পুলিশ অফিসার ওয়াসিফ জিপ চালিয়ে আসছেন শান্তিনগর থেকে । বাম হাতে কপালের ঘাম মুছলেন একবার । এই মালিবাগ মোড় ... ঘ্যা এ এ করে লেফট টার্ন, টার্নের চোটে পাশে বসা কনস্টেবল একশিয়াল রাস্তায় পড়ল উপতা হয়ে ! পড়ল তো একদম এক ছিনতাইকারী পিটানোর মাঝখানে (এই শট ভিন্ন, পরে দেখানো হবে) । কিন্তু ওয়াসিফের ওইদিকে তাকানোর সময় নেই ! নেই ! নেই !! সামনেই মালিবাগ রেইল ক্রসিং .. ডাকু হিমু চড়ে আছে ট্রেনে । ব্যাটাকে আজ ধরতেই হবে .. ধরতেই হবে ।
দৃশ্যপট ট্রেন । সঙ্গোপাঙ্গো সহ হিমু বসে প্রাণ ম্যাঙ্গো বার খাচ্ছে ( দিস সীন ইস ব্রট টু ইউ বাই প্রাণ)। শেষ কামড়টা দিয়েই ম্যাঙ্গো বারের খোসার লেখাটা পড়তে লাগল হিমু .. "থাকলে সাথে ম্যাঙ্গো বার, সঙ্গীর আর .."
- "ওস্তাদ ! ফারুইক্কা আইসা পড়সে ! ওই দেহেন সব কিছু ভাইঙ্গা আইতাসে জিপ লইয়া !"
হিমু তাকাল খেকশিয়ালের দিকে ... ঘুরে তাকাল জানালা দিয়ে ... টেনে টেনে হাসল "হে .. হে .. হে.. কাকা তো দেহি পুরা হিরু" থেমে বলল,
"খেউক্কা ! হারিকেন রাখ ! রাইফেল ল, সবাই ! "
এইদিকে ওয়াসিফ তখন জিপের হ্যান্ডেল ছেড়ে দিয়েছেন, দুই হাতে দুই পিস্তল ! সিগন্যাল পড়ে গেছে .. লাফ দিবেন ! হিমু বসে আছে, অপেক্ষা করছে যেন .. ।
ভয়াবহ সীন ! ওয়াসিফ ইয়ালী করে লাফ দিলেন গুলি করতে করতে, প্রথম গুলিতেই নৃত্যরত ধুগোর এক শালী টুস হয়ে গেল , ধুগো এই দেখে রাগে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে গোলাগুলি, সঙ্গে বলাই, সন্ন্যাসী সব হাউকাউ লাগাইয়া দিল । হিমু রহস্যময় হাসি দিয়ে ইঞ্জিনরুমের দিকে ছুটল । ওয়াসিফ তখন গোলাগুলিতে ব্যাস্ত টিস টিস গুলির শব্দে কান পাতা দায় । লীলেন দা কাট কইতে গেছিলেন, যেভাবে শট চাইছিলেন ওভাবে বোধ হয় হয় নাই, কিন্তু নজরুল ভাই থামায়া দিলেন, শোনা গেল "ধুর মিয়া রাখেন না ! দেখেন না কেমন জমসে !"
ওইদিকে খ্যাকা কি করবে বুঝে না, দেখে পাশে দিয়া বস্তি বাজার সব উল্টাইয়া পালটাইয়া হাবিলদার বলাই, একশিয়াল ( চোখেমুখে গণধোলাইয়ের ছাপ), সবজান্তা, মৃদুল, কীর্তিনাশা সব আইতাসে গুলি করতে করতে । খ্যাকা দৌড় দিল দেখে হিমু ইঞ্জিনের বগি আলাদা করতাছে হুক সরাইয়া ।
"ওস্তাদ আমারে নিয়া যান .. ওস্তাদ আমারে সঙ্গে নেন .. !!"
হিমু দাঁত কেলাইল, পকেটে হাত দিয়া আরেকটা ম্যাঙ্গো বার হাতে নিল, বলল "থাকলে সাথে ম্যাঙ্গো বার .." খোসা ছাড়িয়ে এক কামড় ..
" সঙ্গীর আর কি দরকার ?"
খেকশিয়ালের তব্ধা খাওয়া চেহারায় ক্যামেরা আসল আর তখনি পিছন থেকে অফিসার ওয়াসিফের গুলি, তব্ধা খাওয়া চেহারার কপাল দিয়ে ফুটা সহকারে সেই গুলির নির্গমন ।
"তোরে ন ছাড়িম হিম্মা ! ন ছাড়িম !! " ওয়াসিফের চিৎকার শোনা গেল ..
এইদিকে হিমু ট্রেনের বগি আলাদা করে ঠা ঠা করতেছে দাঁতে দাঁত ঘইসা .. আর কইতেছে "হ্যাপী বাড্ডে ফারুইক্কা .. ভালা থাকিস " ...
মন্তব্য
হাহাহাহাহাহাহাহাহা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বেশী ভেটকাইয়েন না, এর পরের সীনে নাকি আপ্নে টা টা হইবেন, পরিচালকেরা তাই কইল
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পাচ তারার বেশী থাকলে তাই দিতাম। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি, অফিসে মুখ খুলে জোরে হাসতে পারলাম না কিন্তু সেইরকম হয়েছে খ্যাকাদা।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হিহি ধন্যবাদ
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এই কাহিনী দিয়া একটা রামসাইজ পুঁথি বানানো যাইতে পারে। তয় খেলশিয়ালরে কোনোমতেই গুলি খাওয়ানো যাইবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কুছ পরোয়া নেই, আই উইল বি ব্যাক !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কামডা করসে কি!! হা হা হা।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হ্যাপী বাড্ডে ফারুইক্কা
(ধন্যবাদ "..শিয়াল" দা')
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
এইডা কী অইলো !
না অইলো সিনেমা, না অইলো নাটক !
পরিচালক কেডায় আছিলো ? হেরে বাদ দেন। আবার নতুন কইরা শুরু করেন। নায়কের লগে নায়িকা নাই, ভিলেন বেডায় দাঁত ফোকলাইয়া হাসে, সাইড নায়িকা যাও একটা আছিলো হেইডারে সিনের পয়লাই ঠুশ কইরা মাইরা ফালাইছে ! প্রযোজকের টেহা বলদের পাছা দিয়া বাইরয়নি এ্যাঁ ?
হা হা হা ! জম্পেশ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আরে দাদো, এইতা তো খালি একটা সীন আছিল
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
চামে নিজে স্যক্রিফাইসিং ক্যারেক্টার বাইছা নিছে... পুরা জাতে মাতাল তালে ঠিক...
কিন্তু ধূগোর উপরে ক্ষেপলেন ক্যান? সে আপনের কি ক্ষেতিটা করছিলো? যে তার শালীটারে আপনে পয়লাতেই মাইরা ফেললেন?
ঠিকাছে... সিক্যুয়াল যখন হইবো তখন তাইলে ধূগোর জন্য নতুন একটা নায়িকা আনতে হবে... আপনে তো মইরাই গেছেন। স্যক্রিফাইস।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, জাতে মাতাল তালে ঠিক যখন কইলেন তাইলে আবার একটু খ্য্যাল কইরা দেখেন আমি কিন্তু পুরা স্যক্রিফাইসড হই নাই হে হে হে !! কেউ কোন মুভিতে চান্স দেয় না দেইখা নিজেই দুইটা পার্ট করসি (এই মুভির প্রস্তাবনা পোস্টে কইসিলাম আগেই), ডবল রোল, এক শিয়াল আর খেকশিয়াল, আর একশিয়াল এখনো জীবিত
ধুগোরটা নো প্রবলেম, আরেকটা আনান, য়ামি একটু খালি হাল ছেড়ো বন্ধু টাইপ গান গাইয়া উনার মনে শক্তি দিতে এইটা করছি, মানে একটা গেছে তো কি হইছে আরেকটা আইবো, ( হে যেম্নে শালীর লেইগা কান্তে লাগছে ইদানিং তাই ... )
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ওরে...
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাহাহাহাহা
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
নতুন মন্তব্য করুন