললাম – তারপর জেলিনা... মুখ কালো করে বলল নামের উচ্চারণ এলিনা...।
হা হা... স্ট্যাট নিয়ে দেখি বড়ই গিয়ানজাম
পড়ানোর শখ থাকুক না, আপনার চমৎকার ব্লগগুলো লিখতে থাকেন, আমরা পড়ে শিখি, আর বলা যায় না কোনো ইস্কুলবইও সেটা নিয়ে ছাপিয়ে দিতে পারে।
আবারও বলি, আপনার 'চার ঘন্টার সচল' আমার অন্যতম প্রিয় একটা পোস্ট।
জেলিনা থুড়ি এলিনাকে বলুন, নামে কি আসে যায়...
আমার মতে, আগাগোড়া স্লাইড অনুসরন করে ফেলে পাঠদানটা ভীষণরকম জোলো হয়ে পড়ে, হয়ত স্লাইডে অল্পসময়ে অনেককিছু ঠিকঠাক গুছিয়ে দেখানো যায়, কিন্তু সেটা কতটুকু ইন্টারঅ্যাকটিভ হয় সেটা ভাবনার বিষয় বৈকি।
আর সুহানের পরামর্শে মোটেই কর্ণপাত করবেননা, ও বেটা যাবতীয় পড়া ঠেঙ্গিয়ে এখন সাধু সাজার তালে আছে। এই অধমকে কিছু জ্ঞানবর্ষণ করলে বরং ইহলৌকিক-পারলৌকিক দুই মংগলই সাধিত হবে :D।
এই মওকায় একটু নিজের ঢোল পেটাই, পারলে আমার পোস্টগুলো পড়ে ওসব জায়গায় ঢুঁ মেরে আসবেননা, নইলে হলফ করে বলতে পারি, বাংলাদেশ সফর ষোলকলা পূর্ণ হবেনা।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ভাইরে, ভাল ভাল জায়গার কি আর অভাব আছে, কিন্তু অত জায়গায় যাবার সময় কই? আপনি যদি একটা ঝটিকাসফর কন্ডাক্টেড ট্যুর অপারেট করেন তাহলে...
স্লাইড সম্বন্ধে আপনার বক্তব্যে সহমত।
আপনার স্ট্যাট ক্লাসের কথা শুনে আমার একটু আফসোস হল আর নিজের ক্লাসের কথা মনে পরে গেল। আমাদের যিনি স্ট্যাট নিতেন দুষ্ট ছেলে-মেয়েরা বলে উনি নাকি নিজেই স্ট্যাট বুঝেন না ঐ কোর্সের পুরাটা সময় গেছে ক্লাসে সামনে পিছনে কাগজ চালাচালি করে। আর তাই বছর শেষে ঐ কোর্সের রেজাল্ট ছিল পুরাই সিরাম
আর বাংলাদেশে আসলে একদিনের জন্য হলেও ঢাকা আসেন তাইলে আর নানা দ্রষ্টব্য জিনিসের মাঝে একগাদা সচল দেখতে পাবেন এইটা নিশ্চিত
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নিবিড়ভাই, সেরম লোক কোথায় নেই? দেশেও ছিল, এখানেও আছে, যে ব্যাটারা আসলেই কিছু বোঝে না। সে যাক, আমি-আপনি বুঝলেই হল।
হ্যাঁ সত্যিই, সচলদর্শন অবশ্যকর্তব্য, সেটা না সেরে কি আসা যায়? তবে সচলরা কি আর চাটগাঁ বা সিলেটেও নেই? কিন্তু অত জায়গা, লোভ লাগলেও উপায় কই...
প্লেনে উঠার আগে টোফেলটা দিয়ে দিলেই কিন্তু বলিয়াদী যাবার একটা সুযোগ পেয়ে যাবেন। আশা ছাড়তে নেই। সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।
হে হে... ঠিক বলেছেন, এদেশ থেকে বেরোবার আগেই টোয়েফলটা দিয়ে সাট্টিফিকেট হাতে করে নিয়ে গেলে বলিয়াদি ঢুকতে পাওয়ার একটা চান্স আছে বটে।
বলিয়াদির সাহেবজাদার ইংরেজি ল্যাংগুয়েজে ভালো দখল আছে মানতে হবে। টোফেল দেন দেন ক্ষতি নেই। টোফেল দিয়ে বলিয়াদির গেইট পাস পান তাতেও ক্ষতি নেই। কিন্তু বলিয়াদি ঘরানার ফটোশপের তালিম যেনো না নিয়ে নেন। সাবধান!
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দূর, ফটুশপ শিখতে হলে বুনোদি'র কাছে, বলিয়াদির কাছে কদাপি নয়!
ভিডিওটা দারুণ লাগলো দাদা।
লেখাটাও
---আশফাক আহমেদ
বেশ বেশ, পড়ার জন্য
আপনি তো দেখি একেবারে আদর্শ শিক্ষক। আমার মনে হয় আপনার পদ্ধতিতেই পড়ানো উচিত। চান্স পাইলে আমার ভার্সিটিতে দুই-একটা ক্লাস নিয়া যান
[কালকে আমার ৭ বছরের ভাতিজিকে ভাগ করা শেখালাম, নিজেরে সেইরকম শিক্ষক মনে হচ্ছে।]
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজলদা, আপনিই হলেন আসল লোক - কে না জানে, শিশুশিক্ষা দেওয়াই আসলে কঠিনতম! সমবয়সী ছেলেছোকরাদের তো পড়িয়ে দেওয়াই যায়...
স্ট্যাটিস্টিক্স ক্লাশের আলাপ- আলোচনার ঠেলায় ডরাইয়া গিয়েছি!
'♪'দাদা, অঙ্ক কী কঠিন!'♪!
বাংলাদেশে সুস্বাগতম! (তালিয়া)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডরায়েন্না, বোনডি, আমি এবং আমার পোস্টসমূহ অত্যন্তই নিরীহ! আর স্বাগতমের জন্য ধন্যবাদ, তবে শুধু বাংলাদেশেই না, চড়ুইভাতিতেও ওয়েল্কাম জানাতে হবে... আমি খামু দামু হাঁড়ি বাজামু...
লেখা যথারীতি সুস্বাদু হয়েছে... বাংলাদেশে সুস্বাগতম
কুটুমবাড়ি
ডাঙ্কে, ডাঙ্কে...
চরম দৌড়ের উপর দিয়ে যাচ্ছি। তাই সচলে ঢোকাও হচ্ছে না। তাই মন্তব্যে দেরি হয়ে গেল।
স্ট্যাট কেন জানি ভাল পাই। তবে পড়ানো ভাল পাইনা। বিশেষ করে যখন স্মরণ আসে আমাদের বন্ধুমহল দ্বারা টিচারদের দেয়া বিভিন্ন উপনাম। তবে আপনার কাছে মনে হচ্ছে হাজিরা দিতে হবে। আপাতত বালিকার জোগারের কাজ চলিতেছে।
যাই হোক, বিলাই পালনের কথা যখন বললেন তাই বিলাইও যে আপনার সাথে ভ্রমনে যাচ্ছে না সেই বিষয়ে আপাতত কিছু বলছিনা।
স্বাগতম বাংলাদেশে। আপনার বাংলাদেশ ভ্রমন সুন্দর হোক।
আরে, আপনিই সেই বিলাইপালক অনন্ত? আপনার থিয়োরি তো এখন পপ-কালচারের অংশ হয়ে গেছে মশাই... তা বিলাই আমার সাথে ভ্রমণে যাচ্ছে না তার অর্থ?
থ্যাঙ্ক্যু, থ্যাঙ্ক্যু।
বিলাই আর পালন করতে পারলাম কই.....
ওটা তেমন কিছু না। মজা করা। বলতে চাচ্ছিলাম, বিলাই পালনের কথা যখন বললেন তাই তেমন কিছু যে হচ্ছে না সেই গ্যারান্টি পাওয়া যাচ্ছেনা। ()
মেরি ক্রিসমাস আর হ্যাভ অ্যা নাইস জার্নি।
আপনি নিজের অ্যাত সব টেকনিক ছাড়াও আরো কী কী পড়া-মর্শ চান ধরতারলাম না! আমিতো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বছরে আরেকটু হলেই পপাত-ধরণীতল হয়ে, গেছিলাম ছিটকে একদম বাইরে রিলেটেড স্ট্যাট কোর্স এর কারণে। আপনি আমাদের ক্লাস নিলে ভালো হত মনে হচ্ছে!
প্রেযি নিয়ে আরেকটা কোথায় যেন দেখেছিলাম। এখন আবার আপনার কথায় গুঁতাচ্ছি। কিন্তু ১০০ মেগা মাত্র ফ্রি, পয়সা দিয়ে তো বাংলাদেশ থেকে বেশিটা নেবার উপায় নাই। ভালোই লাগছে, দেখি আরেকটু, ১০০ মেগাও কম নয়।
বাংলাদেশ আসছেন শুনে ভালো লাগলো। আমি বলতাম রাজশাহী বেড়িয়ে যান। কিন্তু মনে হয় না আপনার এবারের টুরের পথে পড়বে সেটা।
বরিশালের দিকটা খুবই অন্যরকম সুন্দর, গাছ-নদী-বৃষ্টি। তবে আসলে একেকটা অঞ্চল একেকরকম।
আপনাকে গুগল আর্থ সাজেস্ট করবো পথ-ঘাট দেখতে। কিন্তু আসলে আপনার সময় কম মনে হয়, আর গাড়ি নিয়ে ড্রাইভ করে বেড়ানো না গেলে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে হলে আসলে তেমন সাইটের ঠিকানা দিয়ে বরিশাল-পিরোজপুর বেড়ানোতে সাহায্য করবার মতো কিছু পাওয়া মুশকিল। কিছু হাতেগোণা টুরিস্ট-স্পট ছাড়া আমাদের টুরিজম সেক্টর পুরো দেশজুড়ে ডেভেলপ করেনি সেভাবে আক্ষেপজনক হলেও সত্যি।
তাই সাথে পথচেনা মানুষ হলে অনেক বেশি মজা পাবেন, আর অল্প সময়ে দেখার মতো জিনিসগুলিও দেখে ফেলা যাবে। আগেও বলেছি, সচলদেরকে খালি জানিয়ে দেখুন, চড়কি বেড়ানো পছন্দের সচল নেহায়ত কম নন দেশ জুড়ে, আন্তরিকও অনেকেই। আপনার দেশে ফেরা আর বাংলাদেশ বেড়ানো শুভ হোক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই তো, ব্যাকপ্যাকার-দিদি, আপনি একে দিদিমণি তায় ভ্রমণাভিজ্ঞা, আপনার মন্তব্যের আশায় ছিলুম বইকি। আশা পূরণ করার জন্য ধন্যযোগ। তা রাজশাহী বোধহয় এবার হবে না, দেখি কি প্ল্যানট্যান দাঁড়ায়।
ওই ধরুন হাত খুলে দাঁড়াবার ব্যাপারটা, অমন টুকিটাকি টিপস যেগুলো অভিজ্ঞতাপ্রসূত সেরকম কিছু আশা করছিলাম আর কি...
ব্যস্ততার কারণে লগইন করা হচ্ছে না, তবে পরশু রাতে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে আমি আমাদের ডিপার্টমেন্টের উপরে প্রেজি দিয়ে একটা ছোট প্রেজেন্টেশন তৈরি করে ফেললাম। সবার কেমন লেগেছে বলতে পারি না, তবে আগ্রহ নিয়ে দেখেছে এটা ঠিক, আর আমার নিজের তৈরি করতে বেশ মজা লেগেছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাহ, দেখান না!
ইশ! আপনার মতো টিচার পাইলে আমিও ভালো ছাত্র হইতে পারতাম। 'বুঝলো না কেউ তো চিনলো না...' হিংসা করি মিয়া আপনের ইস্টুডেন্টদের। যাউকগগা, ঢাকা আইতাছেন কবে? এইটুকু কইতে পারি ঘিঞ্জি ঢাকা ঘুরায় দ্যখানোর জন্য আমার চাইতে ভালো সঙ্গী আর পাইবেন না! আমার শহরে দিনভর ঘুরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়ার নিমন্ত্রণ থাকলো!
_____________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এই যে পুরান ঢাকা বিশারদ নিজেই বলে দিয়েছে ঘুরিয়ে দেখাবে। আর কী!! হয়েই গেল বন্দোবস্ত!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেই তো! ঢাকা বিশারদকে ওনারই মত বড়োসড়ো একটা ধন্যবাদ দিতে হবে। তার উপর খাওয়াদাওয়ার কথা... উল্স্! এখন গিয়ে পৌঁছতে পারলেই হয়।
প্রেজি ব্যবহার করতেসি অফিসের একটা ফরমাল প্রেজেন্টেশনে। দেখি কেমন যায়।
ঢাকা নিয়ে তোমার সাথে তো মেইলে কথা হইসেই। আসলে জানাইও। তুমি তো মনে হয় দারুণ কিছু জায়গায় যাইবা। যামু কিনা ভাবতেসি। খুব অদ্ভূত হবে ব্যাপারটা।
বেশ বেশ। ভাবনাচিন্তা কর, ভেবেচিন্তে একটা পোস্ট দাও, আর দেখ থোরু কি বলেছেন এই নিয়ে। বেড়ানো যখন, একটু স্টাইনবেককেও কনসাল্ট করতে পারো।
আর বাকি কথা গোপনে ইমেলে হবে, কি বল?
ঘটনাচক্রে আজ সরস্বতী পূজা।আজ আপনার লেখা পড়লাম।অনবদ্য ভঙ্গিমা আপনার।ঈর্ষণীয়।
অনুপম সৎপতি
নতুন মন্তব্য করুন