সে বেশ আগের কথা। পিচ্চি ছিলাম, টিভিতে ম্যানিমেল, থান্ডারক্যাটস দেখে আনন্দে বগল বাজিয়ে দিন কাটাতাম। ভয় লাগতো শুধু একটা দিনে, মঙ্গলবারই মনে হয়। রাত দশটার পর শুরু হত ঘোস্ট স্টোরিজ। এই সিরিজটা যখন চলতো তখন না থাকতে পারতাম একা, না পারতাম দেখতে। এতই ভয় পেতাম মাঝে মাঝে কানে তুলো দিয়ে রাখতাম, শব্দ শুনলেও ভয় করতো। কিন্তু তারপরও দেখতে ইচ্ছা করতো। আর চুপিচুপি চলে আসতাম মায়ের কাছে। বড় ভাই, বোনের ঠাট্টা তামাশাকে উপেক্ষা করে মায়ের বুকে লেপ্টে, কখনো কাঁথামুড়ি দিয়ে দেখতাম সেই ভয়ানক ভয়ানক পর্বগুলো।
আমাদের বাসার উপরতালায় আরেক ফ্যামিলি থাকতো। ওরাই এনেছিলো মুভিটা। তখন ভিসিপি, ভিসিয়ারের যুগ, ক্যাসেট ভাড়া করে আনা হত। তো উপরতালার বড় ভাই আমার বড় ভাইয়ের সাথে আঁতাত করে এইসব ভয়ানক মুভি দেখে। একগাদা বড় ভাই আর বোনের মাঝে আমি একলা গ্যাদা। সবাই মুভি দেখছে, আমিও দেখছি। একটু দেখার পর বুঝলাম আমার সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। কোথা থেকে পাঁচ বন্ধু বান্ধবী কলেজ ছুটির বন্ধে ঘুরতে এসেছে। সে কিসের ঘুরাঘুরি, ভুত তাদের নিয়ে ছোড়াছুড়ি করছে রীতিমত! হ্যাঁ মুভিটা ইভিল ডেড। ভয়ে এক দৌড়ে আমি নিচে নেমে এসেছিলাম। তবু মুভিটা দেখতে ইচ্ছা করত। মনে আছে সেইসময় একবসায় মুভিটা দেখে শেষ করতে পারিনি কোনদিন, পুরোটা একবারে দেখেছি তারো অনেক পরে। ইভিল ডেড নিয়ে আমার বন্ধু সুমনের ঘটনা আরো মর্মান্তিক। একরাতে সুমন ওর দুই বড় ভাইয়ের সাথে বসে মুভিটা দেখছিল। ওর কোন ইচ্ছাই ছিল না মুভিটা দেখার, কিন্তু কি করবে। একলা থাকলেই ভয় করে, আর পাশের ঘরেই দুই ভাই ভুতের ছবি দেখছে ভাবলেই তো ভয় লাগে। তো ও দুই ভাইয়ের মাঝখানে বসে চাদরমুড়ি দিয়ে দেখছিল। সুমন বলে, 'দোস্ত কখন ঘুমায়া পড়সি নিজেও জানি না, দেখি কি, অনেক ঠান্ডা লাগতাসে.. ঘুম থিকা উইঠা দেখি আমি বারান্দায় শুইয়া আছি, দরজাও আটকানো। হাউ মাউ কইরা কান্নাকাটি শুরু কইরা দিলাম, মা উইঠা আইসা আমারে উদ্ধার করলো।' সুমন ঘুমিয়ে পড়তেই ওর পাষণ্ড দুই ভাই সুমন কে নিয়ে বারান্দায় রেখে এসেছিল!
আমার বাবার ভুতের মুভি দেখার বেশ ঝোঁক ছিল সেইসময়। মনে আছে বাবা অনেকগুলো ভুতের মুভি একসাথে নিয়ে এসে একটার পর একটা দেখতেন। আমারও খুব ইচ্ছা করত তখন দেখার। দেখতামও কিছু, ভয় লাগতো আবার মজাও লাগতো। আস্তে আস্তে শুরু হল আমার ভুতের মুভি দেখা। মনে আছে একটা মুভি দেখেছিলাম বেশ ভয় পেয়েছিলাম। নামটা ঠিক মনে করতে পারছি না। কাহিনীটা হল এক মেয়ে পয়সাওয়ালা লোকদের বিয়ে করত আর মেরে ফেলতো। গল্পের শুরুতেই সে মেরে ফেলে একজনকে আর এক ওয়াল ভেঙ্গে সেই লাশ প্লাস্টার করে দেয়। শেষে ওই ব্যাটার ভুত মেয়েটাকে ধরলে ভুতের পক্ষেই ছিলাম। কিছু হিন্দী ভুতের মুভিও দেখা হয়েছিল সেসময়, যেমন বিস সাল বাদ, পুরানা হাভেলী। তখন ভয় পেলেও সেদিন এক বন্ধুর সাথে পুরানা হাভেলী দেখতে গিয়ে দুটোয় হাসতে হাসতেই শেষ হয়ে গেলাম। ক্লাস এইট কি নাইনে উঠলে হাতে পাই ওমেন, সেবার তিন পর্বের অশুভ সঙ্কেত। দুইদিন টানা নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে শেষ করি বইটা। এর আরো পরে যখন ওমেনের মুভিগুলো দেখি একদম বইপড়ার মতই ভাল লাগে, তবে শেষ পর্বটা বাদে। আগের বছর বোধহয় ওমেনের ফার্স্ট পার্টটা আবার রিমেইক করেছে, ভাল লাগেনি। তখন ডিশ এন্টিনার যুগ। টিভিতেই দেখতে পেতাম নানারকম হরর মুভি। স্টিফেন কিং এর ক্যারি, জন কার্পেন্টারের ইন দ্য মাউথ অব ম্যাডনেস, প্রিন্স অব ডার্কনেস, ডেমন্স, হাউস অন আ হন্টেড হিল সব ওসময়ই দেখা। ওসময় আরো একটি সিরিজ দেখেছিলাম, যদিও ফার্স্ট পার্টটই ভাল। নাম 'উইশমাস্টার'। এক প্রাচীন মূর্তি থেকে বেরিয়ে আসে এক স্ফটিক। অসাবধানতাবশতঃ ভেঙ্গে উদয় হয় উইশমাস্টার এর। যে যা উইশ করবে তাতেই তথাস্তু করবে সে, যতটা ভয়ঙ্করভাবে সম্ভব।
কম্পিউটার আর সিডির সাথে যখন পরিচয় হল তখন একদইন দেখলাম ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার সেই বিখ্যাত ব্রাম স্টোকারস ড্রাকুলা। অসাধারণ একটা মুভি। ড্রাকুলার ভূমিকায় গ্যারি ওল্ডম্যানের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পিশাচকাহিনী যতগুলো দেখেছি তার মধ্যে এই তিনটাই এই পর্যন্ত ভাল লেগেছে, ড্রাকুলা, ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার আর কদিন আগে দেখা লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন। দেখি এক্সরসিস্ট। খুবই ভয় পেয়েছিলাম এক্সরসিস্ট দেখে। অনেকদিন পর এর পরের প্রিকুয়েলটা দেখেও ভাল লেগেছিল। সেইসময় আরো অনেক হরর মুভি দেখি। কিছু মুভি আছে দেখতে গেলেই বিরক্ত লাগতো, শুধুই কাটাকাটি রক্তারক্তি দেখাতো মুভিগুলোতে যেখানে কাহিনীর আগা মাথা কিছুই নেই। নাইটমেয়ার অন এল্ম স্ট্রিটের কিছু পার্ট ভাল লেগেছিল। জেসনের প্রথমটা মোটামুটি উতরে গেলেও বিরক্ত লেগেছিল এই ধরনের মুভির ধারায়। একজন এসে কপকপ করে এক গ্রুপ বন্ধু বান্ধবীকে খাবে বা খুন করবে, চিরকূট রেখে যাবে 'আমি জানি তোরা সামারে কি াল ফেলেছিলি' , অসহ্য!
ভার্সিটিতে থাকার সময় দেখি দ্য রিং। ভয়াবহ ভাল লাগল, দেখলাম এর মূল জাপানীটা, ওটাও ভাল লাগল। দেখলাম চারটি গল্প নিয়ে অসাধারণ কাইদান মুভিটা। শুরু হল আমার এশিয়ান যত হরর মুভি দেখা। একে একে দেখলাম জু অন (হলিউডী গ্রাজ), APT, দ্য আই, ডার্ক ওয়াটার, এ টেইল অফ টু সিস্টারস, থ্রি, শাটার, এলোন আরো বেশ কিছু। দেলতোরো'র ডেভিল'স ব্যাকবোন এর তো তুলনা হয় না। স্প্যানিশ একটা হরর সিরিজ পেলিকুলাস পারা নো দোরমিরের লা হাবিতাসিঁও দেল নিনো, পারা এন্ত্রার আ ভিভির পর্বগুলো বেশ লাগলো। মাইকেল জে ফক্সের ফ্রাইটেনার্স মুভিটা আমার আধাখ্যাচড়া দেখা ছিল। এই কয়েকদিন আগে দেখলাম, দারুণ একটা মুভি! শেষ যেকটা ইংরেজী ভাল হরর মুভি দেখেছি সেখানে দ্য মিস্ট, ১৪০৮, ফ্র্যাজাইল, ডেড সাইলেন্সের নাম না বললেই না।
এই পরশু দেখলাম স্যাম রাইমির ড্র্যাগ মি টু হেল। ইভিল ডেড, গিফটের অনেকদিন পর হরর মুভি বানালেন ভদ্রলোক। রাইমির ইভিল ডেড এখন দেখতে বসলে স্পেশাল ইফেক্টের পার্টগুলো দেখলে অবশ্য হাসি পাবে, তবে তার দুর্দান্ত ক্যামেরা অ্যাকশন আর আবহ এখনো ভয় পাইয়ে দেবে। ইভিল ডেড এর পরের পর্বগুলোতে রাইমি অবশ্য হরর থেকে বেশী অ্যাডভেঞ্চার আর হাস্যরস নিয়ে এসেছিলেন। তৃতীয় পর্বটাতো পুরোই হাসির একটা মুভি। শুনলাম ইভিল ডেড রিমেইক হবে আর একই সাথে এর ৪র্থ পর্বও বের হবে। দেখা যাক কি হয়। আচ্ছা ড্র্যাগ মি টু হেল এর কথা যখন উঠল তখন একটা ছোটখাট রিভিউ দেই। গল্পটা তুকতাকের গল্প। অপদেবতার গল্প। গল্পের নায়িকা ক্রিস্টিন একজন ব্যাঙ্ক লোন অফিসার। একদিন অফিসে তার কাছে বাড়ির মর্টগেজের এক্সটেনশনের আর্জি নিয়ে আসে এক জিপসী বৃদ্ধা। কিন্তু ক্রিস্টিন জানে এটা করলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানাজারের পদ তার হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। সে না করে দেয়, বুড়ি ছাড়ে না, একসময় তার পায়ে পরে। তাতেও যখন কিছু হয় না অফিসের পর তাকে ধরে বুড়ি আর অভিশাপ দেয়, 'ছুড়ি! তোকে লামিয়া ধরল বলে!'
মুভিটার মধ্যে রাইমির হররের পাশাপাশি কিছু হিউমারের সেন্সেরও পরিচিয় পাওয়া যায় যখন দেখা যায়, বুড়ির প্রেতাত্মা যখনি ক্রিস্টিনের সাথে হুটোপুটি করে তার চুল এক গাছা না ছিড়ে বিদেয় হয় না। তবে মুভির কিছু জায়গা দেখে বিরক্ত লেগেছে, অনেক অংশই দেখে মনে হয়েছে রাইমি একটু বেশিই মজা করে ফেলছেন, আর একটু সিরিয়াসনেসের দরকার ছিল। এডিটিংটাও কয়েক জায়গায় বেখাপ্পা লেগেছে। তবু মুভিটা ভাল লাগলো। কিছু দৃশ্য দেখে আসলেই ভয় পাবার মত। আর শেষটা আঁচ করতে পারলেও ভাল লেগেছে।
মন্তব্য
আপনারে আমি ভূতের ছবির গুরু মানি।
লেখাটা ভালো লাগছে, বেশ টান টান রিভিউ। তবে ছোট্ট একটা অনুযোগ আছে। আপনি একটু ফাঁকি মারছেন মনে হইছে। লেখাটা আরো একটু সময় নিয়ে, সিকোয়েন্সিয়াল বর্ণনাগুলি আরো ডিটেইলে লিখলে আরো অনেক কিছু জানা যাইতো, আরো মজা আসতো।
আর সবচেয়ে রাগ করছি, যখন দেখছি, আমাদের ( আমার আপনার দুইজনেরই) প্রিয় ছবি হোস্টেলের কথা যখন বলেন নাই
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অত তো মনে করতে পারি না, আর এমনেই আমি ভাদাইম্মা, তাই একটু হালকার উপর ঝাপসা দিয়া দিলাম
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
জোস লাগল লেখাটা।
ভূতের ছবি আমারও খুব ভালো লাগে। আগ্রহ করে দেখি। প্রথম যে ভূতের ছবি দেখি, সেইটা মনে হয় "ব্রাম স্টোকার'স ড্রাকুলা"। বইটা যেমন, মুভিটাও তেমনই। দারুণ।
'ইভিল ডেড' ভাল্লাগে নাই। 'বিশ সাল বাদ' সেই ছোটবেলায় দেখে কী ভয়টাই না পাইসিলাম। এখনও টুকটাক মনে পড়ে। 'ভিরানা', 'নিকিতা' না কি কি যেন নাম ছিল এই সিনেমায়।
'দ্য এক্সরসিস্ট' হুমায়ূন আহমেদের অনুবাদে প্রথম পড়ি। দুর্দান্ত লাগসিল। এরপর মুভিও দেখসি। ভাল্লাগসে। তেমনি 'অশুভ সংকেত' ফাটাফাটি লাগসে। মুভি দেখতে গিয়া 'ওমেন'-এর প্রথম পার্ট বেশি ভাল্লাগসে। রিমেকটা অল্প একটু দেখসি। জমে নাই। 'রিং' দেখিনি, অরিজিনাল জাপানিজ ভার্শন 'রিঙ্গু' দেখসি। সেইরকম একটা সিনেমা।
'এক্সরসিজম অভ এমিলি রোজ' দেখসেন? এইটাও ভাল্লাগসে আমার কাছে। যেদিন দেখসিলাম, রাতে একলা ছিলাম রুমে। ভার্সিটির হলে। ভয় যা পাইসিলাম! মাঝপথে থামায়া দিয়া, মেসেঞ্জারে দেখলাম কে আছে তখন। এক ফ্রেন্ডরে পাইলাম। কিছুক্ষণ আলাপ করলাম, যাতে করে ভয় কমে। এরপর ঘুমাইতে গেলাম গা
এক্সরসিজম অভ এমিলি রোজ দেখসি, দারুণ মুভি, তবে আরেকটু ভাল করা যাইতো মনে হইছে। ইভিল ডেড আসলে তোমাগো এখন ভাল লাগবো না, স্পেশাল ইফেক্টের জায়গাগুলা দেখলে এখন আমাগোই হাসি পায়। তবে তখন ডরায়া জামাকাপড় ভিজায়া ফেলতাম। অ্যান অ্যামেরিকান হন্টেড মুভিটা দেইখো, ভয়াবহ একটা মুভি।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
'অ্যান অ্যামেরিকান হন্টিং' দেখসি। সেইরকম একটা মুভি। ভাল্লাগসে।
ভুতের ছবি দেখলে ভয় লাগে। তাই 'স' জাতীয় মুভি দেইখা স্বাদ মিটাই।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
স ফার্স্ট পার্টটাই ভাল লাগছিল, বাকিগুলা বোগাস। আর এই ধরনের খেলাধূলা টাইপ মুভিগুলার বাবা মুভিগুলা দেইখো। আমি একটাই দেখছি এই পর্যন্ত, ভিন্সেঞ্জো ন্যাটালির 'কিউব', দারুণ লাগছে।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নাম দেন কয়টা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কিউবএরই অন্য পার্টগুলা, একটা দেখসি জুইতের লাগে নাই, ফার্স্ট পার্ট্টাই বস। কিউবরেই এই ক্যাটেগরীর বাবা কয়। স এর ডিরেক্টর জেমস ওয়ানের ডেড সাইলেন্স টা দেইখো, বেশী জোস একটা মুভি।
ওহ, আরেকটা আসে, হেলরেইজার, তবে অনেক ব্লাডি অনেক গোরি, মুভিটা মোটামুটি। তবে বিরক্তিকর সীনে ভরা, বিরক্তিকর কারণ আজিরা বরক্তারক্তি, কাহিনী খারাপ না ।এক পার্টের পর আর দেখা হয় নাই। তবে এইতা কিন্তু পুরাই হরর।
আরো একটা নাম কইসিলো এক বন্ধু এখন খেয়াল নাই, জিগাইতে হইবো।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভূতের ছবি দেখতে আমার ভয় নাই, কিন্তু অধিকাংশ ছবিতেই দেখছি ভয় দেখানোর জন্য সুড়সুড়ির মাত্রা বেশি। এবং অনেকটা ভালগার পর্যায়ে চলে যায়। দেখতে আরাম লাগে না। নোঙড়ামির মতো লাগে। (ভূতের ছবি দেখার অভিজ্ঞতা কম আমার) তাই দেখি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ সুড়সুড়ির মুভিগুলা বাদে অন্যগুলা দেখতে পারেন, ভাল লাগতে পারে
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
'লেট দ্যা রাইট ওয়ান ইন' [url]http://en.wikipedia.org/wiki/Let_the_Right_One_In_(film)[/url] দেখেন, যদিও জানি না এইটা টিপিকাল হরর মুভি কি না, তবে আপনাদের ভাল লাগবে আশা করি। গত কয়েক মাসেরর মধ্যে আমার দেখা সেরা ছবি, এইটা আর 'ডিস্ট্রিক্ট নাইন'
আর জাপানিজ হরর গুলা পুরা সেইরকম, (আন)ফরচুনেটলি আমি 'রিং' অরিজিনাল্টাই আগে দেখসি... দুপুরবেলা, বাড়িভরতি লোকজন... তারপরেও একদম আত্মা কা্পায় দিসিল... বিশেষ করে এন্ডিং টা। জাপানি ভূতগুলার মনে হয় কিছু ফান্ডামেন্টাল সমস্যা আছে...
-তন্ময়
হাহা লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন দেখসি, একটু আগেই এডিট করলাম কয়টা লাইন পিশাচকাহিনী নিয়া আর দেখি আপনি বললেন মুভিটার কথা। ডিস্ট্রিক্ট নাইন দারুণ একটা সাই ফাই বানাইসে, সাই ফাই আর ডকু মিলেমিশে একাকার, জটিল লাগসে।
সহমত
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ইভিন ডেডের শেষ পর্ব ছিল আর্মি অফ ডার্কনেস (৩য় পর্ব), মজার হইসিল ছবিটা। ভয়ের চেয়ে মজাই বেশি পাইসিলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হ, ওইটা মজার হইসিলো বেশ। সেকেন্ড পার্টেই অনেক মজার সীন আসিলো। ওর কাটা হাতটা যে যা পাইতো ওর মাথায় ভাঙ্গতো। ওই সীন দেইখা আমাগো মতন গ্যাদাবাচ্চাগো খুশি আর ধরে না! একটা ভুতের মুভি দেইখা হাসতাসি এর থিকা বড় ব্যাপার আর কি আছে ?
