১
"মন্ত্র কী জানো তো?"
"না, কী?"
জটাধারী মাটিতে আঁক কষতে কষতে মুখ টিপে হাসলেন আর গুনগুনিয়ে গাইতে শুরু করলেন। ঘুরঘুট্টি অমাবস্যায় মশালের আগুনে তার ব্যস্ত হাত মাটিতে চক্রাকারে কী যেন এঁকে চলেছে। জটাধারী গাইছেন,
"স্বপন পাড়ের ডাক শুনেছি, হু হুম হু হু হু হুম ..
কেউ কখনো খুঁজে কি পায়.. হু হুম হু হুম হুম"
গান থামিয়ে আমার দিকে না তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "বুঝলে তো এবার?"
আমি একটু বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "কী বুঝবো?"
এবার আমার দিকে ঘুরলেন তিনি, "আরে! ওই যে বলছিলাম, মন্ত্র। মন্ত্র কী বুঝলে তো?"
আমি ডানে বামে মাথা নাড়ালাম।
"চাবি, মন্ত্র হচ্ছে স্বপ্নলোকের চাবি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসব বুঝলেন কী করে বলো তো? তিনি কি তন্ত্র সাধনা করতেন নাকি? হে হে হে.."
আমি ভাবলেশহীন মুখে তাকিয়ে রইলাম।
"আর তন্ত্র হচ্ছে পদ্ধতি, প্রক্রিয়া। যাও তো এখন চট করে দিঘী থেকে একটা ডুব দিয়ে আসো দেখি, শুদ্ধ না হয়ে তো এই মাদুলি নিতে পারবে না। ডুব দিয়ে আসো আর আমিও ততক্ষণে মাটিতে এই খুঁটাগুলো পুতে রাখি।"
বন্ধুমহলে এমনিতেই আমার ভয় ডর একটু কম। অমাবস্যার এই রাতদুপুরে ভয় করবে কী, বিরক্ত লাগছে। কোথাকার কোন ভণ্ড তান্ত্রিক! কেন যে মরতে এলাম! জেঠুর যত কান্ড! বাবাসোনা করে পিঠে হাত বুলিয়ে পাঠালেন কীসব ফালতু মাদুলি-ফাদুলি নিয়ে আসতে! সেই মাদুলি উনি নাকি নিজেই আনতেন। শরীর খারাপ তাই। সেই মাদুলিতে নাকি ব্যবসায় উন্নতি হবে।
কচু হবে, আমার মুণ্ডু হবে!
এইসব তন্ত্রে মন্ত্রে উনার অনেক ঝোঁক। মহা শাক্ত আমাদের এই জেঠু। শক্তির আরাধনা করেন আগের থেকেই। সাধু সাধু বলে ডাকে গ্রামের লোক। ছোট থাকতেই দেখেছি উনার অনেক নামডাক। নানান যজ্ঞ টজ্ঞ এসব ছাড়া থাকতেই পারেন না। কিন্তু এই তান্ত্রিককে আমি আগে কখনো দেখি নি। সুহাস মানে আমার জ্যাঠতুতো ভাই বললো, বেশ কিছুদিন নাকি এই গ্রামে এসেছে।
শহর থেকে গরমের ছুটিতে বেড়াতে এসেছি। বাবা মা নেই আমার। জ্ঞান হবার পর জেঠুই আমাকে মানুষ করেছেন, করছেন। এখন শহরে একটা কলেজে পড়ি।
রাত মনে হয় বারোটা হবে । মানে মানে এখান থেকে এখন পালাতে পারলে বাঁচি। সুহাসটাকে বললাম যে আমার সাথে আসতে। এলো না, তার নাকি রাজ্যের পড়া। পড়া শেষ হলে নাকি আমাকে নিতে আসবে। এখানে এসে এ কী বিড়ম্বনায় পড়লাম কে জানে!
হাঁটছি, হঠাৎ দূরের ঝোপে কী যেন সাদামত সড়সড় করে সরে গেল। আঁতকে উঠে আবার সামলে নিলাম। মেজাজটা তিরিক্ষি হয়ে আছে। গজগজ করতে করতে দিঘীর পাড়ে এসে পৌছলাম। এই ঘাটে আগে কখনো আসি নি। কালো জলে ঢেউ খেলছে মাঝ দিঘীতে। জামাকাপড় নিয়েই নেমে গেলাম দিঘীর জলে। কী ঠান্ডা! দুই হাতে জল সরিয়ে ডুব দিলাম।
তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।
২
কখন জ্ঞান ফিরেছে বলতে পারবো না। সামনে যজ্ঞের আগুন দাউ দাউ করে নাচছে। কোথায়, কেন বুঝে উঠতে একটু সময় লাগলো। ভয়ে কুঁকড়ে গেলাম! আমার মুখ হাত পা শক্ত করে বাঁধা। গায়ে এক সুতা কাপড় নেই! মাটিতে একপাশ হয়ে শুয়ে আছি। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলো। কী হচ্ছে এসব! সর্বশক্তি দিয়ে উঠে বসতে চাইলাম। কে যেন পা দিয়ে ঘাড়ে দাবিয়ে ধরলো, মুখ ঘুরিয়ে দেখি জটাধারী, মুখ হাসিহাসি।
"আহ! নড়িস না!"
অবাক হয়ে দেখলাম পাশেই জেঠু, সম্মোহিতের মত বসে আছেন। কি হচ্ছে এসব!
"বলি তো জেগে গেছে, অবিনাশ বাবু! সময়ও বেশি নেই। বেতাল আরোহণ পর্ব শুরু করতে হয় যে। "
অবিনাশ আমার জেঠুর নাম।
জেঠু উঠে কাছে আসলেন। আমার আতংকিত চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন, "বাপ মা মারা গেলে তোকে খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করেছি। এখন আমার একটু উপকার কর বাবা। রাগ করিস না বুঝলি, আমাকে ক্ষমা করে দিস।" আমি শুধু বোবা শব্দ করলাম মুখ দিয়ে। তান্ত্রিক হঠাৎ আমাকে উপুড় করে শুইয়ে দিল। তারপর দুইপাশে পোতা মাটির খুটাগুলায় শক্ত করে বাঁধল আমাকে শয়তানটা। চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এলো আমার। জেঠু এসে আমার পিঠের উপর বসলেন। রাগে ঘেন্নায় সর্ব শক্তি দিয়ে উঠতে চাইলাম আর জেঠু শক্ত করে চেপে বসলেন আরো, পা দিয়ে লাথি দিলেন জোরে।
"আহ! ঝামেলা করিস না!"
দৃষ্টি ঘোলা হয়ে শরীর অসাড় হয়ে আসলো। ঘোলা চোখে শুধু আগুনের নাচ দেখতে লাগলাম। শয়তানটা তখন বলে যাচ্ছে,
"অবিনাশবাবু, এ অনেক জটিল প্রক্রিয়া। প্রাচীন মন্ত্রে দেবযোনিলোকের প্রাণশক্তিকে আবাহন করে মনুষ্য শরীরে সংস্থাপন করতে হয়।এই দেবযোনিরা নর ও দেবতার মধ্যবর্তী এক শক্তি। এরাই পুরাণের যক্ষ, গন্ধর্ব, বিদ্যাধর। এরা আকাশচারী, সর্বলোকে তাদের বিচার। আমাদের জগতের সমান্তরালেই তারা থাকেন। মাত্রার ভিন্নতার কারণে আমরা তাদের দেখা পাই না। তাদের ধারণ করবার মত দেহ নাই। মন্ত্রবলে তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হয়। আর তন্ত্রবলে তাদের কে শরীরে বাঁধতে হয়। এই মন্ত্র আমাকে শিখিয়েছেন আমার পরম পূজনীয় গুরু, তাকে শিখিয়েছেন তাঁর গুরু, তাকে তাঁর গুরু। এভাবে এই মন্ত্র অতি প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। বহু পূর্বে এই মন্ত্রের ভাষায় আমাদের পিতৃপুরুষগণ দেবযোনিদের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। এই গুপ্তবিদ্যা আমি আগে কখনো প্রয়োগ করিনি। দেবযোনিরা অনেক জ্ঞানী এবং শক্তিশালী হয়। এদের বশ করা প্রায় অসম্ভব কিন্তু একবার বেঁধে ফেলতে পারলে আপনার আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে, এ জগতে এমন কিছু নাই যে সে আপনার জন্য করবে না। এই গুপ্ত বিদ্যা মহারাজ চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য প্রয়োগ করে তাল বেতাল নামধারী আজ্ঞাবাহী দানব পেয়েছিলেন। না গল্প নয়, সত্যি। কিন্তু শর্ত মনে রাখবেন অবিনাশবাবু, এই বিদ্যা কাজ করলে কথামত আপনার পুত্র সুহাসকে আমার হাতে সমর্পণ করবেন।"
মাথা কাত করলেন জ্যাঠামশায়। আর কিছু ভাবতে পারছিলাম না। সবকিছু কেমন অবিশ্বাস্য লাগছিলো, মনে হচ্ছিল কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি। জটাধারী পিশাচটা গুরুগম্ভীর স্বরে মন্ত্র পড়তে শুরু করলো।
৩
কতক্ষণ কেটে গেছে জানি না। হঠাৎ প্রচুর বাতাস বইতে লাগলো। ঝড় উঠেছে নাকি? কী যেন দূরে এক ঘোর কালো মত পাক খাচ্ছে শূন্যে। পাক খেতে খেতে যেন সেই কৃষ্ণবর্ণের বলয় ধেয়ে আসছে এদিকেই। এই কালরাত্রির থেকে কালো কিছু হতে পারে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
তান্ত্রিক বললো,
"তৈরী হোন অবিনাশ বাবু, সময় এসে গেছে"
দেখি সেই নিকষ কালো বলয় থেকে উজ্জ্বল সাদা রঙের তরলমত কী জানি উপচে পড়ছে গলগলিয়ে। আর পড়েই প্রথমে স্রোতের মত তারপর ঢেউ তুলে রীতিমত চারিদিক ছাপিয়ে আসতে লাগলো এইদিকে। তান্ত্রিক উচ্চস্বরে মন্ত্র উচ্চারণ করছিল, হঠাৎ থেমে গিয়ে তাকিয়ে রইলো। আর কীভাবে যেন সেই ঢেউয়ের মত জিনিসটা আমার সাথে কথা বলে উঠলো, আমার মাথার ভেতরে।
"ভয় পেয়ো না।"
তারপর আমি দেখলাম। নিমিষেই সেই অদ্ভুত ঢেউরাশি মাটির উপর দাঁড়িয়ে গেল। বিশাল আকৃতির থকথকে শরীরের এক ঢেউ। মূহুর্তে তান্ত্রিককে পেঁচিয়ে ধরে উঠিয়ে নিয়ে গেল অনেক উঁচুতে আর সাথে সাথে সজোরে মাটিতে এসে একদম দুমড়ে মুচড়ে দিলো খেলনার মত। চিৎকার করে উঠলো তান্ত্রিক। চোখের সামনে ভেঙ্গেচুরে দুমড়ে ছোট হয়ে গেল তান্ত্রিকের দেহ, রক্ত মাংস মেদ কী যেন অদৃশ্য শক্তির চাপে তরল কাদার মত হয়ে উঠতে লাগলো। জেঠু ততক্ষণে আমার পিঠ থেকে উঠে গেছেন। দৌড়ে পালাবেন, হঠাৎ প্রাণীটা যেন তা বুঝতে পারলো। আর সেই তান্ত্রিকের রক্ত মাংসের ক্লেদ এসে স্রোতের মত ঢুকতে লাগলো তার নাক মুখ দিয়ে। জেঠুর চোখ বেরিয়ে আসলো, পেট ফুলতে ফুলতে হঠাৎ সশব্দে ফেটে রক্ত মাংস বেরিয়ে বাতাসে ভেসে বেড়াতে লাগলো আর আগের মতই কী যেন এক অদৃশ্য টানে সেই রক্ত মাংসের ক্লেদ শূন্যে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে জমাট বাঁধতে লাগলো পিণ্ডের আকারে। সূক্ষ্ম হতে সূক্ষ্মতর হতে লাগলো। আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। জ্ঞান হারালাম।
কতক্ষণ এভাবে ছিলাম জানি না। মনে হলো স্বপ্ন দেখছি। কে যেন ডাকলো আমাকে,
"অনিরুদ্ধ "
"হু?" , অস্ফুটে সাড়া দিলাম
"অনিরুদ্ধ, শুনছো? "
"কে?"
"আমি "
"কে আপনি?"
"আমি এক অপর বাস্তব। এক ভিন্ন জগতের.."
"গন্ধর্ব?"
"হা হা হা... তা তোমরা অনেক নামেই ডাকো আমাদের। আমরা জানি। আমাদের জগত তোমাদের থেকে আলাদা কিছু নয়। মাত্রাটাই যে একটু ভিন্ন।" একটু থেমে আবার সেই স্বর বলে উঠলো, "শুনো, অনিরুদ্ধ এই মন্ত্রসিদ্ধ তান্ত্রিক আর তোমার জ্যাঠামশাই, এরা অনেক আগের থেকে একে অপরকে চিনতো। এরা শুধু আজকের লগ্নের জন্যই অপেক্ষা করেছিল অনেক বছর। তোমাকে বলি দেবার পর তোমার জ্যাঠামশাই নিজের পুত্রকেও বলি দিতেন। এরা শুধু আমাদের জগতের সাথে দরজাই তৈরী করতে পেরেছিল। কারণ মন্ত্র। প্রাচীনকাল থেকে এই অদৃশ্য দরজাগুলো এই মন্ত্রপূতঃ। এ এক বিজ্ঞান। যা তুমি এখন বুঝবে না। আমরা যতটুকু পারছি খুঁজে খুঁজে এখন বন্ধ করছি এই দরজাগুলো। কিন্তু এরা প্রকৃত তন্ত্র জানে না। আমরা এখন অনেক উন্নত, আমাদের বশ করা সম্ভব নয়। এরা দুষ্ট, ক্ষমতার জন্য এরা সব করতে পারে। আমি এদেরকে সূক্ষ্মবস্তুতে পরিণত করেছি। জ্ঞান হলে তোমার শিয়রে দেখবে একখানা লাল রঙের পাথর পড়ে আছে। তোমার পিতৃব্য আর এই তান্ত্রিকের রক্ত মাংস থেকেই এই পাথর প্রস্তুতকৃত। ঘৃণা হলে ফেলে দিতে পারো। কিন্তু যদি ধারণ করো তবে বিপুল জ্ঞানলাভ করবে।"
"কিন্তু আপনি কি করে..?"
কোমল কন্ঠে হেসে উঠলো কে যেন আমার ভিতরে, বললো,
"কেন? আমিও যে এক তান্ত্রিক। "
আমি চোখ মেললাম। পুবের আকাশ লাল হয়ে আসছে। আবছা আলোয় দেখলাম মাথার কাছে জলজল করছে খাজকাটা পাথরটা। প্রথমে সত্যিই অনেক ঘিনঘিন লাগলো। কী মনে করে আস্তে আস্তে ধরলাম পাথর খানা আর সাথে সাথেই দেখলাম সেই শ্বেত শুভ্র প্রাণশক্তিকে। বিশাল ঢেউয়ের মত সেই শক্তি দাঁড়িয়ে আমার পাশেই। আস্তে আস্তে শূন্যে তৈরী হলো পূর্বের সেই কৃষ্ণবলয়। কালো সেই গহবরের সামনে দাঁড়িয়ে পিছে ঘুরে যেন আমার দিকে তাকালো ওটা, বলল,
"ভয় পেয়ো না, এসো।"
পাথরখানা মুঠো করে পকেটে পু্রলাম। আর আস্তে আস্তে অনুসরণ করলাম তাকে।
বাপ্রে! ভয় খাইলাম কিন্তু অনেকদিন পর লিখছেন।
গপ ভালু লাগছে। তবে কেরামতিকে বিট দিতে পারেনাই
চোখের সামনে ভেঙ্গেচুরে কুঁকড়ে ছোট হয়ে যেতে গেল তান্ত্রিকের দেহ,
এখানে কী শরীরটা মাটির সাথে দেবে বা মিশে যাওয়ার কথা বলেছেন?
অনেকদিন পর লিখছেন সেজন্য
ভূতু কই??
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমি তো একটা সাই ফাই গপ পড়লাম মনে লয়।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দারুণ দারুণ!
অনেকদিন পর একটা প্রাণবন্ত গল্প পড়োলাম...
আপনার লেখা আগে কখনো পড়া হয় নাই, এইটা দিয়েই শুরু করলাম। এতোকিছু বুঝিনা, আসল ব্যপার হইলো গল্প ভাল্লাগছে, অনেক শুভকামনা জানবেন।
@রানা মেহের , আপনার মন্তব্যে জবাব দেয়া যাচ্ছে না কেন জানি। আসলে ঐটা ভিন্ন এক লাইন ছিল আগের, ঠিক করা হয় নি পরবর্তীতে। এখন ঠিক করে দিয়েছি হে হে। বক্তৃতার দরকার আছে, একটু সাই ফাইয়ে চলে যাবার ইচ্ছা, আর সিরিজ করার হিহি
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভিজ্যুয়াল কেমন হবে চিন্তা করলাম... ভালো হইবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ওরে সর্বনাশ করছেন স্যামদা! এই ভয়ানক অসাম ছবিটা কি এই গল্পের জন্য বানাইলেন? মুই কি ইহা এই গল্পের প্রচ্ছদ হিসাবে ব্যবহার করতে পারি?
