ছেলেটা আমাদের স্কুলে ক্লাস সিক্সের ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভর্তি হয়েছিল। ইংরেজীর ক্লাস চলছিল, রঞ্জন স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। রবিন আর ঝন্টু বেঞ্চের উপর একে অন্যের কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, আর মাথা নীচু করে কুটকুট করে হাসছিলো। আর আমরা হাসছিলাম ডেস্কের তলায় মুখ গুজে। স্যার একখানা রামধমক দিবেন এমন সময় হেডস্যার একটা ছেলেকে নিয়ে ক্লাসে ঢুকলেন। ঢুকেই রবিন আর ঝন্টুর দিকে তাঁর বিখ্যাত ভ্রু উলটানো হাসি দিয়ে একটু দেখলেন। রঞ্জন স্যার গদ্গদ মুখে এগিয়ে আসলে হেডস্যার আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
"ওকে বয়েজ, ওর নাম তুষার। তুষার আমাদের স্কুলে আজকেই ভর্তি হলো। ও তোমাদের সাথে আজ থেকে পড়বে। আশা করি ও তোমাদের একজন খুব ভাল বন্ধু হবে।" তারপর স্যার ছেলেটার দিকে ফিরে বললেন, "তুষার, ইন্ট্রোডিউজ ইওরসেলফ।"
ছেলেটা মনে হয় বুঝতে পারলো না। স্যার একটু থেমে ভ্রু কুঁচকে আবার বললেন, "নিজের সম্পর্কে কিছু বলো"।
তুষার ছেলেটা দুবলা পাতলা গড়নের, গায়ের রঙ কালো। ঢিলেঢালা শার্ট আর হাফপ্যান্ট পরে, কাধের ব্যাগটা টেনে আমতা আমতা করে ও কি বলেছিল এখন খেয়াল পড়ছে না। হয়তো তখনও খেয়াল করিনি।
ছেলেটা কথা শেষ করে পিছনে সুমনের পাশে গিয়ে বসলো। আমরা সবাই মজা দেখার জন্য পিছনে ঘুরে ছিলাম। সুমন আমাদের হতাশ করলো না, ছেলেটার মাথায় চাটি মেরে বললো, "তোর নাম তুষার?" ছেলেটা সুমনের দিকে শান্ত চোখে তাকালো, কিছুক্ষণ তাকিয়ে বললো, "হ্যাঁ, আমি তুষার। তুমি?" সুমন কথা না বাড়িয়ে বললো, "টিফিন আনছস?"। সুমনের কাজই হলো সবার টিফিন খাওয়া। ছেলেটা সুমনের দিকে তাকিয়ে হাসলো। সুমন বেশ মুশকো, আমাদের সবার থেকে ভাল স্বাস্থ্য। সারাদিন এর-তার সাথে মারপিট করে, আমরা ওকে তেমন একটা ঘাটাই না। তুষারের মুখের হাসি মিলিয়ে না যেতেই সুমন তড়িৎগতিতে ডেস্কের নীচে দিয়ে ডান হাতে একটা কোতকা মারলো ছেলেটার কাঁখে। শ্বাস আটকে ওর মুখ দিয়ে শুধু "হুক" করে শব্দ বের হয়ে আসলো। মাথা নীচু করে সুমন তুষারের কানে কানে বললো, "খাড়া, ক্লাসটা শেষ হউক, তোর হাসি বাইর করতাসি।"
ক্লাস শেষে সুমন খেলো তুষারের টিফিন আর তুষার সুমনের হাতে বেদম মার।
আমরা ভেবেছিলাম তুষার সুমনের নামে নালিশ করবে। কিন্তু পরদিন সুমনকে বহাল তবিয়তে ক্লাসে ঢুকতে দেখে আমরা একটু অবাক হলাম। সুমনের নামে ছেলেটা নালিশ করেনি। করলে সুমনকে আজকে আর ক্লাসে দেখা যেত না। রুমে ঢোকার আগেই দেখতাম হেডস্যারের অফিসে সে জোড়া বেতের ঠ্যাঙ্গানি খাচ্ছে। সুমনের জন্য এটা ছিল নিত্য-নৈমেত্তিক ব্যাপার। তখনো ক্লাস শুরু হয়নি। ক্লাসে ঢুকেই সুমন তুষারের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো, হাসিমুখে বললো,
"গুডবয়! বন্ধুগো নামে কখনো নালিশ করতে হয় না। আমারে ডরাবি তো সারা বছর ভালোয় ভালোয় ক্লাস করতে পারবি। যা আজকে আর তোর টিফিন খামু না।" তুষার কিছু না বলে শান্ত চোখে, মুখে একটু হাসি ঝুলিয়ে সুমনের দিকে তাকিয়ে থাকলো।
তুষারের মত এরকম অদ্ভুত রকম শান্ত ছেলে আমরা কখনো দেখিনি। এতটা শান্ত, এতটা নির্লিপ্ত একটা ছেলে কিভাবে হয় আমি ভেবে পাই না। কোনকিছুতেই তার কিছু আসতো যেতো না। সেদিন সমাজ ক্লাসে যখন রহমতুল্লাহ স্যার ওকে পড়া জিজ্ঞেস করছিলেন, অসীম পিছন থেকে ওর বেঞ্চে একটা ডিম রেখে দিলো। ডিমে যখন তুষারের প্যান্ট মাখামাখি হয়ে গেল, আমাদের তখন হাসতে হাসতে মরার দশা। মনে আছে, তুষারের মুখেও তখনো হাসি ছিল। আস্তে আস্তে সবাই ওকে পেয়ে বসলো। প্রায়ই দেখা যেত ওকে নিয়ে কেউ না কেউ মজা করছে। হয়তো পারভেজ ওর জুতার ফিতে বেঁধে দিয়ে আছাড় খাওয়ায়, নয়তো জাফরি বলপেন দিয়ে ওর শার্টে আঁকিবুকি করে। তুষার কারো সাথে মিশতো না। কিন্তু একটা ব্যাপার, তুষার পড়াশুনায় কিন্তু বেশ ভালই ছিল। এ কয়দিনেই ও পরীক্ষা, ক্লাস-পারফর্মন্সে ফার্স্টবয় তারেককে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মনে আছে তারেক, মিশুরা একবার খাতির করতে গিয়েছিল, কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। তুষার কারো সাথেই কখনো মেশেনি। সুমন ওর থেকে দেখে দেখেই সব লিখতো, ওকে দিয়ে ওর হোমওয়ার্ক ও করাতো ক্লাসে এসে। তুষারও বিনা বাক্যব্যয়ে সব করে দিতো। এসব ঝঞ্ঝাট ঝুট ঝামেলা বাদ দিলে, তুষার ক্লাসে আসতো-ক্লাস করতো-আর ঘন্টা পড়লে চলে যেত। এই ছিল ওর প্রতিদিনের রুটিন। এর বাইরে ওকে আর কিছু করতে দেখিনি আমরা। ওর এই স্বভাবের জন্য বাংলার স্যার ওর নামই দিয়ে দিলেন অসাড়।
সেদিন থার্ড টার্মের শেষ পরীক্ষা ছিলো। অংক। পরীক্ষা শেষ। আমরা সবাই খুশিতে টগবগ। ছুটোছুটি হুটপুটি শেষ হলে ছোট মাঠের শেষে যে ঘরটাতে কাঠমিস্ত্রী কাজ করতো তার বারান্দায় এসেছি। দেখি তুষার এক কোনে বসে বই খুলে দেখছে। নানারকম গল্পগুজব শেষে আড্ডা এসে থামলো ছেলেমানুষীতে। কে কি করে দেখাতে পারে। জিভ ভাঁজ করে তারেক বেশ ভাব নিল। জাফরি আরেক কাঠি বেশি, সে জিভ উলটে ফেলতে পারে। সেটা আবার কেউ পারে না। সম্রাট দুই হাতের সবগুলো আঙ্গুলই উল্টো ভাঁজ করে একদম কবজিতে শুইয়ে ফেলতে পারে। এটা আগে কখনো দেখায় নি, সবাই একেবারে আঁতকে উঠলাম।হঠাৎ পারভেজের খেয়াল হলো তুষার এখানে আছে, ও চেঁচিয়ে বলল,
"কিরে অসাড় কেমন পরীক্ষা দিলি"।
বই থেকে মুখ না তুলেই তুষার বললো, "ভাল।"
"কি মনে হয়.. তারেক কে টেক্কা দিতে পারবি, ফার্স্ট হতে পারবি?"
"পারবো" তুষারের নির্লিপ্ত উত্তর।
"পড়াশুনা ছাড়া আর কি কিছু পারিস তুই?"
হাসির হুল্লোড় বয়ে গেল একটা। তুষার হঠাৎ বলে বসলো, "পারি.."
পারভেজ নিজের একটা কেরামতি দেখাতে যাবে, হঠাৎ তুষারের কথায় ফিরে তাকালো, বললো, "এদিকে তাকা.." তারপর চোখের মণি একদম উপরে তুলে ফেলে চোখ একদম সাদা করে ফেললো। বন্ধুদের কয়েকজন আঁতকে উঠলো। পারভেজের এইটা আমি আগে দেখেছিলাম। সচরাচর এটা তেমন দেখায় না ও, সবাইকে চমকে দেবার জন্য বাঁচিয়ে রাখে ও এই কেরামতি। আমি তুষারকে দেখছিলাম, হাসিমুখ করে পারভেজকে দেখছিলো ও।
পারভেজ চোখ আবার ঠিক করে জিজ্ঞেস করলো, "পারবি এমন করতে?"
"এরকম পারবো না"
"হুহ! পারলে তো কাজই হতো, ব্যাটা অসাড়", আবার হাসাহাসি।
"তবে আমি অন্য কিছু পা্রি .." ,
বলে তুষার বই গুছিয়ে ব্যাগে ভরে এক কোনায় রেখে আমাদের সামনে চলে আসলো। সবাই হাসি থামিয়ে তুষারের দিকে তাকালাম। পারভেজ বললো,
"কই দ্যাখা দেখি, কী পারিস।"
তুষার আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো.. শান্তচোখে আমাদের সবার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো.. আর হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
মন্তব্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুণ হয়েছে!
ধন্যবাদ হিমু ভাই
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এত ঝরঝরে লেখার গল্প পড়ার সুযোগ খুব বেশী আসে না।
তবে মুস্কিলটা বাঁধল অন্য যায়গায়। যদিও ক্যাটেগরী-তে জানিয়েই দিয়েছিলেন যে এটি অণুগল্প, চমৎকার লেখার গুণে গল্প এত ভাল লাগতে রইল যে এই রকম ঝটাকসে শেষ হয়ে যাওয়ায় খুব-ই একটা অতৃপ্তি ঘইটা গেল। তাত্তাড়ি আর একটা ছাড়েন, পিলিজ।
(সুনীল গাঙ্গুলীর সেই, রাক্ষুসীটার হাতে মারা পড়া নদীর গল্প বলিয়ের কবিতাটা মনে পড়ে গেল)
- একলহমা
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শেষটা পুরাই কুপা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খাইছে!
..................................................................
#Banshibir.
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঘটনা হইলো, গল্প যেহেতু আপনি লেখসেন, আমি জানতাম শেষে একটা 'কাহিনী' থাকবে। আপনি আমাকে ভুল প্রমাণ করেন নাই
গল্প তুখোড় হইসে। কেন যে লেখেন না নিয়মিত...
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ কমরেড
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অসাধারণ হয়েছে! একেবারে ঝরঝরে লেখা। মনে হয় যেন চোখে দেখছি!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ধন্যবাদ আপনাকে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
শেষ লাইনটা পড়ে একেবারে শিউরে উঠলাম। দারুণ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ হে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভাই রে ভাই---গল্পের শেষ পড়ে অবলীলায় মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল 'হোয়াট দ্য ফ---'
এমন জমাটি গল্প অনেক দিন পড়ি নাই---
আপ্নে ভস্লুক---
ধন্যবাদ অনিকেতদা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আরি সাঙ্ঘাতিক তো!!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নুতন ছাত্র হিসেবে বছরের মাঝখানে ভর্তি হওয়া, 'ইন্ট্রোডিউজ ইওরসেলফ', ক্লাসের মুশকো ছেলেটির হাতে মার খাওয়া--
'দীপু নাম্বার টু'র কথা মনে পড়ছিল।
শেষটা দারুণ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দীপু নাম্বার টুর কথা মনে পড়ছিল। একদম ঠিক কথা!
কিন্তু সমাপ্তি যা দিছে
লেখতে গিয়ে আমারো মনে পড়ছিল, গল্পটার মধ্যে অনেক ক্যারাক্টার আমার স্কুলজীবন থেকে নেয়া, নাম শুধু বদলে দিয়েছি।
ধন্যবাদ তিথীডোর
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এইটা কী লিখলেন!!! শেষটা পড়ে থম মেরে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ - ঘুণাক্ষরেও ধারণা করতে পারিনি এমন জব্বর একটা টুইস্ট দেবেন লাস্টে!! ওহ!! অনেকদিন এমন চমৎকার গল্প পড়িনি!
আজকে রাতে আমার ছেলেকে এটা বেড টাইম স্টোরী হিসেবে শোনাতে চাই।
অনেক ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হ গল্পটা ভাল হইছে কিন্তু কিছু চরিত্রের নামে সমস্যা আছে। এই রকম হইলে কিন্তু তরে নিয়াও লেখুম।
হাহাহাহা সুমইন্না!! এই সুমন কিন্তু তুই না, নাম খালি তোরটা ইউজ করছি
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হাহাহা... আমি গল্প পড়ার সময় "সুমন"-এর বর্ণনা পইরা হাইসা ফেলছিলাম
অলমিতি বিস্তারেণ
খাইসে!!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খুব ভালো লাগলো পড়ে।
--------------
মিলন
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কিতারে ভাই??? হইলো কিস্যু? যখন মাত্র গেড়ে বসলাম তখন আপনি, নাহ ভালো হইলোনা ঘটনাটা।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অসাধারণ গল্প। অসাড় হয়ে গেলাম। আবার পড়ি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দারুন তো
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গল্প ভালো কিন্তু তেতুলটা বাদ পড়ে গেছে
লীলেনদা!! ভাল আছেন? এরপরে তেতুল মাখাইয়া দিমু নে
ধইন্যাপাতা দাদা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বনফুলের ছায়া থেকে নাকি? শেষ লাইনটা বাদে বেশ জমেছিল,
facebook
নারে, হঠাৎ মাথায় আসলো, লিখে ফেললাম।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বাহ! চমৎকার!!
ছোট গল্প শেষ হইয়াও শেষ হয় না। কিন্তু এটা শেষ হয়ে আবার বড় করে শুরু হলো।
আব্দুল্লাহ এ এম
ভালো লেগেছে। একেবারে পিচ্চিতোষ গপ্পো পড়তে মাঝেমাঝে ভীষণ ভালো লাগে শেষের চমকটাও দারুণ
ডাকঘর | ছবিঘর
বয় ফাইচি
বয় বালক ফাইয়া আপ্নে কি করবেন গো দাদা?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ঝট করে শেষ হয়ে যাওয়াটা ভালো লাগছে। টুইস্ট দেওয়া নিয়ে কোন আড়ম্বর নাই এই জিনিসটা ভালো লাগছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ফাইন হইছে
আমি ভাবসিলাম শেষের টুইস্টটা দিবেন ব্রুটাল কিছু দিয়া। নিজের মাথা ছিঁড়া ফেলাইসে বা আরেকজনের হাত কাইটা নিসে এম্নে !!
বাকি গল্পটা কিন্তু খুব মসৃণ হইসে, ওয়ান মোর প্লিজ !!
[এই কমেন্ট আমি সকালে করসিলাম, এখন দেখি আসে নাই :(]
টুইস্টটা আমিও এইরকমই ভাবতেছিলাম। আমি ভাবসি নিশ্চিত কারো মুণ্ডু উপড়ায়া ফেলবে। শেষটা আমাকেও একটু অবাক করসে। এই জন্যেই আরো বেশি ভালো লাগসে!
অলমিতি বিস্তারেণ
বাহ!!
-----------------
সুবোধ অবোধ
টুইস্টটা ব্রুটাল কিছু হবে না জানা ছিল কিন্তু! তবে আমাদের এভাবে হা করিয়ে হাওয়া হয়ে যাবে ভাবিনি।
বেশি লিখতে অনুরোধ করবো না। মাঝে মাঝেই লিখবেন। কারণ এমন ঝাটকা সব সময় খাওয়া ভালু না
পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম চমক টা আসবে কখন, পড়তে পড়তে একদম শেষ লাইনে এসে পাইলাম চমক!
গপ ভালা লাগছে
আপনার লেখা বলেই শুরু থেকেই বুক ধুকধুক করছিল। শেষে এসে একদম হাতে কিল ঠুকে বলতেই হল, দারুণ!!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শেষে এইটা কি হইলো ??!! পুরাই তব্দা!!
দারুন একটা গল্প পড়লাম । এক কথায় অসাধারন ।
খুব দারুণ অনুগল্প ! খুব ভালো লেগেছে ।
বাহ চমৎকার গল্প!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
উহুম, দিলে লালা ঝরলো না, তয় চমকাইয়া গেলাম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসাড় হয়ে গেলুম ভ্রাত ...দারুন ট্টুইস্ট
আহা, ফা টা ফা টি !
জমিয়ে দিলেতো পুরা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমার ধারণার আকাশের কোনায়ও ছিল না এই পরিণতি। দারুণ দেখিয়েছেন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দারুণ....
ওয়ান মোর প্লিজ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে জোস।
চমতকার গল্প
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপ্নি যে কেন এত কম লেখেন!
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এইটাতো পুরা আমার গল্প হে কমরেড! আক্ষরিক অর্থেই, ইফ ইউ নো হোয়াট আই মিন
আমি ভাবছিলাম শেষে এসে তুষার পারভেজের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর গলার কিছু অংশ কামড়ে ছিঁড়ে নেবে, তারপরেও যা হইছে সেইটাও অদ্ভুদ!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
চমকটা, দুর্দান্তিস!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এমনে কইরা খেইল দেখাইয়া শেষ কইরা দিলেন, এইডা কিছু হইল।
সৌ রভ
নতুন মন্তব্য করুন