সেটা ‘আর্লি নাইন্টিজ’, কলকাতার ভিআইপি রোডের তখন কিশোর বয়স, আর বয়সোচিত মাখনের মত ত্বক। বরিশালে আমাদের দ্যাশের বাড়ি থেকে এক কাকা এলো বেড়াতে, বাবা তাকে স্কুটারে করে ওই রাস্তায় একপাক ঘুরিয়ে আনার পর মন্তব্য এসেছিল, “Zhaকুনি লাগে!”
বাবা চমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তাদের গ্রামের দিকের রাস্তা, এমন কী ভালো অবস্থা যে এখানেও ঝাঁকুনি মনে হয়? ওই কাকা ঘোষণা দিয়েছিল, তাদের দিকের সড়ক এসে দেখে যেতে, তাতে নাকি মাছি পিছলে যায়।
**********************
কলকাতা-বনগাঁ-পেট্রাপোল-বেনাপোল-খুলনা-পিরোজপুর পথশেষে সন্ধ্যায় হোটেলে পৌঁছানোর পর তাকে খুঁজে এনে ‘মিথ্যাবাদী কলারকাঁদি” ছড়া শোনাতে ইচ্ছা করছিল। সত্যি বলতে, গ্রামে একটা আর ঢাকায় দুটো দিন খুবই ভালো কাটিয়েছি। কিন্তু ওই সমান পরিমাণ – তিনটে দিনই – যাতায়াতে প্রচুর হ্যাপার মধ্যে পুরো নষ্ট হয়েছে।
আর রাস্তার অবস্থা বেশ ইয়ে বলেই আরো কষ্ট – কখনও বাস এমন টলতে থাকে মনে হয় হস্তীপৃষ্টে সওয়ার হয়েছি, কখনও টিনের বাক্সের মত কলকাতার হিসাবে মিনি-মিনি-বাসে আধখানা বটম ঠেকিয়ে ঘন্টাদুতিন পার করেছি লাগেজসমেত, আবার রাস্তার ধুলোকাদাপানেরপিকথুতুকফে চন্দনচর্চিত হয়েছি, গোয়ালন্দ-আরিচাঘাটে আড়াই ঘন্টা দুপুররোদে অনাদি-অনন্ত লাইনে বাসের মধ্যে বসে বসে ধুলো খেয়েছি।
আবার কিছু বাংলাদেশ (হয়তো পুরো তৃতীয়বিশ্ব) স্পেশাল হ্যাপায় পড়ে দুদফায় ঘন্টাখানেক লেট খেয়েছি – পিরোজপুর থেকে বাস ছাড়ার সময় বাস গুমটি থেকে বেরিয়েই রাস্তার ধারে চুপটি করে পড়ে রইল, ‘সুপারভাইজার’ কাকে ফোনে কেবলই কাকুতিমিনতি করে তাড়াতাড়ি আসার জন্য। বসে থাকতে থাকতে আমি একটু ঢুলে পড়েছিলুম, তাই কোন মহামান্যরা উঠলেন সেটা আর দেখতে পাই নি।
আধঘন্টা পর বাস বাগেরহাটে হল্ট দিল, সেখান থেকে বাস ছাড়ার সময়ও দেখি একই কাণ্ড। ওই একই ব্যক্তি নাকি বড়কাজ করতে গিয়েছেন, আর সবাই ড্রাইভারকে, সুপারভাইজারকে, সেই লোকের বউকে দুকথা শোনাচ্ছে বিরক্ত হয়ে। ড্রাইভারও বিরক্ত হয়ে বলে ফেলল, “আধঘন্টা আগেই তো এত দেরি করে এলেন, হাগামোতাটা সেরে আসতে পারলেন না?” আর সেই বউ সমানে গ্রাম্য খনখনে গলায় তারস্বরে ঝগড়া চালিয়েই যাচ্ছে। এক কোটপরা ভদ্রলোক বাসে উঠে তাকে একটু বলতে গেলেন, “আপনার তো উচিত ছিল ভদ্রতা করে নেমে যাওয়া! আমাদের ঢাকায় আর্জেন্ট কাজ আছে, আপনার একার জন্য সারা বাসের মানুষ অপেক্ষা করবে?” মহিলা তখনই বলল, “দেখাক দিকি ড্রাইভার, কেমন আমাদের ফেলে বাস চালাতে পারে!”
ইত্যাদি চলতেই যে মূর্তি বাসে উঠে এল, সে কলকাত্তাইয়া ভাষায় পুরোই ‘লক্কা পায়রা’। অনেকে কাজের প্রয়োজনে কোট পরে বটে, কিন্তু বাংলাদেশে অনেক লোকই খামোকাই স্ট্যাটাস সিম্বল হিসাবে একটা কোট চাপিয়ে রাখে বলে আমার মনে হয়েছে। এ ছোকরারও গায়ে টকটকে লাল টিশার্টের উপরে একটা ধূসরমত কোট, আর চোখে একটা গোগোচশমা টাইপের ধ্যাবড়া সানগ্লাস। সে উঠেই খুব তড়পানি আরম্ভ করল। কারা তার মাসুম হাতিমার্কা বউয়ের সাথে ছেড়ছাড়ি করেছে, তাদের একলেজ দেখে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমেই ওই যাত্রীটিকে হুমকির স্বরে জিজ্ঞাসা করল, “বাড়ি কোথায়?” ‘বাগেরহাট’ শুনতেই ফোনে নির্দেশ চলে গেল, ‘ওই, অমুক চেহারার লোক, বাগেরহাটে বাড়ি, একবার খোঁজ নে দিকি, কোথায় থাকে, তারপর দেখছি...’
শান্তটান্ত করে গাড়ি ছাড়ল, সুপারভাইজার গাড়ির পেছনদিকটায় এসে চুপিসাড়ে বলে গেল, ‘ভাইরা, কী করব বলুন, ওই মহিলা যে এক এমপি’র বোন!”
আচ্ছা, শুরুতেই তেতো খাইয়ে দোষ কাটিয়ে নিলাম, এবার বেড়ানোর গল্প শুরু করি।
**********************
পরদিন সকালে গ্রামের বাড়ি খুঁজে পেতে বেশ একটু সমস্যা হল। আসলে কাকাদের কারো ফোন নম্বর ছিল না, আর গ্রামে তো পথঠিকানাও থাকে না। কাকাদের নাম, আর প্রতিবেশীর নাম দিয়ে রিক্সাওয়ালাদের কাছে খোঁজ দেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু সেই প্রতিবেশী যে বাসা বদলে অন্য জায়গায় চলে গেছে সেটা তো জানা নেই, তাই ঠিকানা পুরোই ঘুলিয়ে যাচ্ছিল। শেষে এক বয়স্ক রিক্সাওয়ালা চেনে বলে দাবি করল, সে নাকি আগে হিন্দুই ছিল, কাকার পরিবারের সঙ্গে নাকি তার খুব আলাপ। আরেকটা সমস্যা হয়েছিল, তারা যেহেতু গোঁসাই মানে দীক্ষাটীক্ষা দেয়, তাদেরকে লোকে চেনে ‘ঠাকুর’ পদবীতে, অধিকারী পদবীতে নয়। যাহোক, সে নিয়ে গেল, চিনতে একটু সময় লাগলেও প্রচুর আদরযত্ন হল, সদ্যপাড়া ডাব, পুকুরে তখুনি ধরে তখুনি কেটে একঘন্টায় বানিয়ে ফেলা মাছের ঝোল, ক্ষেতের চালের ভাত, ইত্যাদি ইত্যাদি। কলকাতার বাঙালরা যে চিরকালই বলে, “আমাগো দ্যাশ, সে যে কী আছিল...” সেটা একবার সত্যিই নিজেচোখে দেখা গেল।
একটা ক্লাস থ্রি-র ভাই ছিল যে নাকি ঘাড়েব্যাথার জন্য সেদিন ইস্কুল যায়নি, আমাদের দেখে আনন্দের চোটে তক্ষুণি আমলকি আর চালতা গাছে উঠে পেড়ে নিয়ে এল, তাই দিয়ে ডালও হয়ে গেল। বাবারও দেখি প্রায় চল্লিশ বছর পরে গিয়ে ভারি আনন্দ। আমারও মনটা ভারি খুশিই ছিল, কিন্তু পরপর দুখানা দুর্দান্ত ট্র্যাডেজি বাবা (পরোক্ষে) ঘটিয়ে ফেললেন।
আমি বলেছিলাম, টিউবওয়েলের জলেই হবে, কেনা জল লাগবে না। কিন্তু আমার আম্রিকাবাসী ইমিউনিটিকে ভরসা না করে বাবা একবোতল জল কিনে রেখেছিলেন। আমার ক্যামেরার ব্যাগ আর জলের প্লাস্টিক ঘরে পাশাপাশি রেখে আমরা উঠোনে এসে বসেছিলাম, আমি ক্যামেরা হাতে অনেক ছবিটবি তুলছি। এমন সময় ছোটকাকিমা হাঁক দিলেন, “ওই, তোমার ব্যাগ দিয়ে জল পড়ে কেন?”
ছুট্টে গিয়ে দেখলাম, কে যেন যত্ন করে ব্যাগদুটোকে খাটে তুলে রেখেছে, কিন্তু জলের প্লাস্টিকটাকে আমার ব্যাগের মধ্যে, আর বোতল উলটে পুরো ব্যাগ ভর্তি। হইহই করে বাইরে নিয়ে এসে ব্যাগ উল্টালাম, ছড়ছড় করে বদনার মত পানি পড়তেই থাকল পড়তেই থাকল। ৫০মিমি লেন্সটা একটা প্লাস্টিকে থাকলেও দেখলাম জলটল ভালোই লেগেছে, রিঙের ফাঁকেও ঢুকে পড়েছে। লেন্স ফিল্টার ব্যাগ পাউচ সবই বাইরে শুকাতে দিলাম, আর চার্জারটা তো পুরো জলে ভাসছিল, ওটা গেছে বলেই ধরে নিলাম। হাতে কর্মক্ষম রইল স্রেফ ক্যামেরাটা।
তাও আমরা খেলছি, বাইরে মাটির উঠোনে প্লাস্টিকের পাতলা চেয়ারে বসে বাবা-কাকা সবাই গল্পগুজব করছে, বাবা ক্যামেরাটা নিয়ে বাসাবাড়ী ঠাকুরঘর আমাদের খেলার ছবি টুকটাক তুলছে। হঠাৎ শুনি গেল গেল রব। ছুটে গিয়ে দেখি, থাকতে থাকতে হঠাৎ বাবার চেয়ারখানা স্কি-র মত মসৃণভাবে স্কিড করে উলটে গেছে। বাবা মাটির উপর ভজগৌরাঙ্গ স্টাইলে উলটে পড়ে আছেন দুহাত ছড়িয়ে। অবস্থা দেখে এটুক বোঝা যাচ্ছে যে লাগেনি। কিন্তু বাবার কোলে থাকা আমার ক্যামেরাটা তখনই পিছনদিকে উড়ে গিয়ে এক কাদার স্তূপে পড়ে অন্তর্হিতপ্রায়। (উদ্ধার করে দেখা গেল, লেন্সক্যাপটা তুবড়ে ফিল্টারের মধ্যে ঢুকে দুটোয় আটকে গেছে, আর ফোকাসের রিংটা হলহলে হয়ে গেছে।) হায় হায়, আমার আমও গেল ছালাও গেল!
**********************
ওই বাড়ির দাদুর নাম রমণীমোহন, যেটা ছোটবেলায় শুনে ভারি আমোদ পেয়েছিলাম। দাদুরা তিন ভাই, ইনি মেজ, আর বিশেষরূপ প্রলিফিক। একটি মেয়ে অল্পবয়সে মারা গিয়ে ইস্তক ইনি সাত পুত্রের গর্বিত জনক ছিলেন, এখন ঁ হয়েছেন। আর তাদের নাম কাতারধরে আমার বাবার দেওয়া – বিমল-কমল-অমল-শ্যামল-নির্মল-পরিমল ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে শেষজনের বেলায় বাবা রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে যাওয়ায় আর সিরিজ মেলানো যায় নি, সে বেচারা রমাপদ। গিয়ে যে সব মল’দের দেখা গেছে তাও বলতে পারি না, আর মাঠের লোক পিতিবেশি শিষ্য অনেকেই তো দেখতে আসছে ‘কলকাতার লোক, তার একজনের হাতে আবার একটা ইয়াব্বড় ক্যামেরা’ দেখতে। আসার সময় পেন্নাম করতে করতেও নড়া খুলে যাওয়ার জোগাড়, অনেকগুলো ফাউও ঢুকে পড়ল মনে হয় – নিচ থেকে তো সবারই দুজোড়া কালো শীর্ণ পদপল্লব, কোনটা যে আসল কাকা আর কোনটা যে স্রেফ চাষা সে তো আর জিজ্ঞেস করে করে পেন্নাম করা যায় না!
আমার নতুন কাকিমা (মেজ-সেজ কোনো এক কাকার বউ), বয়সে আমার থেকে খানিকটা ছোটই হবেন, যদিও কাকার বয়স পঁয়ত্রিশ তো হবেই (ওই তফাত বজায় রেখে এখন বিয়ে করতে হলে আমায় বোধহয় ছ’বছরের বালিকা গ্রহণ করতে হবে)। সদ্যই ‘মানবিক’ অনার্স পাশ করে হোমিওপ্যাথি পড়তে ভর্তি হয়েছেন। আর বড় কাকার মেয়েও তাই করছে। যেতে হয় সেই খুলনা, তাও আবার দুজন মেয়ে একা কেবল, তাই হপ্তায় মাত্র একবার যাওয়াই বিধান। ওতেই কালক্রমে অনেক বিদ্যা হয়ে ডাক্তারি ডিগ্রি মিলবে। তবে হালচাল-অভিজ্ঞ বাবা আমায় আড়ালে বললেন, “দুয়েক বছর যাক, কোলেকাঁকে দুয়েকটা আসুক, ঠিকই ‘ঘরের বউ’ হয়ে যাবে, ডাক্তারি পড়া যাবে ঘুচে।”
যাহোক, আমি ঢিপ করে একটা পেন্নাম করে আমাদের ইউনির একটা পেন উপহার দিলাম, কাকিমা ভারি খুশি। বললেন, তাঁরও নাকি অঙ্ক করতে খুব ভালো লাগে, কিন্তু কপালদোষে চিকিচ্ছে পড়তে যেতে হয়েছে। কাকাও দেখলাম (নতুন বিয়ে কিনা, এক বছরও হয়নি) কাকিমার গুণকীর্তনে পঞ্চমুখ, কাকিমা নাকি ছটা সাবজেক্টের পাঁচটায় লেটার পেয়েছেন, এখন তিনিই নাকি বাড়ির সবচেয়ে সুন্দরী বউ (এটা বাবার কাছে সমর্থন চাওয়া হল)।
ওই ক্লাস-থ্রি’র ভাইয়ের মা যে কাকিমা, তিনিও নাকি বিয়ের সময় খুব সুন্দরী ছিলেন। এখন তাঁর ছেলেমেয়ে দুটোকে দেখে বোঝা যায় কেবল, তাঁর চেহারা পুরোই ভেঙে গেছে। (ভালো লেন্সটা থাকলে দারুণ কিউট বাচ্চাদুটোর কী চমৎকার যে ছবি উঠত!) দেশের বাড়িতে কাঠের জ্বালে দুবেলা পনেরো জনের রান্না, নতুন কাকিমারও অচিরাৎ একই হাল হবে মনে হয়...
ওই দিদাও নাকি একদা ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পরের থেকেই তো কেবল কোলেকাঁখে একটা করে বাচ্চা বয়ে বয়েই দিন গেল তাঁর। এখন নাতিপুতি বয়ে দিন চলে। ও বাড়িতে এখন তিনটে নাতনি। বহু পুরুষ আগে নাকি এক সাধুর ‘আশীর্বাদ’ ছিল, বাড়িতে একটার বেশি মেয়ে হবে না, হলেও বাঁচবে না। এখন যে তিনজন, সেই খবর শুনে আমার ঠাকুমা খুব খুশি হয়ে বললেন, তাহলে দোষ কেটে গেছে।
**********************
আসার সময় মুরুব্বিরা জিজ্ঞেস করলেন, “বাবা, ঠাকুরকে পেন্নাম করেছ?” আমি উঁ-আঁ করে কায়দামত কাটিয়ে গেলাম। তাঁরা তাতেই খুশি। খেলার সময় কতবার বল কুড়োতে ঠাকুরঘরে ঢুকেছি, তাঁরা যদি জানতেন যে আম্রিকায় গো-বরা কিছুই বাদ দিইনি তবে নিশ্চয়ই সে ঘর থেকে দুর-দুর করে তাড়িয়ে দিতেন। ওই রিক্সাওয়ালা রপিকুল আবার বাড়িতে ঢুকে ইস্তক সবাইকে বলে বেড়াচ্ছিল, “এই দাদার ছেলে কিন্তু দেশে থাকে না, সে থাকে হুই সৌদি!” তার কল্পনার দৌড় হয়ত অতটাই, কিন্তু বারকয়েক শোনার পর বিরক্ত হয়ে নিজেই সংশোধন করে দিতে লাগলাম যে সৌদি না, আমেরিকা। অবশ্য গ্রামের জীবনে তো এ-ও যা ও-ও তাই-ই।
আর ফিরে এসে কাকা-পল্টনের কাহিনী আমার ঠাকুমাকে শোনাতে একটা দারুণ অ্যানেকডোট পেলাম। আমার দাদুর অন্য দুই ভাই যখন ইতিমধ্যেই তিনটি করে মহান কীর্তি স্থাপন করে ফেলেছেন, তখন তাদের কাকা, যিনি নিজে অকৃতদার প্রফেসর, নাকি স্বগতোক্তি করেছিলেন, “ধনে গিঁইট্টা দিতে পারে না?”
(পিরোজপুরের গল্প শেষ, কাল ঢাকা শুরু হবে)
মন্তব্য
হ, আসল গিয়ানজাম শুরু হবে ঢাকা সফরের পোস্টে...
চাঁছা ছোলা
এই খোকা ভালু মানুষ না। সব্বাই সাবধান । বাংলাদেশে গেলি, অথচ আমাকে একবারও বললি না , ---- 'যাবা'। তার উপর আবার হাড় জ্বালানী ভ্রমণ কাহিনী লেখা হচ্ছে...
ডাকঘর | ছবিঘর
বটে? ষাট ষাট... বুড়ো মানুষ তো, ভুলে গেছি...
Zhaকুনি শুধু রাস্তার কারণেই লাগেনা, স্কুটারের সাসপেন্সন ভাল না হলেও লাগতে পারে। সারা দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য দেখেছি; সাদা চামড়ার চেয়ে ইন্ডিয়ানদের নাকসিঁটকানো আরো বেশী দেখেছি। এসব এখন গা-সওয়া হয়ে গেছে।
এইটা কোনো কথা হইলো !!! লেখাটা আরো একবার পড়েন, টোনটা বোঝেন ... তারপর ভেবে দেখেন কী মন্তব্য করলেন !!!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
হ, ভাই মামুন
আপনি কি আমাদের মামুন ভাই!!!!!! ।
ওরে কে কোথায় আছিস আমারে ধর!!!! ভাইয়া লেখাটা আবার পড়েন প্লিজ...
ডাকঘর | ছবিঘর
গা সওয়া হইলে সহ্য করেই থাকতেন! অনর্থক পায়জামার ফিতাকে অ্যানাকোণ্ডা বানাবেন না! ওতে বরং নারী নির্যাতন মামলায় পড়বেন!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খাবারের ছবি দিলে নগদে শাপ পরবে, আগেই বলে দিলুম হু।
সে এখানে দিমুনা, ফেসবুকে
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সাথে এক পেয়ালা চা দেবো নাকি ভাইয়া?
দিদা কি দাদি না নানি???
সবার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। তবে বেশি ব্যবহার করা হয় মায়ের মা বোঝাতে। এক্ষেত্রে ইনি হচ্ছেন আমার ঠাকুর্দার ভায়ের বৌ।
১. Zhaকুনি - লেখার হিউমারটা বুঝিনাই।
২. পড়তে গিয়ে মনেই হল বাংলাদেশ বিদ্বেষী বলে মন্তব্য আসবে, এসেছে।
৩. ঘাড়ে ব্যথায় স্কুল যেতে পায়না কিন্তু গাছ বাইতে পারে ! ব্রেশ !
৪. রপিকুল বোধ হয় রফিকুল হবে।
৫. কৌস্তুভের পোস্ট কিন্তু অঙ্ক জাতীয় কিছু নাই দেখে পোস্ট পড়তে বেজায় আরাম লেগেছে।
৬. যতই বল ক্যামেরা নষ্ট, সেদিন তো দেখলাম টকাস টকাস তুলতে। ছবি কো ?
৭. তোমার পোস্টের সম্মানার্থে আমার সচলবাজির পরবর্তী পোস্ট মুলতুবি/বাতিল ঘোষণা করা হইল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এ আর নতুন কী! আমাদেরও স্কুলবেলায় হতো!
ঠিকই আছে, রপিকুল, শপিকুল-ই। আমাদের অঞ্চলে আরেকটু সরল হয়ে রইকুল শইকুল-ও হয়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
স্কুলটা ইসকুল ও হয়। আর এই কৌতুটা ব্লাডিফুলও হয়, নামাকুলও হয়
ডাকঘর | ছবিঘর
থ্যাঙ্কস অনার্য। নামের সরলীকরণের কথাটা মাথায় ছিলনা। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। আর ঘাড়ে ব্যথা ? সে আমাদেরও খুব হত, যদিও বড়দের কাছে বেশি পাত্তা পেতনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
১. আমার একদম প্রথম লেখাটায় এ নিয়ে কথা ছিল। কলকাতায় যেমন জ পরিষ্কার করে উচ্চারণ করে, আমরা বাঙালরা তো খাঁটি ইংরেজ zebra-র Z এর মত করে উচ্চারণ করি। সেই উচ্চারণটা বোঝাতে Z এর ব্যবহারটা পরশুরাম প্রথম করেন, 'চিকিৎসা সঙ্কট' গল্পে।
২. শশশ... ওই মামুনভাই আইলো...
৩. হুঁ হুঁ, আমারি তো ভাই...
৫. হেহেহে...
৬. ছবিও নষ্ট
৭. থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু...
ঢাকার গল্পছবি দেখব বলে দুদিন ধরে বসে আছি। ডেঁপো ছোঁড়া, তাত্তাড়ি করে পোস্ট দে বলছি! [পোয়েটিক তুইতুকারি]
শুনলাম আমার জন্যও নাকি কৌদা একখানা কবিতার বই দিয়ে গেছেন নজু ভাইয়ের হাওলায়।
আহা, শতায়ু হও বাছা, টুকটুকে একখানা [ধেড়ে] বউ জুটুক শিগগির-ই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঝাতির বিবেকের আজ এটাই দাবি।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
মেয়েটা অপ্পবয়সেই পেকে গেল!
একয়দিন বসাইয়া রাইখা আইলসা ব্যাটা ছবিহীন পোস্ট দিছে। জলদি জলদি ঢাকার পোস্ট দেখতাম চাই, ঐটাতে দেরি করলে খপরাছে! ছবি না দিলে আরও খপরাছে!
কৌস্তুভকে হাতের নাগালে পাবার আনন্দে আঙ্কেলকে জ্বালাতন করার কথা মনেই ছিলো না। পরেরবারের জন্য এটাও মনে রেখে দিলাম।
তেতোআদ্য ব্লগের ভেতরদিকে এতো মজা রাখা কি ঠিক, হ্যাঁ? সদ্যপাড়া ডাব, সদ্যধরা মাছ, গাঁয়ের বুড়োর ফোকলা হাসি, হায়রে দুনিয়া, গাঁয়ে না যেতে যেতে আমি নিজেই ভুলতে বসেছি। বৈদেশ থেকে আসা গুঁফো খোকার এই মজা মেরে দেওয়ার কাহিনিতে তিবরো দিক্কার।
ঢাকার কাহিনি শোনার জন্য নিয়ে বসলাম।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ঢাকার ছবি বদনবইতেই দেব। অনেক সচল/সচলা আছেন যাঁরা প্রকাশ্যে সচলে সব পাঠকের সামনে তাঁদের ছবি টাঙিয়ে দেওয়াটা পছন্দ করবেন না।
খোমাখাতায় এই বসলুম মেশিনগান বাগিয়ে!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
কেউ কথা রাখেনা, আপনিও রাখলেন না। কথা দিয়েছিলেন দেশে আসার আগে একটা আওয়াজ দেবেন!
আশাকরি পিরোজপুর ভ্রমণ আনন্দময় হয়েছিলো বহুকাল পরে নিজের মানুষগুলোকে দেখে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আরে দাদা, আসার দুদিন আগে থেকে আমাদের নেট টানা ডাউন। কারো সাথেই যোগাযোগ করতে পারি নি। যাঁরা আগে থেকে নম্বর দিয়ে রেখেছিলেন তাঁদেরই কেবল বাংলাদেশ ঢুকে সিম নিয়ে কল করতে পেরেছি। খুবই দুঃখিত।
না ঠিকাছে। দেখা বা অন্তত কথা হলে ভালো লাগতো। পরের বার আসার আগেই জানাবেন, ফোন নাম্বার দিয়ে দেবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কী চমৎকার সরস, চটুল, আলোয় ভরা একটা লেখা !
পড়তে খুব...খু-উ-ব ভাল লেগেছে গো।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
(এইটা কী আমার প্রশংসার প্রতিদান? )
তোমাকে প্রতিদান দিতে আমার বয়েয়েয়েয়েয়েয়েয়েই গেছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
বেড়ানো তাও সহ্য করা যায়! রসিয়ে বর্ণনা সয় না! ঠিক যেমন আমাদের তানিয়া যখন কাউকে পাত্তা দিত না তখন সইত! কিন্তু যখন একটা বিচ্ছিরি ছ্যামড়ার সঙ্গে প্রেম করে ফেলল, তখন আর সইত না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তানিয়া ক্যাডা? তার উদ্দেশ্যেই কী আপনার সাম্প্রতিক ওসব ফেসবুক স্ট্যাটাস?
সবাই দেখি ঠোঙা ভর্তি মুড়ি নিয়ে বসেছে লেখা পড়তে
আমি এই চা নিয়ে বসলাম, শিজ্ঞির পরের লেখা দিন, সবাইকে আর কতদিনই বা মুড়ি খেতে বাধ্য করবেন বলুন
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সাথে দুটো বেগুনি আর ফুলুরিও চলুক
ফুলুরি টা কি বস্তু? ছোটবেলায় আনন্দমেলায় পড়েছি কিন্তু চিনতে পারি না কি জিনিস
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ফুলুরি বি . বেসনের বড়াভাজাবিশেষ।
দাদা, এই পোস্টটাও কিন্তু ছবি দাবী করে!!!
তো এরপর?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এরপর কিছু না। যারা মাঠেঘাটে ধান বুনে জীবন চালায় তাদের কাছে সৌদিও যা আমেরিকাও তাই, হার্ভার্ড ইউনিও যা ঘুঁটেডাঙা কলেজও তাই।
আরে নাহ, সেইটা তো বুচ্ছি। আমি পরের অংশ জানতে চাচ্ছিলাম। পরের গল্প।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
তার আর পর নেই নেই কোনো ঠিকানা...
বরিশাল-পিরোজপুর আমার কাছে অন্যান্য এলাকার থেকে অনেক অন্যরকম লেগেছে। নদী আর নদী, আর ঝোপজঙল পাগলা জায়গা। অবশ্য একেকটা অঞ্চলই একেকরকম একদম, সাতক্ষীরার দিকটা যেমন পুরাই আলাদা অন্যদিকের চেয়ে। আমাদের দেশে মানুষ ভারতের মতন দৈনন্দিন যাত্রায় অনায়াসে বাস-ট্রেইনে চড়ে না, যোগাযোগ ব্যাবস্থা মানে রাস্তা আর পরিবহন দুইয়েই সমস্যা আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেশে বাস অপছন্দ করি। ওতে চড়লে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি মনে হয়, ট্রেইন অনেক বেশি আরামের আর দেখা যায় চারিদিক, মানুষজন বেশি ভালো। এদিকে বরিশালে কোন রেললাইন নেই! বাই রোড ট্রাভেল অনেক ইজি হয়ে গেছে এখন অনেকগুলো ব্রিজ হয়ে যাওয়ায়, না হলে আগে আরও ফেরি পার হতে হতো। ভালো করতে তোমরা যদি বেনাপোল থেকে না হলেও যশোর থেকে ভালো দেখে একটা ছোট গাড়ি বা মাইক্রো ভাড়া করে নিতে, দেখতে দেখতে যেতে পারতে। ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে দেশের অন্যতম ভালো রাস্তাগুলোর কিছু বর্তমানে, আর বেশ অনেক আগে বগুড়া-রংপুর হাইওয়ে মুগ্ধ করেছিলো, এখনকার অবস্থা জানি না, খুলনার যে নতুন রাস্তা (পদ্মাসেতু হয়ে হবার কথা ?) সেটাও খুব ভালো হওয়ার কথা। অবশ্য তুমি এখন আবুলেরমেয়ের চলচিত্রের পাশাপাশি আবুলেররাস্তারও একটা ভালো চালচিত্র দেখতে পেয়েছ বলে আমার বোধ হচ্ছে!
তোমার আত্মীয়াদের 'মানবিক'-এ পড়ালেখার পরে ডাক্তারি পড়বার বিষয়টা কীরকম? তারা কি হোমিওপ্যাথি বিষয়ক ডাক্তারি বা এমন কিছু পড়ছেন? কোথায় পড়ছন জানো? তারা যদি পরে আর কন্টীনিউ করতে নাও পারেন, আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো শুনতে যে বাংলাদেশের অনেক নিভৃতের পল্লীচারিণী কোন বধুর পড়বার শখ এখনই গলা টিপে হত্যা করা হয়নি কোন পরিবার বা সমাজে। যাই হোক, শুভেচ্ছা তাদেরকে।
ঢাকার অভিজ্ঞতা এমন কিছু ভালো হয়েছে ধরে নেব না, যদিও ভাগ্যিস তোমরা উইকেন্ডেই ছিলে, আসল জ্যামটা ফেইস করোনি। এর পরে সময় নিয়ে এসে বাংলাদেশের অন্যান্যদিক ঘুরে দেখো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হ, আবুলের মেয়ের ছিঃনেমার সাথে অমন ছেড়ছাড়ি করার পর বোধহয় এটাই পাওনা ছিল...
বরিশাল জেলায় তো এক ফুট পরপরই নদী আর খাল। প্রাচ্যের ভেনিস নামটা তো আর এমনি আসে নি। আমাদের গ্রামে যেতে গেলে গাড়ি আর ফেরি এইওরকম সাতবার বদল করতে হত। এখন অবশ্য সব শুকিয়ে আসছে।
পিরোজপুর শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া প্রধান নদী ছিল দামোদর। আর দামোদর গিয়ে পড়ছে যে নদীতে, যে বলেশ্বর নদীর একূল-ওকূল দেখা যেত না প্রায়। দুটোর সন্ধিতে থাকত বিশাল ঘূর্ণি, তাই অভিজ্ঞ মাঝি ছাড়া ঢুকে অনেকের প্রাণসংশয় হত। এখন দামোদর একটা খাল প্রায়।
হ্যাঁ হ্যাঁ, হোমিওপ্যাথি। তবে দেবার বেলায় শুধু সাদা বড়ি হলেও, ভারতে অন্তত কোর্সে অ্যানাটমি সার্জারি সবই থাকে বলেই জানি। কিন্তু কাকিমাদের সঙ্গে সেসবের কোনো পরিচয় নেই বলেই বোধ হয়, সপ্তাহে একদিন যান মেটেরিয়া মেডিকা মুখস্থ করতে।
এটা কিন্তু রাস্তার/জায়গার গল্প কম, মানুষের গল্পই বেশি। ঢাকাতেও তাই হবে
হুঁ... ভালো লেগেছে... আর সেই জন্যেই ঢাকার ব্যাপারে সামান্য আতঙ্কে আছি...
অটঃ ঢাকা-রাজশাহী হাইওয়ে না, যমুনাব্রিজ-রাজশাহী* হাইওয়ে বেশ ভালো। তবে ঢাকা থেকে বেরুতেই সময় চলে যায় জ্যামে, আর ঢুকতেও, বাই রোডের থেকে বাই ট্রেইন বেশি আরামের।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খুলনা থেকে পিরোজপুরের রাস্তাটা অদ্ভুত সুন্দর, যারা দেখেনি তাদের বলে বোঝানো যাবেনা ..
ঢাকা’র গল্প শুনতে চাই ছবিসমেত ..
বাহ! সেটার গল্প হোক তাহলে একদিন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আড্ডায় ওইদিন আপনার খোঁজ পড়েছিল... থাকেন কই মিয়া?
আপনি বাংলাদেশে গেলেন কবে?! লেখা ভালো লেগেছে। ছবি দিলে আরও বেশি ভালো লাগতো।
এই মাসের প্রথমদিকে। ছবি দেব পরে, ফেসবুকে...
ছবি কই?
আমার দেশের বাড়ি কাছিপাড়া, ওইটা আরো দূরে, সমুদ্রের আরো কাছে। যাব হয়ত কোনো দিন ...
দেশে গেলে রাস্তা খারাপ - এই অভিযোগটা অনেকেরই। কিন্তু জনসংখ্যার অনুপাতে বললে দেশের রাস্তার অবস্থা ভালই ... কোলকাতা-বর্ধমান-দুর্গাপুর রাস্তার অনেক উন্নতি হয়েছে গত দশ বছরে। বনগাঁর দিকের মানুষ নিশ্চয় ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাই ওইদিকে রাস্তা সারানোর কোনো দায় নেই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আইবানে বাবা, আইবানে।
আপনাকে নিয়ে পরে কথা হবে, আগে বলেন, ক্যামেরা ঠিক আছে তো? ঠাট্টা, নাকি সত্যি পানি ঢুকেছিল? canon 60D এর body তো weather sealed হওয়ার কথা। ঘটনা বিস্তারিত জানান। আর এক্ষুণি বাজার থেকে আধা কেজি সিলিকা জেল (নীল রঙ্গেরটা) কিনে এনে একটা পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
60D মনে হয় weather sealed না, আরো উপরেরগুলো। ক্যামেরায় জল ঢোকে নি, বাইরে থেকে কাদা লেগেছিল। সিলিকা জেল ব্যাগে যেটা ছিল সেটা তো সাদা পালতোলা নৌকার মত ভেসে বেড়াচ্ছিল জলে।
তারপর কী হইলো, গিট্টু দিসিলো?
না গো দাদা, বললুম যে, তিন থেকে আটে গিয়ে তারপর থেমেছিল!
অনেক সচল / হাচলের বা ব্যক্তির অবশ্যই আপত্তি থাকতে পারে সরাসরি এখানে ছবি পোস্টের। কিন্তু আমরা যারা আপনার বদনবইয়ের তালিকাভুক্ত নয় তারা কি কোনও ছবিই দেখতে পারবনা? মনটাই খারাপ হয়ে গেল। অঙ্ক বিহীন লেখার জন্য । (অঙ্করে ডরাই।)
সহমত। কিছু ছবি অন্তঃত সচলে দিয়েন
মুশকিল আছে ভাই। জন-ত্রিশ সচল প্রত্যেককে ইমেল করে অনুমতি নেওয়ার ব্যাপারটা অনেক লম্বা।
আপনি কি এই সচলদের ছাড়া বা মানুষজন ছাড়া একটাও ছবি তোলেননি? অথবা আম জনতার? এই পোস্টটা শুধুমাত্র ছবির অভাবে ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যাচ্ছে।
তুলেছি। প্রসেস করা হয়নি। তবে সেটা ব্যাপার না। এটা ট্রেন্ড যে ছবির সাথে লেখা দিলে মানুষ লেখা পড়ে না, জলদির উপর ছবি একঝলক দেখেই চলে যায়। আমি ছবি দিলেও পরে আলাদা পোস্টে দেব। এই পোস্টটা গল্প শোনানোর জন্যই লেখা। সেটা ম্যাড়ম্যাড়ে হলে দোষটা লেখকেরই, ছবির অভাবের নয়।
ভাল লাগল পড়ে। মানবিক থেকে ডাক্তারি পড়ার ব্যাপারটা আমাকেও confused করেছিল। ওটা যে হোমিওপ্যাথি সেটা উল্লেখ করে দিলেই confusion টুকু এড়ানো যেত। বাংলাদেশের ডাক্তারি পড়া সম্পর্কে ভুলবার্তা দিচ্ছে তা না হলে (খুব বেশি ভুল কি? ) ।
হ্যাঁ, ওটা খেয়াল ছিল না। বদলে দিয়েছি, ধন্যবাদ।
দেশে অনেক যায়গায় আসলে উটের পিঠে চলার কথা মনে হয়। হাতির গতি কম থাকলেও অনেক স্টেবল, ঘোড়ার গতি থাকলেও আনস্টেবল। উটে চড়লে গতিও কম থাকে, ঝাকুনিও মাশাল্লাটাইপের।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
উটে তো চড়া নেই দাদা
চ্রম! পউট্টাখালির নামার দিকে তো মইষের দুধের দই আর নলেন গুড় বেশ সরেস। খাইসিলেন নাকি?
আমরা যখন বরিশালে ছিলাম তখন প্রায় হপ্তাখানেক বৃষ্টি-মেঘলা ছিল। শীতের রোদ না উঠলে টাটকা নলেনগুড় ভালো হয় না, খোঁজ করে সুবিধামত মেলেনি। দই খেয়েছি, মোষের দুধের না মনে হয়, পাতলামত ছিল।
বাহ...ঢাকার পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ক্যামেরা নষ্ট নিশ্চয় হয় নি, ঢাকার ছবি দেখলাম তো ফেবুতে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সে আপনাদের আশীর্বাদে আধমরা হলেও পুরো মৃত হয়নি
বহু বছর আগে একবার ঝালকাঠি থেকে ছোট লঞ্চে করে হুলারহাট, তার পর সেখান থেকে রিক্শায় করে পিরোজপুর গিয়ে ছিলাম। পিরোজপুরে সেবার জীবনে প্রথম পোমা/পোপা মাছ খেয়েছিলাম। আমরা যে তিন বন্ধু ঐ যাত্রায় ছিলাম তারপর আমরা অনেক হিল্লি-দিল্লী ঘুরে বেড়িয়েছি। আমাদের একজন তো উত্তর গোলার্ধের তিন মহাদেশ চষে ফেলেছেন। তবু আমাদের কাছে আমাদের জীবনের অন্যতম সেরা ভ্রমণ ঐ ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর। এই জীবনে অমন একটা ভ্রমণ আর করা হবে না।
দক্ষিণ বঙ্গের খাঁটি রূপটা দেখার জন্য নৌকা (শ্যালো বোট নয়) বা ছোট লঞ্চে (ভট্ভটি) ভ্রমণের বিকল্প নেই। প্যাডেল স্টীমারে আয়েশী একটা ভ্রমণ করা যায় বটে তবে এ'ক্ষেত্রে ঐ ছৈওয়ালা নৌকার বিকল্প নেই। পরে আবার কখনো বাংলাদেশে আসলে কয়েক ঘন্টার নৌকা ভ্রমণ লিস্টে রেখো। সেটা দক্ষিণ বঙ্গে হলে আরো ভালো হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সে শখ তো খুবই ছিল। এবার এত অল্প সময়ে হল না, পরের বার...
ধনে গিঁইট্টা পড়ুক কিন্তু কলমেরটা খুলে যাক।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমেন
অসাধারন ।
আপনার তো দারুণ ভাগ্য মশাই। একবার সেন্টমার্টিন্স আইল্যান্ডে গেছলুম বেড়াতে। তো বন্ধুবর ক্যাম্রাম্যানরে বললাম "ওরে হতচ্ছাড়া। ভালোমত একটা প্রোফাইল ফটু খিচে দে তো দেখি! "
বেচারা এক পা পিছিয়ে পজিশন নিতে গিয়ে ক্যাম্রাসুদ্ধ ধপাস করে এক গর্তের মধ্যে পড়ে গেলো। খুব দ্রুতই তাকে টেনে হিঁচড়ে তুলে আনলুম। কিন্তু ক্যাম্রাবাবাজী সেই যে ডেড হলেন, তার পর থেকে আর কেউ প্রোফাইল ফটো তুলে দেয় না মাইরি
আর আপনার মেশিন তো রীতিমত কাদাজল খেয়েও টিকে গেছে দেখি
নতুন মন্তব্য করুন