• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

বাঘাকথন

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বুধ, ১১/০২/২০০৯ - ১২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গল্প নিয়া খেলাধুলা চলিবে কি? আসুন সবাই মিলিয়া গল্পখানি বড় করি।

একদা কোন এক বনে একটা বাঘ বাস করিত। তো সে হালুম হুলুম উড়ুম ঘুড়ুম করিয়া বনের নধর হরিণগুলোকে খাইয়া একে ধরিয়া ওকে মারিয়া, ভয় পাওয়াইয়া, সকলের অন্ডকোষ স্কন্ধে তোলাইয়া কাটাইতেছিল বেশ সুখেই। কিন্তু একদিন এক ঘটনা ঘটিল। সেদিন বাঘ বাবাজী আহার করেন নাই। করিবেন যে তারো কোন উপায় মিলিতেছিল না, পথে শুধু কিছু ধুরন্ধর খরগোশ আর কাটার দোকান সমেত সজারু চোখে পড়িল। এইদিকে তো ক্ষুধায় বাঘের অবস্থা বেগতিক। সে ঠিক করিল 'ধুশশালা! এক্ষনে যাহাই পাইব তাহাই খাইবো!' উপরে অন্তর্যামী ছিলেন, মুচকি হাসিয়া বলিলেন 'তথাস্তু!'

চলুক...


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

রাজা হিসেবে বাঘমামাকে কিছু স্বঘোষীত নিয়ম মেনে চলতে হয় রাজকীয় ভাব বজায় রাখার জন্য

তার প্রথমটা হলো- দুনিয়া উল্টে যেতে পারে কিন্তু বাঘরাজা তার কথা এবং প্রতীজ্ঞা থেকে এক চুলও নড়ে না

এই প্রতীজ্ঞার কারণেই তিনি সবার খাদক হয়েও কারো কাছেই রাক্ষস হিসেবে পরিচিত নন
সবাই তাকে রাজা হিসেবেই ভয় ও ভক্তি করে

তো তিনি বের হলেন- সামনে যা পাবো তাই খাবো প্রতীজ্ঞা নিয়ে

তিনি ঝোপের আড়ালে হাঁটেন পায়ের শব্দ নেই করে
নিজের ডোরা আড়াল করে
ডানে বামে তাকান
কিন্তু কিচ্ছু নেই

সামনে পেছনে ডানে বামে কিচ্ছু নেই

হঠাৎ একটা ঙঙঙ শব্দে তিনি উপরের দিকে তাকান
দেখেন একটা ডাঁশ মাছি উড়ছে উপরে

সুতরাং এইটাই প্রথম
এবং এইটাকেই খাবেন মামা

তিনি খাপ ধরে অপেক্ষা করেন ডাঁশ মাছির নিচে নেমে আসার
মাছি আসে। বসে গিয়ে তার ডান কানের পেছনে
তিনি ডান থাবাটা বাগিয়ে একটু অপেক্ষা করেন যাতে ডাঁশ টের না পায়
এবং কষিয়ে একটা থাবা

সঙ্গে সঙ্গে আবার উপরে ঙঙঙ শব্দ এবং বাঘমারাজার হাতের থাবায় তার নিজের কান...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তারাগে কন এইটা কোন বাঘ? সবুজ বাঘ নাকি হিমু বাঘ?

এই বাঘে কি প্রেম খায়?

আর সবশেষে কন এইসব শিখছেন কার কাছ থিকা? মহামতি লীলেন মশাইয়ের কাছ থিকা? সে এইরম এক পোস্ট দিয়া মন্তব্য লুইটা পুস্তক ছাপাইছে... আপনের মতলব কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

খেকশিয়াল এর ছবি

এহ! আইছে মতলব খুজতে! আইসাই এক্কেরে দিল গ্যাঞ্জাম পাকাইয়া! কি সুন্দর গল্প চলতেছে .. কই নিজে একটু লিখবো তানা আইসাই গোয়েন্দাগিরি! তো আপনে পারলে বাঘেরে একটু প্রেমই খাওয়ান না, গল্প চলতে দেন! লীলেনদার লেখা থিকা শুরু করেন ..

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

কানে ব্যথা পাইল। কিন্তু কি করা যায়? বাঘ এইবার চিন্তা করল না মাছি মেরে আর হাত কালো করবো না।
কিন্তু খিদা তো পাইছে বহুত। হঠাত তার খিয়াল হইল ইদানিং কালে বনের মধ্যে খেকশিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে। যাই একবার ওদের আস্তানায় ঢু মেরে আসি। বাগে পাইলে একটাকে চিত করে দেবো।
এই চিন্তা করে বাঘ হাটা শুরু করলো। কিন্তু রাস্তাতো আর ফুরায় না। হাটতে হাটতে....

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

হাঁটতে হাঁটতে বাঘ ক্লান্ত হয়ে একসময় বনের একেবারে শেষ সীমায় খেকশিয়ালের আস্তানায় হাজির হলো।
কিন্তু হায় !খেকশিয়ালের একী অবস্থা?
না খেয়ে বেচারার মর মর অবস্থা।
জানা গেল খেকশিয়াল নাকি বার্ডফ্লুর কারণে মুরগির মড়ক শুরু হওয়ায় খাবার জোগাড় করতে পারছে না।

এনকিদু এর ছবি

বেচারা খেকশিয়ালের অবস্থা দেখে বাঘের মনে করুনার উদ্রেক হল । আসলে করুনা-টরুনা কিছুনা, এই শিয়ালটাকে খেয়ে তো মজা নাই, খালি চামড়া আর হাড্ডি । যাহোক, খেকশিয়ালকে খাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল । বেচারা খেকশিয়ালের সাথে কুশলাদী বিনিময় ও কিছু সুখ-দুঃখের আলাপারে পর যখন চলে যাওয়ার জন্য বাঘ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ছেঁড়া কানটা তখনো হাতে আছে, তখনি পেছন থেকে খেকশিয়াল ডাক দিন ।

" মামা । "

" কি ? ", জিজ্ঞেস করে বাঘ ।

" আপনে তো মনে হয় নিজের কানডা খাইবেননা, আমারে দিয়া যান "


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

(গড়াগড়িহাসি)

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

তাতেই এক মুহূর্তে বাঘমামা'র কাছে পরিষ্কার হয়ে গ্যালো- কী তবে ছিল খেকশিয়ালের মনে! ছি! এজন্য তবে পরের কাঁধে জিহ্বা রেখে বাঘের কান খাওয়ার জন্য বাঘরাজাকে ক্ষুধার্ত বিপন্ন প্রতিপন্ন ক'রে গল্প ফাঁদলো খেকশিয়াল! :P
সুতরাং, এই মতলব ধরা পড়ার পর রাজা ...

(চলতে থাকুক)

[ অফ-গল্প:
হিমু ভাই সাবধান! খেকশিয়ালের যে লোলুপ চোখ পড়ছে আপ্নের কানের উপার! ;) ]

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

শিয়ালের কথা শুনে বাঘ মহা বিরক্ত হলো। একবার মনে মনে ভাবলোও - দেই শুঁটকিটারে একটা থাবড়া। শিয়াল বুঝলো অবস্থা বেগতিক। তাই সে ব্যাপারটা ধামা চাপা দিতে বলল - মামা, মাইন্ড খাইয়েন না। আপনের কান তো কোন ছাড়, কয়দিন আগে খিদার জ্বালায় নিজের ল্যাজ কামড়াইয়া খায়া ফালাইসি। এ কথা শুনে বাঘ ফিক করে হেসে ফেলল তারপর শেষে নিজের কানটা দিয়ে দিল। আর মুখে বলল - হ মরলে না খায়া মরবি ক্যান? নিজের ল্যাজ, আমার কান এই সব খায়াই মর!!

তারপর বাঘরাজা হাটতে হাটতে একটা খোলা মাঠের ধারে চলে এলো। সেখানে তখন বিশাল বিশাল শিঙাল মহিষেরা ঘুরে ফিরে ঘাস খাচ্ছিল। বাঘ তাদের দেখে মনে মনে মেপে নিচ্ছিল - ছোটখাটো কোনটাকে ধরে খাওয়া যায় কিনা তাই।

কিন্তু বাঘকে দেখেই মহিষগুলো অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো ..........

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সবুজ বাঘ এর ছবি

মইষগো ঠাঠা হাসি শুইনা বাঘ ডরিয়া গেলগা। ডরের চোটে বাঘের হাগা ধরল। ফলে পচুর ভুটভাট শব্দময় পাদ সহকারে বাঘ খাড়ার উফরে মড়ার নগাল হাগা ধরল। পাদ এবং ধুমাউঠা কাঁচা গুইয়ের গুন্দে মইষ বাইনচোদগো অট্টহাসি গুয়াদিয়া গেল। গুন্দর হাত থিক্যা বাঁচতে ওরা বন থিক্যা শহরে পলান ধরল।
অন্যদিকে বাঘ তিনদিনের কষা ছাড়ানি হাগা হাইগা বিস্তর আমোদে নতুন শিকারের উদ্দেশে ছুটিল। কিয়ৎদূর অগ্রসর হওয়া মাত্র বাঘ দেখিতে পাইল এট্টা বড় গাছের আউলে বসিয়া এট্টা হরিং কী নি কী করবার নুইছে। এই দেখিয়া বাঘের আর সহ্য হইল না। হালুম দিয়া হরিঙ্গের গতরে পড়িল।
কিন্তু ভুদাই বাঘ নাপ্পু দিয়ার আগেই যেহেতু হালুম চিকার দিছিল, তাই ভাছ পাইয়া হরিং সটান সরিয়া পড়িয়া বাঘের সম্মুখে এট্টা চকচকা ব্লেড বাগাইয়া ধরিল এবং কহিল, সাবদান। আর এক পাউ আইগাইছস কী তর খবর আছে। আগে বাল চাইছা নই, তাহাদে তর কতা হুনুম। ওই তুমা তুই বইয়া বইয়া আমার বাল চাছা দ্যাখ। গত্যন্তর না দেখিয়া বাঘ বইয়া বইয়া হরিঙ্গের বালচাছা দেখিতে নাগিল।

অবনীল এর ছবি

আকশ্মিক এই ঘটনায় বাঘ হতবাক হলেও। পাশের নদীতে পিয়াস মিটাতে গিয়ে নিজের কানকাটা চেহারাটা দেখে তারও লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে গেল। বাঘ খেয়াল করেনি খেকশিয়াল সেই তখন থেকেই চুপি চুপি তার পিছু ধরেছে। পেছন থেকে আস্তে আস্তে বলে উঠলো -

"বস্‌, আপনেরে দেইখা আসি দিল! আমি আপ্নি হলে এক থাবড়ায় সব কটার নলি ভাইঙ্গা দিতাম, আর আপ্নে চাইয়া চাইয়া পানিত চোকের পানি ফেলতাসেন!", খেকশিয়াল মুখ যেন আষাঢ় মাসের আধার।

"আর...রে রাখ ব্যাটা, বওওওহুত পারস তুই" - বাঘ কোনমতে জবাব দিল।

"কসম খোদার বস্‌, আমি খোদার কাসে এইক্ষনি মানত করতাসি আমারে আপ্নের জায়গায় দিয়ে যেন্‌ আপ্নার অপমানের প্রতিশোধ লইতে দেয়, আপ্নার প্রতি এ আমার অয়াদা! ও আল্লা আমারে একঘন্টার জন্য বাঘ বস বানাইয়া দাও।", খেকশিয়াল মিলাদ শুরু করে দিল।

অন্তর্যামি যেন এই ক্ষনেরি প্রতিক্ষায় ছিলেন...আবারো সেই রহস্যময় হাসি মুচকি হেসে বল্লেন, "তথাস্তু"।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

তানিয়া এর ছবি

অন্তর্যামী সম্পর্কে ছিলেন মুখার ইশ্বরের মামার শালা। তাই ঝটপট তিনি খেকশিয়াল কে সেই রহস্যময় হাসি মুচকি হেসে বাঘিনী বানিয়ে দিলেন। বাঘিনীর রুপ দেখে বাঘা তাব্দা খেয়ে গেলো। মুহুর্তে উবে গেল বাঘার ক্ষুধা তৃষ্ণা । বাঘা ধীরপায়ে ..........

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এমন বাঘিনীর সাথে তোর আর রক্তমাখা কান নিয়ে পিরিতি করা যায় না
তাই বাঘ আবর ঘুরে পুরো মাথাটাই কিছু সময় পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখল যাতে রক্ত ধুয়ে যায়

বাঘ যখন মুখ তুলল তখন তার কানের আশপাশ থেকে রক্ত ধুয়ে গেছে

কিন্তু কাটা কানের ছিদ্র দিয়ে একেবারে ভেতরে ঢুকে পড়েছে একটা বিশাল পানি জোঁক...

অবনীল এর ছবি

ছিদ্র দিয়ে একেবারে ভেতরে ঢুকে পড়েছে পানি জোঁক্টা। কিন্তু একি এত পুরিস পুরিস গন্ধ কেন। আসলে অল্পের জন্য রং নাম্বার হয়ে গেছে তার। মোষের হাসির শব্দে যে নিম্নচাপ ধরে গেছিল তা বার করতে কানের ছিদ্র ধুইয়েই পানিতে আরেক ছিদ্র দিয়ে বসে পড়েছিল বাঘ। কিন্তু কিছু ত আর করার নেই, জোঁক তার কাজ শুরু করলো।

এদিকে বিশেষ জায়গায় জোঁকের সুড়সুড়ি সইতে না পেরে বাঘ সবুজ ঘাসের উপর গড়াগড়ি দিতে লাগল। সারা শরীর ছেয়ে গেল সবুজ দূর্বাঘাসে। দেখে এখন তাকে মনে হচ্ছে ঠিক যেন এক...

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

এনকিদু এর ছবি

জোঁক তো এক কানের ছিদ্র দিয়ে ঢুকের মাথার ভেতর চলে গেল । কিন্তু মাথায় তো আর রক্ত নাই । বাঘিনীকে দেখা মাত্রই রক্ত সবে চলে গেছে আরেকদিকে । জোঁকটা কিছুক্ষণ এদিক সেদিক ঘুরে, ইতিউতি কাতুকুতু দিয়ে আরেক কানের ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসল । পুরা ঘটনাটা ঘটতে কয়েক সেকেন্ড লাগল মাত্র ।

শিয়াল (যে কিনা এখন বাঘিনী) পুরো ঘটনাটাই তার কাছে ব্যাপক আনন্দের খোরাক হয়েছে । তাও ভাগ্যিস বাঘ মাথা পানিতে চুবিয়েছিল, পানিতে নিজেই নেমে পড়েনাই । তাহলে জোঁক যে কোন দিক দিয়ে ঢুকত আর কোন দিক দিয়ে বের হত ... ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অম্লান অভি এর ছবি

সবুজ ঘাষে গড়া গড়ির পর যেন....বাঘ আবার স্বত্বির নিশ্বাস ছাড়ল। বাঘিনী ভাবিল এই বুঝিই মনুষ্যকূলের বিপরীত পদ্ধতি নারীরে বন্ধীতে পুরুষের আস্ফালন।
বাঘ বাঘিনীকে বলিল তুমি যে ওয়াদা করিয়াছ আমার এমন অবস্থার ব্যবস্থা নিবা! তয় কি ব্যবস্থা নিবা?
বাঘিনী উত্তরে বলিল, তোমার কোন দশায় পিরীত হইয়া আমি ঈশ্বরের বর লাভ করিয়াছি যেন?
কেন হে, পূর্বজন্মা শিয়াল ভুলিয়া গেলা?
ছি! অমন অজানা সত্য উচ্চারণ করিতে হয় না। আমি কি শিয়াল ছিলাম, নাকি তোমার কান খাইয়াছিলাম- তুমি তো সব ভুলে আমার লিঙ্গান্তরে আমাকে পাওয়ার পরম ইচ্ছার সংকেত মাথায় পাঠাইয়াছিলা। তাই তো বেচারা জোঁক তোমার কর্ণকুহরে ভিতর দিয়া মাথায় ঘুড়িয়া এক ফোটা রক্তও পাইলো না, আহা!
তুমি অমন জোঁকের কথা চিন্তা করলা আর আমার মত এক মস্ত বাঘ তোমার সামনে নতুন প্রকৃতির রূপে সেজে দাড়িয়ে আছি দেখলা না।
তোমার দিকে তাকাতে আমার বয়েই গেছে! আমার এমন নবযৌবনা অঙ্গে তোমার ক্লান্ত বলহীন শরীরের আবেগের আলিঙ্গ সহ্য হবে না। তাই তোমার রাজ্যত্বে আমার নতুন রাজ্যত্ব খুলতে একটা নতুন কান ওয়ালা বাঘমামা থুক্কু বাঘসোয়ামী আনতে যাই....

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

তানবীরা এর ছবি

সবতো সবাই কইয়া ফেলছে, আমি পরবর্তী পর্বে কমু।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

খেকশিয়াল মানে বাঘিনী এই কথা বলার সাথে সাথে ঈশ্বর তার উপর নাখোশ হলেন। সাথে সাথে বাঘিনী থেকে আবার তাকে শিয়াল বানিয়ে দিলেন।
এই দেখে বাঘ হা হা করে হেসে উঠল। শিয়ালের কাছ থেকে নিজের কাটা কানটা নিয়ে বাঘ হাটা শুরু করলো ডাক্তারখানার উদ্দেশ্যে।
বনের রাজা বাঘ। কাটা কানে তাকে মানায় না। সবাই হাসাহাসি করবে। আগে কানের চিকিতসা হউক তারপর খাবারের চিন্তা করা যাবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।