এপ্রিলের মাঝামাঝি হয়ে গেল অথচ এই হতচ্ছাড়া জায়গায় এখনও স্প্রিং এল না, একটু যে বাগানে গিয়ে ফুলটুল দেখব তার উপায় নেই। এদিকে কাজের চাপ যতই বাড়ে ততই মাঝেমধ্যে একটুআধটু ছিটকে অন্যদিকে যেতে ইচ্ছা করে। তাই যখন খবর পেলাম যে ডেল চিহুলি’র কারুশিল্প প্রদর্শনী আমাদের বাসার কাছেই মিউজিয়াম অফ ফাইন আর্ট-এ আসছে, এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে সটান চলে গেলাম ক্যামেরা হাতে। কিছু ছবি আপনাদের জন্য সাজিয়ে দিলাম।
ডেল চিহুলি আমেরিকার অন্যতম বিখ্যাত এক গ্লাস-আর্টিস্ট। শুধু শিল্পী নন, তিনি অত্যন্ত সফল এক ব্যবসায়ীও। বহু মিউজিয়াম-বাগান-ইন্সটিটিউট-হোটেলে তাঁ কাজ অলঙ্করণ হিসাবে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে শোভা পায়। মিলিয়ন ডলারের বিক্রিবাটা হয় তাঁর প্রতি বছর, ব্যবসায় পুরোদমে মন দিতে তিনি এক ইউনিভার্সিটিতে কাচ-শিল্প পড়ানোর চাকরি ছেড়ে দেন বহু বছর আগেই।
সিয়াটলের কলেজে ইন্টিরিয়র ডিজাইন নিয়ে পড়ার সময় এক প্রোজেক্টে কাচের কিছু কাজ করতে হয়। সেটা করতে গিয়ে এত ভাল লেগে যায়, যে কাচকেই পেশা করে তুলবেন বলে স্থির করেন। তারপর ভেনিসেও যান কাজ শিখতে।
ইংল্যান্ডে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁর একটা চোখ খারাপ হয়ে গেলে, ত্রিমাত্রিক দৃষ্টি হারিয়ে ফেলায় নিজে হাতে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। তারপর আরেকটা চোটের ফলে কাঁধের হাড়ও সরে যায়। তখন থেকে তাই সহকারীদের উপরেই কাচ ঢালাইয়ের কাজটা ছেড়ে দেন; নিজে পরিকল্পনা-ডিজাইন-পরিদর্শনের কাজটা দেখেন। এখন ওনার সাথে শতাধিক লোক কাজ করেন ওনার সিয়াটল, ওয়াশিংটনের এবং অন্যান্য স্টুডিওয়।
প্রাসঙ্গিক কয়েকটা ভিডিও জুড়ে দিলাম – ১, ২, ৩, ৪।
মিউজিয়ামে ঢুকে প্রথমেই দেখি লবিতে একটা আনারসের পাতার গোছার মতো উঁচু জিনিস সাজানো, এর উজ্জ্বল সবুজ রঙ লবির চেহারাটাই পালটে দিয়েছে। সেখান থেকে ভিড়ের সঙ্গে নিচে নেমে দেখি সামনের দেওয়ালে বড় বড় একসারি কাচের ফুল। প্রফেসর শঙ্কুর গল্পের সেই রত্নদীপের মতো লাগছিল বেশ। দেওয়ালটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পার্সিয়ান ওয়াল’।
আর লক্ষ্য করে দেখুন, শুরুর যে ছবিটা দিয়েছি, সেটার নাম ‘পার্সিয়ান সিলিং’, একটা ঘরের ছাদে স্বচ্ছ কাচের স্তর বসিয়ে তার উপর নানা রঙের ওইরকম ফুল এবং অন্যান্য জিনিস সাজানো। এরকম একটা ঘর কোনো হোটেলের লবিতে থাকলে তা দ্রষ্টব্য হবে বইকি!
এগিয়ে দেখি সাজানো আছে ‘ইকেবানা বোট’। জাপানি ইকেবানার ধরনে, নৌকার উপর কাচের ফুল। আগের ফুলগুলোর সঙ্গে কিন্তু এগুলো একেবারেই আলাদা – ওগুলো ছিল চ্যাপ্টা, ছড়ানো, এগুলো লম্বাটে, কলাবতী ফুলের মতো।
ওনার কাজের একটা নান্দনিক বৈশিষ্ট্য আছে, দেখলেই বোঝা যায়। জ্যামিতিক আকার – প্রায়-সরলরেখা বা ফ্রি-ফ্লোয়িং কার্ভ দিয়ে তাঁর কাজের অংশগুলি তৈরী। জ্যামিতিক হলেও অবশ্য সিমেট্রিক করতে পছন্দ করেন না তিনি। বেশিরভাগ প্রাকৃতিক জিনিসেই যেমন খানিকটা ছন্দ আর খানিকটা খামখেয়ালিপনা, উনি সেটা আনার চেষ্টা করেন। এই যেমন, কার্ভগুলি বানান খুব সহজে – গলন্ত কাচ নিয়ে বাতাসে ঝুলিয়ে কয়েকটা মোচড় দিলেই অভিকর্ষের টানে নিজে থেকেই সেগুলো বাঁক খেয়ে যায়।
ওনার ‘নেটিভ আমেরিকান বাস্কেট’ সিরিজটি নাভাজো ইন্ডিয়ানদের ওই ধরনের ঝুড়ির সংগ্রহ থেকে অনুপ্রাণিত হলেও তাই একদম নিটোল পিপে বা চোঙার মতো নয়, একটু যেখানে-খুশি চাপা। আর ‘সীফর্ম’ সিরিজটা – সমুদ্রের ঝিনুক-শঙ্খ ইত্যাদির মতন দেখতে যে জিনিসগুলো, বাস্কেটগুলোকেই একটু অদলবদল করে বানানো – আগের ছবিটায় ঘরের মাঝের পাটাতনটায় সাজানো আছে, সেগুলোও তাই।
এর ব্যতিক্রম তিনি করেছিলেন তাঁর ‘ভেনেশিয়ান’ সিরিজে, যখন ভেনিস থেকে এক বিখ্যাত কাচশিল্পী তাঁর সাথে কাজ করতে আসেন। ভেনিসের শিল্প সিমেট্রির জন্য সুখ্যাত, তিনি ওই শিল্পীকে তেমনই করার স্বাধীনতা দিয়ে এই অভিনব সিরিজটি গড়ে তোলেন।
ছবিতে স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ কাচের মধ্যে যে সূক্ষ্ম ছিটগুলি দেখছেন, সেগুলি আসলে অজস্র ছোট বুদ্বুদ। কীভাবে যে বানায় এসব!
সময়ের সঙ্গে তাঁর কাজের ধরন একটা বা একাধিক ‘অবজেক্ট’ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ‘ইনস্টলেশন’-এ। তেমন একটা চমৎকার ইনস্টলেশন হল ‘মিলে ফিওরি’ – এক হাজার ফুল। ইকেবানার ফুলের ধরনে সাতরঙা ফুল-লতাপাতা, এবং ছোটখাট অন্য কিছু জিনিস যেমন বল, মাছ ইত্যাদি। আর একদম ধারে একটা উল্টোনো ঝাড়লন্ঠন –
এইধরনের রঙিন ঝাড়বাতি তিনি অনেকগুলো করেছেন, দেশবিদেশের মিউজিয়ামে সাজানো আছে সেগুলো।
এই ঝাড়লন্ঠনটা দেখে তো আমার পুরোই ‘ফ্লাইং স্প্যাগেত্তি মনস্টার’-এর মতো লাগল! তবে আমি নিশ্চিত, তবে আমি নিশ্চিত, ঠিক ওটাই ওঁর অনুপ্রেরণা ছিল না।
শেষ দ্রষ্টব্য ছিল ‘নিওডাইমিয়াম রীডস’। রীড মানে নলখাগড়া, গাছের গুঁড়ির উপর সেগুলি এমনভাবে সাজানো যে দেখে অবশ্য মনে হয় পচা কাঠে ফাঙ্গাসের স্পোর উঠেছে। ওগুলোর বিশেষ বেগুনি রঙকে নাম দিয়েছেন নিওডাইমিয়াম।
বেরিয়ে আসার সময় দেখি মিউজিয়ামের দোকানে ওনার কিছু ছোটখাট কাজ বিক্রি হচ্ছে। একটা ছোট কাচের থালার দামই দেড়শো ডলার। আর একটা ওইরকম বাস্কেট বা সীফর্ম পাঁচ থেকে দশ হাজার ডলার! তাইলে ভাবুন, আপনার বসার ঘরে একটা পার্সিয়ান সিলিং বানাতে হলে কত খরচ পড়বে?
মন্তব্য
দারুণ!
ভেনিসের কাচ শিল্পকে ভেনিসের মধ্যযুগীয় প্রশাসকরা খুব প্রবলভাবে উৎসাহিত করেছিলো। কোথায় যেন পড়েছিলাম, এক ভিনদেশী কাচকার পরিবারকে ভেনিস ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই শিল্পের ভেনিসীকরণ করা হয়েছিলো। গ্যালিলিওর যুগে হল্যাণ্ড লেন্স নির্মাণে বেশ পটু ছিলো, একদিন সেখান থেকেই ডাচ স্পাই গ্লাস নামে এক আজব জিনিস আমদানি হয় ভেনিসে, যেটাকে পরে আমরা টেলিস্কোপ হিসেবে চিনি। গ্যালিলিও ছিলেন অঙ্কের মাস্টার, স্পাই গ্লাসের নমুনা দেখে তিনি তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেন, এই জিনিসকে আরো উন্নত করে ভেনিসের রাজদরবারে উপস্থাপন করে পয়সা কামাবেন তিনি। সমুদ্র তীরবর্তী ভেনিস সবসময় সমুদ্রপথে শত্রুর হামলার ভয়ে কাতর থাকতো, কাজেই বন্দর এলাকায় একটা ওয়াচটাওয়ার বানিয়ে একটা শক্তিশালী দূরবীণ বসালে শত্রুপক্ষ সম্পর্কে আগে থেকে সজাগ হওয়া যাবে। ভেনিসের কাচকারদের সহায়তায় গ্যালিলিও তৈরি করেন সেই সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী দূরবীণ, যেটার সাহায্যে খালি চোখের তুলনায় দুই ঘন্টা আগেই বন্দরমুখী জাহাজের কিসিম শনাক্ত করা যেতো।
গ্যালিলিও অনেক পয়সা কামিয়েছিলেন দূরবীণ থেকে। গিয়ানজাম বাঁধে যখন তিনি এক রাতে দূরবীণের নলটা আকাশের দিকে তাক করেন ...
উঁহুঁ, আকাশের দিকে তাক করে ঝামেলা হয়নি, ঝামেলা হয়েছিলো পৃথিবীতে ঈশ্বরের খাস বান্দাদের উল্টো কথা বলতে গিয়ে। আকাশে দূরবীন তাক করে যা দেখার দেখেছিলেন, চেপে গেলেই হতো! কি দরকার ছিলো খালি খালি ধর্মমতের বিপক্ষে যাওয়ার - গ্যালিলিওর জ্ঞান নিজের চোখে দেখা, আর খাস বান্দাদের জ্ঞান "ডিভাইন সোর্স" থেকে আসা, দুইটা কি তুলনীয় হয় নাকি? কোথায় স্বয়ং ঈশ্বরের জ্ঞানের অংশবিশেষ, আর কোথায় নশ্বর মানুষের নশ্বর চোখে দেখে ছোট্ট মগজে অতি সীমিত জ্ঞানে সেটার বিচার করতে যাওয়া!
ধন্যবাদ
আমাদের ছোটবেলায় শুনতাম বেলজিয়ান গ্লাসের প্রাচীন আসবাবের খুব কদর। আপনি বলছেন হল্যান্ড, তা মনে হয় পাশাপাশি দুটো দেশই এই কাজে বেশ পটু ছিল।
হে হে... গ্যালিলিও লোকটা আসলেই খুব পাষণ্ড ছিল... বা হয়ত অপছন্দনীয় যেমন বললেন, খুব বোকা...
হল্যান্ড এর লেন্স, বেলজিয়ামের আয়না আর ভেনিস (মুরানো) এর কাঁচ। কাচামাল কাছাকাছি হলেও তিনটি কিন্তু সম্পূর্ন আলাদা তিনটি শিল্প।
হুম...
দিব্যি কর্ম সব...
আপনাকে তো আগেই দাওয়াত দিসি, বস্টন ঘুরে যায়েন। সেই মেনুতে আরেকটা পদ যোগ হল।
চমৎকার!
তবে কাচের সুন্দর জিনিস দেখলেই যেটা মাথায় ঘোরে তা হল--এইগুলা কি ব্রেকেবল, না আনব্রেকেবল
হেহে, একদম ঠিক্কথা বলেছেন, ওগুলো দেখে আমারও ঠিক তাই মনে হচ্ছিল। তবে কী, কয়েক হাজার ডলার দাম যেসব জিনিসের (আমার পুরো সেমিস্টারের মাইনে প্রায়), সেসব যারা কিনতে পারে, তাদের পোলা একটা বল মেরে একখানা ভেঙে দিলে আবার কিনতেও তাদের কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
জটিল জিনিস, জটিল পোস্ট, জটিল কমেণ্ট
অলস সময়
মন রাঙিয়ে দেয়া পোষ্ট। বেলজিয়ামে হীরে ও কাঁচে দ্যুতি শানানোর কৌশল দেখেছিলাম। সেসব হীরের সিংহভাগই আফ্রিকা থেকে চুরি করে আনতো তস্করের দল। সিয়েরালিয়নের পটভূমিতে তৈরি ছবি 'ব্লাড ডায়ামণ্ড'-এ ওই তস্করদের কিছুটা পরিচয় মেলে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ। এ বিষয়ে অল্পই জানি, সিনেমাটাও দেখা হয়নি। লেখা দিন না একটা।
ব্লাড ডায়মন্ড সিনেমাটা অতটা ব্যাপারটা বোঝায় না। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটা ডকুমেন্টারী আছে, সেটাতে মোটামুটি পুরো ইতিহাসটা পাওয়া যায়।
বিশেষ এক ধরণের "বসন্ত রোগে" ধরলে মানুষ বাগানে গিয়ে ফুলটুল শোঁকে বলে শুনেছিলাম...
যাঃ, দুষ্টু!
ফুলটুলের ছবি তো আমি এমনিএমনিই, একাএকাই তুলে থাকি... বস্টনভ্রমণের পোস্টটায় দেখেননি?
ফ্লাইং স্প্যাগেত্তি মনস্টার ইজ রাইট!
লেখা আর ছবি বড় সুস্বাদু হয়েছে। মজা পেলাম। কত কত ক্রিয়েটিভ!! দারুণ!
এই যে এখানে শিল্পকর্মের ছবি তুলতে দিয়েছে, তারপর মুর্শেদ ভাই একবার আমাকে বলেছিলেন আমেরিকায় নাকি মিউজিয়ামেও ফ্ল্যাশ ব্যবহার না করে ছবি তুলতে দেয়, এইটা ভালো লেগেছে। আমাদের এখানে যে কোন প্রদর্শনীর প্রথম কথাই হলো ছবি তোলা নিষেধ। তা সেই প্রদর্শনীর যত্ন ঠিকমতো হোক বা না হোক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
থেঙ্কু, থেঙ্কু!
হ্যাঁ, এখানে সরকারি বা প্রাইভেট প্রায় সব মিউজিয়ামেই ছবি তুলতে দেয়। দুয়েকটা প্রাইভেট মিউজিয়ামে, বা যখন কোনো বিশেষ শো হয় তখন শিল্পীর কথায় ছবি তুলতে নিষেধ করে। এখানে এসে প্রথমবার মিউজিয়ামে ঢুকেই আমি এইটা ভেবেছিলাম, যে ইশ, আমাদের জাতীয় মিউজিয়ামে কেন যে ছবি তুলতে দেয় না! এদিকে যাদের বুদ্ধের মাথা সরাবার দরকার তারা ঠিকই কাজ সেরে চলে যায়...
ছবিটা দেখেই কাজ ফেলে রেখে লগ-ইন করলাম।
এত সুন্দর প্রদর্শনি নিজের চোখে দেখে এলেন, হিংসে করি ভাই আপনাকে।
ছবি গুলোও, খুব সুন্দর তুলেছেন। পোস্ট পড়ে সত্যি খুব আনন্দ পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
দুই দিনের দুনিয়ায় কী আছে আর, কাল না হয় পরশুই আপনিও হিল্লিদিল্লি ঘুরে বেড়াবেন যাযাদির মত...
আহা কত বৈচিত্রময় সৌন্দর্য। দারুণ ব্লগ হয়েছে। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম একটা পার্সিয়ান সিলিংএর কথা। লেখার শেষে এসে বুঝলাম চা টা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে
হ্যাঁ, লাগিয়ে ফ্যালেন আপনার বাসায়। তারপর আমি আইতাছি ঘুরতে।
অসাধারণ!!!! খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ মডু মামু।
কখনও চলে আইসেন না...
দারুণ! দুর্দান্ত! মারাত্মক!
কিন্তু আপনি 'কাঁচ'কে 'কাচ' বলেন কেন? 'কাঁচের স্বর্গ', 'কাঁচ কাটা হীরে' ইত্যাদি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হেঁহেঁ...
আমি তো জানতাম কাচই অভিধানসঙ্গত বানান! কাঁচ তাহলে কোত্থেকে এল, তা বলতে পারব না অবশ্য...
আগে glass অর্থে কাঁচ লেখা হতো। সে সময় সূর্যকে সূর্য্য আর কর্মকে কর্ম্ম-ও লেখা হতো।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি অবশ্য "কাচ" জানতাম না। তবে কিনা, কাঁচ হলে তো "অপক্ক কদলী" আর এই "স্ফটিক শিল্প"র মধ্যে পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে যেত।
আসলেই! কীভাবে যে করে এগুলো! অদ্ভুত! আমার মা এমন কিছু পেলে আনন্দে আত্মহারা হতো নিশ্চিত। তাঁর কাচের জিনিস ভীষণ পছন্দ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হায়, পেলে কী আর আমরাও অনেক অনেকই খুশি হতেম না? কিন্তু কী আর করা...
ছবিগুলো দারূণ! লেখাটাও।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ডেলসায়েবকে তো ধন্যবাদ দিতেই হয়, ওনার দৌলতে রিটনভাইয়ের দেখা পেলাম আমার পোস্টে!
মাথা ঘুরে গেলো একদম, দারুণ সব কাজ কারবার। টাস্কিত! :0
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
দুর্দান্ত।
দেখতে চাইছিলাম এই লোক আমার শহরে আসবেন কিনা সামনে, কিন্তু দেখা গেল উনি ১৯৯৪ সালে এসেছিলেন, এরপর আর খবরই নেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কথায় বলে না, মহম্মদ পর্বতের কাছে না গেলে পর্বতকেই মহম্মদের কাছে আসতে হয়? আগস্ট পর্যন্ত প্রদর্শনীটা আছে, সামারে ঘুরে যান না বস্টন। তাই বলে আপনাকে পর্বত বলছিনা মোটেই, বালাই ষাট!
তাসনীম ভাই, বাড়ির কাছে আরশিনগর। ওকলাহোমা মিউজিয়াম অফ আর্টস-এ এই ভদ্রলোকের কাজ পাকাপাকি ভাবে আছে। আপনার প্রতিবেশি স্টেটতো সহজেই ঘুরে যেতে পারবেন।
কৌস্তভের ছবিগুলো দেখে হিংসা হচ্ছে। আমি এখনো ঠিকভাবে ছবিগুলা তুলতে পারিনাই দেখে কোথাও বেশি পোস্ট করা হয় নাই তবে আজকে আর লোভ সামলাতে পারছিনা।
বাকিগুলা ঘষামাজা করতে হবে।
সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে দিক্কার, সেই সাথে গুপনে নিজের হাত কামড়ানোর ইমো। কবে যে এইগুলো নিজের চোখে দেখব।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
দিক্কার দিয়া লাভ নাই। আপনাদের ইনভাইট দেওয়াই আছে বস্টন এসে এসব নিজের চোখে ঘুরে দেখে যাওয়ার, কথা না শুনলে মুই কি করুম?
লোকটা তো মনে হইতেছে সাক্ষাত একটা অমানুষ!
এসব নিজের চোখে দেখলেন বসে বসে? চোখ মাথা সব নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা তো!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
না স্যার, হেঁটে হেঁটে ঘুরে ঘুরে দেখেছি...
দারুণ !!! পোস্টটা না পড়লে কাঁচকলা দেখতে হতো।
এমন একজন শিল্পীর একটা চোখ খারাপ হয়ে গেল ভেবেই খুব খারাপ লাগছে। আমার মত অকাজের মানুষ চারটা চোখ নিয়ে ঘুরছি, কোন মানেই নেই।
অপূর্ব, অপূর্ব কাজ!!!
তোমার চারটা চোখ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কেন, চশমা বলে কি সে মানুষ না? চশমার কি চোখ হতে ইচ্ছা করে না?
উনি তো বলেন, একচোখো হবার পর থেকে দূর থেকে পরিদর্শন করে কাজের একটা নতুন পারস্পেক্টিভ পান, সেটা ওঁর খারাপ লাগে না...
লেখা ভাল লেগেছে। তবে ছবি দেখে আশ মিটল না। তাই গুগলমামাকে দিয়ে একটু খোঁজ দা সার্চ লাগালাম। আহা.... কি দারুন সব কাজ। জলদস্যূদের মত একচোখে পট্টিওলার এলেম আছে বটে।
তাই তো, এমন সুন্দর সব জিনিস কী আর ছবিতে দেখে আশ মেটে? নিজের চোখে দেখবেন কোনো সময়।
হুম! দুনিয়ার সব কিছু দেখি নদীর ঐপারে হয়!!!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
কোন নদী, সুজন্দা?
ভেগাসের বেলাজিওতে চিহুলির কাজের একটা ছবির লিন্ক দিতে চাইলাম, ফ্লিকারে রাখা। পারলাম না
সিরাম পোস্ট
এই কাজটার কথা বলছেন তো?
আমি তো ফ্লিকার থেকেই এমবেড করলাম, হল তো দেখছি। পেজটার লিঙ্ক দেন না হয়, দেখি চেষ্টা করে...
হু এটাই
http://www.flickr.com/photos/19091660@N00/5639380592/in/set-72157622827703017
সাধু! সাধু!
ছবি+লেখা=অসাধারণ।
love the life you live. live the life you love.
তোমার লেখার ( আপনি না তুমি, কি বলতাম?) নামকরণের প্রেমে পড়ে গেলাম কৌস্তুভ! শব্দ নিয়ে এই খেলা, ক'জন পারে বলো?
--------------------------------------------------------------------------------
সচলে তো শব্দরসিকদের অভাব নাই, ভাবী।
আপনি বলবেন কেন, ইশ!
চোখ জুড়িয়ে গেল!
অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ এই পোস্টটার জন্য!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমারে ধন্যবাদ দেওয়ার আর কী আছে? হাতের জাদু দেখিয়েছেন ডেল সাহেব, এমন একটা অসাধারণ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ, আমার কাজ বলতে শুধু ফ্রিতে গিয়ে ঘুরে আসা।
দারুণ সব ছবি। কত কিছু দেখা হয় নাই জীবনে, আফসুস। আর হ্যাঁ, বর্ণনাও ছবির মত সুন্দর হয়েছে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আফসুস করে কী হবে, নর্থ ক্যারোলিনা আর কতই বা দূর...
ওই ডেল বেটা কি খায়?
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
সুপ্রিয় দেব শান্ত
উফফ... খালি লাফায় মন্তব্য!
মন্তব্যের লম্ফ-ঝম্পের চোটে...উফ!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার প্রথম ছবিতে নীড়পাতা একেবারে ঝকঝক করছে। পোস্ট পড়ে ক্যামেরা হতে নেওয়ার তাগিদ অনুভব করছি। খাসা ছবি তোলেন আপনি।
আর ভদ্রলোকের কাজ মনের মধ্যে যে আলোড়ন তুললো তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। রঙের এমন বিস্ফোরণের সাথে সেতারের মিল পাচ্ছি বরং ...
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লহো ভ্রাতঃ... গাণ্ডীব লহো তুলি... এ তো দারুণ ব্যাপার, চটপট ক্যামেরা বাগিয়ে ফেলেন - আপনার ছবি... আহ...
আমার ক্যামেরার তেমন কারসাজি নাই রে ভাই। জিনিসগুলো এমনই খুবসুরত ছিল।
উহুঁ, ছবিগুলো আপনি সত্যি ভালো তুলেছেন! ফ্রেমিং, এক্সপোজার ঠিক আছে তো বটেই, দেখতেও দিব্যি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
পোষ্ট পড়ে আর ফটুক দেখে ভাব চলে এলো, 'ধাঁধিয়ে গেল মাথা আমার, জুড়িয়ে গেল চোখ, পড়া শেষে বলছি আমি লেখক এবং কাচশিল্পীর জব্বর ভালো হোক।' জয়গোস্বামী তাঁর কবিতার এহেন পরিণতি দেখলে দিবেন কষে গাট্টা। কিন্তু নয় মোটেও ঠাট্টা, আমি ভেবেছিলাম আপনি 'কাঁচকলার রন্ধন প্রণালী' দিয়েছেন ক্ষুধার রাজ্যে কাচকর্মই তাই হাভাতের মত চেটেপুটে খেয়ে নিলাম।
বাঃ, কাচকলা তো আপনার মধ্যে কাব্যকলা জাগিয়ে তুলল দেখছি...
জিনিসগুলা সুন্দরই। কিন্তু ছোট জিনিসগুলা মেরে দেয়ার কোনো সিস্টেম নাই?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না গো দাদা। উপায় থাকলে কী আর আপনার জন্য দুচারটা নিয়া আসতেম নে?
নতুন মন্তব্য করুন