অনেক অনেকদিন আগে এই বাংলারই কোন নদীর পারে এক জাউলা তার এক পোলা আর বউ নিয়া থাকত। জাউলা পোত্তেকদিন চইলা যাইত নদীর ধারে, জাল ফালাইয়া রুই ধরত, কাতলা ধরত আর ধরত কই, শিং,মাগুর। রুই কাতলা কিছু বাজারে বেইচা বাড়ির জন্য নিয়া আইতো কিছু। বাড়িতে তখন রান্না হইতো। রান্নাবান্নায় জাউলার বউয়ের হাত আছিলো খুবই ভাল। কইটা, মাগুরটা বেশ মজা কইরা রানতো জাউলার বউ। মাঝে মাঝে কোন কোন দিন রুই কাতলাও হইতো।
জাউলার পোলা বেশী বড় না। মায়ের লগে লগেই ঘুরতো। এইটা দাও, ওইটা দাও কইরা মাথা খাইয়া ফালাইত। কিন্তু কখনো বাপের কাছে সাহস কইরা কিছু চাইতো না, ডরাইতো। বেশ মেজাজ খারাপ লোক আছিলো তার বাপে। সেই পোলার সব চাওয়া আছিলো তার মায়ের কাছে। আর তার মাও তার সাধ্যমত পোলার চাহিদা মিটাইতে চেষ্টা করত। ঐ পোলার অনেক চাহিদার মধ্যে একটা আছিলো মাগুর মাছের মাথা।
জাউলা জানতো তার পোলা মাগুর মাছ অনেক পছন্দ করে, বিশেষ কইরা মাথা চাবাইতে। তাই পোলা যখন ভাত খাইতে বইসা মজা কইরা মাথা চিবাইতো সে বিরক্ত হইত, কইতো, 'কি এত মজা খাস? এট্টুক একটা মাথা!' তার পোলা নুইয়া যাইত, পারলে মাথা দিয়া থাল ঢাইকালাইতো। যেন এমনে করলে ওর বাপে দেখবো না খাইতে..। জাউলা দেখতো আর বিরক্ত হইতো। মাঝে মাঝে ভাবত একদিন খাইয়া দেখে, কি এত মজা.. এই মাগুরের মাথা । কিন্তু সে তার বউয়ের কাছে চাইতে পারত না। মাগুর শিং সে কোনদিনই দেখতে পারে নাই। চাইয়া খায় নাই কখনো। খাইলেও কখনো মাথা খায় নাই। এতদিন খালি গাইলাইয়া'ই আইছে। এখন কেমনে চায়! বেশ কয়দিন পোলার লগে পাল্লা দিয়া সে রুই খাইলো, কাতলা খাইলো, মুখে চুক চাক শব্দ করলো, খাওয়া শেষ হইলে শব্দ কইরা হাত চাটলো। পোলারে শুইনাইয়া বউরে কইলো, 'এহ! বড় মজা খাইলাম গো..'। যেন পোলার লগে তার কি এক প্রতিযোগীতা..
কিন্তু পোলাতো সেই মাগুর খোর। মাথা পাইলে তারে আর দেখতে হয় না, চোখমুখ চকচক কইরা উঠে।
জাউলা খালি দেখে..গজগজায় আর ফুলে।
কোন কোন সপ্তা মাগুর আনতো না জাউলা। সে কয়দিন সে ফুর্তিতেই থাকতো। যেন না আনতে পারলেই বাঁচে। কিন্তু টিকতে পারে না বেশীদিন। বউ কয়, ‘পোলাটা মাগুর ভাল খায়, আনেন না ক্যান?’
- ‘আরে আনুম আনুম! সবসময় পাওয়া যায় নাকি?’ দাবড়ানি দেয় জাউলা।
বউটা কি হাসে ঘোমটার তলে? সে কি বুইঝা ফেলছে!
পরেরদিনই আবার মাছ নিয়া আসে সে। পোলারে খাইতে দেখে আর তড়পায়। মনে হয় যেন সে হারতে থাকে.. তার পোলা আর মাগুরের মাথার কাছে।
এইভাবে দিন যায়, মাস যায়। জাউলার মাথার থিকা আর মাগুর বাইর হয় না। বউটা কি তারে একটু সাধতে পারে না? জোরাজুরি করতে পারে না? সে তো চাইতে পারে না। কেমনে চায়? নিজে কোনদিন রুই কাতলার মাথা ছাড়া খায় নাই। নিজে জাউলা, অন্যের বাড়িতে খাইবো? মাইনষে কি কইবো! হাসবো, টিটকারী দিবো। কইবো, দেখ দেখ জাউলার অবস্থা.. নিজের মাছ নিজেই মনে হয় খাইতে পারে না, বউটা মনে হয় রানতেই পারে না, হে হে। কিন্তু এই কথা তো সত্য না! আবার মাঝে মাঝে সে ভাবতো, ‘এইগুলি আমি কি ভাবতেছি পোলাপানের মত? খুব তো একখান মাছ, মুখে দিলেই শেষ! তার আবার মাথা, হেহ! কিন্তু ঐ পোলাটা এমনে খায় কেন? কি এত স্বাদ? আমি জাউলা, মাছ ধরি তিন পুরুষ আর আমিই খাইতে পারমু না এই কচুর মাথা? কামে কাজে থাকলে তার মনে কিছুই আসে না কিন্তু রাইত হইলেই তার মাথায় ঘুরে মাগুরের কষ্ট। সে ঘুমাইতে পারে না। কয়দিন পোলার লগে খাইতে বসে না। পোলায়ও খুশি। বাপের সামনে সে মজা কইরা খাওয়া দাওয়া করতে পারে না। কিন্তু জাউলা.. হায়রে.. তার মাথা থিকা আর মাগুর যায় না। কাজে কামেও তার মন বসে না, কি এক রাগে ফুসতে থাকে সে সারাক্ষন।
সেইদিন মাছ আইনা ঘরে বইসা জাল বুনতে আছিলো জাউলা। কয়দিন ঘ্যান ঘ্যানের পর মাগুর আনছে সে। মন মেজাজ খারাপ। বউ কইলো, ‘মাছ চড়াইছি, আমি একটু লবণ নিয়া আসি পাশের বাড়ি থিকা। আপনে একটু নামায়া রাইখেন, টাইনা যাইতে পারে।’ জাউলা কিছু কইলো না। জাল বুনতে লাগলো। পোলাটা ঘরেই খেলতে আছিলো। জাউলা কইলো, ‘সারাদিন ঘরে কি করছ, যা বাইরে থিকা ঘুইরা আয়।’
- ‘এহন আর যামু না, খিদা লাগসে। এখন গেলে মায় বকবো।’ কয় পোলা। জাউলা দাঁত ঘসে, কিছু কয় না। একটু পরে কয়, ‘মাছটা একটু নামায়া রাখ.. যা’। পোলা উঠে, চইলা যায় রান্নাঘরে। জাল বুনা শেষ। জাউলা উঠে, আঙ্গুলের মটকা ফুটায়। রান্নাঘর থিকা ধুঁয়া বাইর হইতে দেখে তখনো।
- কিরে! তোরে না কইছি নামায়া রাখতে পাতিল! চিল্লায়া ঢুকে জাউলা রান্নাঘরে।
পোলা তখন খাইতাছিল, তার প্রাণের জিনিস, মাগুরের মাথা। পাতিল চুলাতে রাইখাই। রাগ সামলাইতে পারে না জাউলা। ‘শুওরের বাচ্চা! তোর সখ পুড়ায় না!’ .. বিরাট এক থাপ্পড় দেয় পোলার গালে। গরম ঝোল ভরা পাতিল শুদ্ধা উল্টাইয়া পড়ে পোলা চুলায়। আগুন ধরে তার শরীরে, জ্বইলা উঠে দাউ দাউ কইরা। ঘুরতে থাকে সারা ঘর, তড়পাইতে থাকে মাটিতে পইড়া। জাউলা কিছুই করে না। সে খালি কাঁপে.. আর দেখে। অনেকক্ষন পরে, যখন পোলাটা আর নড়ে না, হাত পা ছড়াইয়া বসে সে মাটিতে। গরম ঝোল তখন গড়াইয়া যাইতাছিল কাটা নালার দিকে। জাউলা দেখে.. মাটিতে ঝোল, মাগুর আর তার কয়লা কালা পোলা। একটা মাছ তুইলা নেয় সে হাতে। পোলারে দেখে, চোখ মেইলা দেখতাছিল যেন তারে। পিছন দিয়া ঘুইরা বসে জাউলা। কামড় দেয় মাগুরের মাথায়।
গল্পটা শুনছিলাম মায়ের কাছে, সে শুনছিল ছোটবেলায় তার ঠাকুরমার কাছে। আমি নিজের মত কিছুটা পরিবর্তন করলাম। মূল গল্পটায় শেষটা ছিল এরকম .. সেই জাউলা মাথায় কামড় দিয়া বলছিল, 'হা পুত! এই চাড়া চাড়া মাথা খাওয়ার জন্য তোরে মারলাম?' সেই জাউলা আর তার বউ নাকি হা পুত হা পুত কইরা ঘুরতো নদীর ধারে। এমনেই একদিন তারা পাখি হইয়া গেল। লোকে বলত কুক্কা পাখি। মুখে তাগো সেই থিকা 'পুত' 'পুত' ডাক।
মন্তব্য
আহারে মাগুরের মাথা!
আহা!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডরাইসি.........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হে হে
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গা কাঁটা দিয়ে উঠেছে...
এইরকম আরো কিছু গল্প আছে? জড়ো করে একটা বই করেন না... পুরনো মানুষদের মুখে মুখে ফেরা গল্প, হোক সেটা ভূতের, হোক এরকম লোককথা বা আর কিছু...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মায়ের কাছে শোনা গল্পগুলা আরো লিখুম, গুছায়া আন্তাসি
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভয়ন্কর !!
আসলেই..
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লোকশ্রুতিতেই এমন আমাদের ফোক ম্যাজিক রিয়্যালিজম!
পরথমে পড়তে পড়তে ভাবতেছিলাম মজা কইরাই, যে- কোনোদিন একসাথে দুইটা মাগুর বাড়ি আনলেই তো পারতো, পোলারে একটা দিলে আরেকটা মাথা সে খাইতে পারতো! কিন্তু, পরে পুরাটা শেষ কইরা এই জাদুবাস্তবতার ধাক্কায় আসোলে বেশ ঘুইরা গেছি আমি। তাই, ধইরা ন্যান- ওই খুনসুটি-মার্কা হুদাই-প্রশ্নটা আসোলে আমি তুলিই নাই। :)
আমি বরং স্পৃষ্ট হৈছি।
(চলুক)
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ধন্যবাদ :)
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বেশ আমোদেই পড়ছিলাম, শেষটা যে এমন ভয়ংকর হবে ভাবি নি। অসম্ভব সাবলীলভাবে লিখেছেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ :)
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
Lina Fardows
গল্পটা শুনে লেখা হলেও প্রেজেন্টেশনটা খুব চমৎকার। ভাল লাগল।
Lina Fardows
জেনে আমারো
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- হুমম
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুদাই? মরা? মমিন? :(
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ছোটবেলায় কখনো নানার আর কখনো নানীর কোলের মধ্যে ঢুকে কিসসা শুনতাম। প্রায় সেই সময়ে চলে গেলাম আপনার গল্প বলার ঢঙে। খুব ভাল উপস্থাপনা, খেঁকশিয়াল।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
অনেক ধন্যবাদ আনিস ভাই
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বাংলার অনেক গ্রামেই এ জাতীয় অনেক গল্প প্রচলিত আছে...
খেকশিয়ালের চমত্কার উপস্থাপনা ভালো লাগলো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ধন্যবাদ
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডাঙ্কে কমরেড, চমৎকার গল্পটার জন্য।
এরকম মাল মশলা আরো যা আছেন, ছাড়তে থাকেন...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ছাড়ুম, কিন্তু কমরেড আপ্নে অনুবাদ অফ করলেন কেন ? মাইরা বেশীরেড কইরা দিমু এক্কেরে
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কতদিন পরে ফিরে গেলাম সেই শৈশবের কিচ্ছার আসরে...
০২
শিয়ালের রং একটা হলেও খেকশিয়ালের বর্ণ অনেক বেশি....
ইয়ে .. শরম পাইলাম :D
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
(গুলি)(গুলি)(গুলি)
:D
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এটা লোকগল্প! অসাধারণ রে, ভাই!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? :-?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? :-?
গল্পগুলা আসলেই বেশী বেশী জোস! আরো কিছু লোকগল্প আছে, আগে শুনতাম মার কাছে, অনেকগুলি ভুইলা গেসি, আবার জিগাইতে হইবো মারে।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শুনছিলাম এইটা ছোটকালে... এখন পইড়া সেইরকম মজা পাইলাম ... :D
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
:D
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শেষটা বেশী জোস। হিউমার থেকে হঠাৎ করে ট্রাজেডী। একেবারে ইউ টার্ন। ফাটাইসস।
___________________________________
স্বপ্ন নয়, - শান্তি নয়, - কোন এক বোধ কাজ করে মাথার ভিতরে!
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
থেঙ্কু দোস্তো
ওই তোর না আরো অনুবাদ দেয়ার কথা!! লেখ ব্যাটা!!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দেশী চ্যআনেলগুলার কোনটাতে জানি একবার দেখলাম হরর নাটক চলতাছে, হরর থেইকা কমেডি শো বেশী মনে হইছিল। তুই এক কাম কর, তুই ঐ সিরিজ ভূতের নাটকের নাট্যকার হইয়া যা। মাগনা মাগনা ফিরি ফিরি জটিল আইডিয়া দিলাম, এরপরে কইছ না খালা তোর ভালু না!
দৃশা
আঙ্গো খালা ভাআআলাআআ..
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সর্বনাশ !
শেষটা এরকম হবে ভাবিনি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুন একটা লোকগল্প।
এখানে একবার জাদুবাস্তবতা নিয়া বিস্তর কথা হয়েছে। সবি নাকি আমদানীকরা ফর্মেশন।
এই লোকগল্পের জামানায় লাতিন দেশ থেকে কে এই ফর্মেশন আমদানী করছিলো?
খেকু, গ্রেট কাজ হইতেছে। চলুক।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হরেন্ডাস
(Y)
পোলাডা মইরাই গেলো! ধুর, কষ্ট পাইলাম।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
(Y)
শেষটা ভীষণ ভয়াবহ......
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন