ডিগলা
আমার খুব গুড়াকালের কিছু কাহিনী আমার এখনো মনে আছে । তখন আমি বলতে গেলে গুড়াই, আমার দিদি ফোর কি ফাইভে পড়ত । আমারে কোলে কোলে নিয়া ঘুরত । ঘরে থাকা অবস্থায় তেমন কোলে না চড়লেও বাড়ির বাইরে গেলেই আমি দিদির কোলে আরোহন কইরা বসতাম । দিদির শখ ছিল নানা রকম ভিউ কার্ড জমানোর, আর ছোট ছোট বাটির আচার খাওয়া । আচার খাওয়ার পরে সেই বাটিও জমানো হইত এবং তাতে আমারও বেশ উৎসাহ আছিল । তো একদিন বাড়ির পাশের দোকানেই আচার কিনতে যাওয়া হবে । দিদি আমাকে কোলে নিয়া প্রস্তুত, মনে পরে কেন জানি সে ওইদিন আমারে নিয়া যাইতে অত আগ্রহী ছিল না । তবু আমিতো যামুই তাই ঘ্যান ঘ্যান কইরা কোলেও চাইপা বসছিলাম । দিদি আর কোলে চড়া আমি রাস্তায় নামছি, দূরেই দোকান, কিন্তু আমার আর তর সইতাছিল না । আমি খালি কোলে বইসাই হাটু দিয়া দিদির পেটে গুতা দিতেছিলাম, মানে 'যাও না কেন্, চল চল !' দিদির ভাষায় এই গুতার নাম ছিল ডিগলা । তো এরকম তিন চাইরটা ডিগলার পরে বেচারী দিদি একসময় তাল সামলাইতে না পাইরা পইড়া যায় রাস্তায় আমারে নিয়াই । আমি অত ব্যাথা না পাইলেও দিদি পাইছিল আমারে বাচাইতে গিয়া-ই, কিন্তু কানছিলাম আমিই বেশী ( স্বাভাবিক ) ।
বেড়ানো
তখন মোটামুটি বড়, ওয়ান টু তে পড়তে পারি । দাদা মানে বড় ভাই কই জানি যাবে বাইরে, আমাকে আশ্বাস দিয়া রাখছিল যে আমারেও নিবে । কিসের কি ! আমি রেডি হইয়া দেখি সে চিউ চিউ কইরা পলাইতেসে আমারে রাইখাই । আমার মেজাজ হেভি খারাপ হইছিল আমার মনে আছে , দৌড়াইয়া গিয়া ধরছিলাম দাদার ঠ্যাং ! আমারেও নিতে হবে । দাদাতো বুঝায় আজকে না কালকে, আমি তো ছাড়ি না । এরপর দাদা বকাবকি শুরু করল, আমারে নেবেই না, হেনতেন । আমি বুঝতে পারছিলাম যে সে আমারে নিবে না, দুঃখে জিদে দিলাম কাইন্দা আর তার পায়ের উপরই কইরা দিলাম হিশু ! এক্কেরে তার প্যান্ট-জুতা-টুতা সহ ! যা ! আমি যখন যাইতে পারুমই না তোরও অসুবিধা কইরা দিলাম !
মন্তব্য
পুরা গুড়াকৃমি!
আমারো কিঞ্চিত একটা কাহিনী মনে পড়ে গেল... ছোটবেলায় গিয়েছিলাম এক দাদীর বাড়ী দাওয়াত খেতে... সব চাচতো ফুফাতো ভাইবোন একসাথে গেলাম... আমার চেয়েও ছোট এক কাজিন ছিলো আমাদের সাথে... তখন ওর গুঁড়াকাল চলছিলো... আমাদের (মানে বাচ্চাদের) খাবার দেয়া হয়েছিলো মেঝেতে... আইটেমের মধ্যে একটা আইটেম ছিলো আমের ঝাল আচার... আমরা যারা বড় বাচ্চা তারা পণ্ডিতি ফলাতে গিয়ে সেই আচার মুখে দিচ্ছি আর ঝালে আহাউহু করছি... এমন সময় আমার সেই গুঁড়া কাজিনের সেই আচার খাওয়ার শখ হল... সবাই মিলে মানা করছে কিন্তু ও শুঞ্ছেনা, তার আচার চাই-ই চাই। বড় ভাই হিসেবে দিলাম একখান ধমক...
বেচারা ধমক খেয়ে কেবল নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে এসে একেবারে আচারের বাটির উপর প্যান্ট খুলে বড় টয়লেট করে দিলো... আমরা বড় বাচ্চারা স্তম্ভিত আর ছোটবাচ্চারা সমস্বরে কিচির মিচির শুরু করে দিল...
কিচিরমিচির শুনে মুরুব্বীরা দৌড়ে এলেন... এবং কাহিনী বুঝতে তাদের বেশি সময় লাগলোনা...যখন কে করেছে জিজ্ঞেস করা হল তখন সেই গুঁড়া কাজিন এক হাত তুলে আমাকে দেখিয়ে দিল আরেক হাতে নীচে পড়ে যাওয়া প্যান্টটা পড়তে লাগলো...
(এর পরের কাহিনী মনে নাই)
_________________________________
| নাদানের ছোট্ট জগৎ |
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
হাহাহাহাহাহা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডিগলা আর হিসু করার কথা মনে থাকলো? না দিদি পরে কইসে?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ডিগলা নামটা পরে কইসে দিদি আমি তো দিসি গুতা
কাহিনী দুইটাই পষ্ট মনে আছে এখনো
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মজার হয়েছে কিন্তু একসাথে দুইটা পোস্ট প্রথম পাতায় দিয়ে ব্যাকরণের নিয়ম ভঙ্গ করেননি তো আবার
তা হইতারে
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- একবার আমরা সব কাজিনরা (এবং কয়েকজন গুড়াগাড়া গেস্ট) নানীর বাড়িতে খাটে পাতালী করে শুইছি। আধো আধো শীতের দিন মনে পড়ে। এক খালাতো ভাই আবার মাদ্রাসায় যায়। এবং যখন যেখানে সুযোগ পায় সেখানেই ক্কারীদের মতো এক কানে হাত দিয়ে সুললিত ভঙ্গিতে সুরা-ক্কেরাত আউড়ে যায়। সে লেপের নিচে ঢুকেও যথারীতি এই কাজ শুরু করলো। তারই (আমার পিঠাপিঠি) ছোট ভাই, বার কয়েক অনুরোধ করলো, "ভাই তোর পুরান কথা থামা, নতুন কিছু থাকলে ক"। কিন্তু আমার মাদ্রাসা পড়ুয়া খালাতো ভাই কথা কানে না তুলে তার ক্কারীগিরি করেই যাচ্ছে। হঠাৎ আমার পিঠাপিঠি খালাতো ভাইটি লেপ ছেড়ে গরগর করতে করতে উঠে গিয়ে হাফপ্যান্টের ছেদা দিয়ে মাশাল্লাহ। একেবারে টার্গেট করে জলকামান! একবার ডানে একবার বামে... কাউরেই বাদ রাখে নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একদিন ছোট থাকতেই স্বপ্নে দেখি যে কি সুন্দর মনের আনন্দে ঘুইরা ঘুইরা হিশু করতাছি, ঘুম থিকা উইঠা দেখি উহা মুই বিছানাতেই করিতেছিলাম ...
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনিতো দেখা যায় দারুন দুষ্ট ছিলেন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
এট্টু এট্টু
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এখন বোঝা গেল খেকশিয়াল নামটা
ছোটবেলার সম্মানার্থে নেয়া।
ডিগলা নামটাও দারুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হাহা ডিগলা হইল আমার বোনের আবিষ্কার
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পোলাপান আচার জানে না! আচারের গল্প এইখানে করার মানেটা কী?
তবে যে যা-ই বলুক, আমার কাছে বাড়িতে তৈরি আচার আর দোকানের আচার - দুটোই সমপরিমাণে লোভনীয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ডিগলা আর হিসু টেকনিক আশা করি বড়বেলায় আর কারো উপর প্রয়োগ করেন নাই।
আসলে হিশু টেকনিক একবার করছিলাম পরে ক্লাস এইট কি নাইন হইব, ব্যাপারটা হইল গিয়া হিশু করার সময় এক ফ্রেন্ড রনি পিছন দিয়া গুতাইতেছিল, হেভি মেজাজ খারাপ হইয়া যায় আমার, এর আগেও এরকম ফাইজলামি করতে গিয়া একটা খাড়া লাথি খাইছিল আমার । তো ওই ফ্রেন্ডরে আমি অনেক শাসানি ধাতানি দিতাছি হিশু করতে করতেই যে দেখ ভাল হইব না, আরেকবার গুতা দিবি তো খবর আছে, কিন্তু ও তো থামে না গুতাইতেই আছিল । আমি করলাম কি বাম হাতের কোষে কিছুটা হিশু নিলাম আর ঘুইরা ওর মুখে ছিটা দিয়া দিলাম । মনে আছে রনি ৫/৬ সেকেন্ড বেক্কলের মত আমার দিকে তাকায়া আছিল কি হইছে বুঝার লেইগা, পরে দৌরাইয়া মুখে সাবান ডোলে গার্গেল করে কত কি ।। পরে আমারও মনে হইছে না ব্যাপারটা ঠিক হয় নাই এট্টু বেশিই রাইগা গেছিলাম আর কি
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হে হে জব্বর অ্যান্ড ভালৈছে।
এই তাইলে কাহিনী !?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পন্ডিতজী তো মোটেই ভালো পুলা ছিলেন না দেখি...
ডিগলা শব্দটা মজার। আগে কখনো শুনিনি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হাহাহা....
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমগোরে ভালোই একটা ডিগলা দিলেন!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আহারে আপনার ডিগলার গল্প শুইনা মায়াই লাগল দিদির জন্য। আমার কোনও বড়বোন নাইতো তাই মনেহয় বেশি লাগছে গায়ে।
যাউকগা, দ্বিতীয়টা এবং পরে আবার হিসু নাকি হিশুর কাহিনী শুইনা বুঝলাম আপনি আসলেই বিশাল পুংটা এবং বদরাগী ছিলেন। (এখনো থাকতে পারেন ক্যাডা কইবো!)
--------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন