সহস্রমাল্যের কথা : নরসুন্দর বস্ত্রবণিক পর্ব
সহস্রমাল্যের কথা : নর্তকী অশ্ববণিক পর্ব
সহস্রমাল্যের কথা : প্রহরীপ্রধান মহারাজ পর্ব
----------------------------------------------
রাজার মুকুটের পাথর আর অলংকারাদি থলেতে পুরিয়া রাত্রিকালীন শীতল বিশুদ্ধ বাতাস খাইতে খাইতে সহস্রমাল্য তখন আপন গৃহে ফিরিতেছিল। ক্ষণে ক্ষণেই সে আপনমনে হাসিয়া উঠিতেছিল; কিরূপে রাজাকে বোকা বানাইয়াছে সেই কথা স্মরণ করিয়া। সহস্রমাল্য বড়ই খুশি হইয়াছিল। গৃহে আসিয়া যখন সে তাহার পুটুলিখানি খুলিয়া নিঃশব্দে মাতৃদেবীর হস্তে একে একে সব পাথর রত্নাদি সমর্পণ করিতেছিল, বৃদ্ধা বলিয়া উঠিলেন, "করিয়াছ কি? এতো মহারাজের মুকুটের পাথর!" বৃদ্ধা জানিতেন তাহার পুত্র বুদ্ধিমান, কিন্তু এতটা হয়ত তিনিও ধারণা করিতা পারেন নাই। তিনি বলিলেন, "বৎস সহস্রমাল্য! তুমি সত্যই আমাকে অবাক করিলে! তোমার বুদ্ধির নিকট সবাই তুচ্ছ! যে কিনা রাজাকেই বোকা বানাইতে পারে, তাহার সম্মুখে আর কে দাঁড়াইবে?"
এত বড় প্রশংসা শুনিয়া সবারই আনন্দিত হইবার কথা। কিন্তু সহস্রমাল্য কেন জানি উৎফুল্ল হইতে পারিল না, তাহার হাসিমুখখানি কিঞ্চিৎ মলিন হইয়া গেল। সে ভাবিল, 'তাইতো.. আর কেই বা দাঁড়াইবে?'
জননী সহস্রমাল্যের মুখ দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, "কি হইয়াছে বৎস, নিশ্চুপ হইলে কি কারন?" সহস্রমাল্য কহিল, "মাতঃ.. ভাবিতেছি রাজাকেই তো হারাইয়া দিলাম.. আর এখন কাহার সহিত লড়িব? আর কোথায়ই বা চুরি করিব.. কেমন জানি উৎসাহ পাইতেছি না.. মনে হইতেছে যেন যাত্রার শেষে আসিয়া দাঁড়াইলাম.."। সহস্রমাল্য ধীরে ধীরে নিজঘরে চলিয়া গেল, জননী ভাবিলেন, 'ও কিছু নয়! নিশ্চয়ই প্রাতে ঠিক হইয়া যাবে।'
জননী ঠিকই ভাবিয়াছিলেন। কয়দিন পরই সহস্রমাল্য আবারও তাহার শিকার ধরিতে বাহির হইল। সেইদিন সহস্রমাল্য ঘুরিতে ঘুরিতে এক জায়গায় আসিয়া দেখিল সেইখানে বহু লোকের সমাগম ঘটিয়াছে। সে ভাবিল, "ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলিতে হইবে! এতগুলা লোক একসাথে এক জায়গায় দাঁড়াইয়া আছে। যাই গিয়া দেখি কাহারা কতটা ধনী, তাহাদের গৃহে গিয়া দেখি কি লইতে পারি!" ধীরে ধীরে যখন সহস্রমাল্য ভীড়ে মিশিতেছিল, দেখিল সবাই এক শ্বেতবস্ত্র পরিহিত মুন্ডিতমস্তক এক সন্ন্যাসীকে ঘিরিয়া দাঁড়াইয়াছে। সন্ন্যাসী বৃক্ষতলে পদ্মাসনে উপবিষ্ট হইয়া আছেন। তাহার শান্ত সৌম্য মুখখানিতে কি যেন এক দ্যুতি। সহস্রমাল্য অবাক হইল, ধনী শিকারের পরিবর্তে সেও দাঁড়াইয়া পড়িল। যদিও সে তখনও জানিত না- ঠিক কি কারনে।
অতঃপর সন্ন্যাসী মুখ খুলিলেন, তাহার বচন সহস্রমাল্যকে মুগ্ধ করিল। নিজমনেই সে স্বীকার করিল, এরূপভাবে সে কখনও আর কাউকে কথা বলিতে শুনে নাই। সন্ন্যাসী বলিতে লাগিলেন,
"..ভ্রাতঃসকল, আমরা যেন লক্ষ্য রাখি.. লক্ষ্য রাখি যেন আমাদের কোন ক্রিয়া দ্বারা অপর কেহ আহত না হয়। তোমার যেরূপ জীবনানন্দে অধিকার আছে, অন্যদেরও তেমনই আছে। কেহ যদি তোমার মূল্যবান কিছু আত্মসাৎ করে, তুমি কি আনন্দিত হইবে?"
সহস্রমাল্য মনে মনে কহিল, "কখনই নয়.."
সন্ন্যাসী কহিয়া গেলেন, "..এই কারনেই তোমারও কারো কিছু আত্মসাৎ করা উচিত নয়..."
সহস্রমাল্যের মাথায় যেন বজ্রাঘাত হইল! সে ভাবিল, 'তিনি কিভাবে এই কথা বলিলেন! চৌর্য্যবৃত্তিই আমার পেশা, আমার জননী কহিয়াছেন চুরিই আমার একমাত্র কাজ!'
সন্ন্যাসী বলিতেছিলেন, "... তোমার কখনই কারো সহিত এমন কিছু করা উচিত না, যা তুমি চাহিবে না কেহ তোমার সহিত করুক। ..তোমার কাছে যা কষ্টদায়ক, সমভাবে তা অন্যের নিকটেও কষ্টদায়ক.."
সহস্রমাল্য বিমর্ষ হইয়া পড়িল, ভাবিল, 'তবে কি আমার মাতা সারাজীবন আমাকে অসৎপথে চালিত করিয়াছেন? তিনিতো কখনও আমাকে এইরূপ কিছু বলেন নাই!.. তাহাকেও কি কেউ ভ্রান্তপথে চালিত করিয়াছিল?' একে একে সহস্রমাল্যের সব কথা মনে পড়িয়া গেল। যে সহস্রমাল্য কখনো এক কাজ করিয়া দুইবার ভাবে নাই, সে তার পূর্বের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হইতে লাগিল। তাহার মনে পড়িল সেই ক্ষৌরকারের কথা, সরলমনে পুরস্কারের নিমিত্তে যে তাহার সন্তানকে তাহার সহিত প্রেরণ করিয়াছিল, সেই বস্ত্রবণিকের কথা যাহার দোকান সে প্রায় শূন্য করিয়া ফেলিয়াছিল। সেই নর্তকীর কথা যে কিনা বিনা বাক্যব্যয়ে তাহাকে অলংকারাদি ধার দিয়াছিল, সেই অশ্ববণিক যাহাকে ব্যবহারে ভুলাইয়া সে তাহার অশ্বচুরি করিয়াছিল, প্রহরীপ্রধান, তাহার স্ত্রী, আর রাজা সবার কথাই তাহার একে একে মনে পড়িতে লাগিল। সে ভাবিল, "উহারা সকলেই আমার মতই মানুষ, তাহাদেরও আমার মতই কষ্ট আনন্দ অনুভূতি আছে। তাহারা সকলেই আমাকে বিশ্বাস করিয়াছিল। আমি তাহাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়াছি। ... সেই রাত্রে স্বর্ণকারপুত্র করুণাবশবর্তী হইয়া আমাকে ছাড়িয়া দিয়াছিল। কিন্তু আমি আমার কোন শিকারের প্রতি বিন্দুমাত্র করুণা করি নাই।"
এইভাবে সহস্রমাল্য যখন বিবেকের দংশনে জর্জরিত হইতেছিল, সেই সন্ন্যাসী তাহার বচন শেষ করিয়া চলিয়া যাইতেছিলেন। সহস্রমাল্য দেখিয়া দৌঁড়াইয়া ডাকিয়া উঠিল, "প্রভু!" ছুটিয়া আসিয়া তাহার চরণে পড়িয়া কহিল, "আমি পাপী..আমাকে উদ্ধার করুন, আমাকে আমার পথের সন্ধান দিন..." সন্ন্যাসী বলিলেন, "উঠ বৎস, কি হইয়াছে তোমার?" সহস্রমাল্য কহিল, "আপনার বচনে, প্রতিটা শব্দে আমার হৃদয় দ্রবীভূত হইয়া গেছে, কিন্তু তাহারা কি আমার পাপও সমভাবে ধুইয়া লইয়া যাইতে পারে?" সন্ন্যাসী সহস্রমাল্যের হাত ধরিয়া দাঁড় করাইলেন, কহিলেন, "কেন নয়.. তুমি যদি তোমার কৃতকর্মের জন্য সত্যই অনুতপ্ত হও, যদি সত্যই তোমার পাপ দূর করিতে চাও তবে তা সম্ভব বৈকি। তবে বৎস, যদি সত্য সত্যই তুমি সুপথের সন্ধান চাও তবে আমি যাহা বলিব তোমাকে তাহাই শুনিতে হইবে।"
আস্তে আস্তে সূর্যদেব ডুবিয়া গেলে সন্ধ্যা নামিয়া আসিল। বনপ্রান্তে শুধু দাঁড়াইয়া রহিল দুইটি মূর্তি, সহস্রমাল্য আর সন্ন্যাসী। সন্ন্যাসী সহস্রমাল্যের সব কথা শুনিলেন, তাহাকে কি করিতে হইবে সব বুঝাইয়া বলিলেন। এই সন্ন্যাসী কোন সামান্য সন্ন্যাসী ছিলেন না, ইনি ছিলেন জ্ঞানী এক সাধু। সবাই ডাকিত, পূণ্যাত্মা বসুধা।
পরদিন বসুধা এক মন্দিরের নিকটে পুনরায় বচন দিবার নিমিত্তে আসিয়াছিলেন। সেইস্থলে বেশ জনসমাগম হইয়াছিল, সবার সম্মুখে রাজাও উপবিষ্ট ছিলেন। সহস্রমাল্য দ্বারা লুন্ঠিত হওয়া অবধি তিনি লজ্জায় আহার নিদ্রা ত্যাগ করিয়াছিলেন। বচন শেষ হইলে রাজা উঠিয়া আসিলেন, কহিলেন, "সাধু, আপনি জ্ঞানশ্রেষ্ঠ, আমাকে সেই দুষ্ট তস্করটিকে খুঁজিয়া পাইতে সাহায্য করুন.." বসুধা বলিলেন, "রাজা, যদি বলি তাহাকে পাওয়া গেছে?" তারপর ভীড় হইতে অবনতমুখ সহস্রমাল্যকে সম্মুখে নিয়া আসিয়া বলিলেন, "এই সেই ব্যক্তি.. যাকে আপনি খুঁজিতেছেন" রাজা যারপরনাই বিস্মিত হইলেন, কহিলেন, "কি বলিতেছেন!" উত্তরে সাধু হাসিলেন কেবল। রাজা বুঝিলেন সাধু কখনই মিথ্যাচার করিবেন না, সম্বিৎ ফিরিয়া পাইয়া তিনি চিৎকার করিলেন, "রক্ষী! রক্ষী!" বসুধা বাদ সাধিলেন, বলিলেন, "রাজা! রক্ষীদের আর প্রয়োজন হইবে না। এই ব্যাক্তি বহু আগেই আত্মসমর্পণ করিয়াছে। সে বড়ই অনুতপ্ত। তাহার নাম সহস্রমাল্য।" সহস্রমাল্য আসিয়া রাজার পায়ে পড়িল, কহিল, "রাজন, আপনি যাহা বলিবেন তাহাই হইবে, আমি সকল শাস্তি মাথা পাতিয়া লইব।" সহস্রমাল্যর জননীও ভীড়ের মধ্যে ছিল, তাহাকে দেখাইয়া সহস্রমাল্য কহিল, "ইনি আমার মাতা, যে সকল ধন সম্পদ আমি চুরি করিয়াছি, সকলই আমরা তাহাদের অধিকর্তা-কত্রীর নিকট ফিরাইয়া দিতে নিয়া আসিয়াছি।" রাজা ততক্ষণে ক্রোধ সংবরণ করিয়া সব শুনিতেছিলেন, তিনি বলিলেন, " তুমি যখন স্বেচ্ছায় ধরা দিয়াছ.. কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হইয়াছ আর যখন পূণ্যাত্মা বসুধা স্বয়ং তোমার জন্য বলিতেছেন, আমি তোমাকে ক্ষমা করিলাম।" সহস্রমাল্যের চক্ষু আনন্দাশ্রুতে পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছিল, সে করজোড়ে কহিল, "রাজা, আপনি প্রকৃতই মহান, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ.." রাজা কহিলেন, "তোমার পরিবর্তনে আমি আনন্দ বোধ করিতেছি। তবে তোমার বুদ্ধির প্রশংসা না করিলেই নয়, তোমার বুদ্ধির কাছে আমাকেও হার মানিয়া নিতে হইয়াছিল। আমি তোমাকে আশীর্বাদ করি সহস্রমাল্য তুমি সুখী হও, সকলের সুখের কারন হও.. আর সম্মানের সহিত বাকি জীবন অতিবাহিত কর।"
আর বাস্তবিকই, সহস্রমাল্য আর তাহার জননী তাহাদের বাকি জীবন সৎপথে চলিয়া, সকলের সাহায্য করিয়া বেশ সুখেই অতিবাহিত করিয়াছিল।
(সমাপ্ত)
অমর চিত্র কথা'র sahasramalla কমিক্স অবলম্বনে
মন্তব্য
বাঃ বাঃ খাসা হলো।
আরেকটা এই রকম গল্প, বেশ অ্যাকশন-প্যাকড, শুরু করেন চটপট।
হায় হায় শেয়াল মামা , তুমি শেষ কইরা দিলা, হায় হায়, কী সর্বনাশ, তবে জব্বর হইছে।
শেষ হইছে? এইবার তাইলে পুরাটা পড়বো একবারে
আজকে রাতেই...
তখন কমেন্টাবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হায় টুইস্টের কী হইল!
শেষটা ম্যাড়মেড়ে লাগল এইটাই কি সেই টুইস্ট বস?
হ রে ভাই এই ম্যাড়মেড়ে ব্যাপারটাই টুইস্ট
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পুরা সিরিজিটাই সিরাম হইছে। তয় কেন জানি সাধু সন্ন্যাসী হয়া যাওনের কথা শুইনা দুঃখ পাইলাম।
চুরি করা কি এতোই খারাপ ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সব মিলিয়ে সিরিজটা খুবই ভালো লাগলো। মজাদার কাহিনী, সহজ ভাষা, সুলেখনী সব মিলিয়ে চমৎকার।
ছোট্ট একটা কৌতুহল, গল্পটি কি অনুলিখন, না মৌলিক?
তবে যেটাই হোক না কেন, এরকম গল্প গোগ্রাসে পড়ব। আর খেকুদাকে অনেক, অনেক ধন্যবাদ এরকম চমৎকার গল্প উপহার দেয়ার জন্য।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
গল্পটা জটিল হইছে মামু !!
তয় রাজাটা একটা ভুদাই ।
আমি রাজা হইলে সহস্রমাল্যরে গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান করতাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এক্কেরে মনের কথাটা কইছ মামু!
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আগের পর্ব পড়েই মনে হচ্ছিল ক্লাইমেক্স আসি আসি করছে। এক বসায় পড়ে ফেলার মত সুন্দর।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ঘোরতর আপত্তি করে গেলাম গল্পটাকে এইভাবে সৎপাথরে আছড়ে মারার জন্য
গল্পটা যতটা ভালোভাবে শুরু হয়েছিল ততটাই বাংলা সিনেমা হয়ে শেষ হলো
গুরু আমার কোন দোষ নাই, সব দোষ সহস্রমাল্যের
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লীলেন ভাই, এর উত্তরটা সম্ভবত আমি কিছুটা দিতে পারবো।
আমি যতদূর জানি, এই গল্পটা আসলে অমর চিত্রকথা সিরিজের একটা কমিকসের লিখিত রূপ। তাই মূলানুগ থাকলে, এর অন্যথা করা সম্ভব হতো বলে আমার মনে হয় না, যেভাবেই লিখুক - শেষটা এমন সৎপাথরেই আছাড় খেত।
জৈন উপকথা না বলে যদি উনি জৈন উপকথা আশ্রিত নিজের লেখা গল্প বলতেন, তা হলে হয়তো শেষটুকু নিয়ে আপত্তি জানাতে পারতাম। কাজেই বিরস বদনেই শেষের সিনেমাটুকু হজম করতে হলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এটা যে জৈন উপকথা তা তুমি বলার পর খেয়াল করলাম ট্যাগ পড়ে
আগে খেয়াল করলে হয়তো পড়তামই না
কারণ সৎসংবাদ আর উপদেশ শুনলে গায়ে চুলকায় আমার
বড়ই সত্য কথা লীলেনদা, আসলেও গা চুলকায়।
আসলে সব জৈন গল্পই এরম না, এইডা একটু শেষে আইসা কেমন যেন, অথচ এইটার গল্প অন্যসবগুলার থিকা সেরা, শুধু শেষটা বাদে। বুঝলাম সে অনুতপত হইছে কিন্তু তারপরেও আরো অন্যরকমও করা যাইত।
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লীলেন ভাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করছি।
সব মিলিয়ে সুন্দর গল্প! এবং সুন্দর গল্পবলা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাবছি বাংলাদেশের হীন বুদ্ধি তস্করদের জন্য বসুধাকে আউটসোর্স করা যায় কিনা!
এইটা কি হইলো?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গল্পের মজা আসলে প্রথম তিন পর্বেই শেষ, আমার ভুল হইছে যে আমি এই শেষ পর্বের সূচনায় পাঠকরে সতর্কবানী দেই নাই যে এই এন্ডিং হয়ত সবার ভাল লাগব না, কিন্তু আমার কোন দোষ নাই। সৎসংবাদ আর উপদেশে লীলেনদার মত আমার গায়েও খাউজায়। কি করুম, গল্পটাই এমুন
তবে এইটার একটা অল্টারনেট এন্ডিং দেয়া যায় নাকি ভাবতাসি।
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনে বসুধার জায়গায় বসুমতীরে আইনা সহস্রমাল্যরে পেরেমে ফেলাইয়া দেন।
ক্রমে তারে রাজ্যের রাজা কইরা দেন বসুমতীরে বামে রাণী কইরা।
বুড়া রাজার আমলে রাজ্যের যা অবস্থা, ব্রিটিশ অশ্ববণিকেরাই সব খাইয়া যাইবো। বুড়ারে হটাইয়া সহস্রমাল্যরে রজ্য দেন, সে তো সামান্য চোর না, এক বুদ্ধিমান শিল্পীপ্রায় মানুষ। তারপরে মজাটা শুরু হইবে। এমন বুদ্ধিমান লোক অনেক লুপহোল ধরিয়া ফেলতে পারবে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- শেষটা কেমন ম্যাড়ম্যাড়া হইলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পৃথিবীর খুব কম গল্পই আছে,যার শেষ পাঠকের ভালো লাগে। তবে সিরিজটা দারুন হয়েছে।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আগে জানলে এই পর্ব পড়তাম না... আগের পর্বগুলা দূর্দান্ত...
এই পর্বে ম্যাড়ম্যাড়াত্বের জন্য খেকুকে দায়ী করতেছিনা...
অনুবাদ ভালো... কিন্তু সাধু ভাষায় কোথায় কোথায় যেন গড়বড় আছে, পড়তে পড়তে মনে হইতেছিলো... এখন উদাহরণ দিতারুমনা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খেকুদাদা এইটা তো শেষ, নতুন সিরিজ কবে শুরু হইবো??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পোস্টটা পড়েছিলাম আগেই। মন্তব্য করিনি কারণ শেষ পর্ব মজা লাগেনি। সাধু-সন্ন্যাসীদের গালগল্প পড়ার কোন খায়েশ নাই।
এহ্ হে। বেশী শিশুতোষ এন্ডিং হয়া গেল। ওই যে তোর একটা গল্পে বলাকা ব্লেডের চমৎকার ব্যবহার দিয়া সবাইরে যেভাবে ভচকাইয়া দিছিলি, ওইরকম একটা মডিফাইড এন্ডিং দিতি তাইলে জব্বর হইত। যাউক গা, এমনে ত জব্বরের উপর জব্বর হইসে। থ্যাক্স আ লট ফর দ্য স্টোরী !
___________________________________
স্বপ্ন নয়, - শান্তি নয়, - কোন এক বোধ কাজ করে মাথার ভিতরে!
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
নতুন মন্তব্য করুন