বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা

কাজী মামুন এর ছবি
লিখেছেন কাজী মামুন (তারিখ: শনি, ০৬/১১/২০১০ - ৫:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বনানীতে এক বিল্ডিং এ একসাথে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় দেখেছিলাম, এর মধ্যে একটা থেকে আবার পি এইচ ডি ডিগ্রিও দেয়া হতো বলে শুনেছিলাম। এখন আছে কিনা জানি না। যাই হোক বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (পাবলিক/প্রাইভেট সব) আসলেই যে বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এ নিয়ে আগে আলোচনা করেছিলাম “ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম” নামের এক লেখায়। আজ আর সে বিশ্লেষণে যাবো না।

সম্প্রতি- ‎ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ‘ইংরেজী ও মানববিদ্যা’ বিভাগ ২৯ ও ৩০ জুলাই ২০১০, এই দু’দিন বাংলা সাহিত্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করে। করতেই পারে কিন্তু কতটা ডংকা বাজলো, কতটা যুদ্ধ হলো, লাভ-ক্ষতি হলো এই প্রশ্ন থেকেই যায়! তবুও মন্দের ভালো! আমাদের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক’টা সেমিনার হয়? ক’টা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হয়? হোক ওয়েবমেট্রিক্স তবু কেন সদ্য জন্মানো একটি এক বিল্ডিং এর বিশ্ববিদ্যালয় শত বছরের সবচেয়ে পুরোনো সবচেয়ে ভালো ছাত্রগুলোকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেঙ্কিং এ পিছিয়ে যাবে! কেন আমার ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা বুয়েটিয়ান বন্ধুটি ২০০৬ সাল পর্যন্ত পেন-ড্রাইভ/ইউএসবি চিনলো না! বেসরকারীর ছেলেমেয়েরা গড়্গড় করে ইংরেজীতে কথা বলে, সরকারীর ভালো ভালো ছাত্রছাত্রীরাও ইংরেজীতে ভয়ে কথা বলতে পারে না। তুলনা আছে, আসবে আরো। আজ থাক!

আজকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরই একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিয়ে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদালয়ের পার্থক্যের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আমি ভালো মন্দ বিশ্লেষনে যাবো না, এটা শ্রেফ অভিজ্ঞতার গল্পঃ
আমার অবস্থা হলো দশবার মেট্রিক ফেইল করে মেট্রিকে অভিজ্ঞ হওয়ার মতো। ঠিক ফেইল করে না হলেও অবস্থা-অবস্থান নানাবিধ কারণে আমাকে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন করতে হয়েছে। আরো তো দিন আছেই, এখনো ছাত্রত্ব শেষ হয় নি।

যাই হোক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার পা মাড়ানো চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি, আমার সম্পাদনায় একটি সাহিত্যের ছোট কাগজ বের করেছিলাম ওখানে থাকার সময়। সম্ভবত বাংলাদেশের যে কোনো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রথম ছোট কাগজ ছিল ওটা। ছোট কাগজের নাম 'আকিঞ্চন'। উদ্দেশ্য ছিলো- ছাই ঘেটে সোনা খূঁজে বের করা। কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে গেলাম।

বিশ্ববিদ্যালয় বললো- “কারো স্পন্সর নিতে পারবে না, আমরা টাকা দিয়ে দেবো।“
আমি বললাম- “না, তাহলে ওটা আর ছোট কাগজ থাকে কি করে? সেখানে আমাকে আপনার মর্জি অনুসারে কাজ করতে হবে। বরং আমি এক কাজ করতে পারি, আমি ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই কাজটা করতে পারি। এতে ছাত্রদের কন্ট্রিবিউশান বাড়বে, ছাত্ররা ছোট কাগজটাকে নিজেদের করে নিতে পারবে, কর্মী তৈরী হবে, আমি চলে গেলেও কাজটা বন্ধ হবে না।“

কাজ শুরু করলাম, গল্পকার মঞ্জুরুল স্যার, এবং ঢাবির আরেক অধ্যাপক ফেরদৌস আজীম ম্যাডাম তখন ব্র্যাক এর ইংরেজী ডিপার্টমেন্টে, তাদের কাছে এবং আরো কয়েকজন শিক্ষকের কাছে সাহায্য সহযোগীতার জন্য গেলাম, কেউ করলেন, কেউ বললেন, “পড়াশোনা করতে এসেছ, পড়াশোনা করো, সিজিপিএ কত?”
মনে মনে বললাম- “সিজিপিএ’র খ্যাতা পুড়ি আমি”। পুড়তে পুড়তেই এসেছি, কোনো সমস্যা হয় নি। মুখে বললাম- “জি স্যার/ম্যাডাম”
ভালোয় মন্দে কাজ শেষও করলাম। ম্যাগাজিনটা দেখতে বেশ অন্যরকম সুন্দর হয়েছিল, পুকুরে ইলিশ মাছ হয় না জানেনইতো (এখন নাকি তাও হয়!)।

'আকিঞ্চন' এর মোড়ক উন্মোচন করছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীবিশ্ববিদ্যালয় বললো- “এটার মোড়ক উন্মোচন করতে হবে! ছবি তুলতে হবে”
আমি মনে মনে বলি- “লে হালুয়া, এটা নিয়েও বানিজ্যিক ফন্দি!”
মুখে বললাম- “ঠিক আছে আমরা আয়োজন করছি”
যথা সময়ে অনুষ্ঠান হলো, তখনকার ভিসি জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার এসে মোড়ক উন্মোচন করলেন আমাদের দু-পয়সার আকিঞ্চন।‘কেক্কুক’ খাওয়া হলো, এটাও হয়তো কোনো ছোট কাগজের ভাগ্যে এই প্রথম। কাজ শেষ।

না শেষ না!

সম্পাদক এর বক্তব্য দিচ্ছিলাম আমি।

'আকিঞ্চন' মোড়ক উন্মোচনে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী

এবার অবঃ মেজর জেনারেল রেজিষ্টার স্যারকে একটা কপি দিতে হবে।
গেলাম তাঁর কাছে, জিজ্ঞেস করলো- “কত টাকা খরচ হয়েছে?”
মনে মনে ভাবলাম- “এতে আপনার কি! আপনার কাছ থেকে তো টাকা নেইনি!”
মুখে বললাম- “এত টাকা স্যার।“
জিগেগস করলো- “টাকা কোথায় পেলে?”
বললাম- “আমরা বন্ধুরা মিলেই টাকাটা দিয়েছি- ছোট কাগজটা বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে বাকী টাকাটা তুলে নিচ্ছি আমরা।“
বললো- “না, কত টাকা খরচ হয়েছে আমাকে একটা হিসাব দাও, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে তোমাদের দিয়ে দিচ্ছি। আর যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছ- ফেরত দাও। এখানে বিক্রি বাট্টা চলবে না!”

আমি অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম- “দেখুন স্যার ছোট কাগজ নিছক একটা প্রকাশনা নয়, এটা একটা আন্দোলন, এটা একটা সংগঠন, এখানে ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ, লেখা সংগ্রহ ইত্যাদি নানা কাছে ছাত্ররা সম্মিলিত ভাবে অংশগ্রহনের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারে। আজকে এই টাকাটা আপনি খরচ করতে আপত্তি করছেন না, কাল আমি চলে যাবো আপনার টাকা থাকবে, আপনি কাজ করার লোক পাবেন না!”
অবঃ মেজর জেনারেল সাহেব কি বুঝলেন তিনিই জানেন- বললেন- “স্কুল ম্যাগাজিন কি! তুমি আমাকে শেখাতে এসেছ!”
আমি বললাম- “স্যার এটা স্কুল ম্যাগাজিন না! এটা ছোট কাগজ! লিটিল ম্যাগাজিন! আর এটাই আমার প্রথম ছোট কাগজ নয়, আমি জানি কি হয়, এজন্যই বলছি স্যার!”

অবঃ মেজর জেনারেল সাহেব আরো ক্ষেপে গেলেন। এরপর দেখলাম এর বেশি কথা বলতে গেলে আমার ছাত্রত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবে। অবঃ মেজর জেনারেল রেজিষ্টার এর নাম সাহুল আফজাল। দুষ্ট ছেলেরা তাকে ফাউল আফজাল বলে ডাকে। ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সিগারেট বিক্রি করা সেলিম ছেলেটাও।
একদিন আমাকে বলে- “মামুন ভাই ফাউল স্যার আমরে ডাকছিল!”
জিজ্ঞেস করলাম- “ক্যান? তোরে আবার কি কয়?”
বললো- “আমারে ডাইকা কয়- আর এখানে সিগারেট বিক্রি করবে না!”
সেলিমও 'ঘাড়ত্যাড়া'! বলে- “স্যার আমি তো আপনার বিল্ডিং এ বেচি না, বেচি রাস্তায়! হে কয়- নাও তোমাকে ৫০০০ টাকা দিলাম তুমি এখান থেকে চলে যাও। আমি কইলাম স্যার- তাইলে ৫০০০ টাকা শেষ হইলে খামু কি!”

সাহুল আফজাল রগচটা লোক, যেখানে সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের ধমকের উপর রাখে, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় কোনো রেজিষ্টারকে এতদিকে নাক গলাতে দেখিনি। সিড়ি দিয়ে উঠানামার সময়ও কোনো ছাত্রছাত্রীকে বাংলায় কথা বলতে দেখলে ধমক দেয়- “তোমরা জানো না এই ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বলা নিষেধ!”
এই ধমকটাও আবার সে দেয় বাংলাতেই। যাই হোক আমরা ছোট কাগজের জন্য সংগ্রহ ও বিক্রি করা টাকা সবাইকে ফেরত দিলাম।
সবদিক থেকেই অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলাম, কেমন যেন দমবন্ধ একটা পরিবেশ। এরপর খুব বেশিদিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকিওনি! এরপর আর ছাত্রদের উদ্যোগে কোনো ছোট কাগজ ওখানে বের হয়েছি বলে শুনিনি।

একাডেমিক দিক থেকে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন অনেক ক্ষেত্রে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে ভালো ফলাফল করছে। কিন্তু আমাদের প্রাচ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা স্ট্যান্ডার্ড আমরা চিন্তা করতে পারি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি এর ধারে কাছেও যেতে পেরেছে? ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ত্রিশের বেশি বিভিন্নরকম ক্লাব, সবগুলো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন আছে। কিন্তু কার্যক্রম? হুম তাও হয়তো আছে। কিন্তু বাংলাদেশে টাকা থাকলেই একটা মাইক ভাড়া করে রাস্তায় নামা যায়, মাইক দেখলেই আবার কিছু লোক জড়ো হয়ে যায়, একটা জনসভা করে ফেলা যায়। উল্লেখযোগ্য কোনো সাহিত্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম কি আছে? পরিবেশ কি আছে? থাকলে কিভাবে আছে? না থাকলে কেন নেই? কারা দায়ী এর জন্যে? কর্তৃপক্ষ নাকি ছাত্রছাত্রীরাই? আমাদের অভিভাবকরাই কি একটা সার্টিফিকেট এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে?


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

আপনাদের ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদটা দেখতে কৌতুহল হচ্ছে।

মনে হলো কেবল উপক্রমণিকাটুকু পড়লাম। লেখাটা হুঠ করেই থেমে গেছে। শিরোনাম অনুযায়ী আরো আলোচনা হতে পারতো।
চাইলে আরো কিছু লিখে যোগ করে দিতে পারেন। এটার নিচেই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাজী মামুন এর ছবি

নিজের প্রতি অবিশ্বাস আমার সবচেয়ে বেশি, না হলে লেখাটা আসলে হতো- বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা-১ -এই নামে। ছিন্ন কথন যখন শুরু করেছিলাম তখনও এই ১ যুক্ত করিনি, কারণ জানি না আসলেই পরের পর্ব লিখবো কিনা- ছিন্নকথন এখন ৪ পর্বে আছে- আশা করছি আপনাদের আশ্রয় প্রশ্রয় পেলেও এটা নিয়েও আরো লিখতে পারবো- শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়েও বেশ কিছু সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম, ছিলাম ইস্ট ওয়েস্টে বিশ্ববিদ্যালয়েও- অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবো। তাত্ত্বিক আলোচনার চাইতে আসলে আমার কাছে এটাই ভালো লাগে- আমার অভিজ্ঞতা কি বলে- মেলানোর বা অভিযোগ করার সুযোগ থাকছে আপনাদের হাতে। লিখবো এই প্রত্যাশা রাখছি।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

কাজী মামুন এর ছবি

প্রচ্ছদ বিষয়ে- 'আকিঞ্চন' খুঁজে দেখলাম- পেলাম না- দেশে আছে, বাসায়, ব্র্যাক এর বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করছি- যদি পেয়ে যাই- স্ক্যান করে আপলোড করে দিচ্ছি-
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

দ্রোহী এর ছবি

লেখাটা অসমাপ্ত মনে হল।

“তোমরা জানো না এই ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বলা নিষেধ!”

অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ

কস কী মমিন!


কাকস্য পরিবেদনা

কাজী মামুন এর ছবি

দ্রোহী দা- এই কথা শুধু আমি না সাহুল আফজাল এর কাছ থেকে আরো অনেকেই শুনেছে হাসি

হুম লেখাটা অসম্পূর্ণ- আসলে আমার সিরিজগুলো ইচ্ছে করেই প্রথম লেখাটাতে সিরিজের নাম্বার যোগ করে দেই না- এটা কিছুটা নির্ভর করে পাঠক প্রতিক্রিয়ার উপর- আপনি বলছেন যেহেতু- আমি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়- এ দুটোর অভিজ্ঞতার কথাও লিখবো- একটা তুলনা নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।

ধন্যবাদ দ্রোহী দা!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

হাসিব এর ছবি

শাহুল আফজাল কর্ণেল না। উনি রীতিমতো মেজর জেনারেল ছিলেন। আর সকল আর্মি অফিসারের গতানুগতিক চিন্তাই উনি ধারণ করেন।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

কাজী মামুন এর ছবি

সত্যি কি!
আট বছর আগের কথা- আমারই ভুল হবে নির্ঘাত! আর আমরা তাকে নিয়ে এতটাই হাসাহাসি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, কে এত মনে রাখে পদবীর কথা!- তাঁর আরো অনেক নাম হয়েছিল- সেগুলো উল্লেখ করতে চাই না- আসল নামও ভুলে গিয়েছিলাম - অনেক কষ্টে মনে করেছিলাম। থ্যাঙ্কস হাসিব ভাই তথ্য ঠিক করে দেয়ার জন্য!

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

অতিথি লেখক এর ছবি

বস চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়সেন???!!!
কন কী?

---আশফাক আহমেদ

কাজী মামুন এর ছবি

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
ইয়ংনাম বিশ্ববিদ্যালয়- টু বি কন্টিনিউড- হাসি

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, আপনার ভার্সিটি লাইফ তো তাহলে ব্যাপক বৈচিত্র্যময়
কোথায় কয় বছর পড়েছেন, ভাইয়া?

কাজী মামুন এর ছবি

হা হা হা!
আসলেই!
কোথাও দুই বছরের কম পড়িনি হাসি

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

তন্ময়  এর ছবি

দেখুন ঢালাও ভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয় এর বদনাম করা ঠিক না. আমি এ বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে প্রবাসে আছি পড়াশোনার জন্য. আমি গর্বিত ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য. যথেষ্ট সাহায্য করেছে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল কে বিকশিত হবার জন্য আমি নিজেও জড়িত ছিলাম . নানা ভাবেই সাহায্য পেয়েছি. এবং উত্তর দক্ষিন বিশ্ববিদ্যালয় এ আমি পরিয়েছি ২ সেমিস্টার. সুতরাং বুঝতে পারি দেশের প্রধান দুটো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিবেশ ও অবস্থা. ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে আসলেই অন্য কারো তুলনা চলে না. বুয়েট এ আমি মাস্টার্স এ ভর্তি হয়েছিলাম. ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ আমার ছোট ভাই পরতো, পাশ করেছে . ওদের কি হয় না হয় সব খবর এ আমি পাই ও পেতাম . সুতরাং সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এ শিল্প সংস্কৃতি কতটুকু কিভাবে চর্চা হয় শেয় সম্পর্কে মোটামুটি ভাবেই ভালই ধারণা আমার আছে .

আপনি নিজে টিকতে পারেন নি দেখে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম এ যা টা বলবেন, টা কেন হবে? এ বিশ্ববিদ্যালয় এ টিকে থাকা তাও বেশ কঠিন ! আপনি আশা করি ভালই তের পেয়েছেন.

কাজী মামুন এর ছবি

আমি সাভার এর স্পেশাল সেমিস্টারেও তিনদিন কাটিয়ে এসেছি- ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা- পিটি পেরেট করা- সময় মতো খেতে যাওয়া- অন্যদের কাপড় ধোয়া- ঘাষ কাটা- রীতিমত মিলিটারী ট্রেনিং- এগুলো কে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় এর কার্যক্রম বলে দাবী করছেন? তাও তা কিনা সকল ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক? আসলেই ঠিক বলেছেন এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে থাকা আমার জন্য কঠিনই! শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয় আমি ছেড়ে এসেছিলাম সেশন জ্যাম এর কারণে- এক বছরের দুই সেমিস্টার আড়াই বছর লেগেছিল বলে- তবে- আগে জানলে আর্মি ট্রেনিং এ আসতাম না। আর আমি কিন্তু ঢালাও ভাবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম করিনি। বলেছি সব সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই। আশা করি ভুল বুঝবেন না!

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

আমি সাভার এর স্পেশাল সেমিস্টারেও তিনদিন কাটিয়ে এসেছি
!!!! সেটা স্পেশাল সেমিস্টার না, রেসিডেনশিয়াল সেমিস্টার।

ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা- পিটি পেরেট করা- সময় মতো খেতে যাওয়া- অন্যদের কাপড় ধোয়া- ঘাষ কাটা- রীতিমত মিলিটারী ট্রেনিং- এগুলো কে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় এর কার্যক্রম বলে দাবী করছেন? তাও তা কিনা সকল ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক?
আপনার অভিজ্ঞতা যদি আট বছর আগের হয়ে থাকে তাহলে সেটা ব্র্যাকের জন্মের শুরুর দিকে, ক্যাম্পাস সুপারভাইসার মিলিটারি থেকে আসলে মিলিটারি ট্রেনিংই তো দিবে। সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। এর পর কী কোন পরিবর্তন হয়নি? আমিও থেকে আসছি সাভারে। আমাকে অন্যের কাপড়ও ধুতে হয় নাই, ঘাসও কাটতে হয় নাই। তবে হ্যাঁ, সোশাল ডে নামে একটা ডে হয় যখন মামাদের ছুটি থাকে আর ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের কাজ গুলা ভাগ করে করে। তবে সেটাও বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আর মাত্র একদিন। সমস্যা তো কখনো দেখলাম না। সবাইতো খুশি মনেই করে। আর সময় মত খেতে যাওয়া দোষের কিছু না। খাওয়ার টাইম-টেবিল এর পেছনে একটা কারণ আছে। দুইশো স্টুডেন্ট যদি রাত নয়টার মধ্যে খাওয়া না শেষ করে তাহলে তাদের প্লেট ধুয়ে পরের দিনের সকালের নাস্তার প্রিপারেশনের জন্য মামাদের কত সময় লাগে সেটা একটু ভেবে দেখেন। সারাদিন আমাদের কাজ করে ওনাদের কী টায়ার্ড লাগে না? যেখানে আবার নাস্তা বানানোর জন্য ওনাদের ভোর পাঁচটায় উঠতে হয়?

কাজী মামুন এর ছবি

ভূল মনে করলে ক্ষমা করবেন আমাকে- বিশ্ববিদ্যালয় বলতে আপনি কি বুঝেন একটু বলবেন? MIT আজো কেন বিশ্ববিদ্যালয় নয় সেটা বলবেন কি?

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় মানে আমি কী বুঝি সেটা এখানে মুখ্য না। আপনি না জেনে সাভার সেমিস্টার নিয়ে কথা বললেন সেটা মুখ্য। আপনার সময়ে যা হয়েছে সেটা যদি এখনো চলতো তাহলে একটা কথা ছিল। একদিন ছাত্র-ছাত্রীরা সোশাল ডে পালন করলে আর সময়মত খেতে গেলে সেটা আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না! অ্যাঁ

কাজী মামুন এর ছবি

"আপনি না জেনে সাভার সেমিস্টার নিয়ে কথা বললেন"

এটা একটু আক্রমনাত্বক মনে হলো আমার কাছে- কারণ গোড়াতেই বলে নিয়েছি- আমিও আপনার মতোই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

যাই হোক বুঝতে পারছি- নিজের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খারাপ কিছু বললে সবার মনেই আঘাত লাগে- আমাকেও ব্র্যাক সম্পর্কে কেউ খারাপ কিছু বললে আমি যুক্তি দ্বারা প্রতিহত করার চেষ্টা করি বটে- কিন্তু রেসিডেন্সিয়াল সেমিস্টার এর আর্মি ট্রেনিং একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাচিউরড ছেলে-মেয়েদের জন্য কতটা উপযুক্ত- এটা একটু ব্যাখ্যা করবেন? চাইলে পৃথিবীর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উদহারণও দিতে পারেন।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

!!!! আমি আপনাকে কী বলি আর আপনি আমাকে কী বলছেন!!! ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেওতো আপনি বর্তমান সম্পর্কে অবগত না। আপনি তিন দিন রেসিডেনশিয়াল সেমিস্টারে থেকে এসেছেন যেখানে আপনাকে অন্যের কাপড় ধুতে হয়েছে, ঘাস কাটতে হয়েছে সে জন্য দুঃখিত। কিন্তু এই জিনিসতো এখন আর হচ্ছে না। আপনি আর্মি ট্রেনিং এর কথা বার বার কেন বলছেন!!

যাই হোক বুঝতে পারছি- নিজের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খারাপ কিছু বললে সবার মনেই আঘাত লাগে
আমিতো কোথাও ব্র্যাকের তারিফ করিনি। আপনি যদি আট বছর আগের কথা বলে এখনো এইরকম হচ্ছে বলার চেষ্টা করেন তাহলে ভুল ধরিয়ে দেয়ার মানে কী নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের তারিফ হয়ে গেল!

কাজী মামুন এর ছবি

"আপনি যদি আট বছর আগের কথা বলে এখনো এইরকম হচ্ছে বলার চেষ্টা করেন..."

কোথায় বলেছি একটু কোট করে দেখাবেন? এরকম অভিযোগ করার আগে কোট করে দেখাতে হয়। আমি বলেছি- আমার সময়ে এরকম হয়েছে- এরপর প্রশ্ন করেছি এখন কি হচ্ছে? শেষ প্যারায় যান- প্রশ্নগুলোর উত্তন দেন- যদি আপনার কাছে ভিন্নতর মনে হয়।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

বললেন,

আজকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোরই একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিয়ে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদালয়ের পার্থক্যের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
আমিতো ভাবলাম সরকারী আর বেসরকারীর সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চার পার্থক্য দেখাবেন, কিন্তু পেলামতো শুধু ব্র্যাক কী করেছে চিন্তিত
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু জানি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ড্রামা ক্লাবতো বেশ সক্রিয়।

কাজী মামুন এর ছবি

একটা সিরিজের কথা চিন্তা করছি- কম পক্ষে দু বছর করে আমি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি- সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই- সিজিপিএ'র চাইতে আমি এক্সট্রা-কারিকুলার এক্টিভিটিজ কে জোড় দিয়ে এসেছি- এখনো দেই- সামনে লিখবো আশা করি পার্থক্য করতে পারবেন।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাব ছাড়াও আরো কটা ক্লাব আছে জানেন নাকি? ত্রিশের মধ্যে এক কি উদহারন হয় নাকি এক্সেপ্সশান?
কোনো কারণে কারো মনে ব্যাথা দিয়ে থাকলে আমি দুঃখিত- যে পাতে খাই- সে পাতে আমি পয়োঃনিষ্কাষণ করি না- ব্র্যাকের জন্য ভালোবাসা আমারও আছে। আশা করি ভুল বুঝবেন না।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাব ছাড়াও আরো কটা ক্লাব আছে জানেন নাকি? ত্রিশের মধ্যে এক কি উদহারন হয় নাকি এক্সেপ্সশান?
না ভাই, জানিনা। কারন লিখছেন আপনি আমি না। খোঁজ-খবর করে লিখতে বসা আপনার দরকার ছিল। আমার ড্রামা ক্লাবের কথা মনে আসলো জানালাম।

কাজী মামুন এর ছবি

ভাই নসুদিন, আপনি রেগে আছেন মনে হচ্ছে।
আপনি কেন ভাবছেন আমি খোজ খবর ছাড়াই লিখেছি?

শুধু খো^জ খবর না- আমি নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়েই লিখেছি- ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ক্লাবের সংখ্যা ত্রিশের অধিক- তথ্য এই লিংকে-

আর নর্থ সাউথে ক্লাবের সংখ্যা চৌদ্দ- তথ্য- এই লিঙ্কে-

সবগুলোর আবার গালভরা নাম- যার মধ্যে একটার কথা আপনি জেনেছেন যে ভালোই করছে!

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

হো হো হো আমি মোটেও রেগে নেই। আমার বরং মনে হচ্ছে একজন লোকের কারনে (সেই রেজিষ্টার) আপনি ব্র্যাকের উপর ক্ষেপে আছেন। কিছু দিন আগে আমার এক মাইনর সাবজেক্টের জন্য সেই ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টরের সাইন দরকার ছিল। উনি আমার রেজাল্ট দেখে মন্তব্য করলো মেজরের চেয়ে তো মাইনরের রেজাল্ট ভালো আর এখনো এই সাবজক্টে মেজর করছো! ভাবটা এমন উনার জন্য এখন আমাকে মেজর মাইনর পাল্টাতে হবে! আমারো মেজাজ খারাপ হয়েছে। কিন্তু এই একটা লোকের কারনেতো আমি সব ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টরকে খারাপ বলতে পারিনা হাসি আমি জানি ক্লাবের সংখ্যা তিরিশের অধিক। কিন্তু এত পড়ার চাপের পরো যখন এই ক্লাবগুলা টিকে আছে তখন পজিটিভলি দেখার চেষ্টা করি। একদিনেতো আর মান ভালো হয়ে যাবে না। ভাই, নর্থ সাউথ তাদের ক্লাবগুলার নাম গাল ভরা দিলেতো সেটা নিয়ে ব্যঙ্গ করার কিছু নাই। যে একটার কথা আমি বলেছি সেটা জেনে এবং একেকটা নাটক নামানোর জন্য যে পরিমান পরিশ্রম করে সেটা দেখেই বলেছি।

কাজী মামুন এর ছবি

আমরা সম্ভবত একই আলোচনায় ঘুরপাক খাচ্ছি- একটা ছোট প্রশ্ন- আপনি কি আমার আগের লেখাটা পড়েছিলেন?

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

পড়লাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান চর্চা করবো আর তারপর ইনস্টিটিউটে যেয়ে প্রফেশনাল হওয়ার ট্রেনিং নিব, এটাই কী বোঝাতে চেয়েছেন? আচ্ছা, জুন মাসে যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় (সরকারী+বেসরকারীর ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ্রগ্রহন করে) প্রতিযোগিতা হয়ে গেল সেটা সম্পর্কে কী বলবেন? প্রাচ্যের মানে(!) না হলেও আমাদের ক্ষুদ্র পরিসরে আমরাতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেই প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ইউথ ফেস্টিভালে সুযোগ পেয়েছে যেটা সম্ভবত ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে শুরু হবে। এইবার ফেস্টিভাল বাংলাদেশে হচ্ছে। বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও আসছে। এইটা কী পজিটিভ না?

অতিথি লেখক এর ছবি

নুসদিন আপুর কথা ধরে বলছি- সহমত।

আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে আগ্রহ থাকার কারণে জড়িত ছিলাম বেশ কয়েকটি সংগঠনের সাথে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি-

১। NSU এর ড্রামা ক্লাব বাদে আরো কয়েকটা ক্লাব আছে যারা রীতিমত বিখ্যাত।

NorthSouth Photography Club (NSUPC) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতি্যোগীতার আয়োজন করে। এটা তারা করে আসছে গত ৫-৬ বছর ধরে। গত বছর এতে অংশ নেয় ৩০ টার বেশি দেশ। CHOBI MELA এর পরে এটাই সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র সম্মেলন।

NorthSouth Debating Club গত ১০ বছরে বাংলাদেশের একমাত্র টিম যারা Worlds Debate এ সেকেন্ড রাউন্ডে ESL হিশেবে ব্রেক করে। (২০০৮)

NSU, AIUB এর English Writing Club খুব সক্রিয়। শাজিয়া ওমর এর বই পেঙ্গুইন থেকে বের হওয়ার পিছনে এই রকম একটা ক্লাবের নেটওয়ার্কিং এর ভূমিকা অনেক।

আই ইউ টি (ফিল্ম), ইস্ট ওয়েস্ট (বিতর্ক, গান) এদের সাংস্কৃতিক কাজকর্ম একেবারে ফেলে দেওয়ার মত না।

২। সাংস্কৃতিক কাজের জন্য অবকাঠামোর থেকে বেশি দরকার কর্মী। সেটা এখন যেখান থেকেই আসুক না কেন। এটা আবার সময়ের সাথেও পরিবর্তন করে। ট্রেন্ডটা দেখেন - চর্চা কিন্তু বাড়ছে।

৩। মামুন ভাই, পোস্টের শিরনামের সাথে বিষয় ঠিক মিল খেল না। এখানে বরং জলপাই বিতৃষ্ণা চোখে পড়ে বেশি। শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নিরীখে হলেও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা লিখুন। না হলে অনেক generalization হয়ে যাবে।

ফাহিম হাসান

কাজী মামুন এর ছবি

আপনিই মনে হচ্ছে পারবেন আমার শেষ প্যারার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে-
চেষ্টা করবেন- প্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে স্ট্যান্ডার্ড এর কথা আমি বলেছি- তার সাথে মিলিয়ে উত্তর দিতে- কারণ আমার প্রশ্নগুলোও মিলিয়েই ছিল।

মনে করিয়ে দেই-
আমার প্রশ্নগুলো ছিলো-
"উল্লেখযোগ্য কোনো সাহিত্য সাংকৃতিক কার্যক্রম কি আছে?
পরিবেশ কি আছে?
থাকলে কিভাবে আছে?
না থাকলে কেন নেই?
কারা দায়ী এর জন্যে?
কর্তৃপক্ষ নাকি ছাত্রছাত্রীরাই?
আমাদের অভিভাবকরাই কি একটা সার্টিফিকেট এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে?

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ফাউল অবগুলারে জুতা


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কাজী মামুন এর ছবি

সে এক বিশাল কমেডি ছিল- আর্মিদের নিয়ে যতো জোকস আছে আমরা সব তাঁর নামে চালাতাম হাসি

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

একটা কথা মনে পড়ে গেল কিছুদিন আগের। ব্র্যাকে লিফটে উঠার নিয়ম হচ্ছে, আগে টিচার আর অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের লোকজন প্রাধান্য পাবে তা যতই সবার শেষে আসুক না কেন এবং এটা নিয়ে আমরা সবাই বেশ বিরক্ত। কিছুদিন আগে দেখলাম আমাদের বর্তমান যে রেজিস্টার স্যার উনি দাঁড়িয়ে আছেন লিফটে উঠবেন। সবার লিফটে উঠা শেষ হওয়ার পর উনি উঠলেন। উনিও আর্মি থেকে আসছেন এবং কাউকে বাংলা বলার জন্য ঝাড়িও দেন না হাসি

কাজী মামুন এর ছবি

মনে হচ্ছে- জনাম ইসহাক এলাহী চোধুরী সাহুল আফজাল এর ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছেন- কিন্তু লিফটে আপনাকে আগে উঠতে দেয়াতে কি পার্থক্য তৈরী হলো বলবেন কি? অথবা আর কোনো অভিজ্ঞতার কথা- যা আমার লেখার মূল বক্তব্যের বিরুদ্ধে যায়?

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুসদিন এর ছবি

মনে হচ্ছে- জনাম ইসহাক এলাহী চোধুরী সাহুল আফজাল এর ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছেন-
উনি যেহেতু অনেক আগের রেজিষ্টার ছিলেন তাই আমি ওনাকে চিনি না। উনার পরো আরো অনেকে এসেছেন। তাই এই রেজিষ্টার স্যার আগের জনের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছেন ধরার এটা কোন দরকার দেখছি না।

কিন্তু লিফটে আপনাকে আগে উঠতে দেয়াতে কি পার্থক্য তৈরী হলো বলবেন কি? অথবা আর কোনো অভিজ্ঞতার কথা- যা আমার লেখার মূল বক্তব্যের বিরুদ্ধে যায়?
আপনাকে দিয়ে যেমন আর্মি থেকে আসা রেজিষ্টার স্যার আর্মি ট্রেনিং করাতো আর ক্ষমতা দেখাতো, ঠিক আরেক জন রেজিষ্টার স্যার আর্মি থেকে এসেও ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পেয়েও দেখায় না। এটাই বুঝিয়েছে।

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ব্র্যাকের ছাত্র না... তবে একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। তবে ব্র্যাকের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টটা দেখে সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। ওটাকে আমরা ব্র্যাক না, বলতাম ব্যারাক। ওখনকার ছাত্রদের জন্য একটা সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে যাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। না হলে তাদের গ্রেডের ওপর হামলা হতো।

আমি আমার ডিপার্টমেন্টে একটা ফটগ্রাফী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। কর্তৃপক্ষ কোন গোল পাকায় নি, তবে আমার সঙ্গীসাথী মানে ছাত্র/ছাত্রী ভাই-বোনেরা যা শুরু করেছিল, সেটা দেখে আমি হতাশ ও ক্ষুদ্ধ। আর যাই হোক, কোন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আর যার জন্যই হোক না কেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য না।

--- থাবা বাবা!

কাজী মামুন এর ছবি

আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি- কর্তৃপক্ষ চায় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতা- ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে- কিন্তু তা চায় তাদের নিজস্ব ফ্রেম ওয়ার্কে- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই ফ্রেমওয়ার্ক মেনে কাজ করবে কেন!

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

সোমেল এর ছবি

মামুন আমি তোর সাথে একমত না। প্রাইভেত হলে ও ব্র্যাক এর মান অনেক ভাল.........ছোট কাগজ বের করে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কী করেছে?????????
আমি ও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এ পরেছি......একটি বেসরকারী বিশ্ববিদালয়ের আর দুটি সরকারী বিশ্ববিদালয়ের......সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদালয়ের পার্থক্য আমি জানি.........“ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম”-এ কথা বলার আগে দু-বার ভাবা দরকার ছিল......

কাজী মামুন এর ছবি

একই মন্তব্য দুবার এসেছে- পরের মন্তব্যে উত্তর করেছি।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

ফানুস এর ছবি

খুব অবাক হলাম আপনার মন্তব্য দেখে । একটি ডিপার্টমেন্টটের প্রথমদিকের ক্ষুদ্র পরিসরে হয়তো অনেক কিছুই করা কঠিন হয়ে যায় , তারপরেও ক্লাব নিয়ে নওশাদ আর সাইদ স্যারের অবদান কি করে ভূলছেন ।
আমার জানামতে ফটোগ্রাফী ক্লাবটি এখন বৃহৎ পরিসরে চলছে , শুধু আপনাকে খুজে পাইনা ।

somel এর ছবি

মামুন আমি তোর সাথে একমত না। প্রাইভেত হলে ও ব্র্যাক এর মান অনেক ভাল.........ছোট কাগজ বের করে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কী করেছে?????????
আমি ও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এ পরেছি......একটি বেসরকারী বিশ্ববিদালয়ের আর দুটি সরকারী বিশ্ববিদালয়ের......সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদালয়ের পার্থক্য আমি জানি.........“ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম”-এ কথা বলার আগে দু-বার ভাবা দরকার ছিল......

কাজী মামুন এর ছবি

(পাঠকদের জ্ঞাতার্থে- সোমেল, আমার ল্যাংটা(খাইছে) কালের বন্ধু- একসাথেই আমরা দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুও)

বন্ধু- একটু ভুল বুঝেছিস মনে হয়- "ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম" লেখাটা কোনো ভাবেই আমি ব্রাককে উদ্দেশ্য করে লিখিনি। ওটা ছিল বরং সার্বিক ভাবে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তৈরী করার জন্য। লিঙ্ক ধরে তুই লেখাটা আরেকবার দেখতে পারিস।
বিশ্ববিদ্যালয় যদি পেশাদার নয় বরং গবেষক তৈরীর জায়গা হয়, সেই বিচারে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলেই কতটা বিশ্ববিদ্যালয় এর মান অর্জন করতে পেরেছে এটাই ছিল ভাবনার জায়গা।
এরপর আসি প্রাচ্যের(মানে আমাদের) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে- এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধুমাত্র একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়- বরং সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একেকটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান। আসল কাজ না হলেও এ কাজগুলোর এখানে একটা স্টেন্ডার্ড তৈরী হয়ে গেছে- এই বিচারে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা মান অর্জন করতে পেরেছে, এই প্রশ্ন করাই এই লেখার উদ্দেশ্য- ব্র্যাক এর প্রতি আলাদা কোনো ক্ষোভের প্রকাশ নয়- এরপরের পর্বেই আমি ইস্ট ওয়েস্ট নিয়ে লিখবো-

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

কামরুল হাসান রাঙা [অতিথি] এর ছবি

সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার সময়টা কোথায়? অনিচ্ছাকৃত কিন্তু বাধ্যতামূলক মিটিং-মিছিল, বন্ধু-বান্ধবের সাথে গাঁজাখুরী আড্ডা আর ফাঁকে ফাঁকে ( যদি একটু সময় হাতে থাকে ) অতি পুরাতন কোন লেকচার নোটের ফটোকপিতে একটু চোখ বুলানো-------- এই রুটিনের বাইরে এখন কোন ছাত্র আর কিছু করার সময় পায়?

কাজী মামুন এর ছবি

এই প্রশ্নটা আমারও- পড়েছি কি পড়িনি বিস্তর নোট ফটোকপি আমিও করেছি এককালে। আপনি ভাবনার একটা ভিন্ন জায়গা দিলেন- অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

কুলদা রায় এর ছবি

এটা সিরিজ আকারে করুন মামুন।
আর আর্মি বেরাদরদের চরিত্র সম্পর্কে যা বললেন, সেটা নিয়ে একটা জোর আলোচনা হলে ভাল হয়। কী করে আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ান হলাম আর উনরা ফেরেশতা?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

কাজী মামুন এর ছবি

দাদা একটা গোপন কথা বলি- কাউরে বইলেন না- আমার বাবাও আর্মিতে ছিলেন- খাইছে
সেই সূত্রে আমার জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ কেটেছে সেনানিবাসে। অভিজ্ঞতার কথা অনেক আছে- কেন জানি বিতৃষ্ণাই তৈরী হয়েছে বেশি- আমার বাবা আমাকে কমান্ড করেন আবার আশ্রয় প্রশ্রয়ও দেন- এইচ এস সি'র পর বললেন- তুই আর্মিতে যা- বললাম আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো-মেনে নিলেন- এরপর বললেন- তুই এবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে যা- সরাসরি ক্যাপ্টেন(?)- বললাম না আমি- বিদেশ যাবো- মাস্টার্স করবো- পি এইচ ডি করবো- মেনেই নিলেন-অভিজ্ঞতা অনেক- আমার বন্ধুরাও অনেকে এখন ক্যাপ্টেন হয়েছে- কিছুদিনের মধ্যে মেজর হবে- মেজর জেনারেলও হবে একদিন- ওসব আমাকে টানেনি- আমার বাবাকেও এখনো আমাকে নিয়ে গর্বিতই দেখি- সেনাবাহিনীর প্রতি আমার বিতৃষ্ণা যায়নি- নিছক একটা অপ্রয়োজনীয় খাত এটা- বাংলাদেশের জন্য বোঝা- কোনো একদিন সেই গল্পও করা হবে- ধন্যবাদ আপনাকে-

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নুভান [অতিথি] এর ছবি

হা হা হা ... জলপাই মামারা তবে কি এখন জলপাই তলার লেফট-রাইট মার্চ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর হামলে পড়ছে! অবস্থা দেখি বেগতিক খাইছে

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

লেখা ভাল লাগল।
সিরিজের পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সিড়ি দিয়ে উঠানামার সময়ও কোনো ছাত্রছাত্রীকে বাংলায় কথা বলতে দেখলে ধমক দেয়- “তোমরা জানো না এই ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বলা নিষেধ!”

কছ কী !!!!!!

পুনশ্চ : লেখকরে তুই তোকারি করি নাই ...হাসি



অজ্ঞাতবাস

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

ভাই কাজী মামুন - "MIT আজো কেন বিশ্ববিদ্যালয় নয় সেটা বলবেন কি?" -
আপনি কি বলতে চাইছেন "MIT বিশ্ববিদ্যালয় নয়"? হাস্যকর হয়ে গেল না - একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার জন্য তো নামে "বিশ্ববিদ্যালয়" থাকতে হয় না।

কাজী মামুন এর ছবি

MIT বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও বিশ্ববিদ্যালয় নাম ধারণ করেনি-(কেন করেনি একটু খোজ করে দেখবেন) বাঘা হয়েও এর বাঘা নাম ধারন করেনি- আর আমাদের এই বিল্ডিঙ্গেই গড়ে ওঠেছে বাঘা নামের তিন তিনটে কুত্তা। একই ভাবে কোরিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত KAIST- বিশ্ব্ববিদ্যালয় হয়েও বিশ্ববিদ্যালয় নাম ধারণ করেনি- বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

ব্যাপারটা ঠিকভাবে বোঝানোর জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনার লেখা বা কমেন্ট পরে এটা বোঝা যায়নি।

আপনার লিন্কটা পড়লাম। সেখানেও আপনি এক লাইনে কি একটা লিখে বাকিটা মনের মধ্যে রেখে দিয়েছেন। আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না আপনি BIT যে বিশ্ববিদ্যালয় নয় সেটা বোঝানোর IIT কেও টেনে এনেছেন, আর বুঝাতে চেয়েছেন IIT ও বিশ্ববিদ্যালয় নয়। IIT কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ই। উইকি থেকে কোট -

"About 15,500 undergraduate and 12,000 graduate students study in the IITs, in addition to research scholars."

তার মানে IIT তে আন্ডারগ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট/পি এইচ ডি সবই হয় - ইন্জিনিয়ারিং ও সায়েন্স এ। যদিও এম আই টি এর মত সব ধরনের বিষয়ে ডিগ্রি দেয়না। IIT কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ই - ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়। আপনার লজিক এবং জানার মধ্যে কোথায় যেন একটু কনফিউশন আছে। সহজ ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয় কি সেটা স্পষ্ট না বলেই আপনি অনেক জেনারালাইজড কথা বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ এর ডিফারেন্স (আমেরিকান ডেফিনিশন) হল আন্ডারগ্রাজুয়েট (চার বছরের কলেজ) নাকি এর উপরেও রিসার্চ বা প্রফেশনাল(ছয় বছরের বা ততোধিক) ডিগ্রী দেয়া হয় কিনা। যেমন Amherst College - চার বছরের ডিগ্রী দেয় তাই সেটা কলেজ, আর College of William and Mary, Imperial College, Rensselaer Polytechnic Institute বা Princeton University, এরা এর পরেও প্রফেশনাল বা রিসার্চ ডিগ্রী দেয় তাই বিশ্ববিদ্যালয়। IIT বা BUET লিটারেচার বা আর্টস এর ডিগ্রী না দিয়েও তারা বিশ্ববিদ্যালয়, কারন তারা আমেরিকান ডেফিনিশনে রিসার্চ বা প্রফেশনাল(ছয় বছরের বা ততোধিক) ডিগ্রী দেয়। আর BIT এর নাম বিশ্ববিদ্যালয় করা হলেও সেটা কি কলেজ না বিশ্ববিদ্যালয় সেটা আমার আরেকটু জেনে নিতে হবে - হয়তো কলেজ যদি শুধু চার বছরের ডিগ্রি দিয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি কেনো যেনো বলতে চাচ্ছেন IIT বা BUET (আপনি যদিও BUET এর নাম বলেননি) থেকে লোকজন মেকানিক হয়ে বের হয়, যেহেতু ওগুলো স্পেশালাইজড ইন্সটিটউশন - বিশ্ববিদ্যালয় না, আপনার এ যুক্তি ঠিক না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন বিশ্ববিদ্যালয় নয় সেটাকি এ যুক্তির উপরই আপনি বলছেন? এখানে আপনার তুলনাটা ঠিক হয়নি। যেন বিশ্ববিদ্যালয় হতে হলে কলা বা সাহিত্যের উপর সেখানে ডিগ্রী দিতেই হবে। স্পেশালাইজড ইন্সটিটউশনও কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে আরো তথ্য দিয়ে আপনার যুক্তি সাজাতে পারতেন।

এখন কথা হল আপনি 'ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম' দিয়ে কলাম লিখবেন কিন্তু খুব পরিষ্কার করে সহজে লিখবেন না তাহলেতো 'কন্স্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিচম' হল না - হল এক ধরনের খিস্তি ঝেড়ে ঝাল ঝাড়তে পারার মজা যেটা আপনি করেছেন। আশাকরি আপনি আরো পরিস্কার ভাবে গুছিয়ে লিখবেন এবং সেটা খারাপ কথা বলে অন্যদেরকে আঘাত করার জন্যে নয় বরং শুধরানোর জন্য ও জানানোর জন্য। ধন্যবাদ।

কাজী মামুন এর ছবি

রাসেল সাহেব, আপনাকে ধন্যবাদ, বিস্তারিত আলোচনার জন্য- আপনার জন্য একটু তথ্য সংযুক্ত করে দিচ্ছি- দুটো প্রশ্নের উত্তর যোগ করে। আর উপরে রাগিব ভাইকে প্রায় এক ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিলাম একটু আগেই- দয়া করে একটু দেখে নিবেন।

What is the difference between a university and a technology institute?

The Difference is the Area of Educational Emphasis

Universities such as Harvard, Yale, Ole Miss, Vanderbilt, Tulane and Texas tend to concentrate primarily, but not exclusively, upon LIBERAL ARTS and related curriculi. Law schools, Medical schools and Pharmacy schools are also found at these schools.

Technological Institutes such as MIT, Georgia Tech, Cal Tech, Rice and Texas A&M concentrate primarily upon Sciences, Mathematics, Engineering and other sorts of TECHNICAL studies.

Of course, some hybrids, for example Lousiana State University and Agricultural & Mechanical College at Baton Rouge (it's proper name instead of LSU) and Ohio State, offer both Liberal Arts and Technology curriculi.

এখানে কোথাও কি বলা আছে? কে কি ডিগ্রি দেয়? চার বছরের জন্য দেয় নাকি আট বছরের দেয়? আন্ডারগ্রেড নাকি পি এইচ ডি?
এরচেয়ে ভালো কোনো তথ্যসূত্র পেলে জানাবেন- আমাকেও আপগ্রেড হতে হবে তাহলে।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

jisan এর ছবি

সাবেক BIT গুলো শুধু চার বছরের ডিগ্রি দেয়না। সেখানে Masters, PhD program ও চালু আছে। তথ্যটা জানানো দায়িত্ব মনে করলাম। আমি KUET এর ব্যাপার খুব ভালো করে জানি। সেখানে Masters, PhD Program গুলো BIT থাকা অবস্থায়ই চালু ছিল।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

খুব মজা পেলাম ভাই আপনার কাহিনী পড়ে। রেজিস্ট্রারের সাথে বাক বিতণ্ডাটা বেশ মজার ছিল। ওনাদের এরকম কিন্ডারগার্টেন স্কুল টাইপ জোর জবরদস্তি বেশ উপভোগ করলাম।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পড়তে অনেক কষ্ট হল। বানান ভুল, টাইপো, যতিচিহ্নের ভুল ব্যবহার- এসবের কারণে। ফরম্যাটিং ও ভালো নয়।

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশিদিন হয়নি। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০০১ সালে (উইকিতে দেখলাম)। সময় তো দিতে হবে। ফলে শেষ প্যারায় আপনার করা প্রশ্নগুলো অযৌক্তিক।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

তানভীর এর ছবি

হ। পড়তে একটু কষ্ট হলো। সম্পাদক দাবী করা লুকজনের লেখায় এত বানান ভুল হলে সে বক্তব্যে কেন জানি খুব একটা আস্থা পাই না। হাসি

বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাগাজিনের জন্য ফান্ড দিতে চাইলে সেটা কীভাবে দোষ গেল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে কেন ম্যাগাজিন বের করা যাবে না, সেটাকে কেন একেবারে লিটল ম্যাগাজিনের মতোই ছক ধরে বের করতে হবে অন্যথায় বিশুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা হবে না- আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে এ ব্যাপারগুলো ঠিকমতো ধরতে পারলাম না।

কাজী মামুন এর ছবি

তানভীর ভাই,

"সম্পাদক = বানানবিদ"
"বানানবিদ্যা = যুক্তিবিদ্যা"

সমীকরনটা ভালোই লাগছে, কিন্তু আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধারণ করতে পারছি না কিছুতেই। একটু কি সহজ করে দিবেন আমার জন্য?

"বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাগাজিনের জন্য ফান্ড দিতে চাইলে সেটা কীভাবে দোষ গেল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে কেন ম্যাগাজিন বের করা যাবে না"

অর্থকৃপায় কেন ছোট কাগজ হয় না এ বিষয়টা আমি মূল লেখায় বলেছিলাম-


"বিশ্ববিদ্যালয় বললো- “কারো স্পন্সর নিতে পারবে না, আমরা টাকা দিয়ে দেবো।“
আমি বললাম- “না, তাহলে ওটা আর ছোট কাগজ থাকে কি করে? সেখানে আমাকে আপনার মর্জি অনুসারে কাজ করতে হবে। বরং আমি এক কাজ করতে পারি, আমি ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই কাজটা করতে পারি। এতে ছাত্রদের কন্ট্রিবিউশান বাড়বে, ছাত্ররা ছোট কাগজটাকে নিজেদের করে নিতে পারবে, কর্মী তৈরী হবে, আমি চলে গেলেও কাজটা বন্ধ হবে না।“"

"বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে তোমাদের দিয়ে দিচ্ছি। আর যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছ- ফেরত দাও। এখানে বিক্রি বাট্টা চলবে না!”

আমি অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম- “দেখুন স্যার ছোট কাগজ নিছক একটা প্রকাশনা নয়, এটা একটা আন্দোলন, এটা একটা সংগঠন, এখানে ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ, লেখা সংগ্রহ ইত্যাদি নানা কাছে ছাত্ররা সম্মিলিত ভাবে অংশগ্রহনের মাধ্যমে এতে অনেক কিছু শিখতে পারে। আজকে এই টাকাটা আপনি খরচ করতে আপত্তি করছেন না, কাল আমি চলে যাবো আপনার টাকা থাকবে, আপনি কাজ করার লোক পাবেন না!”"

বানানগুলো চেক করে দিয়েছি ভাই। যদি বুঝতে সহজ হয়।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

"সম্পাদক = বানানবিদ"
"বানানবিদ্যা = যুক্তিবিদ্যা"

সমীকরনটা ভালোই লাগছে, কিন্তু আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধারণ করতে পারছি না কিছুতেই। একটু কি সহজ করে দিবেন আমার জন্য?

এইটুকু বোঝার জন্য বেশি মাথা খাটানোর দরকার নেই। কাণ্ডজ্ঞান থাকলেই যথেষ্ট। আপনি নিজের লেখা নিজেই সম্পাদনা না করে আপিয়ে দিয়েছেন আবার নিজে কোন আমলে কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সেটা ভরা মজলিশে ছবিসহ ঘোষণা করছেন- ফলে পাঠক হিসেবে কেউ এদিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করাতেই পারে।

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

কাজী মামুন এর ছবি

আপিয়ে-> ছাপিয়ে (কিডিং)

বস আমার কান্ডজ্ঞান একটু কম, আবার সেই সাথে দরিদ্রও। অফলাইনের লেখাগুলো মানুষের হাতে পায়ে ধরে বানান ঠিক করে নেই। অনলাইনে হাতে পায়ে ধরার সুযোগ নেই, আপনারা কেউ দয়াকরে ঠিক করেও দেন না, খালি গালি দেন।

কিছুদিন আগে কুলাদা দাদা'র একটা লেখা থেকে একটু কোট করতে ইচ্ছে করছে- "আমি যখন কথা বলি আমার গলা থেকে গালিবর্ষিত হলে টের পাই—এ-ই আমার মাতৃভাষা।

যখন কেউ আমাকে গালি দেয়—তখন বুঝতে পারি--এ-ই আমার ললাট লিখন।

আর সব কিছু হিরি কিরি রিরি।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

নাশতারান এর ছবি

আপিয়ে=আপলোড করে হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তানভীর এর ছবি

ভাই কাজী মামুন, পোস্টের গতিক দেখে মন্তব্য করতে ইচ্ছে হচ্ছে না, তবু বলি সম্পাদকের কাজটাকে আমার অনেক দায়িত্বশীল মনে হয়। আমি 'সম্পাদক' বলতে এমন লোককেই বুঝি, যিনি অন্যের লেখা যাচাই-বাছাই, সম্পাদনা (বানান, ব্যাকরণ ইত্যাদি) করতে অতি দক্ষ। আমার নিজের সেই দক্ষতা নেই। তাই আমি কখনো সম্পাদকের কাজও করি নি। আপনার এ লেখায় আমি একজন সম্পাদকের কোনো ছাপ দেখতে পাই নি (মানে যেমনটা আমি ভেবেছি; বাস্তবে হয়তো সম্পাদক ব্যাপারটা অন্যরকম- জানার আগ্রহ রইলো)। কথার কথা বলছি আপনার লেখা পড়ে আমি হয়তো ভবিষ্যতে আপনার সম্পাদিত কোনো বই বা ম্যাগাজিন কিনতে দ্বিধার সম্মুখীন হবো। কারণ একজন সম্পাদক হিসেবে সে আস্থা আপনি আমার মধ্যে জাগাতে পারেন নি। লেখক হিসেবে আমাদের প্রায় সবারই বানান, ব্যাকরণ ইত্যাদি ভুল হয়। কিন্তু যখন একজন সম্পাদকের দৃষ্টিকটু রকমের ভুল হয়, তখন তা আস্থাহীনতার জন্ম দিতে পারে বৈকি। আপনার সমীকরণটাকে তাই বলতে হচ্ছে আপনার মনগড়া সমীকরণ। এমন কিছু আমি বা অন্য কেউ এখানে বলে নি।

আপনার লেখা আমি পুরোটা পড়েছি। কোট করে বুঝিয়ে দেবার কোনো দরকার ছিলো না। তাই সেই আগের তিমিরেই আছি। যে কোনো মাধ্যমেই আমি বুঝি কন্টেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড দিয়ে যদি ভালো কন্টেটের কোনো সাময়িকী বের হয় তবে সমস্যা কোথায়? আর এখন তো ইমেইল আর মোবাইলেই সব চলে, বাড়ি বাড়ি বা অফিসে গিয়ে লেখা আর বিজ্ঞাপন সংগ্রহের যুগ তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ কাজে ছাত্রদের তাই শেখার কী আছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড ম্যানেজ করাটাই তো বোধহয় একটা বড় সাফল্য। আমাদেরকে কখনো স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টাকা দেয় নি বলেই অন্যের কাছে হাত পাততে হয়েছে।

কাজী মামুন এর ছবি

আপনি কখনো কোনোদিন সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন?
আপনি কি কখনো কোনোদিন ছোট কাগজের আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন?

যদি 'হ্যা' হয় তাহলে আপনার অভিজ্ঞতার কথা জানালে কৃতজ্ঞ হবো।

যদি 'না' হয় তাহলে আপনাকে পোস্টের মূল বক্তব্য'র দিকে নজর দিতে আহবান জানাচ্ছি- ছোট কাগজ এখানে একটা উদহারণ বৈ ভিন্ন কিছু নয়-- মূল বক্তব্য আছে শেষ প্যারায় প্রশ্নগুলোতে।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

কাজী মামুন এর ছবি

শুভাশীষ দা, কষ্ট দেয়ার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত। তবে কষ্ট করেও পড়লেন এ কারণে কৃতজ্ঞ।

"বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশিদিন হয়নি। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০০১ সালে (উইকিতে দেখলাম)। সময় তো দিতে হবে। ফলে শেষ প্যারায় আপনার করা প্রশ্নগুলো অযৌক্তিক।"

ব্র্যাক অচিরেই ১০ বছর পুর্তি করবে- নর্থ-সাউথ- আই ইউ বি- এ আই ইউ বি- ইস্ট ওয়েস্ট- এগুলোর বয়স পনের কুড়ির কম নয়।
দাদা, একটা বিষয় কি বলবেন- ঠিক কতোটা সময় দিলে, একটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে? দশ? বিশ? পঞ্চাশ?

আমার প্রশ্নগুলো ছিলো-
"উল্লেখযোগ্য কোনো সাহিত্য সাংকৃতিক কার্যক্রম কি আছে?
পরিবেশ কি আছে?
থাকলে কিভাবে আছে?
না থাকলে কেন নেই?
কারা দায়ী এর জন্যে?
কর্তৃপক্ষ নাকি ছাত্রছাত্রীরাই?
আমাদের অভিভাবকরাই কি একটা সার্টিফিকেট এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে? "

একটু কষ্ট করে বলবেন কি এখানে কোন কোন প্রশ্নটা আপনার কাছে অযোক্তিক মনে হলো?
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ঠিক কতোটা সময় দিলে, একটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে? দশ? বিশ? পঞ্চাশ?

সময়টা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। ফলে আপেক্ষিক।

--

আপনার লেখা শেষ প্যারা আপনি নিজে আবার ভালোমতোন পড়ুন। আপনার এই মন্তব্যে উল্লেখ করা প্রশ্ন ছাড়াও আরো প্রশ্ন সেখানে ছিল। এইভাবে হাফ-কোট করা ঠিক না।

আমাদের প্রাচ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা স্ট্যান্ডার্ড আমরা চিন্তা করতে পারি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কি এর ধারে কাছেও যেতে পেরেছে?

আপনি শেষ প্যারায় এই প্রশ্ন রেখে তার ধারাবাহিকতায় বাকি প্রশ্নগুলো হাজির করেছেন। ফলে বাকি প্রশ্নগুলো কীভাবে যৌক্তিক হয় সেটা আপনি ব্যাখ্যা করুন।

--

আর বুয়েটিয়ান যে বন্ধু সেই সময় USB (আপনি অবশ্য লিখেছেন ইউ এস ভি বা USV- পাশে পেন ড্রাইভ না লিখলে আমি এখনো চিনতাম না) চিনতো না তাঁর সম্পর্কিত তথ্য দিন। তাহলে এই বাক্য লেখার অর্থ বুঝতে পারি।


-------------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

কাজী মামুন এর ছবি

"আমাদের প্রাচ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা স্ট্যান্ডার্ড আমরা চিন্তা করতে পারি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কি এর ধারে কাছেও যেতে পেরেছে?"

এই প্রশ্নটাকে মেনে নিয়েই তাহলে বলছেন বাকী প্রশ্নগুলোকে এটার সাথে সম্পর্কিত করতে?

যদি হ্যাঁ হয় তাহলে করছি- বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন অনেক স্ট্যান্ডার্ড! আমেরিকান- ব্রিটিশ- ইউরোপিয়ান- কাঠামোগত পার্থক্য যেমন আছে তেমনি আছে পাঠক্রম কিম্বা ডিগ্রির শ্রেনীবিন্যাসেও। তেমনি ভাবে আমাদের প্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও একতা স্টেন্ডার্ড তৈরী হয়েছে এমন যে এখনকার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা(একটু কম হলেও) যেমন করবে, তেমনি নাচে গানে চমৎকার একটা সাংস্কৃতিক পরিবেশ রক্ষা করবে। গবেষণা (একটু কম করে হলেও) যেমন করবে তেমনি সেনাবাহিনীকেও রুখে দাঁড়াবে প্রয়োজনে।
উদহারণ হিসেবে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এমন অনেকগুলো নাম আমাদের দেশ থেকেই নিতে পারি। এখন আমরা আমেরিকান বা ব্রিটিশ বা ইউরোপিয়ান স্টেন্ডার্ড এর বাইরে এসে যদি চিন্তা করি, অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো বিশ্ববিদ্যালয়কেই যদি একটা স্টেন্ডার্ড হিসেবে চিন্তা করি তাহলে সেই স্টেন্ডার্ড এর বিচারে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা মান-উত্তীর্ণ (বানান?)?

এটুকুতেও যদি কিছুটা হলেও বোঝাতে সমর্থ হয়ে থাকি তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করে, আর যদি না পারি তাহলে বস তালগাছটা আপনাকে দিয়েই আজকের মতো বিদায় নিলাম, সকালে ল্যাবে যেতে হবে, আমার এখানে অনেক রাত।
ভালো থাকবেন।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এটুকুতেও যদি কিছুটা হলেও বোঝাতে সমর্থ হয়ে থাকি তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করে, আর যদি না পারি তাহলে বস তালগাছটা আপনাকে দিয়েই আজকের মতো বিদায় নিলাম, সকালে ল্যাবে যেতে হবে, আমার এখানে অনেক রাত।
ভালো থাকবেন।

তালগাছের প্রসঙ্গ আসতেছে কেন?

আপনি মনগড়া কথাবার্তা দিয়ে ব্লগ লিখবেন, নিজে USB রে USV লিখবেন আবার বুয়েটিয়ান পেনড্রাইভ চেনে না বলে ঠিসারা করবেন- এইগুলোর দিকে আপনার দৃষ্টিআকর্ষণ করলে গালাইতেছে বলে কাঁদবেন- সকালে কেলাস আছে বলে তালগাছ আমারে উপহার দিবেন। বাহ্‌।


----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

কাজী মামুন এর ছবি

দাদা, এ মন্তব্যটা রেস্ট্রিক্ট না করেও করতে পারতেন- কান্ডজ্ঞানের অভাব আছে তা তো বলেছেনই! তবে উদ্দেশ্য'র সততা নিয়ে প্রশ্ন তখনই করতে ইচ্ছে করে যখন- আপনি আমার দুই লাইন না বোঝার ভান করার পর ১০ লাইন লিখে দিলাম, এরপরও সেই দশ লাইনকেও এড়িয়ে গিয়ে আপনি আমার কান্ডজ্ঞান নিয়ে আর আপনার তৈরী-

"সম্পাদক = বানানবিদ"
"বানানবিদ্যা = যুক্তিবিদ্যা"

- ইকোয়েশন নিয়ে আছেন।

শুভরাত্রি।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বিভ্রান্তি বিষয়ক রেস্ট্রিক্ট করা মন্তব্য আরেকটু পোক্ত হইল। মন খারাপ

মনগড়া কথাবার্তা চালায়া যান।

------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

কাজী মামুন এর ছবি

আপনি আমার যুক্তি ও ব্যাখ্যার 'টু দা পয়েন্ট' আলোচনা না করে তালগাছ নিয়ে থাকুন। হাসি

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনাকে অল্প কথা বলাতেই আপনি কান্না শুরু করেছেন লোকজন আপনাকে গালি দিচ্ছে বলে।

আপনার এই মনগড়া বিভ্রান্তিকর পোস্ট টু দা পয়েন্ট আলোচনার যোগ্যতা রাখে না। আর সেটা যদি করা হয় আপনার প্রচুর গামছার প্রয়োজন হবে। কেন বুঝতেই পারছেন!

কাজী মামুন এর ছবি

'কান্ডজ্ঞানহীন' আমার কাছে গালি, আপনার কাছে না হতে পারে। পুরোনো ঢাকায় কোথাও কোথাও ভাইবোনকেও নাকি মাদারচো* বলে সম্মোধন করে। সুতরাং গালির নিশ্চয়ই ব্যক্তিভেদ আছে।

আপনার সামর্থের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, "আপনি এ পোস্ট নিয়ে আলোচনার যোগ্যতা রাখেন" এমন কোনো প্রমানও এখানে আপনি দেখাতে পারেন নি। যেটা রাগিব ভাই পেরেছে বা অন্য আরো অতিথি সচলেরা পেরেছে।

ক্ষমা করবেন। আজ এখানেই- ঘুমাতে গেলাম- শুভ রাত্রি।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গালি বিষয়ক ধারমাটা আপনার নিজের ব্যক্তিগত ধরে নিচ্ছি।

আমি আমার কমেন্টে বলেছি শেষ প্যারায় আপনার করা প্রশ্নগুলো অযৌক্তিক। আপনার যুক্তি আমি পড়েছি আর পড়েই মন্তব্যটা রেস্ট্রিক্ট করে করেছি। কিছুটা ইশারা দেয়ার জন্য। আমার যোগ্যতা নিয়ে আপনার ভাবনা করতে হবে না। নিজের যোগ্যতা নিয়ে ভাবিত হোন।

ব্রুনো [অতিথি] এর ছবি

প্রতিবেশী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বেশী কিছু জানি না বলে কোন মন্তব্য করবো না। পরের পর্বে পূর্ব-পশ্চিম বিশ্বাবিদ্যালয় সম্পর্কে যদি লেখেন তবে পূর্ব-পশ্চিমের সাবেক ছাত্র হিসেবে আমার মতামত জানিয়ে যাব।

অ.ট. পূর্ব-পশ্চিমে আপনার আই.ডি. র প্রথম অংশ দুইটি জানাবেন কি? তাহলে পূর্ব-পশ্চিমে আপনার সময়কাল সম্পর্কে ধারনা করতে পারতাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

"কেন আমার ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা বুয়েটিয়ান বন্ধুটি ২০০৬ সাল পর্যন্ত পেন-ড্রাইভ/ইউ এস ভি চিনলো না!"

এই কথা টা থেকে কি প্রমাণ হয় মামুনভাই? ভাই আপনি কি একজন মেকানিক আর একজন ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যে পার্থক্যটা পরিষ্কার বোঝেন?
একজন গাড়ির মেকানিক আর একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যে কি পার্থক্য সেটা দিয়ে উদাহরণ দেই। একজন গাড়ির মেকানিক গাড়ির সমস্ত কলকব্জা এর নাম ধাম মডেল চেনে। তাকে বলা হলে সে অবিশ্যাস্য কম সময়ে গাড়ির সমস্ত পার্ট খুলে আবার লাগিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সম্ভাবনা খুব কম যে সে গাড়ির কোন একটা পার্ট কিভাবে ডিজাইন করলে আরো ভালো কার্যক্ষম হবে তা বের করতে পারবে। অন্যদিকে, একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু গাড়ির সমস্ত পার্ট চেনে না। মেকানিক এর মতন গাড়ির নাড়িনক্ষত্র ও তার জানা নাই। কিন্তু গাড়ির একটা পার্ট এর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাবস্থা সে করতে পারবে যেটা একজন মেকানিক এর পারার সম্ভাবনা কম।

ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর পেন ড্রাইভ/ইউ এস বি চেনার সাথে পড়াশুনার মানের সম্পর্ক খুজ়ে পাও্য়া - এর একটা সম্ভাব্য এ্যনালজী হতে পারে মেকানিক আর ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যে পার্থক্যটা বুঝার অক্ষমতা।

- মেফিস্টো

কাজী মামুন এর ছবি

ভাই মেফিস্টো,

এভাবে পুরো লেখার ভাব না বুঝে এক লাইন এক লাইন করে ধরে মন্তব্য করলে তো সমস্যা।
আপনি বললেন-

ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর পেন ড্রাইভ/ইউ এস বি চেনার সাথে পড়াশুনার মানের সম্পর্ক খুজ়ে পাও্য়া - এর একটা সম্ভাব্য এ্যনালজী হতে পারে মেকানিক আর ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যে পার্থক্যটা বুঝার অক্ষমতা।

ভাইডি ওটা একটা উদহারণ ছিল- এটা আপনি মেনে নিতে পারলেও আমি পারি না যে একটা বুয়েট পাশ করা মেধাবী ইলেকত্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পেন-ড্রাইভ/ ইউ এস ভি ড্রাইভ কি জিনিশ এটা চিনবে না! লেখার শুরুতে আমার একটা লেখার লিঙ্ক দিয়েছি- দয়া করে দেখবেন।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

প্রতিচ্ছবি [অতিথি] এর ছবি

আপনার এই লেখার মধ্যে বুয়েটের বন্ধুটির পেনড্রাইভ না চেনার ব্যাপারটা (যদি আদৌ সত্যি হয়ে থাকে) টেনে আনার ব্যাপারটা কতটা প্রাসংগিক সেটা বুঝলাম না।

কাজী মামুন এর ছবি

প্রতিচ্ছবি, ভাই বা আপু রাগ করবেন না- এটা বোঝার জন্য- আমি লেখার শুরুতে এ সম্পর্কিত আলোচনার জন্য এই লিঙ্ক টা(http://www.notundesh.com/Archive/08-11-10/motmotantor.html
) যোগ করে দিয়ে এসেছিলাম-ওটা না পড়েই যদি আপনি মাঝখান থেকে প্রশ্ন করেন কেন বুয়েট পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার এর এটা জরুরী তাহলে আমাকে একই লেখা দুবার লিখতে হবে। আজকের দুনিয়ায় একজন মাছ ব্যবসায়িরও কম্পিউটার জ্ঞান কেন জরুরী এই প্রশ্নটাই বরং প্রশ্নবিদ্ধ।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

প্রতিচ্ছবি [অতিথি] এর ছবি

মামুন ভাই আমি আপনার লিঙ্ক এ দেয়া লেখাটা পরেই মন্তব্য করেছি, কিন্তু আপনি আমার মন্তব্যের যে জবাব দিয়েছেন সেটা পরে মনে হয়েছে যে আমি আমার বক্তব্য প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছি।
বুয়েট পাশ ইঞ্জিনিয়ার এর পেনড্রাইভ কি সেটা জানা জরুরী কিনা সে বিষয়ে আমি কিছুই বলিনি, আর তাছাড়া আপনার বর্ণিত ঘটনার(বুয়েট এর বন্ধুটির) সত্যতা যাচাই এর কোন সুযোগ ও নেই, তাই এ বিষয়ে তর্কে যাওয়া নিরর্থক।
আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা শীর্ষক শিরনামে আপনার এই লেখায় হঠাৎ করে এক বুয়েটিয়ানের পেনড্রাইভ চেনার মত ব্যাপার টেনে আনার প্রাংগিকতা নিয়ে।

আর আরেকটা ব্যাপার, আপনার এই লেখাতে মুলত নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার অভিজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে সার্বিকভাবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য-চর্চা নিয়ে আপনি যে মতামত প্রকাশ করতে চেয়েছেন (অন্ততঃ শিরনাম দেখে তাই মনে হয়েছিল) সেটা ফুটে ওঠেনি।
আশা করছি হয়ত পরের পর্বে লিখবেন (হাসি)।

আর আমাকে প্রতিচ্ছবি অথবা প্রতিচ্ছবি ভাই বলতে পারেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

কাজী ভাই,

লেখার শুরুতে দেয়া লিঙ্কটাতো আমি আগেই পড়েছি। তাও আপনি বলার পরে আবার পড়লাম যে প্রথমবারে হয়ত কোন গুহ্য তথ্য মিস করে গিয়েছি। ওটা পড়েও তো কোন সম্পর্ক পেলাম না । দেখুন আপনার চিন্তাভাবনা কে নিয়ন্ত্রন করার কোন ইচ্ছা আমার নাই । কিন্তু আপনার চিন্তভাবনা যদি এমন হয় যে বিশ্ববিদ্যালয় এর কয়েকটা সম্ভাব্য মানদন্ড হতে পারে -
- ইউ এস বি এর সাথে পরিচয় থাকা না থাকা
- গড়গড় করে ইংরেজী বলতে পারা না পারা
এবং এধরনের যুক্তিকে আপনি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে করেন, তাহলে একটু আশ্চর্য লাগতেই পারে আমার ।

আরেকটা কথা বলতে চাই । আপনার দেখানো মানদন্ডের মধ্যে আরেকটা হচ্ছে ,
- "বেসরকারীর ছেলেমেয়েরা গড়্গড় করে ইংরেজীতে কথা বলে, সরকারীর ভালো ভালো ছাত্রছাত্রীরাও ইংরেজীতে ভয়ে কথা বলতে পারে না।" আচ্ছা , ঠিক আছে , ধরে নিচ্ছি যে ইংরেজী কথায় সড়গড় হওয়াটা একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড। তারপরে আপনার লেখার আরেকটা যায়গায় বলেছেন
- "সাহুল আফজাল রগচটা লোক, যেখানে সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের ধমকের উপর রাখে, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় কোনো রেজিষ্টারকে এতদিকে নাক গলাতে দেখিনি। সিড়ি দিয়ে উঠানামার সময়ও কোনো ছাত্রছাত্রীকে বাংলায় কথা বলতে দেখলে ধমক দেয়- “তোমরা জানো না এই ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বলা নিষেধ!"

আয়-হায়!!! আফজ়াল সাহেব তো ঠিক আপনার মতন চিন্তা করেন বলে মনে হচ্ছে। উনি তো পোলাপানদেরকে বাংলা বলতে দিতে চান না (আপনার সংজ্ঞায়িত অর্থে) বিশ্ববিদ্মাযালয় এর মান রক্ষার্থে। ওনার কথা মেনে চললেই তো বিশ্ববিদ্যালয় এর মান উন্নতির দিকে যাওয়ার কথা। সেটা তো আপনার পছন্দ হচ্ছে না। তাহলে কোনটা সঠিক?

দেখুন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রিরা গড়গড় ইংরেজী বলতে পারে সেটা তো বিশ্ববিদ্যালয় এ এসে শিখে না তারা। স্ট্যাটিস্টিক্যালী , প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এ ইংরেজী মাধ্যম এর ছাত্রছাত্রিরা সিংহভাগ ভর্তি হয়। তাদের ইংরেজী এর সড়গড়তা টা আগে থেকেই ভালো থাকে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে বাংলা শিক্ষামাধ্যম এর লোকজন। শিক্ষার প্রথম ১২ বছর তারা বাংলাটাই বেশি ব্যবহার করে।

-মেফিস্টো

কাজী মামুন এর ছবি

এধরনের যুক্তিকে আপনি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে করেন, তাহলে একটু আশ্চর্য লাগতেই পারে আমার ।

দুনিয়ার কোনো যুক্তিই সবার কাছে গ্রহন যোগ্য না, বিশেষ করে যুক্তিটা যদি আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-শিক্ষা ক্ষেত্রে হয়। দ্বিমত, বহুমত, কুমত অনেক কিছুই তখন চলে আসে।

আপনার কাছে গ্রহনযোগ্য না বলেই যুক্তিগুলো সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না, এমন সিদ্ধান্তেই বা পৌছে গেলেন কেন?

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

অতিথি লেখক এর ছবি

কি আশ্চর্য ভাই? আপনি পেন ড্রাইভ আর ইংরেজীতে সড়গড়তা এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের সম্পর্কের মতো একটা গূরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সরাসরি সম্পর্ক ঘটাবেন, আর আমার সেটা পড়ে আশ্চর্য লাগতে পারবে না? আপনি যদি আজকে বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের সাথে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর সাফল্য, রিসার্চ পাবলিকেশন এর মান ও সংখ্যা, প্যাটেন্ট ইত্যাদি এর সম্পর্ক ঘটাতেন, আমি খুব স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতাম। মানদন্ডের প্যারামিটার গুলো তো প্রাসঙ্গিক হওয়া চাই। প্রাসঙ্গিক না হলে আপত্তিকর তো হবেই।

- মেফিস্টো

অতিথি লেখক এর ছবি

কি আশ্চর্য ভাই? আপনি পেন ড্রাইভ আর ইংরেজীতে সড়গড়তা এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের সম্পর্কের মতো একটা গূরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সরাসরি সম্পর্ক ঘটাবেন, আর আমার সেটা পড়ে আশ্চর্য লাগতে পারবে না? আপনি যদি আজকে বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের সাথে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর সাফল্য, রিসার্চ পাবলিকেশন এর মান ও সংখ্যা, প্যাটেন্ট ইত্যাদি এর সম্পর্ক ঘটাতেন, আমি খুব স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতাম। মানদন্ডের প্যারামিটার গুলো তো প্রাসঙ্গিক হওয়া চাই। প্রাসঙ্গিক না হলে আপত্তিকর তো হবেই।

- মেফিস্টো

কাজী মামুন এর ছবি

"আপনি পেন ড্রাইভ আর ইংরেজীতে সড়গড়তা এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের সম্পর্কের মতো একটা গূরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সরাসরি সম্পর্ক ঘটাবেন, আর আমার সেটা পড়ে আশ্চর্য লাগতে পারবে না?"

না পারবে না কারণ আমি শুরুতেই লেখার লিঙ্ক দিয়ে বলে নিয়েছি-

"যাই হোক বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (পাবলিক/প্রাইভেট সব) আসলেই যে বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এ নিয়ে আগে আলোচনা করেছিলাম “ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম” নামের এক লেখায়। আজ আর সে বিশ্লেষণে যাবো না।...তুলনা আছে, আসবে আরো। আজ থাক!"

"আপনি যদি আজকে বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের সাথে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর সাফল্য, রিসার্চ পাবলিকেশন এর মান ও সংখ্যা, প্যাটেন্ট ইত্যাদি এর সম্পর্ক ঘটাতেন, আমি খুব স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতাম। মানদন্ডের প্যারামিটার গুলো তো প্রাসঙ্গিক হওয়া চাই। প্রাসঙ্গিক না হলে আপত্তিকর তো হবেই।"

আপত্তিকর হবে না কারণ আমি প্রশ্নগুলো করার আগে এটাও বলে নিয়েছি যে- "একাডেমিক দিক থেকে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন অনেক ক্ষেত্রে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে ভালো ফলাফল করছে। কিন্তু আমাদের প্রাচ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা স্ট্যান্ডার্ড আমরা চিন্তা করতে পারি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি এর ধারে কাছেও যেতে পেরেছে?"

সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর সাফল্য, রিসার্চ পাবলিকেশন এর মান ও সংখ্যা, প্যাটেন্ট ইত্যাদি আসে না।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

জয় [অতিথি] এর ছবি

২০০৬ সাল তো চার বছর আগের কথা। ২০১০ সালেও আমি 'ইউ এস ভি' চিনি না। আমিও বুয়েট ইলেক্ট্রিক্যাল।

Shame on me.

কাজী মামুন এর ছবি

USV চিনেন না আম্নে! কঙ্কি! Unmanned Surface Vehicle! চোখ টিপি

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

জয় [অতিথি] এর ছবি

জানলাম। পেনড্রাইভ/ইউ এস ভি মানে Unmanned Surface Vehicle।

কত অজানা রে।

অতিথি লেখক এর ছবি

একজন গাড়ির মেকানিক গাড়ির সমস্ত কলকব্জা এর নাম ধাম মডেল চেনে। তাকে বলা হলে সে অবিশ্যাস্য কম সময়ে গাড়ির সমস্ত পার্ট খুলে আবার লাগিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সম্ভাবনা খুব কম যে সে গাড়ির কোন একটা পার্ট কিভাবে ডিজাইন করলে আরো ভালো কার্যক্ষম হবে তা বের করতে পারবে। অন্যদিকে, একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু গাড়ির সমস্ত পার্ট চেনে না। মেকানিক এর মতন গাড়ির নাড়িনক্ষত্র ও তার জানা নাই। কিন্তু গাড়ির একটা পার্ট এর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাবস্থা সে করতে পারবে যেটা একজন মেকানিক এর পারার সম্ভাবনা কম।

ভালো উদাহরণ দিছেন বস্‌

মাহফুজ খান

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

ভাই কাজী মামুন,
আপনার জানায় ও উপলব্ধিতে ভুল আছে। আপনি "US news and world report" এর "university ranking" দেখুন, অন্য যে কোনো "university ranking" দেখুন, সেখানে MIT, Georgia Tech, Caltech এ সবই university হিসেবেই সব ranking এ থাকবে, আছে। এরা যে ইউনিভার্সিটি তা দেখান, এটা কেমন প্রশ্ন? যেটা দুনিয়ার সবাই জানে, সেটা নিয়ে আপনি কেউ মেউ করবেন আর BIT যে ইউনিভার্সিটি নয় সেটা বোঝানোর জন্য তাবত institute নামধারি ইউনিভার্সিটি কে আপনি বলবেন তারা ইউনিভার্সিটি না এটা কেমন হল? নামে তারা institute রেখেছে কারন এরা ইন্জিনিয়ারিং ও টেকনোলোজি 'emphasis' ইউনিভার্সিটি, সেকারনে ও ট্রেডিশন বজায় রাখতে। কিন্তু সেখানেও একই বিষয় সেখানো হয় যেমনটা হয় স্টানফোর্ড বা বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম দুবছর সবাইকে অসংখ্য সাহিত্য, কলা, রাইটিং, সোসাল সায়েন্স এসব ক্লাস নিতে হয় ম্যাথ, ফিজিক্সের পাশাপাশি। আর আপনি হয়তো জানেন না যে MIT লিটারেচার, ইকোনোমিক্স এআমেরিকায় সবচাইতে ভাল স্কুলগুলোর একটা। এই সব ইউনিভার্সিটির আন্ডারে বিভিন্ন অনুষদকে এরা কলেজ বা স্কুল বলে - যেমন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, হার্ভার্ড বিসনেস স্কুল, MIT স্কুল অব ইন্জিনিয়ারিং, MIT স্কুল অব আর্কিটেকচার, কলেজ অব এই/সেই/হেন/তেন, ইত্যাদি - তার মানে এই না যে ওগুলো আমাদের সেন্স এ প্রাইমারি বা হাই স্কুল, বা কলেজ - কথাটা এজন্যই বললাম কারন নাম নিয়ে আপনি আর্গু করে যাচ্ছেন। ওগুলো একটা ইউনিভার্সিটির অধীনে ভিন্ন ভিন্ন অনুষদ।

এবার সহজ ভাবে বলি - institute নাম দিয়ে স্পেসালাইজড institute ও থাকতে পারে আবার ইউনিভার্সিটিও থাকতে পারে। যেমন বাংলাদেশে Bangladesh textile institute, Institute of business and accounting (IBA) - এ রকম, যেখানে একটা স্পেশালাইজ বিষয় পড়ানো হয়। বাংলাদেশে নাম নিয়ে অনেক বড় হাউকাউ হয় ঠিক যেমনটা আপনি এখানে করছেন। Textile institute কে ইউনিভার্সিটি করা হবে/হয়েছে বা করার জন্য কথা/আন্দোলন উঠেছে, তখন নাম পরিবর্তন করা হবে। তেমনি আগে পিজি হাসপাতালের নাম IPGMR ছিল, এখন Bangabandhu University আগেও পোস্টগ্রাডুয়েট করত এখনো তাই হয় - সহজ কথায় মেডিকেল ইউনিভার্সিটি। এসব কারনে স্কুল, কলেজ, ইনস্টিটিউট, ইউনিভার্সিটি নাম নিয়ে আপনি আর্গু করে যাচ্ছেন।

MIT বা Caltech বা Georgia Tech বা এরকম নামের সবগুলো আমেরিকাতে ইউনিভার্সিটি। আপনি যে অর্থে Institute বলছেন সেগুলো MIT এর অধীনেই ডজন খানেক আছে - যেমন Whitehead Institute for Biomedical Research, MIT Kavli Institute for Astrophysics and Space Research, ইত্যাদি, যারা শুধু নির্দিষ্ট বিষয়ের ইনস্টিটিউট।

আসলে নাম দিয়ে নয় কাজে পরিচয়। এজন্য দেশের বাইরে স্কুল, কলেজ, ইনস্টিটিউট এসব নাম দিয়ে আপনি একটা 'অ্যাবসলুট' কিছু দাড় করাতে চাচ্ছেন যেটা ভুল। Whitehead Institute for Biomedical Research আর Massachusetts Institute of Technology এর মধ্যে কোনটা কি সেটা বোঝার জন্য এদের কাজ নিয়ে জানতে হবে শুধু নাম দিয়ে না।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পড়লাম।

এটা নিয়ে আলোচনা বন্ধ হলে ভালো হয় এবার। আপনার দেশি ও বিদেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে এর পরে একটি গঠনমূলক পোস্ট আশা করছি, ফোকাসিং টু দ্য সল্যুশন অফ দ্য সিচুয়েশন। হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায় ৫ তারা, রেফারেন্স নিয়া এম আই টি নিয়া পি এইচ ডি ধারীরা ক্যাচাল করবেই, আপনার ব্যাখ্যা বুঝতে আমার অন্তত কোন সমস্যা হয় নি। - ইন্দ্রাণী।

সাফি এর ছবি

এম আই টি নিয়া পি এইচ ডি ধারীরা ক্যাচাল করবেই
এমন অনুসিদ্ধান্তের কারণ কি?

কাজী মামুন এর ছবি

এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে যতই গুছিয়ে আপনি যুক্তি দিন না কেন, বিরুদ্ধ কিছু যুক্তি সব সময়ই চলে আসে।
আপনি আমার ব্যাখ্যা বুঝতে পেরেছেন, এ জন্য ধন্যবাদ!

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই মন্তব্যটি মডারেশন পার হয়ে এসেছে এটা ভাবতে একটু খারাপ লাগছে। মন্তব্যটি স্পষ্টতঃ ব্যক্তিবিশেষের প্রতি আক্রমণাত্মক এবং অরুচিকর। অবশ্য এই পোস্টে যে রকম বিতর্ক চলছে তাতে মডারেটরদের পক্ষে সব মন্তব্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। বিষয়টা আমার চোখে পড়লো তাই দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।

এই পোস্টে আর কোনো মন্তব্য করার অপশন বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাফি এর ছবি

"আজকে এই টাকাটা আপনি খরচ করতে আপত্তি করছেন না, কাল আমি চলে যাবো আপনার টাকা থাকবে, আপনি কাজ করার লোক পাবেন না!”"

আপনি তো চলে গেছেন, প্রকাশনা কি অব্যাহত আছে?

কাজী মামুন এর ছবি

এরপর আর এ ধরণের সাহিত্যের ছোট কাগজের কথা আমি শুনিনি এবং এখানেও হাজার খানেক পাঠকের মধ্যে কেউ উল্লেখ করেননি যে প্রকাশণা হয়েছে।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

কাজী মামুন এর ছবি

আমার লেখায় শুভাশীষ দাশ এর ভূমিকা প্রসঙ্গে অভিযোগ।

[চিঠিটি আমি এ পাঠিয়েছি, পাঠকদের জ্ঞাতার্থে এখানে দিয়ে দিচ্ছি]

জনাব মডারেটর,

সুপ্রভাত!

সচলায়তনে আমি নতুন, সুষ্ঠ ব্লগিং এর উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি, কিন্তু একজন সচলের আচরণে এবং বাকী সচলদের উদাসীনতায় বা তিনি সচল বলে তাঁর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করায় আমি এখন সচলায়তনে ব্লগিং এ বিপন্ন বোধ করছি। কয়েকশত সচল এর মধ্যে একজনের সাথে আমার মতের অমিল হতেই পারে- কিন্তু এতে করে যদি তিনি সচল বলে আমার প্রতি ভ্রান্ত আচরণ করেন এবং বাকী সচলরাও তা মেনে নেন বা সমর্থন করেন তাহলে এমন পরিবেশে আমার জন্য ব্লগিং করাটা একটু কষ্টকর হয়ে যায়।

একজন সচলের কাছ থেকে এরকম অযাচিত ভ্রান্ত আচরণ প্রত্যাশা করছি না বলেই আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনছি।
কোথায় আমি শুভাশীষ দাশ এর পাকা ধানে মই দিয়েছি আমি জানি না, তবে তিনি এ লেখায় মন্তব্য করার আগে পর্যন্ত আলোচনা সুষ্ঠ ভাবেই চলছিল।
তাঁর উদ্দেশ্য'র সততা অপ্রমানিত। নিসন্দেহে এ ধরনের আচরণ যে কোনো লেখকের জন্য হানিকর। এমনতাবস্থায় আমি সুষ্ঠ ব্লগিং পরিবেশ এর অভাব বোধ করছি বলেই বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের নজর দান প্রত্যাশা করছি।

এই লেখায় শুভাশীষ দাশ এর পাঠক প্রতিক্রিয়া বা সমালোচকের ভূমিকাঃ

১- মন্তব্য নং ১৭- [শুভাশীষ দাশ এর প্রথম মন্তব্যঃ]

"পড়তে অনেক কষ্ট হল। বানান ভুল, টাইপো, যতিচিহ্নের ভুল ব্যবহার- এসবের কারণে। ফরম্যাটিং ও ভালো নয়।...আপনার করা প্রশ্নগুলো অযৌক্তিক।"

কোথায় কোথায় বানান ভুল, কোথায় টাইপো ভুল কিছুই বললেন না। বললেন না, ফরমেটিং এ কি সমস্যা, তাও। সমালোচকের ভূমিকা না নিয়ে নিলেন নিন্দুকের ভূমিকা। এরপর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ২০০১ এ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে তিনি আমার প্রশ্নগুলোকে অযোক্তিক বলে চালিয়ে দিলেন। যদিও আমার লেখাটা সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবং প্রশ্নগুলোও সকল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই। ব্র্যাক এখানে শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার উদহারণ হিসেবে এসেছে।

২- মন্তব্য নং- ১৭.১
শুভাশীষ সাহেব এসে আলোচনার মোড়ই ঘুরিয়ে দিলেন, তাঁর মন্তব্যের সাথে যোগ করে তানভীর সাহেব বললেন-
"হ। পড়তে একটু কষ্ট হলো। সম্পাদক দাবী করা লুকজনের লেখায় এত বানান ভুল হলে সে বক্তব্যে কেন জানি খুব একটা আস্থা পাই না।"

তিনিও কোথায় বানান ভুল এটার ধারে কাছে গেলেন না। বরং দুজনে মিলে সম্পাদনার সাথে বানানবিদ্যা'র এবং বানানবিদ্যার সাথে আস্থা বা যুক্তির একটা সম্পর্ক তৈরী করলেন।
আমি তাদের এই সমীকরণ বুঝতে ব্যার্থ হলাম যে বানান ভুল হলে যুক্তি অকার্যকর হওয়া যায় না কেন বা বানানবিদ না হলে সম্পাদক কেন হওয়া যাবে না।

৩- মন্তব্য- ১৭.১.১.১

"এইটুকু বোঝার জন্য বেশি মাথা খাটানোর দরকার নেই। কাণ্ডজ্ঞান থাকলেই যথেষ্ট। আপনি নিজের লেখা নিজেই সম্পাদনা না করে আপিয়ে দিয়েছেন আবার নিজে কোন আমলে কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সেটা ভরা মজলিশে ছবিসহ ঘোষণা করছেন- ফলে পাঠক হিসেবে কেউ এদিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করাতেই পারে।"

আশা করছি, আপনাদের মন্তব্যের টোন বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না। শুভাশীষ সাহেব তাকে দেয়া মন্তব্য'র উত্তর দেয়ার আগেই তানভীর সাহেবকে করা মন্তব্যে নাক গলিয়ে, আমার বিনয়কে দুর্বলতা ধরে নিয়ে এ মন্তব্যে- আমাকে কান্ডজ্ঞানহীন বলেই গালি দিলেন। আমি গালি বলছি কারণ কান্ডজ্ঞানহীন একটা গালি আর এ ধরনের মন্তব্য সামু আমুতে আমি প্রচুর দেখলেও, সচলায়তনে এই প্রথম দেখছি।

প্রসঙ্গত এখন পর্যন্ত আমার লেখার সমস্যাটা যে কোথায় এ নিয়ে আলোচনায় শুভাশীষ সাহেব গেলেন না। আসুন পরের মন্তব্যে যাই-

৩- মন্তব্য ১৭.২.১
"...আপনি শেষ প্যারায় এই প্রশ্ন রেখে তার ধারাবাহিকতায় বাকি প্রশ্নগুলো হাজির করেছেন। ফলে বাকি প্রশ্নগুলো কীভাবে যৌক্তিক হয় সেটা আপনি ব্যাখ্যা করুন।..."

বলে নেয়া ভালো এই প্রথম তিনি আমার একটি টাইপো ধরতে পেরেছেন বলে মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন-সেটা হলো ইউ এস বি লিখতে গিতে সেটা ভি হয়ে গিয়েছে- যদিও এর পাশেই পেন ড্রাইভ লেখা ছিল বলে তাঁর বুঝতে সমস্যা হয়নি এ কথাও তিনি জানিয়েছেন। যকাই হোক তিনি প্রথম প্রশ্নের সাথে পরের প্রশ্নগুলো রিলেট করতে পারছেন না বলে তাঁর জন্য ব্যাপারটা আরো একটু ব্যাখ্যা করে বললাম। যদি প্রশ্নগুলো রিলেট করতে আর কারো বা শুভাশীষ সাহেবেরও তৃতীয় মন্তব্যের আগে মনে হয় নি। আমি ব্যাখ্যা করলাম এবং বিনয় এর সাথে বললাম যে, অনেক রাত হয়েছে, আমার সকালে ল্যাবে কাজ করতে হবে সুতরাং এখন থামতে হচ্ছে।
তিনি আমার প্রশ্নগুলো রিলেট করা বক্তব্যের ধারে কাছে গেলেন না। পরের মন্তব্যে বললেন-

৪- মন্তব্য নং ১৭.২.১.১.১ "আপনি মনগড়া কথাবার্তা দিয়ে ব্লগ লিখবেন, নিজে USB রে USV লিখবেন আবার বুয়েটিয়ান পেনড্রাইভ চেনে না বলে ঠিসারা করবেন- এইগুলোর দিকে আপনার দৃষ্টিআকর্ষণ করলে গালাইতেছে বলে কাঁদবেন- সকালে কেলাস আছে বলে তালগাছ আমারে উপহার দিবেন। বাহ্।"

এখন পর্যন্ত নিন্দুকের ভূমিকা ছাড়া আর কিছু না রাখলেও বললেন আমি 'মনগড়া কতাবার্তা' বলছি- এখন পর্যন্ত কিন্তু কথাগুলো কি কোথাও তার উল্লেখ তিনি করলেন না। এবং একটি মাত্র টাইপো- যেটা তিনি ধরতে পেরেছেন বলে স্বগর্বে সেটার উল্লেখ তিনি আবার করলেন। এবারও তিনি আমার বিস্তারিত করা বক্তব্যের ধারে কাছে গেলেন না। বরং বললেন যে আমাকে গালি দিয়েছেন সেটাই স্বাভাবিক। বললেন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গালি দেয়া যায়। এটাও সচলায়তনে হয় জানা ছিল না।

৫- মন্তব্য নং ১৭.২.১.১.১.১ "গোপনীয়: হাচল
আর একটা কথা বলি। একটু কড়া হবে। কিন্তু না বলে পারছি না।
আপনার এই ব্লগ আর এখানে করা মন্তব্যগুলোর আপনার করা প্রত্যুত্তর দেখে মনে হচ্ছে- আপনি বুদ্ধিভিত্তিক বিভ্রান্তির মগডালে বসে আছেন। অবশ্য নতুন কিছু না। মাননীয় ফরহাদ মজহার দীর্ঘদিন ধরে সেই মগডালে একচ্ছত্র আধিপত্য চালাচ্ছেন।"
এবার তাঁর মন্তব্যের উত্তরের অপেক্ষা না করেই, তিনি আবার মন্তব্য করলেন নিজের মন্তব্যে যুক্ত করে অর্থাৎ তিনি এবার আমাকে আরো একটু তীব্র ভাষায় গালি দেয়ার জন্য সচল ও আমার মতো অতিথি সচলদের জন্য মন্তব্যটি রেস্টিক্ট করে দিলেন- বললেন আমি বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রান্তির মগডালে বাস করছি- যদিও আমার বুদ্ধিতে কোথায় বিভ্রান্তি তা এখন পর্যন্ত তিনি ধরিয়ে দেন নি, তিনি তাঁর ধরতে পারা একটা টাইপোকে কেন্দ্র করেই এত কথা বলে ফেললেন।
৬- মন্তব্য নং ১৭.২.১.১.১.১.১.১
"বিভ্রান্তি বিষয়ক রেস্ট্রিক্ট করা মন্তব্য আরেকটু পোক্ত হইল।
মনগড়া কথাবার্তা চালায়া যান।"
ছয় নাম্বার মন্তব্যে এসেও তিনি উল্লেখ করলেন না কেন আমার কথাবার্তাগুলো মনগড়া মনে হচ্ছে তাঁর কাছে। বরং আগের দেয়া গালিগালাজকেই জোড়ালো করলেন।
৭- মন্তব্য নং ১৭.২.১.১.১.১.১.১.১.১
“আপনার এই মনগড়া বিভ্রান্তিকর পোস্ট টু দা পয়েন্ট আলোচনার যোগ্যতা রাখে না। আর সেটা যদি করা হয় আপনার প্রচুর গামছার প্রয়োজন হবে। কেন বুঝতেই পারছেন!”
ইতিমধ্যে অনেক সময় ব্যয় করেছেন শুভাশীষ সাহেব। এবার তিনি পোস্টের আলোচনার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন। আমি নিজেকে অপরাধী ভাবছি না তবে তিনি আমাকে বোঝাতে চাইলেন যে আমি অনেক সচল ও পাঠক পোস্ট পড়েছেন মন্তব্য করেছেন, অনেক সময় নষ্ট করেছি আমি। এবং প্রচুর গামছার কথা বলে একদিকে আমার পোস্ট আলোচনায় তাঁর নিরুৎসাহ’র কথা বললেন এবং আমাকে আরও একবার আক্রমনাত্বক শ্লেষযুক্ত কথাবার্তা বললেন।

৮- মন্তব্য নং ১৭.২.১.১.১.১.১.১.১.১.১.১
“গালি বিষয়ক ধারমাটা আপনার নিজের ব্যক্তিগত ধরে নিচ্ছি।
আমি আমার কমেন্টে বলেছি শেষ প্যারায় আপনার করা প্রশ্নগুলো অযৌক্তিক। আপনার যুক্তি আমি পড়েছি আর পড়েই মন্তব্যটা রেস্ট্রিক্ট করে করেছি। কিছুটা ইশারা দেয়ার জন্য। ”
এই ইশারা যে সচল হিসেবে হাচলের প্রতি হুশিয়ারি তা বুঝতে কারো কষ্ট হবে না। তিনি আমার যুক্তির বিশ্লেষণে না গিয়ে এবার আমার প্রতি হুশিয়ারিই উচ্চারন করলেন।
এবার কয়েকজন সচলকে ধন্যবাদ দিতে হবে-
শাহেনশাহ সিমনকে ধন্যবাদ তিনি তিনি “ফোকাসিং টু দ্য সল্যুশন অফ দ্য সিচুয়েশন।” দিয়ে পোস্টের কথা বলেছেন, লেখার সুযোগ পেলে আর বিপন্ন বোধ না করলে আমি নিশ্চয়ই আবার লিখবো।
ধ্রুব বর্ণন আমার পোস্ট উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
রাগিব সাহেব ইন্সটিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য নিয়ে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
সুমন চৌধুরী সাহেবও পোস্টের বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয়েছে।
কুলাদা রায় এটা নিয়ে একটা সিরিজ করার কতাহ বলে উৎসাহ দিয়েছেন।
অনিন্দ্য রহমান আমার পোস্টের সাথে সম্মতিসূচক মন্তব্য করেছেন।
বুনোহাঁস বানান কয়েকটি বানান ও ব্যবহার সম্পর্কে বলেছেন।
হাসিব সাহেব তথ্য ঠিক করে দিয়ে আমার চিন্তার সাথে সম্মতি দিয়েছেন।
দ্রোহী সাহেব লেখাটি অসমাপ্ত বলেছেন, যাতে আমি বুঝতে পেরেছি, যে এ বিষয়ে সিরিজে আরো কিছু লিখতে হবে।
স্পর্শ বিস্তারিত আলোচনার কথা বললেন এবং আরো কিছু বিষয় যোগ করার কথা বললেন।
আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শুধুমাত্র শুভাশীষ দাশ ছাড়া আর কারো বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছি বা পাকা ধানে মই দিয়েছি বলে মনে হলো না।
আমি প্রতিকারের উদ্দেশ্যে এই চিঠিটি মডারেটর মহোদয় কাছে পাঠাচ্ছি এবং সকলের জ্ঞাতার্থে ফেসবুক গ্রুপে দিচ্ছি। এবং সচলায়তন ছাড়াও যেহেতু আমার লেখার আরো অনেক পাঠক আছেন যারা সচলায়তনে আমার লেখার লিঙ্ক ধরে পড়তে যান- তাদের জন্য আমি পোস্টের মন্তব্যে এটা দিয়ে দিচ্ছি।
কর্তৃপক্ষের সুনজর এবং সচলায়তনে ব্লগিং চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায়-

কাজী মামুন

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

স্নিগ্ধা এর ছবি

কাজী মামুন, সচলায়তন আপনি কতদিন ধরে পড়েন জানি না, তবে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকলে হয়তো এটা খেয়াল করলেও করে থাকতে পারেন যে, সাধারণত আমি তর্ক বিতর্ক যখন অতিরিক্ত তিক্ততার দিকে চলে যেতে থাকে - ওই বিষয়ে আর কোন কথা বলি না। সেটা এমনকি আমাকে নিয়ে অন্যায়/মিথ্যা বক্তব্য দেয়া হলেও করি না/করি নি। আপনার এই পোস্টেও ঠিক ঐ কাজটাই করছিলাম, আমার আপনাকে জানানোর মত পালটা বক্তব্য থাকলেও - মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য/প্রতি-প্রতিমন্তব্যের ধারাটা আর বাড়াতে চাই নি।

আমার এই চর্চাটা খুব সম্ভবত আগাগোড়াই ভুল ছিলো। আপনি করেছেন কি না জানি না - তবে, অনেকে হয়তো এটাকে আমার নিজের 'অন্যায়' বুঝতে পেরে চেপে যাওয়া বা পালিয়ে যাওয়া বলে মনে করে। অতএব, আগের নিয়মভঙ্গ করে এবার কিছু কথা বলবো -

কিন্তু একজন সচলের আচরণে এবং বাকী সচলদের উদাসীনতায় বা তিনি সচল বলে তাঁর প্রতি পক্ষপাতিত্ব করায় আমি এখন সচলায়তনে ব্লগিং এ বিপন্ন বোধ করছি। কয়েকশত সচল এর মধ্যে একজনের সাথে আমার মতের অমিল হতেই পারে- কিন্তু এতে করে যদি তিনি সচল বলে আমার প্রতি ভ্রান্ত আচরণ করেন এবং বাকী সচলরাও তা মেনে নেন বা সমর্থন করেন তাহলে এমন পরিবেশে আমার জন্য ব্লগিং করাটা একটু কষ্টকর হয়ে যায়।

আমাকে লেখা আপনার প্রতিমন্তব্যে আপনি বলেছেন -

আপনিও আবার সেই বানানভুল ধরে গালি দেয়াকেই সমর্থন করে বলেছেন আমাকে দুঃখপ্রকাশ করতে- এজন্য বলেছিলাম।

মডারেটরদেরকে লেখা আপনার চিঠি এবং আমাকে লেখা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে আপনি নামোল্লেখ না করলেও আমার কথাই বলেছেন।

এখানে আর একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দেই -
মডারেটরদের কাছে আমার নামে অভিযোগ জানানো হলো কি হলো না, তা নিয়ে আমি একটুও চিন্তিত নই। যদি আমি কোনভাবে সচলায়তনের কোন নীতি লংঘন করে থাকি তাহলে মডারেশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সেটা অতীতে অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে, প্রয়োজন হলে আমার বেলাতেও হবে, কোনই অসুবিধে নেই।

আমার বক্তব্য অন্য কিছু নিয়ে। আপনি কি আমাকে দেখাতে পারবেন কোথায় আমি আপনাকে তথাকথিত 'গালি দেয়া' সমর্থন করে কিছু বলেছি?? শুভাশীষ বা তানভীর আপনার বানান, ফরম্যাটিং ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনা করলে আপনি একটাবারও আপনার দিক থেকে ভুলগুলোর কোন দায়িত্ব নেন নি, যেটাকে আমি আমি 'দুঃখপ্রকাশ' না করা বলেছি। বরং, ঐ দুজনকে দেয়া উত্তরে আপনার তীর্যক বিরক্তিই শুধু প্রকাশ পেয়েছে। আপনি আমাকে যে ব্যাখ্যাটা দিলেন, সেটাই যদি প্রথমেই দিয়ে দিতেন - এই ভুল করা নিয়ে কথা তো এতোদূর এগোয়ই না!!

আমার মন্তব্যে তিনটি বিষয় ছিলো। আপনার MIT প্রসঙ্গে (আমার কাছে) স্ববিরোধিতা, সম্পাদনার সাথে জড়িত থাকা সত্ত্বেও এতো ভুল করা, এবং আপনার লেখার দুর্বলতা। আমি এখনও বলছি - আপনার লেখাটা একটা 'লেখা' হিসেবে আমার কাছে দুর্বল মনে হয়েছে। পুরো লেখাটাতে একটা রাগ বা অন্তত গভীর একটা বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছে, অনেকগুলো বিষয় এসেছে যার বেশিরভাগই আপনার আলোচনার দিক থেকে খুব সুবিচার পায় নি, এবং লেখাটায় বেশ তাড়াহুড়োর ছাপও রয়েছে - যেটাকে আমি অনেকগুলো বিষয় নিয়ে একসাথে ক্রোধপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেছি। আমার লেখাও ভালো নয়, আমিও এধরনের অনেক কিছুই ভুল করি। তো?? খারাপ লিখিয়ে বলে আমি পাঠক হিসেবে আমার মত দেবো না কেন! অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি - আপনার লেখার সমালোচনাটুকু আমি শুধুমাত্র একজন পাঠক হিসেবেই করেছিলাম। তিনটি বিষয় পরস্পর থেকে বিযুক্ত, তিনটি আলাদা পয়েন্ট।

আপনি সেসব দিকে জোর না দিয়ে, আমি কেন আপনাকে বানান ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে বললাম সেটা নিয়ে প্রথমে আমাকে কিছুটা বাঁকা কথা বললেন, তারপর বললেন আমি নাকি আপনাকে 'গালি দেয়া' সমর্থন করেছি!!

আপনার যদি মনে হয়ে থাকে যে পুরনো সচলেরা একে অপরের প্রতি বায়াসড, আপনি নাহয় কোন তৃতীয় পক্ষকে এই পোস্ট, পোস্টে সচল, হাচল, অতিথিদের মন্তব্য এবং সেই প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোও পড়ে দেখতে বলবেন।

সচলায়তনে আপনার 'বিপন্ন' বোধ করার কোন কারণ আসলে আছে কি? আপনার 'ছিন্নকথন' বা 'নাস্তিকের বাইবেল' বা অন্য যে কোন পোস্টেই কি আপনাকে 'গালি দেয়া' হয়? এটুকু আশ্বাস আপনাকে দিতে পারি যে, আপনার দিক থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমার অপমানিত বোধ করার কোন কারণ না ঘটলে, আপনার লেখা ভালো লাগলে সেই ভালো লাগার কথা আমি নির্দ্বিধায় জানিয়ে যাবো।

আপনার ক্ষোভ বা অভিযোগ মডারেটরদের জানিয়েছেন, এখানে অন্যান্যদেরও জানালেন - সেটা বুঝতে পারলাম। কিন্তু, সচলায়তনের ঘটনা ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করার মানেটা বুঝতে একেবারেই পারলাম না, এবং এটা মানতেও পারলাম না!!

কাজী মামুন এর ছবি

"কাজী মামুন, সচলায়তন আপনি কতদিন ধরে পড়েন জানি না, তবে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকলে হয়তো এটা খেয়াল করলেও করে থাকতে পারেন যে, সাধারণত আমি তর্ক বিতর্ক যখন অতিরিক্ত তিক্ততার দিকে চলে যেতে থাকে - ওই বিষয়ে আর কোন কথা বলি না।"

পড়ছি অনেক দিন ধরে তবে লিখছি চার মাস সময় ধরে। তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে মন্তব্য করতে চাইলে আপনি লেখার উপর নিজে থেকে একটা মন্তব্য দিতে পারতেন। তর্ক বিতর্ক চলছে এমন একটা মন্তব্য'র সূত্র ধরে না দিয়ে। যাই হোক তর্ক বিতর্কের প্রতি আমার কোনো বিরক্তি নেই, বিরক্তি সচলের অচল আচরণের প্রতি।

"মডারেটরদেরকে লেখা আপনার চিঠি এবং আমাকে লেখা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে আপনি নামোল্লেখ না করলেও আমার কথাই বলেছেন।"

আমি আপনি সহ আরো দু-একজন সচলের কথা বলেছি- তবে আপনাদের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই, অভিযোগ তার বিরুদ্ধে যে ইচ্ছাকৃত ভাবে আলোচনাকে ভিন্নদিকে প্রভাহিত করে করেছে।

"আমার বক্তব্য অন্য কিছু নিয়ে। আপনি কি আমাকে দেখাতে পারবেন কোথায় আমি আপনাকে তথাকথিত 'গালি দেয়া' সমর্থন করে কিছু বলেছি??"

হুম বলেছেন আপনার "অথচ আপনারই লেখা পোস্টে বানান ভুল বা এ ধরণের অন্যান্য সমস্যার কথা বলা হলেও, অর্থাৎ সম্পাদনায় অভিজ্ঞ একজনের এতোখানি অনবধানতার কথা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দেয়া হলেও, সেটা নিয়ে কোনরকম দুঃখপ্রকাশ করতে কিন্তু আপনাকে দেখা গেলো না।" এই বক্তব্যে স্পষ্টভাবেই নিন্দুকের নিন্দাকে সমর্থন করতে দেখা যায়।


"শুভাশীষ বা তানভীর আপনার বানান, ফরম্যাটিং ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনা করলে আপনি একটাবারও আপনার দিক থেকে ভুলগুলোর কোন দায়িত্ব নেন নি"

শুভাশীষ এঁর এই সমালোচনাকে নিন্দা'র অধিক কিছু হিসেবে আমি দেখি না। কারণ তিনি গোটা আস্টেক মন্তব্যে সে একটি মাত্র টাইপো'র উল্লেখ করেছেন যেটাতে বি আর ভি এর গন্ডগোল, আর বাকীটা সময় করেছেন গালিগালাজ যেটা আমি আমার অভিযোগে সুস্পষ্টভাবে দেখিয়েছি, এটাকে সমালোচনা বলে না নিন্দা বলে।


"আমি এখনও বলছি - আপনার লেখাটা একটা 'লেখা' হিসেবে আমার কাছে দুর্বল মনে হয়েছে।"

আপনার সমালোচনাকে আমি সাদরেই গ্রহন করেছি কিন্তু বানান নিয়ে বলাটা ভালো লাগেনি- যেটা বলতে গিয়ে আপনি নিজেও বানান ভুল করেছেন।

"কিন্তু, সচলায়তনের ঘটনা ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করার মানেটা বুঝতে একেবারেই পারলাম না, এবং এটা মানতেও পারলাম না!!"

একটু স্পষ্ট করে বললে পাঠকবের বুঝতে সুবিধা হয়- "সচলায়তনের ঘটনা ফেসবুক গ্রুপে" মানে সচলায়তনেরই গ্রুপে (যেখানে সচলায়তনের বাইরের লোকদের প্রবেশ নিষেধ) শেয়ার করেছি কারণ শুভাশীষ সাহেব এ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে যে গালিগালাজ করেছেন এবং আলোচনা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তা যেন আরো বেশি করে না হয়। কোনো এক পাকা ধানের মই এর কারণে, যেটা আমি এখনো জানি না, যার কারণে শুভাশীষ সাহেব এই আলোচনাকে কর্দমাক্ত করেছেন, সেটা শুধুমাত্র সচলায়তনের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আমি এটা করেছি।

আশা করি ভুল বুঝবেন না।
পরিশেষে আপনার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।
ভালো থাকবেন।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এই পোস্ট নিয়ে খানিক বাতচিত

শুরু থেকেই শুরু করি।

বনানীতে এক বিল্ডিং এ একসাথে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় দেখেছিলাম, এর মধ্যে একটা থেকে আবার পি এইচ ডি ডিগ্রিও দেয়া হতো বলে শুনেছিলাম। এখন আছে কিনা জানি না।

- নাম ধাম দেন। তারপর অন্যান্য কথাবার্তা।

যাই হোক বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (পাবলিক/প্রাইভেট সব) আসলেই যে বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এ নিয়ে আগে আলোচনা করেছিলাম “ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম” নামের এক লেখায়। আজ আর সে বিশ্লেষণে যাবো না।

- ঐটাও পড়লাম। আপাতত এটা নিয়ে আলোচনা আগাই।

সম্প্রতি- ‎ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ‘ইংরেজী ও মানববিদ্যা’ বিভাগ ২৯ ও ৩০ জুলাই ২০১০, এই দু’দিন বাংলা সাহিত্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করে। করতেই পারে কিন্তু কতটা ডংকা বাজলো, কতটা যুদ্ধ হলো, লাভ-ক্ষতি হলো এই প্রশ্ন থেকেই যায়! তবুও মন্দের ভালো! আমাদের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক’টা সেমিনার হয়? ক’টা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হয়?

- এই সেমিনার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব। মানে আলাদা পোস্ট। সেমিনারে কারা কারা ছিলেন কী কী আলোচনা হলো সেগুলো নিয়ে আলোচনা সমালোচনা না করে হুট করে একটা বাক্যে তথ্য দিয়ে ডংকা বাজা, লাভ-ক্ষতি নিয়ে আপাত শ্লেষে কিছুই বোঝা যায় না। বাংলাদেশের নামকরা ভার্সিটিগুলোতে সেমিনার কতোটা হয় না হয় এই পরিসংখ্যান জেনে নিয়ে উল্লেখ করলেই প্রশ্নগুলো পাঠকের কাছে করার প্রয়োজন হতো না। এইসব হা হতোস্মি করার মতোন প্রশ্ন থেকে পাঠক কিছু বুঝতে পারেন না।

হোক ওয়েবমেট্রিক্স তবু কেন সদ্য জন্মানো একটি এক বিল্ডিং এর বিশ্ববিদ্যালয় শত বছরের সবচেয়ে পুরোনো সবচেয়ে ভালো ছাত্রগুলোকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেঙ্কিং এ পিছিয়ে যাবে! কেন আমার ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা বুয়েটিয়ান বন্ধুটি ২০০৬ সাল পর্যন্ত পেন-ড্রাইভ/ইউএসবি চিনলো না! বেসরকারীর ছেলেমেয়েরা গড়গড় করে ইংরেজীতে কথা বলে, সরকারীর ভালো ভালো ছাত্রছাত্রীরাও ইংরেজীতে ভয়ে কথা বলতে পারে না। তুলনা আছে, আসবে আরো। আজ থাক!

- নামটা ওয়েবোমেট্রিক্স। ওয়েবমেট্রিক্স নয়। ওয়েবোমেট্রিক্সের রেটিং নিয়ে রাগিব একটা পোস্ট দিয়েছিল। ঐ পোস্ট পড়লেই কথাবার্তা সব বোঝা যাবে। ওয়েবোমেট্রিক্সের রেটিং নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার পরিবেশ নষ্ট হওয়া নিয়ে রীতিমতো প্রবন্ধগ্রন্থ লেখা সম্ভব। সেখানে পেনড্রাইভ না চেনা কিংবা ইংরেজিতে কেন কথা বলতে পারেনা উল্লেখ করে আবারো হা হতোস্মি করা বাক্য লেখা দুর্বল উপস্থাপন ছাড়া আর কিছু নয়। ধরুন আরো দশ বা বিশ বছর পর বাংলাদেশের কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পড়াশুনার মানের জন্য সাথে সাথে গবেষণার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভালো কোনো রেটিং সিস্টেমের মাধ্যমেই পেছনে ফেলেছে। তাতে অসুবিধা কোথায়! যদি এক বিল্ডিং-এ ছাত্রদের পড়িয়ে তারা যদি অনেক বিল্ডিং এর সমন্বয়ে গড়া ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলতে পারে- আমরা অভিনন্দন জানাবো। বিল্ডিং তো আর গবেষণা করে না। করে ছাত্র আর শিক্ষক।

এরপর শুরু হলো আপনার অভিজ্ঞতা্র গল্প। ‘আকিঞ্চন’ নামের একটি ছোটকাগজের সম্পাদক হিসেবে আপনার ভূমিকার কথা আমরা জানতে পারি। ছাই ঘেঁটে সোনা খোঁজার বাক্য আমরা পাই। কিন্তু প্রাপ্ত সোনাদানার বিবরণ জানতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টাকা না নিয়ে কাগজটি বের করার জেহাদ জানতে পারি। আপনার যুক্তি- টাকা নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্জিমতো কাজ করতে হবে। জানি না সেই ছোটকাগজে কি বোমা ছাপা হয়েছিল। আপনি মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকার নাম শুনেছেন? উনি নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে পত্রিকা বের করতেন। তবে যে অন্যের সাহায্য একেবারেই নিতেন না তা নয়। ডানকান ব্রাদার্স থেকে নিয়মিত বিজ্ঞাপনের টাকা যেত তাঁর দপ্তরে। এরকম শুনিনি ডানকান ব্রাদার্স তাঁর সম্পাদনাতে কখনো হস্তক্ষেপ করেছে। এটাতো বাংলাদেশের তথ্য। ছোটকাগজের ইতিহাসে অন্যের টাকা নিয়ে ছাপানোর ঘটনা অনেক ঘটেছে। সম্পাদক নিজের ঋজু ব্যক্তিত্বে অন্যের প্রভাব থেকে পত্রিকাকে রক্ষা করেছেন।

এরপর আপনার লেখায় অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল রেজিষ্টারের প্রসঙ্গ এসেছে। তাকে ছাত্ররা এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সিগারেট বিক্রি করে ছেলেটা ও ফাউল আফজাল ডাকে সেটা ঠিকঠাক উল্লেখ করেন। কিন্তু আপনি তাঁর সাথে কী যুদ্ধ করলেন সেটা দেখি না। দেখতে পাই পরাস্ত হয়ে অন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রার কথা।

সবদিক থেকেই অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলাম, কেমন যেন দমবন্ধ একটা পরিবেশ। এরপর খুব বেশিদিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকিওনি! এরপর আর ছাত্রদের উদ্যোগে কোনো ছোট কাগজ ওখানে বের হয়েছি বলে শুনিনি।

- দোষটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চড়াতে অসুবিধা হয়নি। এই দমবন্ধ পরিবেশে এখনো অনেকে পড়াশোনা করছে, গবেষণা করছে। আপনি খালি সমালোচনাই করলেন। কিন্তু সেই তথাকথিত দমবন্ধ পরিবেশে থেকে উত্তরণের কোন পথ দেখাতে পারলেন না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অবস্থা কী সেটা সম্পর্কে পোস্ট করার আগে কোনো গবেষণার লক্ষণ দেখা যায় না আপনার এই প্রবন্ধ কাম স্মৃতিচারণে।

আপনি মোড়ক উন্মোচন নিয়ে ঠিসারা করেছেন। ঠিকাছে। তবে সম্পাদক হিসেবে নিজের বক্তিমা দেয়ার ছবি দিতে ভুলেননি। আপনি সম্পাদক ছিলেন এই তথ্য জানানোর পরে এই ব্লগে সুপ্রচুর বানান ভুল, টাইপো, যতিচিহ্নের ভুল ব্যবহার নিয়ে যখন আপনাকে বলা হলো আপনি কান্নাকাটি শুরু করলেন। আপনাকে সবাই গালাচ্ছে। পত্রিকার সম্পাদক হওয়াটা আপনার পূর্বজন্মের পাপ ছিল বলে আফসোস করেছেন। সম্পাদক তো সম্পাদনা করেন। যে নিজের লেখা সম্পাদনা করার ব্যাপারটা সম্পর্কে জানে না, সে অন্যের লেখা সম্পাদনা করে কি বোমা তৈরি করবে সেটা বোঝার জন্য ইশারাই কাফি। স্নিগ্ধাদির মতো একজন পুরানো সচলের সাথে প্রতিমন্তব্য করার সময় ‘*দের তল দিয়া আসমান দেখা’র মতো অশালীন বাক্যবন্ধ উনাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। MIT সম্পর্কিত খোঁড়া যুক্তি দেখাতে গিয়ে উইকিএন্সার থেকে কোট করেছেন। আরো কি কি করেছেন আপনার প্রতি-মন্তব্য পড়লে পাঠক ধারণা পাবেন। এই ধরণের আচরণ দুর্বল মানুষের লক্ষণ। ভুল স্বীকার করতে দুর্বল মানুষ ভয় পায়। তখন তারা কুযুক্তিকে আঁকড়ে ধরে।

এবার আসি শেষ প্যারায়।

একাডেমিক দিক থেকে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন অনেক ক্ষেত্রে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে ভালো ফলাফল করছে। কিন্তু আমাদের প্রাচ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা স্ট্যান্ডার্ড আমরা চিন্তা করতে পারি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি এর ধারে কাছেও যেতে পেরেছে? ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ত্রিশের বেশি বিভিন্নরকম ক্লাব, সবগুলো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন আছে। কিন্তু কার্যক্রম? হুম তাও হয়তো আছে। কিন্তু বাংলাদেশে টাকা থাকলেই একটা মাইক ভাড়া করে রাস্তায় নামা যায়, মাইক দেখলেই আবার কিছু লোক জড়ো হয়ে যায়, একটা জনসভা করে ফেলা যায়। উল্লেখযোগ্য কোনো সাহিত্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম কি আছে? পরিবেশ কি আছে? থাকলে কিভাবে আছে? না থাকলে কেন নেই? কারা দায়ী এর জন্যে? কর্তৃপক্ষ নাকি ছাত্রছাত্রীরাই? আমাদের অভিভাবকরাই কি একটা সার্টিফিকেট এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে?

আপনার লেখা শেষ প্যারায় লেখা প্রশ্নগুলোকে অযৌক্তিক বলায় আপনি এই প্যারা থেকে খুবলে কিছু প্রশ্ন আমাকে দিয়ে বলেছেন- প্রমাণ করেন এই প্রশ্নগুলো কেন অযৌক্তিক। আমি বলেছি পারলে আপনার নিজের লেখা পুরা বাক্যের দিকে তাকিয়ে প্রথম প্রশ্নের ধারাবাহিকতায় বাকিগুলোকে মিলিয়ে নিয়ে কেন যৌক্তিক সেটা দেখাতে। আপনি উত্তর করেছেন-

বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন অনেক স্ট্যান্ডার্ড! আমেরিকান- ব্রিটিশ- ইউরোপিয়ান- কাঠামোগত পার্থক্য যেমন আছে তেমনি আছে পাঠক্রম কিম্বা ডিগ্রির শ্রেনীবিন্যাসেও। তেমনি ভাবে আমাদের প্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও একতা স্টেন্ডার্ড তৈরী হয়েছে এমন যে এখনকার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা(একটু কম হলেও) যেমন করবে, তেমনি নাচে গানে চমৎকার একটা সাংস্কৃতিক পরিবেশ রক্ষা করবে। গবেষণা (একটু কম করে হলেও) যেমন করবে তেমনি সেনাবাহিনীকেও রুখে দাঁড়াবে প্রয়োজনে। উদহারণ হিসেবে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এমন অনেকগুলো নাম আমাদের দেশ থেকেই নিতে পারি। এখন আমরা আমেরিকান বা ব্রিটিশ বা ইউরোপিয়ান স্টেন্ডার্ড এর বাইরে এসে যদি চিন্তা করি, অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো বিশ্ববিদ্যালয়কেই যদি একটা স্টেন্ডার্ড হিসেবে চিন্তা করি তাহলে সেই স্টেন্ডার্ড এর বিচারে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা মান-উত্তীর্ণ (বানান?)?

- এই হচ্ছে আপনার উত্তর। আবার সেই একই পদ্ধতি। প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর (এখানেও সমস্যা আছে- আপনি তো এদ্দিন MIT কে বিশ্ববিদ্যালয় ভাবতেন না… রাগিবের বেশ কয়েকটা মন্তব্যের পর আপগ্রেডেড হলেন…) এন্ডাউমেন্ট উইকি থেকে দেখে নিতে পারেন। তারপর প্রাচ্যের সাথে বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনা করতে আসবেন। আর যা উত্তর করেছেন সেটা প্রথম প্রশ্নের ধারাবাহিকতার দিকে যায়নি। নতুন রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিল্প সাহিত্য নিয়ে আসমানে উঠে যাচ্ছে, কিন্তু প্রাইভেট কেন পারছে না? আমি আমার প্রথম মন্তব্যে বলেছিলাম- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দাঁড়াতে সময় লাগবে। বিভিন্ন দিক দিয়ে। এখনো সেটাই বলছি। এই অল্প কথার মধ্যে আপনার এতো এতো প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে। ছাত্ররা যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। তারা ঠিকই তাদের পথ খুঁজে নিবে। তবে তাদের উদ্দীপনা আর উদ্যোগ বাড়াতে দিকনির্দেশনা মূলক লেখালেখির প্রয়োজন। এইরকম দমবদ্ধ পরিবেশে টিকতে পারলাম না- টাইপের পোস্ট কোনোরকম কাজে দিবে না। পাবলিকের মেজাজ বিগড়ানো ছাড়া।

অন্যান্য পাঠকেরা কিছু দিকে আপনার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তারপরেও আরো লেখা যায়। কিন্তু এই মানের লেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে আমার নিজের দমবন্ধ দমবন্ধ লাগছে। সিমনের মন্তব্যটা আমার এতোবড় মন্তব্য থেকে অনেক ভালো আর প্রিসাইজড্-

আপনার দেশি ও বিদেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে এর পরে একটি গঠনমূলক পোস্ট আশা করছি, ফোকাসিং টু দ্য সল্যুশন অফ দ্য সিচুয়েশন।

আপনি অন্যদের নিয়ে সমালোচনা করছেন। শ্লেষাত্মক ভাষায়। আপনার লেখা থেকেই ছোট্ট দুটি উদাহরণ দেই। আপনি নিজে USB ড্রাইভকে কে USV ড্রাইভ বলছেন (পরে কারেকশান করেছেন দেখলাম), লিটল ম্যাগাজিনকে বলছেন লিটিল ম্যাগাজিন (এটাও কারেকশান করে নিন)। আপনার এই অপ্রাপ্তমনস্ক লেখাটি নিয়ে একটি/দুটি বাক্য যথেষ্ট ছিল, কিন্তু এতো দীর্ঘ মন্তব্য করলাম আপনার সুবুদ্ধির জন্য।

প্রচুর সময় গেছে। আমার দিক থেকে পিরিয়ড।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশিষ দা,

আমারো মনে হয় অনর্থক বাহাস এর আর কোন মানে হয় না। আমি যতকটা প্রশ্ন করেছি , একটারও আশানুরুপ জবাব পাই নি। এই শেষ উদাহরন স্বরুপ আমার সর্বশেষ করা কমেন্ট এর উত্তর কি পেয়েছি সেটা উল্লেখ করব শুধু।

আমার কথা ছিলো -

"আপনি যদি আজকে বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের সাথে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর সাফল্য, রিসার্চ পাবলিকেশন এর মান ও সংখ্যা, প্যাটেন্ট ইত্যাদি এর সম্পর্ক ঘটাতেন, আমি খুব স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতাম। মানদন্ডের প্যারামিটার গুলো তো প্রাসঙ্গিক হওয়া চাই। প্রাসঙ্গিক না হলে আপত্তিকর তো হবেই।"

কাজী ভাই এর উত্তর হলো -

"আপত্তিকর হবে না কারণ আমি প্রশ্নগুলো করার আগে এটাও বলে নিয়েছি যে- "একাডেমিক দিক থেকে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন অনেক ক্ষেত্রে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে ভালো ফলাফল করছে। কিন্তু আমাদের প্রাচ্যে সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে একটা স্ট্যান্ডার্ড আমরা চিন্তা করতে পারি, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি এর ধারে কাছেও যেতে পেরেছে?"

সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর সাফল্য, রিসার্চ পাবলিকেশন এর মান ও সংখ্যা, প্যাটেন্ট ইত্যাদি আসে না।"

আজিব বাত দেখা যায় !!! তাহলে সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে কি ইউ এস বি চেনা আর ইংরেজীতে সড়গড়তা টাই মাপ কাঠি?? সেটা কোন পরিমন্ডল রে ভাই??? আর একাডেমিক দিক থেকে ভালো ফলাফল করার কথাই বলেন তাহলে আপনার মানদন্ডের প্যারামিটার গুলো কি কি ?

কাজী মামুন এর ছবি

আমাকে ধন্য করেছেন বস! গোটা আস্টেক অযাচিত মন্তব্য'র পর, গালি গালাজের পর, হুশিয়ারির পর আপনি আরো সময় নষ্ট করে আলোচনার অযোগ্য একটি লেখাকে নিয়ে আলোচনা করে আমার জীবন ধন্য করেছেন।

তবে আপনার আলোচনা পড়ার এবং আপনার সাথে আলোচনা করার রুচি আমি হারিয়েছি--শুধু এটুকু বলবেন- আপনার কোন বাড়া ভাতে আমি ছাই দিয়েছিলাম? বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কিভাবে আপনি জড়িত আছেন?

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অযাচিত মন্তব্য কী বস্তু? আপনি ব্লগ লিখেছেন, সেটা নিয়ে কমেন্ট করেছি।

যুক্তিতর্কে না পারলে এইসব বাংলা সিনেমার ডায়ালগ বের হয়- মানে এই বাড়া ভাতে ছাই দেয়া টাইপ আর কী।

আপনার পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর- না।

নুসদিন এর ছবি

ঢাবির আরেক অধ্যাপক ফেরদৌস আজীম ম্যাডাম
ওনার নাম ফিরদৌস আজীম।
শুধু এটুকু বলবেন- আপনার কোন বাড়া ভাতে আমি ছাই দিয়েছিলাম? বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কিভাবে আপনি জড়িত আছেন?
!!!! বেসকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িত না হলে কী মন্তব্য করা যাবে না?

jisan এর ছবি

সাবেক BIT গুলো শুধু চার বছরের ডিগ্রি দেয়না। সেখানে Masters, PhD program ও চালু আছে। তথ্যটা জানানো দায়িত্ব মনে করলাম। আমি KUET এর ব্যাপার খুব ভালো করে জানি। সেখানে Masters, PhD Program গুলো BIT থাকা অবস্থায়ই চালু ছিল।

কাজী মামুন এর ছবি

ভালোই করেছেন অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে মাস্টার্স, পি এইচ ডি আর আন্ডারগ্রেজুয়েট থাকলেই সেটাকে বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়। যারা জানেন না তাদের জন্য কাজে লাগবে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

আরিফ জেবতিক এর ছবি

গুঁতোগুঁতির শীর্ষে এই পোস্ট, এটা দেখে ক্লিকাইছিলাম। অলস বসে আছি, সুতরাং কমেন্টও অনেকগুলো পড়লাম। এই ফাঁকে নতুন দেশ এর লিংকেও ক্লিকাইলাম। ওরে বাবা! ওখানে দেখি আপনার লেখায় আমার ফেসবুক নোটের রেফারেন্সে আপনার একটা লেখা।
নতুন দেশকে তো আগে আমি পত্রিকা জানতাম!
সেরীন ফেরদৌসকে জানতাম সম্পাদক!!

debashish [অতিথি] এর ছবি

কাজী মামুন,
আপনার এই লেখার উপর মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য যথেষ্ঠই এসেছে। সে নিয়ে আর নতুন করে আলোচনায় নাই গেলাম। কিন্তু "**** তলা দিয়া আকাশ দেখা যায়" টাইপের একটা বাক্য লেখার সময় কি আপনার একবারের জন্যও মনে হয়নি যে এটা কারো রুচিতে বাধতে পারে !!! লেখার স্বাধীনতায় আমি বিশ্বাস করি কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে বাজে একটা শব্দ বসিয়ে দিয়ে একটা লাইন লিখাটাও সেই স্বাধীনতাকে define করে। তাই না?......

তাসনীম এর ছবি

পোস্ট সম্বন্ধে আমার অভিমত হচ্ছে -- মনে হচ্ছে রাগের বশে দ্রুত লিখেছেন, একটু সময় নিয়ে লিখলে বিষয়বস্তু, বানান ও ফরম্যাটিং সব কিছুই আরও ভালো হতো। এই পোস্টের বাদানুবাদ সচলের ফেসবুক গ্রুপের পোস্ট পড়ে জেনেছি। এটা ভালো প্র্যাকটিস নয়। ব্লগের আলোচনা শুধু ব্লগে এবং যেই ব্লগে আলোচনা হচ্ছে -- সেটাতেই রাখুন।

মামুন, আপনি সমালোচনা গঠনমূলকভাবেই নেবেন আশা করি, কিন্তু আপনাকে মন্তব্যকারীর উপর চড়াও হতে দেখছি। মন্তব্য আপত্তিকর মনে হলে সেটা মডারেশনকে জানান (আপনি জানিয়েছেন সেটা), এবং তাদের বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করুন।

আপনি এই পোস্টের লেখক, এটার দায় আপনার, মন্তব্যের সূত্রধরও আপনি, আপনার উপর নির্ভর করবে আলোচনা কোন পথে যাবে।

এই পোস্টে মন্তব্য বন্ধের জন্য মডারেশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কাজী মামুন এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আমি অপেক্ষাতেই আছি। হাসি

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"

বেগুনী-মডু এর ছবি

প্রিয় কাজী মামুন,
বির্তকিত একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করে এই লেখাটিতে যত্নের অভাব অনুভূত হয়। উপরন্তু আপনার মন্তব্যে বেশ কিছু বিষয়ে আপনার ধারণা ভুল প্রমানিত হয়। এই পরিস্থিতিতে আপনার ভুল ধরিয়ে দিতে আসা সচল, অতিথি সচল এবং অতিথিদের বাদানুবাদ এক পর্যায়ে তিক্ততার দিকে গড়িয়ে যায়। এটা আশা করা যায় যে, একটি পোস্টের লেখক প্রাথমিকভাবে সহনশীলতার পরিচয় দিবেন এবং পোস্টের আলোচনার গতি এবং গতিমুখকে নিয়ন্ত্রিত রাখবেন।

এই পোস্টের মন্তব্য বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আমরা আপাতত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছি না। তবে আমরা আশা রাখব যে এই পোস্টের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যত আলোচনায় আপনি আরও সংযত, যুক্তিনির্ভর এবং তথ্যনির্ভর হবেন। পরিবর্তীতে একই রকম ঘটনা ঘটলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

ধন্যবাদ।