হ্যাঁ, যীশুর মতই তাঁর মায়ের গর্ভসৃজনও নাকি করে গিয়েছিলেন ঈশ্বর, আর তাঁর জন্মের সময় নাকি হয়েছিল অতিপ্রাকৃত সব ঘটনা – যেমন, তাঁর দোলনার তলায় একটি গোখরো সাপের উপস্থিতি। খবর্দার, হাসবেন না – গ্রামের বাড়িতে খাটের তলায় সাপ এলেও তাকে অতিপ্রাকৃত বলেই ধরে নিন, কারণ মনে রাখবেন, শ্রীবিষ্ণু কিন্তু অনন্তনাগের মাথায়ই শয়ান থাকেন। আমার বরং কষ্ট লাগে এদের বাপেদের জন্য – এত বিখ্যাত সন্তানের যে তারা বায়োলজিকাল ফাদার সেই দাবিটুকুও করতে পারে না। অবশ্য ছেলের সাফল্য দেখেই খুশি থাকে হয়ত।
(১)
শিশুকাল থেকেই তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা এবং জাদুশক্তি লোকমুখে প্রচারিত হতে থাকে। এক সময় তিনি ঘোষণা করেন, তিনি শিরডির সাইবাবার পুনর্জন্ম, তাঁর আর সংসারের সঙ্গে সম্বন্ধ নেই। এই সময় থেকে, মানে ষাটের দশকের শুরুতে, তাঁর ভক্ত জমায়েত হতে শুরু করে। সেই দশকের শেষের দিকে তিনি সারা ভারতে জনপ্রিয় হতে শুরু করেন।
(মহারাষ্ট্রের শিরডি গ্রামের সাইবাবা উনবিংশ শতাব্দীর সাধু/ফকির। সাদা জোব্বা আর মাথায় সাদা কাপড় বাঁধা বেশেই তিনি সুবিদিত। আর পুত্তাপুর্তির সাই বাবা গেরুয়া আলখাল্লা আর ভালদেরামার মত হেয়ারস্টাইলে একটা 'কেয়ারফুলি কেয়ারলেস' লুক রেখেই সুপরিচিত হন।)
তিনি তাঁর জাদুর খেলা, যাকে মনে করা হত যোগশক্তির মাধ্যমে করা মিরাকল, দেখানোর জন্যই সবথেকে বিখ্যাত হন। তাঁর ধুনির ছাই, যাকে বলা হয় বিভূতি, তিনি শূন্য থেকে নিয়ে এসে ভক্তদের মাথায় ছড়িয়ে দিতে পারতেন। আবার যখন-তখন হাত ঘুরিয়ে সোনার চেন, লকেট, আংটি এসব নিয়ে আসতেন। মুখ থেকে সোনার শিবলিঙ্গ সৃষ্টি করতে পারতেন। ভক্তরাও হরদমই, ঘরের দেওয়ালে, আকাশে, এখানে-সেখানে বাবার চেহারা ভেসে উঠতে দেখত, বিশেষত সঙ্কটের সময়ে। সেই সময় এর ঢেউ কলকাতাতেও পৌঁছেছিল, বাংলার বহু মানুষ সাইবাবাকে মানতে আরম্ভ করেন।
হুজুগে বাঙালি অবশ্য বেশিদিন তো এক জিনিস নিয়ে মজে থাকে না। সাইবাবার হুজুগও পরের দিকে খানিকটা কমে আসতে থাকে। আশির দশকের মাঝামাঝি বাবা তাঁর পলিসিও পরিবর্তন করতে থাকেন। বলেন, মিরাকলের মাধ্যমে লোকসমাগম তো অনেক হল, এবার লোককল্যাণের দিকে শক্তি নিয়োগ করা যাক। সেই সময় থেকে তাঁর ট্রাস্ট অনেক পরিকাঠামোগত কাজের দিকে মন দেয়; বিস্তারিত পরে আসব। ভারতের অন্যান্য অংশে অবশ্য তাঁর প্রভাব একই রকম রয়ে যায়। সারা পৃথিবী জুড়েই কয়েক কোটি ভক্ত তাঁর।
(২)
তাঁর এই জাদুর খেলা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অনেকে। পি সি সরকার জুনিয়র নিজেই পুত্তাপুর্তি গিয়েছিলেন তাঁকে দেখতে, বাবার শূন্য থেকে জিনিস সৃষ্টির খেলা উলটে তাঁকেই দেখিয়ে দিয়ে আসেন। ফিরে এসে পত্রিকায় বলেছেন, ওঁর জাদুর খেলা খুবই সহজ; নিজেই সেগুলি করে দেখিয়েওছেন। কিছু ভিডিওতেও ধরা পড়েছে তাঁর এইসব ম্যাজিকের প্রক্রিয়া, যেমন আঙুলের ফাঁকে ছাইয়ের ট্যাবলেট গুঁজে রাখা।
একজন ব্লগার সরস ভঙ্গিতে বলেছেন সেই দিনের কথা, যখন তাঁর মা ভরা সভায় সাইবাবাকে বলেছিলেন, পারলে শূন্য থেকে একটা কাঁঠাল এনে দিন তো আমায়। উনি জানতেন, গেরুয়া আলখাল্লার ঝোলা হাতার আড়ালে তো আর কাঁঠাল লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাতে নাকি বাবার ভক্তরা তুমুল হইহল্লা করে মহিলাকে সভা থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
কেউ কেউ ওঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, পারলে স্টুডিওর মধ্যে পরীক্ষামূলক পরিস্থিতিতে এইসব ম্যাজিক করে দেখান। সাইবাবা তাতে অস্বীকার করেন এইসব বলে, যে বিজ্ঞান আর ধর্মের পথ আলাদা, আধ্যাত্মিক বিষয় বিজ্ঞান কোনোদিনই ধরতে পারবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। ইন্টারনেট ইত্যাদিও নাকি মানুষের মন এ মায়াময় সংসারের দিকে বিভ্রান্ত করে রাখে।
কেউ আবার বলেছিলেন, শূন্য থেকে সোনা আমদানি করতে পারলে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত ওনাকে সোনা আমদানি আইনে ধরা, কারণ ‘স্পিরিচুয়াল আমদানি’ বলে কোনো ব্যবস্থা ভারতীয় আইনে নেই।
(৩)
হিন্দু ধর্মগুরুদের সাধারণ যা স্বভাব, সেইমত ইনিও শুধু ভাল ভাল কথাই বলে গেছেন। ভাল কাজ কর, সবাইকে ভালবাস, চরিত্রে ভাল হও। (সাইবাবাএক্সপোসড নামের এই ব্লগে অবশ্য বাবার ধর্মনীতির অনেক সমালোচনা করা হয়েছে।) এনার আর একটা বড় পয়েন্ট ছিল, কাউকে হিন্দুধর্মে পরিবর্তিত হতে বলেন নি, নিজে দীক্ষাও দিতেন না। তাই সেদিক থেকে তাঁর ইমেজ বড়ই ক্লিন, বহু দেশী-বিদেশী বড় বড় লোকেরা আকৃষ্ট হয়েছেন তাতে। বাবা অবশ্য মাতৃভাষা তেলুগু বা হিন্দি ছাড়া অন্যান্য ভাষায় তেমন কথা বলতেন না, আন্তর্জাতিক ভক্তদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা অনুবাদ করে দিতে হত।
অন্যান্য বহু গুরুর মতনই তাঁর নামেও অবশ্য বহু সেক্স স্ক্যান্ডাল উঠেছে। বিদেশী ভক্তরাও অভিযোগ করেছেন, আশ্রমে তাঁদের নিয়ে বাবা যৌনক্রীড়া করেছেন। সেসব নিয়ে যদিও তদন্ত কিছুই হয় নি। ভক্তরাও কিছুতে কান দেন নি। নিজেদের এক চিন্তাগতভাবে আবদ্ধ পরিবেশে রেখে বাবাকেই সর্বৈব সত্য বলে মেনে নিয়েছে যারা, এসবকে তারা তো অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেবেই। সাইবাবা অত্যন্ত তীব্রভাবেই “ওপিয়াম অফ দি মাসেস” ছিলেন, প্রথমে মিরাকল ও পরে জনকল্যাণ দিয়ে।
অন্য অনেক গুরুদের মত সাইবাবা অবশ্য তাঁর ভক্তদের সরাসরি ব্যবহার করতেন না। তার প্রয়োজন পড়ত না। ওই স্ক্যান্ডালগুলি, বা লোক ঠকানোর অভিযোগ ওঠার সময়, প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী ইত্যাদি নামী লোকজন নিজেরাই বাবার পক্ষে বিবৃতি দিয়ে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও দুঃখজনক বলেন। তাঁর ট্রাস্টের পরিচালন সমিতিতেও আসন নেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।
সেলিব্রিটি, বড়লোকদের প্রতি তাঁর পক্ষপাত যেন প্রকাশ পেয়েছে মৃত্যুর পরেও। তাঁর মৃতদেহ যখন আশ্রমে শোয়ানো ছিল, শচীন তেন্ডুলকরের মত নামী ব্যক্তিত্ত্ব এসে কাছ থেকে দর্শন করে গেছেন, এদিকে সাধারণ ভক্তরা বাইরে বিশাল ভিড়ে একটু দর্শনের জন্য অপেক্ষা করে বিফল হয়েছেন সারাদিনে।
(৪)
সাইবাবার মৃত্যুর পর অন্য অনেকের মতনই তসলিমা নাসরিনও লক্ষ্য করেছিলেন ওঁর ভবিষ্যৎবাণী বিফলে যাওয়া, এবং ব্যঙ্গ করে টুইট করেছিলেন, “Satya Saibaba died. He said he would die in 2022. But he died too early.” সাধারণভাবে তাঁর লেখা বা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এখানে কোনো মন্তব্যে না গিয়েই বলি, অন্তত এধরনের কথাগুলির সাথে সহমত হতেই হয় – “one 'godman' gone, but a thousand others will surface...what a pity...the bhakti business is quite lucrative...”
তসলিমা অন্য একজনের একটি লেখা রি-টুইট করেছিলেন, যাতে ছিল, “why shud somebody be sad abt his death. he was 86, shud b allowed to die. i was so dissappointd with sachin praying. crazy!” এটা নিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া, যাদের সংবাদ এখন ট্যাবলয়েড-সুলভ হয়ে গেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন, বিতর্ক ছড়াবার লোভে হেডলাইন বানায় এই বলে যে “Taslima advises Sachin not to pray for Sai Baba”। এতে তসলিমা বিরক্ত হয়ে বলেন, কারোর লেখা রিটুইট করা মানেই কী আমি তার সঙ্গে পূর্ণ সহমত? আমাকে হুমকি বা গালাগালি দেওয়া যে টুইটগুলো দেখি, মজা পেয়ে সেগুলোও আমি রিটুইট করি, তার মানেই কী সেগুলো আমার বক্তব্য? টুইট এবং রিটুইটের পার্থক্য না বলে টাইমস মনে হয় পাঠকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় আছে।
(৫)
কিন্তু একটা ব্যাপারে তাঁকে সাধুবাদ দিতেই হয়। পশ্চিমবাংলার কমিউনিস্ট শাসকেরা রাজ্যের চিকিৎসাব্যবস্থার (এবং অন্যান্য সব পরিকাঠামোর) এমনই হাল করেছেন, যে কোনো রোগ হলেই তাঁদের সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে ভর্তি হতে হয়। নিয়মিত চিকিৎসা করাতে লন্ডন যাওয়া মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবাবু তো শেষবয়সে একটি বেসরকারি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন। সাইবাবা অন্তত এতটাই ভাল একটা হাসপাতাল তৈরী করিয়েছিলেন, যে তাঁর ভক্তরা তাঁকে সেখানেই ভর্তি করাবার ভরসা পায়।
সত্যি বলতে, তাঁর হাজার হাজার ধনী ভক্তরা যে মোটা টাকার ডোনেশন দিয়ে থাকেন নিয়মিত, তার একটা অংশ তিনি সত্যিই জনকল্যাণের কাজে ব্যয় করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট পুত্তাপুর্তিতে হাসপাতাল বানিয়েছে, কিছু স্কুল-কলেজও করেছে। পানীয় জল প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। এসব সেবার জন্য মানুষের থেকে কোনো পয়সাই নেওয়া হয় না। প্রতিষ্ঠিত ডাক্তাররাও অনেকেই যেমন ‘মানুষের কল্যাণমূলক কাজে কিছু অবদান রাখছি’ মনে করে সেখানে ফি নেন না। তবে এ সব কোনো কিছুই যে তাঁর মানুষকে প্রবঞ্চিত করে অর্জিত বিশাল সম্পদকে নৈতিক বৈধতা দিতে পারে না, তা বলাই বাহুল্য।
(অবশ্য তাঁর ভক্তরা এটাও মনে করে, তিনি অলৌকিক ক্ষমতাবলে এক নিমেষেই সৃষ্টি করেছেন এই সব হাসপাতাল, স্কুলের বাড়িঘর।)
এখানে আরো একটা তুলনা আসা উচিত আমি মনে করি। ক্রিস্টোফার হিচেন্স এবং অন্যরা প্রায়শই বলেন, মাদার টেরিজা তো বিদেশ থেকে অজস্র ডলার ডোনেশন পান তাঁর কল্যাণব্রতের জন্য। কিন্তু তা দিয়ে কলকাতা এবং অন্যত্র ওই ‘নির্মল হৃদয়’এর মতো অপরিণত, অপ্রতুল পরিকাঠামোর কিছু ‘সেবাকেন্দ্র’ ছাড়া আর কিছু করেছেন কি? একটাও উন্নত মানের হাসপাতাল কি করেছেন যেখানে এই রোগীদের শুধু দুবেলা খাওয়া-পরা আর সামান্য শুশ্রুষা নয় বরং আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা যাবে? সেখানে রোগীদের এই ধারণাই দিয়ে দেওয়া হয় যে এখানেই এই পরিবেশেই তাদের বাকি জীবনটা কাটাতে হবে, এবং তাদের প্রায় জোর করেই প্রভু খ্রীষ্টের উপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়। এসব দিক থেকে পুত্তাপুর্তির ব্যবস্থা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।
(৬)
আর তাঁর মৃত্যুর পর এই চল্লিশ হাজার কোটি টাকার ট্রাস্টেই শুরু হয়েছে মালিকানা সংক্রান্ত তীব্র গণ্ডগোল। সেই নিয়ে বিভাজন এমন কি শেষকৃত্যের সময়ও দেখা গেছে। লোকে মনে করছে, সরকারের এতে অংশগ্রহণ করে বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। সত্যিই তো, সাইবাবা পরলোকগত হয়েছেন, এখন কী তিনি আর এসবকে শাসন করে ঠিক পথে আনতে পারবেন, যতই তিনি নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করুন?
তাঁর ট্রাস্টে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অবশ্য বহুদিনেরই। এই সংক্রান্ত গণ্ডগোলেই নাকি একবার চারজন অস্ত্রধারী লোক পুত্তাপুর্তিতে বাবার শোবার ঘরে ঢুকেছিল, বাবা প্রাণ নিয়ে পালান (ছিঃ, হাসবেন না)। সেখানে অন্যদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়, পুলিশ এসে তাদের চারজনকেই এবং দুজন মন্দিরের কর্মীকে গুলি করে মারে। যথারীতি, মন্দির-কতৃপক্ষ তদন্তে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। রহস্যের সমাধা হয় না। সন্দেহ করা হয়, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে কয়েকজনকে সরিয়ে দেওয়া হল এইভাবে।
(৭)
যেটা আমাদের অনেকেরই খুব বিরক্তিকর লেগেছে, তা হল তাঁর মৃত্যুর পর অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে চারদিনের সরকারি শোক ঘোষণা করা এবং সাইবাবাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে (ফুল স্টেট অনার) সমাধি দেওয়া। (তাঁকে কিন্তু অন্য হিন্দুদের মত দাহ করা হয় নি, মাটিতে গোর দেওয়া হয়েছে।) প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে সারা দেশের কাজ ফেলে এক ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে আসতে হবে? সোনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদী, সবাইকে? অবশ্য ভারতের বহু বড় বড় রাজনৈতিক নেতা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও, এবং বহু সেলিব্রিটি-খেলোয়াড়-অভিনেত্রী সবাই যাঁর ভক্ত, তাঁর ক্ষেত্রে এমন হওয়া আশ্চর্যই বা কী। অন্যান্য ধর্মগুরু যেমন মাদার টেরিজা বা কার্ডিনাল বিদ্যাথিল-ও তো মরার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হয়েছিলেন। এঁদের অগণিত ভক্তরা সবাই ভোট দেয় বলে কথা, তাদের খুশি রাখতে হবে না?
*********************
কিছু ভিডিওর লিঙ্কঃ
সাইবাবার হস্তলাঘবতাঃ
সাইবাবার উপর করা বিবিসির ২০০৪ সালের ডকুমেন্টারি – দা সিক্রেট স্বামীঃ
(এই লিঙ্কটা দিয়েছিলেন দিগন্তদা)
মন্তব্য
মানীর মান আবারও সংকটে ... এবং সংবিধান সেকুলার হইলেও রাষ্ট্র সেকুলার হয় না
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
তাই তো দেখি সর্বত্র... ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকা...
বাংলাদেশের সংবিধান কিন্তু এই মুহূর্তের বাস্তবতায় সেকুলার না
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কোথায়ই বা?
ডুপ্লিআপনিও মানী লুকের মান রাখতে পারেন না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আনি মানী জানি না...
কলকাতার যুক্তিবাদী সমিতির প্রবীর ঘোষরা এই সাঁই বাবার নাগাল পাননি কখনো ?
****************************************
ওনার 'অলৌকিক নয় লৌকিক' বইটায় বোধহয় বাবার জাদুর খেলা সম্পর্কে কিছু আলোচনা আছে। এইখানে বসে বইটার নাগাল নেই বলে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না, পেলে অবশ্যই লেখাটায় দিতাম।
ওনার ভক্ত আমার এই শহরেও প্রচুর- "Die Religion ... ist das Opium des Volkes"। লেখা ভালো লেগেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইটা আপনি ফেবুতেও বলেছিলেন। আসলে এই বাবাদের ডিম পাড়ার খেলা যতদিন চলবে, এই কথাটাও পুরোনো হবে না...
ম্যালা খেটেছেন গো দাদা.. ৫ তারা দাগালাম।
এইসব 'পীরফকিরসাধুদরবেশ'দের মতো অনর্থক বস্তু নিয়ে অনর্থ বাধানোর অর্থ কী, সেটা আমার মোটা মাথায় ঠিক সেঁধোয় না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
থেঙ্কু বইন!
এইভাবে মানী লুকের মানসুম্মান লইয়া টানা হেঁচাড়া করলে ভবিষ্যৎ এ তাদের আগমনের পথ কঠিন হবে, তখন কে এই পাপের দুনিয়া থেকে আমজনতাকে উদ্ধার করে ধন্য করবে
love the life you live. live the life you love.
"ধিন তা ধিনা তাধিন ধেই, স্বর্গে যাবার রাস্তা এই..." মনে পড়ে?
এই যুগে এসেও এরকম বুজরুকের প্রভাব চারপাশের লোকদের সম্পর্কে অসুস্থ্য ধারণার উদ্রেক করে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হ, চারিদিকে এই লোকের এত শরণাগত দেখলে সন্দেহই হয় তাদের বিবেচনাশক্তি সম্পর্কে...
এইসব লীলা বোঝা যার তার কর্ম নয়
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হেই লিগাই তো বাবা ইসকুলও খুলেচেন...
সাঁইবাবার হাসিটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ, দেখলেই মনে হয় আশেপাশের লোকের ছাগলামি দেখে বিরাট একটা অট্টহাসি কোনোমতে আটকে রেখে মুচকি হাসছে।
একটু আগেই এইখানে পছন্দনীয় ভাইয়ের একটা বিশাল মন্তব্য দেখলাম, আর রিপ্লাই করতে গিয়েই দেখি সেইটা ভ্যানিশ! কাণ্ডখানা কী?
আরে! এই মন্তব্যটাই বা লাফিয়ে হিমু ভাইয়ের প্রতিমন্তব্য হয়ে গেল কেন? কী যে হচ্ছে...
সামান্য একখানা ণ সংক্রান্ত বানান শোধরাতে গিয়ে ওটা হাওয়া হয়ে গেছে - কত রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়।
ইয়ে, একটা 'অ' উপসর্গ না কি বলে, বাদ পড়ে গেলো না?
কিচ্ছু বাদ পড়ে নাই! ঠিক আছে বিলকুল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এইসব বাবা নিয়া কেচ্ছা দেখতে দেখতে বিরক্তির একশেষ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কই মন্তব্য করলাম আর কই গেলো! যাই হোক , আপনার শিরোনামটা দারুণ। যাকে বলে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অ তো ইচ্ছা করেই বাদ্দিসি। আপনার অ-ব্যবহারের ফ্যাসিবাদি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এই বস্তু আরো অনেকগুলো আছেন। এত বড় সাইজের না হলেও আমাদের এখানে গোটাকয় এখনো জীবিত - তবে এত অহিংস নয়, মাঝে মাঝে ঐশ্বরিক অথবা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা দেখাতে এদের একে অপরের সমর্থকদের মাথা ফাটাতে হয়। একজন আবার মাটির খোড়ায় ভাত খান, 'ইহুদিনাসারাদের' টেকনোলজিতে বানানো প্লেট বর্জন করে। একটা খোড়ায় একবারই খান। কাজেই ওনার খাদ্যস্পৃহা মেটানোর জন্য রাজধানীর অতি অভিজাত এলাকায় ওনার বাড়ির সামনে মাটির খোড়ার বিশাল স্তুপ থাকে, অনেকটাই রাস্তা বন্ধ করে - সামান্য নিম্নশ্রেণীর পথচারীদের ভোগান্তি ঈশ্বরিক সাধনায় কোন সমস্যা নয়। ঢাকার বাইরের আরেকজনের কথা শুনেছিলাম (শোনা কথা, কুলোকে কত কিছু বলে!) তাঁর নারী ভক্তদের নাকি নির্বাণলাভের জন্য গায়ে ঘি মেখে দিতে হয়! ফি বছর ওনারা বিশাল বিশাল সমাবেশ করেন, সেখানে বিশাল বিশাল রাঘব বোয়ালেরা গিয়ে বিশাল বিশাল দুর্নীতি থেকে কামানো টাকার বিশাল বিশাল অংশ দান করে পাক-সাফ-পরিশুদ্ধ হয়ে আসেন!
তবে, এই কয়েকদিন আগেই আমার ল্যাবে এক বিজ্ঞানমনস্ক(!) অত্যাধুনিক(!) যুক্তিবাদী(!) আমারই এক প্রাক্তন শিক্ষক এলেন। এসে এই সাইবাবার ভিডিওগুলো আমাকে দেখিয়ে বোঝালেন এদের সমর্থকেরা কেমন অন্ধ হয়। কোন যুক্তি বিচার না করেই কিভাবে সবকিছু বিশ্বাস করে - আরে বাবা, নিজের মুন্ডুটা একটুখানি খাটালেই তো এসবের সমস্যাগুলো বোঝা যায়। আমিও খানিকটা হ্যাঁ হুঁ করে একটু "জ্ঞানগর্ভ" আলোচনা করতে গেলাম। কিন্তু যেই ব্যাপারটা ওনার ধর্মের দিকে টেনে নিয়ে গেলাম অমনি বিজ্ঞানমনস্কতা, অত্যাধুনিকতা, যুক্তিবাদ সব 'রিভার্স সাইবাবা ম্যাজিকে' পড়ে হাওয়া হয়ে গেলো। এইবারের অবস্থান সোজাসাপ্টা, "স্বয়ং ঈশ্বরের কথা থেকে আমরা আমাদের ধর্মীয় বিধান পেয়েছি, তুমি ক্ষুদ্র মানুষ সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ করো কোন সাহসে? এইসব নিয়ে কথা বলতে হয় না, এগুলো ঈশ্বরের বিধান, আমাদের কাজ মেনে চলা, প্রশ্ন করা নয়"।
অন্য একজন আছে, এ আমার প্রাক্তন ক্লাসমেট। মোটামুটিভাবে ইসলামের সকল নোংরামী বিষয়ক বক্তব্যে আমার অকুন্ঠ সমর্থক। এবং এই দিক দিয়ে খুবই আধুনিকমনা। কিন্তু তার নিজের ধর্মের ব্যাপারে আবার এক্কেবারে উল্টো। ওই ব্যাপারে কিছু বলতে গেলে পারলে আমার মাথাটা নিয়ে ফুটবল খেলে। সেখানে যত ধরণের আজগুবি গল্প কাহিনী আছে, সেগুলো সব অক্ষরে অক্ষরে সত্য বলে মেনে নিতে হবে, প্রতিটি বিধান মানবকল্যাণের জন্য দেয়া এটা বুঝতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি...
কয়দিন পরে এনারাই নামের পিছে পি এইচ ডি জুড়ে নিজেদের অতিউচ্চশিক্ষিত দাবী করবেন, আমি নিশ্চিত সাইবাবার ভক্তদের মধ্যেও পি এইচ ডি বা তার চেয়েও বেশি কিছু যুক্ত কিছু আছেন। আমার মা মাঝে মাঝে বলেন, আমরা বিদ্বান হয়েছি, কিন্তু শিক্ষিত হই নি - এদেরকে দেখলে কথাটার মানেটা বুঝি। ডিগ্রি অ্যাওয়ার্ড করার আগে আমি মনে করি শিক্ষায় আসলেই মননশীলতার কোন পরিবর্তন ঘটিয়েছে কিনা সেটা একটু মেপে দেখা উচিত, নইলে এই সব বস্তুর ঠ্যালায় শেষটা ডিগ্রিগুলোর আর কোন অর্থ থাকবে না, এখনো আছে কিনা কে জানে!
এইতো আপনার লম্বা কমেন্ট ফিরত আইসে। এটাতে দিতে গিয়েই তো দেখি বেবাক হারাইয়া গেল...
আচ্ছা, এইসব পীর-মুর্শীদ-সাই-বাবা-খাজা'রা কি প্রচলিত ধর্মের কথা বলে, নাকি এরা নিজেরাই প্যারালাল একটা ধর্ম বানিয়ে ফেলে? আমার ধারণামতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তো এরা প্রচলিত ধর্মের কাস্টমাইজড রূপ পালন করে। তো এক্ষেত্রে তাদের বলদামির জন্য বাঁশ দিতে গিয়ে প্রচলিত ধর্মকে 'দু কথা' শুনিয়ে দেয়াটা বোধ'য় ঠিক সমীচিন না। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম হয়ে যায় যে, 'শহরে আইছি যখন, পূব পাড়ার নছুর নামে একটা মামলা কইরা দিয়া যাই'।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুধু পীর-মুর্শীদ-সাই-বাবা-খাজা'রা নয়, বেশিরভাগ মানুষই আসলে সেই অর্থে কোন ধর্ম পালন করে না। কাস্টমাইজেশনের পরিমাণটা হয় নিজের স্বার্থ বুঝে। এই যেমন ধরুন আমি একজনকে চিনি, ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে মুন্ডু নামিয়ে দেবে। যত বিধান জানে সব মেনে চলে, খালি বিশেষ একধরণের বোতল দেখলে আর মাথা ঠিক থাকে না, তখন ধর্মটর্ম সব উবে যায়।
এইসব ভন্ডদের কর্মকান্ডের জন্য কোন প্রচলিত ধর্মকে কথা শোনানো অবশ্যই যৌক্তিক নয় - এবং আমি কিন্তু সাইবাবাকে কোন ধর্মের ঘাড়ে চাপাচ্ছিও না - ধর্মসংক্রান্ত কথাগুলো এসেছে সেই ধর্মের ব্যাপারস্যাপার বিবেচনায়ই। এরা ধর্মের রাস্তায় না থাকলেও আচরণের দিক দিয়ে কিছু ধার্মিক আর এদের শিষ্যরা একই রকম। বিজ্ঞানমনস্কতা, অত্যাধুনিকতা, যুক্তিবাদ এইসব ব্যাপারগুলো সাইবাবা ইত্যাদির ক্ষেত্রে যেমন কাজ করে অন্য ক্ষেত্রেও কি তেমনি করা উচিত না? কেউ যদি সাইবাবার সমর্থকদের অন্ধ বলে গালাগালি করে, আর নিজেই অন্য কিছুকে অন্ধভাবে মেনে চলে, তাহলে তাকে কি ভাবে আলাদা বলবো আমি?
এইসব নিয়ে কথা বলতে গেলেই মূল পোস্টের থেকে সরে গিয়ে একটা লম্বা বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। সেটা অনেকেই পছন্দও করেন না। তাই এসব আলোচনা থেকে দূরেই থাকি এমনিতে। রায়হানভাইয়ের গেরিলার পোস্টেও তাই বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে শুধু অনুপমভাইয়ের মন্তব্যে আমার দ্বিমতটুকু জানিয়ে এসেছি। এখানেও তাই করি একটু।
প্রচলিত ধর্ম আর কাস্টমাইজড ধর্ম, দুটোরই মধ্যে প্রচুর এবং অনুরূপ বলদামি আছে, তাই বাঁশ দিতে গেলে সবগুলোকেই একসাথে দিলেও কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না।
অবশ্য, প্রচলিত ধর্মের সংজ্ঞাই বা কী? প্রত্যেকটা প্রচলনেই তো অন্তত খানিকটা করে কাস্টমাইজেশন আছে। কোনো পুরোনো ধর্মেই তো চকোলেট খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করা যাবে কি না তাই নিয়ে কথা বলা নেই। তাহলে এই যে এত লোক ধর্মকর্মও করছে আবার চকোলেটও খাচ্ছে, তারা সেই সংক্রান্ত বিধান পাচ্ছে কোথায়? নিজের বুদ্ধিবিবেচনা অনুযায়ী তারা আচারব্যবহার কাস্টমাইজ করে নিচ্ছে। (মধ্য-আমেরিকার অমিশ-রা অবশ্য খানিকটা ব্যতিক্রম।)
কৌস্তুভ, বাঁশ দিতে মানা নেই। কিন্তু প্রবিষ্ট করার জন্য সবসময় হাতে বাঁশ নিয়ে জেহাদী জোশে খোঁচানোটা ধর্মবতীদের মতোই বিরক্তিকর। উপরের অপছন্দনীয়'র সুর ধরেই বলি, কোনো কিছু বা এর অন্ধ-সমর্থকদের বাঁশ দিতে গিয়ে নিজেই অন্ধ আচরণ করলে কিন্তু বিরাট সমস্যা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইদানীং এই প্রবণতা বেশী করে লক্ষ্য করছি। অনেককেই দেখা যায় গলা মিলানোর নামে যাচ্ছেতাই বকে যায়। ইগনোর করতে করতেও মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠি।
সবসময় হাতে বাঁশ নিয়ে কেউই খাড়িয়ে থাকে বলে তো দেখি না। আমরা কি মুদির দোকানে গিয়ে তাকের উপর সাইবাবার ছবি দেখলেই তাকে সাইবাবা যে ভণ্ড এ নিয়ে জ্ঞান দিতে বসি, নাকি ম্যাকডোনাল্ডের কর্মচারীর গলায় ক্রুশের লকেট ঝুলতে দেখলেই বাইবেলের অসঙ্গতির কথা তুলে আনি? এরকম তো ডকিন্স বা হিচেন্সের মত কোনো 'জঙ্গি নাস্তিক'ও করেন বলে কেউ অভিযোগ করে না।
কিন্তু যখন কোনো ধর্মসংক্রান্ত জিনিস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটা কাস্টমাইজডই হোক আর প্রচলিতই হোক (দুটোর মধ্যে পার্থক্যও বিশেষ আছে বলে আমার মনে হয় না) - তখন সেই সূত্রেই আরো অনেক কিছুই চলে আসে, অন্যান্য ধর্মেরও। সাইবাবার কথা উঠলে আরেক ভণ্ড বাবা রামদেবের কথাও আসতেই পারে, যে যোগ দিয়েই এইডস সারিয়ে দেবার দাবি করে। সেখান থেকেই পোপের এইডস সংক্রান্ত ভ্রান্ত নীতিও আসতে পারে। তারপর ক্যাথলিকদের বা বাইবেলের অন্যান্য আলোচনাও। তখন নিন্দা করলে সবকটারই করা উচিত, সেটা তো অন্ধ আচরণ নয়।
বরং যদি না করা হয়, তাহলেই তাকে একচোখো বলে ধরতে হবে, ওই যেমন পছন্দনীয় ভাইয়ের উল্লেখ করা ব্যক্তিগণ।
আর যুক্তিবাদীদের মধ্যে এমন মোনোম্যানিয়াক-ও তেমন কাউকে দেখি না, যে কোনো ধর্মসংক্রান্ত জিনিস নিয়ে আলোচনা শুরু হলেই সেটাকে ঘুরিয়ে নিয়ে তার বিশেষ কোনো একটা ঘৃণার জিনিসে - যেমন শরিয়া আইন - এ নিয়ে যায়।
ও হ্যাঁ, একটা পরিস্থিতি আছে অবশ্য, যেখানে বাস্তবতার খাতিরে ধর্মকে টেনে আনতেই হয়। এই যেমন, পাকিস্তান বা লাদেনের সমালোচনা করতে গেলে, তাদের জিগিরের মূল উপজীব্যই যে ধর্ম (এবং তা 'প্রচলিত ধর্মগ্রন্থ'কে কোনো মিস-ইন্টারপ্রেট না করেই), সেই পরিপ্রেক্ষিতটাই না আনলে কি চলবে?
কোথাও সমস্যা হচ্ছে কৌস্তুভ। হয় আমি বুঝাতে পারছি না, নয়তো আপনি বুঝতে পারছেন না।
আমি যতোটুকু বুঝেছি, এই পোস্টে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। করা হয়েছে একজন সো কল্ড বাবা'কে নিয়ে। এবং এই বাবা নিজেই ধর্মের ধার কাছ দিয়ে এস্তেঞ্জার পথ পর্যন্ত মাড়ায় না, যা বুঝলাম। এখন এই বাবার আলোচনায় ধর্মকে ব্যবচ্ছেদ টেবিলে তুলে দেয়াটা কতোটা খোলাদৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়?
যতোটুকু জানি, সচলায়তন উগ্রপন্থি কোনো প্ল্যাটফরম নয়। এখানে বিশ্বাসী আছেন, অবিশ্বাসীও আছেন, আছেন সংশয়বাদীও। সুতরাং, যেখানে ছাই দেখিবে সেখানেই দাবড়ানো শুরু করিবে, নীতিটা সচলায়তনের ক্ষেত্রে মেনে নিতে আমার কিঞ্চিৎ আপত্তি আছে।
যখন ধর্ম সংক্রান্ত, এর সীমাবদ্ধতা সংক্রান্ত পোস্ট লেখা হবে, কোনো মন্তব্যে ধর্মের মাহাত্য রচিত হবে, তখন এই আলোচনাগুলো সেখানে প্রত্যাশিত হবে। সব গল্পের গরুকে নদীতে নামানোর মতো যেকোনো পোস্টেই, যেকোনো মন্তব্যেই যেকোনো ভাবেই ধর্মকে কটাক্ষ করার মাধ্যমে নিজের যুক্তিবাদী আর প্রগতিবাদী পরিচয়টা প্রকাশ করার আগে এই পরিচয় হুদাই একজন সহসচলকে আহত করছে কি-না সেটা দেখাও প্রয়োজন না?
মোল্লা জিনিসটাই চরম বিরক্তিকর কৌস্তুভ, সে আস্তিকই হোক আর নাস্তিকই হোক। মাইক পেলেই নিজের বিশ্বাসের তুবড়ি ফোটাতে শুরু করে। এই প্র্যাকটিসটা ভয়ঙ্কর। আমি অন্তত চাইবো না সচলায়তনে এই প্র্যাকটিসটা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে চালু হয়ে যাক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাহলে মনে হয় আপনি যা লিখছেন তা পড়ে আমি আপনার বক্তব্যটা অন্যরকম বুঝছি, হয়ত আপনি অন্য কিছু বলতে চাইছেন।
আমার তো আপনার প্রথম মন্তব্য পড়ে মনে হল, আপনি বলছেন, বাবাদের বাঁশ দেওয়ার আলোচনায় প্রচলিত ধর্মকেও বাঁশ দেওয়ার ব্যাপারটা যুক্তিযুক্ত নয়। সে কথাটায় আমার দ্বিমত ব্যক্ত করলাম।
তারপর আপনি বললেন, বাঁশ দিতে মানা নেই। কিন্তু সবসময় হাতে বাঁশ নিয়ে জেহাদী জোশে খোঁচানোটা ধর্মবতীদের মতোই বিরক্তিকর। তখন বললাম, যে অনর্থক সেইভাবে খোঁচাতে আমি কোনো নাস্তিককে তেমন দেখি না। কয়েকটা সিনারিওর কথা তুললাম।
এখন আপনি বলছেন, এই খোঁচানোর ব্যাপারটা সচলায়তনে আপনি দেখতে চান না। এখানে আমি একটু কনফিউজড, কারণ পছন্দনীয় ভাইয়ের যে কমেন্টের উত্তরে আপনি প্রচলিত ধর্মের বিরুদ্ধে ঝামেলা করার কথা তুলেছিলেন, সেখানে তো সচলের কারুর সম্পর্কে কথা হচ্ছিল না। সাধারণত লোকে কেমন করে তার কথা হচ্ছিল। আমিও সেই পরিপ্রেক্ষিতেই উত্তর দিয়েছি। আর সচলে তো কেউ এমন করেন বলেও আমার মনে হয় না।
আপনার উপরের ওই মন্তব্যটা নিয়েও আমার একটা দ্বিমত আছেঃ
না তো! এই বাবা যা বলছেন, সেটা ঠিক কোনো একটা বিশেষ প্রচলিত ধর্মের বই থেকে নয়, বা তিনি কোনো একটা বিশেষ ধর্মে কনভার্ট করতে তাঁর অনুরাগীদের বলেন না। কিন্তু তিনি যা প্রচার করছেন, সেটা নিশ্চিতভাবেই একটা ধর্ম। তিনিই ঈশ্বর, তাঁর অনুরাগীরা তাঁর ছবি পুজো করছে, ভজনা করছে, এগুলো ধর্ম না হলে কী, নাস্তিকতা বা অজ্ঞেয়বাদ?
এই বাবার কাজকর্মও ধর্মসংক্রান্ত ভণ্ডামিই। অতএব সেই অর্থে এটাকে ধর্ম-সংক্রান্ত পোস্টও বলা যায়, বা ঠিকভাবে, ধর্ম-সমালোচনা-সংক্রান্ত পোস্ট।
কিন্তু এই পোস্টেও তো কেউ এসে বাবার কাজকর্মের বাইরে সাধারণভাবে ধর্মকে কটাক্ষ করে যান নি। বা পছন্দনীয়র যে মন্তব্যে আপনি এই আপত্তির কথা তুললেন, সেখানেও উনি তা করেননি। তাহলে সচলে এই অভ্যাস অনুচিত এরকম প্রসঙ্গ হঠাৎ এল কেন, ধরতে পারলাম না।
যাহোক, মনে হয় আমরা এখানেই থামতে পারি।
- যুক্তিযুক্ত না, বলেছি সমীচিন নয়। কেনো নয়? কারণ, এখানে প্রচলিত ধর্মকে বাঁশ দিলে আপনার একজন সহসচলের বিশ্বাসের প্রতি বিনা উষ্কানীতে খোঁচা মারা হয়। এবং আপনি ধর্মকে না টেনেও বাবাদেরকে বাঁশ দিতে পারেন ঝাড়ে ঝাড়।
- আমিও দেখি না আপনার উল্লেখ করা নাস্তিক ব্যক্তিদের। কিন্তু সচলে দেখি। নাস্তিকতাকে আক্রমন করে ধর্মকে মহিমান্বিত করার চেষ্টায় গত এক সপ্তাহে কয়টা পোস্ট/মন্তব্য পড়েছেন সচলে? পক্ষান্তরে, ধর্ম বা এর আচারকে আক্রমন করে ছক্কা পিটায়ে সাইড লাইনের বাইরে পাঠানো পোস্ট/মন্তব্য সংখ্যার পরিমান কী রকম মনে হয় আপনার? আর সিনারিওর উদাহরণের কথা বলেন? এইজন্যই বললাম, যে হয়তো আমিই বুঝাতে পারছি না। ম্যাকডোনাল্ডসের কর্মচারীর গলায় ক্রস দেখেও যে কারণে তাকে বাইবেলের জ্ঞান দিতে সংযমী হচ্ছেন, ঠিক একই কারণে সচলেও সেই জ্ঞান বিতরণে সংযমটা থাকছে না কেনো?
- উঁহু, সচলের একক কারুর সম্পর্কে কথা হচ্ছিলো না কিন্তু সচলের সামষ্টিক কিছু মানুষের বিশ্বাস সম্পর্কে কথা হচ্ছিলো। বিশ্বাসে অসঙ্গতি, অযৌক্তিকতা যেটাই থাকুক সেটা নিয়ে আপনার বিশ্বাসে কেউ আক্রমন না করলে তার বিশ্বাসে আপনার কাছ থেকে আক্রমন সে ডিজার্ভ করে না, এটা কি ক্লিয়ার?
- সেই হিসেবে নাস্তিকতা, অজ্ঞেসবাদও তাহলে ধর্মের সংজ্ঞায় পড়ে যাবে। আর সেটা হলে সচলায়তনের নীতিমালায় ধর্মবাদী মন্তব্যের কারণে ফেঁসে যেতে পারেন কিন্তু! প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য সচলে যেকোনো ধরণের ধর্মপ্রচারই প্রবলভাবে নিরূৎসাহিত করা হয়।
- ঐযে বললাম, সব গল্পের গরুকে কোনো না কোনোভাবে নদীতে ঠিকই নিয়ে ফেলা যাবে। কিন্তু তাতে সেটা নদী বিষয়ক রচনা হয়ে হবে না। এক্ষেত্রে উপরের প্যারায় আমার উত্তর দ্রষ্টব্য।
- এসেছে। বাবার বাবাবাজীর বাইরেও কটাক্ষ এসেছে। যে মন্তব্যের কথা উল্লেখ করলেন, তার প্রথম ও শেষ প্যারা ছাড়া মাঝের দুই প্যারার প্রথমটায় হালকা করে এসেছে। আর দ্বিতীয়টায় পুরাই প্রচলিত ধর্মের প্রতি বিষোদগার। এটা অন দ্য স্পট। এ ছাড়াও গত বেশ কয়েকদিনে এমন অনেক মন্তব্যই চোখে পড়েছে যেখানে অন্যকিছু বলতে গিয়ে নানা ভাবেই ধর্মকে কটাক্ষ করা হয়েছে। এটা দেখতে স্রেফ বিরক্ত লাগছে।
- আশাকরি এবার ধরতে পেরেছেন।
- ধন্যবাদ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বেশ কয়েকটা পয়েন্টেই সহমত নই, এই যেমন নাস্তিকতাকে ধর্ম বলার বিষয়ে। বা বিনা উষ্কানিতেই ধর্ম নিয়ে আসতেও দেখেছি। কিন্তু কথা আর না বাড়াই।
আমি কিছু কথা বলি - আমার কাছে নাস্তিকতাও ধর্ম! কারণ নাস্তিকেরাও নিজেদের বিলিফ প্রিচ করেন, নাস্তিকেরাও নিয়ম-কানুন (রাষ্ট্রের বা সমাজের) মানেন। আমার পরিচিত অধিকাংশ নাস্তিকই ইদানীং দেখি তাঁর ধারণাই ঠিক সেটা প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগে যান, জোর করে অন্যের দৈনন্দিন একটা ভাষার যেটা হয়তো ধর্মের থেকে উদ্ভুত (যেমন গ্রিটিংসের ক্ষেত্রে আমরা চিন্তা না করেই সালাম দেই, অভ্যস্থতায়, বাংলায় কিন্তু 'হাই' বলার তেমন কোন প্রতিশব্দ প্রচলিত নাই)। বিনা উস্কানিতেও অন্যের মন্তব্যকে টুইস্ট করে নিজের নাস্তিকতার আলোচনায় জড়াতে এই সপ্তাহেই সচলায়তনে আমি ঘটতে দেখেছি। এটা আমাকে তীব্রভাবে বিরক্ত করে। আমার কাছে এটাও এক রকমের মৌলবাদীতা।
আর বাই দ্য ওয়ে, এখনো পর্যন্ত যেসব জীবের সন্ধান লিপিবদ্ধ, তাতে মানুষই আমার জানামতে একমাত্র যারা ভালো-মন্দের পার্থক্য করে নিজের ডিসিশন নিজে নিতে সক্ষম। ধর্ম সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য আমি যা বুঝি তা হলো মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, সংযত রাখা।
রাষ্ট্র বা সমাজ যখন, নাগরিকের উন্নত জীবন নিশ্চিত করবে, যখন সকলের প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক শিক্ষা সম পর্যায়ের হবে, সমাজের যেকোন চাকুরিতে নিয়োজিত মানুষের বেতন সমমানের হবে, যখন সবার মৌলিক অধিকার (খাদ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, ইত্যদি) পূরণ হবে, তখন কিন্তু ক্রাইম রেট কমে আসার কথা। সমগ্র পৃথিবীতে যখন এমন অবস্থা হবে, তখন হয়তো আর 'ধর্ম'-এর প্রয়োজন হবে না, কারণ মানুষকে আর জোর করে ধরেবেঁধে ঠিকটা করানোর দরকার হবেনা, মানুষ ভালো-মন্দের শিক্ষা সে সময়ে হয়তো ছোটতেই আত্মস্থ করে ফেলতে পারবে স্কুলেই।
কিন্তু তখনো কি সমাজে বা রাষ্ট্রে আইন-নিয়ম এগুলো থাকবে না?! আদিকালের মানুষ যখন দলবদ্ধভাবে বসবাস
সুরুশুরু করলো তখনো একটা গোত্র বা দলের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মরীতি ছিল, সবাইকে তাই মানতে হতো। দেখা গেছে মানুষকে নিয়মের মাঝে থাকতে হয় তার নিজের নিরাপত্তার জন্যেই। সে হিসেবে বলি, সুইডেন বা জার্মানিতে চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি ক্রাইম রেট কম হবার প্রধান কারণ নিশ্চয়ই আইন ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগ, এবং সেই সকল রাষ্ট্রীয় নিয়ম/আইনের প্রতি নাগরিকের শ্রদ্ধাবোধ থাকা, সেগুলো মানার চেষ্টা করা, নাকি? তাহলে আমি যদি বলি এই যে রাষ্ট্রীয় আইন, সামাজিক নিয়ম, এইটা আসলে ধর্মেরই বিবর্তিত রূপ, আর কিছু না, মানবে? আমার স্বল্প জ্ঞানে আমি তাই মনে করি, Its just the name of the term that changed, nothing more.___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নাস্তিক্যবাদকে ধর্ম বলার ভিত্তি কি আসলে আছে? এইটা কি ভিত্তিহীন জেনারেলাইজেশন না?
নাস্তিক্যবাদ মানে তো বিশ্বাসে অবিশ্বাস। তাই নাস্তিক্যবাদরে ধর্ম বললে টিভির অফ বাটনরে চ্যানেল বলতে হয়, মদ না খাওয়াকে নেশা বলতে হয়, ডাকটিকেট না জমানোকে হবি বলতে হয়...
ধর্মের অবিচ্ছেদ্য যে উপকরণগুলা আছে, তার কোনটা আছে নাস্তিক্যবাদে?
১) অতিপ্রাকৃত শক্তিতে বিশ্বাস?
২) ধর্মগ্রন্থ (যেইটার কথা অমান্য করা পাপ)?
৩) নবী-রসুল (যার কথা এবং জীবনধারা অনুকরণীয়)?
৪) পবিত্র স্থান, পবিত্র সময়, পবিত্র বস্তু?
৫) অবশ্যপালনীয় রিচুয়াল?
৬) প্রার্থনা?
...
এইসব উপকরণ ছাড়া ধর্মের অস্তিত্ব থাকলে তবেই না নাস্তিক্যবাদকেও ধর্ম বলা যায়। তার আগে না।
মজার ব্যাপার হইল, চারপাশে সর্বক্ষণ নানানভাবে ধর্মপ্রচার চলতেছে, সেইটা নিয়া কোনো অভিযোগ শুনিনা। কিন্তু কেউ দুইখান বিরুদ্ধ কথা বললে সেইটা বেশি নজরে পড়ে। মনে হয় অনভ্যাসের কারণে।
আমি আমার কাছে বলেছি ভাই, আপনার কাছে হবে তা চাপায় দেই নাই।
আর আমার কেন মনে হয় সেটাও পরের লাইনেই বলেছি, আবার লিখতে ইচ্ছা করছে না।
আমার কাছে 'ধর্ম' বলতে কী বোঝায় এবং রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক আইন-কানুনও যে হাজার বছরের প্রচলিত 'ধর্ম'সমূহেরই বিবর্তিত রূপ মনে হয় (আমার কাছে ভাই, আর আমি মানি যে আমার থেকে বেশি জ্ঞানীগুণী মানুষ অনেক আছেন) সেটাও পরের অংশে বলেছি।
আর এইটা ভাই ঠিক বলেছেন। আসলেই মনে হয় অনভ্যাস!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই মন্তব্য-সিরিজটায় আমি আর বেশি কথা বলতে চাইছি না, তবে তুমি যখন আমাকেই প্রতিমন্তব্যটা করেছ তখন তো রিপ্লাই না করা অভদ্রতা। তাই একটুখানিই বলছি।
তোমার, সবারই যা খুশি তাই মনে করার, বিশ্বাস করার অধিকার আছে। কিন্তু সেইটা যখন সবায়ের সামনে বলা হচ্ছে, তখন সেটা নিয়ে অন্যদের কথা তোলার অধিকারও আছে। তখন আলোচনাটা বিশ্বাস/আবেগের উপর ভিত্তি না করে যুক্তি দিয়ে করলেই ভালো হয়।
তুমি বলছ, তোমার মনে হয় নাস্তিকতাও ধর্ম। তার সপক্ষে তুমি দুটো কারণ বললে। এই ধরনের কথাগুলোকে নাস্তিকদের প্রায় প্রতিদিনই খণ্ডন করতে হয়, মনোয়ার আজমও তাই খানিকটা করলেন। এতে বিরক্ত হয়ে 'আমার ধারণা আমার কাছেই থাক, আপনার যুক্তি আপনার কাছে রাখেন' এরকম বললে আর আলোচনা এগোবে কী করে?
আর ধর্ম নিয়ে অনেকটা আলোচনা করলে, তা ধর্মের সংজ্ঞাই বা কী? হিন্দুধর্মে শুরুর দিকে ধর্ম নেওয়া হত কালচার বা হ্যাবিট অর্থে। কিন্তু এখন প্রায় সবাই নেন রিলিজিয়ন অর্থে। নাস্তিকতাকে প্রথম প্রকার ধর্ম বলতে কারুরই বোধহয় অসুবিধা নেই, কিন্তু রিলিজিয়ন মনে করতে গেলে কিন্তু প্রচুর প্রতি-যুক্তি আসবে। মানে, নিজের মনে ভাবলে নয়, কিন্তু সমবেত ফোরামে সে কথা বলতে গেলে। সেগুলোকে ইগনোর করাও অবশ্য তোমার অধিকার...
আচ্ছা, আর কথা না বাড়াই।
ধর্ম বলতে এখন রিলিজিয়নই বোঝায়। নাস্তিকতাকে কালচার বা সংস্কৃতি বলা যেতে পারে বোধ হয়।
আমি অবশ্য কথা বাড়াতে চেয়ে উপরের বড় মন্তব্যটা করি নাই। বিরক্তি ছিল কিছুটা এ ব্যাপারে, আর উপরে তোমার, ধুগোদার, পিপিদা আর পচ্ছন্দনীয় ভাইয়ের মন্তব্য-আলোচনা পড়লাম। মনে হলো এ কথাগুলো, তাই লিখলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রথমতঃ এই পোস্ট ধর্মসংক্রান্ত নয়, এবং এখানে কি আসলেই কোন ধর্মকে ব্যবচ্ছেদ টেবিলে তুলে আনা হয়েছে? আমার মন্তব্যটা ছিলো সাইবাবা সংক্রান্ত ব্যাপারে এই পোস্টের বাইরের একটা ঘটনার বর্ণনা, কোন ধর্মের নির্দিষ্ট বিধান ধরে নিয়ে এই পোস্টে সেগুলোর আলোচনা করা নয়। কোন ধর্মকে ব্যবচ্ছেদ করতে চাইলে সেটার বিশেষ বিধানগুলোই কি নিয়ে আসার কথা না? "ধর্ম" শব্দটার উল্লেখ করলেই যদি সেটা ব্যবচ্ছেদ হয়ে যায় তাহলে অবশ্য কিছু বলার নেই। ধর্মের মাহাত্ম সংক্রান্ত পোস্টে কিন্তু আলোচনাগুলো এরকম হয়না, সেখানে স্পেসিফিক অংশ ধরে ধরে তর্কাতর্কি হয় - নিঃসন্দেহে ব্যবচ্ছেদের উদ্দেশ্য নিয়ে।
দ্বিতীয়তঃ আমার নিজের একটা আচরণের একটা ব্যাখ্যা মনে হয় আমার দেয়া উচিত। ধর্ম সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বিভিন্ন পোস্টে আমার মন্তব্যগুলো যদি চোখে পড়ে থাকে তাহলে হয়তো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে থাকবেন যে আমি একটা নির্দিষ্ট ধর্মকে নাম ধরে বলি, বাকিগুলোকে নাম ধরে বলি না। উপরে আমার কমেন্টের দুইজন দুই প্রচলিত ধর্মের সমর্থক, কিন্তু নাম বলা হয়েছে একটা মাত্র ধর্মের।
অনেকগুলো ধর্মের নাম এড়িয়ে যাওয়ার কারণ অন্যদের অনুভূতিতে আঘাত না করা। তাদেরকে আমি ছেড়ে কথা বলছি না, কিন্তু ভাষাপ্রয়োগে অনেক সংযত হচ্ছি এবং নামটা এড়িয়ে যাচ্ছি। ঐ ধর্মগুলো সরাসরি আমাকে কোনরকম আঘাত করে না, কাজেই এটুকু আমি করতেই পারি।
ইসলামের নাম উল্লেখ করে তার সমালোচনা করার কারণ ইসলাম সরাসরি আমাকে আঘাত করে, এবং ইতোমধ্যে করেছে। আমাকে যদি কেউ বা কোনকিছু আঘাত করে, সেই কেউ বা কোনকিছুকে নিজের সাধ্যে যতখানি কুলায় ফিরিয়ে আঘাত করার অধিকারটুকু আমার আছে বলেই আমি মনে করি। কোন মতবাদ আমাকে সরাসরি আঘাত করে যাবে আর আমি তার অনুসারীরা আহত হতে পারেন বলে চুপ করে থাকবো এটা মনে হয় একটু বেশি প্রত্যাশা করা হয়ে গেলো। কেউ যদি তাঁর অনুসৃত ধর্ম / মতবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখলেই আহত হন, তাহলে তাঁর অনুসৃত ধর্ম বা মতবাদের কারণে অন্য কেউ আহত হয় কিনা সেটাও হয়তো একটু খতিয়ে দেখলে পারেন - সেক্ষেত্রে আখেরে লাভ কিন্তু মানুষেরই হবে।
বস, সদরুদ্দীর হাতে চপেটাঘাত খেয়ে সেই চপেটাঘাত সদরুদ্দিকে ফিরিয়ে দিতে গিয়ে যদি বোম্বা ফুটায়ে গ্রামশুদ্ধ লোকের গালের একপাশ তুলে ফেলেন তাইলে আপনার আর মোল্লা বুশের মধ্যে পার্থক্য থাকলো কই? আপনি মোল্লা বুশের অন্ধ সমর্থক নন তো আবার!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না বস, আমি বুশবাবাজীর অন্ধ কেন, কোনরকম সমর্থকই নই। তবে যদি সমর্থক হতামই, তাহলে কিন্তু বুশবাবাজী কি কি মোল্লাগিরি করেছে সেসব চিন্তা না করেই বলে দিতাম এইবার বুশের গরুকে নদীতে নামানো হচ্ছে - এবং সেক্ষেত্রে আপনার 'মোল্লা বুশ' উক্তিটাও কিন্তু আমাকে 'আঘাত' করতে পারতো।
সদরুদ্দীর কাছ থেকে চপেটাঘাত খেলে সেটা আমি সদরুদ্দীকেই ফিরিয়ে দেবো, সেটার জন্য অবশ্যই গ্রামসুদ্ধ লোককে ধরে পেটাতে যাবো না (ওটা মোল্লা বুশ করে)। কিন্তু গ্রামসুদ্ধ লোক যদি নিজের গালটা সদরুদ্দীর গালের পাশে পেতে দিতে আসে তাহলে তো একটা দুইটা খোঁচা কি গালে ঠোনা খেতেই হবে, কি আর করবো বলুন? গ্রামসুদ্ধ লোক যদি চোখ বন্ধ করে সদরুদ্দীর কর্ম সমর্থন করে, তাহলে ওই কর্মের কনসিকোয়েন্সও খানিকটা ঘাড়ে নিক।
বাংলায় বলি, আপনার অফিসে, বন্ধুদের আড্ডায় ধর্ম নিয়ে বচসা হয়েছে এখন সেটার সূত্র ধরে ধর্মকে সচলে কেনো কটাক্ষ করতে হবে? আপনি প্রায়ই এটা করেন, ইচ্ছাকৃত ভাবেই। কেনো করেন? সবাই তো এখানে অজ্ঞেয়বাদী বা নাস্তিক না। লাইক আই সেইড, সচলে সহাবস্থানকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এটা সম্মান করা একজন সচল হিসেবে বোধ'য় আপনার কাছেও কাম্য।
আপনি ধর্মে বিশ্বাসী না, ফাইন। সেটা নিয়ে যখন কেউ আপনাকে সচলে কটাক্ষ করছে না। আপনি কেনো কারো বিশ্বাসকে অনবরত কটাক্ষ করে যাচ্ছেন?
- সদরুদ্দির করা চপেটাঘাতের দায় আপনি সবার গালেই চাপাচ্ছেন। আয়রনি হলো, এটা আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। সচলের বিশ্বাসীরা আপনাকে, নাস্তিকতাকে কটাক্ষ করে কোনো কিছু বলছে, এমন তো দেখছি না। তারা যেচে এসে গালও পেতে দেয়নি। বরং উল্টো আপনিই গাল খুঁজে খুঁজে ঠোনা মেরে চলেছেন।
আবারও বলি বস, সহাবস্থান জরুরী। দুইন্যাটা (সচলের বাইরে ও ভেতরে) বাসযোগ্য থাকুক। মৌলবাদিতায় যেনো ভরে না ওঠে।
ধন্যবাদ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটুখানি দ্বিমত রইলো যে বস।
মন্তব্যগুলো আবার যদি একটু দেখেন, এই লাইনের প্রথম মন্তব্যে দেখবেন দুইজন 'বিশেষ ব্যক্তির' কথা বলা হয়েছে, গণহারে তাদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সেখান থেকে এসেছে অন্ধবিশ্বাসী ধার্মিকের কথা। জেনারেলাইজেশনের ইচ্ছা থাকলে ওই মন্তব্যেই তাদের পুরো ধর্ম আর সেই ধর্মের সব সমর্থকের সম্পর্কে বলা যেতো।
বন্ধুদের আড্ডা নয়, অন্য জায়গায় সমস্যা। সেখানেও দেখবেন ঠিক সেই ব্যক্তিটিকে উল্লেখ করেই বলা হয়, "সচলের সব মুসলিম" বা "পৃথিবীর সব মুসলিম" কে লক্ষ্য করে নয়। কিন্তু কোন 'আইন' যদি অনাচারে ভর্তি থাকে, তাহলে তো মনে হয় আইনটাকে ক্রিটিসাইজ করা যায়, শুধুমাত্র একজন প্রয়োগকারীকে না করে?
উঁহুঁ, আবারও বলি, সদরুদ্দীর কীর্তি আমি সবার ঘাড়ে চাপাচ্ছি না। সদরুদ্দীকে চড়াতে গেলে যে দুই-পা পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে তাকে নিয়ে কোনই সমস্যা নেই, সমস্যা তাকে নিয়ে যে সদরুদ্দীর কর্ম নির্বিশেষে নিজের গাল পেতে দিয়ে তাকে রক্ষা করবে। গাল খুঁজে ঠোনা মারছি না, বরং কিছু কিছু গাল নিজেই অন্যের গালে মারা ঠোনা টেনে নিজের উপরে নিয়ে নিচ্ছে। ভালো কাজে কেউ সদরুদ্দীকে সমর্থক করুক না, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সদরুদ্দী যাকে তাকে চড়িয়ে বেড়াবে, আর উল্টো চড় খাওয়ার সময়ে সদরুদ্দীর ভাই বেরাদর গাল পেতে তাকে রক্ষা করবে - করতেই পারে, কিন্তু তাহলে ভাই বেরাদরের কি কিছুমিছু নিজের গালে নিতে হবে না? আমি কার গালটা খুঁজে ঠোনা মেরে বেড়াচ্ছি একটু দেখাবেন?
এই লাইনের প্রথম মন্তব্যটাতে ইন জেনারেল ধর্মের বিপক্ষে কিছু বলা হয়নি, আমার অন্য কিছু মন্তব্যতে বলা হয়েছে হয়তো, তবে এই লাইনের কোন মন্তব্যে নয় - এবং এই পোস্টে ধর্মের ভালোমন্দ নিয়ে কথা বলাও কোন উদ্দেশ্য ছিলো না। প্রথম মন্তব্যটা ছিলো "অন্ধবিশ্বাসীদের" নিয়ে - পৃথিবীর কোন ধর্মের সব অনুসারীকে নিয়ে নয়।
সচলায়তনের নীতিমালা যদি বলে 'ধর্ম শব্দের উচ্চারণমাত্র উহা ধর্মের প্রতি আঘাত বিবেচিত হইবে' তাহলে অবশ্য অন্য কথা - তবে এ পর্যন্ত এরকম কিছু দেখিনি। কেউ মৌলবাদী আচরণ করলে, সেটা আমি হই আর অন্য কেউই হোক, মনে হয় উপযুক্ত প্রমাণসাপেক্ষে কিছু ব্যবস্থা নেয়া যায় এবং নেয়া হয়ও। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছা তাই বলার প্রবৃত্তি থাকলে এখানে পড়ে থাকতাম না, এমন কিছু ব্লগ আছে যেখানে আক্ষরিক অর্থেই যা খুশী তাই বলা যায়, সেখানে চলে যেতাম।
আরেকটা কথা, আমি এ পর্যন্ত যা কিছু যত পোস্টে বলেছি সব আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি/মতামত মাত্র। কাউকে সেগুলো মানতে বাধ্য করা হয়নি। যে কেউ অবশ্যই সেগুলোর প্রতিবাদ করতে পারেন, আমিও মনে হয় সেগুলর প্রতিউত্তর দিতেই পারি।
দুঃখিত বস, আপনার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। এবং এই ব্যাপারটা ব্যক্তিগত পরিচয় ছাড়া বোঝা একটু দুঃসাধ্য।
অফটপিকঃ যদিও এই পোস্টের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, আশা করি অবাক হবেন না বললে যে, আমি নামাজও পড়ি (নিয়মিত না হলেও), রোজাও রাখি, যাকাতও দেই - অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? বিশ্বাস করা না করা আপনার ইচ্ছা। ওগুলোর মধ্যে কোন সমস্যা দেখিনি বলে করি, তার মানে এই না যে যা কিছু বলা হয়েছে সবকিছুই করবো। তবে নিজেকে মুসলিম দাবী করিনা কারণ পূর্ণ ঈমান নেই - অনেক কিছুতেই সন্দেহ আর আপত্তি আছে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনার দ্বিমতের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলো বস। পাশাপাশি, আপনি ব্যক্তিগত জীবনে কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কয়টা রোযা করেন, কতো টাকা যাকাত দেন সেইসব হিসাব একান্তই আপনার, কয়বার হজ্জ্ব করেছেন— এগুলো এইখানে উল্লেখ করাটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য কী বলছেন, কীভাবে বলছেন— সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি বলছেন,
এবং
আপনি যদি অন্ধবিশ্বাসী ধার্মিকদের টার্গেট করেই সবকথা বলতেন, তাহলে এরকম একটা বিষয়ে আপনার সঙ্গে বচসা করার প্রয়োজন পড়তো না। এই পোস্টেই এক মন্তব্যে আপনি বলেছেন,
— গেলো এটা। আরেকটা মন্তব্য দেখি।
— এটাও আপনার করা মন্তব্য।
— এবং এটাও।
খুঁজলে আরও পাওয়া যাবে। উপরের মন্তব্যগুলো কোনো অন্ধবিশ্বাসী ধার্মিকের উদ্দেশে নয়, খোদ ধর্মকেই টার্গেট করে বলা। অর্থাৎ, আপনি যে কেবল অন্ধবিশ্বাসীদের টার্গেট করেই কথা বলেন দাবী করেন, তা সত্য না। বরং আপনার উদ্দেশ্য থাকে ধর্মের অসঙ্গতি তুলে ধরা, কথার ফাঁকে বাঁশ মারা। এবং অনেক ক্ষেত্রে নিজে থেকে যেচে গিয়েই। সুতরাং, কারো দ্বারা আক্রান্ত হলেই আক্রমন করছেন, আপনার এই দাবীও টেকে না।
নিচে কৌস্তুভ এক জায়গায় 'খানিক বিতর্কে'র অভিপ্রায়ে 'এই বিষয়ের' একটা পোস্ট আশা করছেন দেখলাম। তার প্রতি এবং আপনার প্রতি যথাযোগ্য সম্মান রেখেই জানাই, সচলায়তনের বয়স ৪ হতে চললো। 'এই বিষয়ে'র ওপর 'জোরালো বিতর্কে'র পথ ধরেই সচলায়তন তার অবস্থান নিশ্চিত করেছে এ ব্যাপারে। বিষয়টা এমন না যে প্রতি অমাবস্যা আর পূর্ণিমাতে নতুন যোগদান করা সচলদের সম্মানে একেকটা পোস্ট লিখে সেখানে খানিক বিতর্কের আয়োজন করতে হবে। সচলের মডুরা সেই শুরু থেকেই তো সচল হতে হলে সচলায়তনকে আত্মস্থ করার কথা বলে আসছেন।
প্রায় ৪ বছর আগের একটা পোস্টের লিংক দেখেন। পোস্ট পড়েন আর না পড়েন, কষ্ট করে মন্তব্যগুলো পড়েন। সচলায়তনের 'কিছুটা' হলেও হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হবেন। নীতিমালায় আপনার ভাষায় 'ধর্ম শব্দের উচ্চারণমাত্র উহা ধর্মের প্রতি আঘাত বিবেচিত হইবে' উল্লেখ না করলেও সচলায়তনের পরিষ্কার অবস্থান জানতে পারবেন।
যদি সবগুলো মন্তব্য পড়তে অনীহা হয় তাহলে আমি রিফ্রেজ করে দিচ্ছি, ধর্মের মুণ্ডুপাত করা কিংবা নাস্তিকতাকে প্রমোট করার জন্য সচলায়তনের জন্ম হয়নি। ধর্মের গুনগান বা প্রচার করার জন্যও সচলায়তন না। এইসব কাজের জন্য প্রচুর সাইট পাবেন। সচলায়তনকে এধরণের কাজে ব্যবহার করবেন না। ধন্যবাদ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এক এক করে বলি বস।
১। আপনার দেয়া দ্বিতীয় উদ্ধৃতিটা আংশিক। আমার লেখা পুরোটা ছিলো
প্রথম বোল্ড অংশটুকু না বললে অর্থটা পালটে যেতে পারে বস।
উপরের একটা কমেন্ট থেকে উদ্ধৃতিঃ
অন্য পোস্টে ধর্মকে সরাসরি আঘাত করা হয়েছে সেটা আমি অস্বীকার করিনি কোথাও। কিন্তু সেগুলো নিয়ে এই পোস্টে আলোচনার অর্থ আছে কি? সেগুলো নিয়ে কথা তো ওই পোস্টগুলোতেই হতে পারতো? - ওই কমেন্টগুলোর একটারও তো দেখি কোন উত্তর দেয়া হয়নি! এই পোস্টে ওই ধরনের বিতর্ক এড়াতে চাচ্ছিলাম বলেই - যেহেতু সেটা এই পোস্টের বা কমেন্টের মূল ব্যাপার নয় - এই পোস্টের কমেন্টে জেনারেলাইজেশন এড়িয়ে গিয়েছি।
আর একটা কথা বস, উপরের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, "এই লাইনের প্রথম মন্তব্য", "এই পোস্টের মন্তব্য" ইত্যাদি। সেগুলো কি করে আপনার চোখ এড়িয়ে গেলো বুঝছি না।
দুইটা জিনিস একটুখানি বলে নেই,
প্রথমতঃ আমি এই পোস্টের কমেন্টে অন্ধবিশ্বাসীদের কথা বলা হয়েছে বলেছি, অন্য পোস্টের কমেন্ট নিয়ে এই পোস্টে এর আগে মন্তব্য করিনি।
দ্বিতীয়তঃ ধর্মকে ক্রিটিসাইজ করা আর প্রতিটি ধার্মিককে ধরে ক্রিটিসাইজ করা এক নয়। ঠিক যেমন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করা মানে প্রতিটি নাগরিককে ধরে ধরে সমালোচনা করা নয়, তেমনি।
তবে বস, বাইরে থেকে উদ্ধৃতি যখন দিলেনই, তখন স্বীকার করেই নেই, আপনার সম্পর্কে আমার একটু ভুল ধারণা ছিলো - আমি ভাবছিলাম আপনি বোধহয় দুই একটা ব্যতিক্রম বাদ দিয়ে জেনারেলাইজেশনই সমর্থন করেন। ভুল ধারণাটার জন্য আমি খুবই লজ্জিত।
২। আপনার দেয়া চতুর্থ এবং পঞ্চম উদ্ধৃতি দুইটাই ছিলো দুইটা আলাদা কমেন্টের উত্তরে, সেই মূল কমেন্টগুলো কি ছিলো না বললে ব্যাপারটা আংশিক হয়ে যায় না? ওই মূল কমেন্ট দুইটার উত্তরে সচলায়তনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে কোন কমেন্ট চোখে পড়েনি আমার।
৩। আপনার দেয়া লিংকটা যাযাবর ব্যাকপ্যাকার ইতোমধ্যেই অন্য একটা কমেন্টে দিয়ে দিয়েছেন, এবং সেখান থেকেই বেশ কয়েকঘন্টা আগে পড়েছি, তারপরেও দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪।
ঠিক (এবং ধার্মিককে নয়, ধর্মকে টার্গেট করে বলা - সদরুদ্দী আর তার ভাইবেরাদরের কাকে উদ্দেশ্য করে চড়টা দেয়া হচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন?), এবং এই ক্ষেত্রে উপরেরই একটা কমেন্ট থেকে একটা উদ্ধৃতিঃ
এইবার একটু দয়া করে বলবেন? - কোন কমেন্টে কোন আস্ত ধর্মের সকল বিধান খারাপ এই কথাটা বলা হয়েছে? প্রত্যেকটাতেই তো দেখছি বিশেষ কয়েকটা ব্যাপার বলা হচ্ছে, সেগুলোও বলা যাবে না নাকি? "দু'চারটা ব্যতিক্রম বাদে ধার্মিকদের প্রত্যেকে অন্ধ", বা "সবাই অমুক" বা "সবাই তমুক" এই ধরনের মন্তব্য কোথাও করতে দেখেছেন আমাকে? দেখলে একটু জানাবেন বস, শুধরে নেবো।
৫। খুব সম্ভবতঃ একটা ক্ষেত্রে আমি আমার বক্তব্য বোঝাতে পারিনি। সচলায়তনে কেউ আমার গায়ে হামলে পড়ে ধর্ম শেখাচ্ছে না, কিন্তু সচলের বাইরে এই ধরনের ঘটনা নিয়মিতই ঘটে, এবং জন্ম থেকে ঘটে আসছে। সচলে যদি বাইরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কোনকিছু নিয়ে আসা না যায়, তাহলে ঠিক আছে, চিংড়িমাছ রান্না থেকে শুরু করে কৌস্তুভের এই পোস্টের অনেকের অনেকগুলো কমেন্ট পর্যন্ত সবকিছুই তাহলে মুছে ফেলা উচিত মনে হয়। দুঃখিত বস, আমি ডুয়াল আইডেন্টিটি নিয়ে ঘুরি না যে সচলে একরকম আর বাইরে আরেকরকম থাকতে পারবো। আর যদি বলেন যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কিছু কিছু নিয়ে আসা যাবে, তাহলে একটু কষ্ট করে একটা লিস্ট দিলে বাধিত হতাম। এখানে ঠিক পরিষ্কার কিছু পাচ্ছি না "ব্যক্তিগত অনুভূতি/অভিজ্ঞতার" ক্লাসিফিকেশনের ব্যাপারে।
৬। আমি ব্যক্তিগত জীবনে নামাজ রোজা করি কি না করি নিঃসন্দেহে সেটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক (অফটপিক ট্যাগে ছিলো), এবং একই কারণে
এই কথাটাও ব্যক্তিগতভাবে অপরিচিত কারো সম্পর্কে কতখানি প্রাসঙ্গিক হয় সেটা মনে হয় একবার একটু চিন্তা করে দেখলে পারেন বস (এটা অফটপিক ট্যাগে ছিলো না)। ওইগুলো আমার বলার কোন কারণ ছিলো না, সেগুলো চলে এসেছে শুধুমাত্র আপনার এই উক্তিটার উত্তরেই - এবং সেটাও কারো সহানুভূতি ইত্যাদি আদায় করার জন্য নয়, বরং ধর্মে অবিশ্বাসী না হয়েও সেটাকে ক্রিটিসাইজ করা যায়, এটা বোঝানোর জন্য।
৭।
এবং উত্তরে উপরের কমেন্ট থেকে আরেকখানা উদ্ধৃতিঃ
একই সাথে আমার ধারণা ছিলো মডারেশন বলে একটা জিনিস আছে নীতিমালার প্রয়োগ এবং সচলায়তনের মূলনীতি ঠিক রাখার জন্য! সেটা কি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে নাকি?
৮।এবং সবশেষে রিফ্রেজ করে বলি, ধর্মকে (সকল ধার্মিকদের নয়) আঘাত করলে যদি সকল ধার্মিকদের এতই গায়ে লাগে, তাহলে তাঁরা দয়া করে ধর্মটাকে একটুখানি সামলে নিলেই তো পারেন, যাতে সেটা কোথাও কাউকে আঘাত করে না বসে?
আবারও বলি বস, সদরুদ্দী যাকে তাকে যেখানে সেখানে যা খুশী তাই কারণে আক্রমণ করে বেড়াবে, আর তার গ্রামে সে উল্টো হামলার শিকার হলে সেটা তার নির্দোষ ভাই-বেরাদর ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেয় বলে কিছু বলা যাবে না, এটা মনে হয় একটুখানি বেশি চাওয়া হয়ে গেলো। সদরুদ্দীর ভাই বেরাদরের এত ইগোতে লাগলে তাদেরই উচিত সদরুদ্দীর আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা - তার উল্টোপাল্টা কর্মকান্ড তো ভাই বেরাদরেরও নাম ফাটায় (যদি তারা তার সব কিছু সমর্থন করে), তাই না?
এই পোস্টের মূল বক্তব্য থেকে আমরা অনেকটাই দূরে সরে এসেছি, এবং অদূর ভবিষ্যতে আপনার আর আমার একমত হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখছি না - আপনার কি মনে হয় আমরা অন্ততঃ এই পোস্টে এখানেই থামতে পারি? ভবিষ্যতে না হয় অন্য কোন কমেন্টের জের ধরে আবার শুরু করা যাবে?
হাসুম না কান্দুম বুঝতেছি না!
আমার ধারণা ছিলো আপনি বাংলা বুঝেন।
যাইহোক, ভালো থাকেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও বুঝতেসি না...
আমারো তাই ধারণা ছিলো বস...
আপনিও ভালো থাইকেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ব্যাপারটা বলতে ভুলে গেছি। সহাবস্থানকে প্রাধান্য দেয়া হয় বলেই উপরের প্রথম মন্তব্যটা 'বিশেষ দুইজন ব্যক্তি' সম্পর্কিত। গণহারে ওই দুই ধর্মের সকল সমর্থকের উদ্দেশ্যে নয়।
ওহ! আজ থেকে তাহলে মগবাজারিরা সচলে গলাবাজি করলে সেগুলোকে বরণ করে নেওয়া হবে সহাবস্থানের খাতিরে?
কিছু মনে করবে না। কথার মাঝে ঢুকতে চাই নি, কিন্তু আপনার হিপোক্রেসিসে পরিপূর্ণ মন্তব্যগুলো দেখে একটু অনধিকার চর্চা করলাম।
রায়হান আমিও একটু কথার মধ্যে ঢুকি, ধুগোদার বলা 'সহাবস্থান' আর মগবাজারিদের গলাবাজিকে মনে হয় এক কাতারে সামিল করাটা ঠিক না।
সচলায়তনে সহাবস্থানের আলাপ উঠে আসা একটা অনেক পুরানো পোস্ট সম্প্রতি দেখছিলাম, এইটার লিংকটা শেয়ার করতে মন চাইলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রায়হান আবীর, সচলায়তন শুরু থেকেই সচলায়তন। মদীনা ডট কম কিংবা ধর্মকারী/মুক্তমনা না। এই সত্যটা অনুধাবন করে পরবর্তী অনধিকার চর্চা করলে খুশী হবো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইদানীং সচলায়তনের এই চরিত্রটিকে বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কথায় কথায় সেদিন একজনকে মগবাজারী তকমাও দেয়া হলো। এসব দেখে আর ভালো লাগে না।
সাইবাবা একটা নিজের সৃষ্ট ধর্ম বেচছেন। সেই হিসাবে সেটাকে ব্যবচ্ছেদ করা হচ্ছে বলা যায়। এই কথাটা উপরে বললাম।
বাকি অংশটায় সহমত। আমার মনে হয়, বিভিন্ন পোস্টে এই সংক্রান্ত কথাবার্তা বারবার উঠে আসার বদলে এই বিষয়েরই একটা পোস্ট এসে খানিক বিতর্ক হলে ভাল হত হয়ত।
অ্যাগ্রিড।
তবে অন্য আলাদা পোস্টের দরকার আছে মনে করি না। তোমার পোস্টে প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষভাবে 'ধর্ম' এসেছে। আর একটা কথা থেকে অন্য কথার সূত্রপাত হবে, আলাপ হবে, সেটাই তো আলোচনা। বরং তোমার এই পোস্টের মন্তব্যগুলোতে অন্য অনেক সময়ের থেকে অনেক বেশি সংযত ও গঠনমূলকভাবে সেটা হয়ে এসেছে এতক্ষণ তাই মনে হলো আমার। আমার নিজের কথাগুলো সেই জন্যেই উপরে বললাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রতিটা লেখায় আপনি প্রচুর শ্রম দেন, খুব ভালো লাগে এজন্য।
দাদাগো, এই কথাটা যদি আমার পেপারের রিভিউয়ারগুলারে শোনানো যেত! যতই বদল করি কেবলই 'আরেকটু ভাল করে লেখ' বলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়...
যাক ভুক্তভোগি আরেকজন পাওয়া গেল
এইসব বালগুলারে ধাপ্পাবাজির অভিযোগে জেলে ভরে রাখা উচিত!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমাদের 'সেকুলার' দেশে সে কাজ করার কোনো আইন আছে কী? থাকার মধ্যে তো কেবল আছে কতগুলা ব্লাসফেমি আইন...
একটা ব্যাপার জানতে মন চাইলো, বাবা মুখ দিয়ে ডিম পাড়তেন কেনো?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বাবাই যে সাক্ষাৎ ঈশ্বর, সেটা প্রমাণ করতে অজস্র শিবলিঙ্গ ওঁর মুখ দিয়ে নির্গত হতেন...
সাইবাবা কি তাহলে শিবকে ব্লোজব দিয়ে বেড়াতো! এই কমেন্ত ব্লাসফেমির পর্যায়ে পড়বে নাকি কোন ধার্মিকের বয়ান হিসেবে ধরা হবে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই নিয়েই নিচে একটা কমেন্ট দিসি, দেখেন।
আমি নিজের অজ্ঞতা নিয়ে খানিক চিন্তিত... এই গুণী ব্যক্তি মারা যাবার আগে আমি এর অস্তিত্ব সম্পর্কে ওয়াকিফহাল ছিলাম না...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নাই চিনিলে আমায় তুমি...
ডুপ্লিখুব টেনশনে আছি কৌস্তুভ, আমার প্রিয় ম্যাজিশিয়ান ডেভিড কপারফিল্ড কিংবা ক্রিস এঞ্জেল যদি সাঁইবাবা হতে চায় তাহলে তো খবর আছে!
লেখাটা খুব খুবই ভালো হয়েছে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ রিটন ভাই।
অনেক তথ্যবহুল লেখা এবং এই ধরণের লেখা খুবই প্রয়োজন। আমাদের চারপাশে শত শত এরকম বাবারা বিরাজ করছেন। আর অলৌকিকতায় শিক্ষিত মানুষরাও বিশ্বাসী হয়ে ঝুঁকে পড়েছেন।
সাইবাবা সম্পর্কে ছোটবেলায় একটা পত্রিকায় প্রতিবেদন পড়েছিলাম, সেই থেকে তার নামটা জানি। মাঝে একবার ব্যাঙ্গালোর যেয়ে শুনেছিলাম তিনি একটা দাতব্য হাসপাতাল করেছেন। কিন্তু আফ্রিকায় যেয়ে হতবাক হয়েছি। মালাউইর প্রায় প্রতিটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার ছবি ঝুলানো। কি হিন্দু কি মুসলিম মালিক, প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই তার ছবি ঝুলানো। আর একটু কৌতুহলী হয়ে খোঁজ নিয়ে জানলাম যে এই গুজরাটিরা নিয়মিত তার আশ্রমে ডোনেশন পাঠায়। কেনিয়ার অনেক ইনডিয়ান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও সেই একই কেস।
একবার একটা বদ উদ্দেশ্য নিয়ে আটরশীতে গিয়েছিলাম। একরাত সেখানে ছিলাম এবং আমার পকেটমার হয়ে গিয়েছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি তো মেহেরযৌবনের একজন পরোক্ষ প্রযোজক দেখা যাচ্ছে
আমি সবসময়েই যৌবনবতীদের জন্যে কাতর সে মেহের হোক আর সেহের হোক।
গোমর ফাঁক করে দেই। বহুদিন আগে প্রতিবেশী এক জাকেরভক্ত পরিবারের এক সুন্দরী কন্যার জন্যে দিলে কিঞ্চিত এশক পয়দা হইছিলো। ওরসের সময় কন্যার বড়োভাই বললেন যে দ্যাখ ওরসে তো যাবো কিন্তু ছ্যামড়াগুলো মেয়েগুলোরে খুব ডিস্টার্ব করে। গতবছর এই নিয়ে অনেক কথা হইছিলো। তুই তো আর যাবি না কিন্তু ছ্যামড়াগুলারে একটু সালসা দিয়ে দিস যাতে এই কাজ আর না করে এইবার। আমি মহা উৎসাহের সাথে বললাম যে আমাদের মেয়েদের বাসে দিয়েন। কোনও ফাউলামতি হবে না।
কারণ কন্যা ওই বাসে ছিলেন!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
'কামিয়াব' হতে গেলে তো কিছু 'ফিকির' করতেই হয়... 'মেহনত' ছাড়া কি আর এসব জোটে?
ওই সুন্দরী কন্য কিন্তু আপনার ভার্সিটিমেট! ক্লাসমেট বা ব্যাচমেটও হয়ে বসতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অবাঙালিদের মধ্যে সাইবাবা খুবই বড় একটা ফেনোমেনন...
ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় একজনের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতাম। একসময় তিনি আমাদের গ্রুপের সবাইকে এক পীরের দরবারে দাওয়াত দিলেন। পিয়ার প্রেসারে গেলাম সেখানে।
প্রথম পর্ব হোলো জিকির। জানানো হোলো যদি ঠিকমতো জিকির করা হয় তাহলে বুকের মধ্যে আল্লাহ আল্লাহ ডাক শোনা যাবে। লোকজন জিকির করতে করতে হেঁচকি দিয়ে দেখি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। অবস্থা দেখে ঢোঁক গিলে দেখি আমার বুকের মধ্যে কোনো শব্দ শোনা যায় কিনা। যায় না।
পরে হুজুর বক্তৃতা দিলেন। খানাপিনা ছিলো কিনা মনে নাই। কিন্তু এক পর্যায়ে হুজুরের আর্শীবাদ পেলাম। বুকে হাত দিয়ে কি যেনো শপথ করতে হোলো।
বাইরে বেরিয়ে আমরা কয় বন্ধু হাসতে হাসতে শেষ। এই হাসাহাসির ফলাফল? দুদিন পর মাইক্রো ভাড়া করে পিকনিকে ঘুরতে গেলাম। ফেরার পথে ভাড়া গাড়ীর ড্রাইভারের কুমন্ত্রনায় গেলাম সংসদ ভবনে। আমরা ঘুরতে যাবার সময় গাড়ী ভেঙ্গে আমাদের সব কিছু নিয়ে গেলো। যদিও ড্রাইভারের কান্ড ছিলো সেটা, কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়েকজনের বদ্ধ ধারনা হোলো এটা হুজুরকে অমান্য করারই ফল।
তারপরেও কি দ্বীনের পথে আইলেন?
???
খুব ভালো লিখেছেন। কিন্তু আপনার পেট ভরা হিংসা প্রমানিত হয়ে গেছে।
সাই শব্দটা থাকলেই বেপদ হয়। দ্যাখেন--সাই-দাবাদী ডিমপড়া হুজুর। তার তেলেসমাতি পাউডারের মডেল ছিল মউ-দুদু। আবার দেলাওয়ার হোসাইন সাই-য়াদি। সাই করে সাউথখালির আদি রাজাকার। এর মধ্যে লালন সাই একটু যা ব্যতিক্রম। কিন্তু তার নামের শেষাংশ সাই-এর কল্যাণে মগবাজারী গ্রুপ ঠিকই তাঁকে কানার হাটবাজারে ফুকোসাহেবের লগে জঙ্গীবেপারী করার ধান্ধা করেছে। এরপর দিল সে গীত--মালাইকা আইটেম সংযোজন : ছাইয়া ছাইয়া।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
পাউডারের কথা মনে আছে। সায়েদাবাদের হুজুরের জ্যোতি হিমেল পাউডার
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বাবার চুল নিয়া কিছু লেখেননাই কেন? খবরে উনার ছবি দেইখা মনে করছিলাম যে কোন ব্রাজিলীয় ফুটবল তারকার ছবি
চুল নিয়ে আর কই কি, কোন হেয়ারস্টাইলিস্টের কাছে করানো খোঁজ নিতে হবে?
কলম্বিয়ার কার্লোস ভালদোরামা বাবার হেয়ারস্টাইল নকল করেছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হ
ঘ্যাচাং------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাবারে নিয়া একখান ডকু দেখছিলাম, কোন আম্রিকার পুলারে আদর করা নিয়া। তখন থেকেই চিনি। পরে মনে হয় আবার কোন হিডেন ক্যাম ভিড্যু বের হইছিল। যাই হোক, বাবার লীলা বোঝা ভার, কৌস্তুভদার পেপার পর্যন্ত আটকে দিচ্ছে! দাদা, বাবার চরণতলে আশ্রয় না নিলে কিচুই হবেনা গো...
পশ্চিমবঙ্গের সরকারী হাসপাতাল দেখি পুরোই বাংলাদেশের সরকারী হাসপাতালের মত
দিনকাল সত্যিই খুব খারাপ। আজকে বাবাকে নিয়ে পোস্ট দিলাম, আর আজকেই আমার জুনিয়রের বান্ধবী আমারে উদম ঠ্যাঙাইসে...
ধুর, তা হলেও তো হত! কিন্তু আমাদের সরকারি হাসপাতালে কী আর কোনো তন্ময়দা আছে?
এভাবে অকালে সকল শূণ্য করে চলে যাওয়াটা সাঁইবাঁবাঁর কিছুতেই উচিৎ হয়নি লেখা বরাবরেই মতই দারুণ হয়েছে
আপনার ঘাড়ে কি বাবার ভূত ভর করলো নাকি? নাঁকিঁ গঁলাঁয় কঁতা কঁন কেঁন?
আমোলোজা, কেবল ডুপ্লি!এ: আপনার মত অধার্মিক তেনার মহিমা বুঝবেন কী করে?
লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার দিলাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দিলেন বুঝি? ন্যান একঝুড়ি
মৃদুলভাইয়ের অনুরাগী আমার এক পাপিষ্ঠ বন্ধু বাবার উপর এই ছড়াটা বানিয়েছেঃ
বাবার মহান জাদুর ধারা –
মুখের ভিতর শিবের (___)...
"মুখ থেকে সোনার শিবলিঙ্গ সৃষ্টি করতে পারতেন। "
এটা পড়ে পাপিষ্ঠ আমার মনে এরকমই একটা ব্যাপার মনে হয়েছিল
আমরা সবাই পাপী আমাদের এই পাপের রাজত্বে
নইলে মোদের বাবা'র সনে মিলব কী স্বত্বে...
মানুষ যে কেন এই সব বাবাদের ভালু পায় বুঝে উঠতে পারি না। শচীনের কান্নাকাটি দেখে বিরক্ত বোধ করেছি। লেখায় যথারীতি
আর কেন? আফিম, দাদা, আফিম...
পারফেক্ট বিরিঞ্চিবাবা
অলমিতি বিস্তারেণ
তাই তো ভাবছিলাম, এতক্ষণেও কেউ বিরিঞ্চিবাবার নামটা আনছে না কেন?
দারূন লেখা। "কৌস্তুভ বাবার" জয় হোক
বাবারা সত্যই মহান, তাদের লীলা বোঝা দায়। তবে বাবাগিরি মারাত্মক লাভজনক পেশা। যদি চেহারাটা ফর্সা হতো (পীরবাবা হবার জন্য চেহারায় 'নূর' থাকা বাঞ্ছনিয়, যাদের শাকলে নূর নেই তাদের লোকে বাবা বলে বিশ্বাস করতে চায়না ) তাহলে আমিও বাবা হবার চেষ্টা নিতাম।
জিতা রহো বেটা!
ভাবছি আপনাদের জন্য নতুন ক্রীমের বিজনেস খুলব - 'ফেয়ার অ্যান্ড গডলি'...
পাপিষ্ঠ কৌস্তুভ। আমার খাজাবাবা ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বললো বলে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর যাই হোক সাঁইবাবা দুনিয়াতেই স্বর্গ ভোগ করে গেলেন ৷বুদ্ধিটা মন্দ নয় ৷
এমন অগণিত ভক্তসম্ভার যাঁর, তাঁর তো
"মানুষের মাঝেই স্বর্গ-নরক
মানুষেতে সুরাসুর"
মনে হবেই...
বাহ, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চুলের ব্যাপারটা নিয়ে বলা উচিত ছিলো। আরে সেই খবরের কাগজ ম্যাগাজিন এসব কী জিনিস সদ্য বুঝে ওঠার কালেই দেখি এক বিরাট গজরানো উলাঝুলা চুলওয়ালা লোকের ছবি, বড়রা কয়ে দিলেন সাঁইবাবা। সেই থেকে আমার কাছে সাঁইবাবা আর সেই বিশেষ স্টাইলের চুল একেবারে সমার্থক হয়ে গেল।
কিন্তু এই শিরডী, সত্য আর আরো যা আছে, এসব কী? ঘরানা? এটা কি কোনো বিশেষ সম্প্রদায়? আমার এক এক্স রুমমেট, সে ছিলো হায়দেরাবাদের মেয়ে, মেকানিকাল ইনজিনিয়ার ছিলো সে, সেই মেয়ে নিত্য সাঁইবাবার স্তোত্র পাঠ করতো। ওর ল্যাপটপ ভর্তি ছিলো সাঁইবাবার ছবি। এমনিতেও ছোটো বাঁধানো ছবি ছিলো, রোজ চিনি প্রসাদ দিয়ে পূজা দিতো তার সামনে। তবে সেই সাঁইবাবা বড়োচুলের নন, অন্যরকম দেখতে, বৃদ্ধ সাধুর মতন। ওর নিজস্ব বিশ্বাস নিয়ে আমি অবশ্য কোনো প্রশ্ন কোনোদিন করিনি। মাসছয়েক পরেই ও চলেও গেল দেশে। মাঝের থেকে চিনিপ্রসাদ লাভ হলো আমার।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঘরানা না, ইমেজ বলা উচিত বোধহয়। মনে হচ্ছে শিরডি আর সত্য সাই-এর পোষাক নিয়ে কিছু বলা উচিত ছিল পোস্টে, বিশেষ করে এই বাবার 'কেয়ারফুলি কেয়ারলেস' সাজপোষাক আর ভালদেরামার মত হেয়ারস্টাইল নিয়ে...
নিন, একটুখানি জুড়ে দিলাম পোস্টে... আর কিছু উল্লেখযোগ্য আছে?
গত কিছুকাল ধরে ইনডিয়ার এক ব্রেসলেট বাবার বিজ্ঞাপন দেখি। উনি ফ্রঞ্চাইজ-ও দ্যায়। এস.পি. বালাসুব্রক্ষমানিয়াম থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন, শচীন টেণ্ডুলকার, আরও নামী দামী অনেকে, সবাই সেই বিজ্ঞাপনের মডেল।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এইটা কেডায়? খুইল্যা কন।
বাবাজীর নামখানা ঠিক মনে করতে পারতেছি না। তবে সানন্দায় (সম্ভবত) নিয়মিত বাবাজীর বিজ্ঞাপন আসে। নিজে দেখেছি। নামটা মনে করতে পারলে জানাবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি এত ব্যস্ততার মাঝেও সানন্দা দেখেন?
আমি আসলে সানন্দার রেগুলার পাঠক না, আমার বাসায় রেগুলার পড়ে। আম্মা আর আমাদের তিন ভাইয়ের স্ত্রীরা সানন্দার বিরাট ফ্যান। মাঝে মাঝে আমার স্ত্রী শব্দছক পুরন করতে গিয়ে আটকে গেলে আমি হেল্প করতে যাই। ওই চাঞ্চেই পড়া হয়ে যায়।
অপর্ণা সেনরে খুব ভালু পাই আর কল্যাণ রায়মশাইরে দেখে হিংসায় জ্বলি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমি তসলিমা নাসরীনকে পছন্দ করিনা কিন্তু তার সাইবাবা নিয়ে কথাগুলো ভাল্লাগছে।
দুনিয়ায় ভন্ডের অভাব নেই, কী আর করা।
লেখায়
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ।
তসলিমা টুইটারে সে সময় এইধরনের বেশ কিছু কথাই টুইট বা রিটুইট করেছিলেন। একটা ঘোটালা পাকাবার লোভে টাইমস সেটাকে সেনশেনলাইজ করে। যেমন রুশদি বা হুসেনের বেলাতেও অনেকে করেছে।
তসলিমার গদ্যের গুণগ্রাহী আমিও তেমন একটা নই। তবে পোস্টের ফোকাস যাতে তসলিমা-সংক্রান্ত ভালোমন্দ আলোচনায় না চলে যায় তার চেষ্টা করতে হয়েছে।
বাবা আমার দুষ্টু ভীষণ...
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তা বললে কি হয়? উনি হলেন দয়াল বাবা, ভক্তদের কলা নিয়ে খেলা করেন...
আম জনতাকে নিয়া বড্ড বিপদ।
লেখা
আসর কাঁপাবে কি কাঁপাবে না তা নির্ভর করে "কে" এবং "কোথায়" প্রশ্নের উপর।
যেমন ধরুন, সাঁই বাবা শরীরে আগে থেকে লুকিয়ে রাখা ডিম বের করেন। ভক্তরা মুগ্ধ হয়ে বাবার পায়ে গড়াগড়ি দেয়। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ রাজাকারের পুটকিতে প্রতিনিয়ত টনকে টন কাঁচা-আধা সেদ্ধ-হার্ড বয়েলড ডিম ঢুকাচ্ছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পাবলিক কিন্তু গ্রেপ্তারকৃত রাজাকারদের ডিম ভক্ষণের ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না? কারণ একটাই - ডিমগুলো যদি সাঁইবাবার পুটকিতে ঢুকতো তাহলে পাবলিক মুগ্ধ হত। সুতারাং, "কে" কাজ করছে সেটা অতি গুরুত্বপূর্ণ।
আবার যেমন ধরুন, কমপক্ষে তিন বিলিওন মানুষ দু পায়ের ফাঁকে একটা করে নেংটু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ মুগ্ধ হচ্ছে না! কিন্তু বাবার মুখে যখন নেংটু দেখা যায় তখন মানুষ মুগ্ধ হয়। কেন মুগ্ধ হয়? কারণ একটাই - "কোথায়" নেংটু গজাচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কার নেংটু তার খবর কে রাখে?
আরে! 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
নতুন মন্তব্য করুন