দশ বছর আগে, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০০১ তারিখে, নেচার পত্রিকায় প্রচুর আলোড়নের সঙ্গে বের হয়েছিল সমগ্র মানব-জিন লিপিবদ্ধ করার ঘোষণা সম্বলিত পেপারখানা। আমেরিকা সরকারের অর্থায়নে করা এই প্রকল্পের সাফল্যের ঘোষণা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন করে ফেলেছিলেন আরো এক বছর আগেই, ২৫য়ে জুন ২০০০’এ। সে সময় এই নিয়ে কত হইচই, কত আশা, কত স্বপ্ন। তার দশ বছর পর কতদূর এগিয়েছি আমরা?
কল্কত্তা হাওয়াই অড্ডা অর্থাৎ কিনা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাত আড়াইটেয় প্লেনে উঠলাম। ফ্রাঙ্কফুর্ট-বোস্টন। প্রবল ঘুম পেয়েছে, কিন্তু প্লেনে ঘুম আসে না, তাই কিংকর্তব্য ভাবছি। যাত্রী বোর্ডিং চলছে, আইল সিটে বসে স্থূলাঙ্গী বধূ থেকে স্থূলাকৃতি লাগেজ সবার গুঁতো খাচ্ছি। এমন সময় এক মাঝারিউচ্চতাবিশিষ্ট ছোটকরেছাঁটাগাঢ়সোনালীগোঁপদাড়িওয়ালা শ্বেত(তামাটে)’আঙ্গ মাঝবয়সী ব্যক্তি আমার লাগোয়া উইন্ডো সীটটায় সুড়ুৎ করে বসে
গত বারের লেখায় মেন্ডেল সায়েবের কিঞ্চিৎ বদনামের কথা তুলেছিলাম, তাতে সায়েবের জন্য অনেকে সমব্যথী হয়েছিলেন। এবার তাহলে সুনাম নিয়েই কিছুমিছু কথা হোক, আরেক জীববিজ্ঞানী সায়েবকে নিয়ে। জে.বি.এস. হল্ডেন।
(১)
গত শতকের প্রথমার্ধে হল্ডেন ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানের জগতে এক প্রখ্যাত নাম ছিলেন। বায়োমেট্রি অর্থাৎ সংখ্যাভিত্তিক বায়োলজি নিয়ে ওনার সুবিদিত কাজ ছিল। নানা গাণিতিক মডেল উনি আবিষ্কার করেন। (আমাদের জননকোষে পিতা ও মাতার ক্রোমোজমে জিন আদান-প্রদানের যে ঘটনা ঘটে, যাকে রিকম্বিনেশন বলে, তার হার নিয়ে একটা ফর্মুলা দেন; আবার অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর হ্রাস-বৃদ্ধির হার নিয়েও ফর্মুলা দেন।)
কিন্তু যে ব্যাপারটার জন্য হল্ডেনকে আমার বিশেষ পছন্দ, সেটা এই, যে উনি শুধু থিয়োরি-ধাঁচের কাজই করতেন না, হাতেকলমে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করতেন।
স্যার রোনাল্ড ফিশার। প্রখ্যাত স্ট্যাটিস্টিশিয়ান। এবং সেই সঙ্গে বিখ্যাত ম্যাথেমেটিকাল/স্ট্যাটিস্টিকাল জেনেটিস্ট। দুর্ভাগ্যবশত, ইনি স্ট্যাট এবং জেনেটিক্স দুই মহলেই একটা ভ্রান্ত ধারণা বিস্তারের উৎস হিসাবেও সুপরিচিত, যে মেন্ডেল তাঁর সর্বজনবিদিত মটরগাছের গবেষণায় জালি করেছিলেন।
ফেলুদা-ফিলিম ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর নাম বদলে ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউস’ হলে কেমন হত? সত্যজিৎ রায়েরই লেখা, শুটিং-অভিজ্ঞতা নিয়ে কিশোরপাঠ্য সঙ্কলন ‘একেই বলে শুটিং’ থেকে একটা অংশ তুলে দিচ্ছি:
“একটা ব্যাপারে একটু মুশকিলে পড়তে হয়েছিল; বাঙালির দোকান ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউস’-এর লোক আমাদের ছবি মারফত যাতে তাদের দোকানের বিজ্ঞাপন হয় সেই মতলবে দিনের বেলা কখন জানি এসে গলির সর্বত্র তাদের দোকানের নাম ল ...
সদ্য সেমিস্টার শেষ হল; কাজের চাপে হপ্তাখানেক সচলে ঢুকতেই পারি নি। শুধু নিজের কাজই তো নয়, ক্লাস পড়ানো + খাতা দেখার কাজও আছে – চৈনিক প্রসাধনপটিয়সী, পূর্ব ইউরোপীয় বালিকা, মার্কিনী ব্লন্ডিনী সবার দায়িত্বই যখন আমার হাতে টিচিং অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে, তখন কর্তব্য বেড়ে যায় বই কি। ছাত্র(নাই বা হল)-ছাত্রীদের সন্তুষ্টও তো রাখতে হবে?
তা ‘বিদ্যাস্থানে ভয়েবচ’ কেন ...
(১) – ফলেন পরিচিয়তে...
নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল তার ফল সিজনের রঙবাহারের জন্য সুপরিচিত বইকি। যাঁরা আমেরিকায় থেকেও এখনও সেইটা দেখে উঠতে পারেন নি, তাঁদের কর্তব্য হবে চট করে সময়সুযোগমত এসে দেখে যাওয়া। অক্টোবরের দিকে চলে আসেন। একটু দূরে যাবার ইচ্ছা হলে মেইন বা নিউ হ্যাম্পশায়ারের পাহাড়শ্রেণী রয়েছে, আকাডিয়া ন্যাশনাল পার্ক রয়েছে। আর কাছেপিঠে যাবার ইচ্ছা হলে, কয়েক ...
এই দৃঢ়চেতা মহাপুরুষ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সচলবাসীদের কাছ থেকে যথাযোগ্য শ্রদ্ধা পেয়ে উঠতে পারেন নি এখনও। আজ তাই আমার জীবনে এনার একটি মহান অবদানের কথা আপনাদের শোনাব, যাতে আপনাদের এই ধ্যানধারণা কিছুটা হলেও পরিবর্তিত হতে পারে।
*********
চেক-ইন করে সিকিউরিটি পেরিয়ে শিকাগো এয়ারপোর্টে ডেল্টা’র লাউঞ্জে বসে আছি। আধঘণ্টা বাদে প্লেন দেবে হয়ত। মিনিয়াপোলিস ফিরব। এখানের ইউনিভার্সিটিতে একটা ...
একসময় নৌচালনা আর বাণিজ্য দুটোতেই বাঙালির খ্যাতি ছিল, সিংহল থেকে সুমাত্রা এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তারপরে একসময় মহাপণ্ডিতরা কালাপানি’র উপর নিষেধাজ্ঞা স্থাপন করলেন, আমাদের দাপটও ক্ষয় হতে শুরু করল। খালবিলের দেশ বাংলায় চাঁদ সদাগরের মত দৃপ্ত সমুদ্রযাত্রীকে ছাপিয়ে মনসার ভুজুংভাজুং ঘরে ঘরে বন্দিত হতে লাগল। অনেকে দুঃখ করেন, রুক্ষ মধ্য এশিয় ...
শচীনকত্তার ওই ভক্তিমূলক হিন্দি গানখানা হয়ত অনেকেই শুনেছেন। না শুনলে শুনতে পারেন। কিন্তু না, এখানে গান নিয়ে আজ আলোচনা করছি না। দুটো কথা বলব, জয়গান নিয়ে। ধম্মকম্মের। আমার পরিপ্রেক্ষিত থেকে। আর সাথে চানাচুর হিসাবে ইতালীয় বালিকার গপ্প। (আসল লেখাটা পড়তে না চাইলে শেষে চলে যান।)
(১)
কয়েকদিন আগে আমাদের ইউনির মেডিকাল স্কুলে ক্যাথলিক স্টু ...