লন্ডনে সটকে আসার পরে আবার এক কনফারেন্সের ছুতোয় আমেরিকা যাবার সুযোগ হয়েছিল। তবে এবার বস্টন না, একেবারে আড়াআড়ি উল্টোদিকে, সান ফ্রান্সিস্কো। সেখানে কার্যসমাপ্তিতে আরো দুইজনের সাথে মিলে ড্রাইভ করে (আমি না, এক সিনিয়র) ইয়োসেমিটি ন্যাশনাল পার্ক যাওয়া হল। এত সুখ্যাতি শুনে আসছি এতদিন ধরে...
সান ফ্রান্সিস্কো থেকে অনেকটা দূর, যেতে যেতে রাত্রি হয়ে গেল। পাহাড়-জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সরু আঁকাবাঁকা পথ, তায় আবার দুমদাম হরিণের দল লাফিয়ে লাফিয়ে রাস্তায় এসে পড়ে, এসব মিলিয়ে হোটেলে পৌঁছতে বেশ রাতই হয়ে গেল। নিরিবিলি, দূষণহীন জায়গা, দেখি আকাশে ঝকঝক করছে তারা।
ঘরে ঢুকে মালপত্র রেখে বারান্দার দিকের দরজাটা খুলতেই শুনি শোঁ শোঁ করে আওয়াজ। বেরিয়ে দেখি, নিচেই পাথরের উপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে মারসেড নদী। ইয়োসেমিটি ভ্যালি একটা পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা সরু ভ্যালি, তার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া মূল নদীটাই মারসেড। এর সঙ্গে আরো বহুবার দেখা হবে, ভ্যালির মধ্যে দিয়ে যাতায়াতের মূল রাস্তাদুটোও এর দুপাশে। আমরা আছি একেবার পশ্চিমপ্রান্তে।
সকালবেলা উঠে দেখা গেল চমৎকার দৃশ্য, তবে পাহাড়ের গায়ে থোকা থোকা মেঘ জমে, আর বৃষ্টিবাদলার পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল।
আমেরিকার উত্তর অঞ্চলগুলো তদ্দিনে রুক্ষু হয়ে গেলেও ক্যালিফোর্নিয়ায় তখনও 'ফল সীজন' চলছে, পাতায় বেশ রঙটঙ আছে।
আমরা গাড়ি নিয়ে পার্কের দিকে যেতে যেতেই শুরু হয়ে গেল ঝিরঝির বৃষ্টি।
টিকিট কেটে পার্কের মধ্যে ঢুকলেই দেখা যায় এই বিশাল দুটো পাথরের তোরণখানা স্বাগত জানাচ্ছে।
দুদিকে পাহাড় আর পাইনের সারি দিয়ে ঘেরা রাস্তাখানা বেশ। "...দেখাচ্ছে কি ফাইন" আবৃত্তি করতে পারেন মোড়ে মোড়ে কেবলই হরিণের সতর্কতা জানিয়ে বোর্ড দেওয়া, আর সেটা যে খুবই প্রকট একটা ব্যাপার সেটা কাল রাত্রেই দেখেছি।
প্রথম থামলাম রিবন ফল বলে একটা জলপ্রপাতের নিচে। শীতকাল, তাই এগুলোয় জল কম। ঝর্ণা হয়ে সেটা মারসেড নদীর সঙ্গে মিশে গেছে।
পার্কের মধ্যে জিপিএস কাজ করবে না, এটা পার্কের ওয়েবসাইটে আগেই সতর্ক করে দেওয়া ছিল। তার 'পথের শেষ কোথায়' অবস্থা তো বটেই, স্পিডও দেখিয়ে ফেলল ঘন্টায় ২০৬ মাইল। কোনো মামা দেখলেই হয়েছিল আর কি! তবে জিপিএসাভাবে সমস্যা হয় নি, আমি ম্যাপট্যাপ সমেত প্ল্যান করে নেভিগেটরের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলুম।
আরেকটু পুবদিকে এগিয়ে একটা ফাঁকা মাঠমত পড়ে, সেখানথেকে ভালো ভিউ পাওয়া যায়, এমত লেখা ছিল। তাই গেলুম সেখানে। ভিউ খারাপ না, তবে বড্ড মেঘ, উঁচু পাহাড়গুলো সবই ঢাকা।
এই মাঠের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে ওই মারসেড নদী, তার উপরে একটা ছোট্ট কাঠের ব্রিজ, নাম সুইঙ্গিং ব্রিজ। সেটার উপরে উঠে চমৎকার কিছু দৃশ্য পাওয়া গেল।
শীতকাল বলেই হয়ত, জন্তুজানোয়ার পশুপাখি তেমন একটা দেখা গেল না। আমরা খাবার ও স্যুভেনিরের সন্ধানে ভিজিটার্স সেন্টারে গেছিলাম, সেখানে গুটিকয় দাঁড়কাক দেখলেম কেবল।
নাম-না-জানা কী একটা গাছ, ফল থেকে শিমুল তুলোর মত বেরোয়।
পুবদিকে যেতে যেতে এক জায়গায় পর আর গাড়ি যেতে দেয় না। ওখান থেকে আরো আগে যেতে গেলে পার্কের দূষণহীন শাটল বাস নিতে হয়। তা ওইদিন বাস নিয়ে কোথাও যাবার বদলে এমনিই ওখানটায় নেমে একটু হেঁটেচলে দেখলাম। ওখানেও একটা ভিউপয়েন্ট আছে কিনা। সেখান থেকে উল্টোদিকের পাহাড়ের গায়ে 'রয়াল আর্চেস' বলে কিছু অর্ধচন্দ্রাকৃতি পাথরের খাঁজ দেখা যায়।
কিন্তু সেই দেখতে ওই মাঠটার সামনে গিয়েই দেখি বড় বড় করে এই ঘোষণা:
প্রাণে শান্তি এল, আমরা কাঠের পথ ধরে আরেকটু ঘোরাফেরা করতে এগোলাম।
মাঠটার অন্যপ্রান্তে পৌঁছে উল্টোপানে ফিরে দেখি, যে দিক থেকে এসেছিলাম ওই দিকের পাহাড়ের গায়ে আরেকটা জলপ্রপাত, নাম স্টেয়ারকেস ফলস। নামটা উপযুক্তই বটে।
পাহাড়ের গায়ে দেখি অল্পস্বল্প ধসও নেমেছে। শুনেছি ধসের জন্য কিছু কিছু পাহাড়ে ওঠার রাস্তা মাঝে মাঝে বন্ধও থাকে। আর এই শীতকালে বরফের জন্য পার্কের বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ, তাই বেশ কয়েকটা দর্শনীয় স্থানে যাওয়া হল না। তবে আমাদের হাতে সময়ও ছিল মাত্র দেড়দিন।
আরেকটু এগিয়ে রয়াল আর্চেস-এর আরো ভালো ভিউ পাওয়া গেল।
ওখান থেকে আমরা ফেরার রাস্তা নিলাম। পার্ক থেকে বেরিয়ে আসার আগে ইয়োসেমিটি ফলসের সামনেটায় গাড়ি দাঁড় করালাম। গাড়ি থেকে নামামাত্রই ঝোপ থেকে ধাঁ করে লাফিয়ে বেরিয়ে এল একটা হরিণ, লাফ দিয়ে বেড়া টপকে রাস্তায় নেমে পড়ল। তারপর যেন বলিয়াদির জমিদার এমন হেলতেদুলতে রাস্তা পের হয়ে উল্টোদিকের জঙ্গলে ঢুকে পড়ল।
ওখানে অন্তত পাঁচখানা ছেলেমেয়েবাচ্চাবুড়ো মিলিয়ে হরিণ দেখলাম। একটার বড়সড় শিং ছিল, কিন্তু অন্ধকারে ছবি ভালো আসেনি।
পাহাড়ে ভারি দ্রুত সন্ধ্যা নেমে যায়। আর ওসব বিরান জায়গায় অন্ধকার হয়ে গেলে আর কিছু দেখারও নেই। তাই ওইদিনের মত বেড়ানো খতম।
পরের দিন সকালে উঠে দেখি মেঘ থাকলেও সুয্যি উঠেছে, বেশ রোদ দেখা যাচ্ছে দূরের পাহাড়ের গায়ে। আকাশেও নীলসাদা ডিজাইন বেশ খুলেছে। ভালো ছবির আশায় মনটা খুশি হয়ে গেল।
ওইদিন সকালে আমাদের মূল টার্গেট ছিল টানেল ভিউ বলে একটা জায়গা। ভ্যালির একেবারে পশ্চিমদিকে একটা টানেলে ঢোকার ঠিক আগে একটা ভিউপয়েন্ট আছে, সেখান থেকে পুরো ভ্যালিটা একেবারে আড়াআড়ি দেখা যায়। সেদিকেই রওনা দিলাম। একটু রোদ থাকলেই ছবি কত ঝলমলে আসে, দেখুন।
পথে পড়ল আরেকটা পুরুষ্টু জলপ্রপাত, ব্রাইডালভেইল ফল।
সেটাও ঝর্ণা হয়ে নেমে এসে নিচে নদীর সঙ্গে মিশে গেছে।
আমরা ওই পথ বরাবর প্রপাতের নিচে একটা ভিউপয়েন্টের দিকে যেতে গিয়ে দেখি এই দম্পতিকে। বুড়ো কত্তাবাবু তেঠ্যাঙায় ক্যামেরা বসিয়ে ঝর্ণার ছবি নিচ্ছেন, আর গিন্নিমা তেনাকে আর তেনার ক্যামেরাকে বিষ্টি থেকে বাঁচাতে ছাতা ধরে আছেন। অহো, কি পতিব্রতা! আহা, কি পিরিতি!
ওই ভিউপয়েন্টে পোঁছে দেখি ঠাসা ভিড়, আর জলের ছিটেয় চাদ্দিক একাকার, এক মিনিট অন্তর অন্তর ক্যামেরার লেন্স মোছা লাগে। তাহোক, ভিউ খাসা।
সেখান থেকে সটান গেলাম টানেল ভিউ-তে। ওই সকালেই গাড়িতে পার্কিংলট ছয়লাপ, আর তেমনই পিলপিলে ভিড়। এক দাদা দেখি ছশ'মিমি কামানমাফিক লেন্স বাগিয়ে মধ্যমণি হয়ে খাড়ায়ে আছেন।
তা দৃশ্য কেমন সে বর্ণনা করার দরকার নেই, স্বচক্ষে দেখে নিন। ইয়ে, মানে, ইতিমধ্যেই নিয়েছেন।
কোনটা কী তা বোঝানোর জন্য চিত্তির-ও দেওয়া রয়েছে।
জটলার মধ্যেই ঠিক সামনেখানে দাঁড়িয়ে দুই লড়কালড়কি চটকাচটকি করেই চলেছে, তাদের আদরসোহাগও আর থামে না আর আমি ছবিও তুলতে পারি না। আবার তাদেরই পাশে এক দাদু সেই মোগল আমলের ক্যামেরা দিয়ে খুব নিবিষ্টমনে ছবি তুলে চলেছেন, তাঁর ব্যাগভর্তি সেই জমানার প্লেটের মত ফিল্ম আর ফিল্টার।
আমরা যে ব্রাইডালভেইল ফল এইমাত্তর দেখে এলুম, সেটা এখান থেকেও বেশ অন্যরকম অ্যাঙ্গেলে দেখা যাচ্ছে।
ভ্যালির ওই দূরের প্রান্তটা ক্লাউড'স নেস্ট-ই বটে। এই ভ্যালির পাহাড়গুলোর সবচেয়ে বিখ্যাত যেটা, হাফ ডোম, ঠিক যেন একটা গ্রানাইটের বল যার অর্ধেকটা কেটে ফেলা হয়েছে। সেটা মেঘে পুরোই ঢাকা, প্রায় দেখাই যাচ্ছে না।
পাহাড়ের গায়ে মেঘের পুঞ্জ দেখে কারো হয়ত LoTR-এর মিস্টি মাউন্টেনস মনে পড়তে পারে। আমার কুং ফু পাণ্ডা-র চৈনিক পাহাড়গুলোর কথা মনে হচ্ছিল।
এই পাহাড়গুলো দেখে যেমন এক বন্ধু বলল, লটর-এ সেই খবর পাঠাবার দৃশ্যটায় যেমন এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে সঙ্কেত পাঠানো হচ্ছিল, সেই পাহাড়গুলোর মত লাগছে।
সেখান থেকে নেমে এসে আমরা ভ্যালির মাঝখানে আরেকটা মাঠে গেলাম, সেখান থেকে ইয়োসেমিটি ফলস-এর ভালো ভিউ পাওয়া যায়।
ততক্ষণে হাফ ডোমের পিঠটুকু থেকে মেঘ সরেছে, দেখে মনে হচ্ছে সে যেন হুক্কা খেয়ে ধূম্র উদ্গীরণ করছে।
আমরা আবার আগের দিনের জায়গাটায় গেলাম, শাটল বাস নিয়ে খানিকদূর গিয়ে 'মিরর লেক' বলে একটা জায়গায় যাবার জন্য এক মাইল ট্রেক করা শুরু করলাম।
ওইদিন ঝরাপাতার উপর রোদ পড়ে ফল কালার দুর্দান্ত সুন্দর লাগছিল।
তা রঙিন একটা পথ দিয়ে হেঁটে এসে সুন্দর একটা ভিউপয়েন্টে তো পৌঁছলাম, কিন্তু আয়না কই? লেক কই?
আসলে পার্কের ওয়েবসাইটে এটাও আগে বলা ছিল, যে শীতকালে জলপ্রপাতগুলোর মতই লেকটাও শুকিয়ে যায়, অতএব তোমরা কিছু নাও দেখতে পেতে পারো। নইলে ওই নিস্তব্ধ লেকে হাফ-ডোমের চমৎকার প্রতিফলন দেখা যাওয়ার কথা। যেহেতু আগেই সেটা পড়া ছিল তাই তেমন শকড হইনি, একটু নিরাশ হয়েছিলাম কেবল।
ফেরার পথে আমরা ইয়োসেমিটি ফলস-এর নিচে আরেকবার থামলাম।
উল্টোদিকের মাঠে দেখি আরেক ছোকরা গাব্দা লেন্স বাগিয়ে কী যেন ছবি তুলছে। এগিয়ে দেখি, ততক্ষণে হাফ ডোম তার লজ্জাবরণ অনেকটাই সরিয়েছে, মোটামুটি বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে অবশেষে। বোরখা থেকে হিজাব হয়ে শেষে ওড়না ধরেছে বলা যায়।
সেখানেই আমাদের ইয়োসেমিটি ভ্রমণের ইতি। এরপর আমরা ভ্যালি থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিংস ক্যানিয়ন আর সেক্যোয়া ন্যাশনাল পার্কের দিয়ে রওয়ানা হলুম। তবে মনে রাখবেন, ইয়োসেমিটি ভ্যালি পার্কের মধ্যিখানে একটুখানি জায়গা, পুরো পার্কটা অনেক অনেক বড়, সবটা দেখতে হলে ক্যাম্পিং করা ছাড়া গতি নেই। অবশ্য ওই সময়ে আবার হ্যান্টাভাইরাস নিয়ে সতর্কতাও ছিল, ওই ভাইরাস নাকি ক্যাম্পবাসীদের মধ্যে দিয়েই ছড়াচ্ছে। যাহোক, গেলে বসন্তকালে যাবেন, ওইসময়ে ফুলটুল পাখিটাখি যেমন পাবেন তেমনই বরফগলা জলে প্রপাতগুলোও সবচেয়ে পুষ্ট থাকে।
আর ইয়ে, পার্কের ওই ছবিখানা দেখে যিনি দুর্বাসার মত চটিতং হয়ে উঠে শাপশাপান্ত করে বেড়াচ্ছেন সেই তারেকাণুকেই এই পোস্টটা ডেডিকেট করা যাক, কী বলেন?
মন্তব্য
দুর্দান্ত সব ছবি।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
very very nice place.
সত্যিই। আমরা তাও অসময়ে গিয়েছি।
ভারি সুন্দর জায়গা তো!
- সাম্য
এক্কেবারে!
গ্লেসিয়ার পয়েন্টে গিয়েছিলেন কি? অসাধারন সব ছবি তোলার জায়্গা!
নাহ, ওইদিকে যাবার রাস্তা পুরোটাই বন্ধ। তবে খোলা থাকলেও মাত্র দেড়দিনে যেতে পারতাম না হয়ত।
এরকম ছবিওলা বড় বড় পোস্ট পড়তেই মজা। অনেকদিন পর লেখলেন কৌস্তভদা। ছবিগুলা ফাট্টাফাটি।
কিংস ক্যানিয়ন আর সেক্যোয়া ন্যাশনাল পার্কের পোস্ট কবে আসবে?
ফারাসাত
ধইন্যবাদ। বড়ই সময়াভাব, তাই ছবিপোস্ট দিয়ে ফাঁকিবাজি করা গেল।
আমার উপর বেশি আশা রাইখেন না। আসবে হয়ত বছরদশেক বাদে।
ছবি দেকে চোখ দুটো কেমন যেন কচ্চে।
আর মোগল আমলের ক্যামেরা নিয়ে মন্তব্যটি বড়ই মজাদার গো দাদা।
এই ছেলেটা ছবিটি বড় ভালো তোলে, আর লেখেও দারুণ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবই তোমাদের আশীর্বাদ!
স্বর্গ যে একটা ভ্রান্ত ধারণা না সেইটা বুঝলাম!
_____________________
Give Her Freedom!
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী
সুন্দর জায়গা। সুন্দর ফটু তুলছেন। সুন্দর পোস্ট দিছেন। সুন্দর- অনেক সুন্দর। কিপিটাপ।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু, সবার আশীর্বাদে ঘোরাঘুরি অবশ্যই আপ থাকবে।
জায়গা বটে একখানা । অণু তারেক সেইখানে যায় নাই তাহলে
হ, এক্কেবারে সরকারি পার্ক অথরিটি দ্বারা প্রত্যয়িত
মানে U.S. Department of the Adoberior-এর অধীনস্থ National Photoshop Service দ্বারা প্রত্যয়িত, এই তো?
****************************************
এগুলা কী কন!
আহা, কি সুন্দর ! যাবো, যাবো, আমিও একদিন যাবো।
বিলকুল, ঘুরে আসেন।
আমার তো উল্টোটাই মনে হলো।
পৃথিবীটা এমন বলেই স্বর্গ একটা ভ্রান্ত ধারমা।
ঠিক্কথা।
কিছু ছবি দেখে তো একদম থাব্দা খেলাম দাদা।অপূর্ব,অপূর্ব।
হেঁহেঁ ধন্যবাদ
দারুন! আর 'ঐ' ছবিটা মারদাঙ্গা
ঘটনা কি? মন্তব্য লেখার সাথে সাথে দেখতে পাচ্ছি কোন বাগ? বাঘ দের এই চমৎকার বিজয়ের দিনে?
তাইলে আপনি আপগ্রেডেড হাচল, আনন্দ করেন!
একটা ছবিই যখন ফটোশপ করা, বাকীগুলো নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন! মায়া, সবই মায়া
facebook
কে কইল ফটোশপ! নেহাত সাথে বুদ্ধমূর্তি ছিলনা তাই...
বুদ্ধমূর্তি না থাকলে কিন্তু বিশাল কেস !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
জান জুড়ানো পোস্ট!
জ্বি
ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছিল যেন ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে কেটে বসানো। এত সুন্দর টেক! সাইনবোর্ড দেখে বুজতে পারলাম এগুলা সলিড । এই সাইনবোর্ড আগে সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিল। কিন্তু আজকাল খুজে পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এইসব সাইনবোর্ড রক্ষা কমিটি গঠনের তীব্র দাবী জানাচ্ছি।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
"সাইনবোর্ড দেখে বুজতে পারলাম এগুলা সলিড"
দারুন!
****************************************
ফাটাফাটি জায়গা হে! ছবিগুলা অদ্ভুত সুন্দর!
এ মাআআ! হে হে অণু যায় নি! ছি ছি এ মা!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
---------------------
আমার ফ্লিকার
ইয়োসেমিতি আর উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড ফরেস্ট আমার বেড়ানোর লিস্টিতে অনেক আগের থেকেই আছে। পয়সাপাতি জমলেই -
ক্যান যে ভাঙ্গা হাড্ডি জোড়া দেয়া শিখলাম? কয়েকটা গার্মেন্টস ফ্যাকটরি থাকলেও একটা কথা আছিলো
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এইবারে রেডউড দেখা হয়নি, আসছে বার হবে...
ছবি দেখে নয়ন ও মন সার্থক করলাম, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
বছরকয়েক আগে এরকম এক দাদুকে দেখেছিলাম, লেখালেখির জন্য ওয়ার্ড পারফেক্ট ব্যাবহার করেন। কারন জিজ্ঞেস করে জানলাম অন্য কোন কিছুই এর মত ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়। কথায় আছে না "কোল্ড কফি এ্যান্ড ওল্ড ওয়াইফ কখনো তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না"। এর সাথে যুক্ত করেছিলাম ওয়ার্ড পারফেক্ট, এখন যোগ করলাম পিনহোল ক্যামেরা।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
দাদুরা অনেক সময়েই ভারি ইন্টারেস্টিং চরিত্র হয়ে থাকেন
আমি পুরাই মুগ্ধ, কিচ্ছু বলার ভাষা নাই। একটু মন খারাপ ও লাগতেছে কারন ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে এখন।
একটু ছুটিছাটা বাগিয়ে চলে যাও আম্রিকা!
ৃ অনু তারেক এই খানে আসে নাই !!! ???? !!!
হ, নইলে কইছি কী!
এইরাম একখান পার্ক বানাইতে কত টেকা লাগে?
বাজেট পাইলে তারেক অণুরে গিফট করতাম; তাইলে সে না আইসাও বাসায় বইসা বইসা পার্কখানা দেখতে পারত
সবাই কেবল তারেকাণুকেই সেনেহ করে
খুড়ো, সেদিন ফটুখানা দিলে মনে আছে ? ওটাকে ওয়ালপেপার বানিয়ে রেখেছি এতদিন ধরে।
[ইয়ে খুড়ো তোমার থেকেও সিনিয়র আর কোন্ সিটিজেন পেলে হে ??!! ]
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুঁ, জায়গাগুলো পুরোই ওয়ালপেপার-ক্যালেন্ডার মেটেরিয়াল।
(অ্যাই চোপ!)
নীড়পাতার ফটুখান মাইন্ড ব্লোইং, যাকে বলে একবারে মন ফাটিয়ে দেওয়া। টিফিনের পয়সা জমায়া ক্যামরা কিনুম ভাবতেছি।
..................................................................
#Banshibir.
কেন? এখন কোন ক্যামেরা নাই?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নাহ। সবাইরে দিয়া কি আর ফটুক হয়?
..................................................................
#Banshibir.
আমারো টিফিনের পয়সা জমিয়েই কেনা
অণু তারেক এইখানে আসে নাই কৌস্তুভ পোলাটা বড় বদ!
ছবি আর লেখা নিয়ে কিছু বলার নাই, ম্রাত্মক।
না, আমি ভালো!
এত সুন্দর! একদিন আমিও যাব।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
হ, আমি যদি লন্ডন উজিয়ে যেতে পারি, আপনি ধারেকাছেই তো আছেন, যাবেননা কেন!
ছবি গুলো ফাটাফাটি। আপনার লেখা দূর্দান্ত। সত্যি অসাধারণ পোস্ট।
হেঁহেঁ থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু
ওরে ওরে ওরে!
ভারী সুন্দর। খুব সুন্দর। সবচেয়ে বড় কথা অণু তারেক সেইখানে যায় নাই।
তাইলে একবার যাইতেই হইবে দেখতেছি।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মিরর লেকে যেয়ে আম্মো ধরা খেয়েছিলাম। ছবি চমৎকার লাগল।
হেহে কী আর করা! তবে ছোট্ট ট্রেক বলে গায়ে লাগে না।
ছবিগুলো এত বেশী সুন্দর, বলার মত কোন ভাষা খুঁজে পেলামনা।
অনুদা এখনও যায় নাই তবে, হে হে হে।
পুস্টার খানা কিন্তু মারাত্মক হইছে।
পুস্টার পার্ক কোত্তিপক্ষের বানানো, আমি স্রেফ ফটু তুলে আনছি
চমৎকার ছবি ব্লগ এক কথায় অসাধারণ।পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য্য অবলোকনে সহযোগিতা করার জন্য অপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার
উরিব্বাসরে! ধন্যবাদ আপনাকেও।
দারুণ যায়গা ! দারুণ সব ছবি !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কি সুন্দর জায়গা!!!
হ্যাঁ, বড়ই সুন্দর। ওই টানেল ভিউ থেকে দেখা দৃশ্যটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দৃশ্য হয়ে থাকবে।
চমেৎকার অ্যাল্বাম!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
জ্বি শুক্রিয়া!
ছবি গুলোর কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করলাম মনে হয়
ইয়োসেমিটি নিয়ে অ্যানসেল অ্যাডামসের দুর্দান্ত ছবির সিরিজ আছে (ক্লিক)
তোমার ল্যান্ডস্কেপগুলো দারুণ হয়েছে হে!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইয়োসেমিটির একটা পাহাড়ের রেঞ্জের নামই অ্যানসেল অ্যাডামস রেঞ্জ
ওখানে ভিজিটার্স সেন্টারে ওনার ছবির বই পোস্টার ক্যালেন্ডার এসবও বিক্রি হয়।
ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। উফফ, এত সুন্দর সব যায়গা। নাহ,কি কপাল নিয়ে জন্মালাম।
আহা দুখ কইরেন না, ইচ্ছা থাকলেই হয় উপায়
গত সামারে গিয়েছিলাম, চমৎকার জায়গা, একটা ট্রেইল ও নিয়েছিলাম আর রাতে ক্যাম্পিং করেছিলাম। পরে মনোলেক ধরে ঘুড়ে আসলাম। আবার যেতে হবে।এল ক্যাপিটান এর ছবি দিলেন না যে?
এল ক্যাপিটানের ছবি আছে তো, টানেল ভিউ থেকেই তো বাঁদিকে পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এক্কেবারে সামনে থেকে আর তুলিনি, মানে তোলার সুযোগ হয় নি।
জীবনে কোন দিনও যেতে পারব কিনা কে জানে।তবু দেখেই যাবার সাধ অনেকটা তো মিটল।
ঘ্রাণেন অর্ধভোজনম্
দিব্যি আমার ইয়োসেমেটি ন্যাশনাল পার্ক লেখার নাম মেরে টাইটেল দিলেন? মামলা করবো নাকি?
ছবি দারুণ
ওহ তাইতো, ওই পুস্টের কথা এক্কেবারেই ভুলে গেছিলুম!
দ্যান মামলা। আমি সাক্ষী দিম। ফি ম্যাঙ্গো পাই অনলি!
..................................................................
#Banshibir.
দেওয়ানে-আমে বসে বসে তুর্কী-মোগলদের পেন্টুল তো বেশ খুলছিলেন, ম্যাঙ্গো পাইয়ের লোভে আমার পিছনে পড়া কেন?
ছবি আর লেখা দারুন।কৌস্তভ এর কাছে এই রকমই তো আশা কারা যায়।
তবে পরের বার আমাদের একটু জানিয়ে এস।
আপনি জানি কুনখানে? আশপাশে গেলে আওয়াজ দিবোনে, বলতে হবে না
বড় আপেলের রাজ্যে, অথবা আমাকে দেখাও স্টেটে। দুটোই আমার ঠিকানা।
ওহ আচ্ছা, সামনের বছর বস্টনের কনফারেন্সে গেলে খানিক নিউইয়র্কেও যাবার ইচ্ছা আছে, আপনি যদি তখন ওই শহরেই থাকেন তবে নিশ্চয়ই হাঁকডাক করব
চোখ ধাঁধানো সব ছবি।
আহ, কী সব কপাল নিয়ে দুইন্যাতে আসে একেকটা মানুষ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সেই, কারো কারো কপালে থাকে অবোধ্য কোবতেগুলোকেই সোনামুখ করে গেলা
মাশাল্লাহ, বড়োই মনোহর মের্কিন মুল্লুক, যামুই যামু।
জ্বি।
এই পোস্টটা ও আমার জন্যে খুব কাজের! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি নতুন ড্রাইভার। যাওয়ার পথটা আমার পক্ষে কতটা সুবিধাজনক হবে বুঝতে পারছিনা। রাস্তার ধার ঘেষেই কি পাহাড়ের খাদ? এমন রাস্তাগুলোতে ড্রাইভ করার মত এলেম হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কিঞ্চিত সন্দিহান কিনা ... আর কৌস্তভদা, পান্ডিত্য- অভিজ্ঞতা-বয়েস সব দিকেই আপনি এগিয়ে, তাই আমাকে তুমি বললেই খুশি হব
পাহাড়ে ড্রাইভ করার একদম অভিজ্ঞতা না থাকলে কইতারিনা, কিন্তু রাস্তা যে তেমন রিস্কি তা নয়, মূল সড়কগুলোর মধ্যে দিয়ে চালালে; খুব ঢালুও নয়। আমরা দুটো গড়বড় করেছিলাম - ইয়োসেমিটি আর কিংস ক্যানিয়ন+সেক্যোয়া দুটোতেই ড্রাইভ করে ঢুকেছিলাম রাত্তিরবেলা, যখন দেখাটা সমস্যা বেশি। তার উপরে আবার জিপিএস টাইম বাঁচাবার সেটিং দেওয়া থাকায় হাইওয়ে ছেড়ে পাহাড়ের মধ্যে সরু সরু কতগুলো গলি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, সেগুলো প্রায় এক লেনের অ্যাঁকাব্যাঁকা রাস্তা, উপরে তারার আলো আর দূরে ফ্রেসনো শহরের আলো ছাড়া কিচ্ছু নেই, রাত্তিরবেলায় রাস্তার মধ্যে গোটাকয় ভূত বসে আড্ডা দিলেও অবাক হওয়ার জো নেই।
যে আজ্ঞে। তবে মিউচুয়াল।
আহ, চমৎকার! কিছু ছবি তো স্বপ্নের মতো সুন্দর! এসব দেখলে ভেতরে খুব ফাঁকা লাগে। কখনও স্বচক্ষে হয়ত দেখা হবে না। পৃথিবীর কত কিছুই যে না-দেখা রয়ে যাবে, ভাবতেই খারাপ লাগে।
পৃথিবীর কত কিছুই যে না-দেখা রয়ে যাবে...
আহা! বড়ই সৌন্দর্য। এখানেও মুগ্ধতা রেখে গেলাম
০২
বাই দ্য ওয়ে, ছবি তুলছো কিন্তু দুরন্ত
ডাকঘর | ছবিঘর
তারেকাণুদা না গেলেও আমি একদিন যাবো!
নতুন মন্তব্য করুন