বাংলাদেশ রেলওয়ে, একটি বালকের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/১২/২০১১ - ১১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৬২ সালের এক ছয় বছরের অনুসন্ধিৎসু বালকের কথা বলি। ডাক্তার বাবার ব্যাগ থেকে সবক’টা থার্মোমিটার হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে যে দেখতে চেয়েছিলো, পারদ কি জিনিস! রেডিওতে গান শুনে শুনে বাবার কাছে প্রশ্ন করে বসলো, সব গানগুলোর এই ‘তুমিটা’ কে বাবা? মাকে বান্ধবীদের কাছে গল্প করতে শুনে যে তার জন্ম হয়েছে আটমাসে আর বড়ভাইটির সাতমাসে, মাকে অপ্রস্তত করে শুধিয়ে, কোন্ দিন থেকে আটমাস গুণেছিলে মা?

অনুসন্ধিৎসু বালকের পিতার ছিল ততোধিক বরদাস্ত করার সহিষ্ণুতা । পুত্রের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতেন পরম ধৈর্যের সাথে। চলতি ট্রেনের সাথে কেনো ছুটতে থাকে দু’পাশের দৃশ্যাবলী, চাঁদটা কেনো পিছু ছাড়ে না, সিগন্যাল ডাউন হয় কিভাবে, ড্রাইভার কি করে বুঝলো একজন চেন টেনেছে, পরে আসা ট্রেনটা আগে কেনো ছাড়লো; তার জানার কৌতূহলের শেষাশেষ নেই। তখন শান্তাহার থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন রোজ সকাল দশটায় রংপুরের মহিমাগঞ্জ স্টেশনে থামতো, রাত আটটায় যাত্রীদের পৌঁছে দিতো ঢাকার ফুলবাড়িয়া স্টেশনে।

চলার পথে দু’টো ট্রেনের ক্রসিং থাকলেই প্রশ্নের মাত্রা বেড়ে যেতো বালকের। কেনো এভাবে বসে থাকতে হচ্ছে, কেনো বাসের মতো দুটো ট্রেন পাশাপাশি চলতে পারে না। বাবা বলে বোঝান, রেললাইন মাত্র একটা যে। তারপর খুব যত্ন করে আশার আলো দেখান, ওই যে দেখতে পাচ্ছো কংক্রীটের ওই খুঁটিগুলো, রেলওয়ের সম্পত্তি ওই পর্যন্ত। একদিন দুই লাইন তৈরী হবে বলে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে।

তারপর এলো ১৯৭০ এর ইলেকশান। সারা পূর্ব পাকিস্তান ব্যাপী ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ প্রশ্ন সম্বলিত একটি পোস্টার পশ্চিমাদের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিলো। বালক ততদিনে টগবগে তরুণে পরিণত হয়েছে আর জেনে গেছে কেনো এতদিনেও পাশাপাশি দু’টো রেললাইন হয়নি। রাজনীতিবিদরা তখন বলে বেড়াচ্ছিলেন সোনালি আঁশ বিক্রির টাকায় নাকি ইসলামাবাদ শহর গড়ে তোলা হয়েছে।

অতঃপর বাংলাদেশের জন্ম হলো এক রক্তাক্ত সংগ্রামের মাধ্যমে। তরুণে পরিবর্তিত বালক সকাল দশটায় রংপুরের মহিমাগঞ্জ স্টেশন থেকে রওয়ানা হয়ে, জামালপুরের কাছে নৌকা দিয়ে ভাঙ্গা সেতু পার হয়ে, ঢাকা পৌঁছালো পরদিন দুপুরে। আসতে আসতে ট্রেনে বসে আগ বাড়িয়ে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব করলো। শোনালো তার স্বপ্নের কথা। সোনালি আঁশ বিক্রির টাকা আর পশ্চিম পাকিস্তানে যাবে না। দেশের আয় দেশেই হবে ব্যয়। পাশাপাশি দু’টো রেললাইন এবার হবেই হবে। যেচে, পরম উত্তেজনাভরে বগিতে অবস্থানরত বালক-বালিকাদের ডেকে দেখালো, ওই যে দেখতে পাচ্ছো কংক্রীটের ওই খুঁটিগুলো, রেলওয়ের সম্পত্তি ওই পর্যন্ত। একদিন দুই লাইন তৈরী হবে বলে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। আর এখনতো আমদের নিজের দেশ, প্রতিটি পয়সা দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে।

তারপর চল্লিশটি বছর পার হয়ে গেছে। পাশাপাশি দু’টো রেললাইন আর হয়নি। উন্নয়নের জোয়ারে নাকি ভেসে গেছে দেশ। কিন্তু সকাল দশটায় রংপুরের মহিমাগঞ্জ স্টেশন থেকে ছেড়ে আজও রাত আটটায় ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনা ট্রেন। ব্রিটিশ রাজ ১৮৭০ সালে, নিজেদের সুবিধার জন্য হলেও, সুদূরপ্রসারী উন্নয়নের পরিকল্পনা মাথায় রেখে বসিয়েছিলো ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। পাকিস্তান সরকার না হয় করেনি অবহেলায়, আমরা কেন ব্যর্থ হলাম।

বালকের মনে স্বপ্নের সঞ্চার করেছিলেন যেই বাবা, তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন পাশাপাশি দু’টো রেললাইন না হবার খেদ বুকে নিয়ে। নিজের ছেলেকে সেই স্বপ্ন আর দেখাতে চাননা আজকের বাবা, সেদিনকার সেই অনুসন্ধিৎসু বালক। এযে বাংলাদেশ! রাজনীতিবিদরা নিজেদের নিয়ে বড়ো বেশি ব্যস্ত!!


মন্তব্য

মর্ম এর ছবি

চমৎকার একটা শুরু, পুরো লেখায় সেই শুরুর লেজ ধরে চললো রেল গাড়ি, লেখক যে স্টেশনে পাঠককে পৌঁছাতে চাইলেন, পাঠক সেখানে না নেমে যাবেন কোথায়?! লাইন তো ওখানেই শেষ!

ভাল লাগলো খুব

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আহা রেলওয়েকে যদি সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া যেতো! আমরা আমজনতা শুধু স্বপ্নই দেখতে পারি যে।

মর্মবেদনার রেলগাড়ীতে ভ্রমণ করার জন্য ধন্যবাদ নিন।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

আশালতা এর ছবি

১৯৯০ সালে একতায় করে ঢাকা এসেছিলাম। পুরো চব্বিশঘণ্টা লেগেছিল পৌঁছতে। কান মলে ঠিক করেছিলাম এই শেষ ! আর ট্রেন না। গত হপ্তায় ঠেকায় পড়ে আবার যেতে হল ট্রেনে করে। বারো ঘন্টার লেট ট্রেনে বাড়ি পৌঁছলাম একুনে একুশ ঘন্টায়। কিছুটা উন্নতি তো হয়েইছে ! কী বলেন ?!!

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

১৯৬২ সালে সময় লাগতো ১০ ঘন্টা। আপনার প্রথমে লেগেছে ২৪ ঘন্টা। পরেরবার ২১ ঘন্টা। আহা কি উন্নতি! আমরা বাংগালী অল্পে সন্তুষ্ট বলেই ঠকেই চলেছি। চিন্তিত ভাল থাকুন।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আহা! মহিমাগঞ্জ নামটা শুনলেই মনে পড়ে সেই বিখ্যাত গানটা -

"জামাই তোমার চাক্‌রী করে
মহিমাগঞ্জের শুগার মিলে
মাসে মাসে পত্র লেখে
বাড়ি আসেনা আ আ আ আ
যা'গা মা তোর জামাই বাড়ি
আমি যামু না আ আ আ আ..."

আপনি না খুব ইয়ে। আরে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার বারোটা না বাজালে প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার উন্নতি কীভাবে হবে? আর সেটা না হলে নেতা আর তার চামচাদের পকেটে দুটো টাকা আসবে কী করে?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

মার্চে ঘুরে এলাম মহিমাগঞ্জ সুগার মিল। ১৫ দিন চলে ১৫ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। জামাই যে ভাল অবস্হায় নেই, বলা বাহুল্য।

রেলের উন্নতি হলে সড়ক ব্যবস্হার উপর চাপটা নির্ঘাৎ কমে যেতো। হয়ত হ্রাসপ্রাপ্ত হতো দুর্ঘটনার হার। পৃথিবীর অনেক দেশেই রেলভ্রমণ আনন্দদায়ক। শুধু আমাদের দেশেই.....।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক কিছু মনে করায়ে দিলেন, ভাই। সেই সাথে অনেক কষ্টও। আমরা কি আসলেই এগুতে পারছি? অনেক দিক থেকে এগিয়েছি, আবার অনেকদিকে পিছিয়েছি।

আমার ধারণা আগামী ১০-১৫ বছর পরে একটা পরিবর্তন আসবে।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আমার ধারণা আগামী ১০-১৫ বছর পরে একটা পরিবর্তন আসবে।

আহা তাই যদি হতো! দেশে ফিরে যাচ্ছেন সেই ভরসায়? আপনার সার্থকতা কামনা করি।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

তারেক অণু এর ছবি

অসাধারণ লেখার ভঙ্গী। আরো লিখতে থাকুন, দুকূল উজাড় করে---

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেবার জন্য। লেখার বিষয়বস্তুর অভাব নেই। কিন্তু সেটাকে কালো এবং সাদায় পরিণত করতে অনেক সময় দিতে হয়। ইস্, কথাগুলো বললেই যদি লেখা হয়ে যেতো!

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

হেমন্তের ঘ্রাণ এর ছবি

পাশাপাশি দুটো রেললাইন হবেই হবে । আর বেশি দেরি নেই ।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

পাশাপাশি দুটো রেললাইন হবেই হবে । আর বেশি দেরি নেই ।

আঁচ পাইয়া থাকলে কন। শুইন্যা কইলজাটা একটু ঠান্ডা হোক।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

পাশাপাশি দুটো রেললাইন হবে ? প্রতি পাঁচ বছর বাদে ভোটের পর খুব আশাবাদী হই, এইবার নিশ্চয় ভাল কিছু হবে। কিছুদিন পরে মনে হয়, যেই লাউ, সেই কদু। এমনটাইতো দেখছি, অনেক বছর ধরে।
আমার ছোটবেলায় আন্তজেলা বাস সার্ভিস ছিলনা, তখন রেলগাড়িই ছিল স্থলপথে দূরযাত্রার একমাত্র বাহন।
ধন্যবাদ, রেলযাত্রার অনেক মজাদার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

সদিচ্ছা থাকলে সখের জন্য দুই লাইন করা নয়, মাল্টিবিলিয়ন ডলারের প্রফিটেবল প্রজেক্ট হয়ে উঠতে পারতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। তা করা না হলে একদিন মিউজিয়ামে স্হান হবে রেলওয়ের।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

উচ্ছলা এর ছবি
খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

পাঁচ পাঁচটা বুড়ো আংগুল একসাথে! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দিয়ে ছোট করতে চাই না।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

হাওয়াইমিঠাই এর ছবি

আমরা ষ্টেশনে বসে আছি আপনার লিখার আসায়। আরও আরও বেশি করে লিখা চাই ।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

স্টেশনে হাওয়াই মিঠাইয়ের প্রাপ্তি নিশ্চিত করা গেলে আমার মত যাত্রীর আনাগোনা বাড়বে নিশ্চিত।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

রাজনীতিবিদরা তখন বলে বেড়াচ্ছিলেন সোনালি আঁশ বিক্রির টাকায় নাকি ইসলামাবাদ শহর গড়ে তোলা হয়েছে।
আপনার এই সন্দেহের হেতু কি?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

জিজ্ঞাসু এর ছবি

সন্দেহের হেতু যাই হোক, রাজনীতিবিদদের সকল কথা শতভাগ নিঃসন্দেহ না সেটাও কিন্তু মানতে হবে। লেখার মধ্য দিয়ে ট্রেনযাত্রা কিন্তু ভালই লেগেছে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

সজল এর ছবি

"সোনালি আঁশ বিক্রির টাকায় ইসলামাবাদ শহর গড়ে তোলা হয়েছে" বলেই না ছয় দফা হয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামে জড়ালাম আমরা? এখানে অনিশ্চয়তার কিছু আছে কি? ওই আন্দোলন গুলোতো শুধু রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে হয়নি।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চাদপরতার কারণে আফশোস নিয়ে এ লেখা। এবং বিষয়বস্তুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

ট্রেনযাত্রা ভাল লেগেছে জেনে স্বস্তি পেলাম ভাই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

একসময় অন্ধভাবে বিশ্বাস করতাম, যা শুনতাম তাই। মনটাই ছিল তেমন। সেজন্যেই লিখেছি:

ট্রেনে বসে আগ বাড়িয়ে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব করলো। শোনালো তার স্বপ্নের কথা। সোনালি আঁশ বিক্রির টাকা আর পশ্চিম পাকিস্তানে যাবে না। দেশের আয় দেশেই হবে ব্যয়।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

হিমু এর ছবি

সৌদিতে রেল ব্যবস্থা কীরাম?

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

সৌদিতে রেল যোগাযোগের উপর নির্ভরশীলতা খুব সীমিত। এই কয়েকদিন আগেও একমাত্র রেললাইন ছিলো দাম্মাম থেকে রিয়াদ, পাঁচশ কিলোমিটারের পথ। মূলত: পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্রবন্দর থেকে রাজধানীতে মালামাল নিয়ে আসার জন্যে। সেইসংগে যাত্রীবাহী ট্রেনও রয়েছে। রিয়াদ থেকে যাত্রীরা পরিবার নিয়ে নিজেদের গাড়ীসহ চেপে ওঠে ট্রেনে, আরব সাগরের তীরে অবকাশ যাপন করার জন্যে।

গত বছর থেকে হজ্ব এলাকায় সয়ংক্রিয় রেল ব্যবস্হা চালু হয়েছে হাজীদের সুবিধার্থে।

সমতল মরুভূমির দেশ ভাই, চাইলে ওরা সারা দেশে রেল লাইন বসিয়ে দিতে পারতো। আশি নব্বইয়ের দশকে কোরিয়ান কোম্পানীদের দিয়ে এমন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্হা বানিয়ে নিয়েছে যে, এত কম জনসংখ্যার দেশে আপাততঃ ওটাই যথেষ্ট।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চমৎকার লিখেছেন।.. চলুক

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম বিনিময়ে।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো, ধন্যবাদ। ট্রেন যাত্রার নাম শুনলে ভয় পাই, খালি নাকি ডিলে হয়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

একসময় ট্রেন ছাড়া চলাচল ভাবাই যেতো না। এখন ট্রেন পিছিয়ে পড়েছে, শুধু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ পড়েছেন বলে।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অজানা পথিক এর ছবি

চমৎকার! বালকের ছেলেবেলার গল্প শুনতে শুনতে ভালো লেগেছে।
আমরা নতুন কে গ্রহণ করতে শিখি নাই, তাই আমাদের কিছুই হয় না,
আমার মনে হয়। আশা করি, আমরাও সেই এক লাইন দেখেই বিদায় নিতে পারবো।
শুভেচ্ছা। সতত মঙ্গলকামনায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।