বহুকাল পূর্বের কথা। ভারতবর্ষের কৌশাম্বি নগরে সহস্রমাল্য নামে এক তস্কর বাস করিত। চুরি করিয়াই সে জীবন ধারণ করিত আর গৃহে বৃদ্ধা জননীর দেখাশোনা করিত। এক রাত্রে সহস্রমাল্য চুরি করিতে বাহির হইল। এদিক ওদিক চাহিয়া, কাউকে না দেখিতে পাইয়া সে এক স্বর্ণকারের দোকানের ছাদে উঠিয়া বসিল। কিন্তু সহস্রমাল্য জানিত না, সেইদিন দোকানে স্বর্ণকারের ছেলে ঘুমাইয়া ছিল। সহস্রমাল্য অতি সন্তর্পণে ছাদে গর্ত করিতে লাগিল। কিন্তু সে গর্ত করিবার শব্দেই সেই স্বর্ণকারের ছেলে জাগিয়া গেল। উঠিয়া দেখিল, ছাদে একখানা গর্ত এবং তা হইতে কার একখানা পা ঝুলিতেছে। তড়িৎগতিতে সে লাফ দিয়া পা খানা চাপিয়া ধরিল, বলিল, "ধরিয়াছি!" সহস্রমাল্য এমনিতেই ঝুলিতেছিল, তদুপরি পায়ে টান খাইয়া সে ব্যথায় চিৎকার করিতে লাগিল। স্বর্ণকার পুত্রের করুণা হইল, সে সহস্রমাল্যকে ছাড়িয়া দিল। ভাবিল, চোর মহাশয় বেশ ভয় পাইয়াছে, এই কয়দিনে হয়ত আর চুরি করিবে না।
এইদিকে সহস্রমাল্য প্রকৃতই বেশ ভয় পাইয়াছিল। পা ছাড়া পাইয়াই সে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়পূর্বক বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করিল। ভয়ে কাঁপিতে কাঁপিতে মাকে বলিল, "মাতঃ! ..আজ আমাকে ধরিয়া ফেলিয়াছিল! কিন্তু.. কিন্তু আবার ছাড়িয়াও দিল! সেই লোক যদি প্রহরী ডাকিয়া আমাকে ধরাইয়া দিত, আমি এতক্ষনে কারাগারে থাকিতাম!" জননী বলিলেন, "সবই ভাগ্য বৎস! কিন্তু তুমি ভয় পাইয়ো না, এই পেশায় তোমাকে ভয় পাইলে চলিবে না। .. যাক ভালই হইল। এখন হইতে তুমি আরও ধীর স্থির মস্তিষ্কে চিন্তা ভাবনা করিয়া অগ্রসর হইবে, তবেই সাফল্য লাভ করিবে। আমি জানি, তুমিই পারিবে।" বলাই বাহুল্য, সহস্রমাল্যের এই চৌর্য্যবৃত্তিতে তাহার জননী ছিলেন একমাত্র অনুপ্রেরণাদাত্রী।
মাতৃদেবীর কথায় আপ্লুত হইয়া সহস্রমাল্য অনেক ভাবিল। আর একদিন প্রত্যুষে, আগে হইতে ধার করা জমকালো পোশাক পরিধান করিয়া সে শহরের এক নামী নরসুন্দরের দোকানের সামনে দিয়া বেশ গুরুগম্ভীর ভাব নিয়া হাঁটিতে লাগিল। নরসুন্দর তাহাকে দেখিল, ভাবিল, 'উচ্চবংশীয় হইবেন বোধকরি..' আর বলিল, "মহাশয় কি ক্ষৌরকার্যসাধন অভিপ্রায়ে আসিয়াছেন? এইদিকে আসুন.."। সহস্রমাল্য দোকানে ঢুকিল, আসনে উপবিষ্ট হইয়া বলিল, "ক্ষৌর.." অনেক সময় নিয়া নরসুন্দর তাহার ক্ষৌরকর্ম সম্পন্ন করিল। নরসুন্দর ভাবিল, অনেক নিপুণ কাজ করিয়াছি। সহস্রমাল্য উঠিয়া দাঁড়াইলো, কহিল, " তোমার হাতের কাজ চমৎকার। আমি অনেক খুশি হইয়াছি। আমি তোমাকে পুরস্কৃত করিব। তোমার ছেলেটিকে আমার সহিত প্রেরণ কর, তাহার হাতেই আমি পুরস্কার দিব।" নরসুন্দর করজোড়ে গদগদ কন্ঠে কহিল, "মহাশয়ের অনেক দয়া.."।
সহস্রমাল্য দোকান হইতে বাহির হইয়া নরসুন্দরপুত্রকে সাথে করিয়া হাঁটিতে লাগিল। হাঁটিতে হাঁটিতে সে এক বস্ত্রবিপণীর সম্মুখে উপস্থিত হইল। দোকানীকে বলিল, "আমি কিছু পরিধানের বস্ত্র কিনিতে চাই, সবচাইতে উৎকৃষ্ট কিছু.. দেখিতে পারি কি?" বণিক শশব্যস্ত হইয়া পথ করিয়া দিতে দিতে সহস্রমাল্যকে নিয়া ভিতরে প্রবেশ করিল। নরসুন্দর পুত্র কোনদিন এত সুন্দর বিপণীতে আসে নাই, অবাক হইয়া এদিক ওদিক ঘুরিতে লাগিল। তস্কর সহস্রমাল্য বাছিয়া বাছিয়া সবচাইতে সুন্দর আর দামী বস্ত্রগুলা পৃথক করিল আর বলিল, "এইগুলা বাঁধাই করিয়া দিন। কিন্তু একটা কথা.. আমি সঙ্গে অর্থ নিয়া আসি নাই.. যদি কিছু মনে না করেন.. অতি নিকটেই আমার বাটী ।" তারপর সে অনতিদূরে নরসুন্দরপুত্রকে দেখাইয়া কহিল, " আপনি যদি আমার পুত্রটিকে দেখিয়া রাখেন তা হইলে আমি বাটী হইতে অর্থ নিয়া আসিতে পারি।" বণিক ভাবিল মন্দ কি, কহিল, "বেশ!" সহস্রমাল্য বালককে বলিল, "এইখানে অপেক্ষা কর, আমি আসিতেছি"। বণিক কহিল, "আপনি চিন্তা করিবেন না, আমি লক্ষ্য রাখিব।"
সহস্যমাল্য উৎফুল্ল চিত্তে বিপণী হইতে বাহির হইয়া সোজা বাটীতে প্রত্যাবর্তন করিল। সকল দামী বস্ত্র জননীকে দিয়া কহিল, "মাতঃ, সকলই আপনার জন্য।" জননী অতীব প্রীত হইলেন, কহিলেন, "দারুণ বৎস! দেখিলে তো? কিভাবে ধীর স্থির মাথায় বুদ্ধি করিয়া তুমি সফল হইলে? মনে সর্বদা আত্মবিশ্বাস রাখিবে, তবেই সকল কার্যে সফল হইবে।" সহস্রমাল্য জননীকে কহিল, "মাতঃ, কাল প্রত্যুষে আপনি নগরে যাইবেন আর এই জানিবেন, সকলে এই চুরি নিয়া কি বলে.." জননী কহিল, "অবশ্যই!"
এইদিকে সেই বিপণীতে বণিক ততক্ষনে ভাবিতে শুরু করিয়াছে- মহাশয় গেলেন, এখনো আসিলেন না.. কি হইল.. ভুলিয়াই গেলেন.. না কি.. । সে বালকটিকে বলিল, "আমাকে তোমার পিতার নিকট লইয়া চল।" অতঃপর দুইজনে বাহির হইয়া পড়িল। বালক বস্ত্রবণিককে লইয়া তাহার নরসুন্দর পিতার নিকট উপস্থিত হইল, বলিল, "এই যে, আমার পিতা.." বণিক তো নরসুন্দরকে দেখিয়া চক্ষু কপালে তুলিয়া বলিল, "কি বলিতেছ? ইনি তো তোমার পিতা নহেন! ইনি তোমার পিতা হইবেন কেন?" ততক্ষনে নরসুন্দর তাহার পুত্রকে আগুন্তুকের সহিত দেখিয়া কাছে আসিয়াছে, আগুন্তুকের কথা শুনিয়া সে বিষম রাগিয়া গেল। কহিল, "আপনার স্পর্ধা তো কম নহে! অবশ্যই আমি উহার পিতা!" তারপর পুত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন, "পুত্র, কে এই আগুন্তুক? আর তুমি যে সেই যুবকের সহিত পুরস্কার আনিতে গেলে তাহাই বা কই?" বণিক তখন কহিল, "কোন যুবক!" তারপর তাহাদের দুইয়ে দুইয়ে চার করিতে বেশী সময় লাগিল না। উভয়েই বুঝিল তাহারা উত্তমরূপে ঠকিয়াছে। ক্ষুব্ধ হইয়া তাহারা রাজার নিকট নালিশ করিতে চলিল।
রাজা সব শুনিলেন, বেশ চিন্তিত হইলেন। নরসুন্দর আর বণিক করজোড়ে কহিল, "মহারাজ, দয়া করুন, ইহার একটা বিহিত করুন!" তক্ষনে সভায় এক অশ্ববণিক উপস্থিত ছিল। সে কহিল, "মহারাজ, একজন তস্করের আজ হোক বা কাল, শীঘ্রই তাহার অশ্বের দরকার হইবে। আমি দেখিয়াছি, আমি জানি। তাহার এখন অর্থ হইয়াছে, সে যদি সত্যই অশ্ব কিনিবার অভিপ্রায়ে আমার নিকট আসে, আমি নিশ্চয়ই তাহাকে ধরিব!" খবর ছড়াইয়া পড়িল সেই সন্ধ্যায় রাজার প্রধান নর্তকীও আসিয়া কহিল, "মহারাজ, এই তস্করের কিছুদিন হয় টাকা হইয়াছে। সে নিশ্চয়ই তা উড়াইতে আমার বাটীতে আসিবে। যদি সত্যই আসে, আমি তাহাকে ধরিব আর আপনার নিকট সমর্পণ করিব।" চারিদিকে দ্রুত খবর ছড়াইয়া পড়িল, সবাই জানিল রাজ্যে এক চতুর তস্করের আবির্ভাব হইয়াছে, এক অশ্ববণিক আর নর্তকী রাজাকে সাহায্য করিবেন বলিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন। সহস্রমাল্যের জননীও সব শুনিলেন। বৃদ্ধা আসিয়া সবকিছু সহস্রমাল্যের নিকট খুলিয়া বলিলেন, কহিলেন, "বুঝিলে তো! তোমাকে আরো সাবধান হইতে হইবে।" সহস্রমাল্য স্মিত হাসিয়া কহিল, "মাতঃ, চিন্তা করিবেন না। ইহাদের সহিত যখন শেষ করিব, ইহারা কপাল চাপড়াইয়া দুঃখ করিবে, কহিবে- কেন উহার পথ মাড়াইতে গেলাম.."
(চলিবে)
মন্তব্য
মজার হচ্ছে।
ছাদ-এ চন্দ্রবিন্দু নেই, লাগালে মানে হয়ে যায় ছিরিছাঁদ।
আমিও তাই জানতাম কিন্তু লিখতে গেলেই আপনিতেই চন্দ্রবিন্দু আসছিল তাই বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম, ঠিক করে দিলাম ধন্যবাদ
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হা হা হা , বড়ই মজার হইয়াছে।
শুধুকি তারাই ঠকিয়াছে, শেয়ালমামা তো জবর খেলা জমাইলা, মুলা দেখাইয়া চা পান করিতে গেলা, এখনতো আমিও বলিতেছি, কেন পড়িতে গেলাম, 'চলিবে' দেখিলেই যে আমার আত্মার মদ্ধিখানে ছ্যাৎ করিয়া উঠে!!! বেশীদিন অপেক্ষা না করিতে হইলেই বাচি।
ধন্যবাদ, বেশী অপেক্ষা করিতে হইবে না, আজ রাতেই আবার নিয়া বসিব।
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ওরেরেরেরেরেরে...... চমৎকার!!!
পন্ডিত মশাই একটা কাজের কাজই শুরু করলেন!!!!
ঘোড়ার মত দৌড়াক!!!
পাঁচ তারা!
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বনিক নাকি বণিক?
সবজান্তা বনিক
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বণিক
হাহা বণিকই লিখছিলাম, তবে যাদের টাইটেল বনিক , ওইটা দেইখা কনফিউসড হইয়া গেছিলাম।
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- নেক্সট...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসিতেছে...
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
চমৎকার লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
উত্তম হইয়াছে। 'তো' এর বদলে 'তাহার পরে' ব্যবহারের উপদেশ (ধুরু, রিকমেন্ডেশনের বাংলা কি) রইল।
'প্রস্তাবনা' হতে পারে।
তাহার পরেটা দেখলাম ঠিক খাটে না, আপাতত তো'ই থাক, সাধু ভাষায় তো কি গুরুচন্ডালী হইয়া যায়? অন্যরা কি বলেন ?
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
"অত:পর' ব্যবহার করবেন কিনা ভেবে দেখতে পারেন৷
------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আহারে এই শব্দগুলি যে কই ঘাপটি মেরে থাকে! অনেক ধন্যবাদ দময়ন্তী!
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভাষা ও বর্ণনা চমৎকার। তবে এই ভাষায় "মাতাশ্রী" শব্দটি নেই বলেই জানি। শ্রীযুক্ত এই সম্বোধনগুলোর আবিষ্কারক সম্ভবত একতা কাপুরের হিন্দী সিরিয়ালগুলো। শব্দটি সম্ভব হলে পালটে দিন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দোষ দিলে রামানন্দ সাগরকে দেন, রামায়ণ থেকেই চালু হয়ে গেছে শালাশ্রী ননদশ্রী তালুইমশাইশ্রী।
মাতাশ্রী কিন্তু মানাইছিল, তবে একতা কাপুর কি বস্তু জানি না, রামানন্দ সাগরই আবিষ্কারক, যা হোক বাদ দিলাম। ধন্যবাদ পান্ডবদা।
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গল্পটা জমে গেছে।
চা পানের বিরতিটা শর্ট করেন পন্ডিতজি!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আইজ্ঞা ভাত পায় ন চা খার, হোন্ডা নি টয়লেট যার! মুহুহুহুহু
আইতাসি আইতাসি
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধইনাপাতা
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুন হচ্ছে। আর সাধুভাষায় লেখার ষ্টাইলটিও ভালো জানা আছে আপনার!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ তীরুদা
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সকালেই পড়েছিলাম। পড়ে চরম মেজাজ খারাপ হয়েছিলা। গল্পটা এমন জায়গায় এনে চা খেতে গেলেন যে রাগে আমার.....
একেই বলে "ছাদে তুলে মই কেড়ে নেয়া"।
মই কাইড়া নিসি ত কি হইছে, একটু ডেয়ারডেভিল হন মিয়া, দেখেন না সহস্রমাল্য কেমনে বিল্ডিং বায়! আইতাসি..
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
উত্তম মাতা।
উত্তম পুত্র।
জটিল লাগতেছে। চলার বদলে দৌড়ালে ভালো লাগে পন্ডিতজী।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আইজ্ঞা আইতাসি...
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
তারপর ? তারপর ? তারপর ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
--> --> --->
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব চাই।
চা বিরতি সংক্ষিপ্ত হোক।
চা খাই না, বিড়ি ফুকিয়ারে আসিয়ের..
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খুব ভাল লাগছে, চলুক।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ পুতুল ভাই
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শুদ্ধভাষায় লেখা পড়তে ভারী ভাল লাগল৷
----------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
বেশ হৈছে.........পরেরটা ছাড়েন জলদি।
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
_________________________
সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র
নেক্সট...
জলদি।
লেখাটা যেমন মজা ছিল, কমেন্ট গুলা আরো বেশী মজার। হাসতে হাসতে পেট ফাইটা যাইতাছে, সচল না থাকলে জীবনটাই পাইনশা হইয়া যাইত
সাধুভাষায় অসাধু রচনা? ভাষা এবং সাধুবৃত্তির অপমান?
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সিরিজ শেষ হওয়ার পরে পড়া শুরু করলাম। এই পর্যন্ত পরে মনে হল জমে উঠছে।
কার মায়ের যেন বড় গলা...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ওফ, জটিল। বরাবরের মত লেট কামার হবার লাভ। এখনই দ্বিতীয় পর্ব ধরব। হে হে হে।
___________________________________
স্বপ্ন নয়, - শান্তি নয়, - কোন এক বোধ কাজ করে মাথার ভিতরে!
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
নতুন মন্তব্য করুন