বাবার শোবার ঘরে

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/০৬/২০১৩ - ৮:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিনের বেলা বাবা অফিস থেকে ফিরে, মধ্যাহ্নভোজন সেরে শেষ দুপুরে একটু ঘুমুতেন। ওই সময়টা ওনার শোবার ঘরে আমাদের যাওয়া ছিলো বারণ। একেবারে কারফিউ জারি থাকতো সেসময়টা।

বাবার দোষটাই দেই কি করে! আমাদের ভাই বোনদের সেই সময়টাতেই যেনো সমস্ত কাজ পড়ে যেতো ওই ঘরে যাবার! আর যতই সন্তর্পণে যেতাম, হাত পা যেনো কথাই শুনতে চাইতো না! কিংবা যেনো অন্য কারো হাত পা নিয়ে ঢুকতাম, যা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকতো না! দরজার পাল্লাটাকে যেখানে নিঃশব্দে খোলার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে, দেখা গেলো ‘ইয়াও’ করে শব্দ করে উঠলো। ড্রয়ারগুলো যেনো তখনই তাদের মসৃণতা হারিয়ে ফেলতো এবং খুলতে, বন্ধ করতে একটুতেই গান গেয়ে উঠতো! কোনও একট পা হটাত যেন একটু লম্বা হয়ে যেতো আর নিজের অজান্তে আশে পাশের স্যান্ডেল জুতা একটা কিছু পেলে সরসর শব্দ করে পাঠিয়ে দিতো খাটের নীচে।

তারপর যা হবার তাই।‘কে রে ওখানে’ হেঁকে উঠতেন বাবা। যা কারফিউতে গোলাগুলি চলার মত ভীতির সঞ্চার করতো আমাদের মনে।

বাবার শোবার ঘর নিয়ে আরেকটা কারণে আমার মনের অন্তঃস্থলে একটা সুতীব্র আকর্ষণ ছিল। সেটা সৃষ্টি হয়েছিলো অপেক্ষাকৃত কম বয়সে সেই ঘরে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলায়। আমার ১৮ মাস বয়সে ছোট ভাইটি যোগ দিলো আমাদের পরিবারে। এর আগে বিছানায় অবস্থান ছিল বড় ভাইয়ের, মা-বাবার আর আমার। পাঁচজনের স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বড় ভাইকে সরিয়ে দেয়া হল পাশের রুমে। তার একা থাকাটা ভালো দেখায়না বিধায় কপাল পুড়লো আমারও। একটা অব্যক্ত কষ্ট রয়ে গেলো মনে।

হটাত একদিন বাবা মা’র ছুটাছুটিতে বুঝলাম, আমার নাকি জবরদস্ত জ্বর হয়েছে। সেই সূত্রে ঠাঁই হোল বাবার শোবার ঘরে। সে কি আদর, বাবার এবং মা’র। ভেবেছিলাম এভাবেই কেটে যাবে দিন। একদিন ঘুম ভেঙ্গে দেখি বড় ভাইয়ের সাথে শুয়ে। শুনলাম ভাল হয়ে গেছি। সেই থেকে জ্বর হওয়া আমার জন্য ছিলো একটা অতীব আকর্ষণীয় ব্যাপার।

রাগী বাবা থাকলে একটা বড়ো ফায়দা অর্জন হয়। ধরাকে সরা জ্ঞান করার আস্থা প্রাপ্তি ঘটে। বাবার আশ্রয়ে নিজেদেরকে খুব নিরাপদ বোধ করতাম আমরা সবসময়য়। একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাবতেই পারিনি বাবা আমাদের কোন ক্ষতি বরদাশত করবেন। সেই জন্য নিঃশঙ্কায় কেটে গেছে দিন। অথচ ভাবলে এখনও গা শিওরে উঠে, কিভাবে মরতে মরতে কয়েকবার বেঁচে গেছি আমরা, নিশ্চিত পিতৃহীন হবার সম্ভাবনা থেকে সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহে ফিরে পেয়েছি আমাদের বাবাকে।

বয়স বাড়তে থাকলো আমাদের আর অবাক বিস্ময়ে দেখতে লাগলাম, আমাদের কারফিউদাতা বাবা কিভাবে আমাদের বন্ধু হয়ে যেতে লাগলেন। বয়ঃসন্ধিকালে দোকানে নিয়ে কিনে দিলেন আন্ডারওয়ার, লুকিয়ে ভ্রাতৃত্রয়কে তাস খেলতে দেখে একদিন ড্রয়িংরুমে ডেকে নিজে খেলায় যোগ দিলেন আর মা’কে বললেন সবাইকে চা পরিবেশন করতে। সেই দিন থেকে তাস খেলা আমাদের ঘরে আর নিষিদ্ধ রইলো না আর আমরাও বিনিময়ে জীবনে এই খেলার অপব্যবহার করার কথা ভাবতেই পারিনি।

অতঃপর LPR এ গেলেন বাবা। সদা প্রাণচঞ্চল বাবা রাতারাতি যেন বুড়ো হয়ে গেলেন। জানতাম বাবার হাই ব্লাড প্রেশার রয়েছে। কিন্তু কোনোদিন তাঁকে শঙ্কিত দেখিনি। কোনদিন শয্যাশায়ী থাকেননি। দেখিনি আমাদেরকে শঙ্কায় ফেলতে। সেই বাবা অবসরে যেতে না যেতেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেন। আমাদেরকে কোন প্রস্তুতির সুযোগ না নিয়ে ছেড়ে গেলেন এই দুনিয়া।

তিন দেশ থেকে পড়িমরি ছুটে এলাম মানসিকভাবে বিধ্বস্ত আমরা তিন ভাই। বারডেমের হিমঘর থেকে গ্রহণ করলাম বাবার মরদেহ। পায়ের দিকে ধরার সৌভাগ্য হোল আমার। মনে মনে বললাম, বাবা মাফ করে দিও, তোমার সামনে থাকতে পারিনি। হয়তো ছেলেদের সামনে দেখলে নিজের দায়িত্বের কথা স্মরণ করে আরো কিছু দিন বেঁচে থাকার আগ্রহবোধ করতে।

তোমার কাছে মাফ নেয়া হলোনা বাবা, ছোট থাকতে তোমার ড্রয়ার থেকে সিকি এবং আধূলিগুলো আমিই সরাতাম বাবা, যাতে আমার মাটির ব্যাংকটা, অন্য সবার আগে ভরে ওঠে। তুমি নিশ্চয়ই সব বুঝতে বাবা ব্যাংকটা অতো তাড়াতাড়ি ভারী হয়ে যেতে দেখে কিন্তু আমাকে বুঝতে দাওনি তা। হ্যাঁ বাবা, খাবার ঘরের মিটসেফটা ধরে আমি ঝুলে পড়েছিলাম বলেই ওটা পড়ে গিয়েছিলো আর সংসারের সব কাঁচের জিনিস চুরমার হয়ে গিয়েছিলো। মারবে ভয়ে সেদিন সত্য কথাটা বলতে পারিনি বাবা আর তুমিও কিচ্ছু বলনি আমাকে। মা’কে বলতে শুনেছি মিটসেফটা যে আমার গায়ের উপর পড়েনি সেজন্যে তুমি খুব সন্তুষ্ট ছিলে এবং কৃতজ্ঞতার নামাজও পড়েছিলে। কিন্তু আমার যে সত্য কথাটা বলা হলোনা বাবা!

গ্রামের বাড়িতে আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে বাবাকে সমাহিত করার ব্যবস্থা হলো। আমার এক জেঠাতো ভাই, কোরানে হাফেজ, মসজিদে ইমামতি করেন, বললাম ভাই, ওনাকে কবরে নামানোর কাজটায় আপনি নেতৃত্ব দিবেন কিন্তু। মনে মনে ভাবলাম কাজটা ভালভাবে সম্পন্ন হবে তাহলে। উনি বোধহয় দায়িত্ব থেকে রেহাই চাইলেন শরীর ভালো না থাকার কারণে।

আমার গায়ে তখন যেন জ্বর। ঠিক যেন বাবার ঘরে শোবার সুযোগ প্রাপ্তির জ্বর। একলাফে নেমে গেলাম খোঁড়া কবরের গভীরে। ভাইয়েরাও নেমে এলো সাথে সাথে। যত্নের সাথে বাবাকে নামিয়ে শুইয়ে দিলাম তাঁর নতুন ঘরে। কি শান্তি! বাবার ঘরে একসঙ্গে আমরা ভ্রাতৃত্রয়। বাবা শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছেন। উচ্চ রক্তচাপ তাঁকে আর ছুঁতে পারছে না একটুও। উপর থেকে তাড়া আসছে ফিরে যাবার। মন চাইছে আরেকটু থাকি, অনেকক্ষণ থাকি। মনে মনে বাবাকে বললাম, বাবা তোমার ঘরে এসেছি আমরা, তোমার ঘুমের ব্যাঘাত করছি, একটু কষে বকে দাওনা বাবা!


মন্তব্য

রণদীপম বসু এর ছবি

কী বলবো ভাই ! পুরনো কষ্টটা জাগিয়ে দিলেন !
আসলে কিছু কিছু কষ্ট এমনই হয়, কোন এক উছিলা পেলেই জেগে উঠে। এই বেয়াড়া কষ্টগুলোকে নিয়েই যতো ঝামেলা, যখন বকে দেবার জন্যেও কেউ থাকে না !

জীবন তো একমুখী রাস্তাই, থামারও জো নেই, এক অনির্ধারিত কিন্তু অনিবার্য গন্তব্যের দিকে ধেয়ে চলা। ভালো থাকুন সবসময়, সবাইকে নিয়ে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

ঠিক বলেছেন ভাই। তারপরও এই বেয়াড়া কষ্টগুলোই আমাদের পরিচিতি। যেগুলো মাইনাস করলে শূণ্য মনে হয় জীবনের খাতা।

আপনিও অনেক অনেক ভাল থাকুন সবসময়।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অজানা পথিক এর ছবি

স্মৃতিচারুণ পড়তে আমার সব সময় ভালো লাগে। জানি না কেনও? শুরুতে খুব মজা পাচ্ছিলাম পড়তে, শেষ দিকে এসে মন ভার হয়ে গেলো। আমরাও মোটামুটি দুষ্টামি করেছিলাম কিন্তু আমাদের সুযোগ কম ছিলও। বাবার চাকরির সুবাদে আর আমাদের পড়াশুনার জন্য একেক জন একেক জায়গায় থাকতে হয়েছিলও। তবে, ছোট বেলায় বেশি ভয় পেতাম মাকে। যদিও এখন মা-বাবা কাউকেই খুব ভয় পাই না কিন্তু বড় ভাইয়াকে একটু ভয় পাই। শিরোনাম দেখেই যেটা মনে পড়লো, হঠাৎ করে বাবাকে নিয়ে কেনও লিখলেন? বাবার মৃত্যুবার্ষিকী নাকি এমনি বাবাকে মনে পড়লো? বাবার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

বাবা মা'দের নিয়ে ভাবতে কি আর মৃত্যুবার্ষিকী লাগে? যখন একটু অসহায় লাগে, তখনই যে তাঁদের কথা মনে পড়ে। তাঁদের উপর নির্ভরশীল থাকার অনেক অনেকদিনের অভ্যাস কিনা!

লেখার ভাবনা ও শিরোনামটা গতবছরের। পরে সেটা লাইনচ্যুত হয়ে "বাবার চিঠি" হিসেবে শেষ হয়। এবার সেটা সম্পূর্ণ করলাম।

অনেক শুভকামনা অজানা পথিককে।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ভালো লেখা লোকজন ডেকে পড়ে শোনাতে ভালবাসি। কিন্তু কিছু কিছু বিরল লেখায় সেটা সম্ভব হয়না। শুনিয়ে পড়বার সময়ের প্রয়োজনীয় নির্লিপ্তি পেতে দেয়না সেই সব লেখা, গলা ভেঙ্গে যায়, চোখ ভিজে যায় - ধুস, ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না!
আরো এই রকম লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
গুরু গুরু
- একলহমা

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

দুঃখিত, লোকজন ডেকে পড়ে শোনাতে পারেননি বলে। দুঃখিত, গলা ভেঙ্গে যায়, চোখ ভিজে যায় মত 'ভাল্লাগে না' দেয়ায়।

তদুপরি এই রকম লেখার অপেক্ষায় থাকবেন জেনে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি একলহমা আপনাকে।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

m. sadek এর ছবি

ঠিক চার মাস আগে আপনার মতোই দুই ভাই আর বোনের জামাই মিলে পূর্ব পুরুষের বাড়ির মাটিতে নতুন সেই ঘরে বাবাকে শুইয়ে রেখে এসেছি; রুটিন মাফিক চলেও এসেছি বারো হাজার মাইল দুরে, আবার কবে যাবো জানি না।। এখনো বিশ্বাস হয় না বাবা নেই; সাথে সেই একই স্বার্থপর চিন্তা, দেশে আমার স্বার্থ দেখবে কে? বাবা বেচে থাকতে যা একবারো ভাবিনি.......................................কতো স্বার্থপর আমরা সন্তানরা হতে পারি?

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

কতো স্বার্থপর আমরা সন্তানরা হতে পারি?

পূর্ণ সহমত আপনার সাথে। একটি সংসারের হৃদপিণ্ড অবশ্যই মা, কিন্তু ভিত্তি গড়ার এবং রক্ষার কাজ বাবাই করেন। যেটা হতভাগ্য সন্তানরা বুঝি, বাবাকে হারিয়ে ফেলার পর।

ভালো থাকুন। আপনার বাবাকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু কিছু লেখা থাকে মন খারাপ করার মত আপনার আজকের লেখাটা তেমনি। সব স্মৃতিরা যেন হুড়মুড় করে মনে আসছে, আরও চাই এমন মন খারাপ করানো লেখা।
ইসরাত

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

সব বাবারা একই গুণবিশিষ্ট হন। তাই আমার লেখা আপনার মন খারাপ করে দেয় ইসরাত। বাবাকে নিয়ে আপনার স্মৃতিগুলো সারাজীবন অম্লান থাক, এই প্রার্থনা করি।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

সৃষ্টিছাড়া  এর ছবি

চোখে পানি চলে এলো আপনার লেখাটা পড়ে।শান্তিতে থাকুন আপনার বাবা শোবার ঘরে।অনেক শ্রদ্ধা ও দোয়া বাবার জন্য!

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

লিখতে বসে চোখের পানি সংবরণ করতে পারিনি কয়েকবার। আমার অনুভূতি আপনাকে স্পর্শ করেছে জেনে অভিভূত হলাম সৃষ্টিছাড়া ভাই। আপনার দোয়ার সুফল যেন আমার এবং সবার জান্নাতবাসী বাবারা লাভ করেন সেই প্রার্থনা করি।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চোখ ভিজে ওঠার মত লেখা---

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ জানাই প্রোফেসর হিজিবিজবিজ আপনাকে।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

নজমুল আলবাব এর ছবি

মনে হলো আমারই কথা

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

সব বাবারা সন্তানদের স্নেহ করেন এবং সময় সময় রাগও প্রকাশ করেন। আর সব সন্তানরা বাবার স্নেহ অংশ টুকু উপলব্দধি করে অনেকটা দেরীতে। হয়ত সেজন্যেই আমি আপনার কথাও বলতে পেরেছি।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সমস্যা কী? সবাই বাবাকে নিয়ে এভাবে লিখছে কেন?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

বাবাকে নিয়ে লেখার বিষয়টি ততদিন চলতে থাকবে যতদিন এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে বাবারা তাঁর সন্তানদের স্নেহ, মায়া এবং শাসনের বেড়াজালে বেঁধে রাখবেন। ভালো থাকুন ভাই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

অতিথি (রাত-প্রহরী) এর ছবি

অনেক ভালো লেখা। চোখ ভিজিয়ে দিলেন ভাই। আমিও 'একলহমা'-র মতো সবাইকে ডেকে লেখা পড়ে শোনাই। তবে চোখে জল এলে আমি থামিনা, কাঁদতে কাঁদতে পড়ে ফেলি। অনুভূতি যদি শেয়ার না হবে তো শুনিয়ে লাভ কি?
বাবা, বাবা, বাবা ----------------------
বাবাকে হারিয়ে ফেললে আমিতো এতিম হয়ে যাবো। কারণ, আমার মা আগেই চলে গেছেন।

-কামরুজ্জামান পলাশ

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

সবার আগে আল্লাহর কাছে এই ভিক্ষা চাই যে তিনি যেন আপনার বাবাকে অনেক অনেক দীর্ঘজীবি করেন।

বাবাকে অনেক অনেক ডাকুন, শুধু প্রয়োজনের কারণে ডাকা নয়, ডেকে শান্তি লাভ করার জন্য ডাকুন। বাবা, বাবা, বাবা।

আমার বাবাকে একবারও প্রয়োজনের বাইরে ডাকিনি। কখনও অভিমান করে কয়েকদিন ডাকিনি। দিনের পর দিন পার হু হা করে পার করেছি। আজ বাবা, বাবা, বাবা করে প্রাণ খুলে ডাকতে চাইলেও যিনি শুনবার, বুকে টেনে নেবার, তিনি তো নেই।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।