টিং...।
ভোর চারটের জনশূন্য লবি। ডাবলিনের বুকে এক নামী হোটেল। এলিভেটরের শীতল ধাতব দরজাটা খুলে যায় অপেক্ষমান তরুণীর জন্য।
বাক্সে ঢুকে ফিরে দাঁড়িয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, বারের সেই লোকটা দ্রুত এগিয়ে আসছে এলিভেটরটা ধরার জন্য।
কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে এতক্ষণ যে এক দঙ্গল লোকজনের সঙ্গে তাঁর টুকটাক কথাবার্তা চলছিল, তার মধ্যে এই লোকটাও ছিল। তবে সে নিজে ছিল চুপচাপ, কেবল তাঁর কথা শুনে গেছে।
কয়েকদিন আগে উপরের ছবিটা ফেসবুকে অনেক বাংলাদেশী বন্ধুকে শেয়ার দিতে দেখলাম। নানা সাম্প্রতিক খবরের সঙ্গে এটা দেখে, একটা সন্দেহ হল, বিশেষভাবে দক্ষিণ’এশীয় মুসলিম ইমিগ্রান্টদের প্রতি অপছন্দ-প্রসূত নয় তো এ চার্টটা?
প্লেয়ারদের সমবেত বিদ্রোহে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সদ্যই গ্রেগ চ্যাপেলকে ঘাড়ধাক্কা দিয়েছে। তাতে সৌরভও যারপরনাই আনন্দিত হয়েছেন। ওদিকে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ডানকান ফ্লেচারের ভারত ইংল্যান্ডে নবুতনছুত হচ্ছে। কিন্তু এমনিতে, প্রশংসা-সমালোচনা মূলত দলের ক্যাপ্টেনের প্রতিই আসে, কোচের দিকে তেমন নয়।
ইশকুলে পাটিগণিত করতে যাঁদের পায়ের ঘাম মাথায় ফেলতে হত না, তাঁদের জন্য একটা ছোট্ট অঙ্ক:
গোপালগঞ্জের হাটে বছিরুদ্দি শেখ ঝুড়ি ভরে জামরুল বেচতে আসে ফি-সোমবার। একটা জামরুল তিন টাকা দরে হলে তার ঠিক-ঠিক হয়। কিন্তু সবার আয়ের পাঁচ পারসেন্ট ভাগ আবার দিতে হয় ওই হাটের ব্যবসায়ী-সমিতির মাতব্বর নেপো’কে। আর নিজের পেট চালাতেও তো হবে? সেজন্য সে বিক্রিতে ১০% হারে লাভ রাখতে চায়। তাহলে, কুড়িখানা জামরুল’ওয়ালা একটা ঝুড়ি যদি রামবাবু কেনেন, তাহলে তাঁর কেনা দর কত পড়েছে?
সে অনেক চাঁদ আগেকার কথা। রুশদেশের এক উপত্যকায় ছিল এক ছোট্ট গ্রাম। আর সেই গ্রামে ছিল এক ছোট্ট মেয়ে। সেথায় সবাই তাকে ডাকত কালিস্কি বলে। তিনকূলে কেউ ছিল না মেয়েটির, তবে তা নিয়ে গ্রামের কারোরই ভাবনা ছিল না – সূর্যের মত তেজী ছিল সে, আর ছিল ঝর্ণার মত উচ্ছ্বল। ওইটুকু বয়সে সে একাই নিজের চুল বাঁধতে পারত, জল আনতে পারত, রুটি গড়তে পারত।
টিনটিনের পরেই বোধহয় বিদেশী কমিক্সের মধ্যে অ্যাসটেরিক্স আমাদের কাছে সবচেয়ে সমাদৃত। প্রতিযোগিতায় অ্যাসটেরিক্সের পিছিয়ে থাকার একটা বড় কারণ অবশ্য এর অনুবাদের অভাব। ১৯৯৫ থেকে শুরু হয়ে ২০০২ সাল অবধি প্রথম দশটা বই বাংলায় বের হয়েই অনুবাদ বন্ধ হয়ে যায়। শুনছি এই বছর আবার নতুন করে অনুবাদ চালু হয়েছে, ‘ঢালের খোঁজে অ্যাসটেরিক্স’ দিয়ে।
এক ভারতীয় প্রায়-প্রৌঢ় প্রফেসর আমেরিকায় এক কনফারেন্সে গেছেন বউ নিয়ে। বেশ ভাল হোটেলে ঘর দিয়েছে উদ্যোক্তারা, চেক-ইন করার সময় সুন্দরী রিসেপশনিস্ট মিষ্টি হেসে বলল, “প্রিয় অতিথি, আমরা আপনার সব রকম সেবায়’ই সচেষ্ট – এমনকি যদি মাঝরাত্রেও যদি আপনার বিশেষ কিছু দরকার হয় তাহলে আমাদের ফোন করে জানাবেন অবশ্যই।”
সাম্প্রতিক আড্ডার ভিত্তিতে এই পোস্টটা সচলভগিনী তিথীডোরের সম্মানে দেওয়া হল
কলেজে পড়ার সময় আমরা কয়েকজন বন্ধুরা টিনটিন নিয়ে নানারকম ঘাঁটাঘাঁটি, ইন্টারনেটের সাইটে-ফোরামে গুঁতোগুঁতি করতাম। মানে শখের টিনটিনোলজিস্ট – টিনটিন-বিশারদ হয়ে উঠেছিলাম আর কি। নিজের ব্লগে বা সাইটে বইয়ের থেকে ছবি লাগানোর একটা অফিশিয়াল অনুমতিপত্রও পেয়েছিলাম হার্জের ফাউন্ডেশনের থেকে। অনেকদিন পর সেইসব গল্পগাছা আবার কিছু করার ইচ্ছা হল।