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নেন, প্রচ্ছদ রেডি। এইবার উপন্যাস বানায়ালান
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মূল কাজটা আমার না - কিন্তু কোথা থেকে পেয়েছিলাম ভুলে গেছি, গুগল করে ক্রেডিট দেয়ার চেষ্টা করলাম - ব্যর্থ!
তান্ত্রিক টা ঝুলায়ে এনিমেট করে দিলে একটা মজা পাওয়া যায়
ধুরমিয়া... এই গল্প পইড়া ঘুমাইছি... আর মাঝরাইতের স্বপনে দেখি আমারে বাইন্ধ্যা থুইয়া কবিগুরু নরমুণ্ড হাতে নেংটি পিন্ধা আমারে চক্কর দিতে দিতে গাইতাছে -
স্বপন পাড়ের ডাক শুনেছি, হু হুম হু হু হু হুম ..
কেউ কখনো খুঁজে কি পায়.. হু হুম হু হুম হুম
যাক গিয়া... কাহিনী চলুক... ক্লাসিক ফোক-হরর আর সায়েন্স ফিকশনের ফিউশন ভালই লাগছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মেয়ের পরীক্ষার ব্যস্ততায় সচলে ঢোকা হচ্ছে না। সচলের অনেক নতুন লেখা পড়া বাকি। আজ ঢুকতেই নগদ গল্প পেয়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। আমার তো বেশ উত্তেজনা কাজ করলো গল্পটা পড়তে যেয়ে। সিরিজ হলে ভাল হয়। অপেক্ষায় রইলাম।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার গল্প দেখলে আশংকা নিয়ে পড়তে শুরু করি কোথাও ফাঁদ পাতা কিনা ভাবতে ভাবতে। তবে এটার মধ্যে নতুন কিছু আনার চেষ্টা করছেন বোঝা গেছে। স্যামদার প্রচ্ছদ দিয়ে একটা বই নামায়ে ফেলেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মনে হয় পেলাশটিকের পাত্রে দই পাতসিলা, খুব বেশী জমাটি হয়নাই!
তবে, পড়তে ভাল্লাগসে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
টুক করেই শেষ হয়ে গেল (নাকি আমিই দ্রুত পড়ে ফেললাম?)
মজাই লাগলো।
প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল এটা স্বপ্ন হবে । শেষের দিকে অনুমানটা শক্ত হয়েও হলো না, ভয়টাই রয়ে গেল । তবে পাথরখানা যে আপনি ফেলে দেননি, সেটা গল্পটা পড়েই বুঝতে পারছি ।
অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
অন্য চোখে
গল্প খারাপ লাগে নাই- কিন্তু এরচে ভালো গল্প পড়সি আপনার। তবে সবচে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হইলো আপনি লিখতেসেন। আমি নিশ্চিত লেখা কন্টিনিউ করলে অচিরেই আবার আগের ফর্মে ফিরা আসবেন।
পুনশ্চ: স্যাম্ভাইয়ের প্রচ্ছদটা দেইখা মুগ্ধ হয়া গেলাম। প্রচ্ছদের সম্মানেও কিন্তু একটা উপন্যাস লেখতে পারেন এই শিরোনামে।
তুমি খালি ডর দেখাও।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মন্তব্য
খেকশিয়ালের গল্প দেখে লাফিয়ে লাফিয়ে পড়তে আসলাম।
ইয়ে, ঠিক মনমতো হলোনা।
পিঠের ওপর বসে মাথায় লাঠি দেবে কীকরে? দেয়া যায় কিন্তু একটু অদ্ভুত হয়ে যাবেনা?
তান্ত্রিক যখন গন্ধব, যক্ষ এদের কথা বলছেন তখন পরিবেশের সাথে এই দীর্ঘ বক্তৃতা ঠিক মানাচ্ছেনা।
লাল রংয়ের পাথর রেখে জ্ঞান লাভ করাটাও একটু ক্লিশে শোনালো।
(মেরো না আমায়)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস