পুরী’তে গিয়ে জগন্নাথ দর্শন না করা যেমন নাকি মহাপাপ, তেমনই মনোভাব আমার বাগানের বিষয়ে। লন্ডনে গতবার অল্পদিনের জন্য এসেও কিউ বোটানিকাল গার্ডেনে ঢুঁ মেরে গিয়েছিলাম, কিন্তু তখন ছিল মার্চ মাসের শুরু, গাছপালা ন্যাড়া ন্যাড়া, গাইড ভদ্রমহিলা আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এপ্রিল-মে মাসে যখন বসন্তের জোয়ার আসে তখন আসতে। সেবছর তো উপায় ছিল না, এবার এসে বাড়িটাড়ি খুঁজে গুছিয়ে বসে’পরেই মে-র মাঝামাঝি নতুন ডিএসএলআর’খানা নিয়ে হানা দিলাম ওই বাগানে।
এই ‘রয়্যাল’ বোটানিকাল গার্ডেনের বয়স মাত্রই আড়াইশ বছর, মানে আমেরিকার স্বাধীনতারও কিছু আগেকার। পৃথিবীজোড়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে তখন সূর্য অস্ত যায় না, আর সেই সময়ে এম্পায়ার’এর পলিটিকাল পাওয়ারহাউস কীভাবে ছিল কিউ, তা নিয়ে ইতিহাসবিদ-উপস্থাপক ড্যান ক্রুইকশ্যাঙ্ক’এর একটা চমৎকার ডকুমেন্টারি দেখতে বলব।
সরাসরি রাজার ছত্রছায়ায় থাকা, এম্পায়ারের বড় ঘুঁটি এই উদ্ভিদকেন্দ্রের কাজকর্ম এতই বিশাল ছিল, তখন আমেরিকা স্বাধীন হয়ে যাবার পর গমের অভাব পড়ায় ক্যারিবিয়ান চিনি’শিল্পের দাসদের খাবার জোগাতে কিউ’এর তত্ত্বাবধানে সুদূর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে জাহাজভর্তি হাজার হাজার ব্রেডফ্রুট গাছ আধা দুনিয়া ঘুরে সেখানে চালান হত। কিউয়ের সাহায্য আর রাজার সনদ নিয়ে অভিযাত্রীরা থাইল্যান্ড ইত্যাদি এলাকায় বিশাল বিশাল আবাদ বানিয়ে তাতে ব্রাজিল থেকে আবিষ্কৃত হওয়া রাবার গাছের একচ্ছত্র আবাদ করে সারা দুনিয়ার রবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত। আর এশিয়ায় তাদের পাওয়ারহাউস ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বোটানিকাল গার্ডেনটা, যা ক্রুইকশ্যাঙ্ক তাঁর প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়ে বিশদে ঘুরে দেখান। সত্যি বলতে, আমিই কলকাতার নানা জায়গায়, যেমন বিধানসভার (সংসদ) মাঠে, ফলসহ বিশাল ব্রেডফ্রুট গাছ দেখেছি, তখন কি আর জানতাম এর লম্বা ইতিহাস?
অবশ্যই কলকাতা, কিউ এবং ক্ষমতার লড়াইকে জড়িয়ে নানা রক্তাক্ত কাহিনীও আছে। ক্রুইকশ্যাঙ্ক ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডে’র সমাধিতে গিয়ে বলেন, সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংল্যান্ড থেকে হাজার হাজার সেনা পাঠাবার প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু ট্রপিকাল রোগব্যাধির থেকে তাদের কে দেবে আশাভরসা?
অভিযাত্রীরা তার অল্প কয়েক বছর আগেই আন্দিজ পর্বতমালা থেকে ম্যালেরিয়া-জ্বরের মহৌষধ সিঙ্কোনা গাছ আবিষ্কার করে নিয়ে এসেছিল; কিউয়ের সহযোগিতায় কুইনাইনের সুরক্ষা নিয়ে ব্রিটিশ সৈন্য ভারতে গিয়ে নিষ্টুরতার সঙ্গে সিপাহী বিদ্রোহ দমন করে। এতে কিউয়ের গুরুত্ব এতই বেড়ে যায়, তার কয়েক বছর পর নতুন নির্বাচিত সরকার যখন ব্যয়সংকোচ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কিউ’কে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিতে চায়, তখন এতই পরিস্থিতি খারাপ হয় যে অর্থমন্ত্রীরই চাকরি চলে যায়।
যাক সেসব দুঃখের গল্প, কিউ বেড়ানোর কথায় ফিরে আসি। বিশেষ করে ওইদিনের রোদঝলমলে দিনে এখনকার ঝাঁ-চকচকে কিউ’কে দেখলে কেই বা ওসব ঘটনার কথা আন্দাজ করতে পারবে? তা আমি লন্ডন থেকে ট্রেনে করে ছবির মত ছোট্ট একটা পুরোনোদিনের ধাঁচে সাজানো স্টেশনে গিয়ে নামলাম। সেখান থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই বাগানে ঢোকার ভিক্টোরিয়া গেট। (ম্যাপটা একবার দেখে নিন, হালচাল বুঝতে সুবিধা হবে।) এদিকে রোদ দুর্লভ কিনা, লোকজন প্রচুর বেড়াতে বেরিয়েছে, অনেকে বাচ্চাকাচ্চাদের গাছপালা দেখাতে এনেছে (বেশ ভালো ব্যাপার), ভালই ভিড়। গেট পেরিয়ে ঢুকলে সামনেই বিশাল ‘পাম হাউস’, যার ছবি এই উপরেই দিলাম। এটা ভিক্টোরিয়ান যুগের দুনিয়ার বৃহত্তম গ্লাসহাউস (গ্রীনহাউস আরকি)। ওই যে, ক্ষমতার লড়াই, বললাম না!
যে রাণী অগস্টা’র শখে তৈরি এই বাগান, তাঁর জন্য বাগানের প্রথম স্থপতির তৈরি এই বিশাল গ্লাসহাউসটায় ঢোকার আগে এর উত্তরের ‘ওয়াটারলিলি হাউস’টা দেখে আসি।
ঢুকতেই দেখি বিশাল ঘরজোড়া বিশাল একটা পুকুরে ফুটে রয়েছে নানা জাতের নানা রঙের ওয়াটারলিলি। তাদের থালার মত অ্যাত্তো বড় বড় পাতা জলের উপরে ভেসে রয়েছে। আর ধার দিয়ে সাজানো নানারকম টবের গাছ, এমনকি উপরে একটা পতঙ্গভুক পিচার-প্ল্যান্ট’ও ঝুলছে।
বাইরে রোদ হলেও তেমন গরম নেই, আর ডবল কাচের দরজা দেওয়া এই ঘরটায় ঢুকলেই আপনি গরম আর আর্দ্রতার ঠেলায় চমকে যাবেন – কিছু করার নেই, আপনি পয়সা খর্চা করে নিজের গরজে যাদের ঘরে এসে উপস্থিত হয়েছেন সেই গাছগুলোকে তোয়াজে রাখতে হবে তো!
বাইরে বেরিয়ে দেখি ঘাসের গালিচা জুড়ে ছোট ছোট সাদা ফুল বিছিয়ে রয়েছে। আরো টুকটাক এদিক-ওদিক নানা ছোট ছোট নান রঙের ফুল। বড় গাছেদের মধ্যে সাদা পাপড়ির এই ডগউড ফুল বস্টনে থাকতেও দেখেছি, এই এখানে এসেও দেখলাম। মনে হয় এখন বস্টনেও তারা ফুটছে।
এরপর দোর ঠেলে ঢুকে পড়লাম পাম-হাউসে, এই ইয়াব্বড় দোতলা বাড়িটাও তো আরেকটা গ্রীনহাউস, যেমন গরম বজায় রাখা হচ্ছে তেমনই নিয়মিত স্প্রিঙ্কলার থেকে জল ছেটানো হচ্ছে। ক্রান্তীয় আবহাওয়া বজায় রাখতে হবে কিনা।
এখানে রয়েছে আফ্রিকা দক্ষিণ আমেরিকা এশিয়া ইত্যাদি নানা উষ্ণ অঞ্চলের গাছ। কাঁটাগাছ থেকে কলাগাছ, সবই পাবেন। সাথে লেবেলে নামধাম লেখা। তবে শুকনো অঞ্চল যেমন মরুর গাছ এখানে না, সে দেখতে গেলে অন্য আরেকটা গ্রীনহাউসে যেতে হবে।
এদিক-ওদিক দেখে দেখতে পেলাম বাঁশটাশ এমন বেশ কিছু চেনা দেশী গাছ, আবার কিছু গাছ চেনা ঠেকলেও আসলে চেনা নয়, যেমন এই রঙ্গনের মত দেখতে গাছখানা, অথবা জুঁইয়ের মত দেখতে কিন্তু কফি’র জাতভাই এই ‘কাফে ম্যারন’ গাছখানা। অ্যাটেনবুড়ো তাঁর নতুন ‘কিংডম অফ প্ল্যান্ট’ ডকুমেন্টারি সিরিজটায় মরিশাসের এই গাছটার সম্বন্ধে বলছেন, এটা একসময় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলেই ধরা হচ্ছিল, কিন্তু পরে একটামাত্র গাছ খুঁজে পাওয়া গেলে সেটার কাটিং পাঠানো হয় কিউ’তে, এবং তাদের পুরোনো আর্কাইভের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটাই সেই। তখন গাছটাকে পেলেপুষে বড় করা গেলেও, দেখা যায় যে তার বীজ থেকে নতুন চারা কিছুতেই হচ্ছে না, মানে ওই ‘লোনসাম জর্জ’ কচ্ছপের মত এও তার বংশের শেষ জীবিত প্রতিনিধি – একে ডাকা হতে থাকে ‘দা লিভিং ডেড’ নামে। কিন্তু কিউয়ের গবেষকরা নানা কারসাজি দেখিয়ে একে কীভাবে বংশবিস্তারে বাধ্য করেন, সেই ইন্টারেস্টিং গল্পটা দেখতে পাবেন ওইখানে।
বস্তুত, কিউ ঘুরে এসেছিলাম অনেকদিনই, এই ডকুটা দেখেই হিমুদা আমাকে ধমকধামক দিতে থাকেন ছবি পোস্টানোর জন্য। তাই এই লেখাটা তাঁকেই উৎসর্গ করা হল।
সেইযুগের ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে দোতলার বারান্দায় উঠে এক চক্কর দিয়ে এলাম। জানলা দিয়ে ওই যে দেখা যায়, পুকুরের ওপারে ওই মিউজিয়াম আর দূরে টাওয়ার'খানা।
আবার দোতলায় উঠলে কাছ থেকে ভালো করে দেখা যায়, সেইসব পরজীবি উদ্ভিদদের যারা মাটিতে শিকড় গেড়ে বাঁচে না, কোনো উঁচু গাছের উপরে আস্তানা গাড়ে, কখনও বা তারই দেহ থেকে খাদ্যরস সংগ্রহ করে, যেমন অর্কিড, রাস্না, মিস্ল্টো, এই রবিবুড়োর দাড়ির মত দেখতে ‘স্প্যানিশ মস’। অথবা এই ফুলের মত রঙিন পাতাওয়ালা ব্রোমেলিয়াড, অ্যাটেনবুড়ো ডকু’তে যাকে দেখিয়েছেন – এর পাতাগুলোর গোড়ায় যে জমা জল, তাতেই ডিম পেড়ে যায় একজাতের সম্পূর্ণ বৃক্ষচারী পয়জন ডার্ট ফ্রগ।
প্রায় মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যেতে চাওয়া নানারকম পাম (সুপুরি’র ভাইবেরাদর) রয়েছে এখানে, কেউ কেউ আবার বেশ কয়েক বছর বাঁচে কিন্তু ফুল ফুটলেই বংশবিস্তারের দায় মিটিয়ে স্বর্গযাত্রা করবে। নিচের ছবির কেন্দ্রে দেখেন একটা ফিশটেল পাম, একমাত্র পাম’গাছ যার পাতা দু’বার খাঁজ খায়।
আরো নানা রকম গাছ দেখলাম, যেমন এই অ্যারাম (কচু-জাতীয়) গাছের ফুল যা তার স্প্যাডিক্স দেখে চেনা যায়। লালের উপর কালো বুটি নিয়ে ‘বার্ডস-আই বুশ' অথবা আরো মজার, ‘মিকি-মাউস প্ল্যান্ট' নাম পাওয়া এই গাছটা। অথবা ‘মাস্টার্ড ট্রি’ ওরফে মহম্মদের টুথব্রাশ সেই পবিত্র মেসওয়াক গাছ, যার উৎস আরবদেশ হলেও লেবেলে লেখা দেশ ভারত (অবশ্য উপমহাদেশেও এটা অনেকদিন ধরে বহুবিস্তৃত)।
এর মাটির তলার সুন্দর অ্যাকোরিয়াম, যেখানে প্রবাল, মাছ ইত্যাদি অনেক কিছু রয়েছে, সেটাও নানা মহাদেশের নানা পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখা, একবার চক্কর দিয়ে এলাম।
পাম হাউসের পশ্চিমদিকের দরজা দিয়ে বেরোলেই দেখা যায়, সামনে দূর পর্যন্ত চলে গেছে এই ‘সিয়ন ভিস্তা’ পথখানা। অনেক পেন্টিংয়েও এই পথের দেখা মেলে।
আমার যেহেতু তাড়া নেই, কিউ মোটামুটি ঘুরে আগেই দেখা রয়েছে, আর দিনটাও ভালো, ঘাসের উপর আধোছায়ায় খানিকক্ষণ শুয়ে কিন্ডলে এই বইখানা পড়তে লাগলাম (এইটুক দেখেই কী বই বুঝে নিতে পারলে বিশেষ পুরষ্কার)। কাছেই হিথরো এয়ারপোর্ট, উপর দিয়ে খানিক পরে পরেই উড়ে যাচ্ছিল প্লেন।
আমি অবশ্য ওই রাস্তা ধরে না এগিয়ে, (পাম হাউসের অক্ষের তুলনায়) দখিনবাগে ‘ভূমধ্যসাগরীয় উদ্যান’এর দিকে গেলাম। তার কেন্দ্রে রয়েছে এই ‘কিং উইলিয়ামস টেম্পল’খানা।
চারিদিকে অলিভ, অ্যাকাসিয়া ইত্যাদি গাছের ঝোপ করে ওইরকম একটা পরিবেশ বানিয়ে রাখা হয়েছে। ফুলটুলও ওই অঞ্চলেরই। বেশিরভাগেরই নামধাম জানিনে, পারঙ্গম কেউ বাতলে দিলে সুবিধা হয়।
আজ এই পর্যন্তই, এতেই হয়ে গেল প্রায় পঞ্চাশখানা, পরের পর্বে এই দিনের বাকি ছবিগুলো দেওয়া যাবে।
মন্তব্য
সৌরভ কবীর
কোনো গাছটা চিনলেন নাকি পিপিদা? তাইলে বাতলে দেন পিলিজ।
আমি গাছ বিশেষজ্ঞ। বুঝলেন তো
ফুল বাগিচায় বালিকা কই?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বালিকা কি আমি পকেটে করে নিয়ে গেছিলাম নাকি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছবি সুন্দর উঠছে। বেশি একটা দূরে না একদিন যাওয়া উচিত।
---
বইটার নাম গুগল বলছে The Extended Phenotype: The Long Reach of the Gene--Richard Dawkins
ধুর্মিয়া, আমি তো বলেছিলাম নিজে নিজে বুঝতে পারতে হবে, গুগল করলে ফাউল। এখন আপনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়া হবে।
অসম্ভব সুন্দর সব ছবি! দারুন লেখা।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কি দিয়েছ মামা ! আহ !
পুলাটা শেষমেশ ভালু ফুটুরে হয়েই গেলো। অভিনন্দন হে ছোকড়া......
যাই হোক, লাইনে আসি, বালিকার ছবি না দেওয়ার জন্য তোমাকে একটা মাইরা গেলাম। মাথা ফাটলে থলে থেকে বালিকার ছবি আসবেই মনে হয় হে হে
ডাকঘর | ছবিঘর
বালিকা কি রূপকথার সিন্দুক থেকে বেরিয়ে নার্সিং করতে আসবে, অ্যাঁ?
দূর্দান্ত সব ছবি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হেঁহেঁ, ধইন্যবাদ
জটিলস্য জটিল। এই বেনিয়ার জাতদের দুইচারটা কামের জন্য ভাল বলতে ইচ্ছে করে মাঝে মধ্যে।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
কী সুন্দর সব ছবি তুলে দিলেন, মনটাই খুশিতে ভরে গেল। আছেন মিয়া মজাই দেখতাছি।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ইয়ে মানে এমন মজা তো কেবল কখনো-সখনো...
লিলির থালা গুলো দেখলেই মনে হয় ঐ থালায় করে ভাত খাই
কবি বলেছেন তো,
যেমন সরোবরমাঝে কমলের বনে কত শত পদ্মপাতা,
তেমনি ক্ষীরসরসীতে শত শত লুচি রেখে দিতো যদি ধাতা...
http://music.deshergan.com/download-bangla-mp3.aspx?ID=1862
আমার তো অতো বড় বড় পাতা দেখে দিব্যি ওর ওপর গুটিশুটি মেরে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে!
পানিরে ওপর ভাসতে ভাসতে ঘুম! আহা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কিউ গার্ডেনে শুট করা আরেকটা ডকুসিরিজ আছে বিবিসির, উদ্ভিদবিদ্যার উন্মেষ আর কেষ্টুবিষ্টু বটানিস্টদের নিয়ে। সেটাও চমৎকার।
কোনটা? লাইফ অফ প্লান্টস?
ব্যাপক ছবি, ব্যাপক। আর লেখাও বেশ তথ্যসমৃদ্ধ
হিল্লোল
হেঁহেঁ...
চমৎকার ছবি ! মন ভালো করে দেয়ার মত।
আহা, দারুণ দারুণ সব ছবি আর বর্ণনও উত্তম। দেখে শুনে শরীর-মন দুই ই ভাল হয়ে গেল।
হ্যাঁ, বাগানে বেড়ানো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো...
বিয়াপক! উভয়ার্থে
আমি তো ভাবছিলাম এক সাথে যাব! আর কি, হাইড বাগিচার জন্য প্রস্তত হউন!
facebook
হে হে, আপনার কি আর কোহিনূর ছেড়ে এসব দেখতে যাবার সময় থাকবে?
দারুণ দারুণ সব ছবি । দেখে যেতে ইচ্ছা করছে একদিন । কিন্তু এইবার সামারের যে হাল, দেখি যদি যেতে পারি একদিন
ও হ্যাঁ, আপনি তো লন্ডনেই থাকেন, রোদ দেখে চলে যান একদিন।
আহা!!! পুরাই মধু- মধু পোস্ট!!!
ইয়ে, পিঁপড়ে লাগবে না তো?
কী সাংঘতিক অবস্থা! মনে হয় কালকে সকালের ফ্লাইট ধরে সোজা হাজির হই তোমার ওখানে
(১ম ছবিটা দারুণ উঠেছে )
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এসে পড়ো ভায়া...
(ওইরকম ভেবেই তো ওটাকে প্রথমে দিছিলুম... )
হিস্ট্রি, জিওগ্রাফি, ব্যোটানি সব এক পোস্টে ।
ছবিগুলো দারুন, বিশেষ করে ওয়াটার লিলিগুলো আর অন্য সব ফুলগুলো , রানি অগাস্টার মত আমারো বাগান করতে মুঞ্চায়।
আমারো!
এত্তো গাছপালাফুললতাপাতার ছবি! ছেলেটা কি ভেজ হয়ে গ্যালো! নিশ্চয় কোন দক্ষিণ ভারতীয় বালিকার হাত আছে এই চক্রান্তে।
একটু কষ্ট করে ছবিগুলোর সাথে গাছের সায়েন্টিফিক নামটা জুড়ে দাও। এতে পরে অন্যদের অনেক সুবিধা হবে, রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
<কপাল চাপড়ানোর ইমো>
অল্প যে কয়টার নাম জানি সেগুলো লিঙ্ক হিসাবে দিয়েছি। অধিকাংশেরই জানি না। কেউ বলে দিলে ভালো হত।
সুন্দর ছবি সুন্দর লেখা।
তবে আমার মনে হইতাছিলো, কি নাই কি নাই যেন। সজল ভাই আর তাপস ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে বুঝলাম কোন সুন্দরী নাই.. .
দেখেন আইলসা হয়ে বসে থাকলেও বেড়ানোও হবে না বালিকাও হবে না। আমি তাই বেড়াই এবং বেড়ানোর গল্প দিই। সুন্দরীর ব্যবস্থাটা নাহয় অন্য কেউ করুক
ঘুরে দেখতে দেখতে, কোনটা কী দেখলাম, সেসব মনে রাখেন কি করে!
কুইনাইন নিয়ে উইকিপিডিয়া ঘাটাঘাটি করে এখন খেয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।
এত সুন্দর ফুলের বনে কি একলা একলাই ঘোরেন?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আবারকি! আমার ফুলের মত নিষ্পাপ চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নাকি, অ্যাঁ?
আপনার চোখ দিয়ে দেখে ফেললাম অনেকখানি সুন্দর, এক ঝলকেই। ধন্যবাদ। পরের পর্বের জন্য বেশিদিন অপেক্ষায় রাখিয়েন না
আমাদের এখানে স্ট্যানলী পার্ক আছে। বিশাল বড়। হেঁটে হেঁটে ঘুরতে হয়। এই নিয়ে চারবার গিয়েছি আর চারবারে ৫০কিলোমিটারের উপর হেঁটেছি কিন্তু পুরো পার্কের এক দশমাংশও দেখা হয়নাই। পুরোটা ঘুরে শেষ হলে একটা ছবি ব্লগ দিবো ভেবেছি।
আপনার ছবিগুলা ভালো পাইলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি ভ্যাঙ্কুভার যাওয়ার কিছুদিন আগেই আমি দেখে এসেছিলাম, ভারি সুন্দর সব জায়গা! আপনিও আগে বড় হয়ে নিন তারপর ছবিব্লগ দেবেন
ভাগ্যবানেরা একবারেই সব দেখে ফেলে। আমার বার বার যেতে হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
ইস কি দারুন সব ছবি তুলেছিসরে, কোনটা রেখে কোন্টার কথা বল্বোরে।
সবকটা একসঙ্গেই বল না
আগে কিন্ডলের ছবিটা দেখে বইয়ের নামটা বলে নেই?
The Extended Phenotype- Dawkins? নাম ঠিক হইছে?
ছবিগুলার কয়েকটা জব্বর। এখনও পড়ি নাই লেখা। পইড়া মন্তব্যের বাকিটা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হয়নি, হয়নি, ফেল!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দারুন সব ফটুক!
শচীন কর্তাই কি এই ফুলবনের ক্ষেত্রে 'নিশিতে যাই ও ফুলবনে' বলত?
কিউ'তে তো রাত্তিরবেলা যেতে দেয় না! ভ্রমরদের বাধা নেই অবশ্য
প্যারিস থেকে ঘুরে যেতে পারেন, চমৎকার অনেক গার্ডেন আছে আশেপাশে ও প্যারিসে, সাথে অন্যসব তো আছেই।
গেছিলাম তো! ভার্সাই এর বাগান দেখে এসেছি, হুঁ হুঁ
বেশ ভালো ভালো ফটুক, আপনেরা কত কিসু পারেন.
অফ টপিক, খিয়াল কইরেন তো তারেকানুর ছায়া পড়ে কিনা.
..................................................................
#Banshibir.
অপূর্ব সুন্দর! ডিসির বোটানিকাল গার্ডেনে গেছিলেন কখনো? ডিসিতে পানির ফুলের একটা আলাদা বাগান আছে, স্মিথ্সনিয়ার না, ঐটাও দেখার মত একটা জিনিস।
ক্যাপিটলের পাশে যে Bartholdi Park Botanic Garden, ওইটায় গেছি। উত্তম স্থান। কেনিলওয়ার্থে যাওয়া হয়নি।
নাহ, আপনাদের নিয়া পারা গেল না আর। যেখানেই যান ক্যামেরায় ক্লিক করে সেগুলো আবার ব্লগের পাতায় ঝুলানোর কোন মানে হয়??? নিজের ক্যামেরাটারে আছাড় দিয়ে ভাঙতে ইচ্ছে হয় এমন ছবি দেখলে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আঁই কিচ্চি!
কোন বনমালী এত গাছ লাগাইল?
বিলাতে কলাগাছ ও এত খাতির পায়?
দেখিতে হইলে আমিরাতি বিমানে চড়িতে হইবে?
চক্ষু মেলিয়া দেখিলাম, আফসোস ঘাড় ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া দেখিতে পারলাম না।
লেবেল কোন মালী লাগাইল গাছের, ছবির জাত মারার জন্য?
সব রঙের ফুল তো দেখিলাম, সবুজ রঙের গুলো কি? ফুল না ফল? সবুজ রঙের ফুল হয়? ফলের ছবিও তুলিয়াছেন নাকি?
যে কিউতে দাঁড়াইয়া আছি ভরসা হয়না কোনদিন কিউর কিউতে দাঁড়াইব-
এ ইউসুফ
আহা একদম "ফুলে ফুলে" "পাতায় পাতায়" সেইরকম লেখা হয়েছে !! তবে ফুলকন্যা না থাকায় বেজায় আশাহত হলাম, পরেরবার ওদের ফটুও দেয়া হোক এই একদফা দাবি জানিয়ে গেলাম !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পিচ্চি পোলার শখ কত!
আহা আমাদের বুঝি শখ থাকতে নেই !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নাহ, তবে সখী থাকতে আছে
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এতোওওওও সুন্দর ছবি তোলেন কেমন করে?
একেবারে জীবন্ত। বিশেষত আপনার ম্যাক্রোগুলো অসাধারন।
লেখাও উপাদেয়।
হায় রে! আমি তো প্লেনকে ফোকাসই করতে শিখলাম না !!
প্লেনের ছবি তুলতে ইনফিনিটিতে ফোকাস করবেন ম্যানুয়ালি!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ।
প্র্যাকটিকাল করতে হবে।
নতুন মন্তব্য করুন