আহা, অআকখ না, আজকের পর্ব হচ্ছে বর্ণ মানে রঙ নিয়ে। সাজগোজ করে রঙচঙ কেন বাড়ানো হয়, তা একটু যেমন বুঝব, তেমনই, ভেরি ইম্পর্টেন্ট, আমরা দেখব কেন বাঙালি পাত্রপক্ষ কেবলি ফর্সা মেয়ে খোঁজে...
রঙের কথায়, একটা সহজ পরীক্ষা দিয়েই ব্যাপারটা শুরু করা যাক। উপরের ছবিটা দেখছেন? একেকটা শব্দ একেকটা রঙের। রঙগুলোর নাম ঝটপট বলে ফেলুন তো দেখি!
কিন্তু শব্দগুলোর দিকে তাকিয়ে রঙগুলোর নাম বলতে গেলেই দেখবেন, সমস্যা – রঙের নামের বদলে কেবলই শব্দগুলোই বলে ফেলতে মন চাইছে, ওগুলোও রঙের নাম কিনা। ছোটবেলায় শেখা অআকখ অ-য়ে অজগর মানে বর্ণপরিচয় আমাদের যে ভাষা শিখিয়েছিল, সেই শব্দ চেনার ক্ষমতা আমাদের রঙ চেনার ক্ষমতাকে ওভারট্রাম্প করে দিচ্ছে। এটাই অনেক সহজ হয়ে যাবে যদি বাংলার বদলে কোনো অপরিচিত ভাষা, যেমন চীনে, দিয়ে শব্দগুলোকে বদলে দেওয়া হয়। তখন দেখবেন গড়গড় করে রঙগুলো চিনে নিতে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না (আপনি চীনে ভাষা চিনলে অবশ্য অন্য ব্যাপার)।
নেট কানেকশনে যদি ভয়াবহ সমস্যা না থাকে, তবে মাত্র ১৪ সেকেন্ডের এই ছোট্ট ভিডিওটায় এইরকম আরেকটা পরীক্ষা চালিয়ে দেখে নিন, কেমন করে মোশন মানে রঙিন বিন্দুগুলির চলাফেরা তাদের বদলানো রঙের কথা আমাদের এক্কেবারে ভুলিয়ে দেয়! ওনারা এটার নাম দিয়েছেন সাইলেন্সিং।
তবে সবসময়ই যে রঙ বেচারা ডাউন খায় এমন নয়। এই মজার ফ্ল্যাশ গেমটার চ্যালেঞ্জ একটু নিয়েই দেখুন না, কেমন করে অবজেক্ট রেকগনিশন মানে বস্তুর হালহকিকত চেনার ক্ষমতা রঙের জঙ্গলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। মোদ্দা কথা, আমাদের রঙ চেনা, বস্তুর নড়াচড়া চেনা, বস্তুর অবস্থা চেনা, অক্ষর চেনা এই সব কাজ মস্তিষ্কের আলাদা আলাদা অংশে হয়, আর সচরাচর তারা মিলেমিশে কাজ করলেও বিশেষ বিশেষ অবস্থা সহজেই তৈরি করা যেতে পারে যেখানে পরষ্পর বিবাদ লেগে যায় তাদের। তখন মস্তিষ্ক একজনকে আরেকজনের উপর প্রাধান্য দেয়, এই যেমন রঙের উপরে নড়াচড়াকে – আর সত্যিই, ভেবে দেখেন, একটা বাঘ যখন আমাদের আদিম পূর্বপুরুষদের দিকে ঝাঁপ দিচ্ছিল, তখন বাঘটার রঙ পাল্টাচ্ছে কি না সেটা খেয়াল করতে গিয়ে সময় নষ্ট করা নেহাতই বাতুলতা!
তবে সার কথা এই যে, চোখ যেমন আমাদের সহ অধিকাংশ প্রাণীরই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত ইন্দ্রিয়, সেই চোখের কাজকর্মের মধ্যে আবার রঙ চেনার ক্ষমতা একটা অতি প্রাচীন গুণ – পতঙ্গ থেকে পাখি সবাই এটা পারে। রঙ এতই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস যে, আমাদের আলোকসংবেদী রড কোষের পাশাপাশি রঙ চেনার জন্যই বিশেষ করে তিনরকম কোন কোষ যে আছে তা তো সবাই জানে।
******************************************************************
তা রঙের কথা কেন? আগের পর্বে আমরা দেখেছিলাম মানুষের উদ্ভবের আদিযুগে তাদের বর্ধিত মস্তিষ্ক ইত্যাদি নানা গুণের উপর নিওটেনির প্রভাব, বিশেষ করে এই নিওটেনি কেমন করে নারীদের নানা বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করছে। আরো দেখেছিলাম, আমাদের স্ত্রী-পুরুষ তারতম্য বা ডাইমর্ফিজমের একটা বড় কারণ কারণ হচ্ছে সেক্সুয়াল সিলেকশন, যেখানে যৌনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর রুচি ভিন্ন। অবশ্য আমরা শুধুমাত্র নারীর উপর পুরুষের সিলেকশন, তাও কেবল নিওটেনির প্রসঙ্গেই দেখেছিলাম। আজকে আরেকটু বিশদে দেখব, বিশেষ করে রঙের প্রসঙ্গে।
তবে শুরুতে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেইটাই আগে মেটানো যাক – গায়ের রঙ নিয়ে দুটো কথা বলি। কৃষ্ণকলি নিয়ে রবিবুড়ো দুয়েকটা গান লিখে ম্যানেজ দেওয়ার চেষ্টা করলেও, দুধে-আলতা বরণ মেয়েরাই কেবল সুয়োরাণী হয় আমাদের রূপকথায়। বাঙালি পুরুষ নিজে যেমনই হোক না কেন, বিয়ের সময় যে সুন্দরী (অর্থাৎ কিনা ফর্সা, আমাদের সমাজে) মেয়েই বাঞ্ছা করে সে তো সবাই জানে। এই সামাজিক প্রবৃত্তি, যা আমাদের সমাজে একরকম অভিশাপ বিশেষ, তা সম্পর্কে বিশদে পরে কখনও বলব, তবে যেহেতু আমি তথ্যজীবী তাই আসুন ছোট্ট একটু পরিসংখ্যান দিয়ে আমাদের ধারণাটা মিলিয়ে নিই।
আনন্দবাজারের পুরোনো একদিনের কাগজখানা নিয়ে (যেহেতু স্যায়না ব্যাটারা আজকাল আর অনলাইনে ওই বিজ্ঞাপন দেখায় না) পাত্রপাত্রী বিজ্ঞাপনগুলো উল্টে দেখা যাক নাহয়। জানুয়ারীর শুরুতে নিলাম, কারণ জানুয়ারীর ১৫ মানে মাঘ মাসের শুরু থেকে ‘বিয়ের দিন’ শুরু হয়, অতএব ওই সময়ে অনেক বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়। শ’দুই করে পাত্র-পাত্রী দুটোতেই পেলাম, মন্দ স্যাম্পল না।
তা মনে মনে সবারই সুন্দরীর দিকে ঝোঁক থাকে সে তো ঠিকই, তবে কতজন সরাসরি সুশ্রী/সুন্দরী পাত্রী চেয়েছেন? গুণে দেখি প্রায় ৭২%! তার মধ্যে আবার এক অভিজাত পরিবার “ফর্সা ও সুন্দরী ব্যতীত যোগাযোগ নিষ্প্রয়োজন” বলে সটান ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন; এনাদের সংখ্যাও কম না – ৩১% পাত্রপক্ষের কাছে ফর্সা ছাড়া আর কিছুই রুচবে না বলে প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছেন। সেই তুলনায় শিক্ষিতা (এমনকি উচ্চশিক্ষিতাও না) প্রসঙ্গ তুলেছেন মাত্র ২৯%। এনাদের মন-মানসিকতা কী রকম, তা আর বিশদে বলার প্রয়োজন নেই বোধহয়।
অন্যদিকে, পাত্র চাই-এর মধ্যে সৌন্দর্য্যের প্রসঙ্গ তুলেছেন মাত্র দেড় শতাংশ পাত্রীপক্ষ, ফর্সার চাহিদা তো আরোই কম। বরং ওখানেও ৫০% ক্ষেত্রেই পাত্রী যে ফর্সা এটা তাঁরা জানিয়ে দিতে ভোলেননি। সেই অনুপাতটা, যা দেখছি, যাঁরা ফর্সা পাত্রী চান তাঁদের চেয়েও অনেকটা বেশি।
******************************************************************
বাঙালিদের মধ্যে শ্যামলা রঙের হার বেশ বেশি, যেহেতু বঙ্গের প্রাচীন অধিবাসী দ্রাবিড় বা সাঁওতাল-ইত্যাদি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীরাই – সম্ভবত সংস্কৃত-জাত ভাষাভাষীদের মধ্যে সর্বাধিক কালো আমরাই। দিল্লিতে তো আমাকে তামিলই ধরে নিত লোকজন।
নেহাত ‘আর্য’রক্ত আর কিঞ্চিত চৈনিক মিশ্রণের সুবাদে আমাদের মধ্যে ফর্সাদের উদ্ভব, তাই এখন আমাদের বেশ ফর্সা থেকে বেশ কালো এই বিশালরকম বিস্তৃতি দেখা যায় গায়ের রঙের। তা এই বিশাল অংশ শ্যামলা হওয়া সত্ত্বেও কেন আমাদের এই ফর্সা-লোলুপতা? এবং শুধু পাত্রী চাওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, আমেরিকাতে কালোদের প্রতিও আমাদের অনেকেরই রেসিজম বর্তমান, মূলোদার চমৎকার ‘উদারমানসচরিত’ স্মর্তব্য।
এর উত্তরে দুরকম ব্যাখ্যা বা হাইপোথিসিস দেওয়া হয় সাধারণত। একটা সাম্প্রতিক, আরেকটা প্রাচীন।
(১) সাম্প্রতিক: এটা আমাদের ইংরেজশাসিত হওয়ার ফল। তাদের কলোনিয়াল মানসিকতা আমাদের মধ্যেও ঢুকে গেছে, তারা যেমন বলত যে কালোরা ‘ডার্টি নিগার’, আমরাও সাদাদের সুপিরিয়র মনে করতাম, স্বাধীন হওয়ার পরেও সেই হীনমন্যতা আর অভ্যাস ছাড়তে পারি নি।
(২) প্রাচীন: ইংরেজ-থিওরির প্রাচীন ভার্শন এটা। ভারতে সেই আর্য দখলদারি ও দ্রাবিড়দের দক্ষিণে হটে যাওয়া থেকে আর্যরা তাদের নিচু জাত বা শুদ্র বলে গণ্য করত, আর তাই তাদের সংস্কৃতি যেখানে গেছে সেখানেই কালোদের প্রতি এই মানসিকতা। বাংলাতে বল্লাল সেন আবার এইটা রিইনফোর্স করেন উত্তর ভারত থেকে কিছু সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ ও কায়স্থ আমদানি করে বাংলায় তাদের বসতি করিয়ে ও তাদের কুলীন ইত্যাদি সম্মান দিয়ে।
******************************************************************
কিন্তু এই তত্ত্বগুলোর সমস্যা এই যে, এই নিন্দনীয় অভ্যাসটি বাঙালির একারই সম্পত্তি নয়। বলিউডি গীতে ‘গোরি’র রূপেরই প্রশংসার ছড়াছড়ি কেবল। আমরা যদিও মনে করি যে বাঙালিরাই সবচেয়ে রেসিস্ট, তবে যদি আমাদের নজরটা আরেকটু বিস্তৃত করি, তবে দেখতে পাব ভারতজুড়ে অনেক উদারমনাই তাদের নিজেদের জাতকে সবচেয়ে রেসিস্ট বলে আফসোস করেন। এখানে ব্রিটেনপ্রবাসী এক উত্তর ভারতীয় লিখছেন সেখানের সবচেয়ে বড় দুটি প্রবাসী ভারতীয় গোষ্ঠীকে নিয়ে – পাঞ্জাবী আর গুজরাতি। তাঁকে এক গুজরাতি মহিলা বলছেন, তাঁদের মেয়েদের পক্ষে কোনো আফ্রিকান পুরুষকে ডেট করা খুবই লজ্জার বিষয় হবে তাঁদের সমাজে। কিন্তু অন্যদিকে, “For the Indian male, to sleep with a white woman—do it to a white woman rather, speaking of the feel of it—is a mandatory conquest without which the migration experience is never complete.”
সমাপ্তিতে তিনি বলেছেন, “আমি নেহাতই ভাগ্যবান যে আমি স্বামী খোঁজার অবস্থায় থাকা কোনো শ্যামবর্ণ ভারতীয় মহিলা নই!”
তা নাহয় ওই সায়েব/আর্য ভিত্তিক ব্যাখ্যাগুলো আরেকটু বিস্তৃত করলে উত্তর ভারতীয়দেরও অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যাবে। কিন্তু তার বাইরে?
******************************************************************
আমরা যাদের ফুটফুটে গৌরবর্ণ বলেই ধরব, সেই জাপানিদের মধ্যেও দেখা যায় ফর্সা সম্পর্কে একই রকম আচরণ, এবং বহু প্রাচীন কাল থেকেই – ইউরোপীয়দের সঙ্গে মিলমিশ হওয়ার আগেই! সেই অষ্টম শতাব্দীর জাপানি সাহিত্যেও রূপবান কন্যার বৈশিষ্ট হল দীঘল লম্বা চুল আর ধবধবে ফর্সা রঙ। তাই জন্যই আমেরিকানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া মাত্রই মার্কিন তরুণীদের প্রতি তাদের তীব্র ফ্যাসিনেশন দেখা যায়।
এমনকি, খ্রীষ্টপূর্ব সেই রোমান যুগেও সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা হল মোটামুটি নর্ডিক – শ্বেতপাথরের মত ফর্সা রঙ, ব্লন্ড চুল, গোলাপী টইটম্বুর গাল – যাদের তারা ধরে ধরে দাসী বানাতে খুবই পছন্দ করত। চাচাকাহিনীর লেডি-কিলার পুলিন সরকারও বলেছিল,
আহা সুন্দরী ব্লন্ডিনী
নর্দিশি নন্দিনী...
তাহলে যা দাঁড়াল, বাঙালি বা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ওই ব্যাখ্যাগুলো যদি আংশিক সত্যি হয়ও, সামগ্রিকভাবেই সারা দুনিয়াতে এই যে প্রবণতা, তার জন্য নতুন থিয়োরি দরকার।
আগের পর্বেই বলেছি, প্রাণীজগতে সচরাচর পুরুষরাই সেক্সুয়াল সিলেকশনের লক্ষ্য হলেও, মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টে গেছে – এখানে পুরুষরাই নারীদের উপর সঙ্গমসঙ্গী নির্বাচন চালায়, আর তার ফলে রানঅ্যাওয়ে সেক্সুয়াল সিলেকশনের ঠেলা গিয়ে পড়ে নারীদেরই উপর। আর পুরুষেরা স্বভাবতই চায় রূপযৌবন। তার মধ্যে একটাই মাত্র ফ্যাক্টর – ‘কচি নধর মেয়ে’ –আমরা দেখেছিলাম গতবার। এইবার দেখব রূপ মানে সৌন্দর্য নিয়ে আরেকটু বিশদে। তারপরে নতুন থিয়োরির আলোচনায় যাব।
তা রূপ বিষয়ে পুরুষেরা কতটা লোলুপ, তাই নিয়ে একটা চমৎকার পরীক্ষা নিয়ে একটু বলি। একদল মহিলা আর একদল পুরুষকে নেওয়া হয়েছিল, যারা পরষ্পরের অপরিচিত, এবং অদেখা থেকেই জুড়ি হিসাবে টেলিফোনে কথাবার্তা চালাবে। তবে, তাদের পার্টনার মহিলাদের ছবি এবং বিশদ বায়োডেটা পুরুষদের দেওয়া হয়েছিল আগেই, যদিও অন্য পক্ষকে কিছু দেওয়া হয় নি।
গবেষকরা একটা দারুণ চাল চাললেন – ওই মহিলাদের আসল ছবির বদলে, র্যান্ডম ভাবে অন্য কিছু মহিলাদের ছবি দিলেন ওই পুরুষদের। এবং সেসব ছবির অর্ধেক হল কিছু পরমাসুন্দরী নারীদের ছবি, আর অর্ধেক মামুলি ছবি। এবার পুরুষদের বললেন, কথা শুরু হবার আগেই, যে ছবি ও বায়োডেটা দেখে ওই মহিলাদের আনুমানিক গুণাবলী সম্পর্কে রেটিং দাও।
দেখা গেল, বায়ো যাই বলুক, ছবির সুন্দরী মহিলারাই বেশ সামাজিক, আকর্ষণীয়, বাক্যালাপের উপযোগী বলে রেটিং পেলেন।
এইবার আরো ইন্টারেস্টিং দ্বিতীয় ধাপ। সব জুড়িকে এবার ফোনে খানিকক্ষণ গল্পগুজব চালাতে বলা হল। তা হয়ে গেলে’পর, সেই রেকর্ড করা কথাগুলো থেকে স্রেফ মহিলাদের কথাগুলো নিয়ে, আরেকদল পুরুষকে স্রেফ ওই কথার ভিত্তিতে মহিলাদের গুণাবলী রেটিং করতে দেওয়া হল। চমকপ্রদ ফলাফল – সেই রেটিংগুলো মিলে যাচ্ছে কথাবার্তা শুরুর আগেই ওই অন্য পুরুষদের দেওয়া ছবি-ভিত্তিক রেটিংয়ের সঙ্গে!
যার অর্থ দাঁড়ায়, পুরুষরা যাদের বেশি সুন্দরী মনে করেছে, ফোনে স্বাভাবিক গল্পগুজবের মধ্যে দিয়েই তাদের প্রতি বেশি লুলবৃত্তি করেছে। আর মহিলারাও সেই ইঙ্গিতগুলো ধরে নিয়ে সেইরকমই আচরণ করেছেন, যা প্রকাশিত হয়েছে তাদের কথাবার্তায়। তাই বলা হয়, expectations can create reality.
******************************************************************
বাস্তবিকই, মানবসমাজে রূপ গুণের চেয়েও অনেক বড় প্রাথমিক প্রভাবক। সৌন্দর্য্যকে তাই প্লেটো বলেছিলেন, ‘the privilege of nature’। আমরাও বলি, ‘পহলে দর্শনধারি, পিছে গুণবিচারি।’ আর beauty lies in the eyes of the beholder অর্থাৎ রূপের ধারণা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত, এই প্রবচনকে দুর্বল করে দিয়ে দেখা যায়, দুনিয়াতে মোটামুটি সব জাতিতেই সৌন্দর্য্যের প্রচলিত ধারণাগুলির মধ্যে বেশ মিল আছে। এবং সুন্দর বলে যাদের মনে করা হয় তাদের প্রতি অন্যরা বেশি ইতিবাচক ব্যবহার করে, এবং তারা নিজেরাও নিজেদের সম্বন্ধে বেশি ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ করে, যেন তারা এ বিষয়ে সচেতন (তারা বেশি সেলফ-অ্যাসিওরড, বা অবচেতনে বেশি কনফিডেন্ট)। আর শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নয়, কথা না ফোটা শিশুরাও অবচেতনে এই একই কাজ করে।
স্পষ্টতই, প্রাজ্ঞজনের উপদেশ beauty is only skin-deep-ও লোকে কানে নেয় না বলেই দেখা যাচ্ছে।
তা রূপযৌবন বলতে আমরা কী বুঝি, তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, নানারকম লক্ষণ তাঁরা বার করেছেন যা আমরা সচেতনে-অবচেতনে মেপে চলি কাউকে দেখার মুহূর্তেই। তার মধ্যে, মহিলাদের ক্ষেত্রে নিওটেনির ঠিক বিপরীতে উঠে আসা পুষ্ট স্তন ও নিতম্ব এই অতিরিক্ত যৌনলক্ষণগুলো আমরা গতবারই দেখেছি।
এইবারের বিষয় হল, রঙ কী ভাবে রূপের বড় একটা লক্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গায়ের রঙ, চুলের রঙ, চোখের রঙ।
******************************************************************
একটা ব্যাপার নিশ্চিত, আফ্রিকার তৃণভূমিতে আমাদের যে আদিম পূর্বপুরুষেরা ঘুরে বেড়াত, তাদের গায়ের রঙও (লোমের নয়, চামড়ার) ছিল শিম্পাঞ্জি বা গোরিলার মতই ঘন কালো। তাহলে তাদের থেকে কী ভাবে এত এত সাদা চামড়ার মানুষের উদ্ভব হল, আর কেমন করেই বা সেই সাদা চামড়া সৌন্দর্যের সংজ্ঞার মধ্যে ঢুকে পড়ল?
এর উত্তরে যে ব্যাখ্যা এতদিন ধরে দেওয়া হয়ে এসেছে, তা হল ন্যাচারাল সিলেকশন।
উপরের ছবিটাতে সারা পৃথিবীর নানা স্থানের আদিবাসী গোষ্ঠীদের গায়ের গড় রঙ দেখানো হয়েছে। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বিষুবরেখা থেকে যত দূরে যাওয়া হয়, গায়ের রঙ ততই হালকা হয়।
এটার কারণ হিসাবে এই বলা হয় যে, বিষুব অঞ্চলেই যেহেতু ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ঘন মেলানিন স্তর আমাদের চামড়াকে বাঁচায়, নানা ক্ষতিকর মিউটেশন ও ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে, চামড়ার ভিটামিন বি ভেঙে যেতে দেয় না। কিন্তু যত বাইরের দিকে যাওয়া যাবে, সূর্যালোকের প্রখরতা ততই কমে যায়, রক্ষাকারী মেলানিনের প্রয়োজনও কমে যায়। বরং, যেহেতু আমাদের চামড়ায় সূর্যালোক থেকে অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সংশ্লেষ হয়, ওই অঞ্চলে আলোর তেজ কম বলে কম ভিটামিন পাই আমরা। তাই চামড়ার মেলানিন স্তর কমে যায়, যাতে বেশি আলো আসে আর অল্প রোদেও বেশি ভিটামিন তৈরি করা যায়। তাই ন্যাচারাল সিলেকশনের ধাক্কায় বিষুব অঞ্চল মানে সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে দূরে চলে আসা জনগোষ্ঠীগুলোর গায়ের চামড়ায় মেলানিন অনেক কমে গেল। এটাই কালো রঙ থেকে ওই অঞ্চলে হালকা রঙের চামড়া উদ্ভব হওয়ার কারণ।
(নিচের ছবিটা দেখুন। এক প্রৌঢ় শ্বেতাঙ্গ, আমেরিকান ট্রাক ড্রাইভার, সারা জীবন ধরে বাঁদিকের জানলা দিয়ে মুখে রোদ পেয়েছেন, বাঁদিকটায় তাই বার্ধক্যসুলভ ড্যামেজ কত বেশি দেখুন।)
কিন্তু এই তত্ত্ব, যা আমরা সচরাচর জেনে এসেছি, সাম্প্রতিক সময়ে ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা দেখান, ভিটামিন ডি’র অভাবে রিকেট ইত্যাদি যে রোগের কথা বলা হয়েছিল, তার প্রাদুর্ভাব এতই কম যে ন্যাচারাল সিলেকশনের পেছনে সেটা একটা জোরালো ফ্যাক্টর হিসাবে থাকতে পারে না। অথচ ইউরোপ চীন ইত্যাদি স্থানে একেবারে রানঅ্যাওয়ে সিলেকশনের ঠেলায় প্রত্যেকেরই চামড়া ফর্সা হয়ে গিয়েছিল একেবারে (আফ্রিকার তুলনায়)। তাহলে এত জোরালো ফ্যাক্টর কী হতে পারে?
‘রানঅ্যাওয়ে’ শব্দটা শুনলেই আগের পর্বের অভিজ্ঞ পাঠকের যা ইঙ্গিত পাওয়া উচিত, সেইটাই – সেক্সুয়াল সিলেকশন। এবং আবারও, ডারউইন দাদুই সবার আগে তাঁর বইতে এই ইঙ্গিত করে গেছিলেন।
******************************************************************
এ কথা ঠিক যে, আফ্রিকা ইত্যাদি প্রখর সূর্যালোক অঞ্চলে মানুষ আদি সমস্ত গ্রেট এপ-দের চামড়ার রঙ ঘন কালো থাকা সম্ভবত ন্যাচারাল সিলেকশন। তার পেছনে ইউভি বা অতিবেগুনি রশ্মির কুপ্রভাব যেমন আছে, তেমনই আছে প্রখর সূর্যালোকে সাদা চামড়ায় সানবার্ন হওয়া, যা কোনো আদিম মানুষের থাকলে তাকে খাদ্য সংগ্রহে যেতে বাধা দিত, এবং কোনো শিশুর হলে ঘাম তৈরি ব্যহত হয়ে শরীরের তাপ বেরোনোয় বাধা পড়ে তার মৃত্যু অবধি হতে পারত। বস্তুত, আফ্রিকার দুয়েকটি উপজাতিই পৃথিবীতে অনন্য এ অর্থে যে তারা সাদা চামড়া মোটেই পছন্দ করে না – এমনকি কারো অ্যালবিনো শিশু জন্মালে তাকে দুর্বল বিধায় দূরে ফেলে দিয়ে আসে।
তা চামড়ার রঙ হালকা হয়ে আসার পিছনে কীভাবে সেক্সুয়াল সিলেকশন কাজ করে?
এর উত্তর, মাত্র বাইশ বছর বয়সে – যে বয়সে ডারউইন সবে ধর্মতত্ত্ব পড়া ছেড়ে বীগলে ঘুরতে যাই-যাই এমন আঁট করছেন বাপের ধমক এড়িয়ে – আমেরিকায় পদার্পণের কয়েক মাসের মধ্যেই সবরকম মানবজাতির একটা নমুনা দেখে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ দ্বারা আমি যা ঘোষণা দিয়েছিলাম তাই’ই – সঙ্গীর মধ্যে নারী খোঁজে নির্ভরযোগ্যতা, আর পুরুষ খোঁজে বৈচিত্র।
নারীকে কেন দায়ে পড়ে স্টেবিলিটি খুঁজতে হয় পুরুষের মধ্যে, তা আগের পর্বে দেখেছি। আর পুরুষ কেন বৈচিত্র খোঁজে, সেটাও অনুমান করা শক্ত নয় – আপনি যদি দশটি বেশ ভিন্নরকম জিনসম্ভারের সাথে আপনার জিনকে মিলিয়ে অপত্যের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে পারেন, তাহলে নানা কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের অন্তত কয়েকজনের, এবং ফলস্বরূপ আপনার জিনের, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটাই পলিগ্যামি বা বহুগামিতার মূল কারণ। এই একই যুক্তি নারীদের ক্ষেত্রেও সত্যি হত, যদি না তাদের শিশুপালনের দায়ে পড়ে পুরুষ-নির্ভর মোনোগ্যামির দিকে ঝুঁকতে হত।
পুরুষরা যে বৈচিত্র-লোলুপ, তা খুব সহজেই দেখানো যায়। বিজ্ঞানীরা একদল পুরুষকে পাঁচটা মেয়ের ছবি দেখিয়েছিলেন, যার মধ্যে চারজনের কালো চুল এবং একজনের ব্লন্ড। দেখা গেল, অধিকাংশই ব্লন্ড মেয়েটিকে বেশি পছন্দ করছে। অথচ, যদি চারজন ব্লন্ড ও একজন রেডহেড নিয়ে দেখেন, তখন বেশি পছন্দ হবে লালচুলের মেয়েটিকেই।
******************************************************************
এসবের কারণ অবশ্যই এই যে, রঙ আমাদের একটা খুব প্রাথমিক উদ্দীপক। পাকা ফল বেছে খাওয়া ইত্যাদি নানা দৈনন্দিন আবশ্যিক কাজে সেইটা অপরিহার্য। আর তাই সঙ্গীর থেকে রং-সংক্রান্ত কোনো সিগনালকে আমরা বিশাল প্রাধান্য দিই। মিলনের সময় এলে যে পশুপাখিরা তাদের রঙের ছটা বিস্তার করে এত লাফালাফি করে, সে তো এ জন্যেই।
তাই মনে করুন, ইউরোপের ঠান্ডা এবং কম অতিবেগুনি রশ্মির এলাকায়, যেখানে ঘন মেলানিনের আর প্রয়োজন নেই, এমন জায়গায় যদি রান্ডম মিউটেশনের ফলে কোনো নারীর চামড়ার রঙ কিছুটা হালকা হয়ে পড়ে, তাহলে সঙ্গী হিসাবে তার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে, এবং তার সন্তানরাও হালকা রঙের কারণে তাদের জিন বেশি ছড়াতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ, ন্যাচারাল সিলেকশন যদি হালকা রঙকে বাধা না দেয়, তবে রানঅ্যাওয়ে সেক্সুয়াল সিলেকশনের ঠেলায় সেটাই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
এখানে দুটো প্রশ্ন করা প্রয়োজন।
(১) প্রথমত, এমন হলেও, মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র (ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাসর্টমেন্ট) বলে যে গুণগুলো পৃথকভাবে সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, এবং কোনোটা রিসেসিভ হয়ে প্রথম প্রজন্মে পুরো হাপিস হয়ে গেলেও দ্বিতীয় প্রজন্মে আবার অবিকৃত ভাবে ফিরে আসতে পারে। তাহলে গায়ের রঙের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় বা চিনাদের মধ্যে তেমনটা হল না কেন?
এর উত্তর, গায়ের রঙের পেছনে যে মেলানিন আছে তা ঠিক ওভাবে কাজ করে না। মনে করুন মেলানিন উৎপাদন করে একটা জিন। সেটা অন্য সব জিনের মতই, আপনার একজোড়া ক্রোমোজোমে দুখানা আছে। এবং, মূল ব্যাপার এই যে, তারা ডমিনেন্ট বা রিসেসিভ নয় – তারা মিলেমিশে কাজ করে। একটা যদি ৩ ছটাক আরেকটা ৭ ছটাক মেলানিন বানায়, তাহলে মিলেমিশে গড়ে আপনার দেহে ৫ ছটাক মেলানিন দেখা যাবে।
এবার ধরুন ঠিক আপনার মতই অন্য কারো সাথে আপনার মিলনে একজন সন্তান হল যে দুজনের থেকেই ৩ ছটাক মেলানিন বানানোর জিনটা পেল। তাহলে তার দেহে গড়ে ৩ ছটাকই মেলানিন উৎপন্ন হবে, এবং সে বাকিদের চেয়ে ফর্সা হবে। অতএব তার চাহিদা বাড়বে ওই পপুলেশনে, এবং ৩ ছটাক মেলানিনের জিনটাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, ৭ ছটাকের জিনটাকে ডাউন দিয়ে। ক্রমে সবার মধ্যেই সেটা পৌঁছে যাবে। অতএব একবার মিউটেশন হয়ে ৭ ছটাকের তুলনায় ৩ ছটাক মেলানিনের জিন উদ্ভব হলে, সেটা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না।
(২) দ্বিতীয়ত, গায়ের রঙের উপর পুরুষদের সিলেকশনের ধরন তো দেখলাম, কিন্তু মহিলাদের এই বিষয়ে সিলেকশনের প্রবৃত্তি কী রকম? তারা যদি অন্যরকম ধারা ধরে, তবে তো ব্যাপারটা ঘেঁটে যাবে!
উত্তর: আমরা শুরুতে যা দেখেছিলাম বাঙালিদের ক্ষেত্রে, সর্বত্রই মহিলাদের সেটা সাধারণ ধারা – তারা গায়ের রঙ ইত্যাদি কম প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না, পাত্র ‘সুপ্রতিষ্ঠিত’ কিনা সেটাই সবাই চায়। অতএব পুরুষরা রঙের উপর যে সিলেকশনের ঠেলা দিচ্ছে, তাতে তাদের কোনো বাধা নেই।
******************************************************************
চট করে আরেকটা জনপ্রিয় পরীক্ষা দেখে নিন, পাঠক, নিচের ছবিটার দিকে তাকিয়ে। কোনটা ছেলের আর কোনটা মেয়ের মুখের ছবি?
সবাই বলবেন, বাঁ দিকেরটা মেয়ের আর ডান দিকেরটা ছেলের। কিন্তু কেন? যে গবেষকরা এই ছবিদুটো বানিয়েছেন, তাঁরা একটাই ছবি নিয়ে সামান্য হেরফের করে দুটো ভার্শন বানিয়েছেন, অতএব স্পেশাল কোনো পুরুষসুলভ দৃঢ় চোয়াল ইত্যাদি ক্লু নেই আমাদের জন্য। তাহলে কী দেখে আমরা সবাই একই উত্তর দিচ্ছি?
আরেকবার ভালো করে দেখলে আপনারা নিজেই ধরতে পারবেন, বাঁ দিকের ছবিটায় কেবল ডানদিকের চেয়ে একটু ব্রাইটনেস বাড়ানো, মানে হালকা রঙের। কিন্তু সেটাই সব নয় – আরেকটা মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্লু, যেটা আপনার অবচেতন মন ধরতে পারলেও সচেতন মন হয়ত বলতে পারছে না, সেটা হল – ‘মেয়ে’টির ছবিতে মুখের বাকি অংশের সঙ্গে চোখ ও ঠোঁটের কনট্রাস্ট বাড়ানো। অর্থাৎ, তার মুখের বাকি অংশ ‘ছেলে’টির ছবির তুলনায় হালকা রঙের হলেও, চোখের চারপাশ ও ঠোঁট বেশি গাঢ় রঙের। দুটো ছবির ব্রাইটনেসের বিয়োগফল দেখলেই ব্যাপারটা বোঝা যাবে।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার, কারণ যদি এই ‘ফেশিয়াল কনট্রাস্ট’ ব্যাপারটা যোগ না করা হয়, তাহলে কিন্তু স্রেফ হালকা-গাঢ় রঙের তারতম্য করলে লোকে ছবিদুটোয় ছেলে-মেয়ের তফাত করে না।
এইবার ভেবে দেখুন, মহিলাদের প্রসাধনীদ্রব্য ঠিক এই কাজটাই করে না কি? চোখের চারিপাশে কাজল টেনে চোখটাকে হাইলাইট করা হয়, ঠোঁটে লাল রঙের লিপিস্টিক দিয়ে ঠোঁটের সঙ্গে গালের কনট্রাস্ট বাড়ানো হয়, এবং একই সঙ্গে আরেকটা দিকও ম্যানেজ করা হয় – নিওটেনি – কারণ চকচকে, গোলাপি-লাল ঠোঁট হচ্ছে, ‘কচি ঠোঁট’ যাকে আপনি সারারাত চুম্বন করে করে লালা-চা পান করতে লোলুপ থাকেন, তারই ইঙ্গিত। আর গালে স্নো (ট্যালকম পাউডার) বা ব্লাশ দিয়ে যে হালকা রঙের rosy cheeks আনতে চান, সেটাও কিন্তু এই ব্যাপার – গালের ব্রাইটনেস বাড়ানো আর একই সাথে শিশুসুলভ টোপাটোপা নরম লাল গাল আনার চেষ্টা।
অর্থাৎ মেক-আপ আর কিছুই নয়, এই ‘নারীসুলভ’ ফিচারগুলো হাইলাইট করে যৌবনবতী সাজার চেষ্টা। আর এগুলো বেশি করে চোখে পড়ে মানে দৃষ্টিকটু হয় যখন বৃদ্ধারা তেড়েফুঁড়ে মেকাপ করেন – নিচের সোফিয়া লোরেনের ছবিটা দেখলেই প্রতিটা ফিচার খুব স্পষ্ট নজরে পড়বে। অনেকে তো এত টকটকে লাল ঠোঁট বানান যে পরশুরামের ভাষায় যেন ‘তাড়কা রাক্ষসী সদ্য ঋষি খেয়েছে’।
******************************************************************
তাহলে, গায়ের রঙের ইতিহাস খুব সংক্ষেপে:
মধ্য (সাব-সাহারান) আফ্রিকায় নানা কারণে আদিম মানুষ ও গ্রেট এপ-দের মধ্যে ন্যাচারাল সিলেকশনের জন্য কালো রঙ এক্কেবারে ফিক্সড। কিন্তু তারা যখন উত্তরদিকে মানে এশিয়া মাইনর/আরবে এবং তা থেকে আরো উত্তর-পশ্চিমে ইউরোপ এবং উত্তর-পুর্বে মধ্য/পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল, তখন সেই ফ্যাক্টরগুলোর চাপ কমে যাওয়ায়, পুরুষদের হালকা রঙের প্রতি আকর্ষণ জনিত কারণে পপুলেশনে হালকা চামড়ার অনুপাত বাড়তে লাগল, এবং ক্রমে রানঅ্যাওয়ে সেক্সুয়াল সিলেকশনের ঠেলায় গোটা পপুলেশনেরই চামড়ার রঙ বদলে যেতে লাগল। এরই মাঝপথে, মধ্য/পূর্ব এশিয়া থেকে হালকা বাদামি চামড়ার লোকজন পলিনেশিয়া/অস্ট্রেলিয়া ও বেরিং প্রণালী হয়ে আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। এবং সেক্সুয়াল সিলেকশন একটা প্রবল শক্তি বলেই, তারা আবার ক্রান্তীয় অঞ্চলের কাছাকাছি ফিরে যাওয়া সত্ত্বেও তাদের গায়ের রঙ আবার ঘন কালো হয়ে যায় নি। শুরুর ওই ছবিটায় ব্রাজিল ইত্যাদি অঞ্চলে তাকিয়েই দেখুন না।
এবং পুরুষেরা একাধিক কারণে হালকা রঙের প্রতি আকৃষ্ট। তার একটা হল বৈচিত্র কামনা, তা আগেই বলেছি। তাই আজকালকার সায়েব সমাজে আবার গমরঙা ভারতীয়/ল্যাটিনা নায়িকাদের ভারি কদর। আরেকটা হল, যথারীতি, নিওটেনি – বাচ্চারা যখন জন্মায়, তখন তাদের গায়ের রঙ কেমন ফুটফুটে গোলাপি থাকে, কিন্তু বয়সের সাথে সাথে গায়ের রঙ কালোতর হতে থাকে। তাই হালকা রঙও কচিত্বের লক্ষণ – বস্তুত, সিলেকশনের ঠেলা এমনই, মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে নারী-হরমোনগুলোর প্রভাবে তাদের রঙও সামান্য হালকা হয়, চামড়ায় ফ্যাট বাড়ার কারণে। আবার অবস্থাগতিকে মেয়েদের মাঠেঘাটে কাজ করা কমল আর বাসায় থাকার দায় বাড়ল, তাই তাদের রোদেজলে খাটার অর্থাৎ মেলানিনের সুরক্ষার প্রয়োজনও কমল (যারা মাঠেঘাটে খাটে, তাদের চামড়া ট্যান হয়ে যায়, দেখেননি?)। সব মিলিয়ে, প্রতিটি জনগোষ্ঠীতেই মেয়েদের গড় মেলানিনের পরিমাণ পুরুষদের চেয়ে বেশ খানিকটা কম, মানে তারা বেশি ফর্সা।
লেখাটা ইতিমধ্যেই অনেক লম্বা হয়ে গেছে, কিন্তু রঙের প্রসঙ্গে এসে চুলের/চোখের রঙের কথাটা না বলা অন্যায়ই হবে। তাই অল্প করে আলোচনা করি।
কটা চোখ বা ‘বেড়ালচোখ’ এর সঙ্গে আমরা সবাইই অল্পবিস্তর পরিচিত আমাদের দেশে, না হলেও বিদিশি নায়কনাইকা যেমন এলিজাবেথ টেলরের ঘননীল চোখ বা কেট উইন্সলেটের সবুজ চোখ সকলেই চেনেন।
একাধিক জিন এর পেছনে দায়ী, তবে সংক্ষেপে বলা যায়, আমাদের চোখের মণির যে ঘন খয়েরি, প্রায়-কালো রঙ, তাও আসে সেখানে জমা মেলানিন থেকেই। কারো চোখে মেলানিন কম উৎপাদিত হলে হালকা বাদামী (honey/olive বলে ইঞ্জিরিতে), আর একদমই না হলে ধূসর/নীল/সবুজ, অন্য কিছু পদার্থের হেরফেরে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, কেন আমাদের এদিকে প্রায় সবারই চোখ কেবল কালো, আর রঙিন চোখ কেবল উত্তর ইউরোপের ফর্সা সায়েবদের মধ্যেই দেখা যায়। ইউরোপে ওই জিনগুলোয় মিউটেশন শুরু হবার পর, পুরুষদের বৈচিত্রের লোভের টানে পপুলেশনে ছড়িয়ে পড়ে ভালোরকম, সেই পুরোনো গল্প।
(আর ইয়ে, চোখের রঙ তাই মোটাদাগে মেন্ডেলের সূত্র মেনে চলে, যেখানে নীল রঙ হল রিসেসিভ। বুঝতেই পারছেন, আপনার দু কপি জিনের প্রতিটাই যদি চোখকে মেলানিন দিতে গররাজি হয় তবেই চোখের নীল রঙ আসবে।)
রঙিন চোখের ক্ষেত্রে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ফিচার খুব সহজে ধরা পড়ে। মণির চারপাশে একটা কালো বর্ডার দেখতে পাচ্ছেন? ওইটাকে বলে লিম্বল রিং। বাচ্চা বয়সে বেশি থাকে, বয়স বাড়লে সেটার ঘনত্ব কমে যেতে থাকে। এইটাও নিওটেনির ইঙ্গিত, এবং তাই আমরা বিবর্তিত হয়েছি লিম্বল রিংকে পছন্দ করতে করতে। এতটাই, যে নকল রিং-ওয়ালা কনট্যাক্টও বিক্রি হয়, চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে!
******************************************************************
চুলোচুলি করে শেষ করি। চুলের রঙও আসে মেলানিন থেকেই, তাই চোখেরই মত, মূলত উত্তর ইউরোপিয়ান মেলানিন-অভাবী সায়েবদের মধ্যেই ব্লণ্ড-প্ল্যাটিনামব্লণ্ড- ব্রুনেট এইসব দেখা যায়।
(ব্রুনেট বলতে এরা কখনও খয়েরি, কখনও গাঢ় খয়েরি, প্রায়-কালো বোঝায়, পাঠক একটু সাবধান থাকবেন।)
মোটামুটি, চোখের মতই, স্ক্যান্ডিনেভিয়া/উত্তর ইউরোপের বাইরে চুলের রঙের বৈচিত্র দেখা যায় না। কারণ, যদি শুরুতে কোনো ওইরকম মিউটেশনের উদ্ভব না-ই হয়, সিলেকশন কাজ করবে কী করে? তবে, চুলের ক্ষেত্রে ওরকম নতুন মিউটেশনের উদ্ভব অন্তত দুবার দেখা গেছে, যেখানে সেটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পেরেছিল, অবশ্যই লুল্পুরুষদের ঠেলায়। এক হচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে পলিনেশিয়া বিশেষত পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ব্লণ্ড চুলের একটি ধারা, যা ইউরোপ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। আর দ্বিতীয়, ব্রিটেনের উত্তর অংশে লাল চুলের উদ্ভব (শার্লক হোমসের বিখ্যাত গল্পটা মনে আছে নিশ্চয়ই?)।
পাদটীকা:
(১) এবারও যা দেখা গেল, রং-সংক্রান্ত সিলেকশনেও মূলত পুরুষদেরই দাপাদাপি। সেক্সুয়াল সিলেকশনের মধ্যে নারীরা কীভাবে প্রভাব ফেলে, তার ঠেলায় ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’ থেকে ‘স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম দেবা না জানন্তি’ এতসব প্রবাদের উদ্ভব কেন, পরের পর্বে দেখব নাহয়।
(২) Social stereotypes create their own reality – কথাটা বড় খাঁটি!
(৩) এবারে মোট ১৯টা ছবি আছে, সব দেখা যাচ্ছে কিনা বলুন...
মন্তব্য
তবে ফুটফুটে গৌরবর্ণ নিয়ে আমি বাপু মাথা ঘামাতে যাই না, আমার কাজলকালো ডাগরচোখের শ্যামা বালিকাদের পছন্দ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আয়না নিয়ে বসে থাকোগে যাও!
চোপরাও।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ডুপ্লিপড়তে পড়তে পড়তে-----
শেষ করলাম। ভালো লিখেছো, পাচঁ তারা দিয়েছি।
তুমি খুব ভালো মাস্টার মশাই হতে পারবে, তবে বেশী ছাত্র-ছাত্রী পাবেনা। কারণ ক্লাসের বেশীর ভাগ ছাত্র-ছাত্রীই তো আমার মতো ফাঁকিবাজ তাই!
--------------------------------------------------------------------------------
হ্যাঁ, বহুত লম্বা হয়ে গেছে!
আপনি আসলেই ফাঁকিবাজ, আমার একটা হিল্লে করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কত আগেই, এখনও কোনো নামগন্ধ দেখলুম না!
এমন সুন্দর কৃষ্ণের মতো চেহারা গো তোমার! ভেবেছিলাম গোপিনীদের নিয়ে ভালোই সময় কাটাচ্ছো। তো এতদিনেও যে রাধার দেখা পাওনি তা কী আমি জানতুম?
রাধা পরের কথা, আমার চেহারা দেখে একটা গাধাও ভোলেনা!
খুব ভালো!
আচ্ছা, একটা ব্যাপার নিয়ে একটু চিন্তা হয়, পারলে অন্য লেখায় ব্যাখ্যা দিশ-
দ্যাখ, ছেলেরা যে চেহারা দিয়েই সংগী নির্বাচন করে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহই নেই, যত বুদ্ধি আর গুণই থাকুক, ছেলেটা একজন সাধারণ দেখতে মেয়ে বাদ দিয়ে সবসময় সুন্দরী ইরানি মেয়েই পছন্দ করবে। এটা এতই সত্য যে না মানতে চাওয়া মূর্খামী।
কিন্তু, কিছু কিছু ছেলে (এবং অধিকাংশ সুন্দরী বুদ্ধিমতী মেয়ে) কে দেখতে পাই, সংগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা আসলেই চেহারাকে প্রাধান্য দিচ্ছে না, গুরুত্ব দিচ্ছে গুণ/সাফল্য কে। তাহলে এই ছেলেগুলোর আচরণ কে কিভাবে বাখ্যা করবি? এরা কি বেশি ইভল্ভড নাকি বেদম বোকা?
আর, আরেকটা কথা। এই যে কালো কালো লোকগুলো, ধরে ধরে সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করে, আর তাদের ছেলেপুলে গুলো হয় কালো কোলো, সেটা কি ওই সুন্দরী মেয়েটার জন্য একটা সমস্যা না? মানে এমন তো অনেক দেখি, যে একটা সাধারণ দেখতে মেয়ের, একজন অসাধারণ দেখতে মা আছে। এবং মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে যখন নাস্তা-নাবুদ হতে হয়, তখন ওই অসাধারণ দেখতে মা খুব চোখের জল ফেলেন আর মন খারাপ করেন। তো, এই মন খারাপটা না করে, দেখতে ভালো কোন লোককে বিয়ে করলেই কি ওই মহিলার বেশি সুবিধা হোতো না?
লিখতে থাক, পড়তে খুব দারুণ হচ্ছে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
হুমম
আগের পর্বের ডিসক্লেমারটা এখানেও কন্টিনিউড, "যদি বলি যে কবিরা ন্যাকা পাঠিকা পছন্দ করে, তার মানে যেমন এই নয় যে প্রত্যেক কবিই তাই চায়, তেমনই এখানের বলা কথাগুলো যে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সত্যি তা নয়, তবে সাধারণভাবে অনেকের মধ্যে দেখা যায়, বা বিবর্তনকে ঠেলা দেওয়ার মত যথেষ্ট প্রকট।"
তাই সব ছেলে (মেয়েদের কথা বাদই দিলাম, চেহারা তাদের ক্ষেত্রে প্রধান বিবেচ্য নয়, দেখলামই তো) যে সুন্দর চেহারাই কামনা করে এমন না, তবে এটা যথেষ্ট ফ্রিকুয়েন্ট, পপুলেশনে সিলেকশন প্রেশার দেওয়ার মত।
আর সুন্দর চেহারা কামনা করা যদি আদিম ইমপালস বলে ধরা যায়, তাহলে যারা সেটা ছাড়িয়ে গুণ/বুদ্ধিকে বিবেচনায় ধরে, তারা বেশি হুঁশিয়ার/বুদ্ধিমান (বা বেশি ইভল্ভড, এক অর্থে) বলা যেতে পারে বইকি।
আর কালো লোকেদের মেয়ে কালো হওয়া কিন্তু বাধ্যতামূলক না! মেয়েরা এমনিতেই খানিকটা ফর্সা হয় ছেলেদের তুলনায়, অতএব ফর্সা মায়ের কল্যাণে এবং মেয়ে বলে তারা কিন্তু খানিক ফর্সাই হবে।
'মেয়ের বিয়ে দেওয়া' দায়টাও সাম্প্রতিক, কিছু কিছু সমাজের সাইড এফেক্ট, অতএব সেটা নিয়ে আগেভাগেই বিবেচনা করার মত বিবর্তিত কেউ হয়নি মনে হয়!
তাছাড়া, বিয়ে দেওয়া ব্যাপারটা স্রেফ গায়ের রঙের উপরেও নির্ভর করে না, করে 'প্রতিষ্ঠিত' বাবার অবস্থান মানে টাকাপয়সা প্রতিপত্তির উপরেও। মিঁয়াদাদের ছেলের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের মেয়ের বিয়ের ছবিটা দেখেছিস নিশ্চয়ই? কালোকোলো মেয়ে, কিন্তু হাঁটু অবধি সোনার নেকলেস পরে কেমন পোজ দিচ্ছে? এখানে তো বাবার ধনসম্পদ প্রতিপত্তিই আসল। অতএব মায়েদের ওই স্ট্র্যাটেজিও মন্দ না কিন্তু।
একেবারে মনে হলো কেউ আমার মায়ের মনের কথা বলছে। অসাধারণ সুন্দরী আম্মুর সাধারণ মেয়ে নিয়ে যেই ভোগান্তি সেটা আর বলার মতো না। আমার রুচিশীল গুণী আপুর গায়ের রঙ শ্যামলা তাই তার জন্যে ছেলে পাওয়া যাচ্ছে না। আম্মু এইজন্য সব দোষ আব্বুকে দেয় কারণ আব্বু কালো আর আমার আম্মু খুব বেশি ফর্সা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
প্রথমেই একটা বর্ণবাদী মন্তব্য, "তোর কী হবে রে কালিয়া?"
দেখা যাচ্ছে ফর্সা রঙের প্রতি আগ্রহের জন্য বিশেষ কালচার কিংবা শিক্ষাকে দায়ী করা যাচ্ছে না। অনেকটা এভাবে বলা যায়, "আমরা এমনই"। এটাতো হতাশার ব্যাপার হয়ে গেলো।
বিষুব রেখার উপরের দেশগুলোতে বুঝলাম বৈচিত্রের অজুহাতে হালকা রঙ জনপ্রিয় হয়ে গেছে। তাহলে এশিয়ার মাঝে এই ব্যাপারটা এলো কেন? এমনকি তামিল সিনেমায়ও দেখি দারুণ ফর্সা নায়িকা! ব্যাপারটা অনেকটা ন্যাচারাল সিলেকশন গায়ের রঙটাকে হালকা হতে দেয়নি, কিন্তু রান অ্যাওয়ে সিলেকশন এদিকের মানুষের মনে ফর্সা রঙের প্রতি ক্রেভিং তৈরী করে দিয়েছে!
যাই হোক, লেখাটা ভালো হয়েছে। দীর্ঘ বলে হয়ত মাঝে মাঝে মনোযোগ হারিয়ে গুলিয়ে ফেলেছি। আরেকবার পড়তে হবে পরে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমার কী হবে তা তো জানিনা, তবে কিছুই যে হচ্ছেনা তা তো দেখতেই পাচ্ছি!
হুমম, উপরে আরেকজনও হতাশা প্রকাশ করে গেল, কী করা! আমরা বড়জোর যেটা করতে পারি, এই হতাশাজনক ব্যাপারগুলো কেন আছে আমাদের সমাজে, সেটা খুঁজতে পারি... তাই গতবার বলে দিছিলুম, "এই আলোচনায় আমরা নানা দুষ্প্রবৃত্তির ব্যাখ্যা পাওয়ার চেষ্টা করব – সেটা হবে এক্সপ্ল্যানেশন, জাস্টিফিকেশন নয় – অতএব সেই আনন্দে লুল্পুরুষদের বগল বাজানোর কিছু নেই।"
এটাকে এভাবে বলা উচিত, ন্যাচারাল সিলেকশন গায়ের রঙটাকে হালকা হতে দেয়নি, কিন্তু যে প্রবৃত্তি থেকে সেক্সুয়াল সিলেকশন আসে, সেগুলো ঠিকই বজায় রয়েছে।
"হালকা রঙ জনপ্রিয় হয়ে গেছে" এর চেয়ে বলা ভালো, হালকা রঙ ফ্রিকুয়েন্ট হয়ে গেছে।
হ্যাঁ, লম্বা, তায়ে অনেক কিছু চেপেচুপে একসাথে ঢোকানো।
কোন জায়গাগুলো স্পেশালি ঢিলে হয়েছে, বলা যায়?
গায়ের রঙের ইতিহাস খুব সংক্ষেপে... এর প্রথম প্যারাগ্রাফটা ছবির সাথে মিলিয়ে পড়তে তেমন সুবিধা হয়নি। তবে মূল ব্যাপারটা মনে হয় লেখার দৈর্ঘ্যই, কারণ যত ঝামেলা হয়েছে লেখার শেষ দিকে এসে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খাইছে! দুনিয়াটা বড়ই জটিল। তাইলে আর বাঙালির দোষ কী, দোষ তো তার জীনের
লেখায় পাঁচতারা। যদিও একটু বড় হয়ে গেছে, কিন্তু এত জটিল জিনিস কীভাবে লেখে মানুষ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বাঙালির দোষ হল, বাস্তবকে অস্বীকার করা। কারণ বাঙালি হচ্ছে একটা অ্যাডমিক্সড জাতি। তবে এটা নিয়ে পরে বিশদ বলব।
এত জটিল জিনিস লোকে রিসার্চ করে রেখে দিয়েছে, আমি স্রেফ ছোট করে গুণেগেঁথে লেখাটা বানালুম...
আমি মাঝে মাঝে বলি, বাঙালি হল ধর্ষিত জাতি। এত মিশ্রণ মনে হয় না আর কারও হয়েছে!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এশিয়া, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া একটা বিরাট মেল্টিং পট, অতএব এত মিশ্রণের ব্যাপারটা সম্ভবত সত্যিই।
শরদিন্দুর একটা বড়গল্প ছিল, এক পাগলা বৈজ্ঞানিক বৃদ্ধ লোকেদের মাথার কামিয়ে মাথার ছাঁচ নিয়ে কী সব বের করতেন, তাতে একটা অংশ ছিল যেখানে উনি সেইরকম একটা লম্বা ফিরিস্তি দিচ্ছেন - মনে কর তোমার প্র-প্র-মাতামহী ছিলেন একজন আফ্রিকান, তাকে একজন পর্তুগিজ কাপ্তেন জাহাজে তুলে এনে ধর্ষণ করে, তারপর তার মেয়েকে এক আরাকান জমিদার কিনে নেয়... ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু বলার পর সেই যুবক ভীরু ভাবে প্রশ্ন করে, অ্যাঁ, তার মানে আমার জন্মের ঠিক নেই? উনি বলেন, নাহ, আমাদের কারোরই জন্মের ঠিক নেই!
যে শুনছিলো সে আঁতকে উঠে বুড়ো বৈজ্ঞানিককে বললো, "বলেন কী, আপনার বংশেও এরকম কেচ্ছা আছে নাকি?
নির্বিকারে বুড়ো কইলেন, "আছে, আমার বিশ্বাস আমার মধ্যে হুণ প্রভাবই অধিক।"
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইন্টারেস্টিং!
নৈষাদদা, ডকিন্সের লেখা সেলফিশ জিন না পড়ে থাকলে অবশ্যই পড়ে দেখবেন। আমার কাছে পিডিএফ আছে, চাইলে পাঠাতে পারি। আর নিউমার্কেটের বুকওয়েব বা জিনাতে একটা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। আপনার মন হরণ করবেই, গ্যারান্টিড।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আমাকে পাঠাবেন? shanto_eee অ্যাট yahoo ডট com
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বেশ, পাঠিয়ে দিলাম।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আসলেই! আমার নিজের কাছে পার্ট-১ এর ব্যাপারটা সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লেগেছিল জানার পর।
ভালো লাগলো, পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ
আহা সুন্দরী ব্লন্ডিনী
নর্দিশি নন্দিনী... আহা!
#রঙয়ের দুনিয়ায় এতো বিচিত্রতা জানা ছিলনা কৌস্তভদা- একটা ব্যাপার নিশ্চিত, আফ্রিকার তৃণভূমিতে আমাদের যে আদিম পূর্বপুরুষেরা ঘুরে বেড়াত, তাদের গায়ের রঙও (লোমের নয়, চামড়ার) ছিল শিম্পাঞ্জি বা গোরিলার মতই ঘন কালো।
#দারুনস! অনেক সুন্দর পোষ্ট, ভাল থাকুন সবসময়।
………………………………………………………
শুরু ছিল তাই শেষ ও হল
তাই এমন শক্ত হলাম বুঝি!
ছাড়ছি ধীরে ধীরে চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস
ক্ষনিকেই বের হয়ে গেল
আহ! বড্ডো সেলুকাস
জেনে রেখো, হারিয়ে যাওয়া প্রিয়
আমাতেই ছিল তোমার দীর্ঘ বসবাস।
রঙের দুনিয়ায় সত্যিই অনেক বিচিত্রতা। আর আজকাল তো স্বাভাবিক বৈচিত্র না থাকলেও কৃত্তিমভাবে তা সৃষ্টি করা অতি সহজ। ভেবে দেখুন না, আপনার সামনের রাস্তা দিয়ে যদি আগুনে-কমলা রঙের চুল ডাই করা কেউ হেঁটে যায়, আপনাদের নজর তো পড়বেই তার উপর।
দারুন। অনেক সুন্দর ও রঙিলা পোস্ট। ভালো লাগলো লেখাটা। আবার পড়ে কমেন্ট করবো; আপাতত দ্রুত পড়ে গেলাম।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
থ্যাঙ্কু। লম্বা জিনিস, ধীরেসুস্থে পড়বেন। সেই সুবিধার্থেই তো পার্টে ভেঙে দেওয়া।
কোন কথা হবে না বস। পাঁচতারা দেগে শেয়ার দিলাম। টানের উপ্রে পড়লাম। সময় করে আবার পড়ব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাবারে, বস-টস বললে ভয় পাই
খুব মজা পেলাম।
এরকম আরো চাই।
থ্যাঙ্কু। আরো দুয়েক পর্ব হবে মনে হচ্ছে।
ভাল্লাগসে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শুনেও ভাল্লাগলো
ধরুন ক্যামেরার মধ্যে প্রান সঞ্চার হল, তারা বংশ বিস্তার শুরু করল। প্রাণীটা অবশ্যই চোখ-সর্বস্ব হবে। এখন ধরুন পুরুষ ক্যামেরা ফটো সাংবাদিক, রোদে ঘুরে ছবি তুলে। স্বভাবতই সে কম স্পীড এর ফিল্ম (অ্যানালগ যুগে থাকলাম) ব্যবহার করবে, মেয়ে ক্যামেরা স্টুডিয়োতে ছবি তুলে, আলো কম, তাই তাকে ফাস্ট ফিল্ম ব্যবহার করতে হয়, তার লেন্স ও ফাস্ট, কম আলোতে ফোকাস করতে তার সমস্যা হয়না। রোদে ঘুরে ফিরে ছেলে ক্যামেরা ঘরে ফিরে কালো বউকে আর ফোকাস করতে পারেনা, এখানে সেখানে আলোর বীম ছুঁড়ে, অগো তুমি কৈ?
আমিত তোমারে দেখি, তুমি আমারে দেখনা ক্যান?
ঐ, তুই নাকি বউরে খুইজা পাসনা?
পুরুষ ক্যামেরা লজ্জা পায়। দেখা যার কাজ সে না দেখলে কিভাবে হয়। দেখার জন্যই সে টাকা পায়, সে তো আর পকেটমার না। খেয়াল করে সে দেখল সাদা ক্যামেরা কম আলোতে ঠাহর করতে তার সমস্যা হয়না। সে ঠিক করল, সাদা কামেরার সাথে ছেলের বিয়ে দিবে, নইলে ছেলেকেও একই লজ্জায় পড়তে হবে।
মেয়ে ক্যামেরা মেয়েদের আড্ডায় কালো ক্যামেরাদের একই সমস্যা শুনল। সেও ঠিক করল ছেলের বিয়ে সাদা ক্যামেরার সাথে দিবে। শিশু ক্যামেরা যারা ভালমত ফোকাস করতে পারেনা, তারাও সাদা মাকে সহজে ফোকাস করতে পারবে।
যুগ পালটাল। মেয়ে ক্যামেরাও এখন ফটো সাংবাদিকের কাজ করে, ছেলে ক্যামেরাও স্টুডিয়োতে ছবি তুলে। দুপক্ষেরই এখন লাইট সেন্সর ফাস্ট, লেন্স ফাস্ট। কিন্তু পুরানো গল্প নিজের অজান্তে রক্তে বয়ে যেতে লাগল- 'আমার বড় দাদা লজ্জা পাইসিল...'
উদ্ভট মন্তব্য করলাম আবার। কিছু মনে নিয়েন না বস।
এ ইউসুফ
আপনার এবারের চিন্তাটা অত উদ্ভটও হয়নি
কোথায় যেন পড়েছিলাম, মনে পড়ছেনা রেফারেন্স তাই ভেরিফাই করে লেখায় দিতে পারলাম না - যেহেতু মুখের এক্সপ্রেশন চেনা আমাদের পক্ষে খুবই জরুরী, তাই মুখের ফেশিয়াল কনট্রাস্ট বাড়লে সেটা আমাদের পক্ষে দেখে বুঝতে সুবিধা - এইটা ফেশিয়াল কনট্রাস্ট বাড়ানোর পক্ষে সিলেকশনের একটা হেতু। তাই মুখ হালকা হলে আর চোখ-ঠোঁট গাঢ় হলে সুবিধা। এখন দেখেন, ফোটোগ্রাফাররাও ঠিক একই নীতির উপর কাজ করে - তাদেরও ছবিতে সব কিছু পষ্ট ফোটাতে ভালো আলো দরকার, আর মুখের ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্ট বেশি হলেই ভালো।
এই কথাগুলো লেখায় দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু হয়ে উঠল না।
মেয়েরা মুখের এক্সপ্রেশন নিয়ন্ত্রণ বা তৈরি করার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বেশি দক্ষ, সেটা কি এখানে প্রাসঙ্গিক?
মেয়েরা মুখের এক্সপ্রেশন চেনায়ও বেশি দক্ষ
ঘুরায়া প্যাঁচায়া লোলুপ কৈলেন মনে হয়?
আমরা সিরাজুদ্দৌলার বংশধর, আমাগো রুহ পরিষ্কার কুনো ময়লা নাই।
..................................................................
#Banshibir.
হ, তাইতো আপনে কল্লালোলুপ
হ
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
চমৎকার একটি পোষ্ট বস।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পর্বগুলো চমতকার হচ্ছে কৌস্তুভদা । আগেরটা ততক্ষণাত পড়েছিলাম, কিন্তু দীর্ঘ মন্তব্য করবো বলে রেখে দেওয়ায় আর হলো না, কী যে ব্যস্ত দিন যাচ্ছে, বাজে একটা চাকরি নিয়েছি।
আচ্ছা এই সিলেকশনকে ফাকি দিয়ে নিজের পছন্দ নিজে তৈরী করে তো কিছুলোক নেয়, তার শতাংশ কেমন হবে? সেক্ষেত্রে রুচি নির্ধারিত হয় মানবতা আর মূল্যবোধ দিয়ে। সেটাও একসময় জিতে যেতে যেতে সিলেকশনটাকেই বদলায় দিবে আশা করি। তখন পুরুষ আর সুন্দরী খুজলো না, নারী আর সম্পদস্থায়িত্ব খুজলো না। দারুণ হবে।
পরের পর্ব আসুক তাত্তাড়ি........
_____________________
Give Her Freedom!
ভাই কিসের ঠেলে কেমন করে চরম উদাসের মত sample তৈরী হয় কোনো এক পোস্টে লেখলে ভালো হয়।
আগের পর্বের মতই পরে অনেক ভালো লাগসে
কখনও কখনও ভয়ানক মিউটেশনের ফলে ওইরকম দুয়েকটা স্যাম্পেল তৈরি হয়ে যায়... উপরওয়ালার কারখানায় কোয়ালিটি কন্ট্রোল থাকলে কখনই এসব পাশ হত না
শালা কোয়ালিটি কন্ট্রোলার ব্যাটা ঘুষ খায়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুঁ, গাভীদুগ্ধ আর ইক্ষুরসের তৈরি সন্দেশ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পোস্ট পড়ে কত্ত কিছু যে জানলাম
আরেকটু ঘন ঘন লিখলে হয় না, জনাব ?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
দ্যাখেন বেয়াদপি ম্যাডাম, এগুলো অনেক অনেক গোএষণা নিয়ে লেখা কিনা, সেগুলো পড়তে, পড়ে বুঝতে, তারপর সামারি করতে করতেই বেলা বয়ে যায়...
আচ্ছা আপনে বাংলা লেখা এক্কেবারেই ছেড়ে দিছেন?
লেখায় তো পাঁচ তারা।
কিন্তু আমার কিন্তু ব্লন্ড কিংবা ধবধবে ফর্সা নারীসঙ্গী পছন্দ নয়। বরং কালো চুল এবং কিছুটা ট্যানড ত্বক ভালো লাগে। যেমন ল্যাটিনাদের হয়। তাহলে আমি কি ঝাঁকের বাইরের নাকি?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নাহ, আমারো তো শ্যামলা রঙ আর কালো চুলই পছন্দ। আর সেটাই যৌক্তিক, কারণ ধর আমার সঙ্গী যদি আমার সাথে হিল্লীদিল্লী মাঠেঘাটে গাছেটাছে ঘুরে বেড়ায়, তাহলে আমার বা তারেকাণুর মত ঘন মেলানিন তো নেহাতই প্রয়োজন! তবে সেই রুচির দিক থেকে আমরা মাইনরিটিই হয়তবা।
তাহলে নিজেকে একটু ইস্পেশাল বলে ভাব নেই, কি বলো?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আম্মো
ফেসিয়াল কনট্রাস্ট দিয়ে লিংগ চেনার একটা বড় কারণ কি ছেলেদের ফেসিয়াল হেয়ার?
দারুণ প্রশ্ন! জানিনা কী ব্যাপার আসলে। তবে আদিম যুগে তো শেভিং-এর চল ছিল না, অতএব লিঙ্গ চেনার প্রশ্ন তো পিউবার্টিতে পড়ে গেলে'পর দাড়িগোঁপ দেখে খুবই সহজ। তাই ফেশিয়াল কনট্রাস্টের সঙ্গে ওটার তেমন সম্পর্ক থাকার কথা নয়। একটা থিওরি যা শুনেছিলাম সেটা ক্যামেরাবাগীশ অতিথি লেখকের কমেন্টে বলেছি, দেখেন।
আমার মনে হয় মানুষের প্রাপ্তবয়স্ক হতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগার কারণে সম্পর্ক তৈরিতে মেয়েদের আগ্রহ বোঝা বেশি দরকার, যেহেতু সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব মূলত তারা বহন করেন, সেকারণে এরকম হতে পারে।
ওনার প্রশ্নের সঙ্গে আপনার এই পয়েন্টটার সম্পর্ক বুঝিনাই, একটু ব্যাখ্যা করবেন?
হয়ত ফেসিয়াল কনট্রাস্ট বেশি থাকলে ফেসিয়াল এক্সপ্রেশান বোঝা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়?
আচ্ছা এইবার বুঝেছি। এইটা একটা ভালো থিওরি হতে পারে - যেহেতু ছেলেরা ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন বোঝায় বেশি গবেট, তাই তাদের বেশি কনট্রাস্ট লাগে
তবে পরীক্ষা করা দুরুহ মনে হয়...
দুঃখিত, ফেশিয়াল কনট্রাস্ট আর এক্সপ্রেশনের সম্পর্ক আপনি আগেই উল্লেখ করেছেন, খেয়াল করি নাই :/।
এবারের পর্ব গতপর্বের চেয়ে বেশী উপভোগ্য হয়েছে। আমি লাঞ্চের ফাঁকে বই পড়া বাদ দিয়ে এই লেখাটা পড়েছি। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আহা, শুনেও শান্তি!
ছাত্রবেলার পড়া মুখস্ত করার মত লেখার বিষয়বস্তু বোঝার জন্য বারবার উপরের লেখা দেখে আসতে হয়েছে। আমার জন্য একটু জটিলই বটে। অনেক অনেক লিখুন। এই বয়সেও নতুন কিছু শিখছি।
ভাল থাকুন। আনন্দে থকুন।
ধন্যবাদ। ধীরেসুস্থে পড়ুন, কোথাও ঝাপসামত ঠেকলে বলবেন।
(গুড়)
কপাল মানুষের! সৌন্দর্য নিয়ে গবেষণার(!) সুযোগ ক'জনের হয়!
লেখার মত গবেষণাও দারুণ ফলপ্রদ হচ্ছে আশা রাখি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি তো শুনলাম আমারে স্কুপ করে ফেলসেন!
কতটুকু বুঝলাম কে জানে? তবে অনেক তথ্য জানলাম। আরো একটু জলবৎ করা যায়না আমার মতন গাধাদের জন্য? তারপরও ভাল একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
যথাসম্ভব সরল করেই তো লেখা দাদা, কোন অংশটা অস্পষ্ট লাগছে বললে আরেকটু ব্যাখ্যার চেষ্টা করতে পারি।
জীবন সঙ্গী নির্বাচনে আধুনিক নারী পুরুষেরা বর্ন নিয়ে মাথা ঘামায় না। নাকি ঘামায়? কেউ কেউ ঘামায়। এই দেশে বেশী ঘামায় বোধহয়। প্রেম ভালোবাসাহীন সমাজে ঘামানোটাই সংস্কৃতি। তবে আমি কখনো মাথা ঘামাইনি ওটা নিয়ে। রং বর্ন ধর্ম সব একই কেতা আমার কাছে। আমি ঘামাইনা বলে গর্ব করছি না, কিন্তু বিয়ের পর সেটা বারবার শোনাতে হয়েছে সঙ্গিনীকে। বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে। তুমি ছাড়া আমি আর কারো দিকে তাকাই না ( প্রায় সবাই তাইই করে, তাই না?)।
কিন্তু একদিন বন্ধু বান্ধবীদের সাথে পারিবারিক আড্ডা সেরে রাতে ঘুমাবার আগে অভিযোগের আঙুল উঠে এলো। আমি নাকি আড্ডা দেবার সময় অনেক বেশী চোখাচোখি করেছি সবচেয়ে সুন্দরী বান্ধবীটার দিকে। এতদিনের অর্জিত আস্থা রসাতলে গেল
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক সময় নিয়ে পড়লাম। ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।
অেনক কথা জানা হলো। ধন্যবাদ েলখকেক।
bidhubhushan
থ্যাঙ্কু
এলিজাবেথ টেলরের চোখের রঙ নাকি বেগুনি?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এই লিঙ্কের ছবিটায় তো আবার ধূসর দেখাচ্ছে। আসলে গ্রে/ব্লু/ভায়োলেট সবই হচ্ছে মেলানিনহীন ফলে স্বচ্ছ চোখের মণিতে আলোর স্ক্যাটারিং-এর ফল, ফলে আপতিত আলোর কোণ ইত্যাদি ফ্যাক্টরের তারতম্যে একেকরকম লাগে। চোখের ক্ষেত্রে, নীল ভাবের এক্সট্রিমটা খানিকটা ভায়োলেটের মত লাগে, এবং এই ম্যাডামের চোখের ক্ষেত্রে বলা হয় 'ডীপ ব্লু টু দা এক্সটেন্ট অফ ভায়োলেট'।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই আসলে জিনিস ধরতে পারে নি কৌ দা আসলে জীবন সঙ্গিনী খুঁজে বেড়াচ্ছে---
তবে লেখা
প্রাণী জগতে সবচেয়ে সংক্ষেপে বলতে গেলে মহিলারা পছন্দ করে আলফা মেল আর পুরুষেরা আকর্ষণীয় ( বয়স এবং দৈহিক ভাবে) ব্যতিক্রম আছে তবে সেগুলো খুবই কম।
facebook
"মহিলারা পছন্দ করে আলফা মেল" এটা প্রাণীদের ক্ষেত্রে সত্যি বটেই, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে (তেমন একটা) নয়! এটা নিয়ে বিশদে লিখতে হবে।
মানুষের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী হবার কথা নয়, তবে আলফা এখানে শুধু দৈহিক ভাবে নয় অর্থ এবং ক্ষমতার দিক দিয়েও ধরতে হবে ( সাধে কি আর বুড়ো রাজনীতিবিদগুলা ষোড়শীদের বগলে নিয়ে ঘোরে! লেখুন সময় করে, খুব ভাল হবে--
facebook
আমি যতটা জানি, মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্ভবত কিছুটা ভিন্ন, মানুষের প্রাপ্তবয়স্ক হতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগার কারণে স্থায়ী সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য নির্ভরযোগ্যতা বেশি বিবেচ্য বিষয়।
উমম উমম সবসময় তাও নয়...
http://pages.globetrotter.net/peter_frost61z/fwdm4.htm
খুব সুন্দর ভাবে এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সচলায়তনে "রাফি" নিকটি একজন পূর্ণ সদস্য ব্যবহার করেন। আপনি যদি সচলে নিয়মিত অংশ নিতে আগ্রহী থাকেন, অনুগ্রহ করে অন্য কোনো নাম/নিক বেছে নিন। ধন্যবাদ।
লিঙ্কুর জন্য থ্যাঙ্কু
এইসব বিষয়ে পিটার ফ্রস্টের বেশ কিছু ভালো পেপার আছে।
ক তাই।আমি ফ্রস্টের আর মিলারের একজন ভক্ত।
আন্দালিব পাস্থ
লেখা দারুণ। আমি সারা জীবন ধরে কালো বর্ণের কারনে চরম বর্ণবাদের শিকার।
আব্বা দুই ভাইয়ের সাথে আমার গায়ের রঙ মিলিয়ে বলতো আমাকে নাকি আফ্রিকা থেকে কুড়িয়ে আনা হয়েছে। রঙ বেশী কালো বলে আমাকে আফ্রিকা থেকে নাকি বের করে দেয়া হয়েছিলো
সারাজীবন আমার বন্ধুদের কাছে খোটা শুনে এসেছি, আমি ফেয়ার এন্ড লাভলি মাখলে নাকি ফেয়ার এন্ড লাভলির রঙ কালো হয়ে যায় আর আমি যেই কে সেই
আপনার উদাসীনতা মনে হচ্ছে বাপের দিক থেকে জেনেটিকালি পেয়েছেন।
কমেন্টটা risqué
বোঝাতে চেয়েছিলাম যে উনার বাবার সেন্স অভ হিউমার চরম।
চরম উদাস, সাদা মনেই কথাটা বলেছিলাম কিন্তু।
তা বুঝেছি। তবে কেউ পড়ে অন্যরকমও ভাবতে পারে।
যাহোক, এটা নিয়ে অন্যরকম সমস্যাও আছে, যদি লিটারালি দেখি। মেয়েরা সাধারণত ছেলেদের তুলনায় রসিকতা, বিশেষ করে রিস্কি রসিকতা কমই করে। হিচেন্সের এই লেখাটা দেখতে পারেন। অতএব কেউ যদি হিউমারের জিন (যদি কোনো জিন থাকে বলে ধরে নিই) মায়ের দিক থেকেও পেয়ে থাকেন, নট নেসেসারিলি সেটা তাঁর মায়ের মধ্যেও এক্সপ্রেসড ছিল
আর যদি রসিকতার অভ্যাস আসে পরিবেশ থেকে, জিন থেকে নয় (সেটাই সাধারণত বড় প্রভাবক মনে হয়), তাহলে আপনার কমেন্টটার মানে থাকে না আর।
রসিকতা হইল গিয়া রসিকতা, আম্নে এর মইধ্যে জিন, ভুত, পেত্নী এত কিছু নিয়া আসলেন কেন??? আম্নে এতো জ্ঞানী কেন???
তা বললে হবে না, উনি জিন টেনে এনে আমাদের জিনানুভূতিতে আঘাত করেছেন
দম নিতে নিতে পড়তে হয়েছে ভায়া।
হ। পুরাই আউলা।
কলম গুতানোর সময় কয়েকমাস বিজ্ঞাপণ বিভাগে ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা আর বলার মতো নয়। কত বিচিত্ররে ভাই।
ইয়েন্না রাস্কেলা। মাইণ্ড ইট।
ডাকঘর | ছবিঘর
কেন রে ভাই, সেই অভিজ্ঞতার গল্প নিয়ে দুটো পোস্ট দিতে কী হয়?
ও, হ্যাঁ। বলতে ভুলে গিয়েছিলাম তোমার এই লুলুপুরুষ গবেষণা আমার উপর প্রযোজ্য নয়, কারণ আমি লুল ফেলিনা ইহা দুনিয়া জানে। এইসব বেশরিয়তী কাজকম্ম সব তোমাদের রচানো ষড়যন্ত্র। কইয়া দিলাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
বাজে ভাট
সাইন্সের স্টুডেন্ট না তাও এই লেখা পড়তে যেয়ে আমি ভোর সাড়ে পাঁচটা করে ফেললাম। যতগুলো লিংক দিয়েছেন সবগুলো মন দিয়ে পড়েছি। খুব ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজে কী করে এই রঙ বৈষম্য এলো এই ব্যাপারটা ক্লিয়ার না। তবে মেয়েরা পুরুষদের রঙ নিয়ে মাথা ঘামায় না এটা সত্যি। ছেলেদের ডার্ক এন্ড হ্যান্ডসাম একসাথে বলা হয়। ডার্ক হয়েই বেশি ভালো লাগে
আগের পর্বটা পড়া হয়নি। ঘুম থেকে উঠে অবশ্যই পড়বো। কৌস্তুভদা যারা সাইন্সের জন্য না তাদের জন্য একটু সহজ করে লেখার আবদার রেখে গেলাম। আর ওহ বলতে ভুলে গেছি লেখায় পাঁচ তারা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আহা, শুনে আনন্দে ছাতি সাড়েপাঁচ ইঞ্চি ফুলে উঠল
দেখুন, আমার নিজের ধারণায় আমি 'ওভারসিমপ্লিফাই' করে না ফেলে যতটা পারি সহজ করার চেষ্টা করি (ডকিন্সখুড়ো বলেছে, Anyone can popularize science if he oversimplifies), তবে আমার সেই সীমা নির্ধারণে ভুল হতেই পারে। সজল যেমন বলল, ওই মাইগ্রেশনের গল্পের প্যারাগ্রাফটা যুতমত হয়নি। আপনারা একটু স্পেসিফিক নির্দেশ দিলে সুবিধা হয়।
হু হু বাবা, আগেই বলসিলাম আমার চোখে এই সব মেলামাইন টেলামাইন এক্কেরে কম আছে।
যাই হোক, অসাধারণ লেখা পড়তে গিয়ে মন্তব্য দিতে ভুলে গিয়েছিলাম [লেখায় বিভোর হয়ে গেলে যা হয় আর কী ]
এখন মনে পড়লো, তাই এলুম মন্তব্য করতে।
এখন আমাকে একটা ব্যাখ্যা দ্যান! আমাকে দেখে ডাচরা কেনু বলে যে আমি নাকি ডাচ? আমি পুরোদমে এশিয়ান, এটা ভেবে কত ভালু পাই। আর মানুষজন দেখা হইলেই ডাচে কথা বলা শুরু করে। শুধু তাই না, একদিন ল্যাবে কাজ করার সময় এক ল্যাব মেইট আমার কাছে কিছু একটা যন্ত্র চাচ্ছিল, ডাচে জিজ্ঞেস করলো। আমি তার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে রইলাম, সে দেখি আবার ডাচে জিগায়। তখন বললাম আমি তো ডাচ বুঝি না। তখন সে স্যরি স্যরি বলে বলে যে, 'তোমাকে দেখলে তো ডাচ মনে হয় কেন জানি।' [আমি মনে মনে বলি শালার ভাই।।। আমি দেখতে কত্ত সুন্দর আর তুমি কিনা বলতেসো।।।গ্ররর।।।X( ]
আর আপনি উত্তর দিতে না পারলে মুহম্মদ জাফর ইকবালের থেকে উত্তর বের করে এনে আমাকে জানাইতেই হপে! জানাইতেই হপে! জানাইইইইতেই হপে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
হাহাহা মেলামাইন
ডাচ মেয়েরা তো ফর্সা, অতএব আপনাকে তাদের মত দেখতে বলা মানে আপনাকে সুন্দরী বলা, খুশি হয়ে যান
উমম... ইউরোপে তো অনেক এশিয়ান-মিডলইস্টার্ন ইমিগ্র্যান্ট স্থায়ী বাসিন্দা, তাই তারা এথনিকালি ভিন্ন হলেও ডাচ জানবে এতে আশ্চয্যি কি। আপনাকেও তেমনই ভেবেছে।
বিস্তর গবেষণা, কিন্তু শেষটায় ভেবেছিলাম এমন কিছু থাকবে যেখানে পছন্দ করার মধ্যে কালো সাদা বিভেদ না করার মেসেজ থাকবে। এনিওয়ে, চমৎকার লেখা।
সেটা 'প্রিচিং টু দা কয়্যার' হত না কি? যাঁরা প্রথম পার্টের ওই 'অভিশাপ' ইত্যাদি পড়েও চটেমটে চলে যান নি, তাঁরা তো সমচিন্তারই, তাঁদের আর নতুন করে বলার কী আছে?
কিন্তু আমার তো প্রায় সবাইকেই ভালো লাগে। নাক বোঁচা চাইনিজ মেয়ে, ছোট চোখের কোরিয়ান নারী, ট্যানড মেক্সিকান সুন্দরী, পটলচেরা কাজল-কালো চোখের বঙ্গললনা, নীল নয়না আইরিশ যুবতী, দীর্ঘাঙ্গি ইরানি বালিকা, ছিপছিপে কৃষ্ণাঙ্গি... আমার এখন কি হপে
পুরুষ মাত্রই বহুগামী ভাইয়া কী আর করবেন বলেন
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
তার মানে আপনি লুল্পুরুষ। উদাসদার ফ্লোচার্ট অনুযায়ী, প্রকাশ যখন পেয়েই গেছে, গা ঢাকা দিন...
নো চিন্তা। আমিও আছি আপনার সাথে।
-এরশাদ (গুণে নয়, নামেই পরিচয়)
ভালো লাগলো।
অয়ন
ধন্যবাদ।
মনোযোগ দিয়ে পড়ব বলে এতদিন লাগল শেষ করতে ।
বালিকা ভর্তি পোস্ট , লুল্প্রুষদের সৌভাগ্য ।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি ছাড়েন।
আর কিছু বলার পাইলামনা বস। এমন লেখা কেম্নে লিখে মানুষ?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নতুন মন্তব্য করুন