কালো বাক্স

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: শনি, ০২/০১/২০১০ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ রাত হয়েছে। শীতের রাত। অবিনাশবাবু দ্রুত হাঁটতে লাগলেন। এমনিতে তেমন একটা বাজারে যান না তিনি। আর গেলেও এতো রাত করে কোনদিন ফিরেননি। আগে যখন বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতেন তখন বলতে গেলে ওখানেই পড়ে থাকতেন। সারাদিন আড্ডাবাজি, তাস পেটানো, রংবাজি সবই ওখানে। এখন সে বন্ধু বান্ধবের তেমন কেউই নেই, থাকলেও তারই মত ব্যস্ত। মাঝে মাঝে দু একজনের সাথে দেখা হয় তার। "কীরে.. শালা! .. কেমন আছিস .. কী করছিস.. বাড়ি যাস.." ব্যস এটুকুই।

এই সময়ে বাজার বেশ ফাঁকা ফাঁকা হয়ে যায়। কাঁচাবাজারের সাথে বাকী দোকানগুলোরও ঝাপ পড়ে যায় সেই দশটার আগেই। অবিনাশবাবু বাজার সেরে তখনি ফিরছিলেন, হঠাৎ কাপড়ের দোকানগুলোর সামনে দেখা হয়ে গেল মামুনের সাথে। "এই শালা!.. কই যাস!" বলে ঈগলের মত ছোঁ মেরে ওকে নিয়ে গেলো মামুন। বললো আরো কে কে জানি আছে, ওদের সাথে দেখা হবে। শুরু হলো আড্ডা। পুরোনো পাপীদের মধ্যে বলতে গেলে সবাই এসেছিলো। অনেকদিন পর বন্ধু বান্ধবের সাথে চুটিয়ে আড্ডা মেরে অবিনাশবাবুর বেশ ভালই গেল দিনটা।

বাজার ছেড়ে কাঁচা রাস্তাটা ধরে একটু সামনে বাড়লেই হাতের বামে তাদের সেই পুরানো আড্ডার ডেরা। এই বাঁশঝাড়ের বাঁকটা শেষ হলেই। শ্যামলের বাড়ি ছিলো ওটা। ব্যাটার ছিলো বাপের কাপড়ের ব্যবসা। শ্যামলই দেখাশোনা করতো আর তাই বাজারের কাছের জায়গাটা কিনে একটা ঘর তুলে। তো ওইখানেই চলতো তাদের সেই প্রাগৈতিহাসিক আড্ডা। বাড়িটা বাজার থেকে একটু দূরে। অনেকদিন ধরেই ওদিকটায় তালা। শ্যামলের ছেলে এখন থাকে মাঝে মাঝে ওই বাড়িটায়।

অবিনাশবাবুর মনে পড়ে গেলো সেই দিনগুলির কথা। কী বাঁদরামিটাই না করেছেন তারা বন্ধুরা মিলে। এর বাড়িতে কাঁঠাল চুরি, ওর বাড়িতে ডাব চুরি। একটা কালো বাক্সে ভরে রাখতেন যতসব চুরির মালামাল। বয়স একটু বাড়তে সিগারেট, গাঁজা, মদ .. মেয়েদের সাথে ফাজলামো..। বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছিলো। গম্ভীর হয়ে আসে তার মুখ। মনে পড়ে, হ্যাঁ, সেদিন থেকেই তিনি আর তেমন আড্ডায় আসতেন না। এই মামুন আর সজলরাই তো। কোত্থেকে এক মেয়েকে ধরে নিয়ে এসেছিল ওরা। ডিগ্রী পরীক্ষার শেষ সেদিন, সব মদ খেয়ে চুর। অনেক বকাবকি করেছিলেন তিনি সবাইকে। কিন্তু কেউ তাকে পাত্তা দিচ্ছিলো না, বলতে গেলে বের করে দিচ্ছিলো বাড়ি থেকে। একসময় আর পেরে ওঠেন না ওদের সাথে, কেমন জানি পশুর মত হয়ে গিয়েছিলো ওদের হাব-ভাব। ভয় পেয়ে যান তিনি, চলে আসেন বাড়িতে।

বাঁশঝাড়টা পেরোতেই স্নিগ্ধ একটা আলো এসে পড়লো তার মুখে। পূর্ণিমার চাঁদ, সেই আলোতেই তিনি দেখেন শ্যামলের বাড়িটা। কতদিন হল এখানে বসা হয় না। আজকে তো অনেকেই এসেছিলো, তারই মত হঠাৎ। ওদের নিয়ে আজ এখানে বসলেও তো হতো। শ্যামলও তো ছিল। নাহ, বললেই কি হয় নাকি, শ্যামলের ছেলে থাকে ওখানে এখন। ছেলেটার সাথে দেখা হয়েছিলো কদিন আগে।

বাড়িটা এখনো আগের মতই আছে। পিছনের ছোট পুকুরটাও। পুকুরঘাটে নেমে এলেন তিনি। চারদিক সুনসান। হঠাৎ পানিতে একটা হুটোপুটির শব্দ। ভ্রু কুঁচকে তাকান অবিনাশবাবু। পুকুরের পেছন থেকে কি যেন সরসর করে কেটে চলে আসে মাঝ বরাবর!
বাপরে এতো বড় মাছ! এই পুচকে পুকুরে?
কই.. মাছ তো না ..
ওকি! মামুন!!
চোখ কপালে তুলে ফেলেন অবিনাশবাবু! মাঝপুকুরে ঝুপ করে টান দিয়ে কে ডুবিয়ে ফেললো মামুনকে! হ্যাঁ মামুনই তো, কোমর পর্যন্ত জলে খাবি খাচ্ছিলো, হঠাৎ একটানে নিচে চলে গেল! ও পুকুরপারে কী করছিলো? ..
অবিনাশবাবু কী করবেন বুঝতে পারলেন না, চাদরটা খুলে দিলেন লাফ দিলেন পুকুরের জলে!
ঘোলা ঘোলা চোখে খুঁজতে লাগলেন তিনি মামুনকে। চারদিক ঘুরে যখন নিচে তাকালেন, কেঁপে উঠে জল গিলে ফেললেন অনেকখানি। পুকুরটা বেশী গভীর নয়, একদম মাঝে গেলেই কেবল দেড় মানুষ পানি। মাথা ডুবিয়ে দেখলেন তিনি নিচে, আর দেখতে লাগলেন অবাক হয়ে..

একটা কি যেন বাচ্চা বাচ্চা হাতে মামুনকে গেঁড়ে দিচ্ছে পুকুরের নিচের মাটিতে, দুই কাঁধে চাপ দিয়ে, অনায়াসে। তখনি উপরের দিকে তাকালো সেটা। একটা কিশোরী মেয়ে, আলুথালু চুলগুলো ছড়িয়ে ভাসছে ওর জমাটবাঁধা অন্ধকার মুখটা ঘিরে। আস্তে আস্তে উপরে উঠে আসতে লাগলো ওটা। অবিনাশবাবুর গা হাত পা অসাড় হয়ে পড়তে লাগলো। দেহের সবটুকু শক্তি দিয়ে পাড়ের দিকে সাঁতার কাটতে লাগলেন তিনি। হঠাৎ প্রচণ্ড টান অনুভব করলেন বাম পায়ে। ভয়াবহ ঠাণ্ডা হাতে কে যেন টেনে ধরেছে তাকে।

মেয়েটা তাকে ডুবিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শ্বাস চেঁপে আছেন তিনি। নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করছেন, পেরে উঠছেন না কিছুতেই। ভয়াবহ শক্ত হাতে টেনে নিয়ে চলছিলো মেয়েটা। পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলো তাকে। পা মাটিতে ঠেকলে অসহায়ের মত চারদিকে একবার দেখেন তিনি। আবছা ঘোলা একটা আলো এসে পড়েছে মামুনের কোমর অব্দি গাঁথা শরীরটার উপর। ঠিক পাশেই সজলেরটা। পিছনে শ্যামল, মাথাটা নুয়ে আছে বুকের উপর। আশে পাশে আরো অনেকেই গেঁথে পড়ে আছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে। শ্বাস ধরে রাখতে পারছেন না তিনি। মেয়েটা সামনে আসে তার। আর দুই হাতে চাপ দেয় তার দুই কাঁধে। প্রচণ্ড জোরে গেঁথে যেতে থাকেন তিনি তলার মাটিতে। ব্যাথায় চিৎকার করে উঠতে যান, হা করা মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। মেয়েটার দিকে তাকান তিনি একবার। পুকুরের মাঝে একটা বাক্সতে গিয়ে আস্তে আস্তে ঢুকতে থাকে মেয়েটা। তার দুই হাত খুলে যায় নিজ থেকে, ধড় থেকে নেমে আসে মাথা.. পাগুলো হতে থাকে খণ্ড বিখণ্ড। কী এক টানে ঢুকতে থাকে ওরা সব সেই কালো বাক্সে। অবিনাশবাবু চিৎকার করতে পারেন না, গার্গলের মত করতে থাকেন কেবল..
'ওহ ঈশ্বর! ওরা কি করেছিলো মেয়েটার সাথে?'


মন্তব্য

ফাহা এর ছবি

ডরাইছি!

খেকশিয়াল এর ছবি

হে হে ..

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ডরাইলাম!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

খেকশিয়াল এর ছবি

হে হে ..

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

চমৎকার প্লট আর লেখা। কয়েকটা ছোটখাটো বিষয় একটু খটকা লাগলো, ভাবলাম জানাই-
- আজকের আড্ডার স্থান নিয়ে একটা লাইন দেয়া যায় শুরুতে? দ্বিতীয় প্যারার শুরুর লাইনে একবার মনে হচ্ছিল আজকের আড্ডাটাও " সেই পুরানো আড্ডার ডেরা"-তেই হচ্ছে।
- কিছু যায়গায় কর্মকারকের ব্যবহার একটু অন্যরকম। যেমন- "ব্যাটার ছিলো বাপের কাপড়ের ব্যবসা"... কেমন যেন একটু "বাপের কাপড়" মনে হয়। (এটা আবার "ব্যাটার বাপের ছিলো কাপড়ের ব্যবসা" হলে হয়তো উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়ার বিষয়টা ঠিক পরিষ্কার হতো না... "ব্যাটার ছিলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া কাপড়ের ব্যবসা" আবার তাল-লয় হারিয়ে ফেলে কি-না!... ) চুড়ান্ত খসড়ার সময় একটু দেখে নিলেই হবে।

(পুনশ্চ: বেশ রোমাঞ্চকর ফিনিশিং! এ ধরনের ফিনিশিং পাঠককে নিজের মতন করে "তারপর কী হলো" ভাবতে শেখায়। চমৎকার। এই যেমন, আমি ভাবলাম শেষে হয়তো দেখা যাবে কেউ অবিনাশ..অবিনাশ.. করে ডাকছে... অবিনাশবাবু হঠাৎ পুকুর পারেই স্বপ্ন ভেঙে জেগে উঠবেন ...দেখা যাবে মামুন উদ্বিগ্ন হয়ে তাকে ডাকছে... তিনি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন মামুনের দিকে...)

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

খেকশিয়াল এর ছবি

আপনার মন্তব্য দারুণ লাগলো। গল্পটা ভালভাবে পড়েছেন, আপনার মত পাঠকই কাম্য।
- আড্ডার স্থানের ব্যাপারে মন্দ বলেন নি, তবে সেটা এখন করতে গেলে প্রথম থেকে গল্প একটু অন্যভাবে সাজাতে হবে।
- "ব্যাটার ছিলো বাপের কাপড়ের ব্যবসা" এখন আমার কাছে শুন্তেও কেমন ইয়ে লাগছে, আসলে এটা চলে যায় মনে হয়, বলার ভঙ্গীতে।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তিথীডোর এর ছবি

ভয় পাইনি, ভালু পেলাম!

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

খেকশিয়াল এর ছবি

বাহ! ভালু তো!

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সংসপ্তক এর ছবি

একটু ছোট হইয়ে গেলো না ভাই? আরেকটু ডিটেইল পাইলে আরো মজা পাইতাম।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

খেকশিয়াল এর ছবি

হ একটু ছোট হইয়া গেছে, তবে এইটা যেমনে ছোট রাখতে চাইছিলাম ওইটা হইলো না মনে হয়, বর্ণনায় ত্রুটি রইয়া গেছে

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

খেকশিয়াল এর ছবি

দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

হিমু এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সাফি এর ছবি

খাইসে। শেষটাতো ক্যামেরন ভাইরে দেওয়া দরকার ঃ-)

খেকশিয়াল এর ছবি

ক্যামরন ভাই কেডা?

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবজান্তা এর ছবি

চলুক

ভালো লাগলো। গল্পের শেষটা খুব পছন্দ হইসে। গল্পের বর্ণনায় মাঝে মধ্যে একটু তাড়াহুড়া লাগলেও, পুরো গল্পটা বেশ চমৎকার লাগলো।

কিছুটা কাছাকাছি থীমের উপর সম্ভবত অ্যাডগার অ্যালান পো'র একটা গল্প ছিলো, যার একটা অনুবাদও করেছিলেন সম্ভবত কাজী আনোয়ার হোসেন। সেইটাও বেশ ফাটাফাটি গল্প ছিলো...


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

ধইনাপাতা, হ বর্ণনায় ভুলচুক আছে। এডগার অ্যালান পো তো একটা হালার পো, ওর গল্পগুলা মনে করলেই ডর লাগে।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবুজ বাঘ এর ছবি

সাঘাতিক নিখেছিসরে। কিন্তু একটা বিষয় মাতায় খেলাইলো না, সেইডা হইল যারা পাপ করছে তাগো যা শাস্তি যে পাপ করলো না তারো একই শাস্তি! সিনডা কি/ নাকি অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তৃণসম দহে থিউরির তলে ফালাইছত?

খেকশিয়াল এর ছবি

হিহি হ তৃণসম দহে থিউরি, থেঙ্কু বাঘাদা

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার ভূতের গল্পের কাছে প্রত্যাশা বেশি বস...- একটু তাড়াতাড়ি লিক্সেন নাকি ??

... থিমটা কিন্তু দুর্দান্ত হৈসে। আরেকটা ছাড়েন...

_________________________________________

সেরিওজা

খেকশিয়াল এর ছবি

তাড়াতাড়ি না লিখলেও তাড়াতাড়ি হইয়া গেছে, বুঝতে পারছি। সামনের থিকা আরো ভাল করার চেষ্টা চলবেক।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি

খাইছে- গল্প ক্রিপি উইথ ক'য়ে র'ফলা ই'কার! বিশেষ করে কাদামাটিতে গেঁথে ফেলার ব্যপারটা।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

খেকশিয়াল এর ছবি

থেঙ্কু ওডিন ব্রাদার দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

প্রোফাইল ছবি আর গল্প দুটাতেই ভয় খেলাম মন খারাপ

খেকশিয়াল এর ছবি

দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দময়ন্তী এর ছবি

চলুক
জমাট গল্প৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

খেকশিয়াল এর ছবি

ধন্যবাদ গালফোলাদি দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

বেশ গা শিরশিরানো।
কিন্তু শুরুর দিকে তাড়াহুড়াটা চোখে পড়ছে। ওটা সারিয়ে ফেলুন মশাই। তাহলে পুরোই জমবে। হাসি
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

খেকশিয়াল এর ছবি

একটু চেষ্টা করলাম সারানোর, দেখেন তো জমলো কিনা হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এখন বেশ লাগছে। হাসি
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

খেকশিয়াল এর ছবি

দেঁতো হাসি :D

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাল্লাগলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

খেকশিয়াল এর ছবি

জাইনামারো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

রাহিন হায়দার এর ছবি

তাড়াহুড়া কর্সেন বোঝা যাইতেসে, তারপরও দুর্দান্ত।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

খেকশিয়াল এর ছবি

এইবার আমি আর তাড়াহুড়া করি নাই, অবিনাশবাবু করছে দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দেঁতো হাসি কিছু কমুনা! [একা একা থাকি, যদি গাইড়া ফেলায়! ইয়ে, মানে... ]

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

খেকশিয়াল এর ছবি

কিছু কইলেন না ক্যান, ওই যে আইতাছে গাড়তে

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মূলত পাঠক এর ছবি

খাসা!

খেকশিয়াল এর ছবি

দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মামুন হক এর ছবি

চমৎকার!

খেকশিয়াল এর ছবি

ধন্যবাদ!

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

Shafqat এর ছবি

এ তো পুরা লোম-হর্ষক গল্প!! আমি সেই অবিনাশবাবু হয়ে গিয়েছিলাম আর কালো বাক্সের ভেতরে খন্ড খন্ড মেয়েটার ঢুকে যাওয়া দেখলাম যেন...
কিন্তু বেচারা নির্দোষ অবিনাশও তার ক্রোধের থাবা এড়াতে পারলোনা। সেই যে GRUDGE মুভিটার মত।
আমার নজর কেড়েছিল আপনার মন্তব্যের শেষদিকের উক্তিটা, ভানুর কৌতুকের ক্যাসেট শুনতাম ছোটবেলায় : '..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।