কৌস্তুভ এর ব্লগ

শিশুমানব

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৬/২০১২ - ৫:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হে পাঠক, নিচের শিম্পাঞ্জিশিশুর ছবিটা একবার ভালো করে দেখুন তো দেখি, অনেকটাই একটা ছোট্টখাট্ট শান্তশিষ্ট নম্রভদ্র কালোকোলো বাচ্চাছেলের মত (মানে ছুডুকালে আমি যেমন কিউট ছিলুম আরকি) মনে হয় কি না!

হুঁ হুঁ। তা এইবার বলেন দেখি, কেন এমন মিল?


চরৈবেতি (চরে বেড়াই)

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১২ - ৩:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গগনে জমিছে মেঘ, হবে বরষা?
ল্যাবে একা বসে আছি, ছাতা ভরসা...


আমেরিকায় মশলা রপ্তানির তুল্যমূল্য

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০২/২০১২ - ৯:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিমুদা পয়লা মার্চ উপলক্ষে টিউলিপ’দিকে মশলা নিয়ে লিখতে বললে’পর কিছু ডেটাঘটিত কাজকর্মের ভার টিউলিপ’দি আমাকে দিয়েছিল। (স্ট্যাটিস্টিকাল) কনসাল্টিং হিসাবে ব্যাপারটা আগ্রহের সাথেই নিয়েছিলাম। এখন প্রফের হুড়োয় বেচারি নাওয়াখাওয়ার সময় পাচ্ছে না, তাই আমার হাতে যেট্টুক আছে তা নিয়েই একটা পোস্ট দিয়ে দিতে বললে। তবে অমন অভিজ্ঞা পাচিকার সৃষ্ট মশলাদার স্বাদু পোস্ট যে এইটা হবে না, তা বলাই বাহুল্য।


ভিনসেন্ট লাফোরেতের ছবিকাহিনী

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: রবি, ২৬/০২/২০১২ - ৫:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বস্টনে প্রুডেনশিয়াল বিল্ডিং নামের স্কাইস্ক্রেপার’টার নিচে প্রুডেনশিয়াল সেন্টার বলে একটা বড় মল আছে। কোথাও যাবার পথে হাতে খানিকটা সময় থাকলে সেখানে চীজকেক ফ্যাক্টরিতে, অথবা গোডাইভা চকলেটের দোকানে, নয়ত কোল্ড স্টোন আইসক্রিমের দোকানে, আর নাহলে বার্নস অ্যান্ড নোবল’এর বইয়ের বড় দোকানটাতে খানিক ঘুরেফিরে যাই। সেদিন বইয়ের দোকানটায় গিয়ে ফটোগ্রাফি সেকশনে কিছু বিনামূল্যে জ্ঞানসঞ্চয়ের চেষ্টায় ছিলাম। বস্টন গরীব গ্র্যাডস্টুডেন্টদের শহর, এসব দোকানে ছেলেপিলে বই নিয়ে মাটিতে ছেতরে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিলেও কর্মচারীরা কিছু বলেনা।


ঝটিকা সফরের গোপন তদন্ত রিপোর্ট - ২

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: শনি, ২১/০১/২০১২ - ১১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আনিসভাই যেমন সচলাড্ডায় জমিয়ে শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরের গল্প শোনাচ্ছিলেন, তেমনই আমারও ওনার একটা দারুণ রসিকতা মনে পড়ে গেল। একদিন দাদাঠাকুর বলছেন কাজী নজরুল ইসলামকে, “বুঝলি, হিন্দুদের দেবতা খোদার খোদা।” কাজীসাহেব তড়িঘড়ি বললেন, “দাদা, আমার কাছে বলেছেন সে ঠিক আছে, কিন্তু আপনি অন্য কোনো মুসলিমের কাছে এ কথা কইতে যাবেন না যেন!”
দাদাঠাকুর হেসে বললেন, “আরে, তুই এমন রসিক লেখক হয়ে এটা বুঝলিনে?


ঝটিকা সফরের গোপন তদন্ত রিপোর্ট - ১

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০১/২০১২ - ১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেটা ‘আর্লি নাইন্টিজ’, কলকাতার ভিআইপি রোডের তখন কিশোর বয়স, আর বয়সোচিত মাখনের মত ত্বক। বরিশালে আমাদের দ্যাশের বাড়ি থেকে এক কাকা এলো বেড়াতে, বাবা তাকে স্কুটারে করে ওই রাস্তায় একপাক ঘুরিয়ে আনার পর মন্তব্য এসেছিল, “Zhaকুনি লাগে!”


বিদায়, প্রিয় কর্মী

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: শুক্র, ১৬/১২/২০১১ - ২:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্ণাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্য-
ন্যানি সংযাতি নবানি দেহী॥

‘এক ব্যক্তি পুরানো পোশাক ছেড়ে যেমন নতুন পোশাক পরে, অনুরূপভাবে আত্মাও তেমন পুরানো ও অকর্মণ্য দেহ ছেড়ে নতুন জড় দেহ গ্রহণ করে।’


সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর উগ্র হিন্দুত্ববাদ

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ১২/১২/২০১১ - ৮:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১) স্বামীর প্রলাপ

জনতা পার্টির সভাপতি (ভারতীয় জনতা পার্টি মানে বিজেপি নয় কিন্তু) Subramanian Swamy-র নামকে বাংলায় লিখতে গেলে ফোনেটিকে কাছাকাছি হয় সুব্রমন্যন, যদিও আনন্দবাজারের ব্যবহৃত সুব্রহ্মণ্যন বানানটাই বেশি মূলানুগ, ব্যুৎপত্তির দিক থেকে। আর সেই নামের কী অর্থ? এই ব্যক্তির সু-ব্রাহ্মণত্ব আছে, অর্থাৎ ইনি চতুর্বর্ণের শ্রেষ্ঠ, জ্ঞানী, সম্মানার্হ। কিন্তু তাঁর মুখনিঃসৃত মহান বাণী নিয়ে এই ঘোর কলিযুগে ম্লেচ্ছরা আজকাল কিছু প্যাঁচাল তুলেছে।


ঘুমপাড়ানি মেহেরপিসি

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/১১/২০১১ - ৩:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘন্টাদুয়েক ধরে মরমিয়া সুফীবাদের ছয়েনছবিলা বিজ্ঞাপন দেখার পর মনে হল, এপারবাংলার দরদিয়া শ্যামাসাধনাই বা বাদ যায় কেন? এই সিনেমার যে মূলার্থ কালীর মতনই ন্যাংটাভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে, তাকে রামপ্রসাদী ছাঁচে ফেললে দাঁড়ায়:

দে মা আমায় বেলুচ ধরি–
আমি পাকিসেনারেই পিরিত করি।
(ওমা) মেহের বলে এমন রূপের জ্বালায় জ্বলে আমি মরি–
(এখন) ধবল সবল পুরুষ পেলে কোমল বুকে চেপে ধরি॥
দে মা আমায় বেলুচ ধরি...


হার্ভার্ডে শর্মিলা বসুর পুস্তকালাপ

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১০/২০১১ - ৯:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ সন্ধ্যায় হার্ভার্ডের সাউথ এশিয়া ইনিশিয়েটিভের তরফ থেকে শর্মিলা বসুর ‘ডেড রেকনিং’ বইটার উপর একটা আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। শর্মিলা বসুর বিপক্ষে ছিলেন দিনা সিদ্দিকি, হান্টার কলেজের উওম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের ভিজিটিং প্রফেসর (অবশ্য তিনি নিজেকে মূলত অ্যানথ্রপোলজিস্ট বলে পরিচয় দিলেন), আর উপস্থাপক ছিলেন পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর রিচার্ড ক্যাশ