"দরজা খোল অনি!" জেদ চেপে যায় বনি'র, কাঁপতে থাকে অল্প অল্প।
"না। দরজা খোলা যাবে না।" অনির শান্ত জবাব।
হঠাৎ হুটোপুটি শুরু হয়ে যায় দুজনের মাঝে। একই চেহারার দুই কিশোর। বনি গরাদের ফাঁক দিয়ে দুই হাতে অনির টুঁটি টিপে ধরে। গাঁক গাঁক করতে করতে একসময় ছাড়িয়ে নেয় অনি, আর এগিয়ে এসে প্রবল শক্তিতে ধাক্কা দেয় বনির বুকে। ছিটকে পড়ে বনি। তাকিয়ে দেখতে দেখতে ধপ করে বসে পড়ে অনি। হাঁপাতে থাকে দুইজন।
"তুই কি ভেবেছিস, আমাকে এভাবে আটকে রাখতে পারবি?" হাঁপাতে হাঁপাতে বলে বনি
"এই দরজা খোলা যাবে না।"
"কিন্তু তুই কেন আমাকে আসতে দিবি না?" আহত স্বরে বলে বনি।
"বনি তুই কেন বুঝতে পারছিস না। এই দরজা আমি খুলতে পারবো না। তুই এদিকে আসলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। তোকে ওধারে থাকতেই হবে। এটাই নিয়ম, তবেই ব্যালেন্স থাকবে।" টেনে টেনে বলে অনি, ওর কন্ঠে অনেকদিনের ক্লান্তি।
"এদিকে কিছু নেই, শুধুই অন্ধকার। আমার অন্ধকার ভাল লাগে না, একদম ভাল লাগে না। আমি এখানে থাকতে চাই না। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যা ভাই। আমাকে এখান থেকে নিয়ে যা।" ডুকরে কেঁদে উঠে বনি। অনি সহ্য করতে পারে না। নাক মুখ কুঁচকে কানে হাত দিয়ে বসে থাকে।
বনি কাঁদতে কাঁদতে থেমে যায়।
"তুই-ই অন্ধকার.. আমার অন্ধকার, তোকে বের করা যাবে না। সব নষ্ট হয়ে যাবে.. সব ধ্বংস হয়ে যাবে।"
...
"এই তোরা থামলি?" তাড়াহুড়া করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসেন শফিক সাহেব।
"অফিসের দেরী হয়ে যাচ্ছে, খোল দরজা খোল!"
এক হাতে পাউরুটি চিবুতে চিবুতে ফাইল আর কাগজপত্র বগলদাবা করে খাওয়া মুখেই খেঁকিয়ে উঠেন শফিক সাহেব। মিলিকে আর বিরক্ত করেন নি। কাল সারারাত জেগে পরীক্ষার খাতা দেখেছে বেচারী, থাক ঘুমোক। বাবাকে দেখে দুই যমজ ভাইয়ের মুখে সলজ্জ হাসি ফুঁটে আর পরমূহুর্তেই তা ক্যাবলাহাস্যে রূপ নিয়ে একান ওকান হয়ে যায়।
"সারাদিন কম্পিউটারে এসব হাবি জাবি মুভি দেখিস আর সকালে এসব নাটক করিস, পড়াশুনা নাই তোদের? ডাকবো তোদের মাকে? খোল দরজা!"
মন্তব্য
তোমার মতো হয়নাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
জানি অপু ভাই, কিছু না লিখতে পারার যন্ত্রণা থিকা মুক্তি পাবার জন্য হাবিজাবি লেখার চেষ্টা করসি। সামনে ঠিক হইয়া যাবে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
যাক, রাগ করনাই।
শুভ কামনা
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
লাইনে আসুন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হে হে অকে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অনেকদিন পরে অন্তত খোঁজ পাওয়া গেল!
আরও লেখা আসুক।
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঘ্যাচাং
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ব্যাটা খেঁকু, আইলসামি আছে লেখাটায়... একটা ভালো গল্প হতে পারত!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হাহা হ, একটা ভাল প্লট আসছে লেখতে গিয়া। এইটা নিয়াই লেখুম দেখি
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঠিক! আরেকটু সময় দিয়ে এই লেখাটাই আবার লিখতে পারো। গল্পের শেষে অভাবিত ট্যুইস্ট দেবার ক্ষেত্রে তোমার ক্ষমতা ঈর্ষণীয়। সেটার ঝলক দেখাও।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনার আগের কাইদানগুলো পড়ে আসলাম।
আগে, 'কালেকশন' পড়েছি ৫-৬ বার, আজ আবার পড়ে ভয় পেলাম।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
গল্পটা আমার ভালো লাগসে, তবে এইটা যে আপনার সিগনেচার স্ট্যান্ডার্ডের হয় নাই, আপনিও জানেন সেইটা।
গল্পটা শেষে একটু প্যাঁচ খায়া গেছে। পুরা জিনিসটা এক্সপ্লেইন করার জন্য লাস্টে অনেক কথা খরচ করে ফেলসেন, এবং কিছু কথা একটু আরোপিতও লাগসে (যেমন পোলা দুইটার বাপের ডায়লগ)। আমার মনে হয় কি, শুধু লাস্টের এই তিন চার প্যারাকে যদি রিরাইট কইরা একটু কম্প্যাক্ট বানাইতে পারেন, তাইলে গল্পটা একদম ফাটাফাটি হয়ে যাবে!
অলমিতি বিস্তারেণ
হ এইটা থিম ধইরা অন্যকিছু করা যায় নাকি দেখি
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভাল্লাগছে।
রূপলাল হাউজের রসুনের আড়তের ছাতে নর্থব্রুক সাহেবের ভ্যাম্পায়ারকে আটকে ফেলার গপ্পোটার কদ্দুর কি হৈলো ?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এইটা জানো আমি মাঝেমাঝেই মাথার মধ্যে সাজাই গল্পটা, একদিন বসুমনে তোমার সাথে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমার কিন্তু ভাল্লাগসে।
নিছক রসিকতাই গল্পটার থিম ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অতৃপ্তির তৃপ্তি। শুভকামনা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
যাও, এইটা আবার লেইখা নিয়াসো! :/
(তাওতো লিখলা!)
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন