[নিজের লেখা হস্তাক্ষরে দেখি না অনেকদিন, শাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের হিটু ভাই হাতে লিখলেন ১৫ বছর পরে, তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টার লেখার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে! লিখে আবার স্ক্যান করে সাথে সাথে পাঠালেনও! সৌভাগ্য আমার দুই দিক থেকেই! কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি।
আমি কবি, এই পরিচয়টা অত্যন্ত গোপনীয়! অন্তত একজনের জন্য হলেও মাঝে মাঝে লিখি, তার জন্যই লেখা এই কবিতাটা ]
মন্তব্য
সুন্দর।
ছবির রেস্যুলুশন আরেকটু বেশি হলে ভাল হত।
ভাল থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! এই ছবি নিয়ে সমস্যা আমার গেল না!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
চমৎকার কবিতা!
হিটুর হাতের লেখার সুনাম তাকে খুব ব্যস্ত রেখেছিল শাবিপ্রবির সারাটা সময় জুড়েই। যেকোন দেয়ালিকা প্রকাশনায় তার অংশগ্রহন অনিবার্য, অবধারিত। আমাদের প্রথম ব্যাচের যে ক'জন মানুষ নিজেকে পরিব্যাপ্ত করে দিতে পেরেছিল সারাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃৎস্পন্দনের সাথে---হিটু তার একজন।
শুভাশীষ রইল কাজি মামুন এবং হিটু--দুইজনের জন্যেই।
অনিকেত দা আপনিও শাবিপ্রবি! জানতাম না!
আমরা শাবিতে পা রাখছিলাম আপনারা চলে আসার পরে...পৃথিবীটা দেখতে সমতল আর দু পাশে একটু চ্যাপ্টা হলেও আসলেই গোল! যাদের সাথে দকেহা হওয়ার কথা ছিল না, পরিচয়ের প্রশ্ন ছিল না, তাদের সাথেই দেখা হয়ে যায় বারবার!
থ্যাঙ্কস বস!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আমিও হিটুর মতই শাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের---
সপ্তাহখানেক আগে আপনার বাড়ি দেখে এলাম, অনিকেতদা। চমৎকার জায়গা।
সিলেট গেলাম পর ১৩ বছর পর, অনেক সুন্দর সিলেট।
অলস সময়
শুভাশীষ রইল কাজি মামুন এবং শ্রদ্ধা হিটু ভাইয়ের জন্য।
হিটু ভাই মানুষটাকে যত দেখছি শ্রদ্ধা বাড়ছে তাঁর প্রতি! শুভকামনা আপনার জন্যও!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
শুভেচ্ছা আপনারা দু'জনকেই।
শাবিপ্রবির ছাত্র ছিলাম না,
বসত তার পাশেই
সেখানে কিছু হলেই জানা হত
এই আর কি
ভালো থাকুন।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
শাবিপ্রবিতে পড়ার কারণেই মনে হয় সিলেট জায়গাটার প্রতি আমার অন্যরকম একটা টান তৈরী হয়ে গেছে। বন্ধুরা বলতো ওটা নাকি আমার সেকেন্ড হোম! আসলেই তাই! ক্যাম্পাস ছেড়ে আসার পরও যতদিন দেশে ছিলাম, প্রতি বছরে একবার অন্তত্য যাওয়া হতো! যখন ক্যাম্পাসে পরিচিত ছোট ভাইগুলাও বের হয়ে গেছে তখনও যেতাম, ইট কাঠ পাথরের প্রতি একটা মায়া হবে হয়তো!
ধন্যবাদ আপনাকে আফসার ভাই!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
কবিতা তো ভালো।
আমার হাতের লেখা একটা বিশেষ ব্যাপার।
আমি ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারেনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
দিদি থ্যাঙ্কস, স্কুলে অনেক পরীক্ষার পরই খাতা দেয়ার আগে স্যার/ম্যাডামরা আমাকে ডাকতো- ডেকে বলতো কি লিখেছিস ওটা পড়ে শোনা! পড়ে শোনাবো কি করে পড়ার মতো হলেই তো! দেখতাম আবার প্রশ্ন- উত্তর মনে করার চেষ্টা করতাম বলতাম আর নাম্বার যতই পাই, মার খাওয়া ছিল কনফার্ম!
আমার হাতের লেখা কিছুটা পড়ার উপযোগী হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরার সময়, কি করে জানি না!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
সত্যিই তো, নিজের লেখা কবিতার পাশে কি আর দাড়িদাদুর কবিতা দাঁড়াতে পারে? কবিতা জটিল হয়েছে।
রানাপু (অন্য অনেকের মতই আমিও আপনাকে ছেলে বলেই জানতাম), দুয়ো! আমার হাতের লেখা তো আমিও বুঝতে পারিনা সময় সময়!
হাহাহা। আচ্ছা। ভাই ডেকে ফেলুন। অসুবিধা নেই
আমার ইংলিশ হাতের লেখা দেখে ম্যানেজার বলেছিল "Is this Bengali".
এরকমই বিভতস অবস্থা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হুম... তাহলে মানতে হবে, আপনারও কিছু এলেম আছে।
'আমার ইংলিশ হাতের লেখা দেখে ম্যানেজার বলেছিল "Is this Bengali".'
আফামনি, ডরাইসি!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক ধন্যবাদ!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ভাই কাজী মামুন, আশাকরি আপনি প্রেমিকার জন্যই কবিতা লিখেন, কবি হওয়ার জন্য বা কাব্যচর্চার জন্য নয়। এরশাদও এরচেয়ে ভালো কবিতা লিখতেন, যদিও সেগুলোও ভাল কবিতার চাইতে ততোধিক খারাপ। অনেক ইন্টারেস্টিং শব্দের খেলা আছে বটে, তবে সব মিলিয়ে মনে হয় এরকম কবিতা প্রেমে পরলে সব বাংগালীই লেখে। এখানে ভার্চুয়াল বন্ধুত্বের খাতিরে সবাই সবাইকে পিঠ চুলকিয়ে বাহবা দিয়ে কথা বললেও আমি সত্য বলতে দ্বিধা করিনা যদিও আপনি এতে অনেক কষ্ট পাবেন। অবশ্য এটা অনেকটাই সাব্জেকটিভ ব্যাপার। তবে আপনি আপনার কাব্যচর্চার ক্রিয়েটিভিটি ও সময় যদি অন্য কাজে প্রয়োগ করেন, তাতে সমাজ ও আপনি অনেক লাভবান হবেন।
শুধু আপনি নয়, বাংগালী ছেলেমেয়েদের সবাই বা প্রায় ৮০% যারা ক্রিয়েটিভ কিছু মানেই প্রথমে কবিতা লেখা মনে করে, কাক ও কাকড়ার চেয়েও অগুনিত আমাদের কবির সংখ্যা, এরাও এ জিনিষটা রয়েসয়ে করলে অন্য অনেক কাজে যাতে আমরা পটু নই, দেশের ও সমাজের তাতে অনেক বেশি লাভবান হত। কবিতা মুমূর্ষ সারা পথিবীতে। আপনি কি যে কোনো ভাষার তিনজন জীবিত কবির নাম বলতে পারবেন? বাংলাতে কবিতা (যেনতেন) লেখা পানির মত সহজ (ভালো কবিতা লেখা ততোধিক কঠিন)। "আমি" "তোমাকে" "ভালবাসি" - এই তিনটা শব্দকে ছয় ভাবে কম্বিনেশন করা যায় (উদাহরনটা কোথাও পড়েছিলাম)। "আমি তোমাকে ভালবাসি", "আমি ভালবাসি তোমাকে", "তোমাকে আমি ভালবাসি", "তোমাকে ভালবাসি আমি", "ভালবাসি আমি তোমাকে", "ভালবাসি তোমাকে আমি"। এর সবগুলোরই বাংলাতে অর্থ হয়, অথচ ইংরেজীতে 'I love you' এই একটারই মানে হয়, অন্যগুলোর কোনো মানে হয় না - 'I you love', 'love you I', 'love I you', 'you I love', 'you love I' - সব অর্থহীন। সুতরাং এটা শুধু বর্ষামুখর বাংলার জন্য নয়, ভাষাগত করনেই এটা সহজ। তবে এটা স্পষ্ট বলতে চাই, ভাল কবিতা লেখার জন্য অনেক সাধনা, জানা দরকার যেটা অনেকে সিরিয়াসলি করেন - শুধু আবেগ দিয়েই হয় না। আশাকরি আপনার গোপন কবি পরিচয় আপনার গোপন বা প্রকাশ্য প্রেমিকার জন্যই রাখবেন, আপামর পাঠকদের জন্য নয়।
কবিতাটি ঠিক কী কারণে আপামর পাঠকদের জন্য নয় তা আপনার মন্তব্য পড়ে আমি বুঝতে অপারগ হলাম। আশা করি একটু ব্যাখ্যা করবেন।
আপামর পাঠকদের জন্য লিখলে অসুবিধার কিছু নেই। আমি এটাই বলতে চেয়েছি যে আমাদের (বাংলার) অনেকেই আমাদের ক্রিয়েটিভ শক্তিটা কবিতা লেখার পেছনে ব্যয় করি। যারা কাব্য সাধনা করেন তারা এটা করবেন তা ঠিক আছে। তাই বলে ৮০% বাংলার ছেলেমেয়েরাই কবিতাকে বেছে নেয় এক বয়সে, এ রকম শখের কবির সংখ্যা দুনিয়ার কোথাও আর নাই। আমি এই ট্রেন্ডএর বিরোধিতা করছি। আমি বলতে চাইছি, এই ক্রিয়েটিভ শক্তিটাই যদি প্রোগ্রামিং, গণিত, সায়েন্স, ফিল্ম, সাহিত্যের অন্য শাখা, ব্যবসা, টেকনোলোজি ইত্যাদি - আমরা যে যাই করছি সেটা যে শুধু ঘানি টানা জব নয়, বরং কবিতার মত ক্রিয়েটিভ শক্তি দিয়েই সেটা করা যায়, সেটা যদি আমরা করতে পারি তবে সমাজ/দেশ সার্বিকভাবে অনেক লাভবান হবে - সারা পথিবীতে তাকালে এটাই বোঝা যায়। কাব্যের ভাবালুতা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি কিন্তু আপামর সবার সবটুকু ক্রিয়েটিভ শক্তি এতে প্রয়োগ করার দরকার নেই। এই 'কবি'র বেলায়ও আমি সেটা বলছি উদাহরন হিসেবে।
আমি মুগ্ধ! (হাততালি'র ইমো হবে)
আপনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, কিছু শেখা যাবে মনে হচ্ছে আপনার কাছ থেকে।
কিছু প্রশ্ন ঘুরছে মাথায়, যদি সাহায্য করেন-
এক- কবিতা কি একটু বুঝিয়ে বলবেন?
দুই- প্রোগ্রামিং, গণিত, সায়েন্স, ফিল্ম, সাহিত্যের অন্যান্য শাখার সাথে কবিতার বিরোধটা ঠিক কোন জায়গায় বলবেন?
তিন- পেশায় জমিদার হলে কি কবি হওয়া যাবে? ওমর খৈয়াম এর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন, আপনি বিজ্ঞ কবিতা বোদ্ধা শুনেই থাকবেন- একই সাথে গনিতজ্ঞ ওমর খৈয়াম এর "Explanations of the difficulties in the postulates in Euclid's Elements" বইটার কথা কি শুনেছেন? তাঁর ডাক্তারীর কথা? ক্যালেন্ডার রিফর্মের কথা? এস্ট্রোনমির কথা?
চার- তারবিহীন যোগাযোগ এর গবেষণা ছেড়ে ভাবছি একতারা নিয়ে সন্যাসী হবো! কেমন হয় বলুন তো?
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আমার কমেন্ট আপনি ব্যক্তিগতভাবে নিলেও এটা একটা জেনারেল কমেন্ট। ওমর খৈয়ামের উদাহরনটা খুব সাধারন হয়ে গেল - ক্লাস সেভেন টাইপের - এক হাজার বছর আগে এক সাথে অনেক কিছুই ভালভাবে করা যেত। কোটি কোটি বাংগালী কবিতা লিখে গোটা সাতেক জাতের কবি বেড়িয়েছে। আর একজন ওমর খৈয়াম হবার সাধনায় কোনো বাংগাল ছেলেপেলে কোনোদিন কোনো দিকেই কিছু করতে পারেনি - শুধু হয়েছে পার্টটাইম কবি। কোথায় এত বিশাল জনগোষ্ঠির মধ্যে নেই একজন আন্তর্জাতিক মানের গণিতবিদ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, অর্থনীতিবিদ ইত্যাদি - দলে দলে মানুষ না খেয়ে মরে, আর কোটি কোটি মানুষ/ছেলেপেলেরা যুগের পর যুগ কবিতায় বুদ হতে ভালবাসে, বাংগালির কাছে ক্রিয়েটিভ কাজ যেন শুধু একটাই। একটু সহজে নাম কামানোর জন্য কঠিন কিছু না করে সব সিরিয়াস ক্রিয়েটিভ লোকজনও সবাই পার্ট টাইম কাব্য/সাহিত্য চর্চা করে নাম কামান। ফলে কেউ জাতের কবি/সাহিত্যিক তো হয়ই না (কারন ওটা তো তাদের পার্ট টাইম পেশা/নেশা) আবার জাতের অন্য কিছুও হয় না। দেশে অনেক প্রফেশনাল আছেন যারা শুধু এই চর্চা বাদ দিয়ে ক্রিয়েটিভিটি নিজ প্রফেশনে কাজে লাগালে আন্তর্জাতিক মানের গণিতবিদ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, অর্থনীতিবিদ ইত্যাদি দলে দলে বের হয়ে আসত। খোজ নিয়ে দেখেন দেশে কোনো বিজ্ঞানীই (বা অন্য চিন্তাশীল পেশার) কোনো দিন কিছুই করতে পারেনি, কিন্তু সবাই পার্ট টাইম কবি/ইত্যাদি - করতে পারত যদি ক্রিয়েটিভ শক্তিটা সব একদিকে প্রয়োগ করত।
আর আপনি যে যে কোনো ভাষার তিনজন কবির নাম জানেন না তা বোঝাই গেল, কারন ঐ কথাটা এ জন্যই বলা হয়েছিল যে, সারা দুনিয়ায় কবিতার মুমূর্ষ অবস্থা যাচ্ছে।
না ব্যক্তিগত ভাবে আপনি নেই নি, আমি কবি পরিচয় নিয়ে আমি শংকিত নয়, আশান্বিতও নই, সুতরাং ব্যক্তিগত ভাবে না নেয়াই স্বাভাবিক। ওমর খৈয়ামের শত উদহারণ বাংলাদেশেও আছে! আমি বুঝতে পারিনি হাজার বছরের পুরোনো সবকিছু আপনার কাছে বাতিল হয়ে যায়!
কেন তখন কি শিক্ষা দীক্ষা, জ্ঞান চর্চার বিষয়টা অনেক সহজ ছিল? আমি অবাক হই এখন আমরা এত রিসোর্স পাচ্ছি কয়েক ক্লিকে, ২০ বছর আগে যখন ইন্টারনেট ছিল তখনকার লোকজন কি করে রিসার্স করতো!
কিছুদিন আগে এক বন্ধু বলছিল, এখন কোনো জিনিশ গুগুলে না থাকা মানেই দুনিয়াতে না থাকা! আপনি হয়তো ধরে নিয়েছে আপনার নলেজে না থাকাই মানে দেশে না থাকা! বাংলাদেশের কজন সায়েন্টিস্ট, কজন ইকোনোমিস্ট এর কথা আপনি জানেন! গুগুলে bangladesh আর scientist কীওয়ার্ড দুটো আপনি যদি কষ্ট করে ব্যবহার করেন তাহলে অনেক অভাগা সায়েন্টিস্ট তাদের অস্তিত্ব খুজে পাবে। আর পড়ার কষ্ট না করতে চাইলে কষ্ট করে এক মিনিটের এই ভিডিওটা দেখে নিবেন।
কাব্য চর্চা সহজ মনে হচ্ছে কেন আপনার কাছে? আপনার নিজের দু-একটা শিল্প কর্মের সন্ধান দিবেন নাকি? অথবা পার্ট লিখে খ্যাত হয়েছেন এমন দু-একজনের পরিচয়?
কুদরাত-ই-খুদা, জগদীশ চন্দ্র রা তাহলে কেউই কিছু করতে পারেনি! অথবা এই তো কিছুদিন আগে ড. শাহ এম ফারুক যে কলেরার কারণ আবিষ্কার করলো, অথবা অধ্যাপক ফকরুল ইসলাম, যিনি আর্সেনিক শোধক বের করলো, অথবা যে লোকটা পাটের জিনোম সিকোয়েন্স করে দুনিয়া কাপিয়ে দিল, এদের কাজগুলো কিছুই না আপনার কাছে! কোন দুনিয়ায় থাকেন ভাই!?
এটাও কি আপনার নিজস্ব ডিকশনারীর বিচারে? আপগ্রেড করেন একটু দুনিয়া অনেক বেশি আগাই গেছে...এখন ক্লিক ক্লিক ক্লিকেই আপগ্রেড করা যায়!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
হতে পারে। কিন্তু দাবির সপক্ষে তথ্য দেখান আগে।
দু:খিত, আপনার সাথে একমত হতে পারছিনা। কারণটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি। আমার মনে হয় এই যে আশি ভাগের কথা আপনি বলছেন এরা কিন্তু আবেগ দিয়ে কবিতা লেখে, কবিতা লিখে কবি হতে চায় বলে মনে হয় না। তাদের কবিতা লেখার ভাব আসে এবং আছে। সেজন্যই তারা কবিতা লেখে। যারা কবিতায় সৃজনশীলতা আনতে চায়, কবি হতে চায়, তারা কিন্তু এই আশি ভাগের খুবই ছোট একটা অংশ। ভালো কবি/কবিতার সংখ্যা দেখলেই সেটা আমরা বুঝতে পারি।
আমি যেটা বলতে চাইছি, অধিকাংশ বাংগালী শখের বশে কবিতা লেখে; কবিতা লেখার চেষ্টা করছে বলে অন্যদিকে তার প্রতিভা অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে-- এমনটা আমি মনে করি না। এমন ধারণা একটু সংকীর্ণ মনে হয়।
সমালোচনা আমি সবসময় অন্যরকম শ্রদ্ধার চোখে দেখি। তিনজন জীবিত কবির নাম বলতে পারলেই কি কবিত্ব অর্জন করা যায়? এমন বিচারবোধ যার তার সমালোচনা আমি বিবেচনাতেই নেই না! আর যার তার কাছে কবিত্বের পরীক্ষাও দেই না! ক্ষমা করবেন!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
হাতের লেখার কথা যখন এলই তখন আমার কেসটা বলতেই হয়। তেলাপোকা সারাদিন দৌড়েও ওই জিনিসের ধারেকাছে যেতে পারবে না। হায়ারোগ্লিফিক পাঠ করা গেলেও আমার লেখা পাঠ করতে বেগ পেতে হবে- এই কথা একাধিক জনের মুখে শতাধিকবার শুনেছি।
মামুন ভাই, এইরকম কবিতা পয়দা করেও যদি 'কবি' পরিচয় গোপন করে রাখেন তাইলে কেম্নে কি?
আমার হাতের লেখার গল্পতো বললামই, পরীক্ষা দেয়ার পর স্যারদের আবার পড়েও দিয়ে আসতে হতো!
ধন্যবাদ আপনাকে!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
এই সুযোগ পেলে ত কথাই ছিল না। হাতের লেখার জন্য আর বংশ খেতে হত না পরীক্ষায়।
হায় কবি! হায় কবিতা
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আর লিখমু না! কান ধরছি! মাফ চাই দোয়াও, কন তো সিগনেচারটাও মুইছা দেই!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আমার তো কবিতাটি বেশ লাগলো। 'সজনে' যদি 'সুন্দরী'কে চিনতেনই তবে কি শুদ্ধতা অবহেলিত হতো চল্লিশের দশকে?
একজন শিল্পী কিম্বা কবির এমন সিদ্ধান্ত নিজে নিজে নেবার অধিকার নেই, কারণ তিনি আমজনতার সম্পদ।
রোমেল চৌধুরী
ধন্যবাদ আপনাকে!
চাইলেও কি আর লেখা ছাড়া যায়? লেখা ছেড়ে দেব ভেবেই একবার লিখেছিলাম-
লেখা ছাড়া হয় নি! স্টেন গান হাতে নেই এ কারণেই হয়তো!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
আরে ভাই মাইন্ডাইয়েননা, সময় থাকলে একটা ঢুঁ মাইরেন এখানে
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এই কাহিনী! খুইল্লা কইবেন তো! আমি আরো ভাবলাম, কবিতা দিছি বইলা আপনি মাইন্ড করলেন! নাহ আমারও প্রায় একই কারণে লিখতে ইচ্ছে করে না, ভালো ভালো কবিদের কবিতা পড়ি আর মনে হয় ধুর! কি লিখমু আর নতুন কইরা!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ফ্রশ্ন যখন উঠলই, তখন জ্ঞানিগুনীদের কাছে ঝানতে চাই, আসলেই, কবিতা কি?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিও রাসেল সাহেবের কাছে এই প্রশ্নটাই করেছি। তিনি যদি আমাদের একটু বলেন- তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পারবো!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
কবিতা ভালো লেগেছে।
যিনি হাতে লিখেছেন তার হস্তাক্ষরও অসাধারণ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
থ্যাঙ্কস আপনাকে!
হিটু ভাইকেও!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
রাসেল [অতিথি] ভাই কবিদের উপর এত ক্ষ্যাপা কেন? আজিজে রাইসুর হাতে মাইর খাইছিলেননি?
কাকস্য পরিবেদনা
আমি এই দোররা কাউয়া কবির নাম নিতে চাইনি! আপনি নিয়েই ফেললেন---রাসেল সাহেবের জন্য দুজন জীবিত কবির নাম খুজে পেয়েছি- একজন দোররা কাউয়া আরেকজন বরবাদ মগবাজার!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
তিন নাম্বার জনের কথাও ভুইলাই গেছিলাম, উনিও জীবিত(?) আন্দাজ করেন দেখি কে?
আ(বা)ল মাহমুদ, লুকটারে ছুডু কালে খুব ভালা পাইতাম, কিন্তু ভিক্টোরিয়া কলেজে শিবিরে প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি দেখার পর থেইক্যা রুচি উইঠ্যা গেছে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
মনটা খারাপ ছিলো । কবিতা বিষয়ক আলোচনা পড়ে হাসি পাইলো !
প্রথমেই লজ্জা প্রকাশ করছি যে আপনারা কেউই কবিতার সংজ্ঞা দিতে পারলেন না তা দেখে ! দুয়ো ! আরে ভাই কবিতা হইলো ক, ব এ ইকার, ত এ আকার । বুঝছেন ?
রাসেল ভাই কেন যে কবিতাচর্চার উপর খেপলেন তা নিয়া তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার । হাঃ হাঃ । আরে ভাই, মানুষ বৈ রোবট তো না যে আবেগ থাকবে না । আবেগের প্রকাশ কেউ গান গেয়ে করে, কেউ কবিতা লিখে করে, কেউ ছবি এঁকে করে ইত্যাদি ইত্যাদি । এতে দোষের কী হলো ? আমি খুব কষ্ট পেলে যদি একটু কাঁদি আর হাবিজিবি লিখি তবে আমার মনটা একটু হালকা হয় । আপনার কথা মানতে হলে কষ্ট পেলে আমাকে ল্যাবে ঢুকে টেস্টটিউব এসিড নাড়াচাড়া করে গবেষণা করতে হবে । আর মামুন ভাই তো নিজেকে বড় কবি সৃজনশীল কবি দাবি করেন নাই । তবে তার উপর খেপলেন কেন ? মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ করার মাঝেও কীসব গবেষণা টবেষণা ছাইপাঁশ ঢুকান, মহা বেরসিক তো আপনি !
আমিও বেশ বিনুদিত হচ্ছি রাসেল সাহেবের মন্তব্যগুলো পড়ে।
আমি আসলে গোড়ার দিকে বিষয়টা পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম, যে কবিতাটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল দুইটা, এক নিজের লেখা হস্তাক্ষরে দেখলাম, আবার সেটা লিখেছেন শাবিপ্রবি লিজেন্ড হিটু ভাই- এজন্যই শেয়ার করছিলাম।
কবিতা আমি বাজারে তুলি, উপযুক্ততা নেই এটা হতে পারে, আবার প্রয়োজনও নেই!
থ্যাঙ্কস আপুমনি!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
"আমি যেটা বলতে চাইছি, অধিকাংশ বাংগালী শখের বশে কবিতা লেখে; কবিতা লেখার চেষ্টা করছে বলে অন্যদিকে তার প্রতিভা অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে-- এমনটা আমি মনে করি না। এমন ধারণা একটু সংকীর্ণ মনে হয়।"
বাংগালীর প্রতিভা কবিতা ছাড়া আর কোথায় 'ভালভাবে' ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা দেখালে ভাল হত।
আমি কবিদের উপরে 'খেপে' নেই। একসময়ে অনেক 'পচা' কবিতা লেখার অভ্যাস আমারও ছিল। পরে দেখলাম, এ অভ্যাসটা বাংগালী ছেলেপেলেদের মধ্যেই প্রবল। অন্য কোনো ভাষার মানুষরা এতটা কবিতাপ্রবন না। আমরা যে আতিরিক্ত বেশি আবেগপ্রবন সেটা সব সময়ে পজিটিভ নাও হতে পারে। (যেমন ম্যারাডোনার বহিস্কারে কেবল বাংলাদেশেই মিছিল হয়)। আর রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ বাংগালী মানষে যতটা দখল করে আছে, অন্য কোনো ক্রিয়েটিভ মানুষদের সেই দখল নেই। এটা থেকে না বেড়িয়ে আসলে আমরা কখনো অন্য কিছুতে ভাল কিছু করতে পারব না। অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক মেধাবী জীনতত্ত্ববিদ বাংলায় বেশ কতগুলো কবিতার বই লিখে বসে আছে। এ রকম দেশের অনেক ক্রিয়েটিভ লোকদের (ছেলেমেয়েদের) দেখা যায়, যারা পরিচিতি পাবার জন্য এ পথে সময় দেয় অথচ তাদের কাজেই তারা কিন্তু আরো ভাল করতে পারে। এই উদাহরন ভুড়ি ভুড়ি। আবেগ আসলেই কবিতা লিখতে হবে - এটা কি শুধু আমাদের ভাষাভাষিদের জন্য? কারন অন্য ভাষায় এ প্রবনতাটা কম কেন? আমরা নিসন্দেহে অন্য সবার থেকে পিছিয়ে সব দিক থেকে, এটা যদি মানি তবে তার কারনগুলো ভেবে দেখতে হবে। ১৯০০ -২০০০ পর্যন্ত আমরা তেমন কিছু কি করতে পেরেছি 'আবেগের ব্যাপার' ছাড়া - মানুষের ক্রিয়েটিভ সব এরিয়া বিবেচনায় এবং আমাদের জনসংখ্যা অনুপাতে?
আমরা কেন পিছিয়ে তা আপনার মন্তব্য পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবে। যিনি দেশের হাজারটা সমস্যা নিয়ে একটা লেখা দেন না অথচ একজন একটা কবিতা লিখেছেন বলে প্রতিভার অপচয় হচ্ছে তা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন সেরকম মানুষ দিয়েই কি তাহলে দেশ ভরে যাচ্ছে?
এ নিয়ে মন্তব্য করে আর সময় নষ্ট করতে চাইনা।
আপনি আমার আগের মন্তব্য'র জবাব না দিয়েই নতুন মন্তব্যে চলে এসেছেন।
রাসেল সাহেব, সমালোচকদের লেখকদের চাইতে একটু বেশি সতর্ক হতে হয়। রেফারেন্স ছাড়া ভিত্তিহীন তত্ত্ব দিয়ে সমালোচনা হয় না।
আপনি যদি বলেন আমি কবি হিসেবে খারাপ এটা মেনে নিতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু যখন বলেন আমারা জাতি হিসেবে অকর্মা, আমাদের সায়েন্টিস্টরা কিছুই করতে পারছে না এবং তা কবিতা লেখার কারণে। তাহলে রেফারেন্স চাইবোই! ভূটানে(?) কোনো কবি নেই, তাই বলে ভূটান কি উন্নতির শিখরে পৌছে গেছে?
সেটা আপনাকে উপরের মন্তব্যে দেখিয়েছি- আপনি বোধ করি মন্তব্য'র উত্তর পড়েন নি, পড়লে এই প্রশ্ন আবারও উত্থাপিত হতো না। নিজেদের অর্জন গুলোকে ছোট করে দেখে আপনি নিজে বড় হতে পারবেন না।
এই তত্ত্ব দেয়ার আগে, কটা দেশ, কটা সংস্কৃতি আপনি দেখেছেন একটু বলবেন কি? বাঙালীর আবেগ বেশি, বাঙালী কবিতা লিখে বেশি, বাঙালী ম্যারাডোনা পাগল--সেই থেকে একে একে দুই এর পরিবর্তে আপনি একে একে চার এর সিদ্ধান্তে পৌছে গেছেন! একে একে এক ও হয়, যদি তা যোগ না হয়ে গুন বা ভাগ হয়! এই আবেগের কারণের আমরা ক্রিকেট ভালোবাসতে পারি, এই আবেগের কারণের অর্ধেকের কম সুবিধাদি নিয়েও আমরা নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারি।
এতে তাঁর জীনতত্ত্বের কোনো ক্ষতি হয়েছে বা দেশের ক্ষতি হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ আপনার কাছে আছে? আপনার কথাগুলোর সাথে জয়নাল হাজারীর কথা বার্তার বেশ মিল আছে, মাইন্ড কইরেন না। হাজারী দেখলাম বলছে, বাঘ মানুষরে কামড়ায় সুতরাং বাঘ সব মেরে ফেলো। আর আপনি বলছেন, কবিতা কামড়ায় না ঠিক আছে কিন্তু কবিতা লিখে যেহেতু পেট ভরে না, কবিতা লেখা বন্ধ করে দাও!
আপনার কাছে অর্জনের মানে কি বলুন তো?
এই আবেগ না থাকলে আজও আমরা ব্রিটিশদের দাশ হয়ে থাকতাম, পাকিদের পা চাটতাম, স্বাধীনতার আলাদা কোনো মূল্য আছে আপনার কাছে?
নাকি সব কিছুই ভাত কাপড় দিয়ে বিচার করেন?
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
"একজন একটা কবিতা লিখেছেন বলে প্রতিভার অপচয় হচ্ছে" - কোটি কোটি প্রতিভাবান বাংগালী ছেলেমেয়েরা লিখে (যেটা অনুপাতে অন্য যে কোনো ভাষার চাইতে কম হলেও ৪০ থেকে ৫০ গুন বেশি) তাই আমার কমেন্ট। একজন লিখেছে তাই নয়।
আচ্ছা আপনি এই কোটি কোটি সংখ্যাটা কোথায় পেয়েছেন জানতে পারি কি? আর বলুন তো মোট কত ঘন্টা সময় বাংলাদেশের ছেলে/মেয়েরা ফেসবুকে আর মোবাইলে নষ্ট করে? সংখ্যাটা কি কোটির ঘরে পোঁছুবে নাকি না?
আপনার কাছ থেকে এ নিয়ে একটা লেখার দাবী রেখে গেলাম।
ভুড়ি ভুড়ি
কাকস্য পরিবেদনা
ফ্রি বিনোদন দানের জন্য অতিথী রাসেলকে ধন্যবাদ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ডোন্ট ফিড দি ট্রলস।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নতুন মন্তব্য করুন