ফেলুদা-ফিলিম ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর নাম বদলে ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউস’ হলে কেমন হত? সত্যজিৎ রায়েরই লেখা, শুটিং-অভিজ্ঞতা নিয়ে কিশোরপাঠ্য সঙ্কলন ‘একেই বলে শুটিং’ থেকে একটা অংশ তুলে দিচ্ছি:
“একটা ব্যাপারে একটু মুশকিলে পড়তে হয়েছিল; বাঙালির দোকান ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউস’-এর লোক আমাদের ছবি মারফত যাতে তাদের দোকানের বিজ্ঞাপন হয় সেই মতলবে দিনের বেলা কখন জানি এসে গলির সর্বত্র তাদের দোকানের নাম লেখা পোস্টার আটকে দিয়ে গেছে। যে দিকে তাকাই বাড়ির দেয়ালে, পাঁচিলে, মন্দিরের গায়ে ল্যাম্প পোস্টের গায়ে – সব জায়গায় জাজ্বল্যমান হয়ে আছে ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউস’। যাঁর কীর্তি তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে বুঝিয়ে বলা হল যে বিজ্ঞাপনগুলো থাকতে দিলে একটা ভয় আছে যে লোকে ফেলুদাকে না দেখে শুধু ওগুলোই দেখবে, আর তার ফলে তাঁর দোকানের লাভ হলেও আমাদের ছবির ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং ওগুলো তুলে ফেলা দরকার। ভদ্রলোক একটু মুষড়ে পড়লেও তাঁকে তোয়াজ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না; ভানু এবং দলের কয়েকজন মিলে আধঘন্টার মধ্যে দু-একটা বাদে সব পোস্টার তুলে ফেলে দিল।”
এই লম্বা অংশটা উদ্ধৃত করার কারণ, সন্দীপ রায় তাঁর নতুন ফেলুদা-ছবি ‘গোরস্থানে সাবধান’-এ প্রায় ওই কাজটাই করেছেন – ছবিটাকে একটা বৃহৎ বিজ্ঞাপনসমষ্টি বানিয়ে ফেলেছেন। ছবি শুরু হবার আগেই প্রায় পাঁচমিনিট ধরে এরকম একটা জিনিস দেখতে হয় – [স্লাইড ১, দশ সেকেন্ড] মিডিয়া পার্টনার – স্টার আনন্দ, [স্লাইড ২, দশ সেকেন্ড] রেডিও পার্টনার – রেডিও মির্চি, [স্লাইড ৩, দশ সেকেন্ড] স্পনসর – আইডিয়া মোবাইল কানেকশন, [স্লাইড ৪, দশ সেকেন্ড] স্পনসর – সাইফাই ইন্টারনেট, [স্লাইড ৫, দশ সেকেন্ড] বিশেষ স্পনসর – বোর্ন অ্যান্ড শেফার্ড, [স্লাইড ৬, দশ সেকেন্ড] এরকম করে প্রায় দশ-পনেরোটা স্লাইড দেখে যেতে হয়। তারপর আবার ‘মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল নিবেদিত’ হয়ে শেষে সিনেমার প্রথম দৃশ্য শুরু হয় (নাম দেখানো তার পর)।
ছবিজুড়েও অসহ্য রকমে প্রোডাক্ট প্লেসমেন্টের চেষ্টা চলে। একটা মিডিয়াম শটে ফেলুদা একটা সাইবার কাফেতে ঢুকছে, এটা দেখানোর বদলে সেই শটে শুধুই একটা দরজা দিয়ে ফেলুদার ঢোকা দেখানো হয়, তারপর ক্যামেরা মুভ করে সেই দরজাটার উপর গিয়ে সাইফাই-ইন্টারনেট এর হেডিংয়ে জুম করে তিন সেকেন্ড বসে থাকে। ওই যে, সাইফাই হল স্পনসর!
তেমনই, রাত্রের গোরস্থানের শটে, চারিদিকে অন্ধকার, আর মাঝখানে জ্বলজ্বল করছে আইডিয়া’র সুবিশাল হলুদ পোস্টার। এক পাশ দিয়ে ছায়ার মত তোপসে আর লালমোহন হাঁটে অন্ধকারে। “ফেলুদাকে না দেখে শুধু ওগুলোই দেখবে”? দূর বোকা, ওগুলোই তো দেখাতে হবে! এমন কি, ফেলুদাকে দিয়ে আইডিয়া’র স্লোগানও বলানো হয়েছে – আইডিয়া’র ছোট এক বোর্ড ঝোলানো পানবিড়িওয়ালার দোকানের ব্যাপারে ফেলুদাকে বলতে শোনা যায় “চল, ওই ‘ক্যা আইডিয়া সরজি’-কেই জিজ্ঞেস করে আসা যাক।”
সম্প্রতি দেখা আরেকটা সিনেমা, ঠিক মনে নেই, তাতে একটাই স্লাইডে খানছয়েক স্পনসরের নাম দেখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সন্দীপ রায়ের মত নামজাদা পরিচালক এই স্পনসরদের কাছে এতই ঋণী হয়ে গেলেন যে তাঁকে শুরুতে অতক্ষণ ধরে বড় বড় স্লাইড আবার সারা ছবি জুড়ে প্রোডাক্ট প্লেসমেন্ট করে যেতে হবে? ‘কৈলাসে কেলেঙ্কারী’তেও বিজ্ঞাপন শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে সেনকো গোল্ডের মাখামাখি অনেকেরই দৃষ্টিকটু লেগেছিল। সত্যজিৎ রায়ের উত্তরাধিকারীর থেকে এই আশা করব আমরা?
(২)
আচ্ছা, গোরস্থানে সাবধান ছবিটার একটা সাধারণ আলোচনায় আসি এবার। ছবিটা কেমন? মোটামুটি খারাপ না। ‘টিনটোরেটোর যিশু’র শেষ অংশটা যেমন ছড়িয়ে লাট হয়েছিল, এটায় সেসব হয় নি। যে কারণ আমার এবং অন্যদের মনে হয়েছে, তা হল - বেশি মূলানুগ থাকা।
ছবির খাতিরে ছোটখাট পরিবর্তন করতে হয়ই। সত্যজিৎ মগনলালের ছেলের চরিত্রটাই পুরো বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন সিনেমা থেকে, তাতেও ছবিটা খারাপ কিছু লাগে নি। কিন্তু একটা ভালো উৎস থেকে ছবি করার সময় বেশি নাড়াঘাঁটা করলে ঘেঁটে যাবারই সম্ভাবনা বেশি, যদি না আপনি প্রচণ্ড প্রতিভাবান পরিচালক হন। আর সন্দীপের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, উনি তো আর ওনার বাবার পর্যায়ের পরিচালক তথা বহুমুখী প্রতিভা নন।
এবার অন্যান্য সিনেমাগুলোর তুলনায় উনি অনেক কম বদলেছেন। খুচরো পরিবর্তনগুলো চোখে লাগে না। যেমন, গল্পটা শুরু হয়েছে জোব চার্নকের সমাধিতে ফেলুদাদের বেড়াতে যাওয়া নিয়ে, এখানে তার বদলে শুরু হয়েছে থ্রিলার সিনেমার বহুপ্রচলিত আরম্ভ-স্টাইল দিয়ে – একটা অ্যাকশন/ক্রাইম দৃশ্য দিয়ে। সমাধি যাওয়া একটা সাইডট্রিপ হিসাবে মাইনর দৃশ্য হয়ে গেছে সিনেমার মাঝখানে। তা হোক।
সন্দীপও ‘একেই বলে শুটিং’-এর মত একটা কিশোরপাঠ্য অভিজ্ঞতা-সঙ্কলন লিখেছেন ‘আমি ও ফেলুদা’ বলে, পড়তে ভালই। সেখানে লিখেছেন তাঁর ভাবনা, যে আজকের যুগে ফেলুদাতে বেশি অ্যাকশন আনতে হবে। সেইমত গত তিনটে ছবিতেই প্রচুর অ্যাকশন এনেছেন। সেগুলো যে খুব খারাপ হয়েছে এমন না, এক-আধবার একটু আধিক্য মনে হয়েছে শুধু। এবার অ্যাকশন সামান্যই। গোরস্থানে ফেলুদার সাথে কবর-খোঁড়া লোকেদের মারপিট, যেটা গল্পে ছিল; আর শেষে পালাবার চেষ্টা করা উইলিয়াম গিরীন বিশ্বাসের সাথে ফেলুদার অল্প মারপিট, যেটা ছিল না। তাও সেটা সামান্যই। তবে সিনটার কোরিওগ্রাফি বা দৃশ্যগ্রহণ ভালো হয় নি।
আসলে, একটা সাধারণ অভিযোগ ছিল সন্দীপের বিরুদ্ধে, যে ক্লাইম্যাক্সে ফেলুদার বদলে অন্য চরিত্র গুরুত্ব পেয়ে যাচ্ছে। ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’তে ক্লাইম্যাক্সে ভিক্টর পেরুমলই আসল, যেটা গল্পে মোটামুটি ছিল। কিন্তু তার পরের ‘কৈলাসে কেলেঙ্কারী’তে শেষে দেখানো হচ্ছে, ফেলুদা গুণ্ডাদের হাতে বন্দী অসহায় নিরস্ত্র হয়ে পড়ে রয়েছে, মিস্টার মল্লিক এসে বিশাল বিস্ফোরণ-টণ ঘটিয়ে ফেলুদাকে উদ্ধার করলেন। তারপর ছোটখাট গুণ্ডাদের কিছু ক্যালানি ফেলুদাই দেয়। আর ‘টিনটোরেটোর যিশু’তে পেশীবহুল রাজশেখর নিয়োগী শত্রুর নৌকায় বন্দী ফেলুদাদের উদ্ধার করছেন চীনা গুণ্ডাদের পিটিয়ে, তারপর সেই ফেলুদার খানিক ঠ্যাঙানি।
এখানে শেষ দৃশ্যে যেটুকু ঢিসুম-ঢিসুম তা ফেলুদাই করেছে। কোনো পার্শ্বচরিত্রকে অহেতুক গুরুত্ব দেওয়া হয় নি বা অত্যধিক মারপিটও ঢোকানো হয় নি। সেটা শেষটা ঠিক থাকার অন্যতম কারণ, আমার মতে।
আর হ্যাঁ, ছবিতে একটা জিনিস মিস গেছে, তা হল লালমোহন বাবুর গাড়ি কেনার ঘটনাটা। আসলে আগের সিনেমাগুলোতেই ওঁর সবুজ স্যান্ট্রো দেখিয়ে দেওয়ার ফলে, এখানে আর নতুন গাড়ি কেনার ব্যাপারটা তেমনভাবে দেখানো যায় নি। তাই শুরুতে উৎকট সারেগামা হর্ণ-টার ব্যুৎপত্তি যেমন স্পষ্ট নয়, তেমনই অভিযানের শেষে ড্রাইভার হরিপদবাবুর প্রশংসাটা নতুন ড্রাইভারের বিশ্বস্ততা আর কৃতিত্ব হিসাবে তেমন গুরুত্ব দিয়ে বোঝানো যায় না।
(৩)
নতুন চরিত্রগুলোর অভিনয় আমার ভালোই লেগেছে। শুভাশিস কমিক অভিনেতা হিসাবে জনপ্রিয়, কিন্তু ওনার সাম্প্রতিক সিরিয়াস চরিত্রগুলোও প্রশংসা পেয়েছে। ‘হারবার্ট’-এ জমিয়ে দিয়েছিলেন, এখানেও উইলিয়াম গিরীন বিশ্বাসের চরিত্রে ওনাকে কখনই কমেডিয়ান হিসাবে মনে হয় নি। হয়ত ধৃতিমানের মত দুর্দান্ত নয়, কিন্তু ভালই করেছেন।
ধৃতিমান চমৎকার করেছেন মহাদেব চৌধুরীর চরিত্রে। সোজা ভাষায়, বেশ কেতি দেখিয়েছে ওনাকে। আর ক্যামেরাও ওনার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, প্রায় সব সময় লো অ্যাঙ্গেল থেকে শট নিয়ে চরিত্রের গুরুত্ব দেখানো হয়েছে। গল্পের ইলাস্ট্রেশনে মহাদেব চৌধুরী একেবারেই অন্যরকম, কিন্তু সে কিছু যায় আসে না। এই ক্ষেত্রে ওনার উপস্থাপনা ওই চরিত্রের দোষগুণগুলো একেবারে গল্পের মত করেই ফুটিয়ে তুলেছে।
গডউইন সাহেবের চরিত্রে টিনু আনন্দ-ও বেশ। অঞ্জন দত্তের ‘বো ব্যারাকস ফরএভার’-এ অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের বেশ বাস্তবভাবে দেখানো হয়েছিল; এখানে হয়ত তাদের স্বভাবচরিত্র-বাসস্থানের স্পেকট্রামের খুব সামান্য অংশই দেখানো হয়েছে, আরেকটু দেখালে ভাল হল, তাও চলে যায়।
তোপসের চরিত্রকে কখনই তেমন কিছু করতে হয় না, এটাতেও সাহেবকে সহজেই মানিয়ে গেছে, আলাদা করে বলার মত কিছু নেই। কিন্তু বিভু ভট্টাচার্য্য’কে দিয়ে সত্যিই লালমোহনবাবু ঠিক হয় না। ভদ্রলোক সত্যিই একটু ওভারঅ্যাক্টিং করেন। লালমোহনের কমিক ভাবটা আসত সন্তোষ দত্তের চটপটে ব্যবহারের সাথে নিখুঁত কমিক টাইমিং থেকে আসা ‘কুইপ’ মিশিয়ে, যেটা ওনার একেবারেই অনুপস্থিত। গল্পে লালমোহন বলছেন তিনি ফেলুদার থেকে সাড়ে তিন বছরের বড়, সেটা সিনেমাতেও এসেছে, কিন্তু বিভু আর সব্যসাচীর বয়সের বড় ফারাকটা খুবই স্পষ্ট। সব্যসাচীর ফেলুদা নিয়ে অনেক নিউজপ্রিন্ট খরচা হয়েছে, আমি আর বেশি কিছু না বলি। ওনাকে আমার খারাপ লাগে না।
(৪)
ছবিটায় আমার যা চরম খারাপ লেগেছে, তা হল সিনেমাটোগ্রাফি। প্রায়ই বিরক্তিকরভাবে অ্যামেচারিশ। শুরুতে কবরখানায় ঝড়জলের দৃশ্যটা – যেভাবে স্পষ্টতই ফ্ল্যাশলাইট মেরে মেরে বিদ্যুতচমক বোঝানো হয়েছে, সেসব যাত্রায় চলে থাকে, ভাল বাজেটের বড়পর্দার ছবিতে বড়ই ‘চীপ’। পুরো সীনটাই। ঝড়ে ডালপালা ভেঙে পড়া, কবর খোঁড়া, সবটাই। সেই সঙ্গেই সস্তার কবরের ফলকে শিল্পী-কর্মীদের নাম দেখানোটাও হাস্যকর। তারপর আরেকটা উদাহরণ দিই। মার্কাস গডউইনের বাক্স নিয়ে এসে উপরতলায় অ্যারাকিস আর বন্ধুরা প্ল্যানচেট করছে, ফেলুদারা গিয়ে দরজা দিয়ে উঁকি দিচ্ছে। তাদের পিঠ থেকে ক্যামেরা দেখাচ্ছে, ঘর অন্ধকার, মাঝে শুধু একটা মোমবাতি। কিন্তু, যখন ঘরের থেকে ক্যামেরা দেখছে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা ফেলুদাদের, তাদের মুখে এবং দরজায় সর্বত্র সজোরে হলুদ আলো উপচে পড়ছে!
বাংলা ছবি, তাই কম বাজেট, এই যুক্তি দুর্বল সিনেমাটোগ্রাফির পক্ষে যথেষ্ট নয়। শুনেছিলাম, ‘টিনটোরেটোর যিশু’তে হংকং-এ শুটিং করতে নাকি অনেক খরচা হয়েছে। আমার মতে, ওই সিনেমায় হংকং-কে যেভাবে দেখানো হয়েছে, সেটা একদম জমে নি। তেমনই জমে নি সেখানে কার চেজ-এর সীনটাও। গল্পে বরং তার চেয়ে লোমহর্ষকভাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। তার কিছুদিন আগেই দেখেছিলাম রিমেক করা ‘ডন’, সেখানে মালয়েশিয়ায় একটা অনেকটা একই রকম কার চেজ-এর দৃশ্য ছিল। অনেক স্লিক এবং টানটান, তেমনই ঝকঝকে দৃশ্য-রূপায়ণ। বাংলা ছবি কম বাজেটের হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে সাবালক হয়েছে শুনছিলাম, টিনটোরেটো’র কার চেজ আমাকে হতাশই করেছিল।
দ্বিতীয় যেটা বেশ দৃষ্টিকটু, তা হল জোর করে ইন্টারনেটকে ঢোকাবার চেষ্টা। প্রথম সিনেমা, ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’ করার সময় সন্দীপ বলেছিলেন, হ্যাঁ যুগের সঙ্গে তো এগোতেই হবে; ফেলুদা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে (ধার করে), যদিও নিজে রাখবে না। ছবিতে দেখা গেছিল, তাদের বাড়িতে এখনও কর্ডলেস ল্যান্ডলাইন ফোন। এখানে, কিছু খোঁজখবরের ব্যাপার হলেই, তেড়েফুঁড়ে ইন্টারনেটের কথা নিয়ে আসা হচ্ছে। সিধুজ্যাঠার কাছে যাবার বিষয়ে, তারপর পেরিগ্যাল রিপীটার নিয়ে খবর নিতে আর মহাদেব চৌধুরীর দরকার নেই, এই কথায়; ওই ঘড়ির খোঁজ ফেলুদা আগেই সাইবার কাফে থেকে নিয়ে নিয়েছে বলে দেখানো হল। যদিও এতটা জোর করে সমসাময়িক না করলেই হত বলে আমার মনে হয়, তবুও স্বাভাবিকভাবে ইন্টারনেট ঢুকে পড়লে তাও খারাপ লাগত না, কিন্তু কষ্টারোপিত এই ইন্টারনেট-প্রসঙ্গগুলোর মাধ্যমে ‘আগেকার যুগের’ ফেলুদাকে আধুনিক করে তোলার প্রচেষ্টা চোখে লাগে।
(৫)
আমার মতে, অন্যান্য ধাঁচের সিনেমা, ফটিকচাঁদ থেকে নিশিযাপন, সবগুলোতেই সন্দীপ রায় অসাধারণ। কিন্তু ফেলুদা-সিরিজ অতটা মানোত্তীর্ণ হয়ে ওঠেনি এখনও।
মোটমাট, সংক্ষেপে, এই সিনেমাটায় –
ভাল লেগেছে – নতুন চরিত্রগুলিকে, মূলানুগ থাকা, অ্যাকশন-বাহুল্য বর্জন
খারাপ লেগেছে – সিনেমাটোগ্রাফি, ইন্টারনেট-আধিক্য, বিজ্ঞাপন-বাহুল্য
শেষমেষ খারাপ না, দেখতেই পারেন।
মন্তব্য
হিমুদার কাছে লজ্জিত, ওই পোস্টটা দিয়ে ঊঠতে না পারার জন্য। অর্ধেকটা লেখা হয়েছে, তারপর রওনা দিয়েছি। এখানে এসে সিনেমাটা দেখেই প্রতিক্রিয়া-পোস্ট। পরেরটাতেই নামিয়ে ফেলছি।
তাড়ার উপ্রে আছি, পুরোটা পরে পড়বো। তবে প্রথম দিককার কিছুটা পড়ে খারাপই লাগলো। সন্দীপের বোম্বাইয়ের বোম্বেটে, নিশিযাপন - এগুলি ভালই লেগেছিল। তার কাছে এমনটা আশা করিনি।
ও হ্যাঁ, কৌস্তভ ভাই, একটু অঃটঃ - সন্দীপ রায়ের মা তথা সত্যজিতের স্ত্রীর আত্নজীবনীটা পড়েছেন ? দারুন জিনিষ!
সেইতো।
না, ঐটা শোনা থাকলেও পড়া হয়ে ওঠে নি। তবে ওনার যত্নে সম্পাদিত সত্যজিৎ রায়ের 'my years with apu'-র বাংলা অনুবাদ 'অপুর পাঁচালী' পড়েছি, চমৎকার।
অপুর পাঁচালী কিনেছহি গত বইমেলায়, এখনো পড়া হয়নাইঃ
ভেবেছিলাম সিনেমাগুলো আবার রিভিশন দিয়ে পড়ব, সাথে বিভূতির অরিজিনালগুলোও।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দেখেন, দেখার অযোগ্য না। তবে অঞ্জন দত্তের ব্যোমকেশটা দেখবেন না যেন (নেটে পাওয়া যায় যদিও)। ওটা দেখার পর আমার অনেকক্ষণ কাউকে খুন করার ইচ্ছা চেপে ছিল।
বং কানেকশন দেখার পরে অঞ্জন দত্তরেই খুন করতে ইচ্ছা হইছিলো। তার ছবি দেখার আর কোনো আগ্রহ ছিলো না। ব্যোমকেশের সময় কোলকাতাতেই ছিলাম। দেখবো কি না ভাবছিলাম। দমুদিকে জিজ্ঞেস করতে জানালো ব্যোমকেশ পড়া থাকলে না দেখাই উত্তম...
আমি আর ওমুখো হইনি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা প্রশ্ন, কোন কোন ওয়েবসাইটে টালিউডের সিনেমা স্ট্রিমিং করে দেখা যায়?
লেখা ভালৈছে। অহন সিনেমা দেখতে হইবো।
এখানে কয় টলিউড, টালিউড না। ওদিকে অবিশ্যি (ফেলুদার বইগুলোই এইভাবেই লেখে) ঢালিউড লেখে বটে।
ডেটাবাজার আমি নিজেও জানতাম না... স্ট্রিমিং সিনেমাই আমি তেমন দেখি না...
হারবার্ট আগে পড়া উচিত। কাহিনী খুব উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও উপস্থাপনাটা ভালো। তবে আমার কাছে নবারুণ ভট্টাচার্যের সেরা উপন্যাস হচ্ছে "যুদ্ধ পরিস্থিতি"। "কাঙাল মালসাট"কে এর পরে রাখবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বইটা খুঁজতেছি অনেকদিন। কয়েকজনকে ফটুকে মেরে পাঠানোর রিকোয়েস্টও করছি। কিন্তু কেউ পাঠায় না।
আমার কাছে উপন্যাস সমগ্রই আছে। তবে ছবি তুলে পাঠানোর মতো ক্যামেরা নেই। আর আমার যে স্ক্যানার, তাতে স্ক্যান করে পাঠাতে যে খাটুনি হবে আর সময় যাবে তার চেয়ে DHL-এর বিলকে কম বলে মনে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
'যুদ্ধপরিস্থিতি'র একটা নাট্যরূপ এবারের শারদীয় ভাষাবন্ধন'এ (নবারুণ'এর পত্রিকা, লিটলম্যাগ) এ বেরিয়েছে| ঐটে চাইলে ফোটো তুলে দিতে পারি| আমার অজ্জিনাল বইটা কোনো সুহৃদ ঝেড়ে দিয়েছে|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এইটার কি টরেন্ট লিঙ্ক মিলবে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক বার এই নতুন সিনেমাগুলো দেখতে চেয়েছি, কিন্তু কেন যেন সত্যজিত ছাড়া আর কারো ফেলুদার চিত্রায়ন পছন্দ করতে পারি না। খালি ঘ্যান ঘ্যান শুরু করি, এইটা করল না অথবা ওইটা কেন করল। থাক, মনের মধ্যে ফেলুদা যেভাবে আছে আমার কাছে সেভাবেই থাক। লেখা ভালো হয়েছে। এই সিনেমাগুলো না দেখার ইচ্ছাটা আরও পোক্ত হোল, যদিও এটা মনে হয় না আপনি চেয়েছেন।
-রু
পরিচালক খুব প্রতিভাবান না হলে পূর্বলিখিত কাহিনীর মূল স্বাদ বজায় রাখা কঠিন। সত্যজিৎ রায় সে কাজটা বেশ ভালোভাবেই করতে পারতেন। সন্দীপ রায়ের ওপর সেই আস্থাটা কেন যেন জন্মেনি। তবে অন্য অনেকের চেয়ে তিনি বেশ ভালো পরিচালনা করেন।
বিজ্ঞাপনের কাছে সন্দীপ রায়ের এই আত্মসমর্পণ দেখে খারাপই লাগল।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সেই...
সে কথা সত্যিই, ওনারগুলোই আমারও সবচেয়ে ভাল মনে হয়, তবে এর মধ্যে কিছুটা প্রাচীনপ্রিয়তাও দায়ী হয়ত।
না না, তা কেন, সময় পেলে দেখুন বইকি, দেখবেন তবে না আপনার মতামত তৈরী হবে। আপনি তো আর নিউ এজ রিভিউয়ারদের দলে নন।
আরে, এইটা তো রু-এর কমেন্টের উত্তরে করা, এইখানে পোস্ট হয়ে গেল কি করে? দুবার চেষ্টা করলাম, দুবারই এই!
টেস্ট... আবারো তাই হল! এই তৃতীয়বার!
টেস্ট
টেস্ট
ফেলুদার কমিকস-গুলো নিয়ে সুজনদার সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছিল। ওনার মন্তব্যের তাই অপেক্ষায় রইলাম।
আমি কালই টিনটোরেটোর যিশু দেখলাম। হুম! ফেলুদা'র যেকোনো ছবি দেখার আগে খুব আশা নিয়ে বসি। কিন্তু কি, সত্যজিত রায় যেভাবে গল্পের ফেলুদা'কে সেলুলয়ডে উপস্থাপন করেন, সেই হাত যশ তার ছেলের নেই। এটা আমার খুব মনে হয়। তবে ফেলুদা'র চরিত্রে সব্যসাচীকে কিন্তু আমার দারুণ লাগে। আর তোপসে'র চরিত্রে পরমব্রতকে আমার খুব ভালো লাগত, এবার সাহেব করছে নাকি সেটা?? দেখি অফিসে ডাউনলোড করলে দেখা হয়ে যাবে হয়ত।
রিভিউটা ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, এবারে সাহেব করছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
টেস্ট
হ্যাঁ, সন্দীপ রায়ের পরিচালনার ঠিক বড় ভক্ত আমিও নই। 'টিন্টরেটোর যিশু'-তে শেষের দিকে ছবিটা একেবারে হেজেমজে গেস্লো। হোয়ের ইজ দ্যা ডেডবডিতে কেলেঙ্কারীটাও ঠিক জমেনি। তবে ফেলুদার সবকটাই দেখেছি। এটাও তাই দেখে নোবো।
সন্তোষ দত্তের চেয়ে রবি ঘোষকে জটায়ুতে বেশি ভাল্লাগতো আমার।
ব্যোমকেশের ছবিটার একটা ভালো রিভিউ পড়েছিলাম, শুনেছিলাম সেটাও ঠিক জমে নাই।
ইয়ে, ফটিকচাঁদ-এর কোন লিঙ্ক দিতে পারেন নাকি ?? ও বইটা বড় পছন্দ ছিলো।
_________________________________________
সেরিওজা
সন্দীপ নিজেও ওই বইটাতে বলেছিলেন, যে রবি ঘোষই সবচেয়ে উপযুক্ত হতেন ওই চরিত্রে, কিন্তু উনি হঠাৎই মারা গেলেন যে। তারপর অনুপকুমার অসুস্থ শরীরেই দুটো করলেন, তারপর উনিও মারা গেলেন। তাই এখন বিভু।
ভেরি সরি দাদা, লিঙ্ক তো নাই আমার কাছে... একটু নেটে খুঁজে দেখেন না...
নওরোজ কিতাবিস্তানে খোঁজ নাও না, ওদের কাছে ফটিকচাঁদ আছে স্টকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফটিকচাঁদ সিনেমার কথা বলেছিলাম। বই নই। বইখানা হাতের নাগালেই আছে।
_________________________________________
সেরিওজা
ওহ! তাই তো বলি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখা খুব ভালো লেগেছে।ছবিটা ডাউনলোড করতে দিয়েছি।
নবারুণের বেশিরভাগ লেখাই ভাল লাগে। তবে ওনার লেখা পড়তে বেশ দম লাগে। প্রচুর রেফারেন্স থাকে বলে বেশ পড়াশুনো করে বুঝতে হয়। তবে কখনো কখনো হাতের কাছে রেফারেন্স না থাকলে সোজা নবারুণকে ফোন করে বসি। সবাইকে বলি 'ভোগী' পড়ুন। কবে যে ওটা নিয়ে সিনেমা হবে...
ধন্যবাদ সৌরভ। আমি নবারুণের বেশ কিছু লেখা যেমন পড়েছি তেমন অনেক পড়িনিও বটে। ভোগী তার মধ্যে একটা। আর আপনি ওনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন দেখে ঈর্ষান্বিত হলাম।
সত্যি কথা বলতে কি, সত্যজিত রায়ের সোনার কেল্লা দেখার পরেই বই পড়া থাকলে সিনেমা দেখা বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। সিনেমার প্রয়োজনে কিছু পরিবর্তন হয়তো করতে হয়, কিন্তু এমনকি খোদ সত্যজিত রায়ের পরিবর্তনগুলোও হজম করতে পারিনি।
আর এখন যা শোনালেন (অথবা পড়ালেন) তাতে নিজের "একই গল্পের বই পড়লে সিনেমা দেখবো না" বাতিকটা থাকায় স্বস্তিবোধ করছি।
সিনেমা করতে গেলে আমার মতে পরিবর্তনের দরকার হয়ই। কিন্তু সেটা সফলভাবে করা চাই। অনেকেই ছড়িয়ে ফেলেন।
গিরীন্দ্রশেখর বসুর ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর বই 'লাল কালো', আর নারায়ণ সান্যালের লেখা তার সিক্যুয়ে্ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর 'কালো কালো'। প্রথমটা নিয়ে বাংলায় একটা অ্যানিমেশন বেরিয়েছিল, 'চিটি চিটি ব্যাং ব্যাং'। জঘন্য, কম করে বললেও। এদিকে সব্যসাচী খরাজ ইত্যাদি সব স্টাররাই ছিলেন প্রায়। মূল গল্পটাকে পুরো ঘন্ট পাকিয়ে দিয়েছিল, সেটাই আমার মতে খারাপ হবার কারণ।
লাল কালো তো মাঝে ঠান্ডাঘরে চলে গিয়েছিলো।বাজারে পাওয়া যেত না। এখন যদিও পাওয়া যায়, যতীন্দ্রমোহনের মূল ছবিগুলো হারিয়ে গেছে। কালো কালো বইটা আমি আমার বন্ধু শমিতাক্ষর কাছে পেয়েছি। ওটা সম্ভবত বাজারে আর পাওয়া যায় না।
হ্যাঁ, এই নতুন প্রকাশিত এডিশনে পুরোনো রঙ্গিন ছবিগুলো অনেককটাই বাদ দিয়েছেন, শুনলাম খরচ বাঁচাতে। তবে সেগুলো হারিয়ে যায় নি বোধহয়, প্রকাশকের কাছে নিশ্চয়ই আসল পুরোনো লাল-কালোর কপি আছে।
কালো কালো মনে হচ্ছে আমি গত বছর একটা কিনেছিলাম উপহার হিসাবে... তবে পুরোনো প্রিন্ট হয়ত, হয়ত এখন আর ছাপা হয় না।
গোরস্থানে সাবধান নিয়ে আমার নিজের মনের মধ্যে একটা খুব কোমল জায়গা আছে। গোরস্থানে সাবধান আর কৈলাসে কেলেঙ্কারি, এই দুটো মাত্র ফেলুদা ছিলো আমাদের বাসায়, যখন আমি ছোটো ছিলাম। এই দু'টো বই যে আমি কত শতবার পড়েছি, তার ঠিক নেই। গোরস্থানে সাবধান সত্যজিতের সব ফেলুদার মধ্যে অনন্য, শুধু বিষয়বৈচিত্র্যের জন্যেই নয়, দারুণ নিয়ন্ত্রিত গতির জন্যেও। সন্দীপ রায়ের সিনেমাটা আজ বদ্দার গুহায় বসে কিছুটা দেখলাম, ভালো লাগেনি। যেমন ভালো লাগেনি টিনটোরেটোর যীশুর অর্ধেকটা। সন্দীপের হিটলিস্ট দেখে চরম হতাশ হয়েছি। বারবার ভুলে যেতে চাই যে তিনি কেবল সত্যজিতের ছেলে নন, নিজেই একজন পুরোদস্তুর পরিচালক, কিন্তু যখনই তিনি এই গোছের সিনেমা বানাতে নামেন, তুলনাটা আপনাআপনি মনে আসে আর হতাশাটা বাড়ে।
আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে লেখা গোরস্থানে সাবধানকে কেন টেনে ২০১০ এর আবহে দেখাতে হবে, এটা আমার কাছে স্পষ্ট না। ফেলুদাকে কেন ১৯৮৪ সালে রেখে সিনেমা বানানো যাবে না? দুনিয়াতে প্রচুর হিট ছবি কয়েক দশক অতীতের ফ্রেমে রেখে করা হয়েছে। আর এতই যদি আধুনিক হবে তো ফেলুদাকে ঘোড়ায় চড়ে হাগতে যাবার মতো জটায়ুর গাড়িতে চড়ে সাইবার ক্যাফেতে যেতে হয় কেন, বাড়িতেই তো একটা ল্যাপটপ খুলে গুগল মারতে পারে!
আর সত্যজিৎ যে দর্শকের মাইন্ডসেটের কথা ভেবে ফেলুদাকে হুডানিট থেকে দূরে সরিয়ে সিনেমা তৈরি করেছিলেন, সেই মাইন্ডসেট কি এখন আর আছে? গোরস্থানে সাবধানকে সন্দীপ আধুনিক বানাতে গিয়ে ফেলুদাকে সাইবারক্যাফেতে ঢোকাতে পারলে সেই আধুনিক দর্শকের রহস্যখোরিকেও মূল্য দিতে পারতেন। সত্যজিতের গল্পগুলো দারুণ সিনেমেস্ক, প্রায় সেই ধরনের স্ক্রিপ্টে সিনেমাটা তৈরি করলে মন্দ হতো না।
আর একটা কথা লিখতে ইচ্ছা করছে না, সন্দীপ রায় কখনও এই পোস্টটা পড়ে ফেললে দুঃখ পাবেন হয়তো, কিন্তু সত্যজিতের গল্পগুলো এইভাবে দুর্বল সিনেমা বানিয়ে নষ্ট না করলেই তিনি ভালো করবেন। ওনাকে পেলাসটিকের সত্যজিৎ মনে হয় কেবল। খামাখা মিসফিট জটায়ু ঢুকিয়ে গল্পগুলোর স্মৃতি বরবাদ করার কোনো মানে হয় না। ফেলুদাকে নিয়ে অন্য কোনো শার্প পরিচালক ভালো কিছু বানান।
আপনার মন্তব্যে । আমার প্রথম কমেন্টটা দেখে পার্ডন গ্রান্ট করেছেন আশা করি।
গোরস্থান গল্পটা পুরোনো কলকাতা, তার আকর্ষণীয় একটা অংশ অ্যাংলো-সমাজ, আর ফেলুদার মাথার কাজ, তিনটে মিলিয়ে অন্যগুলোর থেকে একটা আলাদা আমেজ দেয়। সন্দীপ চেষ্টা করলেও পুরোনো কলকাতা বা অ্যাংলো-পাড়ার সেই আমেজটা আনতে পারেন নি। আনন্দবাজার ইত্যাদিতে অনেক স্তুতিপূর্ণ রিভিউ পড়লাম, কিন্তু সেগুলোর সঙ্গে সহমত নই। তারা ওই আমেজ নাকি পাই-টু-পাই খুঁজে পেয়েছেন, আর সিনেমাটোগ্রাফিও তাঁদের চমৎকার লেগেছে। দুটোতেই আমি দ্বিমত।
একদিকে ২০১০-এ আনার চেষ্টা আরেকদিকে পুরোনো কলকাতা আনার প্রয়াস, দুটো মিলিয়ে তেমন জমে নে, একদম ঠিকই বলেছেন।
গাই রিচির সদ্যনির্মিত শার্লক হোম্স্ এ কিন্তু ভিক্টোরিয়ান পরিবেশটা অসাধারণভাবে আনা হয়েছে। হ্যাঁ, সেটা ডিজিটালি করা হয়েছে, অনেক খরচ হয়েছে, কিন্তু সন্দীপের মত একজন ডাকসাইটে পরিচালক কি সেটুকু প্রচেষ্টা করতে পারতেন না? ঊনি যদি ডিজিটাল এফেক্টসের প্রতি যত্নবান না হন, বাজেট বাড়াবার চেষ্টা না করেন, তাহলে একজন তরুণ কিন্তু যত্নশীল পরিচালক কি করে স্পেশাল এফেক্টসের জন্য টাকা চাইতে সাহসী হবে প্রযোজকের কাছে?
হিটলিস্ট দেখি নি, তাই বলতে পারি না। ওনার আগের সিনেমাগুলো কিন্তু খারাপ লাগে নি। আর এইটা গত দুটো ফেলুদা-ফিল্মের চেয়ে খানিক ভাল। টিনটোরেটোর পর প্রচুর জনমত উঠেছিল, যে সন্দীপ (আরো বিভুকে লাল্মোহন বানিয়ে) ফেলুদা করা থামান। সেটা ওঁর কানে যায় নি বা উনি পাত্তা দেন নি।
এখন অন্য ভালো পরিচালক, যাঁর উপর ফেলুদা বানাবার দায়িত্ব দিয়ে আশাবান হওয়া যায়, এমন কে আছেন? ব্যোমকেশ করার প্ল্যান ছিল তিনজনের - স্বপন ঘোষাল করেন মগ্নমৈনাক, যেটা একটা অপটু টেলিফিল্ম হয় মাত্র, সমালোচনার কষ্টেরও প্রয়োজন নেই। অঞ্জন দত্ত বহু হাইপ করে করেন আদিম রিপু, সেটা দেখলে তো খুন চেপে যায়, বললামই। আর প্রসেনজিতকে নিয়ে ঋতুপর্ণের সিনেমাটা (শজারুর কাঁটা কি?) ঠাণ্ডাঘরে রয়ে গেছে। ব্যোমকেশ নিয়েই যখন এই পরিস্থিতি, ফেলুদা নিয়ে আশা কোথায়?
ঋতুপর্ণ যে ধরনের (পড়ুন আধা- বা পুরো-ইন্টেলেকচুয়াল) সিনেমা করেন, এবং সাম্প্রতিক ওনার অধিকাংশ সিনেমাই যেমন ব্যর্থ হচ্ছে ওনার শুরুর দিকের দক্ষতাকে ধরে রাখতে, তাতে ওনাকে আর ভরসা করতে পারি না। গৌতম ঘোষ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সুমন মুখোপাধ্যায় এনারাও আধা-ইন্টেলেকচুয়াল, তাই ওঁরাও না। ওদিকে 'চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা' গোত্রের সুপারহিট পরিচালক রাজ চক্রবর্তীরাও নন। তবে নতুন এক শ্রেণীর পরিচালক বেশ কিছু ভাল ছবি নিয়ে উঠে আসছেন, তাঁদের জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু সন্দীপ কি ফেলুদার জমি ওনাদের জন্য ছেড়ে দিতে আগ্রহী হবেন?
দয়া করে হিটলিস্ট দেখবেন না। উপদেশ দিচ্ছি না। আপনার ভালোর জন্যই বলা। আদিম রিপু দেখে আপনার খুন চেপে গিয়েছিল , হিটলিস্ট দেখলে আপনি খুন হয়ে যাবেন। অত বাজে সিনেমা আজকাল খুব একটা দেখা যায় না।
চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা দেখতে গিয়ে মনে হয়েছিল ওই সিনেমাটা পুরোটা একটানা বসে দেখাটাই একটা চ্যালেঞ্জ।
এমন অবস্থা?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সেই তো প্রশ্ন! এবার তো আর হংকং কিংকং এসবেও খরচা হয় নি।
আরেকটা কথা। সন্দীপ কখনো সত্যজিতের অনুকরণ করার চেষ্টা করেন না, উনি নিজেও বলেছেন। অতএব ওভাবে তুলনা করে প্লাস্টিকের সত্যজিৎ আমি বলতে চাই না। তবে ফেলুদা করলে তুলনাটা তো আসবেই।
বেশ তবে তিনি ফেলুদা কে না সিনেমায় এনে, নিজের সৃষ্টি অন্য কোন চরিত্রকেই আনুন না কেন?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আহা এত বকা নাই বা দিলেন বেচারাকে, নিজে নাই বা লিখুন, উনি তো অন্যের সৃষ্ট কিছু কিছু গল্পও খারাপ অ্যাডাপ্ট করেন নি। (হিটলিস্ট ওনারই গল্প-চিত্রনাট্য বোধ হয়, তা নিজের গল্প নিয়ে কেমন করেছেন না দেখে বলতে পারছি না।) ফেলুদাটা পারছেন না, এই আর কি...
"অন্তহীন" সিনেমাটা দেখার সময় খুব বাজে লেগেছিল সংলাপের মাধ্যমে রিলায়েন্সের বিজ্ঞাপন। এই বিষয়গুলো সেন্সর বোর্ডের খেয়াল করা উচিত।
রিভিউটা চমৎকার লাগলো। সিনেমাটা আছে। দেখা হয় নি এখনও। দেখে ফেলতে হবে তাড়াতাড়ি।
অন্তহীন দেখিনি, তবে সিনেমার মাঝে বিজ্ঞাপন ঢোকানোটা ঠিক বেআইনি নয় বোধহয় যে সেন্সর বোর্ড বেশি বাধা দিতে পারবে। তবে দৃষ্টিকটু তো বটেই।
সত্যজিৎ 'আগন্তুক' সিনেমাটায় থাম্স্-আপের রেফারেন্স কিভাবে এনেছিলেন মনে আছে? অমন বুদ্ধিদীপ্তভাবে প্রোডাক্ট রেফারেন্স বেশি দেখা যায় না...
রিভিউ ও কমেন্ট পড়ে একটা কথাই মনে হল, তনে কি সন্দীপ কি প্রত্যাশার চাপে নুয়ে পড়ছেন? সন্দীপের খুব বেশি কাজ দেখার সুযোগ হয়নি, তবে টিভিতে ফেলুদা সিরিজগুলো দেখেছিলাম। ফেলুদার চরিত্রে সব্যসাচীকে খারাপ না লাগলেও তোপসে, জটায়ুকে খুব একটা মনে ধরেনি।
গোরস্তানে গন্ডগোল আমার খুব প্রিয় বইগুলোর একটা। সিনেমাটা যেমনই হোক, দেখে ফেলব আশা করি। আর রিভিউ খাসা হয়েছে বলতেই হবে।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ঠিক সেটা না, আমার মনে হচ্ছে সন্দীপ সব ধরনের পাবলিককে খুশি করতে গিয়ে সামলাতে পারছেন না।
লেখা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।
"নতুন এক শ্রেণীর পরিচালক" বলতে আপনি ঠিক কী mean করছেন?
একটু বুঝিয়ে বলতেন যদি।
---আশফাক আহমেদ
বলছিলাম, নতুন কিছু পরিচালক উঠে আসছেন, এক শ্রেণীর ছবি নিয়ে, যেমন আবহমান, শুকনো লঙ্কা, অটোগ্রাফ, আরেকটি প্রেমের গল্প এই ধরনের ছবি যেগুলো নতুন পরিচালকেরা করছেন এবং ভালই করছেন।
অটোগ্রাফ - এর ট্রেলার ভাল লেগেছে। ছবি দেখা হয়ে উঠে নি। গানের কথাগুলিও সুন্দর।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রিভিউ ভালো পাইলাম, কিন্তু সিনেমা দেখার সাহস পাইতেসিনা। ফেলুদা আমার বড় প্রিয়, এইটারে সাধ করে পচাইতে ইচ্ছা করতেসেনা! ব্যোমকেশ দেখারও সাহস পাইনাই! দেখবোওনা মনে হয়। আমার ইমাজিনেশন অনেক ভালা, সিনেমা দেখে মন খারাপ করতে চাইনা!
-----------------------------------------------------------------------------------
হাসির উপরে দুইন্যাতে কিছু আছে? আজ সারারাত হাসবো, অনেকদিন হাসা হয়না। এই আমি শুরু করলাম... "হাহাহাহোহোহোহিহিহি!" এক্কেবারে বইয়ের ভাষায় ব্যাকরণ মেনে হাসবো! সত্যি বলছি, দেখে
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তাইলে আর কি, স্বপ্নেই সিনেমা বানিয়ে দেখে নেবেন বইগুলোর থেকে...
সিনেমার রিভিউ চমৎকার।
এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে আর না দেখি। সত্যজিতের পর আমি আর কারো বানানো ফেলুদা দেখিনি, বলা ভালো দেখার সুযোগ হয়নি। সবার থেকে শুনে দেখার ইচ্ছাও চলে যাচ্ছে।
তবে সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ ব্যোমকেশের জন্য। ওটা আমার ল্যাপটপে নামানো আছে। তাহলে আর দেখবো না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বোম্বেটে দেখতে পারেন, প্রথমটা অত খারাপ ছিল না।
শজারুর কাঁটা সিনেমটা আগে একসময় বানানো হয়েছিল, সেটা দেখেছেন কি? চিড়িয়াখানা দেখেছি, ভালো লাগে নি, ওইটা কেমন হয়েছিল জানি না।
আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সিনেমার রিভিউ ভাল লাগল।
অনেকটা নিঃসঙ্গ শৈশব/কৈশোরে সত্যজিতের বড় একটা প্রভাব আছে। সত্যজিতের পর আর কারো বানানো ফেলুদা দেখা হয়ে উঠেনি। আপনার রিভিউটা পড়ে খারাপই লাগল।
নিজের বাসায় টেলিভিশনে কার্টুন চ্যানেল প্রায়ই চলে, সেদিন দেখলাম ফেলুদা কার্টুনও দেখানো হয় ... হিন্দিতে।
ফেলুদা কার্টুন মানে অ্যানিমেশন? বলেন কি, আগে শুনি নি তো কখনও। কাদের বানানো? ফেলুদা কমিক্স যাঁরা করেন ওনাদেরই সম্পর্কিত কোনো গ্রুপের হয়ত...
ইয়ে, আপনি আশাকরি সত্যজিৎ রায়ের সবচেয়ে 'ওঁচা প্রোডাকশান' সম্পর্কে প্রচলিত চুটকিটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল|
রিভিউ এক্কেবারে যথাযথ|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
জানতাম না, তবে আপনার প্রশ্নে আন্দাজ করতে পারছি।
একজন বললেন, দেশ'য়ে সম্প্রতি একটা রিভিউ বেরিয়েছে, এবং সেখানে উল্লেখ করা একটা বড় পয়েন্ট আমার রিভিউতে মিস করেছি - ফেলুদা কখন ওই ঘড়িটা কবরে রেখে আসার সময় পেল, আর কখন ওটা রেখে এল, কিছুই দেখানো হয়নি সিনেমাটায়, এটা দর্শককে চিট করে একটা ম্যাজিক দেখাতে চাওয়ার মত ব্যাপার।
ইয়ে, আপনিও এখন কলকাতায় নাকি?
আচ্ছা, আপনি তাহলে দেশে চলে এসেছেন? বেশ বেশ, শুভেচ্ছা, স্বাগতম। বাংলাদেশেও চলে আসা হবে আর সফল ঘোরাঘুরিও হবে তাইলে এই আশা রইল।
আমি কদিন ধরেই পোস্টের আশে-পাশ ঘুরে চলে যাচ্ছিলাম, পড়া হচ্ছিল না। এখন পড়তে গিয়েও বুঝলাম যা ভেবেছিলাম সেই অনুভূতিগুলোই আছে, আমার সন্দীপ রায়ের ফেলুদা সিরিজ দেখেই হতাশার শুরু, টলিউডের সিনেমা একেবারেই দেখা হয় না, কাজেই অন্য পরিচালকদের তুলনা করতে পারি না, কিন্তু সন্দীপ রায়ের কোন সিনেমাই আমি দেখতে আগ্রহ বোধ করবো না মনে হয়, যদিও বলছেন যে তার ফেলুদা বাদে অন্যান্য পরিচালনা ভালোই। আর রিভিউ পড়ে এমন কিছু মিস করছি না বলেই মনে হলো। তবে লাভ যেটা হলো তা হলো ফেলুদা নতুন করে রিভাইস দেবার ইচ্ছাটা প্রবল হলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দ্যান, রিভাইজ দেন। আমিও ফিরে এসে ফেলুদা আর শঙ্কু নিয়ে বসেছি।
পরের মুখে ঝাল খাবেন কেন, নিজেই দেখুন না, সন্দীপের সিনেমা কেমন হয়?
শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ, যদিও বাংলাদেশ যাওয়াটা একটু জেপার্ডি-তে পড়ে গেছে দেখছি। অল্প সময়ের জন্যই আসা হয়, তাই এসেই ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করলাম, কিন্তু শুনছি অফিসে ভিসা প্রসেসে প্রচুর সময় লাগাচ্ছে সবারই (যদিও সাইটে লেখা পরের দিনই হয়ে যাবার কথা)। ডেট দিয়েছে অনেকদিন পরের। তারপর একটা-দুটো খুব দরকারি কাজের ডেট আছে, সেগুলোর ফাঁকে আর যাবার দিন প্রায় পড়েই থাকছে না। কী যে করি? সচলে পড়েছিলাম যে ঢাকায় ভারতের ভিসা পাওয়া নাকি বেশ ঝামেলার ব্যাপার। আজ শিল্পমেলায় বাংলাদেশের মণ্ডপে গেছিলাম, ওখানেও লোকেরা তাই বললেন। বুঝতে পারছি না, আপনাদের হাইকমিশনের লোকেরা কি প্রতিশোধ নিচ্ছেন? হাসিনা সরকারের আমলে তো অনেক মৈত্রীপ্রস্তাব-টাব হল, তার ফল কি এই?
গতকাল "বিবর" দেখলাম। কেন্দ্রিয় চরিত্রের অভিনেতার অভিনয় দেখে আর সমরেশ বসু বেঁচে থাকলে উনার প্রতিক্রিয়া কী হতো সেটা ভাবলে যে কারো একবার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সম্প্রতি টলিউডের সিনেমাজগতে চল হয়েছে, আরেকটু 'বড়দের' ছবি করার। মানে আরেকটু বেশি খোলা পিঠ দেখানো, আরেকটু জড়াজড়ি, খানিকটা চুম্বন, আরেকটু শরীর-শরীর কথাবার্তা। সাধারণ একটা ছবি যা এসব ছাড়াও দিব্যি চলে যেত সেগুলোকে 'আধুনিক' করার প্রচেষ্টায় এগুলো ঢুকিয়ে (A) মার্কা করে ফেলা হচ্ছে। এইরকম নিউ ওয়েভে চড়েই বিবরও বানানো, কারণ ওতে একটু দুষ্টু জিনিসপত্র ছিল যা আগেকার দিনে সেন্সর বোর্ড পাশ করত না।
আমার কাছেতো ফেলুদার ফিল্মগুলা ভালই লাগসে। সঞ্জীবের অন্য মুভিগুলো অবশ্য দেখা হয় নাই।
লেখায়
ভালো লাগলেই ভালো
দেরিতে রিভিউ পড়লাম। ছুটিতে নেট সংযোগবিহীন জায়গায় ছিলাম
সত্যজিৎ ছাড়া অন্য কারো বানানো ফেলুদা দেখিনি। একটু নাইভ হয়ে যাচ্ছে প্রশ্নটা, তবে জানতে চাই...
সন্দীপ রায় সত্যজিৎ রায়ের কোন কোন বই থেকে সিনেমা করেছে?
অঞ্জন দত্ত ব্যোমকেশ করেছে এটাও জানতাম না...সত্যজিৎ করেছিলেন চিড়িয়াখানা। বং কানেকশন দেখে মনে হয়েছিল অঞ্জনের গানের পিছে লেগে থাকা উচিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উনি টিভির জন্য ফেলুদা সিরিজ করতেন প্রথমে, তাতে অনেকগুলো ছিল। তারপর প্রথম, পর্দার জন্য করলেন বাক্স-রহস্য একটা টেলিফিল্ম হিসাবে। প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিনেমা বলা যায় বোম্বাইয়ের বোম্বেটে। তারপর কৈলাসে কেলেঙ্কারি, নেক্সট টিনটোরেটোর যিশু। সম্প্রতি এইটা।
হারবার্ট ছবিটা কোথায় পাওয়া যাবে? র্যাপিড শেয়ার বা এই জাতীয় কোনো কিছু লিঙ্ক আছে কারো কাছে?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন