... গল্প শোনার পালা এখন, নিঝুম নিশিরাতে...
সুর’বালিকা আবদার করেছে, তাকে সত্যি ভূতের গল্প শোনাতে হবে। আমি কোন অসাবধানে বলে ফেলেছিলাম, আমার দিদা খুব ভালো ভূতের গল্প বলতেন, পরিচিতজনদের জীবনের নানা ঘটনা থেকে নিয়ে... আর নিঝুম রাতে চাঁদের আলোয় তাঁর একটা গল্প ছিল নিজের জীবনের। কিন্তু ঘুরঘুট্টি রাত্রিবেলা দিদাকে পাশে নিয়ে শুয়ে দারুণ কন্ঠভঙ্গিতে যেসব গা-ছমছমে গল্প শুনতাম, সেই পরিবেশ না পেলে কি আর গল্প জমাতে পারব? এমনিতেই গল্প লেখা আমার তেমন জমে না, অনেকদিন আগে একটা অমন গল্প লিখতে গিয়ে শেষমেষ পাঠককে সন্তুষ্ট করতে পারিও নি। তাও, একটা চেষ্টা নিলাম। পাঠকেরা নিজ দায়িত্বে অর্থাৎ ঘরের আলো নিভিয়ে পেছনে যথাযথ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যেমন দরজার ধীরে ধীরে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ দিয়ে পড়বেন।
তখন অল্প কয়েক বছর হল ভারত স্বাধীন হয়েছে। আমার দাদু দূর বীরভূমের রামপুরহাট শহরে স্কুলে মাস্টারি করেন। মেজোমামার – নাম দেওয়া হল অরুণ – বয়স তখন মাত্রই মাসকয়েক। সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে দিদা কলকাতায় বাপের বাড়ি আছেন। বাসাবাড়িটা উত্তর কলকাতায়, শিয়ালদা’তে। শিয়ালদা হল কলকাতার প্রাচীন বসতি অঞ্চল। পুরোনো কলকাতা মানেই অসংখ্য গলি আর তার ধারে পুরোনো পুরোনো জীর্ণদশার বাড়ি। এই বাড়িটা অবশ্য তখন খুব পুরোনো হয়ে যায়নি। দিদার বাবা কলকাতায় এসে চাকরির রোজগারে আস্তে আস্তে এই বাড়িটা তৈরী করেছিলেন। বাড়ির ছাদে উঠে বেশ শহর দেখা যেত।
গলিটার নাম ডিক্সন লেন। সরু, আঁকাবাঁকা গলি দুপাশে দুই-তিনতলা উঁচু উঁচু বাড়ি নিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে চলে যায়। অল্প দূরেই সার্পেনটাইন লেন। নাম শুনেই এধরনের গলির চরিত্র বুঝে নেওয়া যায়। সব বাড়িতেই একটুখানি রোয়াক। আর বাড়িগুলো খুবই গায়ে-গায়ে। যে একহাত ফাঁকটুকু না দিলেই নয়, কেবল সেটুকুই দূরত্ব পরষ্পরের মধ্যে।
এই অঞ্চলটা হিন্দু পাড়া। একটু দূরেই রাজাবাজার হল মহমেডান এরিয়া। আগে এরকমটা ছিল না। কম-বেশি হলেও সব পাড়াতেই হিন্দু-মুসলমান বাসা করে থাকত। ওই দাঙ্গাটা সব কিছু পালটে দিয়ে গেছে। প্রতিবেশী এক ঘর মুসলমানকে দিদার বাবা প্রথম দিন বাড়ির কোনায় লুকিয়ে রেখে দ্বিতীয় দিন রাত্রে রাজাবাজার যাওয়ার একটা নিরাপদ গলি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম রাত্রেই যেন কীভাবে খোঁজ পেয়ে তাদের কাটতে বাসার দরজায় একদল লোক এসেছিল। তবে নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ যে তাদের মুখের উপর মিথ্যা বলবেন এতটা অবিশ্বাস তারা করেনি। দোতলার ঘরগুলো না খুঁজেই তারা চলে গিয়েছিল। সেই থেকে সাফসুতরো ডিক্সন লেন হয়ে রয়েছে হিন্দু পাড়া।
সেই সময় একদিন গরমকালের রাত্রিবেলা। বাড়ির সবার খাওয়া হয়ে গেছে, বাড়ির মেয়েরাও খেয়ে রান্নাঘর পরিষ্কার করে শুয়ে পড়েছে। সেই আমলের সব বাড়ির মতই মাঝখানে বড় উঠোন, লাগোয়া কলতলা আর রান্নাঘর। উঠোনার এক পাশ দিয়ে টানা বারান্দা। তারই শেষে, একতলারই কোনার একটা ঘরে দিদা তাঁর ছেলেকে নিয়ে শুয়েছেন। ছেলেটার খুব শরীর খারাপ। টাইফয়েড। ডাক্তাররাও ভরসা দিতে পারছেন না। রাতটাই কাটে কি কাটে না। রোগীর জন্য তাই পূর্বদিকের একটা ঘর দেওয়া হয়েছে, তাতে দুটো জানলা। জানলার পরে ওই হাতখানেক ফাঁক, তার পরেই পাশের বাড়ি। সে বাড়ির উল্টোদিকের ঘরটাতেও অবশ্য এক মরণাপন্ন বৃদ্ধা থাকেন। তবে ওই বাড়িটা একতলা, তাই খানিক হাওয়া-বাতাস আসে।
সেদিন অবশ্য একটুও হাওয়া নেই। গুমোট গরম। দিদা জেগে বসে অসুস্থ শিশুকে হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করছেন। এমনিতেই বা এমন পরিস্থতিতে কি মায়ের ঘুম আসে। সেদিন আবার পূর্ণিমা। মাঝরাত্তির, চাঁদও তাই আকাশে প্রায় মাঝামাঝি। একতলার ছাদ ছাড়িয়ে তাই জানলা দিয়ে খানিকটা আলো আসছে। জানলায় লম্বা লম্বা লোহার গরাদ, সিমেন্টের মেঝেতে তাদের সমান্তরাল ছায়া। জানলার বাইরে কিন্তু চোখ চলে না, পাশের বাড়ির দেওয়ালে ছায়ায় নিরেট অন্ধকার। রাত অনেক হল। অন্যান্য ঘরেতে বাড়ির সবাই হাতপাখা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
দিদা একটু করে পাখা করছেন, আর একটু করে চোখ ঢুলে আসছে। জানলা দিয়ে তাই এমনিই বাইরের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আছেন। এমন সময় মনে হল, জানলার বাইরে যেন কী নড়ে। তাকিয়ে মনে হল, লোহার যেন একটা কিছু। বাতাসে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে। তারপর সেটা জানলার বেশ কাছে চলে এল। মনে হল লোহার একটা বড়’মতন চকচকে গোলক। চাঁদের আলোয় বেশ দেখা যাচ্ছে। যেন উদ্দেশ্যহীন ভাবে গলিটায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দিদার মনে হল, পাড়ার কোনো দুষ্টু ছেলের কাজ হয়ত। কাছে গিয়ে এক ধমক দেওয়ার জন্য বিছানা থেকে নামতে গেলেন।
এমন সময় সেটা জানলা গলিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ল। জানলার সামনেই চাঁদের আলোয় সেটা ভেসে বেড়াতে লাগল, যেন ঘরের কোন দিকে যাবে চিন্তা করছে। কাছ থেকে চাঁদের আলোয় দেখা গেল, বেশ ফুটখানেকের বড় একটা চকচকে ধাতব গোলক। গোলকেতে উঁচুনিচু কিছু বোঝা যায় না, তবে দিদার মনে হল, সেটা যেন একটা বড় মাথার মত লাগে। একটু ভয় পেয়ে পিছিয়ে এলেন।
সেই সময় সেটা হঠাৎই ঘরের মাঝখানে খাটের উপর যেখানে মামাকে শোয়ানো আছে সেখানে ভেসে চলে এল। মামার মাথার উপর এসে এক পলকে স্থির হয়ে রইল। জানলার সামনেটুকু ছাড়া ঘরের বাকিটা অন্ধকার, আবছায়ায় অবয়বটুকু দেখা যায় মাত্র। যেটাকে একটা কাটা মাথার মত মনে হয়েছে, তাকে হঠাৎ ছেলের মাথার উপর চলে আসতে দেখে দিদা খুব ভয় পেয়ে গেলেন। দারুণ ভয়। হাত থেকে পাখাটা পড়ে গেল। চিৎকার করে মা’কে ডেকে উঠলেন।
এই আওয়াজে খুব দ্রুতই জিনিসটা অন্য জানলাটা দিয়ে ভেসে বেরিয়ে গেল। জানলার বাইরে অন্য বাড়ির ছায়ায় আর কিছু দেখা যায় না, তবুও মনে হল সেটা যেন সোজা উলটো দিকের ঘরটার জানলাতেই ঢুকে পড়ল। ততক্ষণে বাড়ির সবাই ধড়ফড় করে জেগে উঠেছে। পাশের ঘরেই থাকেন দিদার এক ভাই, তার বউই এই আকুল চিৎকার শুনে প্রথমে ছুটে ঘরে ঢুকলেন। তখন অবশ্য আশপাশে আর কিছুরই চিহ্নমাত্র নেই। সবাই বোঝাল, এ কেবল চোখের ভুল। বাকি রাতটা দুজনে দিদার মায়ের ঘরে গিয়ে শুলেন।
সকাল হতেই দেখা গেল, মামার অসুখ প্রায় অনেকটাই সুস্থ। একজন বড় ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়েছিল, এসে তাঁর বিশেষ কিছুই করার থাকল না। অনেকে দিদাকে প্রবোধ দিতে লাগল, এইরকম উদ্বেগের সময়ে ওটা নিশ্চয়ই মনের ভুল ছিল, গরাদওয়ালা জানলা দিয়ে কি অত বড় একটা গোলক কখনও ঢুকতে পারে? না একটা লোহার গোলক ওভাবে ভেসে বেড়াতে পারে?
এর মধ্যে পাশের বাড়ি থেকে এল খবর, কাল মাঝরাত্রেই ওই বৃদ্ধা ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন। তখন এক বয়স্কা মহিলার কথা সবাই সমর্থন করলেন – কাল রাত্রে ওটা তবে ছিল যমদূত – বুড়িকে নিতে এসে অসুস্থ দেখে ভুল করে অরুণের কাছে চলে এসেছিল। বড় বাঁচা বেঁচে গেছে...
মন্তব্য
বাহ! চমৎকার গল্প!
আর আপনার লেখার ভঙ্গীও লা-জবাব।
খুব ভালো
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
শ্রোতা খুশি হলেই আমিও খুশি
তা বলছিলাম কি, এমনিতে আমি চা-কফি খাইনা, তবে শ্রান্ত কথকের পক্ষে 'দুনিয়ার সেরা চা-বানিয়ে'র সৃষ্ট এক কাপ পেলে খুবই কাজে দিত...
গল্প
যমদূতও কি ইদানিং হেলমেট পরে আসে নাকি? এই রীতি নির্ঘাত সেই হনুমান যমের ঘাড়ে পর্বত বসিয়ে দেয়ার পরে হয়েছে।
তবে আসল ভূতগুলোর বর্ণনা তো প্রথম দিকের প্যারায় দিয়েছেন।
খুলনাবাসের চার বছরের দুই বছর একটা বাড়িতে থাকতাম, মিউনিসিপ্যাল এরিয়ার শেষ বাড়ি - এমনিতেই খুলনার কিছু জায়গায় বাড়িগুলো খুব ছাড়াছাড়া, এটারও ধারে কাছে আর কোন বাড়ি ছিলো না। বাড়ির পরে একটা জঙ্গলমত, তার পাশে একটা কবরস্থান, তার পরে বিশাল খোলা মাঠ - দিনের বেলায়ও গা ছমছমে অবস্থা। বাড়িটা দোতলা, আর তিনতলায় একটাই রুম, সাথে একটা কিচেন আর টয়লেট, বাকি অংশ খোলা ছাদ। সেই রুমে থাকতাম।
অনেকগুলো দিন মাঝরাতে ওই ছাদে হাঁটাহাঁটি করেছি পেত্নী-শাঁকচুন্নী ইত্যাদির সাথে দেখা করার আশায়, দুই একদিন সারারাত একা ছাদে বসেও কাটিয়েছি, যদি তেনারা আসেন - বোঝেনই তো, নিঃসঙ্গ মানুষ, তাইতে ওই সময় বয়সটাও ছিলো... ইয়ে মানে...ঠিক বোঝাতে পারছি না। কিন্তু পেত্নীরাও কপালপোড়াদের এড়িয়ে চলে (দীর্ঘশ্বাস)...
কমেন্টে ।
মানুষজন আজকাল ভূতটুত যম-টম কিছু মানে না... তাদের তাই হেলমেট কেন লোহার জাঙ্গিয়া পরারও দরকার হতে পারে...
ভূতটুত দেখার চেষ্টা আমরাও কত করেছি। কিন্তু কোথায় কি! একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন অবশ্য, ব্লাডি মেরী যদি আপনার ডাকে দেখা দিয়ে যান...
কেন এই ব্লাডি মেরীতে হবে না ?
****************************************
বোঝো! অবশ ওই ব্লাডি মেরী'র পাল্লায় পড়লে কিছুক্ষণ পর ছাগলকেও সালমাহায়েক বলে ভুল হতে পারে, অতএব ভূতপেত্নীর দেখা পাওয়া কিছুই বিচিত্র নয়...
আজকে আলো জ্বেলে ঘুমাবো।
আজ রাত্রে লোডশেডিং হবে...
আমিতো ভাবলাম আপনি ফ্লাইং সকারের গল্প লেখা শুরু করলেন কেন? ট্যাগেতো সাই-ফাই লেখা নেই পরে দেখলাম আরে এ-তো রোবোটিক ভূত।
গল্পের বর্ণনাভঙ্গীটা চমৎকার লেগেছে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
কী মুশকিল, ধাতব হলেই কি তাকে রোবোটিক হতে হবে নাকি?
গপ্পো ভাল্লাগলো!
'থোতো' হলেও আমার কিন্তু ভূতের ভয় নেই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যাঃ, তাহলে ভয় দেখানো যায় কী দিয়ে?
আজকাল তো ভয় বেশী মানুষকেই...
ভূতকে ভয় না পাওয়া মানুষকে ভয় দেখানোর একটা খুব সোজা উপায় আছে।
প্রথমে নাকের ডগায় একটা চশমা আঁটুন। গোঁফ তো আপনার আছেই, সাথে দাড়ি গজালে ভালো হয় - সেগুলোতে সাদা কি ধূসর রং করুন - চেহারাখানা হবে অনেকটা রবীন্দ্রনাথ কি আইনস্টাইনের মত, মাথার মাঝখানে চেঁছে অথবা পরচুলা ইত্যাদি দিয়ে একটা চকচকে টাক বানান। একটা চাদর ভালোমত পেঁচিয়ে গায়ে জড়ান। এক গ্লাস চিরতার পানি ঢকঢক করে খেয়ে নিন, সঠিক মুড আনতে কাজে দেবে। তারপরে গ্যাঁট হয়ে বসে একখানা লেকচার ঝেড়ে দিন - এই টেমপ্লেটে -
বলছিলাম কি, বস্তুপিণ্ড সুক্ষ্ম হতে স্থূলেতে
অর্থাত্ কিনা লাগছে ঠেলা পঞ্চভূতের মূলেতে—
গোড়ায় তবে দেখতে হবে কোত্থেকে আর কি ক’রে,
রস জমে ওই প্রপঞ্চময় বিশ্বতরুর শিকড়ে।
(#সুকুমার রায়, কাব্যের নাম মনে নেই)
ব্যস, দেখবেন ভয় পাওয়া কাকে বলে, এক দন্ডেই পগারপার হয়ে যাবে!
লুকজন খুব খ্রাপ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এক্কেবারে! এইরকম খ্রাপ লুকজনকেই ত আবার শখ করে গল্প উৎসর্গ করেছেন! গাবলুকে খবর দেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা হবে...
আরশোলা, টিকটিকি, কেঁচো, ব্যাঙ?
কাম সারছে! ভূতে আমার ডর নেই, কিন্তু ভূতের গল্পে আছে! এখন কী হবে রে পাপিষ্ঠ কৌস্তুভ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এবার একটা শিবামুখী চিমটে নিয়ে পিশাচসিদ্ধ হয়ে যান। বেশ সুবিধাজনক।
গল্পের গোলকটা আমার মনে হয় প্রোফেসর শঙ্কুর সেই মাইক্রো-প্ল্যানেট ছিল। গিরিডিতে যাওয়ার পথে ভুল করে আপনার দিদার ঘরে ঢুকে পড়েছিল।
****************************************
সেইটা তো ঋতুতে ঋতুতে রঙ বদলাতো!
রাপু খাংপা
কুংথে
দুর্দান্ত!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হেঁহেঁ... আপনার বেড়াল-ভূত কই?
ভূতের গল্প লিখুন না আরও! ভূতের গল্পের সংকট অনুভব করি।
এগুলো তো ঠিক গল্প না দিদি, শোনা গল্প যেগুলো সত্যি বলে দাবি করা। ভালো জম্পেশ ভূতের গল্প আর লিখতে পারি কই। তাও ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন