মিয়াজাকির যত মুভি

হায়াও মিয়াজাকির অ্যানিমেটেড মুভির ভক্ত আমি অনেক দিনের। শুরুটা হয়েছিল বন্ধু ডলারের কাছ থেকে শুনে দেখা স্পিরিটেড অ্যাওয়ের মধ্য দিয়ে। সে এক অদ্ভুত মুভি! এক মেয়ে তার বাবা মায়ের সাথে পথে যেতে যেতে এক প্রাচীন জায়গায় এসে পড়ে। জায়গাটা জনমানুষহীন একটা শহর, দোকান ভর্তি জিনিসপত্র, খাবার দাবার কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতা কেউ নেই। মা আর বাবা এক খাবারের দোকানে বসে পড়ে খেতে। মেয়েটা অবাক হয়ে ঘুরতে থাকে। হঠাৎ আবিষ্কার করে অদ্ভুত আত্মাদের বিচরণ, যারা সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে। একজন বলে, ‘পালাও! সন্ধ্যার আগেই!’ দৌড়ে মা বাবার কাছে আসলে দেখে খেতে খেতে উনারা শুয়োর হয়ে গেছেন! আর এদিকে সন্ধ্যা নামতেই বেরিয়ে আসে হাজারো সব ভুত! সে এক অদ্ভুত গল্প! মুভিটা দেখার পরই আমার মাথা নষ্ট হবার যোগাড়! খুজে বের করতে থাকি মিয়াজাকির অন্য সব মুভিগুলো। মিয়াজাকির মুভিগুলো দেখি আর ভাবি একটা লোক এত অদ্ভুত সুন্দর চিন্তা করে কিভাবে? সে এক অদ্ভুত কল্পবাস্তবতার জগৎ! আমি অবাক হই আর ঘুরে বেড়াই সেই অদ্ভুত জগতে যেখানে সবাই উপকথার মত জানে আকাশে ভাসমান এক দুর্গের কথা,
(ক্যাসল ইন দ্য স্কাই) প্রাচীন এক সভ্যতার কথা, জ্ঞানে বিজ্ঞানে যারা এগিয়ে ছিল অনেক, ঘুরে বেড়াই প্রাচীন সে জঙ্গলে, এক অদ্ভুত সময়ে যেখানে বন ধ্বংসকারী ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট মানুষের সাথে বাধে বনের দেব দেবীর সংঘর্ষ (প্রিন্সেস মোনোনকি)।
হাসতে হাসতে বিষম খাই বংশানুক্রমে জগৎবিখ্যাত চোর লুপান দ্য থার্ড এর নানা কান্ডকারখানা দেখে (ক্যাসল অফ কালিওস্ত্র),
ভাবতে ভাল লাগে কিকির মত আমার বাপ মাও যদি জাদুকর হত, আমিও যদি এইভাবে ঝাড়ুর উপর চড়ে বেড়িয়ে পড়তে পারতাম জাদুর প্র্যাক্টিক্যাল কোর্স কম্পলিট করতে (কিকি’স ডেলিভারী সার্ভিস),
মনে হয় এরকম একটা প্রাসাদ থাকতেই পারে যে ঘুরে বেড়াবে ল্যাগবেগে ঠ্যাং মেলে, যার দরজার পাশে পোর্টাল সুইচের নব থাকতেই পারে যা ঘুরালেই চলে আসবে শহর, বন, বাজার(হল’স মুভিং ক্যাসল)।
মিয়াজাকির আরো মুভি আছে (পোরকো রোসো, ভ্যালী অফ নসিকা, মাই নেবার তোত্তোরো),অদ্ভুত ছবিগুলো আমাকে সবসময় ভাবায়, স্বপ্ন দেখায় এক অদ্ভুত বাস্তবতার। নতুন একটা মুভি এসেছে মিয়াজাকির, নাম ‘পনিও অন দ্য ক্লীফ’, ডিভিডি পেলেই দেখে ফেলব।