ছোট থাকতে মনে পড়ে, কিভাবে ভোর হতে না হতেই চোখ কচলে চলে যেতাম রান্নাঘরে মায়ের কাছে। যেখানে মা ভাজত নানারকমের সব পিঠা, চিতই, পাটি-সাপটা। কুয়াশাভোরে ফুইয়ে ফুইয়ে পিঠা শেষ করেই ছুট বাইরে! আকাশ ভর্তি ঘুড়ি ! চক্ষুদার, কাছিম আরো কত। দৌড়ে উঠতাম পারভেজদা দের ছাদে। ততক্ষনে শুরু হয়ে গেছে উড়াউড়ি ! আমি কম উড়াতাম, নিজের নাটাইও ছিল না। কিন্তু সব কিছুতেই হাত ছিল আমার। চুর ধরা, মাঞ্জা দেয়া থেকে, লগি দিয়ে কাটা ঘুড্ডি ধরাধরি! এ এক অন্য জগৎ। আর সন্ধ্যা নেমে গেলে চারিদিকে বাজি পটকা সহ কেরোসিন মুখে নিয়ে আগুনে খেলা! অদ্ভুত একটা দিন। জানুয়ারির চৌদ্দ তারিখ গেল পৌষ সংক্রান্তি। প্রতিবারের মত এবারো সকালে উঠেই মার তৈরী পিঠা খেয়েই ছুট দিলাম বন্ধু রেজার ছাদে। সব পোলাপান হাফ অফিস করে চলে আসল। আগের মত না উড়ুক, তবুও কম কি! এবারো অনেক ঘুড়ি উড়ল। বন্ধুরা মিলে অনেক মজা করলাম। বাবুর্চি এনে রাঁধিয়ে খানাপিনা.. হই হুল্লোড়, গানা বাজনা.. আর দিনশেষে.. সবাই তাকিয়ে থাকলাম সামনের বছরের দিকে।
মন্তব্য
ভিডিওটা বেশ। মনে হচ্ছে এক্সপার্ট আছে, তবে ততটা পারফেক্ট হয়নি। ছবিগুলোতেই ভালো লাগছে। কার তোলা?
হাহাহা পিপিদা বন্ধুরা মিলা মজা কইরা করি আর কিছু না, ছবিগুলা রেজার তোলা।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
৩/৪ দিন আগে মা ফোনে বলছিল," কাল পৌষ সংক্রান্তি...তুই এইবারও নাই..."
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
হুম!
কমরেড ফেসবুকেই ছবিগুলা দেখছিলাম। লেখাটা ভালো লাগলো, খুবই স্মৃতিস্পর্শী হইছে।
বাই দ্য ওয়ে, লাস্ট ছবিতে ইহা কি আমার ভাই ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এখানের লাস্ট ছবিতে এইটা রেজা, তোর ভাইয়েও মুখে কেরোসিন নিছিলো অবশ্য।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আরে রেজা ভাইয়ের পিছে......
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রথম ছবিতে ক্যাপশান লেখা "শাকরাইন"। যতদূর জানি চৈত্রের শেষদিন হচ্ছে "শাকরাইন", পৌষের শেষদিন নয়। তাই কী?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শাকরাইন হইল গিয়া সংক্রান্তির ঢাকাইয়া রূপ। আমরা পুরান ঢাকার পোলাপান অবশ্য পৌষ সংক্রান্তিরেই শাক্রাইন কইয়া আইসি।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অথচ ছোটবেলায় মা-বাবার বার্তা ছিল- ভালো ছেলেরা ওইগুলা করে না, এমনকি ঘুড়িও ওড়ায় না।
হায়রে ভালো ছেলে! এমনই ভালো ছেলে হৈলাম, যে এখনও কিচ্ছু করি না।
:(
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দারুন মজা করসেন দেখি!
ইর্ষা হচ্ছে........... (মনখারাপ)
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভাইগ্না খালারে থুইয়া খানা পিনা খাও, কত্তোবড় বেতুমজ হইছ তুমি!!
আপা দুলাভাইরে সালিশ ডাইকা নালিশ করা লাগবো।
-----------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
পৌষের বেলা শেষ, পরি জাফরানী বেশ, মরা মাচানের দেশ করে তুলে মশগুল.....
মনে পড়ে গেলো....
নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
হিংসে লাগে এসব দেখলে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ঈর্ষা মেশানো দীর্ঘশ্বাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন