অ.
ধানমন্ডি ৩২ নং এ, বঙ্গবন্ধুর বাড়ির উল্টোপাশে চা বিক্রি করতো একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা, এখন করে কিনা জানি না। বাড়ির ঠিক সামনেই না, ওখানে তো বসতে দেয় না, তাই একটু পশ্চিমে সরে গিয়ে বসতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেই কি বসতেন? সম্ভবত না, কারণ বঙ্গবন্ধুকে তিনি ভালোবাসতো, এটা সত্যি, তবে বসতেন মনে হয় পেটেরই টানে।
মাঝে মাঝেই গল্প হতো। তিনি যে পঙ্গু এটা জেনেছি অনেক পরে। জানার পর থেকে “চাচা একগ্লাস পানি দেন” বলে চিৎকার করার চাইতে নিজেই উঠে পানি নিয়ে খেতাম। হঠাৎ দেখলাম তিনি স্ট্রেচারে ভর দিয়ে দোকান থেকে নেমে আসলেন, এক পা উরু থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রশ্নে প্রশ্নে জানলাম অনেক কিছু। ভদ্রলোক গল্প করতেন বেশ রসিয়ে। আমুদে প্রকৃতির ছিলেন, জিজ্ঞেস করেছিলাম, “একে মুক্তিযোদ্ধা তার উপর পঙ্গু আপনি, চা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন…” প্রশ্ন শেষ করার আগেই উত্তর দিয়েছিলেন, “যখন যুদ্ধ করার দরকার ছিল করছি, এখন চা বিক্রি করা দরকার করতাছি, যুদ্ধ করছি তো কি হয়েছে”।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হয়তো এমনই। ভীষণ হতাশ লাগলো! ভাবলাম আমরা কি করছি তাদের জন্য! ৬০ বছর আগের কোরিয়ান যুদ্ধের জীবিত যোদ্ধাদের এখনো এরা যে পরিমান সম্মান ও সামাজিক, অর্থনৈতিক সুবিধাদি দেয় তার কানাকড়িও যদি আমরা দিতাম!
আ.
সাধারণের মাঝেই কেন জানি অসাধারণকে খূঁজে পাই চিরকাল! আর অসাধারণ ‘লেবেল’ আঁটাদের কাছে গেলে দেখি অন্তঃসার শূন্য!
ই.
শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। হঠাৎ নেমে আসা ঠান্ডায় পূর্ণচাঁদও যেন বিমর্ষ কিছুটা। ‘মাইনাস’ ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামে আমার এই শহরে। তৃতীয় বছর চলছে, ঠান্ডায় কিছুটা অভ্যস্থ হয়ে উঠেছি এখন। শুভ্র তুশার এর উপর জোৎস্নার প্রতিফলন যে একবার দেখেছে, সে এই ঠান্ডার প্রয়োজনীয়তা জানে। প্রতিদিনকার অভ্যাস মতো রাত্তিরের হাটাচলাটা একটু কঠিন হয়ে যায়, এই এক সমস্যা!
ঈ.
Arirang TV দেখছিলাম আজ, ৬০ বছর আগে কোরিয়া যুদ্ধের পরপর জাতিসঙ্গ ঘোষণা করেছিল, এই কোরিয়া আগামী একশ বছরেও উঠে দাঁড়াতে পারবে না। মাত্র ৫৭ ইউ এস ডলার বাৎসরিক মাথাপিছু আয় ওদের তখন। মাত্র ৩০ বছরেই ঘুরে দাড়িয়েছে ওরা। ২৭০০০ ডলার বাৎসরিক মাথাপিছু আয় নিয়ে ওরা এখন এশিয়ায় দ্বিতীয় এবং পৃথিবীর অন্যতম দাতা দেশ। এর চেয়ে বড় ব্যাপার হলো এরা সবাই মিলে ধনী, দুই একজন বিল গেটস এর কারণে নয় কিম্বা অন্যের তেল-কয়লা নিয়ে খবরদারী করে নয়। এরা ধনী পরিশ্রম এবং সততা দিয়ে।
উ.
কিছুদিন আগে গোজে দ্বীপ ভ্রমনের সময় একজন লোক বাংলাদেশ নেভীর অফিসারদের বেশ প্রশংসা করলো। বাংলাদেশ নেভীর কাছে জাহাজ বিক্রির সময় লোকটা দাইও শিপিং এ কাজ করতো। বললো আমরা ইংরেজীতে ভালো। মনে মনে ভাবলাম, কী লাভ এতে! আমাদের মাতৃভাষাওতো পৃথিবীর পঞ্চম সংখ্যাগরিষ্ট জনসংখ্যার ব্যবহৃত ভাষা, এতেই বা কি লাভ হয়েছে! মানুষের মূল্যমান এখনতো আর মাথাগুনে হয় না, হয় টাকা গুনে। ৩০ কোটি বাঙালির চাইতে এ কারণে ৩ লক্ষ আইস্লেন্ডিক দের ভাষার মর্যাদা অনেক বেশি। এখন কোরিয়ান শিখছি, আবার দরকার পড়লে আইসল্যান্ডিকও শিখবো। আমরা গরীব।
ঊ.
'পি এইচ ডি' টা এখন অনেক বেশি দীর্ঘ মনে হচ্ছে। কবে যে শেষ হবে! শরত এবার বেশ দেরি করে নামছে। যদিও তাপমাত্রা ১০ এ নেমে গেছে তবুও গাছের পাতা এখনো সবুজই আছে। লাল, হলুদ, কমলা, খয়েরী, মেজেন্টা এমন নানা রঙের পাতায় বহু বর্নিল হয়ে উঠবে চারপাশ, অপেক্ষায় আছি! চার ঋতু’র পার্থক্য এখানে এত স্পষ্ট!
বসন্ত মানে নানা ফুলের সমারোহ, বিশেষত চেরি!
এ.
এই বেশ ভালোই আছি!
তবু খালি মনে হয় কবে ফিরবো!
শাবিপ্রবি ছেড়ে আসার আগে বন্ধু পলাশ দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতো, “ওই কবে যাবা?” বলতাম- “যাবো না!” বলতো এমন টোনে যেন তাড়িয়ে দিতে চাইছে। আসলে প্রশ্নটা ছিল, “কেন যাবা!” এখন কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে “কবে আসবা?”
ঐ.
ছিন্নকথন মানেই আমার এলোমেলো বকবকানি। পাঠকদের প্রশ্রয় পেয়ে আবার লিখলাম। আআমদের এক বন্ধু ছিল খামোকাই বকবক করতো, আর আমরা ক’জন মিলে কোরাসে বকের নামতা পড়তাম।
পাঠকদের এখন বকের নামতা পড়ার সময়-(আমার বকবকানি শুনে:P)
বক একে- বক
বক দুগুনে- বক বক
তিন বকে- বক বক বক
চার বকে- বক বক বক, বক
পাঁচ বকে- বক বক বক, বক বক
…
(চলবে)
বানানযোদ্ধাদের স্বাগতম
মন্তব্য
সুন্দর। চলুক।
আপনার কি কোরিয়াতে এইটাই প্রথম বছর?
থ্যাঙ্কস!
" ‘মাইনাস’ ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামে আমার এই শহরে। তৃতীয় বছর চলছে, ঠান্ডায় কিছুটা অভ্যস্থ হয়ে উঠেছি এখন। শুভ্র তুশার এর উপর জোৎস্নার প্রতিফলন যে একবার দেখেছে, সে এই ঠান্ডার প্রয়োজনীয়তা জানে। "
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ও হো। বেকুব হয়ে গেলুম। পড়েছি পুরোটাই, তবে ওইটা দেখছি চোখ এড়িয়ে গেছে।
হা হা হা! ব্যাপার না! নামতাটা ভালো লাগেনি? না লাগলেই খুশি হবো
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
বন্দুক লইয়া আসি। বক শিকার করুম!
বকের ছবি খুজতে গিয়ে নিজের তোলা এই ছবিটা পেলাম-
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ছবি দেখা যায় না যে...
ছবি আপলোড করার আমার সেই পুরোনো সমস্যা! ফেসবুক থেকে দিয়েছিলাম, এবার ফ্লিক-আর থেকে দিচ্ছি-
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
লেখা ভাল হয়েছে মামুন ভাই, ছবিগুলো ভাল লেগেছে। এই সিরিজটা জমজমাট হবে আশা করি। আচ্ছা আপনি যেখানে থাকেন, সেখানে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা সর্বচ্চো কত উঠে?
এইটা পড়ে পুরনো কষ্ট মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। আমদের এই দেশটা উন্নত হবে কবে? যুদ্ধের পর তো ৩৯ বছর কেটে গেল। যখন কেউ বলে, 'এই দেশের কখনও উন্নতি হবে না, তলাবিহীন ঝুড়ি', তখন প্রচন্ড রাগ লাগে। মনে হয় শালাদের একবার দেখায়া দেই ...
মামুন ভাই শাবিপ্রবি ছেড়েছেন কবে? আমি শাবি'র একজন বর্তমান কু-ছাত্র
সত্যান্বেষী
আমি শাবিপ্রবি ছেড়েছি আরো ৮ বছর আগে। ২০০২ সালে
"এই কোরিয়া আগামী একশ বছরেও উঠে দাঁড়াতে পারবে না।" এ কথা বলার পর কোরিয়দের আত্মসম্মানে খুব লেগেছিল! এ জন্য ওরা পেরেছে। আমাদের আত্মসম্মানে লাগে না, আমাদের কে যতই বলা হোক- "'এই দেশের কখনও উন্নতি হবে না, তলাবিহীন ঝুড়ি'" আমরা ততই আরো ঝুড়ির নিচে ফুটো করতে থাকি।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আপনার লেখা পড়ি। ভাল লাগে। আরো লিখুন।
কোরিয়ারা সাধারন মানুষেরা নিশ্চই তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছে। আমাদের দেশেওতো সত ও পরিশ্রমী মানুষের অভাব নেই। তাহলে ওরা পারলো, আর আমরা পারলাম না কেন?
৬০-৭০ দশকে বেড়ে ওঠা করীয়দের প্রশ্ন করুন আজকের তাদের এই সুন্দর জীবনে জন্য তাদের কি অসহনীয় সামরিক জাঁতাকলের নিচে নিজেদের রক্ত-অশ্রু-ঘাম দিতে হয়েছে। আমি এরশাদ বা ১/১১ এর সাথে পার্ক চুং-হি' বা চুন-দু-হুয়ানের তুলনা করতে চাইনা, কিন্তু ২০ বছরের সামরিক শাসনের মধ্যে অন্তত বিয়েম্পি-আউমিলিগের খামচাখামচি তো থাকেনা। এই বিশবছরে আমেরিকা ও ইউরোপের সবচাইতে বড় আউটসোর্সিং চুক্তিগুলো, মানে জাহাজের খোল থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টিউব পর্যন্ত কোরিয়ায় চলে গেছে। ৭০-৮০'র দশকে চুং-হি বা দুহুয়ানের সামরিক কর্পোরেশানকে (আমরা যাকে আজকে দাইউ, হুন্দাই আর স্যামসুং নামে চিনি) রেগান, থ্যাচার আর শ্মিড এর সরকার যখন বড় বড় চুক্তি ছুঁড়ে দিচ্ছে, ঠিক তখনই পশ্চিমের রাস্তায় রাস্তায় বয়ে যাচ্ছে কর্মহীনের হাহাকার।
তারপর এই সামরিক শাসন থেকে তাদের মুক্ত করেছে কারা? কোরিয়ার জামাত, সিপিএজে। সিপিএজে কে জামাতের সাথে তুলনা করছি কারন তারা এখনো অবিভক্ত কোরিয়ায় বিশ্বাস করে, এবং তারা মৌলবাদী। তবে জামাতের সাথে তাদের পার্থক্য হল কোরীয় সাধারনের মধ্যে সিপিএজে'র গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশী এবং এরা আপাতত গণতন্ত্র প্রচার করছে। একজন কোরীয় শিল্পপতি যতটা ক্যাথলিক, একজন গড় বাংলাদেশী শিল্পপতি তার চাইতে অনেকটাই কম মুসলিম।
কি দরকার ভাই ওরকম উন্নতির। যেখানে ৩০ বছর জলপাইয়ের শাসনের পর মুক্তি আসে মৌলবাদের হাতধরে?
বাংলাদেশকে আরো ২০ বছর সময় দিন। কোরিয়া হতে না পারলেও অন্তত জলপাই-বিয়েম্পি-আউমিলিগ-জামাত এর করাল গ্রাস থেকে মুক্ত কর্পোরেট বাংলাদেশ আজকের চাইতে কিছুটা সুখের হতেও পারে।
একটা গল্প বলি তাহলেই বুঝতে পারবেন। আমার কানাডিয়ান বন্ধু ইয়েন, এখানে ইংরেজীর প্রফেসর, প্রায়ই বাসায় আসে। একদিন ওর কোরিয়ান গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে বাসায় আসলো। মিরান,সরকারী স্কুলের টিচার। আড্ডার এক পর্যায়ে ওদের বললাম চলো কোথাও ঘুরে আসি একসাথে। মেয়েটা বললো- যেতে তো চাই কিন্তু আমার তো এখন ছুটি নেই! বললাম কেন? তুমি চাইলে ক'দিনের ছুটি নিতে পারো না? বললো, হুম ১৫ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি আছে, কিন্তু ওটা কেউ নেয় না। জিজ্ঞেস করলাম নেয় না কেন? বললো না আমাদের এখানে একেবারে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না হলে কেউ ছুটি নেয় না, ছুটি নেয়াটা একরকম লজ্জার। আমাদের দেশের কথা ভাবুন!
এখানে আপনার সাথে দ্বিমত আছে আমার, একদিন বিস্তারিত লিখবো। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সামরিক শাষকেরাই শুরু করে দিয়ে গিয়েছিল, এরপরের এরা শুধু চালিয়ে নিয়ে গেছে। আর ধর্ম। এদের ৬০% হলো কাগজে কলমেই নাস্তিক, বাকী ৪০ ভাগের মধ্যে বেশিরভাগই বছরে একবার দুইবারের বেশি চার্চে যায় না।
বাংলাদেশ কে আরো ২০ বছর পরে আপনি কিভাবে দেখছেন বিস্তারিত শুনতে চাই আপনার কাছ থেকে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
[এখানে একটা মন্তব্য-উত্তর করেছিলাম মডারেশন পার হতে পারেনি নাকি, মডারেশন পর্যন্ত পৌছেনি বুঝতে পারছি না!]
আপনি কি সত্যি সত্যিই ভেবে বললেন?
"৬০-৭০ দশকে বেড়ে ওঠা করীয়দের প্রশ্ন করুন আজকের তাদের এই সুন্দর জীবনে জন্য তাদের কি অসহনীয় সামরিক জাঁতাকলের নিচে নিজেদের রক্ত-অশ্রু-ঘাম দিতে হয়েছে। আমি এরশাদ বা ১/১১ এর সাথে পার্ক চুং-হি' বা চুন-দু-হুয়ানের তুলনা করতে চাইনা, কিন্তু ২০ বছরের সামরিক শাসনের মধ্যে অন্তত বিয়েম্পি-আউমিলিগের খামচাখামচি তো থাকেনা।"
সামরিক শাসন মানেই যে খারাপ কিছু এমনটা ভাবা ঠিক নয়। গণতন্ত্র কি আসলে? সামরিক শাসনই দিয়েই এরা উন্নতির পদযাত্রা শুরু করেছে, এরপর গণতন্ত্র এসে শুধু এগিয়ে নিয়ে গেছে আর কিছু নয়।
অবিভক্ত কোরিয়ায় বিশ্বাসকারীদের কেন মৌলবাদী বয়াল হবে বলবেন কি? হুম ওদের একটা মন্ত্রনালয় ও আছে - দুই কোরিয়া একত্রীকরণ মন্ত্রনালয়- রাজনৈতিক বলয় আলাদা হলেও আচারে আচরণে, সংস্কারে, ভাষায়, সবদিকে তো একই জাতি!
জলপাই শাসন মানেই খারাপ কিছু নয় আর মৌলবাদিতার সঙ্গায়ন জরুরী।
আশাবাদী হওয়া নিশ্চয়ই ভালো তবে আপাতত আশার আলো দেখছি না!
পড়লেন সময়করে মতামত জানালেন, তাই অনেক ধন্যবাদ। এ নিয়ে আরো আলোচনা হতে পারে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আমার মন্তব্যটি আমি করেছি আমার নিজস্ব কিছু বুনিয়াদি ধারনা থেকে। যেকোন পরিস্থিতিতে আমি গণতন্ত্র, ব্যাক্তিস্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতায় পক্ষ নেব। বাংলাদেশের সৃষ্টিরহস্য যদি ঠিকঠাক বুঝে থাকি, তাহলে তার মূলে আরো অনেককিছু সাথে আছে গণতন্ত্র, ব্যাক্তিস্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা। একারনেই সামরিক বা অন্য যেকোন অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপরিচালনা, ব্যাক্তিস্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রহিত করে এরকম সমাজব্যাবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলি। ব্যাক্তিগত জীবনে ধর্মের অন্য মানে থাকতেই পারে কিন্তু ধর্ম যখনই ব্যাক্তির গন্ডি ছাপিয়ে যায়, তখনি তা অগণতন্ত্রিক পথে হাঁটে। তাই আমার মতে গোষ্ঠিগত জীবনে তাই ধর্ম ও অনাচার একে অন্যকে পরিপূর্ণ করে।
যদি আমরা স্বাধীন থাকি, যদি আমাদের মৌলিক অধিকার বহাল থাকে, যদি আমাদের সিদ্ধান্ত তথ্যনির্ভর হয় (ধর্ম বা বিশ্বাস নির্ভর নয়) তাহলেই তাহলেই তো আমরা সফল। কথা থাকে অর্থের, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির, সেখানে আমার মতে একটি অপেক্ষিকতা প্রযোজ্য। কেউ মাসে ১০০০০ টাকায় যতটা সুখি হতে পারে, অপরে ১০০০০ ডলারে ততটা সুখি নাও হতে পারে। কোরিয় বিমানবাহিনীর এফ ১৭ চালকের হাতের মুঠোয় অনেক ক্ষমতা থাকতে পারে, কিন্ত তার চাইতে নিজের জমির কাদায় নিজের লাঙলের হাতল মুঠো করে ধরা আমার দেশের স্বাধীন চাষির ক্ষমতাও কি কম?
আমার 'আমাদের দেশেওতো সত ও পরিশ্রমী মানুষের অভাব নেই।' - একথার জবাবে আপনি আগে কোরিয়ার এক শিক্ষকের ছুটি নেয়া না নেয়ার একটি গল্প বলেছিলেন। এখন প্রশ্ন করছেন, 'আপনি কি সত্যি সত্যিই ভেবে বললেন?'। আমি বলতে চাই যে আমার দেশের সাধারন মানুষ আসলেই অতি সত ও পরিশ্রমি। ছোট একটি অসত-কুঁড়ের দল যারা আমাদের সরকারযন্ত্র, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালায়, বা যে মুদি দোকানী ওজনে কম দেয়, তাকে দিয়ে তো আমি আমার দেশের ১৬ কোটি মানুষের পরিচয় ধরতে পারিনা। বাংলাদেশকে যতটুকু দেখার সুযোগ আমার হয়েছে, এর চাষী, এর জেলে, এর তাঁতীদের যে ছোট একটি অংশকে আমি চিনি তাদের কেউ অসত নন, নিজের অধিকারের বাইরে তারা কিছুই নেয়না, বরং সুযোগ পেলেই তারা দান করে হাত খুলে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকের সততার সুনাম গুগল করলেই পাওয়া যাবে। দিনের পর দিন যে পোশাকশ্রমিক কাজ করে যাচ্ছে, বিশ্বাস করুন, তার এই শ্রমে এতটুকু কপটতা নেই। তাই বলেছি, আমাদের দেশে সত ও পরিশ্রমি মানুষের কোন অভাব নেই।
---
জলপাই শাসন মানেই খারাপ কিছু নয়
আপনার এই উপসংহার পড়ার পরে আমি ভাবতে থাকি, আলোচনার আর সুযোগ বাকী আছে নাকি নেই। আমার মনে হয় সামরিক বাহিনীর কাজ গণতন্ত্রের প্রতিরক্ষা করা ছাড়া আর কিছু নয়। আইয়ুব খানের আমলেও কিন্তু অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল (প্রবৃদ্ধি ও শিল্পবিকাশ দুটোই), কিন্তু আপনি কি সেটাকে 'খারাপ কিছু নয়' বলতে চান?
দুর্দান্ত দা, আমি ঠিক হতাশাবাদীদের দলে না। আমার হাতে দুর্নীতি করার সুযোগ নেই বলে করি না, এবং আমার হাতে দুর্নীতি করার সুযোগ থেকেও করি এই দুটি আমার কাছে ভিন্ন। আমাদের দেশের কৃষক-শ্রমিকের হাতে দুর্নীতি করার সুযোগ কই! আমি বলছি না আমরা জেনেটিক্যালি খারাপ! অবশ্যই এটা সিস্টেমের দোষ, এবং এর থেকে উত্তরনের উপায় নিশ্চয়ই আছে!
'গণতন্ত্র', 'ব্যাক্তিস্বাধীনতা' ও 'ধর্মনিরপেক্ষতা' এই শব্দগুল বড় বেশি রাজনৈতিক হয়ে গেছে এখন। ভাবার্থ খূঁজতে গেলে পাঠ্যপুস্তক ছাড়া গতি নেই। আর সুখ এর কথা বলবেন! তাহলে তো পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই! প্রভুরা ইতিমধ্যেই জরিপ করে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা সুখী জাতি। নে বাবা তোরা নুন পান্তার সুখেই থাক! আমাদের পেটে লাথি, মাথায় চাটিতেও সুখ কমে না! সাহেবদের পা চেটে বলি আহা জীবন ধন্য হলো! আমার সংবিধান নিয়েও আমি একটা সিরিজ লিখতে চাই, সচলায়তন যদি অভয় দেয়। এমন অকর্মা কাগুজে সংবিধান দুনিয়াতে আর দুইটা আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
গণতন্ত্র হরণ করা সামরিক তন্ত্র আর দেশ মাতৃকাকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে গিয়ে গণতন্ত্র উপহার দেয়া সামরিক তন্ত্রের পার্থক্য আমি করতে চেয়েছি। হয়তো বোঝাতে চেয়েছি। এ প্রসঙ্গে সমাজতন্ত্রের একনায়কোচিত দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বুঝতে পারছি, আপনি আমার চেয়েও বেশি আশাবাদি, তবে আমি মিথ্যে আশা দেখার চেয়ে সত্য জেনে নেয়া কে পছন্দ করি বেশি।
সর্বোপরি আপনার সাথে আমার খুব বেশি দ্বিমত নেই!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
সাংবিধানিক গনতন্ত্রের দেশে জল্পাই শাসন মানেই অবৈধ। অবৈধ কোন কিছুর ভালো খারাপ তুলনারই কোন সুযোগ নেই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোরশেদ ভাই আমি লিখছিলাম দক্ষিন কোরিয়ার প্রসঙ্গে।
১৯৫০ এর কোরিয়ান যুদ্ধ, দুই দেশ বিভক্ত। যুদ্ধ হয়নি শেষ, চলছে যুদ্ধ বিরতি, এখনো।
১৯৬০ এর ছাত্র আন্দোলনের সময় একনায়ক সিং ম্যান লি কে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে আরেক একনায়ক পার্ক জং হি, যাকে আধুনিক কোরিয়ার জনক বলা হয়। একটানা ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৭৯ পর্যন্ত। দক্ষিন কোরিয়ার এক্সপোর্ট লেড ইকোনোমিক ডেভলপমেন্ট শুরু হয়েছিল তার হাত ধরেই।
কোরিয়ার গণতন্ত্র এসেছে এরও অনেক পরে, এইতো আমাদের গণতন্ত্র শুরুর মাত্র চার বছর আগে ১৯৮৭ তে। উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, গণতন্ত্র শুধু তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেছে। হুম হতো- হয়তো উন্নয়ন এমনিতেও হতো তখন সামসং থাকতো ব্যাক্তি মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠান। উন্নয়নের সুফল সাধারণের পাওয়া এতটা সহজ হতো না!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
এটা একটা ডিলেমা। সিঙ্গাপুরের সমৃদ্ধির ইতিহাসে ও এরকম উদাহরন আসে।
তবে সমৃদ্ধির বিনিময়ে ও সামরিক শাসন- নাহ মানতে পারবোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নাহ মোরশেদ ভাই সামরিক শাষনের পক্ষে বলছি না। আপনি "সমৃদ্ধির বিনিময়ে ও সামরিক শাসন" মেনে নেন তাও বলছি না, কোরিয়ায় হয়েছে উলটো- "সামরিক শাসনের বিনিময়ে সম্মৃদ্ধি" এদের এই অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না। সামরিক শাসক যদি ভালো হন তাঁর কাছ থেকে সমাজতান্ত্রিক নেতৃত্ব পাওয়া যেতেই পারে। ১০০ জন বিলিয়নিয়র বানানর চেয়ে এরা কয়েক লক্ষ লাখপতি বানিয়েছে। এবং এর সুফল চলে গেছে আপামর জনগনের কাছে। আপনি রাজধানী সিউলে বসে যে নাগরিক সুবিধা পাবেন আমি গিয়ংসান এর গ্রামে বসে এরচেয়ে কোনো অংশে কম পাই না। আমি বলছি না যে আমাদের সামরিক শাসন এর দিকেই যেতে হবে! এটা যে কোনো নেতাই করতে পারে। পার্ক জং হি'র গায়ে সামরিক পোশাক না থাকলেও তিনি তা পারতেন। হয়তো ভালোই পারতেন। কিন্তু তখনো কোরিয়ায় গণতন্ত্র বলে কিছু গড়ে উঠেনি, যুদ্ধ বিদ্ধস্থ দেশের মানুষ, সাপ, ব্যাং, কুকুর যা পেয়েছে তাই খেয়েছে। নাহ বুঝতে পারছি সামসং নিয়ে একটা লেখা দিতেই হবে। এই একটা কোম্পানীকে স্টাডী করলেই এদের রেপিড ডেভেলপমেন্ট এর কারণ বোঝা যাবে। সম্ভাবনা আমাদেরও আছে, কিন্তু অভাব ঐ নেতৃত্বের!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
সামসং নিয়ে একটা লেখা দিতেই হবে। এই একটা কোম্পানীকে স্টাডী করলেই এদের রেপিড ডেভেলপমেন্ট এর কারণ বোঝা যাবে।
নড়েচড়ে বসলাম ভাই। এরশাদ-ইস্টার্ন গ্রূপ বা আউমিলিগ-বেক্সিমকো আর বিয়েম্পি-বসুন্ধরার গল্পগুলোর সাথে চুংহি-বুংচুল/স্যামসুং এর সমান্তরালে আপনার কথাগুলো শুনবো বলে।
ইস্টার্ন-বেক্সিমকোর সাথে সামসং এর বেসিক পার্থক্যটা কি জানেন? শুটকি ব্যবসায়ী লি বং ছুল এর ব্যক্তিগত উদ্দমে তা শুরু হলেও তা এক সহকৃতি সংস্থা। ভদ্রলোক মারা গেছেন গনতন্ত্র শুরুর আগেই! ১৯৮৭ তে। নামে মাত্র শেয়ার এখন তাঁর পরিবারের হাতে আছে। আর রাষ্ট্রীয় অবদানের কথা যদি বলেন- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কনগ্লোমরেট এই সংস্থাটি সমস্ত কোরিয়ার ২০ ভাগ এক্সপোর্ট নিয়ন্ত্রন করে। যার সুফল পাচ্ছে সমগ্র জাতি। পারিবারিক উন্নয়নের জন্য ইস্টার্ন-বেক্সিমকো হয়েছে, আর রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের স্বার্থেই প্রেসিডেন্ট পার্ক জং হি শুটকি ব্যবসায়ি লি বং ছুল এর সামসং কে গড়ে তুলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থে নয়! দুনিয়াটা প্রতিযোগীতার আমাদের কুটির শিল্প দিয়ে আমরা আই বি এম, মাইক্রোসফট এর সাথে প্রতিযোগীতা করে পারবো না, এর জন্য সহকৃতি সামসং এরই প্রয়োজন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কনগ্লোমরেট
এটা ঠিক কোন বিচারে? বাতসরিক আয়রোজগার, মূলধন, মুনাফা অথবা চাকুরে?
রেভিনিউ'র বিচারে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
প্রথমে আসুন সন্ধি-প্রস্তাবটি পাকাপোক্ত করি। এযাবত আমাদের তর্কটিতে যাকিছু বলছি, আপনার সুন্দর একটি লেখা ও বন্ধুসুলভ মেজাজের জন্যই সম্ভব হয়েছে। ধন্যবাদ।
এবার আসুন স্যামসুং প্রসঙগে। নির্দ্বিধায় স্বীকার করি স্যামসুং একটি বড় প্রতিষ্ঠান, ইলেক্ট্রনিক্স এর মাঠে সবচাইতে এগিয়ে যাওয়া খেলোয়াড়। বাংলাদেশী কেন, পৃথিবীর অনেক কোম্পানির চাইতেও এটি অনেক বড় সন্দেহ নেই। কিন্তু একে পৃথিবীর সবচাইতে বড় কংগ্লোমারেট বলার পেছনে আমি কোন তথ্য খুজে পাচ্ছিনা। ২০০৯ এ ১৭৫ বিলিয়ন ডলার রেভেন্যু নিয়ে স্যামসুং এই লিস্ট এর কোথায় থাকতে পারে বলে আপনার মনে হয়?
দুর্দান্ত দা, [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Conglomerate_(company)]conglomerate[/url] এর মানেটা মনে হয় আমি আপনাকে বোঝাতে পারিনি!
আপনি যে লিস্ট দিয়েছেন ঠিকাছে কিন্তু এটা Conglomerate কোম্পানী'র জন্য নয়। এই লিস্টেই দেখুন, সামসং এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান 'সামসং ইলেকট্রনিক্স' এর একার রেভিনিউ আছে ১০৮ বিলিয়ন ডলার.
আশা করছি এবার বুঝতে পারছেন। আর কিছুটা বিস্তারিত এই লিঙ্কে দ্বিতীয় পাবেন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
দুর্দান্ত দা, [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Conglomerate_(company)]conglomerate[/url] এর মানেটা মনে হয় আমি আপনাকে বোঝাতে পারিনি!
আপনি যে লিস্ট দিয়েছেন ঠিকাছে কিন্তু এটা Conglomerate কোম্পানী'র জন্য নয়। এই লিস্টেই দেখুন, সামসং এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান 'সামসং ইলেকট্রনিক্স' এর একার রেভিনিউ আছে ১০৮ বিলিয়ন ডলার.
আশা করছি এবার বুঝতে পারছেন। আর কিছুটা বিস্তারিত এই লিঙ্কে দ্বিতীয় লাইনে পাবেন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ডুপ্লি ঘ্যাঁচাং!
এই লিস্টে কোম্পানীর পাশে ধরন সহ দেয়া আছে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
বাহ্, বেশ হয়েছে বকবকানি। চলুক।
ছয় বকে- বক বক বক, বক বক বক
থ্যাঙ্কস!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
এই পর্বটা ভালো হয়েছে। ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
বাস্তবের ছবিগুলো আসলেই সুন্দর।
দুট জিনিশের ছবি কোনোভাবেই ক্যামেরা বন্দি করা যায় না, এক হলো তুশারপাত, আরেক হলো চেরি ফুল। ছবি আসে কিন্তু আবহ আসে না।
এই সোউন্দর্য বর্ণনা, ছবি, ভিডিও, কোনোভাবেই প্রকাশ করা সম্ভব না!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
পার্ফেক্ট ব্লগর ব্লগর। পইড়া আরাম পাইসি।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভরশা পেলাম তাহলে!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এবং স্বাধীনতার পরের বছরগুলোতে বাংলাদেশ নিয়ে ও এরকম হতাশপ্রচারনা জারী ছিলো পশ্চিমে। এদেশের অস্ত্বিত্ব কয়দিন টেকে সেটা নিয়ে ও সংশয় ছড়ানো হয়েছিলো।
যতোটা হতে পারতো ততোটা হয়নি কিন্তু বাংলাদেশ টিকে গেছে, বাংলাদেশ উন্নতি করেছে এমন প্যারামিটার ও খুঁজে পাওয়া দুস্কর তা নয়। বন্যা আর দুর্ভিক্ষের দেশ হিসাবে যে অবধারিত ট্যাগিং ছিলো বহির্বিশ্বে সেটা ও বদলাচ্ছে-প্রমান পেয়েছি নিজের প্রবাসী জীবনে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বন্যা আর দুর্ভিক্ষের দেশ হিসাবে যে অবধারিত ট্যাগিং ছিলো বহির্বিশ্বে সেটা ও বদলাচ্ছে-প্রমান পেয়েছি নিজের প্রবাসী জীবনে।
হুম এটা এখনো অনেকে স্বরণ করিয়ে দেয়! আমার এখানে স্কলারশিপ নিয়ে আসার পর পরই প্রফেসর আমাকে বলেছিল, আমি চিন্তিত ছিলাম, তোমাদের দেশে নাকি ঘুর্ণিঝড়, তুমি ঠিক ঠাক আসতে পারবে তো! তখন আইলা না কি যেন এক ঘুর্ণিঝড় চলছিল। তবুও মুখরক্ষা কেউ আমাদের দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা স্বরণ করিয়ে দেয় না।
হতাশার অনেক কিছু আছে এখনো, আমাদের হাতেই দায়িত্ব তা আশায় পরিণত করার!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আশার কথা( আয়রনি আসলে) প্রাকৃতিক দুর্যোগ- বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস এখন প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর নিয়মিত ঘটনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হা হা হা! একটা মজার ঘটনা বলি। দিন তারিখ মনে নেই, আমেরিকা তে কি জানি এক ঘুর্ণিঝড় হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা দকেহা দিয়েছে, আমাদের এদিকের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্থানী ছাত্ররা আনন্দ মিছিল বের করেছে, এর কিছুদিন পরেই পাকিস্থানে ভয়াবহ বন্যা। মনে মনে ভাবছিলাম বেশ হয়েছে! কারণ এখানে আসার পরই একজন সাধারণ পাকিস্থানীর উপকার করতে গিয়ে কি ট্রীট পেয়েছিলাম তা বর্ননা করতে গেলে আস্ত ব্লগ লিখতে হবে। কেন জানি মনে হয় এই জাতিটা পৃথিবীর বুকে অভিশাপ এর মতো!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ভালো লাগলো। আমরা শুধু অন্য ভাষা শিখেই যাবো
আমি আপাতত জার্মানদের নিয়ে চিন্তায় আছি। একদম মাঠির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পর মাত্র ২০ বছরে পৃথিবীর ৩য় ইকোনমি।
কেমনে কি??
নুভান এর কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমার ছোট ভাই, বুয়েটিয়ান। ও হিসাব নিকাশ করে আগামী বিশ বছরের মধ্যে শীর্ষ সুপার পাওয়ার বানিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ কে। স্বপ্ন দেখতে আসলে ভালোই লাগে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
খুব ভাল লেখা। সিরিজের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আনন্দিত হলাম, কিন্তু এই এলোমেলো ভাবনাগুলোও বড় বেশি এলোমেলো। অন্ততঃ সচলায়তন উপযোগী না হয়ে উঠলে প্রকাশ করতে ইচ্ছে করে না।
চেষ্টা করবো তবুও।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
পলাশ নাকি সোমেল? একটু আওয়াজতো দিবি রে ভাই!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
মামুন ভাই,
আপনাকে দেখে মুগ্ধ হলাম। সত্যি এই যে বিশ্লেষনগুলো করছেন এগুলো আমাদের খুব দরকার। নিজেদের চেনার জন্যে।
অনেকে বলে আমাদের সবভ্যতা অনেক বছরের, তাই আমরা নতুন কোন জাতি না। কিন্তু আমার সবসময় মনে হয়েছে আমরা জাতি, দেশ ও সবভ্যতা হিসাবে নতুন। আমাদের সবভ্যতার গোরা হতে পারে বাঙ্গালী। আমাদের স্বার্থ আমরা চিন্তে শিখেছি খুব অল্প কদিন আগে। তাই আমাদের ঐক্য হতে, আমাদের মতন করে সভ্য হতে আরো সময় লাগবে।
সভ্যতা'র মানদন্ড নির্নয় করা আসলেই কঠিন। আমার কাছে সভ্যতা মানে একজন প্রেসিডেন্ট যে রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন, একজন রাস্তার শ্রমিকও সেখানে খেতে পারেন, আমার কাছে সভ্যতা মানে রাত ৩টায় অলি গলি বেয়ে একটা মেয়ে নিরাপদে নিশংসয়ে ঘরে ফিরতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে, পাঠের জন্য, উৎসাহের জন্য!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
সভ্যতার মানদন্ড নিশ্চয় আছে এবং তা নির্নয় কঠিনও নয়। যেমন - সাধারন ব্যাক্তিও বুঝতে পারে আমরা বৃটিশ বা আমিরিকানদের চেয়ে অসভ্য। তবে হ্যা আমার যেটা মনে হয় আপনে বোঝাতে চেয়েছেন "যথাযথ নির্ণয়" সেটা দূরহ।
কাজী মামুন,
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের কথা দেখে পড়তে শুরু করলাম - বছর পাঁচেক আমিও বাস করেছি ঐ রাস্তায়। তারপর লেখা পড়তে পড়তে চলে গেলাম দক্ষিন কোরিয়াতে। এক কালের ঘরকুনো বাংলাদেশীরা এখন কেমন ছড়িতে ছিটিয়ে আছে সমগ্র পৃথিবীতে। এদেরকে আর সহজে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আমার কোরিয়ার অভিজ্ঞতা সামান্য কয়েকদিনের - তবে এখনো মনে পড়ে সিউল আর দক্ষিণের পুসানের কথা। প্লেনে যাবার সময় দেখলাম বন্দুক হাতে একজন সৈনিক প্লেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে। শুনলাম সব আভ্যন্তরিন ফ্লাইটেই নাকি এ রকম ব্যবস্থা। সালটা ছিল সম্ভবত '৮৩ বা '৮৪। আশা করি এখনকার কোরিয়া অনেক বদলে গেছে।
লেখা ও ছবিগুলি খুব ভাল লাগলো। ওখানকার মানুষদের বর্তমান জীবনের কাহিনী আরও জানতে চাই।
শুভেছা রইল।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
অনেক ধন্যবাদ সাইফ ভাই।
এখনকার অবস্থা অনেক বদলে গেছে। সীমান্তের গোলাগোলির খবরও এসে শহর পর্যন্ত পৌছায় না। আর আমার যা মনে হয়, আমেরিকা উসকে না দিয়ে রাখলে এই বিবাদ অনেক আগেই মিটে যেত।
আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে কোরিয়া হবে বিশ্বের শান্তির দেশগুলো অন্যতম।
আপনি ৩২ নং এ থাকলে হয়তো সেই চা বিক্রেতাকে দেখে থাকবেন। একটা জায়গায় চট বেতের জিনিশপত্র বিক্রি হতো, ঠিক তার পাশেই বসতেন সেই মুক্তিযোদ্ধা চা বিক্রেতা।
লিখছি, লিখবো হয়তো আরো।
ভালো থাকবেন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ভালো লেগেছে লেখাটা।
আমি ডেকোটা রাজ্য দুই বছর কাটিয়েছি, এই অপার্থিব সৌন্দর্যটা নিশ্চিত জানি। তবে এটা ছাড়া ঠাণ্ডার সব কিছুই মাইনাস...তাপমাত্রাটা পর্যন্ত
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা হা! আমার অবশ্য গরমের চাইতে ঠান্ডাটাই বেশি ভালো লাগে এখন। এ সি সহ্য হয় না, আর ঠান্ডায় একটু কাপড় চোপড় বেশি করে বের হলে আসলে তেমন সমস্যা হয় না।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আরেহ্, ছবিগুলো দারুণ তো!
বানান সামলে গড়গড়িয়ে সিরিজ চলুক...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বানানবিদদের এমন সাদর করে আহবান জানাই তবু কেউ আমায় ধরিয়ে দেয় না!
শিখবো কেমন করে!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
মঙ্গোলয়েড গোত্রের মানুষেরা আমাদের চেয়ে বুদ্ধিতে অনেক বেশী এগিয়ে না থাকলেও বুদ্ধির ব্যবহারে অনেক বেশী পারদর্শী, অনেক বেশী সু্শৃংখল। তাদের উন্নতির সেটাই অন্যতম প্রধান কারণ বলে আমার ধারণা। জাপান কোরিয়া তাইওয়ান সিঙ্গাপুর এমনকি সেদিনকার দরিদ্র দেশ ভিয়েতনাম।
আমরা সামরিক জান্তাও পেয়েছি, গনতন্ত্রও দেখেছি, এখনো দেখছি। কিন্তু দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি। এখানে একটা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেবার আগে পরিকল্পনা করা হয় সেখান থেকে কতোটা ভাগবাটোয়ারা করা যাবে। ভাগবাটোয়ারার সুযোগ নাই, তেমন প্রকল্প সহজে অনুমোদিত হয় না। ফলে যেখানে ১০০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা করা দরকার সেখানে রাস্তা হয় ৫০ ফুট। সেই রাস্তার পাশে নর্দমা কিংবা ফুটপাত পরিকল্পনায় থাকলেও বাস্তবে হাপিস হয়ে যায়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো তো ভাইবেরাদার মিলেমিশে করে। সামরিক শাসন বা গনতান্ত্রিক শাসন সব আমলেই উন্নয়নের চিত্রটা একই দেখায়। সে কারণে আমরা পার্থক্য টের পাইনা শাসক বদল হলেও।
পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে দুর্নীতি নেই বলবো না। কিন্তু আমাদের মতো টেবিলের উপরে উঠে যায়নি। টেবিলের তলায়ই আছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
খুব ভালো লাগল। বিশেষত প্রকাশভঙ্গীটা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
লেখাগুলো বেশী চিকন হয়ে আসছিল, তাই এখানে শুরু করলাম।
স্যামসুং নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমরা পাল্টাপাল্টি তথ্য দিয়েছি। আপনি তথ্য দিচ্ছেন স্যামসুং পৃথিবীর সবচাইতে বড় কংগ্লোমারেট, আমি বলছি স্যামসুং এর এই বড় হবার পেছনে আছে সামরিক পৃষ্ঠপোষন। স্যামসুং এ শ্রমিক ইউনিয়ন আছে বলেও মনে হয়না।
কিন্তু আমি হঠাত স্যামসুং নিয়ে পড়লাম কেন? আপনার এই লেখাটিতেই কেন আমি এত তেনা পেঁচাচ্ছি।
এর মূল, আপনার খুব সুন্দর করে লেখাটি যা পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনি কোরিয়ায় গিয়ে কোরিয়ার শান শওকত দেখে বাংলাদেশকে নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশেকে নিয়ে আপনি ভেবেছেন, এবং কোন সম্ভাবনা দেখতে পাননি। মন্তব্যগুলোর কয়েকটিতেও আপনার সেই হতাশা ও চিন্তার প্রতিফলন দেখেছি। এগুলো আমাকে ভাবিয়েছে। আপনি ও আপনার মত আরো হাজারো লাখো কাজী মামুন, যারা মনে অনেক প্রশ্ন নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন, তারা যদি উত্তর না খুঁজেই হতাশায় ডুবে যান, তাহলে বাংলাদেশটি সামনে এগুবে কার কাঁধে চড়ে? তাই শান শওকতের পাশাপাশি কোরিয়ার অন্ধকার ও রক্তমন্ডিত অতীত এবং কোরিয় চকচকে অর্থনীতির ঢাকনা সরালে সেখানেও পুঁতিদুর্গন্ধ বেরোয়, সেটা বলতে বোঝাতে চেয়েছি যে কোরিয়া আর বাংলাদেশে একই পথের পথিক। ওরা আগে শুরু করেছে, এসব পাঁক কাদা তারা আগে পেরিয়ে গেছে, আমরা এখন পেরুচ্ছি। আমাদের সামনেও সুদিন আছে, কিন্তু সেখানে আউমি-বিয়েম্পি-জলপাই এর কোন ঠাঁই নেই।
আপনার শুরুর একটা কথা ভাল লেগেছিল। সুযোগের অভাবে চরিত্রবান আর সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে চরিত্রবান হবার মধ্যে পার্থক্য আছে। অনেকবার দেখেছি, যে 'ওরা ভাল আমরা খারাপ; ওরা পেরে গেছে, আমরা হেরে গেছি' ধরনের ভাবনা গুলোতে শুরু হয়, সেগুলোতে এক ধরনের হীনমন্যতা থাকে। সেটা বাইরের সবাই দেখতে পায়। কেউ দয়া করে, কেউ করুনা করে, কিন্তু তাতে পাকাপোক্ত কোন লাভ হয়না 'ওরা পেরেছে, আমদেরো সময় আসবে, একদিন আমরাও পারবো' এরকম ভাবনায় একটি শক্ত আত্মসম্মানবোধ দরকার হয়। নিজের মনের মধ্যে একটু খুজলেই সেটা পাওয়া যায়। বাংলাদেশী হয়েও। এই আত্মসম্মানটিই আমাদের এগিয়ে নেবে একদিন, আমি নিশ্চিত জানি।
সংলাপ চলবে, যদি চালান।
দুর্দান্তর এই মন্তব্যগুলো কি আর কারও কাছে অভদ্র patronizing লাগে নি?
ভদ্র মানুষ ভদ্রতার আড়ালে অভদ্র হলে দুঃখজনক।
মোডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা কি এই রকম আচরণ উৎসাহ দিতে চান ??
মানিক সাহেব, আপনার এই মন্তব্যের ওপর বেশ কতগুলো উটকো ঝামেলা পাকানোর প্রবনতার মাছি ভন ভন করছে। আপত্তি জানালাম।
মানিক সাহেব, আমি আজ একটু কাজে ব্যস্ত থাকায় আলোচনায় আসতে পারছি না।
আসলে সবার প্রকাশ ভঙ্গী তো একই রকম হয় না। আমি বুঝতে পারছি আপনি কি বলছেন। ব্লগে একটু সহনশীলতা আমরা দেখাতেই পারি। আমি আসলে শুরুতেই বলে নিয়েছি, এই সিরিজটা আমার এলোমেলো ভাবনার সিরিজ, এখানে মত, দ্বিমত থাকবে। তথ্য এবং তত্ত্বগত বৈপরীত্বও থাকবে। মূল লেখার চাইতে আলোচনাটাই দেখা যাচ্ছে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। আর দুর্দান্ত সাহেবও যেহেতু মৈত্রী'র কথা বলে নিয়েছেন, আমি তাঁর আলোচনা শুনতেই আগ্রহী। আসলে সমস্যা হয় কি জানেন। মুখোমুখি আমরা একটা গালি দিলেও অনেক সময় কিছু মনে করি না কারণ দেখা যায় যে, সেই গালির সাথে একটা এক্সপ্রেশন থাকে। যেটা গালির কোনো বিপরীত মানে তৈরী করে দেয়। আর অনলাইন ইন্টারেকশন এর ক্ষেত্রে এই সুযোগটা থাকে না।
দুর্দান্ত সাহেবও আমাকে চিনেন না, জানেন না, এ কারণে ধরে নিতেই পারেন যে আমি বিদেশে এসে হতাশায় ডুবে যাচ্ছি। এ প্রশ্নেরও উত্তর আছে। আমি সময় করে কথা বলবো।
আপনার উদ্বেগ এর জন্য ধন্যবাদ। দুর্দান্ত সাহেবও নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
জ্বিনা। আমার কাছে অভদ্রতা মনে হয়নি কারন এখানে ব্যক্তি কাজী মামুনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।
বরং আপনার এই অতিসংবেদনশীলতা বিরক্তিকর ঠেকলো, একটা ভালো আলোচনাকে বিপথগামী করার চেষ্টাই বরং নিন্দনীয়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই লেখাটা পড়া যেতে পারে
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
“মাত্র ৫৭ ইউ এস ডলার বাৎসরিক মাথাপিছু আয় ওদের তখন। মাত্র ৩০ বছরেই ঘুরে দাড়িয়েছে ওরা। ২৭০০০ ডলার বাৎসরিক মাথাপিছু আয় নিয়ে ওরা এখন এশিয়ায় দ্বিতীয় এবং পৃথিবীর অন্যতম দাতা দেশ। এর চেয়ে বড় ব্যাপার হলো এরা সবাই মিলে ধনী, দুই একজন বিল গেটস এর কারণে নয় কিম্বা অন্যের তেল-কয়লা নিয়ে খবরদারী করে নয়। এরা ধনী পরিশ্রম এবং সততা দিয়ে। ”
কয়েক বৎসর আগে প্রথম আলোতে কায়কোবাদ স্যারের আর্টিকেল পড়েছিলাম।তিনি লিখেছিলেন- জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়া উচিৎ যা হবে বিশ্বমানের। এধরনের একটি প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশের বিশ্বমানের দূত হিসেবে কাজ করবে,ঠিক তেমনি এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য আমরা আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবো,যা জাতীয় প্রতিষ্ঠানের পূর্বশর্ত। কোরীয়া ও ভারতের মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে থাকা উচিৎ।
কায়কোবাদ সাহেব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তৈরীরর জন্য প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে যে সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসা যোগ্য।যদি সত্যি এধরনের একটি প্রতিষ্ঠান দারিদ্র র্জজরিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্বতনে সহায়তা করে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো কি হওয়া উচিৎ? গত ৩৯ বৎসর যাবৎ বিভিন্ন সময়ে যে অবকাঠামোগত আচরন পেয়েছি তার সাথে নুতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত পার্থক্য কেমন হবে? কায়কোবাদ সাহেব এবিষয়ে একটা অস্পষ্ট ধারণাও দিয়েছেন।
প্রথমত: প্রতিষ্ঠানটির অর্থায়ন আসবে বে-সরকারী খাত থেকে।
দ্বিতীয়ত; এর উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনা হতে হবে অত্যন্ত উচুমানের বিজ্ঞানী। তৃতীয়ত: শিক্ষাদান বা উন্নয়নমূলক তৎপরতার মডেল হবে 'KIEST'।
চর্তুত; শিক্ষক ও গবেষকদের পারিশ্রমিক হিসেবে অধিকমূল্য দিয়ে তাঁদের মনোযোগ আকৃষ্ট করত হবে।
আজকের বিশ্বে যে কোন কাজের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মূনাফা অর্জন করা। কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যখন অর্থ বিনোয়োগ করবেন তিনি অবশ্যই মুনাফার দিকটা বিবেচনা করবেন। কোন বিজ্ঞানী ,প্রযুক্তিবীদ কি বাংলাদেশের জন্য এমন একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরীর অবকাঠামেগত খসড়া প্রণয়ন করতে পারবেন যা আর্থিক দিক থেকে লাভজনক? আমি আস্থার সাথে বলতে পারি লাভজনক বা ঝুকিহীন হলে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান দাড়া করাতে কোন বাঁধাই আসবে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক র্পযায় প্রচুর সংখ্যক বিণোয়োগকারী ছূটে আসবেন।
ড: কায়কোবাদ বলেছেন যে মনে হয় ‘ভাবার মতো আমাদের বিশ্বমানের বিজ্ঞানী ও উদ্যেক্তা আছেন।’
সুতরাং আমি অত্যন্ত অন্তরীকতার সাথে বলতে চাই, ‘হে বিজ্ঞানী এই দরিদ্র পীড়িত দেশকে নাই ভালবাসলেন, অন্তত ব্যবসায়ীক সফলতার কথা ভেবে হলেও ’KIEST' মডেলের নতূণ এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোটির খসড়াটি তৈরী করুন।’
আমরাজানি এশিয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ’কাইষ্ট’ সেরা প্রতিষ্ঠান। ড: কায়কোবাদ এই প্রতিষ্ঠানটির অনুকরনের কথা ব্যক্ত করেছেন।যে প্রতিষ্ঠান ৭০টি নামকরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। সেখানে অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি কাজের অগ্রগতিকে কত দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তা চিন্তা করলেইবে ধরা পড়ে। বিশেষত: যারা প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে জড়িত। সম্ভবত: ‘কাইষ্ট’ এর বর্তমান বয়স ৩০ বৎসরের নীচে হবে। দুই যুগের কিছূ বেশী সময়ে একটি কোরীয়ান জাতি বিরাট পারবর্তন এবং কাইষ্টের ভূমিকা তাদের দূরদর্শীতার ও সততাই প্রমান করে। তার উল্টোদিকে তাকালে স্বাধীনতার ৩৯ বৎসর অতিক্রান্ত হলেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে জাতীয় অগ্রগতি প্রায় স্থবির। এই স্থবিরতার কারন কি? এই স্থবিরতার জন্য দায়ী কে? শিক্ষক,গবেষক ও বিশেষজ্ঞগণের ব্যর্থতা , না কি সরকারী র্পযায়ে অবকাঠামোগত বিচ্যুতী?
ড: কায়কোবাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক হিসেবে তার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞান সমস্যা সমাধানের পথে নুতন ইতিবাচক প্রেরনা যোগাতে সক্ষম হলেও সেই প্রেরানার রপান্তর আমাদেরকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিতে পারে। কারন, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাইরে নয়। বাংলাদেশেল আর্থ-সামাজিক অবস্থা ,উগ্র রাজনৈতিক প্রভাব, জাতীয় র্পযায়ের স্বজনপ্রীতি, কর্মফাক ট্রেড ইউনিয়ন ইত্যাদি সবকিছূ মিলিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি কমবেশী প্রভাবিত হবে। এমনকি বেসরকারী বিনিয়োগ কিংবা ব্যাক্তি মালিকানাধীন হলেও মোটা অংকের লোকশান হতে পারে।
সুতরাং বিদ্যমান পরিস্থীতির আলোকে যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবকাঠামো সিদচ্ছা ও সততার দ্বারা নির্মিত না হবে ততক্ষ পর্যন্ত ’কাইষ্ট’ মডেলের বড় ধরনের কোন প্রকল্পে হাত দেয়াটা মঙ্গলজনক নয়।
ভূল কিছূ বলে থাকল ক্ষমা প্রার্থনীয়। পাহাড় সমান অজ্ঞানতা নিয়ে আপনাদের সাথে ভাব বিনিময় হচ্ছে, এটাই বড় প্রাপ্তি। ভাল লাগলো ভিন্নস্বাদের ছিন্নকথা পড়ে। তাই আমিও একটু ভিন্নস্বাদ...........।
...................
মহসীন ঢালী
কাজী মামুন,
আপনার রচনাটি পড়ে চমৎকৃত হলাম।
তারচেয়েও ভাল লাগল বাদানুবাদ।
আপনার ভাষার প্রয়োগ দেখে ইর্ষানিত হচ্ছি।
ধারাবাহিকটি দয়া করে চালিয়ে যাবেন............
আমার বিশ্বাস খুব জমবে.......
আগামীতে ধারুন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায়..... আপনার শুভ কামনা করছি।
নতুন মন্তব্য করুন