"এই যে মূর্তিটা দেখছেন আপনারা, এটা লামিয়ার মূর্তি। পুরাণের ভয়ংকর এক দানব এই লামিয়া। এর কোমর থেকে কেমন সাপের মত, দেখেছেন? আর এই যে ছোটরা, লামিয়া কি করে জানো? বাচ্চাদের ধরে ধরে কুড়মুড় করে খায়!"
মেয়েটা বেশ ভয় পেয়েছে। একটু আগে কেমন চোখ বড় বড় করে শুনছিলো সব কথা, এখন সারা মুখে একটা কাঁদো কাঁদো ভাব। হাতের পুতুলটাকে কেমন মুঁচড়ে ধরেছে। কেমন সিঁটিয়ে গেছে। আর ভয় পাবেই না বা কেন? এমনিতেই মূর্তিটা কেমন ভয়ংকর আর বাচ্চাদের অমন সৃষ্টিছাড়া গল্প বলতে আছে?
জেসি মেয়েটা তখনো বকবক করেই যাচ্ছিলো। জেসি, মানে ওদের গাইড। গাধী একটা!
" লামিয়া দেখতে খুব সুন্দরী ছিল! মিশরের রাজা বেলাসের মেয়ে ছিলো সে। পোসাইডন এবং লিইবির নাতনী।কিন্তু হলে কি হবে, একদিন নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনলো সে হতভাগী। দেবরাজ জিউসের সাথে ইয়ে করে বেশ কখানা ছানাপোনা বাগিয়ে নিলো সে।"
এহ! ভাষা দেখো না! এদের লাইসেন্স দেয় কে?
"কিন্তু একদিন হেরা, জিউসের বউ, জানতে পারলো সব। লামিয়াকে ওর বাচ্চাকাচ্চা সহ শাস্তি দিতে ধরে বেঁধে নিয়ে এলো সে। তারপর ওকে দিয়েই জোর করে গিলিয়ে ছাড়লো নিজের সব বাচ্চাকে। এরপর থেকে লামিয়ার চেহারা ভয়ানক কুৎসিত হয়ে গেল। এখনো নাকি সেই বিকট চেহারা নিয়ে লামিয়া পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। আর ছোট্ট বন্ধুরা, তোমরা যারা বাবা মার কথা শুনো না, তাদের ও ধরে ধরে খায়!"
"ইশ! শুনো না সোনা এসব শুনো না!"
দৌড়ে এসে কানচাপা দিলাম আমি মেয়েটার। ফোঁপাচ্ছে তখন বেচারী। অভিভাবকদেরও অনেককে দেখলাম বেশ বিরক্ত হতে। আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছিলো তখন তারা।
"কার সাথে এসেছ খুকি? তোমার মা কোথায়?"
"মা আসেনি। বাবার সাথে এসেছি.. বাবা ওই পাহাড়ের দিকে গেছে।" ফুঁপিয়ে বলল মেয়েটা।
"আহারে আমার সোনাটা। কাঁদে না। নাম কী তোমার মা?"
"স্টেলা.."
"কি মিষ্টি নাম! কাঁদে না, ছি। এসো আমার সাথে, দেখো জেসিকে কেমন বকে দেই। আসো আসো!"
জেসি গাধীটা একা একা কী জানি খাচ্ছে। বাকিরা সব দূরের পাহাড়টার কাছে ঘোরাঘুরি করছে। গ্রীসের এই দ্বীপটায় তেমন কেউ আসে না। তেমন কিছু দেখবারও নেই এখানে আসলে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো জেসির মতই লোকেরা চালায়, ইনিয়ে বিনিয়ে গল্প ফেঁদে লোক ধরে এনে টু পাইস কামায়।
"দেখুন আপনি কী সব বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেছেন! এতটুক বাচ্চাদের কি কেউ এইসব গল্প বলে? মেয়েটা কেমন ভয় পেয়ে গেছে দেখেছেন?"
"হা হা হা .. ভয় পাবার জন্যই তো বলা।" দাঁত কেলিয়ে উঠলো গাধীটা।
"তাই বলে এরকম গল্প? কি, মাথায় কি গোবর পোরা নাকি? বুঝেন না কাদের সাথে কি গল্প করতে হয়?"
গাধীটার বেশ লেগেছে মনে হল, মুখ শক্ত করে খেঁকিয়ে ঊঠল এবারে,
"বলেছি বেশ করেছি! আপনি কে? আপনি কি ওর মা? দেখলাম তো ফ্রীতে দাঁড়িয়ে বেশ গল্প শুনছিলেন। আপনি কি এই দলের? রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন? কই দেখেছি বলে মনে পড়ে না তো"
এবারে আমার রাগ হলো বেশ, বললাম,
"..আর আপনার গল্পতেও তো ভুল আছে। মহা ভুল! লামিয়ার কোমর থেকে কখনোই সাপের মত না ,আর হেরার সেই শাস্তির পর লামিয়া শোকে, দুঃখে পাগলের মত হয়ে যায়। কিন্তু এরপর আর কখনোই আর কোন বাচ্চাদের খায় নি ও!"
"ও তাই নাকি? আপনাকে এসে বলে গিয়েছে বুঝি?"
আর সহ্য হলো না আমার। দৌড়ে গিয়ে খপ করে চুলের মুঠি ধরলাম জেসির। আঁতকে উঠলো গাধীটা।
বললাম, "হ্যাঁ বলেছে! বলেছে এরপর থেকে ও আর বাচ্চাদের খায় না, খায় শুধু তোর মত গাধীদের!"
বলেই এক কামড়ে জেসির মুণ্ডুটা মুখে পুরে নিলাম আমি! আর পুরেই বুঝলাম বেশ বড় একটা ভুল হয়ে গেছে।
স্টেলার দিকে ঘুরলাম আমি। হা করে তাকিয়ে আছে মেয়েটা, হাতের পুতুল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
কোৎ করে গাধীর মুণ্ডুটা গিলে ফেললাম। ধড় থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটে ভরে যাচ্ছিলো চারপাশ। কষের রক্ত মুছে বললাম,
"স্টেলা মা, তুমি না লক্ষ্মী! ভয় পায় না সোনা।"
মন্তব্য
আয়াতুল কুরসি পইড়া তিন বার ফু দ্যান!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গল্প ভালু লাগছে।
জাইনা আমারো ভালু লাগলো
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভয়াবহ
মেলাদিন পর লিখলেন, ওয়েল্কাম্ব্যাক !
অলমিতি বিস্তারেণ
থেঙ্ক্যু থেঙ্ক্যু!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডরাইলেই ডর...
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
হাহা থেঙ্ক্যু দোস্ত
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুণ...
ওয়েল্কামব্যাক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থেঙ্ক্যু! থেঙ্ক্যু!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডরাইছি।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
চ্রম !
ডরাইছি !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ডরাইয়েন না! আমরা আছি না?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঘ্যাচাং
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হাহা পাও কই এগুলা! জোস!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এইসব ফাঁকিবাজী গল্পে চলবে না। আগের মতো জমজমাট ভুতুড়ে গল্প চাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হিহি ওকে ব্রো!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কিন্তু বাপমা তো বাচ্চার নাম লামিয়া রাখে আজকাল। দুয়েকটা লামিয়ারে চিনি তো।
আমিও এইটাই ভাবতেছিলাম!
ভাই আমিও চিনি কয়টারে। লামিয়ার কাহিনী জানে না মনে হয়
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
প্লট ধরতে পারছি সুমায়মতো।
হাহা
এই লাইনে ধরছেন?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভয় পাইছি ।
কান্দে না আয়াতুল কুরসি পইড়া তিন বার ফু দ্যান!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বেচারা লামিয়া!
হ্যাঁ, "বেচারী" লামিয়া
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঘ্যাচাং!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সেই হারকিউলিস দেখার সময় থেকে হেরাকে ভালু পাই না।
শেষের চমকটা ভালো লাগছে।
হেরার সারা জীবন গেল জিউসের ফস্টিনস্টি ধইরা, আর জিউসের প্রেমিকাগো লগে শয়তানি কইরা
ভাল লাগছে জাইনা ভাল লাগলো
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ব্রেশ! ব্রেশ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
থেঙ্ক্যু! থেঙ্ক্যু!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
facebook
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সেটাই। আদর করে বলেছে যখন, স্টেলা মা আর ভয় পাবে না।
জটিল!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হ্যাঁ সেটাই , ধইনাপাতা শিমুলজী
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডরাইলেই ডর
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
যদু হে, খবর কী বা? ভালা নি?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
>সুন্দর জয়তু, সুন্দর
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমিও মনে হয় টুইস্টটা কিছু আগেই ধর্বার পার্সি
ব্যাপার না। জলদি আরো বড় একটা দ্যান, ঈমানে কই- সেইটা ধরবার পারুম না !!
হাহা সমস্যা নাই, গল্পটা লেইখা মজা পাইসি বেশ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ডরাইসি
টুইস্টটা একটু আগেই ধরতে পারলেও মজা লাগল পরে। যেটা ভেবেছি সেটাই হয়েছে ভেবে আনন্দও লাগল
আরও বড় একটা লেখা দেন , এটা ছোট ছিল
এত ছোট! ভালোই তো চলছিল
বাপ্প্রে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
প্রথমবার পড়ে বুঝি নাই। দ্বিতীয়বার পড়ার পর
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
চরম গল্প একখান।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন