বাবার এত মন খারাপ হল কেন বুঝতে পারলাম না। অবশ্য মন খারাপ না মেজাজ খারাপ তাও ঠিক ধরা যাচ্ছে না। কি যে মুশকিল। এদিকে আজ বিকালে যে থান্ডার-ক্যাটস আছে, সেদিকে কারো খেয়ালই নেই।
সবই তো ঠিকমত করলাম আজকে। শুক্রবারের ছুটির দিনটায় একটুও গড়াগড়ি না করে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। দাঁত মাজলাম ভাল মত। তারপর বাড়ির কাজ সব শেষ করেছি। ট্রান্সলেশন অবশ্য ভুল হয়েছে দুইটা। কিন্তু গুণগুলোতো সব ঠিক হয়েছে নাকি!
নাস্তা খাওয়ার সময় আলু ভর্তা কম পড়েছিল। ডিম সিদ্ধটাও দাদার সাথে ভাগ করে নিতে হোলো। ডিমের কুসুমের জন্যে গাইগুই করিনি আজকে মোটেই। ওই থান্ডার-ক্যাটসের কথা চিন্তা করেই না চুপচাপ যত অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি।
এদিকে আবার চচ্চড়ে রোদে ব্যাগ হাতে বাবার পিছে পিছে টানা দশ মিনিট হেঁটে বাজারে গেলাম। বাবার পিছনে পিছনে বাজার বয়ে বয়ে বেড়ালাম এক ঘন্টা। আবার দশ মিনিট হেঁটে ঐ জগদ্দল ভারী বাজার বয়ে ফিরতেওতো হবে আমাকেই।
কিছুক্ষণ পরপর বাবা একএকটা দোকানের সামানে দাঁড়ায়, দরদাম করে, আর শুধু ব্যাগের ওজন বেড়ে যায়। এদিকে ব্যাগটাকে কায়দা করে পিছনে ধরে রাখতে রাখতে আমার যে হাত ব্যাথা হয়ে গেছে, সেদিকে কি আর কারো খেয়াল আছে!
মাছের বাজারে কিযে গন্ধ। বাবাগো! আরে একি। কুঁচো চিংড়ির ঝুড়ির মধ্যে দেখি একটা পুটি মাছ বেশ নড়াচড়া করছে। এহহহেরে, মাছটা আস্তে করে তুলে নিতে পারলে বেশ বাল্বের মধ্যে পুষতে পারতাম। অবশ্য মাছওয়ালা চাচাকে বললে এমনিতেই দিয়ে দেবে। কিন্তু তারওতো আবার বিপদ আছে। বাসায় যেয়ে নির্ঘাত একখান ধোলাই খাওয়া লাগবে চেয়ে মাছ নেওয়ার জন্যে। অবশ্য বাজারের মধ্যেই সবার সামনে বকা খাওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না। কতদিকে যে খেয়াল রাখা লাগে!
কাল বিকেলেই দাদাকে দেখলাম একশ ওয়াটের একটা বাল্বের পেছনের কালো কাঁচটা ভেঙ্গে ভিতরের জিনিস-পত্তর সব কায়দা করে ফেলে দিচ্ছে। কি না পেপারওয়েট বানাবে। একগাদা খালি ইকোনোডিএক্সের সর্বনাশ করল শুধুশুধু। কলমগুলো পেলে বেশ কটকটি নয় শনপাপড়ি খেতে পারতাম। আর কি কপাল! রোজ রোজ কি আর বাল্ব ফিউজ হয়? বাল্বটাও ঠিক ওর দরকার মতই ফিউজ হোলো।
ওই ছাতার প্লাস্টিকের পেপারওয়েট দিয়ে কি মুণ্ডুটা হবে শুনি! তার উপর আবার আমার সব থেকে সুন্দর নীল-নীল ডোরা দেয়া মার্বেল দু’টোই নিয়ে নিল ঐ ঘন্টার পেপারওয়েটের ওজন বাড়ানোর জন্যে।
শেষমেশ এত সুন্দর বাল্বটা ভেঙ্গে অর্ধেক গোলমত একটা প্লাস্টিকের গোলা বের হল। মার্বেল দুইটাই গোল্লার ভিতরে না থেকে একেবারে গোল্লার ছাদে ঠেকে গেছে কেন কে জানে। তবে একটু ঘষা দিতেই চলটা উঠে গেলো। এখন ওই মার্বেলের জন্যে আরো বাজে দেখাচ্ছে। উচিত শাস্তি হয়েছে। যেমন গায়ের জোরে কেড়ে নেওয়া!
এত ঘটা করে ওই ঘোড়ারডিমের প্লাস্টিকের কলম গলানো পেপারওয়েট না বানিয়ে বাল্বটা আমাকে দিয়ে দিলে আজকে আমার মার্বেল দু’টো আমার পকেটেই থাকত। কলমগুলো ফিরিওয়ালা চাচাকে দিয়ে বেশ কটকটি খাওয়া যেত, আবার আজকে পুঁটি মাছটা নিশ্চিন্তে চুরি করে বাসায় নিয়ে বাল্বের মধ্যে পুষতে পারতাম। এই সব সহজ সহজ জিনিস এদের মাথায় ঢুকলে তো!
উফফ, বাজারের ব্যাগটা তো বেজায় ভারী হয়ে উঠলো। আর কতক্ষণ পিছনে ধরে রাখা যায়! ওইযে আবার দুইহালি কাঁচা কলা কিনলো। কোনো মানে হয় এর? পয়সা খরচ করে কেন যে মানুষ কাঁচা কলা খায়! এই যে আবার উচ্ছে বাছা শুরু হোলো। ভাল যন্ত্রণা দেখি!
এই সব আজেবাজে কাঁচকলা বা উচ্ছে কিনে টাকা নষ্ট না করে আমাকে একটা স্প্রিং দেয়া জীপ গাড়ি কিনে দিলেও পারত। ব্যাটারি দেওয়াটা কিনে দিলে বেশি ভাল হত। তবে ওইটার অনেক দাম। তাছাড়া দুইদিন পরপর ব্যাটারি বদলানোর একটা ব্যাপার আবশ্য থেকেই যায়। নাহহ, ব্যাটারি দেওয়া গাড়ি ভাল হবে না। শেষে দেখা যাবে ব্যাটারির অভাবে খালি গাড়ি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এরচেয়ে স্প্রিং দেওয়াটাই বরং ভালো। একবার কিনে ফেললে আর চিন্তা কি! সারাদিন যত খুশি টেনে টেনে চালাও। অবশ্য দাদার চোখের আড়ালে রাখতে হবে গাড়িটা। না হলে দাদা খুলে ফেলবে, কিন্তু আর জোড়া দিতে পারবে না।
এই আর এক যন্ত্রণা। আরে বাবা, যদি ঠিক মত জোড়াই দিতে না পারিস, খুলিস কেনো তবে? এই যে আমি গত বৃহস্পতিবারে বাবার রেডিওটা খুলে ভিতরের ধুলো-ময়লা, মাকড়শার ঝুল সব পরিস্কার করে আবার ঠিকঠাক জুড়ে রেখে দিলাম; কই কেউ টের পেল? এক সপ্তাহ হয়ে গেলো। কেউ কিচ্ছু বুঝতেই পারে নি। খালি বাবা সন্ধ্যে বেলায় বাসায় ফিরে হাত-মুখ ধোয়ার সময় মাকে জিজ্ঞেস করছিল যে স্ক্রুড্রাইভারটা বাথরুমে কেন। বদ স্ক্রুড্রাইভারটা বালতির তলায় গড়িয়ে গেছিল রেডিওতে কাপড়ের খাপটা পরানোর সময়। কিন্তু রেডিও অন করে যখন বেশ শব্দ শোনা যাচ্ছিল তখন খুশিতে আর ওটার কথা মনেই ছিল না।
এই সেরেছে। এখন জবাবটা কি দিই? প্যান্টের পিছনের ফুটোটা কি আমি করেছি নাকি? এক প্যান্টই সাত আট মাস ধরে পরে বেড়ালে সেটার পিছনে ফুটো না থাকাটাই তো এক আশ্চর্য ঘটনা। আর মানুষে ঐ ফুটো দেখলে যদি কারো মান যায় সেটাতো বাবারই যাবে নাকি? এই যে এত কষ্ট করে কত দিকে চিন্তা ভাবনা করে মাথা খাটিয়ে কত সুন্দর সব কিছু ব্যালান্স করে ব্যাগটা পিছনে ধরে ফুটোটা ঢেকে রেখেছি এতক্ষণ, তারপরেও মুখটা হাঁড়ি করে ফেলার দরকারটা কি বুঝলাম না।
থান্ডার-ক্যাটসটা আজকে মিসই হোলো শেষ পর্যন্ত। বাজার থেকে ফিরেই বাবা সেইযে হাড়িমুখে শুয়ে পড়ল আর কারু সাথে কোন কথাই বললো না। কালকে স্কুলে সবাই যখন গল্প করবে মজা করে, আমার তখন বসে বসে শুনতে হবে সবটা! কি অবিচার!!
মন্তব্য
কি সুন্দর দিনপঞ্জি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ধন্যবাদ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এতো চিন্তায়তো খুব আসার কথা না?দেশের প্রধানমন্ত্রীওতো বোধহয় এতো চিন্তার লোড় মাথায় নেয় না ।সুখকর পাঠ্য লাগিলো ভাইজান।
মাসুদ সজীব
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘটনা হোল মাথার মাঝে ঘোরাফেরা করা চিন্তা ভাবনা গুলো নয়, অন্য একটা ব্যাপার এই গল্পে পুরে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ঠিকমত ধরতে পারি নাই বলাই বাহুল্য।
আবারও ধন্যবাদ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ক) গুন > গুণ, ওজোন > ওজন, হাড়ি > হাঁড়ি, মুন্ডু >মুণ্ডু,
অদ্ধেক > অর্ধেক, সবিতো > সবই তো, কেঁড়ে > কেড়ে
এরকম কয়েকটা টাইপো চোখে পড়ল।
খ) দারুণ মিষ্টি একটা গল্প!
আরো লিখুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ক) আপনি গ্রেট । এমন অখাদ্য গেলার পর আবার কষ্ট করে বানান ঠিক করে দিলেন। অনেক ধন্যবাদ। যেগুলো ধরে দিলেন ঠিক করেছি। আর আছে? বেশি একটা পড়া হয় না তো, তাই খুব ভুলভাল করে ফেলি।
খ) গল্প লেখা খুব কঠিন। পেটে তেমন বিদ্যা নাই যে। এই যে দেখুন, যে জিনিসটা ধরতে চেয়েছিলাম গল্পে, সেটা ঠিকমত ফোটেনি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দারুন লিখেছেন, খুব মজা পেলাম পড়ে।
গান্ধর্বী
ধন্যবাদ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আমার একটা গাড়ি ছিলো। লাল, হলুদ, সবুজ আলো জ্বলতো। তো এটা ক্যামনে কী, সেটা বুঝার জন্য একদিন খোলার দরকার হয়ে পড়লো। কিন্তু, নিজের সাইজ আর ঘিলুর সাইজ দিয়ে সেই কম্ম সম্পাদন করা যাচ্ছিলো না। মুসকিল আসান হয়ে এসেছিলো আমার বড় ভাই। তার নিজের ঘিলুর সাইজ মনেহয় তার নিজের সাইজের তুলনায় বেশিই ছিলো। স্ক্রু-ড্রাইভার নামক অদ্ভূত জিনিসের ধার না ধেরে রান্নাঘর থেকে মায়ের শিল-পাটার শিল এনে সেটা দিয়ে বেশি না একটা বাড়ি দিতেই সব পটপটাশ করে খুলে গেলো। আর বাতিগুলো খুশিমনে পকেটে নিয়ে আমি বাইরে চলে গিয়েছিলাম তুহিনকে দেখাতে।
আমাদের দুই ভাইয়ের এইরকম অনেক সম্মিলিত অনুসন্ধিৎসার ফলে আমাদের ছোটবেলার কোনো খেলনাই অবশিষ্ট নেই। ভালো করে বললে, এক সপ্তাহের বেশি টিকেওনি কোনোটাই। কিন্তু এদিক দিয়ে আমাদের ছোট ভাইয়ের খেলনাগুলোর কিছু রয়ে গেছে। কারণ, তার ঘিলু সে কখনোই ব্যবহার করতে চায়নি। আর আমরাও ঘিলু ব্যবহার না করতে চাওয়ার বয়সে পড়ে গিয়েছিলাম বোধ'য়।
বড় ভাইয়ের কন্যা-পুত্ররা বাড়িতে গেলে মা ছোট ভাইয়ের খেলনাগুলো বের করে খেলতে দেয় এখন তাদের।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার বড় ভাই আমাদের কাছে মাঝারি সাইজের যমদূত ছিল। মাঝে মাঝে সে খুবই, যাকে বলে "সংবেদনশীল" ব্যবহার করত। তখন সে অনেক কিছু করে ফেলত আমাদের জন্যে। আবার হঠাতই সে বিগড়ে যেত। সে বড়ই অদ্ভুদ।
এই গল্পের বড় ভাই অবশ্যি ছোট জনের ওস্তাদ ও সকল শয়তানির পথপ্রদর্শক।
অনেক ধন্যবাদ ধুগো'দা ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ছেলেবেলায় ফিরে গেলাম পড়তে পড়তে। থান্ডার ক্যাটস এখনো দেখি, কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত কার্টুন বলেই কিনা জানি না এখনো খুব ভালো লাগে।
এবার গল্প প্রসঙ্গে। যথারীতি গল্প বলার ভঙ্গি অসাধারণ - কিশোর মনের ভাবনাগুলো সুন্দর ধরা পড়েছে - বিরক্তিও। শুধু একটা জায়গাতে হোঁচট খেয়েছি - হঠাৎ যেন কোত্থেকে প্যান্টের প্রসঙ্গ চলে এলো। গল্পের সুতোগুলোকে এক জায়গায় বাঁধার জন্য এই নাটাইটাই দরকার ছিল, কিন্তু এত আচমকা চলে এলো যে "উড়ে এসে জুড়ে বসা" মনে হচ্ছে। যদিও আরোপিত মনে হয়নি, তবে আরেকটু রয়েসয়ে খেলিয়ে আনলে মনে হয় ভালো হতো।
ধন্যবাদ।
____________________________
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস প্রফেসর ।
বাবার বিষণ্ণতাটাই পয়েন্ট। প্যান্টের ব্যাপারটা ইচ্ছে করেই ফট করে আনা। কিন্তু কতদূর কি করতে পারলাম বুঝছি না। পেটে মাল না থাকলে কি আর হয়রে ভাই!!
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মাত্র ১ বছর ৪ মাস ৪ দিন পরে লেখা পাওয়া গেলো! যাক্, তবুও লেখা আসলো।
মর্মের লালখাতা সিরিজের মতো এটাও একটা সিরিজ হতে পারে, অনায়াসে।
পুনশ্চঃ থান্ডারক্যাটসের নতুন সিরিজ শুরু হয়েছে। কোন এলেমদার যে বানিয়েছে আল্লাহ্ মালুম! প্রিয় কার্টুনটার চৌদ্দটা বাজিয়ে ছেড়েছে। ক্যারেক্টারগুলোর চেহারা পর্যন্ত পালটে দিয়েছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ্যাঁ, এটাকে বলছে "থান্ডারক্যাটস রি বুট!!! " এটা আর সেই থান্ডারক্যাটস নেই, ডোরেমন টাইপের হয়ে গেছে যেখানে টাইগ্রা হচ্ছে লায়োনোর ভাই আর চিতারা টাইগ্রার প্রেমিকা!! আর প্যানথ্রো হয়েছে লায়োনোর বাবার (অর্থাৎ সম্রাটের) সেনাপতি!! এখানে লায়োনো আবার টেকনোলজীর ভক্ত! সেলুকাস!!
____________________________
পান্ডবদা অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগছে। একটু দেরী হয়ে গেলো ফিরতে ফিরতে। ভুলভাল কোথায় কি হল না বলেই কেটে পড়ছেন যে বড়?
"মর্মের লালখাতা সিরিজ" এর পরামর্শটা মনে থাকবে।
থান্ডারক্যাটসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া তাহলে ভালভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আহা, এই কার্টুন’টার জন্য তখন কিরকমভাবেই না আমরা প্রতিটি শুক্রবারের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। “মামরা” নাম ধরে কাউকে ডাকলে ভয়ংকর দাঙ্গা শুরু হতো নিজেদের ভেতর, আমাদের এক বন্ধু’র নাম-ই হয়ে গেল মামরা!
কি সুন্দর একটা লেখা! আপনি নিয়মিত লিখেন-না ক্যান? খ্রাপ লুক কুথাকার
তানিম্ভাই আমি নিইয়মিতই লিখি তবে মাথার মধ্যে । আর যেই না এক প্যারা লেখা হয়, রাজ্যের চিন্তাভাবনা ঢুকে পড়ে, তখন লেখাটেখাও সব গোলমাল হয়ে যায়।
আপনি আসলে ভালু তাই সবই ভালু দেখেন। কিন্তু দেখেন লেখার মধ্যে একটা মন খারাপ ভাব ধরার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু হল কই সেটা?
কোই কোই যে ঘুরেন মিয়াঁ একা একা!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
একা ঘুরি কে বললো, সাথে প্রচুর মানুষ থাকে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
থান্ডারক্যাটস দেখিনি... কিন্তু লেখাটা বেশ লাগল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
থান্ডারক্যাটস দেখেন নি?
____________________________
না মনে হয়... এট্টু মনে করায় দ্যান... অনেকসময় এমন হয়, দেখছি... কিন্তু নাম জানিনা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই নিন - থান্ডারক্যাটসের সারাংশ
আর যদি কখনো দেখে থাকেন, তাহলে এটা দেখলেই মনে পড়ে যাবে:
থান্ডার--থান্ডার--থান্ডার--থান্ডারক্যাটস -- হো
____________________________
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এইটা একটা কাম করছেন মিয়াঁ? তাত্তাড়ি দেখেন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ক্যাটাগরিতে শুধু ব্লগরব্লগর দেখে কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। লেখা ভালো লেগেছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখাটা হঠাত পেয়ে গেলাম। তাড়াহুড়োয় যাহোক একটা ট্যাগ মেরে দিয়েছিলাম আরকি। খান কয়েক উপদেশ দিয়ে যান আশাদি ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মনে পড়ে গেল শুক্রবার বেশ কিছু অনুষ্ঠান দেখার জন্য কি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম ।
ভালো লাগলো লেখাখানি ।
জেসমিন পলাশ ।
পড়ার জন্যে আর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মাঝখানে কোথায় যেন বলেছিলাম, শুধু কমেন্ট করে 'হাচল' হওয়ার একমাত্র কৃতিত্ব সচলে 'কল্যান'ই দেখিয়েছেন। ১০-১১ সেই ঘটন-অঘটনের জমজমাট সচল আর নেই, কাজেই আপনার নিয়মিত উপস্থিতি থাকবে না- এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই আসলে।
আপনার লেখা দেখেই অবাক হলাম বরং।
তাও আবার ছোটদের কী সুন্দর একটা গল্প। অনেক অনেকগুলো স্মৃতি ছুঁয়ে গেছেন গল্পটায়, কেবল মনে হচ্ছিল স-অ-অ-অ-ব বুঝি বলে দিচ্ছেন, আর বুঝি কিছু বাকি থাকল না!
এটা মিথ্যা হোক, আরো সুন্দর গল্প আসুক- এ আশাটুকু আপনি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য এদ্দিন পরে এসে মতামত জানিয়ে গেলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
সে একটা দারুণ সময় গেছে আসলেই। লুকজন সব কাছা মেরে লেখালেখি করতেছিল। উদাস তখনো এইরকম চরম হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া সব্বাই সেইরকম ফাঁকিবাজিও করছিল। একএকটা লেখা দিয়েই সব ফুড়ুতকরে হাওয়া হয়ে যাচ্ছিলো। হিমুদাতো চন্ডীশিরা দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে সেইযে চা-চু খেতে গেলো, তারপর আর টু-শব্দ নাই। এদিকে পীরবাবা একখান থান খুলে বসল। আহা ।
আমার মোজাম্বিক জীবনের বড় একটা সময় সচলায়তন পড়ে পড়ে পার করা। তখন কাজের চাপের সাথে সাথে বেশ ফাঁক ফোঁকরও ছিল। সেই সব দিনে পড়ে পড়ে মন্তব্য করে দারুণ একটা আনন্দ পেতাম। আসলে হাচলত্বে আমার তেমন একটা কৃতিত্ব নেই। মডুরামেরা বিরক্ত হয়ে আমার মাতবরি থামাতে মনে হয় এই উপায় ঠাউরেছিল । সাধে কি আর ব্যাটারা মডু!! তবে আমার ঐ মোজাম্বিক জীবনের দুই একটা পাওয়ার মাঝে এইটা একটা জিনিস স্বীকার করি অসংকোচে। ঠিক এর পরপরেই সাউথ আফ্রিকা চলে গেলাম। লাইফ মেলা কঠিন হয়ে গেলো। সারাদিন চিনির বলদামি করি আর মনের মধ্যে খুচ-খাচ। কিন্তু পেরে উঠি কই?
এবার গল্পে আসি। গল্পই বললাম, কারণ অনেকটাই বানানো। তবে সত্যি যে কিছু নেই সেটা বললে মিথ্যে হবে। সত্যিটুকু থাকলো এইখানে মিথ্যেচাপা হয়ে। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ। আসলে নিজের সীমাবদ্ধতা জানিতো। একে ভাষার উপর দখল নেই, অজস্র বানান ভুল হয়, সময়ের টানাটানি, তার উপর জঘন্য রকম ফাঁকিবাজ!! তাই ইচ্ছা থাকলেও পেরে উঠি না। দেখাযাক কদ্দূর যেতে পারি। লালখাতার মালিককে আবারো ধন্যবাদ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আহা! সেই থান্ডারক্যাটস, সেই বাল্বে কলম গলানো পেপারওয়েট আর সেই ১০-১১ এর সচল, স্মৃতি তুমি বদনা ।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আবার সবাই মিল্যা ফাডায়ালাই লন
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গল্পটাতে আমার মতো গরিবের জীবনের বাস্তব চিত্রটা একেবারে স্পষ্ট। মনে পরে স্কুলে যাবার জন্য মাত্র একটি জামা আর একটি প্যান্ট থাকার কারণে কত ইছুই না করতে হয়েছে সে-সময়ে! যখন একটু বড় হয়ে হস্টেলে থাকা শুরু করলাম তখন তো চল ছিল "স্টাইল" করার। হোস্টেলের বন্ধুরা একত্রে মিলে একটি ইউনিফর্ম দিয়ে সপ্তা-দুসপ্তা পার করার জন্য কতোনা "স্টাইলই" না করেছি!
ভালো লাগলো, খুব ভালো লাগলো!
গৌতম হালদার
নতুন মন্তব্য করুন