গগনে জমিছে মেঘ, হবে বরষা?
ল্যাবে একা বসে আছি, ছাতা ভরসা...
মেঘলা-মেঘলা সক্কালবেলা আপিসে ওরফে ল্যাবে এসে দেখি, চাদ্দিক বেশ সুনসান, ছুটির আমেজ। আজকে শুক্কুরবার পোয়ালেই শনি-রবি দুইদিন উইকেন্ড + রাণীর হীরকজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে সোম-মঙ্গল মোট চারদিনের ছুটিতে অনেকেই হেতা-হোথা ঘুরুঘুরু করতে গেছে, যারা যায়নি তাদেরও মন উড়ুউড়ু। পৌঁছিয়ে দেখি আমার পপেচরও তখনও আসেননি, মনটা খুশি হয়ে গেল। জিমেল খুলে বসে ফিমেলদের সঙ্গে লুলালাপে লেগে পড়লুম।
আজ বিকেলে আবার আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রি-পাব সেমিনার থাকে। আজ্ঞে না, এই পাব মানে পাবলিকেশন না, বিলেতের আদি ও অকৃত্তিম পাব অর্থাৎ মদ্যশালা। ইহার মহিমা জানতে হলে রোয়ান অ্যাটকিনসনের এই কমেডি স্কেচ-টি দেখে ফেলুন।
তো এখানে এসে ইস্তক এই সেমিনারগুলিতে যাইতে আমি বিশেষ পছন্দ করি, কারণ আমাদের ডিপার্টমেন্ট নানাবিধ সুন্দরী বালিকা দ্বারা পরিপূর্ণ। আমেরিকায় আজকাল সব ডিপার্টমেন্টেই কিচিরমিচিরকারী চৈনিকদের ভিড় বেশি, এখানে সেই সমস্যা নাই – মূলত শ্বেতাঙ্গিনী (ব্রিটিশ, এবং অনেক ইউরোপীয়), এছাড়া এদেশের হাল অনুসারে প্রচুর দক্ষিণ এশীয় (প্রধানত ভারতীয়) বালিকাও রয়েছে। মন্দ কি, দুইরকম ব্যবস্থাই রয়েছে, চন্দ্রবিন্দু বলে গেছেন,
“দাদা নড়েন, চড়েন,
যাবেন ফরেন,
শীঘ্র...
প্রেমে পড়বেন শ্বেত ললনার,
বিয়ে করবেন নিগ্রো।”
তা সেমিনারে গিয়ে অল্পবিস্তর জ্ঞান লাভ করে এবং প্রচুর পোস্টডকোচিত ঘ্যাম প্রদর্শন করে (মানে সদ্য ডিগ্রিতে ঢোকা বালিকা-বক্তার কাছে আরকি) বেশ ভালো বোধ করতে লাগলুম। এর মধ্যে প্রফের ইমেল পেলাম, যে সরি ভায়া, আজ আসতে পারছি না, সকালেই লং ট্যুরে বেরিয়ে পড়েছি... ব্যাস, ল্যাব থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। উপস্থিত অনেকেই পাবে যাচ্ছে, তা আমি তো আর হারাম পানীয়ের আড্ডাখানায় যেতে পারি না, তাই লন্ডনের পথে পথে খানিকক্ষণ চরে বেড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলে (এখানে সন্ধ্যা হয় আজকাল রাত নটা নাগাদ) বাসায় ফেরাই সমীচীন হবে বোধ হল। সমস্যা কী, আমার জন্য তো আর বাসায় কেউ অপেক্ষা করে নেই (এখানে ভারী দুঃখী দুঃখী ইমো হবে)।
UCL হচ্ছে ‘প্রপার লন্ডন সিটি’র মোটামুটি উত্তর সীমানায়, তার পর থেকে উপরদিকে ক্যামডেন ইত্যাদি ‘নেবারহুড’ শুরু হচ্ছে। তা আমি দখিনবাগে হাঁটতে লাগলেম, পরপর অনেকগুলো পার্ক পেরিয়ে পুরোনো শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তাঘাট ধরে। লন্ডনের এই এক সুবিধা, এতো পুরোনো শহর হলেও অজস্র ছোটবড় পার্ক রয়েছে, এবং সেগুলো ভালো যত্নে রাখা হয়, কলকাতার ময়দানের মত ঘাস-ওঠা মিটিং-কেন্দ্র আর আবর্জনা ফেলার জায়গা না। বস্টন বা নিউ ইয়র্কেও এতো পার্ক নেই। একটা সেন্ট্রাল পার্ক আছে বড় করে, ব্যাস।
পুরোনো বাড়িঘর-দোকানপাতি-চার্চ-বাগান-স্কোয়্যার এসব দেখতে দেখতে লেস্টার স্কোয়্যার ওরফে কভেন্ট গার্ডেন এলাকায় এসে পৌঁছলাম। এইটা হচ্ছে লন্ডনের ‘ফ্যাশনেবল’ জায়গাগুলোর অন্যতম, সায়েব-বিবিরা এইখানে নাটক-অপেরা-থিয়েটার দেখতে আসেন সাঁঝেরবেলায়, তার আগে আসপাশের ঘ্যাম ঘ্যাম রেস্টুরেন্টগুলো থেকে ‘প্রি-থিয়েটার মেনু’ অনুযায়ী কিছুমিছু খাওয়া এবং চাদ্দিকের ফ্যাশনদুরস্ত দোকানগুলো থেকে এটাওটা কেনাকাটা (এই যেমন জুবিলি উপলক্ষে রাণীর ছবিওয়ালা কাপ-প্লেট) করে থাকেন। এই অঞ্চলটার আরেকটা নাম ‘সোহো’ (এবং দেশ সম্পর্কে মহা-নস্টালজিক সায়েবরা নিউইয়র্কের একটা জায়গারও নাম তাই সোহো দিয়েছিলেন)।
এখান থেকে পশ্চিমদিকে হাঁটা দিলে আপনি পোঁছবেন হাইড পার্ক-এর মাথায়, যেখানে মার্বেল-আর্চ অর্থাৎ মর্মরতোরণ-খানা বসানো আছে। নেপোলিয়নের সঙ্গে যুদ্ধের বিজয়-স্মারক হিসাবে এইটা বানানো হয়েছিল বাকিংহাম প্যালেসের গায়ে, পরে প্রাসাদ বাড়ানোর সময় এইটাকে সরাতে হয়, তখন থেকে হাইড পার্কের ধারে বসানো আছে। আর এই যাবার রাস্তাখানা, অক্সফোর্ড স্ট্রিট, হচ্ছে লন্ডনের ফ্যাশন-এভিনিউ। ফ্যাশনের সঙ্গে আমার দূরতক সম্পর্ক না থাকলেও অবশ্য আমি ওইপথে প্রায়শই যাই, মাঝরাস্তায় একটা দোকান যে কী চমৎকার চকলেট-কোটেড ওয়াফল বানায় যে সে কী বলব!
তা আজ অবশ্য সেই পথে যাই নি, বরং কোণাকুনি হেঁটে পোঁছলাম পিকাডিলি সার্কাস, আরেকখানা বড় চত্বরে। পিকাডিল মানে যে সায়েবদের ‘স্টিফ কলার’, এইটা জানতুম না। যাহোক, বাড়িগুলোর গা জুড়ে বড় বড় স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন চলার দরুণ এই জায়গাটা টাইমস স্কোয়্যারের মত লাগে। সেখানে ‘রিপলিজ বিলিভ ইট অর নট’ বা ‘M&M’ এর অ্যাত্তো বড় বড় বিজ্ঞাপন দেখলেও আমেরিকান কনজিউমারিজমের কথাই মনে হয়, ব্রিটিশদের ‘পরিশীলিত রুচি’র চাইতে। বাকিদের মতই বন্ধ ফোয়ারার ঘাড়ে চড়ে বসে চাদ্দিকে ‘পমি’ বাচ্চাদের দাপাদাপি দেখতে দেখতে ভাবছিলুম, ছোটবেলা ইস্কুলেতে সূর্যসেন-ভগতসিং পড়তে পড়তে কখনও কি ভেবেছিলুম, খোদ লন্ডনের বুকে বসে আমার এঁটো থালাচামচ সায়েব পোলাপান ইয়েসস্যার-ওকেস্যার করতে করতে নিয়ে যাবে? অবিশ্যি আজকাল আমরা ওদের চাইতেও বেশি রেসিস্ট হয়ে পড়ছি মনে হয়।
এখানে জার্মান আইসক্রিমের দোকান হেগেন-ডাস (এদের চেয়ে ভালো আইসক্রিম পাওয়া সহজ না) থেকে একখানা বাটারস্কচ-ক্যারামেল কোটেড ওয়ার্ম ওয়াফল, সঙ্গে নাট-ওয়ালা আইসক্রিম কিনে চাইট্টা-পুইট্টা খাইতে খাইতে আরো দখিনবাগে হাঁটা দিলুম। প্ল্যান, রাণীর বাসাখান একবার ঘুরে আসি।
বাকিংহাম প্যালেস থেকে পুবদিকে সটান চলে গেছে যে রাস্তাটা, সেটার নাম ‘দ্য মল’। এটাকে ‘রাজপথ’ বলা যেতে পারে, কলকাতায় ব্রিটিশ আমলে রেড রোডে যেমন নেটিবদের ঢোকা বন্ধ ছিল সেইরকম অভিজাত রাস্তা। এখান দিয়ে রাজাবাদশা প্রসেশন হাঁকান। আর এই রাস্তাটার ঠিক নিচেই টানা চলেছে সেন্ট জেমস পার্ক। তা আমি ওই পার্ক আর রাস্তার পুব মাথায় এসে পোঁছলাম, ততক্ষণে আইসক্রিম শেষ। এই পার্ক একসময়ে ছিল টাইবার্ন নদী, এখন সে নদীকে নালা বানিয়ে শহরের মাটির তলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর এই পার্কে একসময় গোয়ালারা গরু নিয়ে টাটকা দুধ বেচতে আসত, রাজার হাতি এখেনে হাওয়া খেয়ে যেত। তা তেনাদের বদলে ন্যাজবিহীন আমিই নাহয় আজকে এট্টু ঘুরে বেড়ালুম।
পার্কেও দেখি অনেকে সপরিবারে (মানে ছানাপোনা নিয়ে), অনেকে হবু পরিবারকে নিয়ে হাওয়া খেতে এয়েচেন। হাঁস-পায়রা-কাঠবিড়ালি নির্ভয়ে চরে বেড়াচ্ছে। সারাদিন মেঘলা হয়ে থাকলেও বৃষ্টি নেই, কদিন ধরে গরমও যাচ্ছে ভালই, লোকজন ভালোই আনন্দফূর্তি করছে। কেবল এক বেচারি আপাদমস্তক কালো বোরখায় মুড়িয়ে স্বামীর পাশে গুটিসুটি হয়ে বসে আছেন। আরেকটু এগোতেই পাশে পড়ল এক মধ্যপ্রাচ্যের দম্পতি, তেনারা বেঞ্চে শুয়ে নানাবিধ কুস্তি করছেন, আমি পাশ দিয়ে যেতেই তরুণী উঠে পড়ে সঙ্গীকে একটা ‘মরণ!’ কটাক্ষ দিলেন, আর সঙ্গী আমাকে একটা দুর্বাসা-টাইপ ভস্মদৃষ্টি হানলেন। কী করা! আমেরিকাতেও তো লোকজন এসব দিব্যিই চালাত, কিন্তু পাশ দিয়ে কেউ গেলে ছরকুটে উঠত না তো। আর মোদ্দা কথা, এইসব অপবিত্র কাজকর্ম যাতে না হয় সেজন্যেই না দেশে লাঠি হাতে দেশের মহান সন্তান বিজেপির ‘মরালিটির সেনানী’রা পথেঘাটে ফেরে!
আবার এই পার্কেই দেখলাম জুবিলি উপলক্ষে বুকে-পিঠে শ্রীলঙ্কান গণহত্যার সচেতনতার ব্যাপারে পোস্টার সেঁটে এক বৃদ্ধা হেঁটে বেড়াচ্ছেন। কেমন বৈপরীত্যে ভরা এ দুনিয়া!
পার্কের এক অংশে দেখি একটা টিলা-মতো, যার মধ্যে সাদা ডেইজি’র মত ফুল দিয়ে লম্বা লম্বা আঁকাবাঁকা কেয়ারি করা, আর সেগুলোর মধ্যে মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে রক্তলাল পপি! আর জায়গায় জায়গায় একটা-আধটা বড়ো গাছ, সেগুলো ঝুপো হয়ে প্রায় মাটি অবধি নেমে এসেছে। খাসা দৃশ্য, ছবি তুলতে মোবাইল হাতে ওদিকটাই গিয়েই বুঝলাম, এ প্রায় কলকাতার নলবনে চলে এসেছি। ওখানেও যেমন ছাত্রছাত্রী-যুবকযুবতীগণ শাস্ত্রচর্চার আশায় পরিবার হতে দূরে নিরিবিলি স্থানে সমবেত হন, এবং শাস্ত্রোল্লেখিত নবরসের মধ্যে একটির ব্যবহারিক চর্চায় কিঞ্চিত বিশেষরূপে লিপ্ত হওয়ার আশা রাখেন ঝোপঝাড়-গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে, অথবা বিশাল বিশাল রঙবেরঙের ছাতার আড়ালে, তেমনি এই সেন্ট জেমসের নামাঙ্কিত পবিত্র পার্কের উঁচু উঁচু কেয়ারির ফাঁকে ফাঁকে বা ঝুপো গাছের আচ্ছাদনের তলায় জোড়ায় জোড়ায় বিশেষ শাস্ত্রালাপ চলিতেছে। এসব জায়গায় একা যাওয়া নেহাতই মহাপাপ, তায় দেখলুম ক্যামেরা হাতে তেনাদের বিশেষ অস্বস্তির উদ্রেক করছি, তাই সরে পড়লুম। কিন্তু বুঝলাম না, এ তো সায়েবদের দেশ, কলকাতা নয়, এখানে এমন গোপন স্থানের প্রয়োজন এবং তদুপরি এমন অস্বস্তি কেন?
পার্ক ঘুরে পশ্চিমপ্রান্তে প্যালেসের দিকে গিয়ে দেখলাম, সব ঘেরা, ভিক্টোরিয়া ফাউন্টেন ইত্যাদির ধারেকাছেও যাওয়া যাচ্ছে না – ওইটা ঘিরেই স্টেজ হয়েছে, জুবিলির দিন অনুষ্ঠান হবে, কাজ চলছে। দর্শকরা বেড়ার এপাশে জটলা করে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেন, যাঁরা প্যালেস দেখবেন বলে এসেছিলেন না জেনে তাঁরা নিশ্চয়ই বেশ হতাশ হয়েছেন।
অতঃকিম! উত্তরে গ্রিন পার্ক বলে আরেকটা বড় পার্ক, সেটাকে হেঁটে পেরিয়ে – ততক্ষণে বৃষ্টি নেমে গেছে – সাবওয়ে ধরে বাড়ি ফিরে এলুম।
(ওহ ইসে, লেখায় মাঝে মাঝে যাঁদের ছাপ আনার চেষ্টা করেছি, আমার সেই দেশোয়ালি ভাই মানে বিলেত-প্রবাসী ভারতীয়দের প্রবল রেসিজম বা সেক্সিজম সম্পর্কে জ্ঞানলাভে ইচ্ছুক যাঁরা, এইটা দেখতে পারেন।)
‘পারফেক্ট ইভনিং’ উপভোগ করা সম্পর্কে আমার কতগুলো ধারণা আছে। এই যেমন ধরেন, একটা হল, ‘বিশেষ কারো’ হাত ধরে হাওয়াইয়ের কেয়া-ঝাউ-নারকেল-ঘেরা নির্জন সৈকতে এমন একটা সূর্যাস্ত কাটানো। আরেকটা হল, পুরোনো ইউরোপীয় শহরগুলোর (আমেরিকা পচা, কারণ সেখানের সবচেয়ে বৃদ্ধ শহরগুলোর সবচেয়ে পুরোনো অংশগুলোও মাত্র তিন-চারশ বছর পুরোনো) ‘ওল্ড সিটি’ অংশে একটা রঙ লেগে আসা বিকেলে হাতে এক কাপ আইসক্রিম – অথবা কফি, আবহাওয়া/রুচি অনুযায়ী – নিয়ে লোকজন-বাড়িঘর-দোকানপাটের মধ্যে দিয়ে এদিক-ওদিক দেখতে দেখতে চুপচাপ হেঁটে বেড়ানো। তা সেই সোনালী-কমলা রঙমাখা সূর্যাস্ত লন্ডনে আশা করাটা অন্যায়ই, কিন্তু বাকিটা মিলিয়ে আজকের বেড়ানোটা মন্দ হল না!
মন্তব্য
বেশ! কিন্তু আপনে স্থায়ী লণ্ডনবাসী হয়েছেন তা জানতুম না!
শাস্ত্রালাপে বেগানা দর্শক এই অঞ্চলে বড় পাত্তা পায় না! বরং দর্শকের হাতে ভারী ক্যামেরা থাকলে লঘুশাস্ত্রের দুয়েকটি ঢং দেখিয়ে হাস্যমুখে ছবিও তুলতে রাজি হয়ে যায় অনেকে। ওদিকে শাস্ত্রালাপ মহাপাপ নাকি! ছবিসুদ্ধ একটা বিস্তারিত পোস্ট ছাড়ুন দেখি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হাবার্টের নাম নিয়ে ঘ্যাম নেওয়ার দিন যে ফুরোলো, সে কথা চটপট জানিয়ে ফেলতে চাইছিলুম না আরকি
এহ, তারপর প্রাণ আর ক্যামেরা খোয়াই আর কি! তবে এখানেই তো ছবিতে দুজন শাস্ত্রবিদ আছেন, পপিফুলের ছবিটায় - হোই দূরে - ৩বাই৩ পিক্সেল এরিয়ায়
বুঝলুম, জর্মনরা বিরিটিশদের চাইতে উদার তবে উদারতার প্রতিযোগিতায় কলম্বিয়ানদের ধারেকাছেও কেউ নেই বলে প্রমান পেয়েছি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নিজে দেখছেন নাকি তারেকাণু কইছে?
ফ্যাঁহ! তারেকাণু! বালিকা বিষয়ক কোনো রসালাপই তার মুখনিঃসৃত হয়না! একটা লোক এতো জায়গায় বেজায়গায় ঢ়ুরে বেড়ায়। ভ্রমণের ব্লগের সঙ্গে রমণের ব্লগও তো কালেভদ্রে লিখেত পারে! তা না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নাহ, লোকটা পুরোই যাচ্ছেতাই! তার জন্য রমণের ব্লগ কিনা শেষে হিম্ভাইকে লিখতে হয়েছিল...
ছবিটা কুনাইচ্চা কইরা তুলা ঠিক হয় নাইক্কা- কুনাইচ্চা হইয়া দেখতে অয়...
কড়িকাঠুরে
এক-আধটা ব্যাঁকা ছবি তোলা আমার (বদ)অভ্যাস। ফাহিমফটুরে রাগ করে মাঝে মাঝে।
আপনার সাথে বেশ একটু লন্ডনের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ালাম । থ্যাংকু!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
অবশ্যই! আমি যে লোকজনকে শহর দেখিয়ে (এবং ভালোমন্দ চাখিয়ে) বেড়াতে ভালোবাসি এটা জানেন নিশ্চয়ই?
আজ্ঞে দাদা আপানার ক্যামেরা খানা কি লেন্স সমেত বলুন তো? আর সুইসে কবে আসছেন? ইংল্যান্ডের রাস্তায় হাঁটার সময় আমার কেমন কেমন যেন লাগে। পুরানো বিল্ডিং [বিশেষ করে চার্চ] গুলা দেখলেই মনে এইগুলা সব আমাদের টাকায় বানানো।
আরে এইটা স্মার্টফোনের ক্যামেরা। মেঘলাদিনে কেবল অ্যানিমিয়ারোগীর মত ফ্যাকসা ফ্যাকসা ছবি তোলে তাই একটু ব্রাইটনেস-কন্ট্রাস্ট ঠেলাগুঁতো করসি।
আরে টাওয়ার অফ লন্ডনে গিয়ে কোহিনূর দেখে আসো ভাই, তারপর চার্চটার্চ নিয়ে হুতাশ সব তুশ্চু মনে হবে।
পুরা লেখাটা পড়ে আমার মাথায় শুধু একটা জিনিস আসছে!
আমার ছাতা নাই, একখান ছাতা কিনা লাগবে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পুরা লেখাটায় ছাতার কথা দুইবার এসেছে, তা তোমার কোনটার লগে ছাতা প্রয়োজন খোলসা করে বল দিকি!
ক্যান জানিনা ছাতা কথাটাই স্ট্রাইক করলো! প্যান প্যানও করসি দুই চাইরজনের কাছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ব্রিটিশদের গাল দিতে ইচ্ছে করছে এই চার দিনের ছুটির কারণে। হঠাৎ করে পুরোদমে চলতে থাকা কাজের মাঝে একটা বড় বিরতী। আমি ঠিক করেছি আগামী কাল ও পরশু ল্যাবে যাবো। কিন্তু আমার দুই প্রফেসার মহাশয় রিপ্লাইও দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পুরোই হলিডে মুডে আছেন তারা।
আপনি যে বৃটেন এসেছেন জানতাম না। ইউসিএল নিয়ে কিছু লিখুন। ইউসিএল আর কিংস-এর প্রতিষ্ঠার গল্পটা দারুণ রোমাঞ্চকর। (আমিও একটা লিখছি, তবে গত চার বছর সেই লেখা ড্রাফট হয়ে পড়ে আছে!)
টুইটার
পাঁচ দিনের কাজ শেষে মাত্র দুই দিনের বিরতি পাই, নাহয় দুটো বেশি দিন বিরতি পেলেম তাতে এতো চটে যাচ্ছেন কেন?
শোনেন, ভালো বুদ্ধি দিচ্ছি, ফি লাগবে না। যতটা লেখা আছে ততটা পর্ব-১ হিসাবে পোস্টায়ে দেন। তারপর আর কি, কত লোকই সিরিজখেলাপী হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে...
এখন ল্যাব থেকে সচলে বসলাম। আমাদের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে আজ মাত্র ৫ জন এসেছে (সাইনিং বুকে দেখলাম, ১২টা পর্যন্ত)। এর মধ্যে আমাদের রুমেই তিনজন। তিনজনই আবার ওভারসিজ পিএইচডি স্টুডেন্ট (আমি, কলকাতার ছেলে সোম এবং ইয়েমেনের ছেলে গুবরান)। ব্রিটিশ রাণীর দেয়া ছুটি আমাদের হজম হচ্ছে না
সিরিজের আইডিয়াটা দারুণ দিয়েছেন। পোস্টটাকে ড্র্যাফ্ট থেকে তুলে আনবো কয়েকদিনের মধ্যে।
গ্লাসগো বেড়ানোর আমন্ত্রণ রইলো।
টুইটার
ধন্যবাদ! লক লোমন্ড নয়ত লকনেসের খোঁজে নিশ্চয়ই একদিন পোঁছে যাব
যে কোন উইকএন্ডে চলে আসব দিন পাঁচেকের জন্য, হয়ত অলিম্পিকের পরপরই। চ্যানেল আইল্যান্ড আর কেন্টে গুরুর বাড়ী যাবার জন্য রেডি হন। ছাতাসহ।
facebook
বিলকুল। শুধু এদেশের রেস্টুরেন্টগুলোর মত BYOB স্টাইলে 'ব্রিং ইয়োর ওন আমব্রেলা' ভুলবেন না, আর সেই সাথে উপঢৌকনেও যেন ঘাটতি না থাকে।
ইয়ে, আমার এই দুই লাইন-ই বেশি মনে ধরেছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইটা কি আমার প্যারডিগুণ, নাকি রবিবুড়োঅ্যাডিক্টের পুরোনো সিমটম?
আবার জিগস!
বলতে ভুলে গেছি, শেষ থেকে দ্বিতীয় ছবিটা দারুণ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সূর্যাস্তের ছবিখানা যা হয়েছেনা, কিছু বলার নেই। অসাধারণ।
আহ জিমেইল এর লুলালাপ, মনোহর পুরনো স্মৃতি সব !
ঝোপের মাঝে মঙ্গল করা এনারাও শিখে গেছে হিন্দি সিনেমা দেখে দেখে!!
লেখা আর তার সাথে এরকম সব ছবি, আহ দারুন। অনেক দিন পরে লিখলে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ওইটে কিনা ভালো ক্যামেরায় তোলা, বাকিগুলোর মত মোবাইলে না। আমার খুব প্রিয় ছবিটা, বড় করে দেখতে হয়।
থ্যাঙ্কু ভায়া
ছাতা আর আমি একা, সব দূরাশা
একা একা আইসক্রিম শেষ ভরসা
কড়িকাঠুরে
কথা সইত্য
পুরোটা লেখাই মজার।।। এই টুকুন বেশি মজার। আমারো ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছা করে। মন মেজাজ ভালো ঠেকছে না- তার উপরে সঙ্গী নাই- তাই ঘুরাঘুরি হচ্চে না! [ এইখানে একটা দুঃখ দুঃখ ইমো হবে]
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনে তো ফুলবিবিটি হয়ে দাপাদাপি করে বেড়ান, তায় আবার দুঃখ কচ্চেন?
অলা।।।আফনে কিডা আসলে?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আমার সরলাক্ষ হোম হওনের দরকার নাই, ওই সফর নিয়ে ফেবুতে সবাই হাচিব্বাইকে যে পচিয়ে পচিয়ে জৈবগ্যাস করে ফেলল সে তো দেখেইচি!
সরলাক্ষ হোম! হাহাহাহাহাহা! অনেক অনেক দিন পরে শুনলাম! ভুলেই গেছিলাম আসলে এই নামটা!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ও তাই কন !
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আহ!! খোকা দেকি ফিরে এলো। ভালু লাগছে।
মোবাইলে তুল্লেও পুলার ছবি তুলার এলেম আচে দেকচি। তা কতা হল, বাছা নূতন ক্যামেরাটার উপয়োগ কর হে......
আর এইসব নিষিদ্ধ অঞ্চলে ( পার্কটির বিশিষ্ট স্থানে ) জ্ঞানচর্চার জন্য এত দৌড়ঝাঁপ করার তোমার কি দরকার বাপু।
লেখা খুউব উপভোগ করলুম।
ডাকঘর | ছবিঘর
আমোলোযা, জ্ঞানচর্চার জন্য তো যাইনি, যেয়ে পড়ে দেখি জ্ঞানচর্চা চলছে!
দারুন লেখা। আপনাদের চোখ দিয়েই দেখি, তবু তো কিছু দেখছি।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ
কতদিন পর দাদার লেখা পেলুম!!! লেখা উপাদেয় হয়েছে । পার্ফেক্ট ইভনিং ধরা দিক শিগ্রি..........
_____________________
Give Her Freedom!
খিক্ষিক... তোমার মুখে চক্কেট-আইস্কিম পড়ুক হে! (ফুলচন্নন তো ছাই খাওয়া যায় না!)
মনের দুঃখে যে ছোকড়া দেশছাড়া হয়েছে তা তো জানতাম না
যাই হোক গুড বাই এবং ওয়েলকাম ব্যাক একসঙ্গে। প্রথমটা এই পোড়ার মার্কিন মুল্লুক ছাড়ার জন্য - দ্বিতীয়টা সচলে অনেকদিন পরে লেখার জন্য
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো বলেছেন দাদা, থ্যাঙ্কু
ওয়াও! দারুন সুন্দর কৌস্তভদা।
উরি বাপরে!
রানীর 'টেমস নদীযাত্রা' দেখার পর আপনার পোষ্টটা পড়লাম। খুব ভাল লাগলো।
আরে বিষ্টির মধ্যে রাণী বেচারার নিশ্চয়ই মেজাজ গরম হৈতেছিল
জমাটি লেখা, সাথে ফাটাফাটি ছবি (বিশেষ করে সুর্যাস্তের ছবিটা)
ভাল থাকুন সকল সময়ে
শুভেচ্ছা নিরন্তর
বলেছিলুম না, ওইটা আমার ভারি পিরিও ফটু
লঘুচালের চারণ কাহন ভাল লাগল।
আপনার “পারফেক্ট ইভনিং” কনসেপ্টটা বেশ ভাল। আমার কাছে পারফেক্ট ইভনিং হচ্ছে প্রবালের উপর বসে নোনাজলে পা ডুবিয়ে অস্তামিত সূর্যের শেষ আভায় নিজেকে দেখা।
ভাল ভাল প্ল্যানগুলোতে অন্যের উপর ডিপেন্ড না করাই বোধয় ভাল, এতে প্ল্যান সাকসেসফুল হবার সম্ভাবনা কমে যায় ।
ছবি
হ্যাঁ ভাই, দুঃখের হলেও সে কথা সইত্য
আপনার প্ল্যানটা তো আমার থেকে বেশি দূরে না, হাওয়াইতে প্রবালও আছে অনেক
অনেকদিন পর আপনার লেখা!! ছবি ও লেখা দুটোই জমজমাট!
স্মার্টফোনেও দেখি সেইরাম ছবি তোলা যায় সেরকম চোখ থাকলে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চাদ্দিকে যা হচ্ছে তাতে তো চোখ-কান বুজে থাকতে পারি না, কী বলেন
মাফ করবেন, শব্দটা সম্ভবত 'চরৈবেতি'।
ঠিক, ঠিক। বিচ্ছিরি টাইপো। ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ! এতো বিনয় করছেন কেন?
আপ্নি ucl এ নাকি? আমার প্রায় বাসার পাশেই এসে গেছেন দেখি
অনেক দিন পর লিখ্লেন তাও আমার প্রিয় শহরকে নিয়ে, এই নিন একখান
আজ্ঞে হ্যাঁ
আমেরিকা থেকে ভাগসো? চীরতরে? বলে যাবা না মিয়া!
ক্যান প্রেসকনফারেন্স কইরা ঘোষণা দেওনের দরকার আছিল নাকি?
হ তা ভাগছি। তয় শিকাগোয় অনেক চেনা লোকজন এহন। কখনও গেলে দেখা হবেনে।
ছবি আর ফাঁকে ফাঁকে গুঁজে দেয়া লেখা- দুইটাই ভাল লাগলো, খালি ওই বারংবার আইসকিরিম খাওনের ব্যপারটা বাদ্দিয়া। যে গরম পড়ছে না এইদিকে। আইসক্রিম ফ্রিজার থেকে বের করার সাথে সাথে মিল্কশেক হয়ে যাচ্ছে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হুঁ হুঁ... এইখানে আবার রাণীর জুবিলিকে তুশ্চু করে দিয়ে খালি বিষ্টি... আর তেমনই ঠাণ্ডা পড়েছে, দশের নিচেও নেমে যায়। আমার আবার জানলা বিগড়ে গিয়েছিল, হু হু করে ঠাণ্ডা হাওয়া আসে, সকালে উঠে মোবাইল-ল্যাপটপে হাত দিয়ে দেখি সব বরফের মত ঠাণ্ডা হয়ে গেছে!
বেশ বেশ
---------------------
আমার ফ্লিকার
তোমার লেখা পড়ে মনে হতো আরও কিছুদিন থাকবে বোস্টনে। ডিগ্রী শেষ? আমার সেপ্টেম্বরে বোস্টন যাবার প্ল্যান, ভাবছিলাম তোমার সাথে যোগাযোগ করবো।
আগামী বছর লন্ডন যেতে পারি, তখন চেষ্টা করব।
লেখা আর ছবি দুটোই ভাল লাগলো।
আশাকরি তাড়াতাড়িই তোমার মনোবাসনা পূর্ণ হবে, মানে সূর্যাস্ত দেখার সঙ্গি হবে।
আহা, আমি না থাকলেও আমার জুনিয়ররা আছে, একটা হাঁক দিলেই তারাও বেশরকম খাতিরযত্ন করবে, আমার মত ঝানু গাইড নাইবা হল।
আর লন্ডনে এখন অনেকদিন আছি, আইলেই দেখা হবে।
আশাভরা বুকে বলি 'আমেন'
তোমার সাথেই দেখা করতাম। আমিতো বোস্টনে অনেকবার গেছি। দেখেছিও অনেককিছু।
লন্ডনে গেলে হাঁক দেবো।
ওহ তাহলে তো আর কথাই নেই, সটান লন্ডন চলে আসেন
শেষ থেকে দ্বিতীয় ছবিটা দারুন। এরকম সূর্যাস্ত একা একা দেখতে নেই তাড়াতাড়ি একটা হাত ধরার ব্যবস্থা করে ফেলেন ।
হায়, সুকুমার লিখে গেছেন, 'ধরি ধরি ধর ধর ধরি কিন্তু ধরে কে?'
ঢাকা যাবার পথে ৩ দিন লন্ডনে থাকার সময় আমি গরীব মানুষ আরো গরীব হয়ে গিয়েছিলাম, চতুর্দিকে গলাকাটা দাম। আবার টিউবেও চরম অরাজকতা, দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া! অত্যন্ত অন্যায্য শহর
..................................................................
#Banshibir.
আরে আর বইলেন না ভাই। আমার একটু ভালোমন্দ খানাপিনা এক্সপ্লোর করার শখখানা লন্ডনে খুবই কষ্টে আছে
আপনার ক্যামেরার চান করার কাহিনী পড়েছিলাম মনে হয় বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়া লেখা ব্লগগুলোর কোন একটায়। ছবি দেখে ভাবলাম এ মনে হয় চান করার পরের রুপ। মোবাইলের তুলনায় অনেক ভাল লাগলো ছবিগুলো। আর সূর্যাস্তের ছবিটা দারুন।
তা ছবিতে বিটিশ বালিকারা কুতায়? সামারে এত কাপড় কেন চাদ্দিকে?
সামারের ছবি গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না ।হেহে
ধুর মিয়া, আশায় মরে চাষা! মেঘলা সামারে আর বিটিশ বালিকারা কী লাস্য দেখাবে? সাফি ভাই, ও আশা বাদ্দেন।
প্রথম ছবিটা আর সূর্যাস্তের ছবিটা - দুর্দান্ত হয়েছে, একেবারে যাকে বলে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে, ফাহিমভায়া, উপরে তোমাকে সাইটেশন দিয়েচি দেখেছ?
লণ্ডনকে পড়েছিলাম অন্নদাশঙ্কর রায়ের 'পথে প্রবাসে'। আজ পড়লাম কৌস্তুভের রসালো ব্লগে। কালের ফেরে লণ্ডনের দেহের ও মনের রূপ পালটে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবু কৌস্তুভের দেয়া গ্রীষ্মের রৌদ্র-ঝলকিত ছবিগুলো দেখে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া যে বাকী পুরোটা বছর জুড়ে বড়বেশী মেজাজী সেটি ঠাহর করবার আর কোন উপায়ই থাকে না। আহা, কি রক্তিম-উজ্জ্বল ওই পপি ফুলটি। শ্বেত-সমুদ্রে যেন বা রক্তিম কামনার প্রতিচ্ছবি।
শেষবার লণ্ডনে গিয়েছিলাম ২০০৩ এর সেপ্টেম্বরে। সেই দেখার প্রেক্ষিতে সেখানের বাড়িঘরগুলিকে অন্তঃপুরে ও বাইরে কৃপণ আখ্যা দিতে মোটেই দ্বিধা করি না আমি। পাতাল রেলে দেখেছি, লোকজন হুড়ো-তাড়া করে উঠেই একখানা বই খুলে বসে পড়লো কিম্বা কানে গানের যন্ত্র লাগিয়ে বাহিরের সাথে সবরকম সম্পর্কের পর্দা টেনে দিল। অন্নদার ভাষায়,
এমন পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দাদা, আমার দেওয়া ছবিগুলো রৌদ্র-ঝলকিত? কন কী! সেদিন তো ব্যাবাকই মেঘলা ছিল, নেহাত কভেন্ট গার্ডেনের ছবিটা আগে একদিন তোলা।
লন্ডন সম্পর্কে কার যেন লেখায় আছে, এক ইংরেজ আরেকজনকে এসে বলছে, 'আগুন লেগেছে, পালাও', আরেকজন বলছে, 'দুঃখিত, কিন্তু আমার মনে হয় আমরা কথা শুরুর আগে কেউ ইন্ট্রোডিউস করিয়ে দেওয়া শালীন হবে।'
ভাই ঘ্যাম কথাটার মানে বুঝিনি।
আমিও একা একা লন্ডন ঘুরে বেড়িয়েছিলাম ২০১০ এর এক শীতকালে। তবে আপনার এই কথাটা খুব ভাল লেগেছে- ইংরেজদের থেকে আমরাই দিন দিন বেশি বর্ণবাদি হয়ে যাচ্ছি।
ভাল থাকবেন
ঘ্যাম শব্দটা কলকাত্তাইয়া আধা-স্ল্যাং বলতে পারেন। এবং যে কোনো ভালো স্ল্যাংয়ের মতনই, প্রয়োগভেদে একাধিক অর্থ হয়। ধরেন, 'ফার্স্টবয়ের বড্ড ঘ্যাম' মানে এই যে ছেলেটা পরীক্ষায় সবসময় ফার্স্ট হয় তাই তার ভারি অহঙ্কার। আবার 'ফাহিমভায়ের একটা ঘ্যাম ক্যামেরা আছে' অর্থ তার ক্যামেরাটা দুর্দান্ত।
লন্ডনের শীতকালের সঙ্গে এখনও পরিচয় হয়নি। শুনেছি বস্টনের থেকে নাকি কিঞ্চিত ঠাণ্ডা কম থাকে, আর বরফ নাকি অনেক কম পড়ে। দেখি...
যে ঘুরানিডা দিলেন, এখনতো মাথা ঘুরায়
আচ্ছা এই দেখেন, আমি যে এত ঘুরেফিরে বেড়াই তা মাথা কি আর বাড়িতে বসে থাকে, তাকে তো সাথে সাথেই ঘুরতে হয়
সাবলীল লেখার সাথে ছবির চমৎকার উপস্থাপনা। অসাধারন।
-বিক্ষিপ্ত মাত্রা
ধন্যবাদ!
চমৎকার সব ছবি! ওয়েল্কাম ব্যাক।
****************************************
ডাঙ্কে ডাঙ্কে
নতুন মন্তব্য করুন