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমার এক রসিক বন্ধু আমাকে জিপারস ক্রিপারস (প্রথমটা) এর সিডি দিয়ে বলসিলো, দারুণ ফানি ছবি, হাস্তে হাস্তে হাস্তে ...। ও জানে আমি অনেক রাত জেগে থাকি আর সিনেমা দেখি। যথারীতি রাত আড়াইটার দিকে দেখতে বসলাম কমেডি দেখার মুড নিয়ে। পরে দেখি টয়লেটে যেতেও ভয় লাগে। হিসি চেপে ঘুমায় গেলাম।
দ্য রিং প্রথম পার্টটাও দেখসি এইরকম গভীর রাতে। তবে সেইবার মুইতা ঘুমাইতে পারসিলাম।
গ্রাজ দেখসি কাসেলে বসে। আমাদের একজন থাকতেন একটা পুরনো চার্চের চিলেকোঠায়, চার্চটা নিজেই ভুতুড়ে, কাঠের গোল সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়, রাতের বেলা নানা শব্দটব্দ হয় ... এক কথায় হড়ড়! সেখানে আমরা সবাই মিলে গ্রাজ দেখছি, আর বাতাসে দরজা নড়ে হুবহু সেই ভূতের গার্গলের মতো শব্দ!
ফ্রাইটেনার্স দেখে ভয় না পেলেও দারুণ লেগেছে।
হাহাহা জিপারস ক্রিপারস রে কইসে কমেডি? হ প্রথমটা দেইখা ভালই ডরাইসিলাম।
ভুতের গার্গল এর সাউন্ডটা অনেকটা আগের বেবি ট্যাক্সির মত না?
ফ্রাইটেনার্স টা আসলে ভয় না, ভুত আসে দেইখা কইসি, সেইরকম একটা মুভি।
ড্রাকুলার কাহিনী নিয়া সেইরকম একটা কমেডি আছে, দেইখেন, Dracula: Dead and Loving It
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লেসলি নিয়েলসেনের প্রায় সব কয়টা সিনেমাই দেখা আমার। আর মেল ব্রুক্স তো সেইরকম এক চীজ!
হরর স্পুফের মধ্যে আমার সবচে প্রিয় হচ্ছে ইয়াং ফ্র্যাঙ্কেনস্টিন (ইট'স প্রোনাউন্সড ফ্র্যাঙ্কেনস্টিন!)। জিন ওয়াইল্ডারের সেরা পারফরম্যান্স বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।
লেসলি নিয়েলসেন, মেল ব্রুক্স সব একেকটা চিজ!
ইয়াং ফ্র্যাঙ্কেনস্টিন দেখসি, হাহা ইগরের চেহারা দেইখাই বেদম হাসি পাইলো আবার।
আরেকটা হরর কমেডির কথা কই, ডন অব দ্য ডেড এর আদলে বানাইসে যেইটা এডগার রাইট। নাম শন অব দ্য ডেড, সিমন পেগ আছে, হেভি মজা পাইসিলাম।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সাইমন পেগের প্রায় প্রত্যেক্টা সিনেমাই মজার লাগসে আমার কাছে। বিগ নাথিং দেক্সো না? তারপর হাউ টু লুজ ফ্রেন্ডস ... আরো কী কী যেন?
'হট ফাজ' হলিউডের একশন মুভিগুলারে ধুইয়া দিসে পুরা!!!! সাইমন পেগ আর নিক ফ্রস্ট দুইখান চিজ রে ভাই। BTW অরা টিন্টিন এর সিনেমাটাতেও থাকব বইলা শুনলাম, অবশ্যই সেই দুই জমজ গোয়েন্দা হিসাবে!!!
-তন্ময়
এই শালা আর নিক ফ্রস্ট এই দুইটার তুলনা হয় না, হট ফাজ দেখার পর থিকা পেগের আর কোন মুভি মিস দেই না।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমি ভূত বিশ্বাস করিনা তবে ভূতে ভয় পাই। ছোটবেলায় সত্যজিতের কিছু ছোটগল্প পড়ে ব্যাপক ভয় পাইছিলাম!
এইখানে যেগুলানের নাম দিছেন সবই দেখছি...'লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন' খুব ভাল লাগছে...তাই রাতের বেলা স্নো-এর মধ্যে একলা যেতে ভয় লাগে। বুয়েটে 'গ্রাজ' দেখান হইসিল...আধঘন্টা পর মনে হইছে বিয়া হওয়ার আগ পর্যন্ত একা থাকন লাগব...ডরে বাইর হইয়া আইছি!
The Descent আর The Ruins মুভি দুইটা দেইখেন...বেশ ভাবায়!
হরর মুভি আমার বউয়ের ব্যাপক প্রিয়...যত হরর তত মজা! এই ব্যাপার নিয়া বেশ কয়েকবার টিভির রিমোট ভাঙ্গাভাংগি হইছে...(. Saw আর Hostel টাইপ মুভি ভাল লাগেনা...এখন ভাল হরর কমই হয়...সব খালি রক্ত-খুন-সাইকো! ফালতু লাগে...
জাপানীজ আর কোরিয়ান হরর ভয়াবহ...কিন্তু এখন কেন যেন মনে হয় সেই ছোট বাচ্চা বা অতৃপ্ত আত্মার কাহিনী একই মশলা দিয়ে বানানো...এক্টু এদিক-সেদিক...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
The Descent আর The Ruins দেখসি, ভালাই
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমি আবার ভুত ভীষণ ভয় পাই। ভুতের সিনেমা দেখতে তাই লোকজন নিয়ে মোটামুটি আয়োজন করে বসি।
ধন্যবাদ আপনারা লেখা থেকে বেশ কিছু মুভির নাম পাওয়া গেল। যেগুলো দেখিনি সেগুলো সময় সুযোগ করে দেখতে হবে।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
ভয়ই তো মজা, ভয় পান, ভয় পাওয়ান
- জনস্বার্থে ভুত
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভূতের মুভি বেশি ভাল্লাগে না তয় আপনের ল্যাখা ভাল্লাগসে।
ধন্যবাদ
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ইভিল ডেড আমারো দেখা প্রথম ভূতের ছবি। ভিসিপিতেই দেখসিলাম। ক্যাসেট ফেরত দিতে গিয়ে দেখি দোকান উঠে গেসে; মালিকানা পেয়ে তাই আরো কয়েকবার দেখা হইসিল। তবে ঠিক, এখন দেখতে গেলে স্পেশাল এফেক্টগুলো দেখে অনেক হাসি পাবে।
'স্কেলিটন কি'র নাম দেখলাম না! ভূতের ছবি না, তবে আমার দেখা সেরা হরর ফিল্ম।
স্কেলিটন কি হ, মাথায় আছিল না নামটা, ভয়াবহ একটা মুভি!
-----------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
'লেট দা রাইট ওয়ান ইন' দেখা শুরু কর্সি মাত্র...
'ইভিল ডেড ' ভালা লাগে নাই, 'ড্রাগ মি টু হেল' ও আসে- ভালো প্রিন্ট নাই। দেখি তাইলে দেখুম কী না...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ড্র্যাগ মি টু হেল এর ভাল প্রিন্ট আইসে তো! ভালমত দেখো..
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
প্রথম কাউরে শুনলাম ঘোস্ট স্টোরিজ দেখছে। লেখাটায় অনেক মুভি র রেফারেন্স আছে তাই ভালো লাগ্লো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ, ঘোস্ট স্টোরিজ এর সময় গ্যাদা আছিলাম
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নতুন মন্তব্য করুন