জাপানের রূপকথার ওনিবাবা কে বাংলা করলে দাঁড়াবে ডাইনী বুড়ি।
জাপান। নানবকু-চো সময়কাল (১৩৩৬-৯২)। চারদিকে যুদ্ধ। গৃহযুদ্ধ। সম্রাট বাহিনী বনাম আশিকাগা তাকাউজি'র দল। চারদিকে খাদ্য সংকট। সাধারণ মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারে না, পরতে পারে না। ছিনতাই, খুন, লুট করেই টিকে থাকে তাঁরা। এমনই কিছু মানুষদের নিয়ে ওনিবাবা'র গল্প।
মুভির শুরুতেই আমরা দেখতে পাই দুই যুদ্ধাহত সামুরাইকে। সুসুকি ঘাসের জলাঝোপে বৃদ্ধ সামুরাইকে কাঁধে করে টেনে চলে এক যুবক। একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে সে, বৃদ্ধকে ফেলে দেয় কাঁধ থেকে। কিন্তু জিরিয়ে নেবার সময় পায় না তারা। কোথা থেকে বর্শা এসে এফোঁড় ওফোঁড় করে তাদের। ঝোপের পেছন থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে আততায়ীরা। এক বৃদ্ধা আর তরুণী। তাদের চোখে মুখে পৈশাচিক জিঘাংসা। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারে তারা সামুরাই দুজনকে। এই জংলার ধারেই ঝোপের বনে একটা কুড়ে ঘরে থাকে বুড়ি আর তাঁর ছেলের বউ। ছেলে গেছে যুদ্ধে। যুদ্ধে আহত সামুরাইদের খুন করে তাদের অস্ত্র শস্ত্র কবচ পোশাক লুট করে তারা। কাছেই এক ব্যবসায়ীর কাছে লু্টকৃত অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে করে অন্নসংস্থান। মনুষ্যত্ব হারে পাশবিক ক্ষুধার কাছে। একদিন রাতে তাদের ঘরে হুড়মুড় করে আসে আরেক সামুরাই। সে তাদের পূর্ব পরিচিত, নাম হাচি। বুড়ির ছেলের বন্ধু, একসাথেই যুদ্ধে গিয়েছিল তারা। পালিয়ে এসেছে সে যুদ্ধ থেকে, কিন্তু বুড়ির ছেলে ফিরতে পারেনি, মারা পড়ে পথে। হাচির কুড়েঘরটা কাছেই। বুড়ি হাচিকে পছন্দ করে না। তার ছেলের বউকে বলে ধূর্ত হাচির সাথে না মিশতে। কিন্তু তারা দুইজনেই আকর্ষিত হয়ে দুজনার প্রতি। প্রতি রাতে বুড়ি ঘুমালে মিলিত হয় তারা হাচির ঘরে। বুড়ি জানে সবই, রুখতে পারে না। বুড়ির ভয়, বউটা চলে গেলে সে সামনে খুন করবে কেমন করে? খাবে কী? এরকম সময়ে এক রাতে আসে এক মুখোশপরিহিত সামুরাই। গল্পে আসে এক অন্য মোড়।
এমনই এক ভয়ংকর সময়ের কথা বলে ওনিবাবা। চলচ্চিত্রটি ১৯৬৪ সালে নির্মিত, পরিচালনা করেছেন কানেতো শিন্দো। বৌদ্ধ গল্প অবলম্বনে গল্পটিতে শেষ পর্যন্ত প্রধান উপজীব্য বিষয় মানুষ আর দানব, আলো আর অন্ধকার। ঘন জলা ঝোপের মাঝে গভীর এক গর্ত, যেখানে জমা সমস্ত অন্ধকার। কবর দেয়া মনুষ্যত্ব আর তার অভিশাপ।
মন্তব্য
দেখতে হবেরে। তোর গোয়েন্দা কাহিনী কোন দশকে আলোর মুখ দেখবে?
facebook
হাহা দশক বললি যখন, এই দশকেই দেখবে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শতক -ই বলতাম কিন্তু ২১০০ পর্যন্ত টিকব কি না বুঝছি না !
facebook
রিভিউ হইছে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শেষ ছবিটা দেখে ভয় পাইছি!
_________________
[খোমাখাতা]
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খুব অল্প কথায় খুব জবরদস্ত রিভিউ হইসে বস।
আছে আপনার কাছে ?? নিতে হবে তাইলে।
আছে আমার কাছে, নিও
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ওনিবাবা শব্দটা শুনে মোটেই মনে হয় না যে এর মানে ডাইনী বুড়ি।
ছবিগুলো ভয়ংকর!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দেইখেন মুভিটা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বহুতদিন পড় আপনার লেখা পড়লাম।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। পাঠককে একবারেই সব না জানিয়ে দিয়ে নিজে থেকেই মুভিটা আবিষ্কার করার একটা ইচ্ছে তৈরি হয়েছে লেখাটায়, যেটা রিভিউ লেখার সময় অনেক লেখকই মাথা থেকে তাড়িয়ে দেন বেমালুম
জাপানি সাহিত্যে এবং সংস্কৃতিতে বিভিন্ন দৈত্যদানো, দুষ্টু প্রেতাত্মা, মঙ্গলকামী আত্মা অনেক কিছুর উপস্থিতি রয়েছে অনেকটা আমাদের দেশের মতই। বিভিন্ন ধরনের ওনি (সোজা ভাষায় বললে দানো), বাকেনেকো (দানো বিড়াল), কাপ্পা (পানিতে বাস করে কচ্ছপের মতন দেখতে এক সবুজ প্রানী), রিউউ (ড্রাগন), শিনিগামি (সোজা ভাষায় আযরাইল), উমিবোওযু (সমুদ্দুরের দানো), যাশিকি ওয়ারাশি (ঘরের কোনাঘুপচিতে ঘুরে বেড়ানো পিচ্চি দানো)...দানোর কোন শেষ নাই। যেগুলো এইমাত্র মনে পড়লো সেগুলোই কেবল বললাম। বছরখানেক আগে একটা অসাধারণ আনিমে দেখেছিলাম এইসব জাপানি দানোদের নিয়ে। ‘আয়াকাশি’ আর ‘মনোনোকে’। ওনিবাবার নাম শুনে সেটার কথা মনে পড়ে গেল।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ঠিক ঠিক । আমিও এইটাই ভাবছিলাম ।
ধন্যবাদ। জাপানি ভূতগুলা আমি ভালু পাই । আপনার আয়াকাশি আর মনোনোকে দেখা হয়ে থাকলে Requiem from the Darkness দেখেন যদি না দেখে থাকেন। অসাধারণ আরেকটা কাইদান সিরিজ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বাহ! বেশ। ডাউনলোড দিলুম।
Mushishi আর Xxxholic ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছেন কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না। এ দু’টোও অসাধারণ।
ওরে বাবা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খাইছে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমার এক জাপানিমুভিপ্রিয় বন্ধু আছে। তার কাছে আছে কিনা খোঁজ নিচ্ছি এখুনি। দেখতে হবে।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
দেখুন, ভাল লাগবে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এত কম কথায় অনেক চমৎকার করে লিখলেন , একটু একটু ভয় পাইসি
ধন্যবাদ আপনাকে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডার্ক জিনিসপত্র আমার বড়ই প্রিয় । রিভিউ নিখুঁত হয়েছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ছোট কিন্তু সুসংবদ্ধ রিভিউ ।
এরকম আরও চাই ।
ধন্যবাদ, আরো লেখার চেষ্টা করবো
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দেখতে হপে।
রিভিউ (গুড়) হইসে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বর্ণন অসাধারন।
ধন্যবাদ আপনাকে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ওরে বাবা ভয় পাইছি। রিভিউ চমৎকার হইছে। মজা পাইছি।
ধইনাপাতা বন্ধু!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নতুন মন্তব্য করুন