মাথা ইদানীং ফাঁকা, অফিসের কাজের চাপে হিমশিম খাইতাসি, তাই আবজাব, জানা জানা সব গল্প মিনি মহাভারত কইরা সবাইরে এট্টু ডিস্টাপ দিলাম...
এক পিচ্চি পোলা, ক্লাস ফোরে কি ফাইভে পড়ে কিন্তু হেভী মুখ খারাপ । একদিন ওর বাপে দেখে অয় একটা খেলনা বাস নিয়া খেলতেসে আর বলতেসে, 'ওই কোন কোন হাউয়ার পোলা চুতমারানীর পোলা গুলিস্থান যাবি শিগ্গির বাসে উঠ ! বাস এহনই ছাড়ব ! কিরে হাউয়ার পোলারা, উঠস না ? শিগ্গির উঠ !' কাহিনী দেইখা তো বাপের মাথার বাটি আউলাইয়া গেল ! এট্টুক পোলার এই অবস্থা ! বাপে আইয়া কইল 'অই ! দে তোর বাস, আর খেলন লাগব না ! কত্ত বড় সাহস ! এট্টুক বয়সে মুখ কত খারাপ করতাসে !' কইয়াই দিল পিঠের উপর দ্রিম দ্রিম দুইটা । পোলায় তো চিল্লাইয়া 'মা-আ-রে ! মা-আ-আ-রে !' কইরা ওর মারে রান্নাঘর থিকা দৌড়াইয়া আনাইল । মায় তো আইসা বাপেরে বকে মারসে কেন, বাপে কয় 'হ মারব না, দেখ তোমার পোলার মুখ কত খারাপ , কিসব বইলা খেলতাসিল' । মা চুমা দিয়া পোলারে এক্কেরে কান্ধে উঠাইয়া দিয়া কইল 'হ আর তোমরা তো সব ধোঁয়া তুলসীপাতা আসিলা !' বাপে তো আরো চেতল, করল কি, অর খেলনা বাস টা লইয়া ফ্রীজের উপরে উঠাইয়া রাখল, কইল 'এই খেলনা যদি আর পাইসস .. দেহিস !' মায় তহন গেসেগা । পোলা তো দেহে সিচুয়েশন খারাপ, মারে ছাইড়া দিয়া বাপেরে ধরল কানতে কানতে .. 'বাবা মাফ কইরা দাও, আর খারাপ কথা কমু না, মাফ কইরা দাও, গাড়িডা পাইড়া দাও' । এমনে অনেকক্ষন ঘ্যানর ঘ্যানর করনের পরে একসময় বাপের মন গলল । বাপে গজগজ করতে করতে খেলনা নামায়া দিয়া কইল, 'আবার যদি দেহি তোরে মুখ খারাপ করসস, বাইরাইয়া সিধা বানায়ালামু !' কইয়া বারান্দায় গিয়া পেপার নিয়া বইল । পোলা তখন খেলনা পাইয়া খুশি, মনের আনন্দে আবার খেলা শুরু কইরা দিল । বাপে তহন খেলার পাতা পড়তাসিল, হঠাৎ পোলারে কইতে হুনে,
'ওই কোন কোন হাউয়ার পোলা চুতমারানীর পোলারা বাসে উঠবি শিগ্গির উঠ ! ... এমনেই মালিকপক্ষের এক হাউয়ার পোলার লেইগ্গা অনেক লেট হইয়া গেসে ...'
মন্তব্য
খুব ভালো লাগলো... মুড ভালো হল...
- খুব আ-নন্দিত হইলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই কৌতুকটা আমি শুনেছিলাম হিন্দীতে। এক ভারতীয় শিখের কাছে থেকে। তখন শুনে খুব মজা পেয়েছিলাম। এখন মজা লাগল না।
লেখার স্টাইলটা পছন্দ হয়নি। এই কৌতুকটা পড়তে গিয়ে খানিকটা আপত্তিকর ঠেকেছে। এমন না যে আমি গালি দেই না। বরং আমি গালিতে পি.এইচ.ডি পাওয়ার যোগ্য। তারপরও আমার ভাল লাগেনি।
অসম্ভব কুৎসিত গালাগালিও মিষ্টি করে লেখা সম্ভব। বিশ্বাস না হলে স্বাধীন মিত্রের "বড়মণিদের কৌতুক" শাহবাগ থেকে সংগ্রহ করে পড়ে দেখতে পারেন।
- স্বাধীন বাবুর নামে নানা কথা প্রচলিত আছে বাতাসে। তিনি নাকি প্রায় সবসময়ই ভয়ানক শুদ্ধ বাংলায় কথা বলেন। এই যেমন, তিনি "গরম গু" ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করতে পারেন ইত্যাদি।
বাবু শাহবাগে আছেন জেনে প্রীত হলাম। এইখানে সচলে উনাকে পেলে তাঁহার পোঙ্গা মেরে লাল করে দিতাম। কারণ কেউ জিজ্ঞেস করবেন না, তাহা আমি নিজেও জানি না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসলে কিছু বুইঝা লেখি নাই, ভাল বা খারাপ লাগনের লেইগা না, এমনি লেখসি, আজিরা টাইম পাস । আপনার আপত্তিকর লাগছে শুইনা আমারও খারাপ লাগল, দুঃখিত
তবে "বড়মণিদের কৌতুক" বইটা পড়তে হইব, অনেক নাম শুনছি ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মজার....!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বড়মনিদের কৌতুকের বইটা কি দ্রোহী ভাইয়ের কাছ থেকে ধার পেতে পারি?? মাইরি বলছি...পড়েই দিয়ে দিব।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
স্বাধীন মিত্র আশেপাশে থাকতে আমার কাছে বই চাওয়ার প্রয়োজন কি?
আমি কাউকে বই ধার দিই না। আমার কাছে বই চাওয়া আর বউ চাওয়া সমান অর্থ বহন করে।
বাহ, বেশ বেশ। আপনার শালিকে ঋণ করে পাঠ করে দেখবার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করবো কি না ভাবছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
গল্প ভাল লাগছে!!
উপরি পাওনা হিসেবে "বড়মণিদের কৌতুক" নামক এক জ্ঞান গর্ভ বই এর নাম শিখে গেলাম!!
এখন কিছু প্রশ্নঃ
আচ্ছা এই বই শাহবাগের ঠিক কৈ পাওয়া যায়?
আজিজ মার্কেটে নাকি??
অই খানে গিয়া কি জিগামু?
"ভাই আপনার কাছে বড়মনি দের কৌতুক বইটা আচ্ছে?" এইটা জিগায়া মাইর খাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কি? এমনিতেই আজিজ মার্কেটে যেই সব আতেল দের ভীড়!! ওরা কি এই বই রাখে??
---
স্পর্শ
বুঝলাম না joke টা, বাচ্চাটা বুঝতে পারেনি যে ঐ শব্দগুলি খারাপ শব্দ তাই কি?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বুঝাইয়া দিতে হইলে তো কমেডি ট্র্যাজেডি হয়া যায়, আম্মু...
হহহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাআহ, পেট টাত ব্যাথা হয়া গেল
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
বুঝেছে ঠিকই, কিন্তু গালি তার দেয়াই চাই। শেষ লাইনে ধাধাটা।
মালিকপক্ষ হলো তার বাবা।
এত কম বোঝেন কেন?
হা হা।
আহা, আমাদের আরেক ব্লগার 'লাল মিয়া'র কথা মনে পড়ে গেলো। অনেকদিন দেখি না উনাকে। উনিও এরকম (তবে আরো ছোট সাইজের) জিনিস ছাড়তেন। সব আজ্ঞুন ছিল।
লালুয় খুব সংক্ষেপে এই গল্প একবার পুস্টাইসিলো। দুই বা তিন বাক্যে, তাতেই হাসতে হাসতে উল্টানোর যোগাড় হইসিলো।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
জোকটা শুনেছিলাম বছর দুয়েক আগে ধানমন্ডিতে এক আড্ডায়, আমার বন্ধু ইমরানের কাছে।
ইমরান এখন বিলেতে, কৌতুকটা শুনে ওর কথা মনে পড়লো।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হা হা হা
জোকটা পড়ে মজা পাইলাম।
-নিরিবিলি
joke টা আরো ভালো ভষায় লেখা যেত, তবে মজা পাইছি
একেবারে পারফেক্ত হইসে। যত র তত ম ..
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
নতুন মন্তব্য করুন