আমি যখন গাধা ছিলাম তখন গাধার মত ঘ্যাঞ ঘ্যাঞ করে ডাকতাম। খুশি হলেও ডাকতাম না হলেও ডাকতাম । না আমি গান গাইতাম না। এইটা একটা প্রচলিত ভুল ধারণা, সবাই মনে করে গাধা গান গায়। আসলে তা নয়। গাধাজীবনে আমি বোঝা টানতাম। হরি ধোপা আমার পিঠে করে রাজ্যের কাপড়চোপড় নিয়ে যেত নদীর ঘাটে। বিনা বাক্যব্যয়ে তার নির্দেশ পালন করতাম। মাঝে মাঝে বেশী ওজন হলে বা পেট খালি থাকলে নড়তে চাইতাম না। তখন হরি আমাকে লাঠিপেটা করতো আর আমি তারস্বরে ঘ্যাঞ ঘ্যাঞ করতাম। এক দূর্গাপূজায় হরি আমাকে গ্রামের হরলাল পণ্ডিতের কাছে বিক্রী করে দিলো।
পিঠে মানুষ নেইনি আগে কখনো। প্রথম দিন। পণ্ডিত আমার উপর চেপে পাঠশালায় যাবে। তার মনে ফুর্তি। আমার বিকার নেই। কি একটা সুর ভাঁজতে ভাঁজতে পণ্ডিত একটা কীসের ডাল ভেঙ্গে, বগলে পুঁথিপুস্তক নিয়ে আমার পিঠে চেপে বসলো। হরলাল পণ্ডিত বেশ হৃষ্টপুষ্ট মানুষ। তার গোদা দেহ টানতে গিয়ে আমার পাদুটো ছড়িয়ে বীচি মাটিতে থুবড়ে পড়লো, ব্যথা পেলাম। চেঁচিয়ে উঠলাম 'ঘ্যাঞ! ঘ্যাঞ!' আর সাথে সাথে পিঠে বাড়ি। পিঠে বাড়ি খেয়েই আবার পাদুটো ছড়িয়ে অণ্ডকোষ দিয়ে মাটিতে পড়লাম, ব্যথা পেলাম। চেঁচিয়ে উঠলাম 'ঘ্যাঞ! ঘ্যাঞ!' আবার সাথে সাথে পিঠে বাড়ি। পিঠে বাড়ি খেয়েই কেন জানি পা দুটো আবারো সরে যাচ্ছিলো একে অপরের থেকে। আবারো শুক্রথলি দিয়ে মাটিতে পড়লাম। ঘ্যাঞ ঘ্যাঞ করলাম আর করতেই আবার পিঠে বাড়ি। পিঠে বাড়ি খেতেই আবার পাদুটো আবার জিমন্যাস্টদের মত ছড়িয়ে গেল নিজ থেকেই, আবারো টেস্টিক্যাল দিয়ে মাটিতে ল্যান্ড করলাম। ঘ্যাঞ ঘ্যাঞ করলাম আর করতেই আবার পিঠে বাড়ি।
এভাবে করতে করতে চলছি, দেখি পণ্ডিত আমাকে থামিয়ে দিলেন, বললেন, 'আর যেতে হবে না এসে গেছি পাঠশালা। নে তুই ক্লাশরুমে গিয়ে আজ যা হলো তা নিয়ে একটা রচনা লিখে ফেল তো দেকিনি'। ততক্ষণে পিছনের পাদুটোতে ঘষে ঘষে কেমন একটা পরিবর্তন এসেছে। পিঠও সোজা হয়ে গেছে। 'ঘ্যাঞ!' করতে গিয়ে দেখলাম বলে ফেলেছি 'আজ্ঞে পণ্ডিতমশয়'। সোজা হয়ে দাঁড়ালাম আর লক্ষ্মী ছেলের মতন ক্লাশরুমের এক কোণে এসে বসে এই রচনা লেখতে লাগলাম।
মন্তব্য
খেকুদা, ভালো লাগে নাই
আহারে
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভালো লাগলো!
হাছই??
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পণ্ডিতেও মনে হয় এককালে গাধাই ছিল, তাকে পিটায়ে শিখানো হইসিলো মনে হয় যে গাধা পিটাইলে মানুষ হয়।
প্রশ্নটা হইলো পণ্ডিত নিজে আসলে কতটা মানুষ?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
...
----------------------------
ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরং
ত্বগস্থিমাংসং প্রলয়ঞ্চ যাতু।
অপ্রাপ্য বোধিং বহুকল্পদুর্লভাং
নৈবাসনাৎ কায়মেতৎ চলিষ্যতি।।
- ললিতবিস্তর
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হা হা হা ... গাধাবচন চলুক। ভালোই লাগলো, তবে আরেকটু লিখলে আরো ভালো হতো। আপনার স্টকে মেধাবী গাধা নাই?
পিপিদা এইটা একটা আজগুবি গল্প
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আজগুবি থেকেই ভালো একটা গল্প হয়ে যাবে।
স্কুলে থাকতে খুব ঝামেলায় থাকতাম "প্রবন্ধ রচনা" নিয়ে। আমার লেখালেখি আসে না- আর কিছু পোলাপান দেখি ধড়াম করে রচনা নামায় ফেলতেসে। খালি ভাবতাম কেম্নে কি। আজকে বুঝলাম আসল ঘটনা
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বাঃ বাঃ, খাসা লাগলো! এমন ননসেন্স লেখা লিখতে গেলে অনেক গভীর সেন্স দরকারি। সিরিজ চলুক!
- আপনেরে আইজকা পাইছি মূলা'দা। বিশাল পয়েন্ট হাসিল হৈলো। দরকারী বানান ভুল।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এহহে, সত্যি তো, কেমন তরকারির মতো দেখাচ্ছে!
হুমম...
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
আমার কিন্তু লেখাটা দারুণ লাগলো, স্পেশালি মূলোদার সাথে একমত। অনেক গভীর সেন্স দরকার, যেটা এই লেখায় দেখতে পাইলাম।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
দারুণ তো !
"বীচি --> অন্ডকোষ --> শুক্রথলি -->টেস্টিকল"
এইটা কি গাধা থেকে মানুষে রুপান্তর প্রক্রিয়া?
ভাল লাগল
স্পার্টাকাস
আমারও দারুন লাগল । অবশ্য খেকশিয়ালের লেখার ভক্ত আমি আগে থেকেই । সিরিজ চলুক ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
সকালে অফ্লাইনে থাকায় মন্তব্য করি নাই। এই গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে- বেশ একটা বনফুলীয় আবহ আছে। এটাকে একদম সার্থক একটা অণুগল্পের উদাহরণ বলবো।
... একটু ভৌতিক গল্প আনেন খেকুদা। ম্যালাদিন সেইগুলান পড়িনা।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
- পণ্ডিত রকস্।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হগলরে ধইনাপাতা
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কিন্তু শিয়াল হইবার কাহিনী তো এইডা না?
সেইডা তাইলে কী?
অসাধারণ! আজগুবির ছলে নির্মম সত্য উদঘাটন।
খেকশিয়ালদা, আপনার সক্রিয় উপস্থিতি আমাদের জন্য খুব জরুরী! আবার নিয়মিত হওয়ার অনুরোধ থাকল।
।।।।।।।
অনিত্র
নতুন মন্তব্য করুন