“বারে ঢুকে একটা ড্রিঙ্কস ওর্ডার করে বসতেই আমার প্যান্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিলো পাশের জন”, ঠিক এভাবেই গল্প শুরু করলো ফিলিপ। “এরপর ছিটকে সরে আসলাম পরে সে জিজ্ঞেস করলো আমি তাঁর বাসায় যেতে চাই কিনা- আমি বললাম- দেখো- আমি ঠিক এমন না! এরপর সে জিজ্ঞেস করলো কেন তুমি জানতে না এটা পুরুষ সমকামীদের বার? বাইরে কিছু লেখা নেই, আমি কি করে জানবো! তবে ভিতরে ঢুকে প্রথমে একটু অবাক হয়েছিলাম যখন দেখলাম শ-খানেক পুরুষ, চার-পাঁচটি মেয়ে!”।
ফিলিপ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর অধ্যাপক, পিউর ব্রিটিশ, চলনে, বলনে, আচরনে লন্ডনী ছাপ সুস্পষ্ট। বয়স চল্লিশের কোটায় হলেও এখনো স্মার্ট, হ্যান্ডসাম। আমার সাথে খাতির হয়ে গিয়েছিল প্রথম ক্লাসের কফি-ব্রেকেই- একসাথে সিগারেট ফুকতে ফুকতে। ওহ! ওর সাথে আমার সম্পর্ক ছাত্র শিক্ষকেরই, আমি ইংরজীতে ট্যাকনিকেল পেপার রাইটিং স্কিল উপর একটা কোর্স করছি ওর কাছে, ভালো ভালো আইডিয়ার পেপারগুলো রাইটিং স্টাইলের কারণে অনেক জার্নাল ছাপায় না- এ চিন্তা থেকেই ফিলিপ এর দ্বারস্থ হওয়া। ফিলিপকে আমার মোটামোটি পছন্দ হয়েছে, এ কারণে আউটডোর ক্লাস এর প্রস্তাবনা আসার সাথে সাথেই রাজী হয়ে গিয়েছি- জানি ক্লাস কিছুই না- আমরা এসেছি আসলে শরৎ এর বহুবর্নিল গিয়ংজু সিটি দেখতে। আমরা মোট দশজন, প্রফেসর ফিলিপ, তাঁর গার্লফ্রেন্ড, বাকীরা আমরা সবাই পি এইচ ডি গবেষক/ছাত্র। গিয়ংজুতে পৌছানোর পর সেখানে আমাদের সাথে যোগ দিবে আরো দুইজন, একজন POSTECH এর প্রফেসর। ভূমিকা শেষ আবার আগের গল্পে ফিরি।
“গতকাল হেলোয়িন পার্টিতে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হলো- অদ্ভুত…”- সামনে ড্রাইভারের সিটে বসা ফিলিপের গার্লফ্রেন্ড আমাদের এই গল্প মনে হয় খুব একটা পছন্দ করছে না, ফিলিপ ইচ্ছে করে পিছনের সিটে এসেছে আমাদের সাথে গল্প করার জন্য, আমি একবার বললাম, দেখো ‘জ্যা’ মনে হয় রাগ করছে! ওর গার্লফ্রেন্ড সুন্দরী, বয়স কম, ফিলিপের থোরাই কেয়ার! “হুম তাঁরপর শোনো কি হয়েছে, মেয়েটা আমাকে অনেক ‘সিক্রেট’ বললো, এখানকার সমাজের। আমরা বাইরে থেকে যা দেখছি ওটা আসলে তা না! ভিতরে অনেক অন্যরকম” “এইতো কিছুদিন আগে আমরা ডাউন টাউনে হাঁটছিলাম হঠাৎ করে একটা লোক এসে কি জানি একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে গেল- তোমার মনে আছে জ্যা?”- জ্যা এর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে থামলো ফিলিপ। “তোমরা কি আর কোনো বিষয় খূঁজে পাও না! গ্লোবালাইজেশন, পলিটিক্স…” অবশেষে হাসতে হাসতেই মুখ খুললো জ্যা। কিন্তু কে থামায় ফিলিপকে! সে এখন গল্প বলার মুডে! “হ্যাঁ বলো না! ঐ যে লোকটা, আচ্ছা ওদের খদ্দের কারা?”- “বেশরভাগই বয়ষ্ক মহিলারা। অথবা ফিল্ম স্টাররা, অনেক সমকামীও আছে”- উত্তর দিলো জ্যা, সাবলীল ভঙ্গীতেই। আমার এখন কেন জানি মনে হলো জ্যা আসলে বিরক্ত হচ্ছে না, আলোচনায় অংশগ্রহন করছে না ঠিক কিন্তু সে মজাই পাচ্ছে! “হুম আমি আসলে জানতামই না যে এখানে পুরুষ যৌনকর্মী আছে! তবে সম্ভবত এটা জাপান থেকে এসেছে, জাপানে অনেক খোলামেলা এই বিষয়টা!” “আচ্ছা তুমি কি কফি গার্লদের কথা জানো! ওই যে ফোন করলে কফি নিয়ে বাসায় আসে, সুন্দরী ২৫- ৩০ এর মেয়েরা, এরপর তুমি গল্প করতে পারো, চাইলে আরো কিছুও!” হেসে বললাম- “আমি জানি, দাবাং*”। “একবার নোরেবাং** এ গিয়েছিলাম আমি আর আমার আরেক বন্ধু মিলে, আমি তখন KAIST-এ পড়াই, কিছুক্ষন পর একজন লোক এসে আমাদের বললো- তোমাদের কি মেয়ে লাগবে? আমি তো অবাক হলাম! কিছুক্ষন পর দেখলাম ২৭/২৮ এর দুই সুন্দরী এসে আমাদের সাথে যোগ দিলো। পাশের বন্ধুটি বললো তুমি চাইলে ওদের সাথে রাত কাটাতেও পারো!” “সিউল এর দিকে একটা জায়গায়- গ্লাস এর ভিতরে মেয়েরা বসে থাকে, তুমি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেখবে, পছন্দ করে ভিতরে যাবে- তুমি কি জানো ওটার কথা! তুমি কি জানো ওটার কথা?”- এবার প্রশ্নটা আমার দিকে- বললাম “হুম জানি- ওটা নিয়ে একটা ম্যুভিও হয়েছে- পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলাম- কি জানি নাম ম্যুভিটার?” “নাপ্পুন নামজা***” পাশের জন উত্তর দিলো।“ওহ কালকের হেলোয়িন পার্টিতে মেয়েটা…”
গল্পে গল্পে পৌছে গেছি গিয়ংজু। ছিন্নকথন আসলে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ভিত্তিক লেখার সিরিজ নয়, এটা আমার বিচ্ছিন্ন ভাবনা, বিচ্ছিন্ন ভ্রমনকথা, বিচ্ছিন্ন কিছু চরিত্র, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ে সিরিজ। যেহেতু একটা ভ্রমন থেকে এই লেখা উঠে এসেছে, পাঠকদের একেবারে নিরাশ করবো না- আপাতত ট্যুরের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছবি দিয়ে দিচ্ছি এখানে, পরের পর্বে আরো ছবি ও ভ্রমন বর্ননা নিয়ে লিখবো।
উল্লেখযোগ্য যা যা দেখা হলো এই ট্যুরেঃ
Cheomseongdae astronomical observatory: সপ্তম শতাব্দীর মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র।
.
Anapji Pond: সপ্তম শতাব্দীতে শিল্লা সাম্রাজ্যের তৈরী করা প্রমোদ স্থান, বর্তমানে গিয়ংজু জাতীয় উদ্যানের অংশ।
.
এমিলি বেলঃ শিল্লা সাম্রাজ্যের তৈরী করা একটি বৃহদাকার ঘন্টা, ছয় কিলোমিটার দূর থেকে যার শব্দ শোনা যায়। এ ঘন্টাটি নিয়ে চমকপ্রদ একটি উপকথা আছে, সামনের পর্বে লিখবো।
.
Cheonmachong Tomb: রাজরাজরাদের গোরস্থান, এই একেকটা পাহাড় একেকজনের কবর বিশেষ, এলাহী কারবার, বিস্তারিত পরের পর্বে।
.
Bulguksa Temple: সপ্তম শতাব্দীর একটি প্যাগোডা।
.
বুলগুকসা ট্যাম্পেল এর মাথা নষ্ট করে দেয়ার মতো শরৎ এর নানা রঙ এর বাহার।
.
[আজ এখানেই- আগামী পর্বে বিস্তারিত ভ্রমন ও ছবি সহ লিখবো।]
দাবাং*- একধরনের কফিশপ, কফির পাশাপাশি যৌন-বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে এগুলোতে। হোম ডেলিভারীর ব্যবস্থা থাকে, প্রায়ই ফ্লাটের দরজায় অর্ধনগ্ন সুন্দরীর ছবিসহ দাবাং এর ফোন নাম্বার দেয়া থাকে এমন স্টিকার এটে দিয়ে যেতে দেখা যায় এখানে।
নোরেবাং**- প্রধানত কারাকোয়ে বা সিংগিং রুম বিশেষ, তবে এর নানাবিধ ব্যবহার আছে এখানে, সিংগিং রুম এর পাশাপাশি সিংগিং পার্টনারও পাওয়া যায় চাইলে।
নাপ্পুন নামজা*** একটি বিখ্যাত কোরিয়ান সিনেমা। ইংরেজী হলো BAD GUY. একজন খারাপ পুরুষের গল্প যে একটা সাধারণ মেয়েকে যৌনকর্মীতে রুপান্তর করে এবং সেই অবশেষে রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, এই ম্যুভিটার রিভিও কোনো একসময় লেখার আগ্রহ রাখছি। যেহেতু এটা ১৮+ পোস্ট বলেই দিয়েছি, সেহেতু ছবির পোস্টারটিও শেয়ার করা যায় আশা করছি।
মন্তব্য
সপ্তম শতাব্দীর মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র দেখে কিন্তু বেশ লাগলো।
... এমিলি বেলের ঘন্টার উপকথা কি ঐটে নাকি - ঐ যে, শেষ চেষ্টায় ঘন্টা কারিগরের মেয়েটি যাতে আত্মহত্যা করে ?? এইটে হোক বা না হোক, উপকথাটা জমিয়ে লিখবেন কিন্তু।
পরের পর্ব আসুক।
_________________________________________
সেরিওজা
ধন্যবাদ সুহান ভাই!
আরো সুন্দর কিছু ছবি আছে। কিছু কিছু জায়গা এত সুন্দর ছিল, ছবি তোলার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম, অথবা ফোকাস করার কথা!
এমিলি হলো শিল্লা'র 'মা' শব্দ অর্থে। মিলছে কি? আচ্ছা বিস্তারিত পরের পর্বেই লিখবো আরো ছবি সহ। বর্ননারও সুবিধা হবে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ঠিকাছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ছবি রেডি আছে, লেখা মাথায় এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ দিতে পারবো আশা করছি
ধন্যবাদ!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
Cheomseongdae astronomical observatory
আমার মনে হয় চ্যমছেঙদাই-এর সম্পর্ক জ্যোতির্শাস্ত্রের চাইতে জ্যোতিষশাস্ত্রের সাথেই বেশী।
---
বুলগুকসা'র সাথে হল্যান্ড এর কয়কেনহফ এর রংচংগত কিছু মিল আছে। আরেকটা যোগাযোগ হল অমিতাভ।
কেমনে?
কইতে পারলে পাঁচ তারা।
হুম Cheomseongdae কে অনেক গবেষক Astronomical না বলে Astrological সাইটও বলেন, তবে Astronomical সাইট হিসেবেই এর গ্রহনযোগ্যতা বেশি।
বুলগুকসা হলো মূলত একটা বৌদ্ধদের মন্দির। কয়কেনহফ হলো একটা বাগান, ক্যামনে কি! অ মি তা ভ- বুদ্ধ(!) কিন্তু!... নাহ এন্টেনায় আসছে না! পাঁচ তারা না দেন এই ধাধার সমাধান দিয়া যাবেন কিন্তু!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
একটা হিন্ট দেই।
আই সী! কয়কনহফ এ সিলসিলা গানের শ্যুটিং হয়েছিল, এ গানে ছিল অমিতাভ, অমিতাভ->>বুদ্ধ; বুলগুকসার সাথে রঙের মিল, বুলগুকসা হলো বৌদ্ধ মন্দির!
হিন্দি ছবি একটু কম দেখি, কিন্তু গান তো অনেকবার দেখছি!! আমার প্রসেসর স্লো!
খূঁজতে খূঁজতে আরেকটা পেলাম-
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
বুলগুকসার সাথে রঙের মিল, বুলগুকসা হলো বৌদ্ধ মন্দির!
শাবাস। বুলগুকসা মূলত মহাযান মতের বৌদ্ধমন্দির। আর মহাযানের অন্যতম বুদ্ধরূপ 'অমিতাভ'। বুলগুকসা অমিতাভমূর্তিও বেশ সমাদৃত। আর কয়কেনহফের অমিতাভকে তো দেখেছেনই।
সুন্দর পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
জবাব পাবেন এখানে
চোখ নষ্ট হইয়া গেছে এইটা কি লিঙ্ক দিলেন!!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ছবিগুলো অসাধারণ।
পরের লেখাটির জন্য খুব বেশী অপেক্ষায় রাখবেন না, প্লীজ।
হুম আমার অভ্যাস খারাপ আসলে! লেখালেখির ক্ষেত্রে ঠিক কথা রাখা হয় না!
তবে পরের পর্ব দ্রুতই দেয়ার চেষ্টা করবো!
ধন্যবাদ আপনাকেও!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
টুকরো কাহিনী হলেও পড়ার আনন্দ কিন্তু টুকরো ছিলো না...অনক মজা পেয়েছি...ছবি গুলার জন্য মামুন ভাই কে ধন্যবাদ.....
tofayel71@gmail.com
তোফায়েল- কুমিল্লা জিলা স্কুল(?) আমিও ঐ স্কুলের ছাত্র ছিলাম, আপনার কয়েক বছর আগে।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
শুভকামনা আপনার জন্য!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ছবিগুলো ভালো লাগলো।(লেখা পরে সময় নিয়ে পড়তে হবে
love the life you live. live the life you love.
খুব একটা বোরিং না, পড়তে পারেন
আপনার পুরনো লেখাগুলো এডমিনদের কাছে ইমেইল করে ব্লগে সংযুক্ত করে নিতে পারেন।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
লেখাটাও ভালো লাগলো। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।(ঘণ্টার কাহীনি বলতেই আমিও ভেবেছিলাম ফসফরাস আর আত্নহত্যার কথা!)
টিপস্ এর জন্য ধন্যবাদ।
love the life you live. live the life you love.
জি মামুন ভাই কুমিল্লা জিলা স্কুল তোফায়েল....চিনতে পারছেন এই জন্য খুব ভালো লাগলো ভাই...ভালো থাকবেন অনেক অনেক...
tofayel71@gmail.com
লেখা বড্ড ছোট হইয়া গেল গা! তবে ঠিকাছে। ফটুক ভালা হইছে। লাস্টেরটা লইয়া কিছু কমু না।
আরো কিছু বিষয় যোগ করে নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সেটা আবার অশ্লীলতায় অভিযুক্ত হয়ে যায় কিনা ঐ ভাবনা থেকে বাদ দিয়েছি!
'লাস্টেরটা' হা হা হা!, Bad Guy আমার দেখা কোরিয়ান অল্প কিছু ভালো ম্যুভির মধ্যে একটা। কখনো সুযোগ পেলে দেখে নিতে পারেন- টরেন্ট লিঙ্ক দিয়ে দিলাম, ইংরেজী সাবটাইটেল আছে সাথে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
প্রথমত, ইন্টারনেট হইল নাপাক জিনিস। তার উপর, সিনেমাটার পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে এতে নায়েকহুজুরের লেকচার ইত্যাদি কোনো পবিত্র বস্তু নাই। তার উপর, টরেন্ট হইল গিয়া বেআইনি হারাম জিনিস। এই ত্রহ্যস্পর্শ আমার মত ঈমানদার মুমিন মানুষরে গছাইতে চাইছেন, আপনার কি পরকালের ডরও নাই?
ছোটবেলার কথা মনে করাইয়া দিলেন- ছোট বেলায় আমরা শুনতাম কাসার প্লেটে খাওয়া নাকি মাকরুহ, আবার চিংড়ি মাছ খাওয়াও নাকি মাকরুহ, দুই মাকরুহ একসাথে হইয়া গেলে হয় হারাম- সুতরাং কাসার প্লেটে চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাত খাওয়া হারাম!
আরেকটা থিউরি হইলো- দুই নাপাকে মিল্লা হারাম আর হারামে হারামে কাটাকাটি, আপনি পুরাই সেইফ এখন!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
উঁহু, এইখানে তিনটা নাপাক জিনিস আছে, অতএব ব্যাক টু স্কোয়ার ওয়ান!
মাকরুহ মানে কী?
মাকরুহ মানে কোনো কিছু করা নিষেধ করা আছে কিন্তু ওটা করলে পাপ হবে না।(ফ্যালাসী!) ইসলামের একটা ডিগ্রি অব এপ্রোভাল। অতিরিক্ত পানি দিয়া অজু বা গোসল করাও নাকি মাকরুহ! এটা নিয়ে অনেক প্যাচাল আছে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
"এইখানে তিনটা নাপাক জিনিস আছে, অতএব ব্যাক টু স্কোয়ার ওয়ান!"
ভাবনার কথা! আরেকটা কাজ করতে পারেন- সূরা পান করতে করতে এই ছবি দেখলে ক্যামুন হয়?
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
...........................
Every Picture Tells a Story
হ- ভাবতাছি শেষ বয়সে গিয়া জোকার এর মুরিদ হইয়া যামু!
আর না হইলে শর্টকাটে আলহাজ হইয়া যামু
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
লেখা ভালো লেগেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
থ্যাঙ্কস মুস্তাফিজ ভাই!
বিষয়বস্তু নিয়া আমি একটু ডরে ডরে আছিলাম, এ কারণে খুব বেশি বিস্তৃত করা হয় নি, না হলে কিছু মজার অভিজ্ঞতা (মানে ঠিক আমার না ) শেয়ার করা যেত। আল্লাহ বাচাইছে এখনো কেউ শেষের ছবিটা নিয়া অভিযোগ করে নাই!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
নতুন মন্তব্য করুন