অনেকদিন আগে থেকেই তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তারানাথ তান্ত্রিক আর অলাতচক্র বইদুটো খুঁজছিলাম। মৃদুলদা’ই প্রথমে বলেন বইদুটোর কথা। তারানাথ তান্ত্রিক নিয়ে প্রথম দুটো গল্প লিখেছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে পরে এই বইদুটো লেখেন তারই ছেলে তারাদাস। তারাদাস তার বইয়ের ভূমিকায় বলেন তারানাথ তান্ত্রিক নাকি বাস্তবেই ছিলেন। গল্পগুলো পড়তে পড়তে আমার মনে পড়ে গেল আমার বড়মামার ...অনেকদিন আগে থেকেই তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তারানাথ তান্ত্রিক আর অলাতচক্র বইদুটো খুঁজছিলাম। মৃদুলদা’ই প্রথমে বলেন বইদুটোর কথা। তারানাথ তান্ত্রিক নিয়ে প্রথম দুটো গল্প লিখেছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে পরে এই বইদুটো লেখেন তারই ছেলে তারাদাস। তারাদাস তার বইয়ের ভূমিকায় বলেন তারানাথ তান্ত্রিক নাকি বাস্তবেই ছিলেন। গল্পগুলো পড়তে পড়তে আমার মনে পড়ে গেল আমার বড়মামার জন্মের ঘটনাটা। তারানাথের গল্পগুলোর সাথে মামার ঘটনাটার অনেক কিছু মিল পেলাম। ঘটনাটা বেশ অদ্ভুত। আমি যখন শুনেছিলাম তখন বিশ্বাস অবিশ্বাস কিছুই করিনি। তবে মা যেভাবে বলেছিলেন, ভয় পেয়েছিলাম।
এই ঘটনা আমার মা শুনেছিলেন তার বাবা মা অর্থাৎ আমার দাদু দিদিমার মুখে। আমার দাদু হেমচন্দ্র দে ছিলেন ভোলার এক নামকরা স্কুলের হেডমাস্টার, দিদিমা সুচিত্রা রানী দে, গৃহিনী। আমার বড়মামা দুলালকিশোর ’এর জন্মের আগেও দিদিমা আরো দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন যারা মারা জন্মের পরপরই মারা যায়। এই ঘটনার শুরু দিদিমার প্রথম গর্ভবতী হবার সময় থেকে। একদিন পুকুর থেকে ফেরার পথে বনের রাস্তায় মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। তখন তেমন কিছু না হলেও পরবর্তীতে অনেকেই মনে করে সেই ছিল অঘটনের শুরু। এরপর থেকে বিছানায় শুয়ে মাঝে মাঝেই দিদিমা দেখতেন এক অদ্ভুত শিশুর অবয়ব। চৌকাঠ থেকে আস্তে আস্তে পূর্ণাঙ্গ মানুষের সমান হয়ে সে দাঁড়াত তার মাথার কাছে। তিনি এটা বেশী দেখতেন বাচ্চা হবার ঠিক এক দুই মাস আগে দিয়ে। দিদিমা বেশ ভয় পেলেও, ব্যাপারটা কেউ আমল দেয়নি তখন। কারন গর্ভবতী যেকোন মহিলাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে অনেক দুর্বল থাকেন, এরকম দেখাই স্বাভাবিক। ‘ও কিছু নয়’ ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ এরকমই বুঝানো হয়েছিল তাকে।
তাদের প্রথম শিশু জন্মের পরপরই মারা যায়। শ্বাস নিতে পারছিল না সে। অনেক আশার ধন, সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন। দাদু ছিলেন অনেক শক্ত। তিনিই সাহস যোগান সবাইকে। তার এক দুইবছর পর আবারও গর্ভবতী হন আমার দিদিমা। খুশি হয়ে উঠে সবাই।কিন্তু এইবারও তিনি দেখতে থাকেন সেই অদ্ভুত অবয়বকে। ঠিক ওভাবেই হেঁটে আসতো সে তার শিয়রের কাছে। অনেক ভয় পেতেন তিনি। দাদু উড়িয়ে দিতেন সব। তারপর একদিন এই বাচ্চাটিও জন্মালো, আর চলেও গেল। বারবার সন্তানশোকে এইবার দাদুও ভেঙ্গে পড়লেন।
এক বছর পর, বড়মামা যেদিন জন্মালেন, সেদিনও সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার বুকে কোন স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। শ্বাসও নিচ্ছিল না সে। দাদু ছিলেন স্কুলে। তাঁকে খবর দিতে ছুটে আসছিলেন তিনি বাড়ির দিকে। ততক্ষনে বড়মামাকে উঠানে তুলসীমঞ্চের কাছে নিয়ে রাখা হয়েছিল। সবাই ধরে নিয়েছিল মারা গিয়েছিলেন তিনি। দাদু এসে দেখলেন দিদিমা কাঁদছেন, তাকে ধরে রাখা যাচ্ছে না। বাইরে তুলসীর সামনে এক জটলা। এগিয়ে দেখেন নীচেই পড়ে আছে আর সন্তান। সবাই ঘিরে আছে। তিনি তাঁর সন্তানকে কোলে নেন, বুকে কান পাতেন। আর হঠাৎই শুনেন নাকি অতি ক্ষীন ঢিপ করে শব্দ। চিৎকার করে উঠেন তিনি, ‘ওতো মরে নাই! তোরা আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলতে চাস?’
বুকে আগলে তিনি মামাকে নিয়ে আসেন ঘরে। জানিনা সেসময় রোগ চিকিৎসার ব্যাপার কেমন ছিল কারন ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেছিল মামা বেঁচে থাকার পরও। সেবা যত্নের পর শ্বাস কিছুটা ঠিক হয়ে আসলেও তা ছিল না নেয়ার মতই। সবাই বুঝতে পেরেছিল ছেলের আয়ু বেশী নেই। দাদু বিহবল হয়ে পড়েন। বাচ্চাকে আগলে বসে থাকেন। সেদিনই সন্ধ্যায় দাদুরই এক পুরান ছাত্র আসে, তাঁর খোজ করে। সেই ছাত্র তাকে বলে গুণীনের কথা। দাদুর মাথায় তখন কিছুই ঢুকছিল না। সেই ছাত্র এক গুণীনকে নিয়ে এসেছিল তাঁর সাথেই।
গুণীন পুরো কাহিনী আদ্যোপান্ত শুনেন। সেই দিদিমার পড়ে যাওয়া, তার অবয়ব দেখা, সব। তিনি দাদুকে বলেন এই অবস্থার প্রতিকার সম্ভব, শুধু তার কথা শুনে যেতে হবে। অন্যথায় তাঁর বাচ্চাকে বাঁচানো অসম্ভব। দাদু আর মানা করেননি। সেদিন থেকেই সেই গুণীন কাজ শুরু করে দেন। প্রথমেই তিনি ঘর বন্ধন দেন। দিদিমা, মামা দুইজনকেই একটা করে কবচ দেন। বলেন ‘আপনারা এক অপদেবতার কোপে পড়েছেন। ঘটনাটা ঘটে হয়ত সেদিনই যেদিন আপনার স্ত্রী পড়ে গেছিলেন বা অন্য কোনদিন কিন্তু সেটা বড় কথা না। এই দেও খুবই ভয়ানক, এ শিশুহন্তারক, এভাবেই সে বাচ্চা চুরি করে। এরা সাধারণত বিজোড় সংখ্যক বাচ্চা নেয়। আপনার বাচ্চাকেও সে নেবে, কিন্তু কবে যে সে থামবে তা বলা যায় না। আপনারা বিশ্বাস করুন আর নাই করুন তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু এই সামনের অমাবস্যায় আমি তার পূজা করব। আর ওইদিনই তার হাত থেকে আপনারা মুক্তি পাবেন।‘
এইভাবে দিন যেতে থাকে। দিদিমা বিছানায় পড়ে থাকেন বুকে মামাকে জড়িয়ে। মামার অবস্থা সেই একইরকম। একদিন দিদিমা সেই অদ্ভুত মূর্তিটাকে দেখলেন আবার। চৌকাঠ থেকে আসছে সে বড় হতে হতে। এইবার সে শুধু এসেই ক্ষান্ত হল না, বলল, ‘দে! বাচ্চা দে!’
- ‘ না! দূর হ তুই!’ দিদিমা চিৎকার করে উঠেন। সবাই এসে পড়ে ঘরে। এরপর থেকে দিদিমাকে একা থাকতে দেয়া হত না। তবু নাকি আরো কয়বার তিনি দেখেন সেই অবয়বকে। প্রতিবারই এসে সে চাইতো তাঁর বাচ্চা।
এভাবে এসে পড়ে অমাবস্যার দিন। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই গুণীন পুরো বাড়ি বন্ধন দেন নতুন করে। রাত নেমে আসলে তিনি সব মহিলাদের নিয়ে ঢুকেন তার ঘরে। সবাইকে বলেন দিদিমাকে ঘিরে দাঁড়াতে। দাঁড়ানো হলে বন্ধন দেন আর বলেন, ‘আপনারা কেউ এক মূহুর্তের জন্যও এই জায়গা থেকে নড়বেন না। আমরা ফিরে না আসা পর্যন্ত যে যেভাবে দাঁড়িয়ে আছেন ওভাবেই থাকবেন।’ এই বলে তিনি দাদুকে সাথে করে পূজার উপকরণ নিয়ে বেড়িয়ে যান। পাশের জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে এক জায়গায় এসে বলেন, ‘এইখানেই হবে তাঁর পূজা। যেভাবে বলে দিয়েছি আপনি ওভাবে সব আয়োজন করতে থাকুন।’ কথামত আয়োজন শেষ হয়ে গেলে শুরু হয় পূজা। এর পরের অংশটুকুর সাক্ষী দাদু। গুণীন যখন পূজা করছিলেন তখন থেকেই নাকি কি যেন একটা গুমোট থমথমে একটা ভাব ছিল জায়গা জুড়ে। দাদু হাতে দুটো কবুতর নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পূজার একসময়ে হঠাৎ শুনতে পেলেন চারদিক থেকে কে যেন গজরাচ্ছে। অদ্ভুত নাকি সে আওয়াজ! হঠাৎ তীব্র বাতাস উঠে আর তখনই দাদু দেখতে পান জিনিসটাকে! নিকষ কালো গুমোট মত কি যেন উড়ে আসলো কোথা থেকে আর এসেই নিভিয়ে দিল সব আলো। পূজার বাতি, হারিকেন সব! চারদিকে যেন ঝড় উঠেছে। গুণীন চেঁচিয়ে বলছিলেন, ‘ও পূজা নিতে চাইছে না! .. আপনি কবুতর ছেড়ে দিন! .. সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করুন!’ সব দেখে দাদু তখন কিছু বলতে পারছিলেন না! কবুতর ছেড়ে যেই দাদু প্রণাম করতে মাটিতে মাথা নোয়ালেন বুঝলেন কি যেন অদৃশ্য এক বস্তু চেপে বসেছে তার ঘাঁড়ের উপর! তিনি পরে বলেন, ‘ আমি অনুভব করতে পারছিলাম না কিছুই, কিন্তু নড়তে পারছিলাম না একটুও..’ তিনি শুনতে পান গুণীন তখন আর মন্ত্র পড়ছে না, চিৎকার করছে আর বলছে, ‘তুই ওকে নিতে পারবি না! পারলে তুই আমাকে নে! তোকে পূজা নিতেই হবে!’ ফিরে দাদুকে বললেন, ‘তুই ভয় পাচ্ছিস? ভয় পাস নে! গা ঝাড়া দিয়ে উঠ!’ হঠাৎ সাহস আসে দাদুর মনে। তিনি ভাবেন তাকে উঠতেই হবে.. দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেন তিনি। আর দেখেন আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে যাচ্ছে সবকিছু। সব যখন থেমে যায় গুণীন বলেন, ‘আর কোন চিন্তার কারন নেই। পূজা শেষ হয়েছে, চলুন ফিরি।’
ঘরে এসে সবাইকে এবার আশ্বস্ত করে গুণীন, বলেন, ‘এ বড় দুষ্ট দেও। আপনাদের সাহায্য করছিলাম বলে আমাকেও জ্বালাচ্ছিল কদিন ধরে। আজ বাড়ি থেকে বেরুবার সময় বউকে কোথাও পাচ্ছিলাম না। বাইরে বেরিয়ে দেখি সে গাছের উপর উঠে বসে আছে আর পাগলের মত করছে! আমি বলি, তুই আমার সর্বনাশ করবি? কর পারলে! তবু আমি তোকে বাচ্চা নিতে দেব না! .. আপনারা আর ভয় পাবেন না। আপনাদের ছেলে শীঘ্রই সেরে উঠবে।’ যাবার সময় দাদু গুণীনকে টাকা পয়সা সেধেছিলেন, কিন্তু সে নেয়নি কিছুই। সে শুধু বলে গিয়েছিল, ‘আমার কিছু লাগবে না। আপনারা কেবল সাতমাস পরে ওর দেহের সমান ওজনের অন্ন সাধুদের খাইয়ে দেবেন।’
এরপরেই নাকি বড়মামা সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে সাতমাস পরে হেলাফেলায় সেই অন্ন নাকি দান করা হয়নি। সে আরেক গল্প। ও আরেকদিন বলা যাবে।
মন্তব্য
খেকু'দাকেও চা-ব্যামোতে ধরলো নাকি? গল্প ভাল্লাগসে, "আরেক" গল্প তাড়াতাড়ি শোনান...
ভাল্লাগসে জাইনা ভাল্লাগলো, আরেক গল্প আরেকদিন, সেই গল্প ভৌতিক না বরং রহস্যময় বলা যায়।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ঘুম?
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গুল্লি হয়েছে । আরো চাই এরকম । আমাদের দেশীয় আবহের গল্প গুলো কিন্তু জাপানি কোয়াইদনের থেকে কোন অংশে কম হয় না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধইনাপাতা, দেশী গল্প কম কি হে? তারা ভয়ানক হয়! এইসব গল্প আমার মা যেভাবে বলসে, সে না শুনলে বুঝবা না!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এইডা কী হুনাইলিরে? তয় দেও খানকির পুলারে দিয়া আরেট্টু গিয়ানজাম পাকাইতে পারতি। তারপরো ভালো লাগলো খুপ।
হ, গুনীন যদি পূজায় না বসে মাল বানিয়ে তাতে আগুন জ্বালিয়ে এক সুখটান দিয়ে ধ্যানে বসত তাহলে আরো ভাল হইত, তাইনা ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হা হা হা হা
ধইনাপাতা বাঘাদা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গপ্পো তো বেশ জমিয়ে তুলেছিলেন দাদা ...
রীতিমত তারাশঙ্করের 'ডাইনী' গল্পের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো।
আরো লিখুন এরকম ভূতুড়ে।
অনেক ধন্যবাদ, লিখবো আরো
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
উত্তুরে বণ্দনা করি হায়গো হিমালয় পর্বত ও
সেই পর্বতে বস করে কত দেও আর ও দানব ও।
শেরালী-র বন্ধনা।
লেখাটা শেষ হলে একসাথে দেব।
দেও দেরকে বন্ধনা বা প্রণাম করার রেওয়াজ ছিল গ্রামের জিত্রা পালায়।
আপনার লেখা খুব মজাদার হয়েছে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ, আপনার লেখার জন্য বসে রইলাম, জলদি ছাড়ুন
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডরাইছি। ডরে আমার গায়ের পশম খাঁড়া হয়ে গ্যাছে।
হিহি আম্রো হইছিল ফার্স্ট শুইনা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুণ রোমাঞ্চকর গল্প। এই গল্প এতদিন ছাড়লেন না কেন? আপনেরে তো আমি অনেকদিন জিগাইসিও! আপনারা এখন যে বাসায় থাকেন, সেইটাও তো একটা ভৌতিক বাসা... সেখানকার কাহিনী ছাড়েন কিছু!
আর আমার মনে হয়, সচলায়তনে পশুদিবস, ছড়াদিবস তো গেল... এবার ভৌতিক দিবস পালিত হোক...
---------------------------------------------
আমাকে ছুঁয়ো না শিশু... এই ফুল-পাখি-গান সবই মিথ্যা!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হোক পালিত, আমিও তাইলে একটা গল্প দিমুনে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হ আপ্নেরে যেইটা কইসি অইটাই আগে ছাড়ুম
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মৃদুলদা একটা জম্পেশ ভুতের গল্প ছাড়েন!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মনে হল মুহাম্মদ জাফর ইকবালের 'পিশাচিনী' পড়ছি।
স্টকে আরো কিছু থাকলে বাইর করেন্না খেকুদা!
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধইন্নাপাতা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দেশি ভূতের সরস গল্প। দারুণ হয়েছে!!
পরেরটা কবে ছাড়বেন?
জলদি জলদি ছাড়েন।
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
আবারো ধইন্নাপাতা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুন!
পইড়া ডরাইছি........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধইনাপাতা, আপ্নে পইড়া ডরাইসেন আর আমি লিখতে গিয়া।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খুব ভালো লেগেছে কাহিনীটি। তবে দেও দৈত্যের চেয়ে সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা আমাতে স্পর্শ করেছে বেশী।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নমস্কার তীরুদা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভয়ের তো! অন্ন না দান করায় কি কিছু হয়েছিল?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হম সে নিরুদ্দেশ হইছিল। পরে আবার আইসা পড়ছিল এক মন্দিরের এক বুড়ি বলছিল যে তোদের তো অন্ন দান করার কথা ছিল, দেস নাই কেন? পরে দান করে আর কয়দিন পরে নাকি খুইজা পাইয়া নিয়া আসে ।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- ডরের চোটে পাদ দিয়া ফেলছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
টান-টান ভয়ের গল্প।
ভয়ের ইমো নাই ক্যান?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
থেঙ্কু থেঙ্কু, ভয়ের ইমো লাগব না ডরাইলেই সার্থক
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দাড়া এই ভৌতিক রহস্য ভেদ করতে মিসির আলীর সাথে কন্টাক্ট করতাসি। :?
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
দোস্ত আমার রিসার্চটা তোরে কই, পুরা ব্যাপারটাই একটা কাক্তালীয় ব্যাপার হইতে পারে। যেমন একজন গুণীন নিজের নাম বাড়ানোর জন্য বিনা ফিতে একটা কাজ কইরা দিল, সে হয়ত বুঝতে পারছিল বাচ্চার অবস্থা ভাল হইয়া যাইব তাই সে একটু রিস্ক নিয়া এইটা করছিল। এমন তো হইতেই পারে যে দাদু সখন মাথা উঠাইতে পারতাছিল না তখন ভয়ে সে কোন অনুভূতি পায় নাই, আর গুণিনই পা দিয়া চাপা দিয়া রাখছিল। কিন্তু আমার খটকাটা এক জায়গায়, দাদু বলছিল দেওটারে সে দেখছে। কেমন কালো গুমট একটা কিছু ভাইসা আসছিল, আইসা আলো নিভায়া দেয়। আর তখনই ঝড় আসে। এইটা তার হ্যালুসিনেশন হইতে পারে, কিন্তু এতগুলি ব্যাপার একইসাথে হইল দেইখা মনে দ্বিধা থাইকাই যায়।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমি আর কী বলবো বলেন ?
সবার আগে মতামত তো আমি দিসিলাম
দারুন হইসে, দুর্ধষ ! পাঁচ তারা।
ভৌতিক দিবসের প্রস্তাবে
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই কয়দিন ভুত দেইখা(মুভি) আর পইড়া(বই) পুরা ভুতুড়ে জীবনযাপন করতাসি। তুইও একটা লেখ ভুতের গল্প
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমার মেজ খালারও এরকম ঘটনা আছে। বড় ভয় পাই এগুলো শুনলে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন